Tag: আত্মসমর্পণ

  • র‌্যাবের উদ্যোগে আত্মসমর্পণ করবেন ৩২৩ চরমপন্থী

    র‌্যাবের উদ্যোগে আত্মসমর্পণ করবেন ৩২৩ চরমপন্থী

    সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় চরমপন্থী আতঙ্কে দিন কাটতো সাধারণ মানুষের। এক সময়ে এই ৭ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে আতঙ্কের নাম ছিলো চরমপন্থা। প্রতিদিনই চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটতো এসব এলাকায়।

    আগামীকাল রোববার (২১ মে) সকালে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ কার্যালয়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) ও সর্বহারাসহ বেশ কয়েকটি চরমপন্থী দলের ৩২৩ সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসব এলাকার চরমপন্থী নেতা ও সদস্যদের অন্ধকার থেকে আলোতে ফেরাতেই এমন আয়োজন। শনিবার (২০ মে) সকালে সিরাজগঞ্জ র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার আবুল হাশেম সবুজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার আবুল হাশেম সবুজ জানান, চরমপন্থিদের আত্মসমর্পণ ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দিয়েছে র‌্যাব। এছাড়া অপরাধের জীবন থেকে চরমপন্থী সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে র‌্যাব ২০২০ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে। চরমপন্থী দলের নেতা ও সদস্যদের আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে গরুর খামার, পোলট্রি ফার্ম, মাছ চাষ, চায়ের দোকান, ভ্যান-রিকশা ও সেলাই মেশিন দেওয়া হয়। এই কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় আগামীকাল রোববার র‌্যাব-১২ কার্যালয়ে ৩২৩ জন চরমপন্থি অস্ত্রসহ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আত্মসমর্পণ করবেন। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইলে। আত্মসমর্পণের ৩২৩ সদস্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে এলএম লাল পতাকা বাহিনীর ২৯৪ জন, জনযুদ্ধের ৮ জন এবং সর্বহারার ২১ জন সদস্য রয়েছে।

    তিনি বলেন, র‌্যাবের পৃষ্ঠপোষকতায় ইতোমধ্যে টাঙ্গাইলে কয়েকটি হস্তশিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর আগে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা সদস্যদের পরিবারের লোকজনকে সেখানে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এসব কারখানার হস্তশিল্প বিদেশে রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে। এখন যারা আত্মসমর্পণ করবেন তাদের পরিবারকেও সরকারি সহায়তায় কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেবে র‌্যাব।

    আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহা-পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    র‌্যাব-১২ অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মারুফ হোসেন বলেন, পূর্ব বাংলা সর্বহারা ও কমিউনিস্ট পার্টি এমএল (লাল পতাকা) তারা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা যে ভুল পথে ছিল সেখান থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় র‌্যাবের উদ্যোগে চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণ করবে এবং দুই শতাধিক অস্ত্র জমা দেবেন। এর ফলে ওই অঞ্চলে আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুবিধা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

     

  • বাঁশখালীতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ৩৪ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

    বাঁশখালীতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ৩৪ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের ৩৪ জন জলদস্যু আত্মসমর্পন করেছেন।

    বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রামের বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের সময় তারা নিজেদের ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি ৯০টি অস্ত্র ও ২ হাজার ৫৬ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ জমা দেন।

    হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া এসব জলদস্যুদের বিরুদ্ধে চলমান বিভিন্ন মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এ সময় জলদস্যুরা অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    র‍্যাব জানায়, যারা আত্মসমর্পন করেছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা করা হবে। যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেননি তাদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হচ্ছেন, বাইশ্যা বাহিনীর আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত (৫২), আহামদ উল্লাহ (৪২) ও আব্দুল গফুর ওরফে গফুর (৪৭)। ফুতুক বাহিনীর দিদারুল ইসলাম ওরফে পুতিক্যা (৩২), জসিম উদ্দিন (২৬) ও মিজানুর রহমান (২৩)। খলিল বাহিনীর আব্দুর রহিম (৬৪) ও মাহমুদ আলী প্রকাশ ভেট্টা।

    বাদল বাহিনীর ওবায়দুল্লাহ (৩৬), রমিজ বাহিনীর ইউনুছ (৫৬), দিদার বাহিনীর তৌহিদ ইসলাম (৩৪), বাদশা বাহিনীর নিজাম উদ্দিন ভান্ডারী, ইউনুস (৫১), কামাল উদ্দিন (৪৭), কাদের বাহিনীর আব্দু শুক্কুর (২৮)।

    জিয়া বাহিনীর সাহাদাত হোসেন দোয়েল (৪১), পারভেজ (৩৩), নাছির বাহিনীর নাছির (৫১), আমির হোসেন (৪৮), সাকের (৪০)। কালাবদা বাহিনীর সেলিম বাদশা (৩৪), আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, আবু বক্কর সিদ্দিক (৩১), মামুন মিয়া (২৭)।

    অন্যান্য দস্যুবাহিনীর আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাইশ্যা (২৯), বেলাল মিয়া (৩০), আব্দুল হাকিম ওরফে বাককু (৩৫), রশিদ মিয়া (৩৬), ইসমাইল (২৪), শাবউদ্দিন ওরফে টুন্নু (৩২), ফেরদৌস (৫২), রেজাউল করিম (৪০), ইউনুচ (৪২) ও মন্জুর আলম (৪২)।

    গত কয়েকবছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের ফলে কোনঠাসা হয়ে পড়ে জলদস্যুরা। টিকতে না পেরে তারা বেছে নিতে শুরু করে আত্নসমর্পণের পথ।

    ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত র‍্যাব চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪৮ জন জলদস্যুকে আটক করে। তাদের থেকে ৭৯৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৮৮৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২০১৮ সালে ৪৩ জন জলদস্যু র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • টেকনাফে ২১ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

    টেকনাফে ২১ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

    ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজারঃ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাস্তুচ্যুত করে বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার।

    সেই মিয়ানমার থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার ইয়াবা আনছে এ দেশীয় ইয়াবা কারবারিরা। দেশের টাকা বিদেশে পাচার মানে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার মতো। মাদক-দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স রয়েছে। তার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে পুলিশ। আজকের আত্মসমর্পণ তারই একটি অংশ।

    সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টেকনাফ সরকারি কলেজ মাঠে কক্সবাজার জেলা পুলিশ আয়োজিত দ্বিতীয় দফায় ইয়াবাকারবারিদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি এসব কথা বলেন।

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্ত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ডিআইজি আরও বলেন, ৯০ দশকের শেষের দিকে জঙ্গিবাদ চরমভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। জিরো টলারেন্স নীতির কারণে জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা পেয়েছি আমরা। ইয়াবাও বন্ধ হবে ইনশাল্লাহ। দোষ স্বীকার করে যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের সাধুবাদ জানাই। যারা এখনও বাইরে রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

    ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক পুুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সম্পর্কে বলেন, পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের কেউ মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে তার ঠিকানা হবে কারাগার। একইভাবে নিরীহ কাউকে মাদককারবারি সাজানোর চেষ্টা করলে সেই কর্মকর্তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধেও কঠোরভাবে হাঁটছি।

    বক্তব্যের আগে ডিআইজির হাতে ফুল নিয়ে একের পর এক ২১ জন ইয়াবাকারবারি আত্মসমর্পণ করেন। এসময় ইয়াবাকারবারিরা পুলিশের কাছে ১০টি অস্ত্র, ২১ হাজার ইয়াবা ও ৩০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ হস্তান্তর করে। এরা সকলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি ও হুণ্ডি ব্যবসায়ী।

    দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণকারিরা হলেন-

    টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল গ্রামের ফকির আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ, নুর কবিরের ছেলে ইমাম হোসেন, হোয়াইক্যং উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুর শুক্কুরের ছেলে ফরিদ আলম, মহেশখালীয়া পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শাহাদাত হোছাইন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা হাজী ফজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রিদওয়ান ও তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক, সুলতান আহমদের ছেলে বশির আহমদ, মৃত আমির হোসেনের ছেলে ও সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল আমিন আবুল, মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম, মৌলভীপাড়ার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ওরফে হাজি রাসেল, রুহল আমিনের ছেলে ফজল করিম, সাবরাং ইউনিয়নের লেজিরপাড়ার মৃত হাজী মকতুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরীপাড়ার জহির আহমদের ছেলে আবু তৈয়ূব ওরফে মধু, মাঠপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ জাহেদ, খয়রাতি পাড়ার আবুল কালাম সওদাগরের ছেলে মোহাম্মদ সাদ্দাম, টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়ার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে আব্দুল নূর, লামার বাজারের আব্দুল জলিলের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাঈল, সাবরাং ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত ছৈয়দুর হোসেনের ছেলে আব্দুল গফুর, সাবরাং সিকদারপাড়া আমির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন কালু, হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামোরি কোনারপাড়ার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমান।

    আত্মসমর্পণকারিদের পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহাম্মদ তৈয়ব বলেন, ইয়াবা কারবার অঢেল টাকা দেয়, কিন্তু শান্তি দেয় না। অভিযান শুরুর পর থেকে একটি রাতও ঘরে থাকতে পারিনি। স্বজনদের সঙ্গে করতে পারিনি একটি ঈদও। ভোগান্তিতে থেকে পরিবার-পরিজনরাও। তাই অপরাধ বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছি। যারা বাইরে রয়েছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ শান্তি চাইলে আপনারাও ঘৃণিত এ পেশা ছেড়ে আইনের আওতায় আসুন।

    আত্মসমর্পণকারি ইয়াবাকারবারিদের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি তোফায়েল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ বাহাদুর, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা ও মৌলানা মুফতি কিফায়েত উল্লাহ। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৯ মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এদের মাঝে ৬ জন রোহিঙ্গা। এর আগে ২০১৮ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় বিশেষ অভিযানে ৫৬ রোহিঙ্গাসহ ২০৯ জন ইয়াবা কারবারি ও ডাকাত-সন্ত্রাসী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এ সময় এক কোটি ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৭০ পিস ইয়াবাও জব্দ হয়। আটক হন ২ হাজার ৩৩৮ জন। এসব ঘটনা মাদককারবারিদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ফলে অনেক চিহ্নিত ইয়াবাকারবারি গা-ঢাকা দিয়েছেন আর অনেকে আত্মসমর্পণ করতে মরিয়া হয়ে ছুটেছেন। এর আগে গত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন। এদের মাঝে একজন কারাগারে মারা গেছেন। বাকি ১০১ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে চার্জশিট দাখিল করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।

  • ইয়াবা কারবারিদের দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণ ২৯ জানুয়ারি

    ইয়াবা কারবারিদের দ্বিতীয় দফা আত্মসমর্পণ ২৯ জানুয়ারি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ইসলামা মাহমুদ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ১৮টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে ইয়াবা। ঠেকাতে অব্যাহত আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান।

    ধরাও পড়ছে ছোট–বড় ইয়াবার চালান। কিন্তু ইয়াবার বেচা–বিক্রি থামছে না কিছুতেই। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় টেকনাফের আরও অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন।

    কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, চলতি জানুয়ারির ২০ দিনে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি ইয়াবা বড়ি। এ সময় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন রোহিঙ্গা।

    গত ডিসেম্বরে উদ্ধার করা হয় ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ইয়াবা বড়ি। এ সময় ৯৮ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ৪৫ জনই রোহিঙ্গা। এর আগে নভেম্বর মাসে জব্দ করা হয় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৪টি ইয়াবা। টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির ১৮টি পয়েন্ট দিয়ে আসছে ইয়াবা।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকে জড়িত। সেখানকার ৩৭টি কারখানায় ইয়াবা তৈরি হচ্ছে। এখন ব্যবসা ধরে রাখতে তারা বাকিতে ইয়াবা দিচ্ছে। সেই ইয়াবার ঢল থামানো মোটেই সহজ কাজ নয়।

    কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপে পড়ে অথবা প্রাণ বাঁচাতে ১১ মাস আগে (২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফের শীর্ষ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তখন ধারণা করা হয়েছিল, এবার ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হবে। কিন্তু তা হয়নি, বরং বেড়েছে। এখন বাকিতে পাওয়া ইয়াবা নিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা।

    দ্বিতীয় দফায় টেকনাফের আরও অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তাঁদের অনেকে পুলিশের হেফাজতে চলে গেছেন। ২৯ জানুয়ারি টেকনাফ ডিগ্রি কলেজের মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন। তাঁরা সবাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী।

    পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা ও ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী।

    দ্বিতীয় দফায় আরও অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ চাইছেন। এ সুযোগ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩০ জনের বেশি ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশের হেফাজতে চলে এসেছেন।

    তবে এ তালিকায় প্রভাবশালী কারও নাম নেই। তালিকায় আছেন টেকনাফের ডেইলপাড়ার রেজাউল করিম, মো. শরিফ ও মো. শফিক, সদর উপজেলার হাবিরছড়ার ফরিদ আলম, নুর কামাল, সাবরাং ইউনিয়নের বাজারপাড়ার আবদুর রহিম।

    রেজাউল করিমের বাবা আবদুল করিম বলেন, ‘তাঁর ছেলে জীবনেও ইয়াবা ব্যবসা করেনি। কিন্তু মাদকের তালিকায় তার নাম উঠে গেছে। বিপদ থেকে রক্ষা করতে তাকে আত্মসমর্পণ করাচ্ছি।’

    আত্মসমর্পণে ইচ্ছুক এক তরুণ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেই দুই বছর ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না। তাই প্রাণরক্ষার স্বার্থে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করছি।’

    জেলা পুলিশের তথ্যমতে, জেলার আটটি উপজেলায় ইয়াবা ব্যবসায়ী আছেন ১ হাজার ২৫০ জন। এর মধ্যে টেকনাফে ৯১২ জন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইয়াবা তালিকায় কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি আছেন ৭৩ জন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জন প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করেন। এই ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফের বিতর্কিত সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির চার ভাই আবদুল শুক্কুর, আবদুল আমিন, মো. শফিক ও মো. ফয়সাল। আছেন বদির ফুফাতো ভাই কামরুল ইসলাম রাসেল, ভাগনে সাহেদুর রহমান নিপুসহ ১৬ জন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সব তালিকায় ‘পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে আবদুর রহমান বদি ও তাঁর পাঁচ ভাই, এক বোনসহ ২৬ জন নিকটাত্মীয়ের নাম আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বদি আত্মসমর্পণ করেননি।

    ২০১৮ সালের ৪ মে থেকে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৮২ জন।

    টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা অনেক কমে এসেছে। কিন্তু নৌপথে ইয়াবা চোরাচালান থামানো যাচ্ছে না। এখন দ্বিতীয় দফায় অর্ধশতাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ শেষ হলে মাদক ব্যবসা আরও কমে আসবে।

    পুলিশ জানায়, প্রথম দফায় আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে ১০১ জনের বিরুদ্ধে ১১ মাস পর গত সোমবার কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

    প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবাকারবারি আত্মসমর্পণ করে।

    এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির আপন চার ভাইসহ ঘনিষ্ঠ আট আত্মীয় ছিল। অনুষ্ঠান শেষে ওই দিনই দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই টেকনাফের বাসিন্দা।

    তারা হলো- টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সামশু মেম্বার, সাহেদ রহমান নিপু, সাহেদ কামাল, নুরুল আমিন, আলী আহমদ, মৌলভী বশির, হোসেন আহমদ, শওকত আলম, রাসেল, ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুন্ডার ডেইলয়ের মনজুর, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, আবদুল হামিদ, শামীম, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, আলমগীর ফয়সাল, ডেইল পাড়ার মো. সাকের মিয়া, নয়াপাড়ার মো. তৈয়ব, টেকনাফ পৌর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, দিদার মিয়া, আবদুল আমিন, নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সফিক, ফয়সাল রহমান

  • ১০১ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে চার্জশিট

    ১০১ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে চার্জশিট

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে টেকনাফে আত্মসমর্পণ করা ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলায় ১০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

    আজ সোমবার (২০ জানুয়ারী) দুপুরে কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ এর আদালতে পুলিশ এ চার্জশিট জমা দেয় বলে জানান কক্সবাজার আদালত পুলিশের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। কারাগারে অসুস্থ হয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ায় তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ হয়েছে।

    ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গত বছর ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে। তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা ১০১ জনের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। কারা হাজতে থাকাকালীন সময়ে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডারডেইল এলাকার ফজল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রাসেলের মৃত্যু হওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

    ওসি জানান, ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬/১ এর (১০) ধারায় এবং অস্ত্র আইনে পরস্পর যোগসাজশ করে নিজ নিজ দায়িত্বে অবৈধভাবে ইয়াবা ও অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

    যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন-টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু মেম্বার, শাহপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম মেম্বার, সামশু মেম্বার, সাহেদ রহমান নিপু, সাহেদ কামাল, নুরুল আমিন, আলী আহমদ, মৌলভী বশির, হোসেন আহমদ, শওকত আলম, রাসেল, ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুন্ডার ডেইলয়ের মনজুর, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, আবদুল হামিদ, শামীম, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদ, আলমগীর ফয়সাল, ডেইল পাড়ার মো. সাকের মিয়া, নয়াপাড়ার মো. তৈয়ব, টেকনাফ পৌর এলাকা ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আবদুল আমিন, দিদার মিয়া, আবদুল আমিন, নুরুল আমিন, শফিকুল ইসলাম সফিক, ফয়সাল রহমান, আবদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর ওরফে নুরশাদ, দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার ইমাম হোসেন, বড় হাবিব পাড়ার ছিদ্দিক, পুরনো পল্লানপাড়ার শাহ আলম, অলিয়াবাদের মারুফ বিন খলিল বাবু, মৌলভী পাড়ার একরাম হোসেন, মধ্যম ডেইল পাড়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মংমং ছেং ওরফে মমচি ও দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার জুবাইর হোসেন, মধ্যম জালিয়া পাড়ার মোজাম্মেল হক, ডেইল পাড়ার আবদুল আমিন, নাজির পাড়ার এনামুল হক মেম্বার, ভুট্টোর ভাগিনা আফসার, আবদুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, মো. রফিক, মো. হেলাল, জামাল হোসেন, মৌলভী পাড়ার মো. আলী, নাইটং পাড়ার মো. ইউনুস, উত্তর লম্বরীর আবদুল করিম ওরফে করিম মাঝি, সদর কচুবনিয়ার বদিউর রহমান, রাজার ছড়ার আবদুল কুদ্দুস, জাহালিয়া পাড়ার মো. সিরাজ, নতুন পল্লানপাড়ার মো. সেলিম, নাইট্যং পাড়ার মো. রহিম উল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মোহাম্মদ আলম, তুলাতলীর নুরুল বশর, হাতিয়ার ঘোনার দিল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হাছন, রাজার ছড়ার হোসেন আলী, উত্তর জালিয়াপাড়ার নুরুল বশর মিজি, আবদুল গনি, জালিয়া পাড়ার মো. হাশেম, পুরান পল্লান পাড়ার ইসমাইল, নাইট্যংপাড়ার আইয়ুব, নুর হাবিব, মাঠপাড়ার কামাল, শিলবনিয়াপাড়ার আয়ুব, জালিয়াপাড়ার আলম, নুরুল আলম, বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজ পুরার নুরুল আলম, শামলাপুর জুমপাড়ার শফি উল্লাহ, ছৈয়দ আলম, উত্তর শীলখালীর মো. আবু ছৈয়দ, হ্নীলা ইউনিয়নের হ্নীলা পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা মেম্বার, আলী খালীর জামাল মেম্বার, শাহ আজম, পশ্চিম সিকদারপাড়ার ছৈয়দ আহমদ, রশিদ আহমদ, পশ্চিম লেদার নুরুল কবীর, পূর্ব লেদার জাহাঙ্গীর আলম, জাদিমোরার মোহাম্মদ হাসান আবদুল্লাহ, লেদার ফরিদ আলম, মো. হোছন, জহুর আলম, আবু তাহের, বোরহান, হামিদ, রবিউল আলম, আলীখালীর হারুন, হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ার মাহাবুব, বাজারপাড়ার মো. শাহ, পূর্ব পানখালীর নজরুল ইসলাম, পশ্চিম পানখালীর নুরুল আবছার, ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী, আলী নেওয়াজ, আবু তৈয়ব ও রমজান ও কক্সবাজারের শাহজাহান আনসারী।

    উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির আপন চার ভাইসহ ঘনিষ্ঠ আট আত্মীয় ছিল। অনুষ্ঠান শেষে ওই দিনই দুটি মামলায় আটক দেখিয়ে আত্মসমর্পণকারীদের কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই টেকনাফের বাসিন্দা।

  • মহেশখালীতে ৯৬ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ : প্রতিজন পাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান

    মহেশখালীতে ৯৬ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ : প্রতিজন পাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১২ জলদস্যু বাহিনীর ৯৬ সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র ও গুলি জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেনমহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে কক্সবাজার জেলা পুলিশ এ আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

    কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফুল আবসার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় আত্মসমর্পণকারী ৯৬ জলদস্যুকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়।

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাদের এ আগ্রহের প্রতি সাড়া দিয়ে সরকার জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দিতেই আজকের এ অনুষ্ঠনের আয়োজন করেছে।

    জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আত্মসমর্পণকারীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। তবে সন্ত্রাস ও দস্যুতার পথ পরিহার করে স্বভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের তরফ থেকে গতবারের মতো তাদেরকে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তাসহ সার্বিক সহায়তা করা হবে।

    মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, এ আত্মসমর্পণের পর মহেশখালী সম্পূর্ণ সন্ত্রাসমুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

  • কাল মহেশখালীতে আত্মসমর্পণ করবে শতাধিক জলদস্যু

    কাল মহেশখালীতে আত্মসমর্পণ করবে শতাধিক জলদস্যু

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপে আগামীকাল শনিবার আরো শতাধিক জলদস্যু আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    দ্বিতীয়বারের মতো এই উদ্যোগে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার বেশ কিছু অস্ত্র কারিগরও আত্মসমর্পণ করতে পারে।

    আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন।

    কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন জানান, শনিবারের অনুষ্ঠানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে দস্যুতার জীবন থেকে আলোর পথে ফেরার সম্মতি জানিয়েছে এসব জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তাদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রণোদনাসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

    জানা গেছে, ইতিমধ্যে মহেশখালী দ্বীপের দুর্ধর্ষ সাতটি দস্যু বাহিনীর প্রধানসহ তাদের সহযোগীরা পুলিশের সেফ হোমে চলে এসেছে। এসব দস্যুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কারণে যুগ যুগ ধরে মহেশখালী-কুতুবদিয়াসহ পুরো উপকূলীয় এলাকায় অশান্তি লেগে থাকত। গভীর সাগরে মাছ ধরা নৌকাগুলোর অসংখ্য জেলে এদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর র্যাবের মাধ্যমে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৪৩ জলদস্যু আত্মসমর্পণের পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় অনেক শীর্ষ জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর। এ কারণে দ্বীপের পাহাড় ও সাগর উপকূলে অভিযান জোরদার করে পুলিশ। অভিযানের মুখে আবারও আত্মসমর্পণে আগ্রহ দেখায় মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার এসব জলদস্যু ও অস্ত্র কারিগর।

  • মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কূখ্যাত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ শনিবার

    মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কূখ্যাত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ শনিবার

    রাজীব সেন প্রিন্স : কক্সবাজার জেলার সবচেয়ে বেশী অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত মহেশখালী উপজেলার কালামারছরা ইউনিয়ন। খুন, রাহাজানি, দস্যুতা, অপহরণসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা এখানে ঘটছে না। তবে এসব জগণ্য অপরাধের সাথে জড়িত অনেকেই এখন ফিরতে চাই স্বাভাবিক জীবনে।

    সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সম্ভব হলে এরা জগন্য অপরাধকর্ম থেকে নিজেদের শুধরে সাধারণ মানুষের মতোই জীবিকা নির্বাহ করতে আগ্রহী। আর তাদের এ আগ্রহকে পুঁজি করে ভয়ংকর এসব অপরাধীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, এদের একাংশকে সরকারি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি করিয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি ও কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়ার বাসিন্দা এম.এম আকরাম হোসাইন।

    তার মধ্যস্থতায় এর আগেও ২ দফায় বহু অপরাধী অস্ত্রসস্ত্র সরকারি কোষাগারে জমা করে আত্মসমর্পণ করেছেন। আগামী শনিবার ২৩ নভেম্বর ফের শতাধিক অস্ত্রের কারিগর ও জলদস্যু তাদের অপরাধকর্মে ব্যবহৃত প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, ধারালো ভয়ংকর অস্ত্র, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামসহ আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন আকরামের মধ্যস্থতায়।

    ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণের স্থানটিও নির্ধারণ করেছে প্রশাসন। মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান। স্থানটি পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকতারা।

    গত সোমবার মাঠ পরিদর্শনকালে এসপি এ. বি.এম মাসুদ হোসেন আগত অতিথিদের নিরাপত্তা, অভ্যর্থনা, প্রটোকল, জলদস্যুদের জমায়েত, তাদের অস্ত্র জমা করা, যাতায়াত সুবিধা, প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ইত্যাদি সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে রেকি ও ম্যাপ তৈরি করে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক ব্যবস্থাসমেত পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ২০ নভেম্বর বুধবার থেকে প্যান্ডেল ও মঞ্চ তৈরি সহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে।

    আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম.এম আকরাম হোসাইন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, সমাজের নানা অপরাধকর্ম থেকে অপরাধীদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তিনি এ ঝুকিপূর্ণ কাজে তিনি হাত দিয়েছেন। সরকারের প্রশাসনের আশ্বাসে তা অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে।

    মহেশখালীর চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কূখ্যাত বেশ ক’টি জলদস্যু বাহিনীর সর্দার ও বাহিনীর সদস্যরা স্বদলবলে আত্মসমর্পণ করার সম্মতি জ্ঞাপন করেন। প্রাথমিক অবস্থায় আগ্রহী শতাধিক হলেও অনেকে এখনো আত্মসমর্পণের জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানিয়েছেন এ সংবাদকর্মী।

    সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) বিশেষ অতিথি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, স্থানীয় অন্যান্য সংসদ সদস্যগণ, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতারা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

    আনন্দ টিভি চট্টগ্রাম ব্যুরোর ক্যামেরা পারসন রিটন মজুমদার ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান সফল করতে ও জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগরদের তাদের আস্তানা থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আনতে আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যস্থতাকারী আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম.এম আকরাম হোসাইন বিরাট ঝুঁকি নিয়ে এখনও দিনরাত মহেশখালী উপকূল ও সাগরে অবস্থান করছেন।

    প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তাদেরকে প্রনোদনা দেওয়া হবে। আত্মসমর্পণকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হবে। তবে এ মামলা থেকে আত্মসমর্পণকারীরা সহজে মুক্তি পেতে মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদেরকে সহযোগিতা করবে।

    উল্লেখ্য, মহেশখালীতে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের ঘটনাটি হবে কক্সবাজারের জন্য ২য় পদক্ষেপ। এর আগে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালীতে অনুরূপভাবে ৪৩ জন সশস্ত্র জলদস্যু আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিলো। সেখানে ৪৩ জনের মধ্যে বর্তমান আনন্দ টিভি’র বিশেষ প্রতিনিধি এম.এম আকরাম হোসাইনের একক মধ্যস্থতায় ৩৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছিলো।

    এছাড়া চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী ১০২ জন ইয়াবাকারবারী টেকনাফে চ্যানেল ২৪ টিভি’র তৎকালীন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এম.এম আকরাম হোসাইনের একক মধ্যস্থতায় দেশে প্রথম মাদক কারবারি আত্মসমর্পণ করেছিলো। সেদিনের মাদক কারবারী আত্মসমর্পণ করা ছিলো এ দেশের জন্য একটা রেকর্ড।