২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাড়তি দামে যন্ত্রপাতি কিনে নয় কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুদকের দায়ের করা মামলাটিতে হাজিরা দিতে গেলে শুনানী শেষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ। তিনি জানান, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার নামে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর ডা. সরফরাজসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার বাদি ছিলেন দুদকের চট্টগ্রাম এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক। বুধবার মামলাটির শুনানীর দিনে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করলে আদালত সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া এ মামলায় ডা. সরফরাজ হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষে গত সপ্তাহে তিনি চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। বুধবার ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ মামলার অপর আসামীরা হলেন, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মঈন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহেদ উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুনশি ফারুক হোসেন ও এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমদ।