Tag: আত্মহত্যা

  • সীতাকুণ্ডে মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ডে মায়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে মায়ের সাথে অভিমান করে প্রিয়া রানী মজুমদার (১৬) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

    সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে সুজনের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। প্রিয়া রানী লিটন মজুমদারের মেয়ে। সে ভাটিয়ারী টিএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

    জানা যায়, বিকালে মা কল্যাণী মজুমদার মেয়েকে বকাঝকা করে। এরপর তার মা ঘরের বাহিরে গেলে কিছুক্ষণ পর ঘরে ফিরে দেখতে পান তার মেয়ে প্রিয়া রানী গলায় উড়না পেঁচিয়ে সিলিং এর সাথে ফাঁস দেয়।

    ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় একটি কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে শুনে ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম মেয়েটিকে তার মা বকা দিয়েছে। তাই অভিমানে গলায় ফাঁস দেয়।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম জানান, মায়ের সাথে অভিমান করে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়েছে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

  • চট্টগ্রামে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

    চট্টগ্রামে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

    চট্টগ্রামের পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অজ্ঞাতনামা এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় বটতলী রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘ওই যুবক চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে হাঁটছিল। কর্ণফুলী ট্রেন ছাড়তেই ৩ নম্বর রেললাইনে গিয়ে ঝাঁপ দেয়। এতে দ্বি-খণ্ডত হয় যুবকের শরীর। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।’

    চট্টগ্রাম রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর পরিদর্শক (আরএনবি) আমান উল্লাহ আমান বলেন, সকালে ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ নিতে এখনো কেউ আসেনি।

  • মিরসরাইয়ে দুলাভাইয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা, অপমানে নারীর আত্মহত্যা

    মিরসরাইয়ে দুলাভাইয়ের শ্লীলতাহানির চেষ্টা, অপমানে নারীর আত্মহত্যা

    মিরসরাই প্রতিনিধি:::::মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। ভাগ্যের জোরে শিশুটি বেঁচে গেলেও ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় নারীর দেহ। নিহতের নাম নাজমা বেগম (৩৫)। সে হিংগুলি ইউনিয়নের দক্ষিণ আজমনগর এলাকার মো: নুরুল হকের মেয়ে।

    বুধবার ( ৮ মার্চ) দুপুর দেড়টায় বারৈয়ারহাট কমফোট হাসপাতালের পেছনে রেললাইনের উপর আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে ।

    ঘটনার বিবরণে নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার ৫ মেয়ে, বাড়িতে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মেয়েরা বাপের বাড়ি এসেছে । সোমবার অনুষ্ঠান শেষে সবাই শুয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে নিহত ৪র্থ মেয়ে নাজমা বেগমের কক্ষে প্রবেশ করে বড় বোন রুজিনার স্বামী অটোচালক মানিক। বিষয়টি নাজমা বেগম তার স্বামী কাঠ মিস্ত্রি অপু মিয়াকে জানায়। মানিক প্রথম দিন গা ঢাকা দেয়। পরের দিন বিষয়টি নিয়ে দুই ভায়রার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে । ভায়েরা মানিকের মারধরে ক্ষিপ্ত হয়ে অপু মিয়া স্ত্রীকে তালাক দেয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে দুই বোনের মধ্যেও ঝগড়া হয়। আজ মেয়েটা আত্মহত্যা করে চলে গেল । দেড় বছরের নাতিটা নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো!!

    নিহত নাজমা বেগমের স্বামী অপু মিয়া জানান, অনুষ্ঠান শেষে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি চলে যেতে চাই। স্ত্রী আরও দুই দিন বাপের বাড়ি থাকতে চাইলে তাকে রেখে নিজ বাড়িতে চলে যায়। পরদিন স্ত্রী ফোন করে বলে রাতে বড় দুলাভাই তার রুমে ঢুকে ঘুমের মধ্যে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনা শুনে স্ত্রীকে নিতে গেলে পরের দিন দুলাভাই ফেরত আসে। এ সময় নিজের স্ত্রী থাকতে অন্যের স্ত্রীর সাথে খারাপ কাজ করতে চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তার সাথে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন রাগ করে শশুর বাড়ি থেকে কাজে চলে যাই। দুপুরে শুনতে পাই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমি থানায় মামলা করবো, আমি এটার উচিত বিচার চাই। আমার দেড় বছরের শিশু কে এখন কে লালনপালন করবে। কাকে মা বলে ডাকবে !!

    অভিযুক্ত দুলাভাই মানিক শ্লীলতাহানির ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, নিহত নাজমা বেগম অসুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। এতটুকু বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

    রেলওয়ে পুলিশের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই অংশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই খোরশেদ আলম জানান, আহত শিশু কে স্থানীয় আশরাফুল আলম নামে এক ব্যক্তি উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিজের তত্ত্বাবধানে নিয়ে ছিলেন । পরবর্তীতে তার সহায়তায় শিশুটিকে তার নানার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । নিহতের মরদেহ রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে ময়নাতদন্তের কাজ চলছে। স্থানীয়দের কথায় আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে পেরেছি । মহিলার স্বামী যদি মামলা দায়ের করেন তাহলে উপযুক্ত বিচার পেতে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

  • বার আউলিয়ায় স্ত্রী’র সাথে মনোমালিন্যে স্বামীর আত্মহত্যা

    বার আউলিয়ায় স্ত্রী’র সাথে মনোমালিন্যে স্বামীর আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া এলাকার কাজলীপাড় গ্রাম থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া মো. মিজান (৩২) নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার সময় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে কাজলী পাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত মো. মিজান বরগুনা জেলার তালতলী থানার গাবতলী এলাকার হোসেন মৃধার ছেলে। তিনি জাহাজ ভাঙা কারখানায় কাজের সুবাদে বার আউলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় সস্ত্রীক বসবাস করতেন।

    জানা যায়, রাতে মিজানের সাথে স্ত্রীর মোবাইল ডাটা নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এর রেশ ধরে স্ত্রী অভিমান করে পাশের বাসায় চলে যায়। ঘন্টা খানেক পর বাসায় ফিরে এসে দেখেন স্বামী তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যর জেরে স্বামী গলায় ফাঁস দেয়। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করি।

  • সীতাকুণ্ডে বিয়ের ৬মাসের মাথায় স্ত্রীর সাথে অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ডে বিয়ের ৬মাসের মাথায় স্ত্রীর সাথে অভিমানে স্বামীর আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডের মাদামবিবিরহাট এলাকায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মোহাম্মদ তানজিরুল ইসলাম তামিম (২৬) নামে এক যুবক।

    বৃহস্পতিবার রাত ১টার সময় উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাদামবিবিরহাটস্থ নেভি রোডের আমতলার চৌধুরী কলোনিতে এঘটনা ঘটে।

    শুক্রবার সকালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তামিম সন্দ্বীপ থানার মাইটভাঙা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পেলিশ্যার বাজারস্থ আব্দুল বাতেনের বাড়ির মো. দেলোয়ার হোসেনের পুত্র।

    জানা গেছে, তামিম পেশায় একজন গাড়ি চালকের সহকারী। গত ৬ মাস পুর্বে সে গাইবান্ধার এক মহিলার সাথে ভালোবেসে বিয়ে করে মাদামবিবিরহাট এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ভাত খেতে বসে স্ত্রীর সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মনোমালিন্য হলে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের বিমের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে এসআই সামিউলের নেতৃত্ব পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, মাদামবিবিরহাট এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে

  • সীতাকুণ্ডে কবরস্থানের গাছ থেকে অজ্ঞাত যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    সীতাকুণ্ডে কবরস্থানের গাছ থেকে অজ্ঞাত যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকার মোহাম্মাদিয়া জামে মসজিদের কবর স্থান থেকে সেগুন গাছের সাথে ফাঁস দেওয়া এক অজ্ঞাত যুবক (২৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারী) সকাল ১০ টার সময় সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে মর্গে পাঠান।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ভোরে হাম্মাদিয়া জামে মসজিদের মুসল্লীরা ফজরের নামাজ আদায় করে বের হওয়ার পর কবরস্থানের মধ্যে একটি গাছে এক যুবকের মৃতদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

    খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই মোঃ ফারুক ঘটনাস্থে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। তিনি বলেন, কবরস্থানে একটি গাছে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীর পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • লোহাগাড়ায় গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে অন্ত:সত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!

    লোহাগাড়ায় গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে অন্ত:সত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!

    লোহাগাড়া প্রতিনিধি : লোহাগাড়ায় গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে রিনা আক্তার (২৮) নামে এক অন্ত:সত্ত্বা নারী আত্মহত্যার সংবাদ পাওয়া গেছে।

    বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের রশিদার পাড়ায় একটি কলোনীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

    নিহত রিনা আকতার পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার বন গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।

    নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার স্ত্রী দুই মাসের অন্ত:সত্বা। একটি ঔষুধ কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে বিগত ৬ মাস ধরে লোহাগাড়া উপজেলা সদরের রশিদার পাড়ার এ ভাড়া বাসায় রয়েছি। প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় আমার স্ত্রী রিনাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে দেখি সে রান্না ঘরে টিনের চালের গাছে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। সাথে সাথে আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাই।

    এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, নিহত গৃহবধুর স্বামী আত্মহত্যার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানার এসআই রুহুল আমিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।

  • সীতাকুণ্ডে অভাবের তাড়নায় এক সাপ্তাহে দুইজনের আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ডে অভাবের তাড়নায় এক সাপ্তাহে দুইজনের আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার এক সাপ্তাহের ব্যবধানে আবারো সংসারের অভাব অনটনে দিশেহারা হয়ে বিষপানে আত্নহত্যা করেছেন লোকনাথ দেবনাথ (৩৫) নামে এক যুবক।

    সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি ঐ এলাকার মৃত নগেন্দ্র দেবনাথের ছেলে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা লোকনাথ বাঁশ ও বেতের কাজ করে জীবন ধারণ করতো। তিনি বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নেন। ব্যবসা তেমন ভালো না হওয়ায় ঋণের টাকা সঠিক সময়ে শোধ করতে পারছিলেন না। অপরদিকে এনজিওগুলো টাকার জন্যে বারবার চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। সোমবার বিকালে বাজার থেকে ঘরে ফিরে সন্ধ্যায় সবার অজান্তে বিষপান করে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর ইউপি সদস্য ডা. সজল শীল।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে একই ইউনিয়নে কিস্তির টাকা থেকে মুক্তি পেতে বিষপানে আত্মহত্যা করে নাহিদা আক্তার(৩৮) নামে এক গৃহবধূ। এনিয়ে এক সাপ্তাহের ব্যবধানে অভাবের তারনায় দুইজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • সৎ বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক; হাটহাজারীতে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    সৎ বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক; হাটহাজারীতে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    হাটহাজারী প্রতিনিধিঃ হাটহাজারীতে মাসুদ হোসেন(১৭)নামের এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে চিকনদন্ডী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পূর্ব ছরারকুল ওয়াহিদ আলী চৌধুরী বাড়ীর টিনসেট ভাড়া ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত মাসুদ রাউজান উপজেলার উরকিরচর গ্রামের জাকের হোসেন প্রকাশ আবদুস শুক্কুরের পুত্র।

    থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দুপুরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ উপ-পরিদর্শক প্রদীপ চন্দ্র দে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুরতহাল তৈরী করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে ময়না তদন্তের জন্য।তবে কিশোর আহত্মহত্যা নাকি হত্যা রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। তার সৎ বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক বলে জানা যায়। দুজনের মধ্যে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    নিহত মাসুদের মা রুবি জানান, আমার ছেলে গত দুইমাস আগে তার বাবার কাছে দ্বিতীয় সংসারে আসছে। গত কয়েকদিন আগেও নাকি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। আমার স্বামীর ২য় সংসারে সৎ মায়ের আগের ঘরে মেয়ে রুমির(১৯) সাথে আমার ছেলের নাকি সম্পর্ক ছিল। তার সাথে কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছে। হত্যা করেছে নাকি আত্মহত্যা করেছে সেটা বুঝতেছিনা। তবে আমার ছেলেকে ওরা মানসিক নির্যাতন করত।

    নিহতের বাবা জাকিরের কাছে জানতে চাইলে কিছু বলতে পারবেনা বলে এড়িয়ে যায়।

    হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা করেছে জানা যাবে। থানায় অপমৃত্যুর মামালা রুজু হয়েছে।

  • চিরকুটে বাবাকে ‘রেপিস্ট’ লিখে ১০তলা থেকে লাফিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা

    চিরকুটে বাবাকে ‘রেপিস্ট’ লিখে ১০তলা থেকে লাফিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা

    রাজধানীর দক্ষিণখানে ছাদ থেকে লাফিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে চিরকুটে ওই ছাত্রী তার বাবাকে ‘পশু’ ও ‘রেপিস্ট’ বলে উল্লেখ করেছেন।

    শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকার একটি ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

    স্থানীয়রা জানান, ওই ছাত্রী আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকাল ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লেখে গেছেন ওই ছাত্রী। চিরকুটটি উদ্ধার করেছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ। চিরকুটে লেখা রয়েছে, আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়। কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।

    ওই তরুণীর মা গণমাধ্যমকে বলেন, ওর বাবা দুটি বিয়ে করেছে। এ নিয়ে আমাদের পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। একপর্যায়ে তার বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অবশেষে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

    এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজিজুল হক মিঞা গণমাধ্যমকে বলেন, ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ওই ছাত্রীর হাতে লেখা একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

  • ভূজপুরে চুরির অপবাদে যুবলীগকর্মীকে মারধর- মুক্তিপণ আদায়

    ভূজপুরে চুরির অপবাদে যুবলীগকর্মীকে মারধর- মুক্তিপণ আদায়

    ভূজপুরে মোবাইল চুরির অপবাদে যুবলীগকর্মী রফিকুল ইসলাম (৪৫)কে মারধর শেষে মুক্তিপণ আদায়ের অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।

    সোমবার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রোববার বিকেলে নিজ বাড়ীতে সে আত্নহত্যার উদ্দেশ্যে বিষপান করে।

    তিনি দাতঁমারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড যুবলীগকর্মী বলে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুবলীগ নেতা কমলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অপবাদে তাকে মারধর ও মুক্তিপন আদায়ের অভিযোগ করে নিহতের মামা শাশুর শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম।

    জানা গেছে, ব্যবসায়ীক বিরোধের জের ধরে হেঁয়াকো বেক বাজার এলাকার এক নকশা মিস্ত্রী রফিককে মোবাইল চুরির জন্য সন্দেহ করে।

    গতকাল রবিবার সকালে কয়েকজন মিলে রফিককে যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কমলের অফিসে নিয়ে চার ঘন্টা অবরুদ্ধ করে মারধর করে। রফিকের আত্মীয়রা নগদ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে উদ্ধার করে বলে জানা গেছে।

    সূত্র জানায়, এ ঘটনায় বিকালে রফিক নিজ বাড়ীতে বিষপান করে। স্থানীয়রা তাকে বালুটিলা বাজারের মানিক ডাক্তারের দোকানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে অবস্হা গুরুতর হওয়ায় তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় এবং ঘটনায় রফিকের পরিবারের পক্ষ থেকে ভূজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে।

    এ বিষয়ে ভুজপুর থানায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ফারুকী বলেন, হেয়াকোর যুবলীগকর্মী রফিককে মোবাইল চুরির অপবাদে মারধর ও মুক্তিপনের অভিযোগ দিযেছে তার পরিবার। আজ সকালে বিষকৃয়ায় চমেক হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে বলে জানিযেছে তার পরিবারের সদস্যরা। পোস্ট মটেম করে লাশ দাপনের প্রস্তুতি চলছে এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।

  • ওমানে রাউজান প্রবাসীর আত্মহত্যা

    ওমানে রাউজান প্রবাসীর আত্মহত্যা

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে উজ্জ্বল দাশ (৩৭) নামের চট্টগ্রামের রাউজানের এক প্রবাসী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

    রবিবার (৫ জুন) দেশটির আল সোহার নামক স্থানে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত প্রবাসী উজ্জ্বল দাশ উপজেলার ৮নং কদলপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দাশ পাড়া গ্রামের মাদল দাশের পুত্র।

    উজ্জ্বল দাশের স্ত্রী শিবু দাশ জানান, ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে স্বামীর সাথে মুঠোফোনে আলাপ হয়। কি কারণে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।

    স্থানীয়রা জানান, বিগত ১১ বছর ধরে ওমানে প্রবাস জীবনে ছিলেন উজ্জল দাশ। দেশে ছুটি কাটিয়ে ৫ মাস পূর্বে ওমানে পাড়ি জমান।

    উজ্জল দাশের স্ত্রী জানান, উজ্জ্বল বেশকিছু রোগে ভোগছিলেন। চিকিৎসা করতে সেই দেশে আসার জন্য বার বার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন সেই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিজন কর উজ্জ্বলকে ছুটি দেননি। ধারণা করা হচ্ছে ছুটি না দেওয়ার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন। বিজন করের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় বলে জানা গেছে।

    প্রবাসী উজ্জ্বল দাশের পিতা মাদল দাশ জানান, ছেলের উপার্জনে পুরো সংসার চলতো। তার দুটি সন্তান রয়েছে। এখন তাদের নিয়ে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কিছু নেই। নিহত প্রবাসী উজ্জ্বল দাশের ঘরে দুই সন্তান রয়েছে বড় ছেলে তন্ময় দাশ ও ছোট মেয়ে রাশি দাশ। বড় ছেলে বাবা উজ্জ্বলের মৃত্যু বিষয়টি বুঝতে পারলেও কিন্তু ছোট অবুঝ মেয়ে রাশি দাশ অহনা বুঝে উঠতে পারছেনা তার বাবা আর দুনিয়াতে নেই।

    জানা যায়, প্রবাসী উজ্জ্বল দীর্ঘ ১১ বছর ধরে ওমানে আছেন, পরিবারের সুখের আশায় কিছু করতে পারেনি। এখনো বাবার করা সেই বাঙা ঘরে সংসার করেছেন। প্রবাসে থেকে ৬টি বোনকে বিয়ে দিয়েছেন উজ্জ্বল। এখন একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারটি।