Tag: আত্মহত্যা

  • আত্মহত্যা করলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত, ঘরে মিলল ঝুলন্ত দেহ

    আত্মহত্যা করলেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত, ঘরে মিলল ঝুলন্ত দেহ

    মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করলেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। নিজের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন এই প্রতিভাবান অভিনেতা।

    বাড়িতে থাকা কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন তিনি।

    এমন অবাক করা মর্মান্তিক ঘটনায় শোকস্তব্ধ বলিউড শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেছে তরুণ অভিনেতাকে।

    অক্ষয় কুমার টুইটে লিখেছেন, “সত্যি বলতে এই খবর আমাকে হতবাক ও বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে … আমার মনে পড়ছে সুশান্ত সিং রাজপুতের ছিঁছোড়ে দেখেছিলাম এবং আমার বন্ধু তথা ওই সিনেমার প্রযোজক সাজিদকে বলেছিলাম যে আমার সিনেমাটা কতখানি ভালো লেগেছে এবং আমার ইচ্ছা ছিল এই সিনেমার এক অংশ হতে পারতাম যদি! এমন প্রতিভাবান অভিনেতা … ঈশ্বর তাঁর পরিবারকে শক্তি দান করুন,”।

    “কী অভাবনীয় ক্ষতি,” টুইট করেছেন অজয় দেবগন। রীতেশ দেশমুখ লিখেছেন “কথার বলতে পারছি না, হতবাক

    সুশান্ত টেলিভিশনে কাজের মধ্য দিয়েই নিজের কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পবিত্র রিশতা সিরিয়াল থেকেই পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। কাই পো চে সিনেমা দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন সুশান্ত এবং পরে এমএস ধোনি বায়োপিক এবং কেদারনাথের মতো সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। তাঁকে শেষ দেখা হয়েছিল ছিঁছোড়ে সিনেমায়।

    সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা স্যালিয়ান আত্মহত্যা করার পরই গত সপ্তাহে সুশান্ত একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছিলেন, “এ এক ভয়ানক সংবাদ”।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষ খেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

    স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষ খেয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে স্বামী। জানা যায়, গতকাল ২৬ মে মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় উপজেলার গাবতল আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার নিজ বাড়িতে বিষপান করেন।

    রাতেই লোহাগাড়া উপেজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু স্বজনরা ঝামেলা হবে ভেবে রোগীকে বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

    লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বিষপান করা এক রোগী রাতে চিকিৎসা নিতে এসেছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেকে প্রেরণ করা হয়েছে।

    আজ ২৭ মে বুধবার সকালে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার তথ্যটি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আইয়ুব। তিনি বলেন, শাহ্ আলম (৪২) নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার কলাউজান গাবতল আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার আলী আহমদের ছেলে। তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে বলে তিনি জানান।

    এদিকে বিষপান করে আত্মহত্যা করার কারণ অনুসন্ধানে বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি টিম।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সীতাকুণ্ডে আর্থিক সংকটে অভিমানে যুবকের আত্মহত্যা

    সীতাকুণ্ডে আর্থিক সংকটে অভিমানে যুবকের আত্মহত্যা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:আকদ করে নতুন বউকে নিজ ঘরে তুলে আনার আগেই সেচ্ছায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরাপরে চলে গেলেন শহিদুল ইসলাম (২৭)। অন্যদিকে বউ সেজে শশুড়বাড়ি যাওয়ার আগেই বিধাবা হলেন হবু বধূ।ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ডে।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই কায়েমুল ইসলামের নেতৃত্ব পুলিশ আজ বুধবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৩নং গুলিয়াখালী এলাকার নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে মডেল থানার (ইন্টেলিজেন) সুমন বনিক বলেন, গুলিয়াখালী এলাকায় নিজ ঘর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে এর বিস্তারিত।

    জানা যায়, শহিদুল ইসলাম গভীর রাতে কোন এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সে মুরাদপুর গুলিয়াখালি এলাকার রুহুল আমিনের পুত্র।

    এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন শফিক জানান, গত ৬ মাস আগে বিয়ে করে সে। কিন্তু এখনো বউকে ঘরে তুলে আনতে পারেনি। তার অন্য ভাই ওমানে থাকে। দেশে লকডাউনের ফলে বর্তমানে বেকার অবস্থায় দিন যাপন করছিল। কয়েকদিন আগে বিদেশে অবস্থান করা দুই ভাইয়ের কাছে ঈদ উপলক্ষে সে টাকা চাই, তার ভাইয়েরা বলেছিল তারাও সেদেশে লকডাউনের কারনে সমস্যায় আছে। ভাইদের কাছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষোভ, অভিমানে গত রাতের কোন একসময় সে গলায় ফাঁস দিয়ে
    আত্মহত্যা করে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • লাশের সারি দেখতে দেখতে ক্লান্ত, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা

    লাশের সারি দেখতে দেখতে ক্লান্ত, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ চিকিৎসকের আত্মহত্যা

    প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা। দেশটিতে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত (মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টা) দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ১০ হাজার ৫০৭ জন। এর মৃত্যু হয়েছে ৫৬ হাজার ৮০৩ জনের।

    পাশাপাশি আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও ১৪ হাজার ১৮৬ জন।

    লাশের সারি দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে দেশটিতে করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা এক শীর্ষ চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম ডা. লরনা ব্রিন।

    তিনি করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেও কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর সুস্থ হয়ে আবার নেমে পড়েছিলেন করোনা মোকাবিলায়।

    বিবিসি জানায়, নিউইয়র্ক সিটির বাসিন্দা ডা. লরনা ম্যানহাটানের নিউইয়র্ক-প্রেসবাইটেরিয়ান অ্যালেন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ডিরেক্টর ছিলেন।

    ৪৯ বছর বয়সী এই চিকিৎসক রবিবার নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। সে সময় তিনি ভার্জিনিয়ায় নিজের পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন।

    ডা. লরনার বাবা ফিলিপ ব্রিন নিজেও একজন চিকিৎসক। তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘সে তার কাজটি করে যাচ্ছিল এবং এটিই তাকে হত্যা করেছে। ’

    তিনি জানান, তার মেয়ের কোনও ধরনের মানসিক অসুস্থতার ইতিহাস ছিল না।

    ফিলিপ ব্রিন জানান, হাসপাতালে কাজ করতে করতে তার মেয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। পরে সুস্থ হয়ে দেড় সপ্তাহ পর আবার কাজে ফিরে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে আবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

    সর্বশেষ যখন কথা বলছিলেন মেয়েকে ‘বিচ্ছিন্ন’ মনে হয়েছিল ফিলিপের। সে সময় লরনা তাকে বলছিলেন, হাসপাতালে কীভাবে মানুষ অ্যাম্বুলেন্সে তোলার আগেই করোনায় মারা যাচ্ছিল। ম্যানহাটনের ২০০ শয্যার হাসপাতালটিতে বহু সংখ্যক মানুষ মারা গেছে করোনায়।

    ফিলিপ ব্রিন বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে একেবারে খাদের সামনে গিয়ে লড়ছিল সে। আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সে একজন বীর হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন এই লড়াকু চিকিৎসকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানায় সেই সঙ্গে করোনা মোকাবেলায় একজন ‘মহান বীর’ বলে আখ্যা দেয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আনোয়ারায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

    আনোয়ারায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় গলায় ওড়না পেচিঁয়ে শিরিন আক্তার সুমি (২৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) উপজেলার ৬নং বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় নিজ কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করে শিরিন। সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় পরে দরজা ভেঙ্গে তার সন্তানেরা মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাদের চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

    আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ মরদেহ উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার হাজীগাঁও গ্রামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশটি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে বলে জানান ওসি।

    নিহত শিরিন আক্তার সুমি কুমিল্লার মুরাদ নগরের টিটু মিঞার কন্যা এবং আনোয়ারা উপজেলার ৬নং বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামের নুরুজ্জামানের পুত্র মো. রাশেদ (৩০)’র স্ত্রী। তাদের সংসারে দুজন সন্তান রয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।

    ২৪ ঘণ্টা/ জাবেদুল/আর এস পি

  • পরিবারকে বাঁচাতে করোনা আক্রান্ত নার্সের আত্মহত্যা

    পরিবারকে বাঁচাতে করোনা আক্রান্ত নার্সের আত্মহত্যা

    করোনায় সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেই সংক্রমিত হন নার্স ডেনিয়েলা ট্রেজি (৩৪)।ফলে সংক্রমণ থেকে নিজের পরিবার থেকে রক্ষা করতে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। সম্প্রতি ইতালিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

    বুধবার (২৫ মার্চ) ইতালির নার্সিং ফেডারেশনের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এ খবর প্রকাশ করেছে।

    খবরে বলা হয়েছে, ইতালি লোম্বার্দি শহর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত। লোম্বার্দি শহরের একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ওই নার্স। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু থেকে তিনি সেখানো রোগীদের সেবা দিচ্ছিলেন।

    ইতালির নার্সদের সংগঠন দ্য ন্যাশনাল ফেডারেশন অব নার্স ডেনিয়েলার আত্মহত্যার তথ্য নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে ডেনিয়েলার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

  • নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছে মিস হ্যামার স্ট্রেংথ’ বিজয়ী মডেল মুনা

    নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছে মিস হ্যামার স্ট্রেংথ’ বিজয়ী মডেল মুনা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক নিউজ। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছে চট্টগ্রামের উঠতি মডেল মানজুমা পারভীন মুনা। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাতে নিজ বাসভবনে ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করে মুনা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

    গতকাল ২০ মার্চ শুক্রবার রাতে নগরীর কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন নিহত মডেল মুনার পিতা অ্যডভোকেট সালেহ আহম্মদ।

    কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক এস আই সঞ্জয় পাল উঠতি মডেল মুনার লাশ নিজ বাসা থেকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পিতা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। আকস্মিক এই আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।মডেল মুনার আত্মহত্যা

    নিহত মানজুমা পারভীন মুনা গত ২০১৮ সালে নগরীর পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউ’র মেজবান হলে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস হ্যামার স্ট্রেংথ খেতাব অর্জন করেছিল। প্রতিযোগিতায় বিচারক ও চলচিত্র অভিনেতা ফেরদৌস আহাম্মেদের সাথেও ক্যাটওয়ার্ক করেন এ মডেল।

    ২৪ ঘন্টা/আরএসপি

  • পারিবারিক কলহের জের! রাউজানে তিন সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

    পারিবারিক কলহের জের! রাউজানে তিন সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাউজান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে রাউজানে রুবি আকতার (২৬) নামের তিন সন্তানেন জননী শয়নকক্ষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

    মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যম কদলপুর এলাকার মালেক চৌকিদার বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, দলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বদিউল আলমের ছেলে আলমগীরের সাথে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা শান্তির হাট এলাকার তৌহিদুল হকের মেয়ে রুবি আকতারের সাথে প্রেমঘটিত সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে উভয় পরিবারের সন্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের কোল আলোকিত করে এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।

    গৃহবধু রুবি আকতারের মা সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ের জামাতা আলমগীর প্রবাসে থাকেন। সে অন্য এক নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি আলমগীর দেশে এসে ১০ দিন অবস্থান করে যে মেয়েটির সাথে সম্পর্ক ছিল ঢাকায় গিয়ে তার সাথে দেখা করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি আবার প্রবাস জীবনে ছুটে যান।

    পরে মেয়েটির সাথে সম্পর্কের কথা আলমগীর স্ত্রীর কাছে স্বীকার করেছিল। বিষয়টি নিয়ে রুবি আকতারের সাথে তার স্বামীর কলহ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে শ্বশুরির সাথেও বাকবিতন্ডা হয়েছিল আলমগীরের।

    নিহতের শ্বাশুরী নিলু আকতার বলেন, দাম্পত্য জীবনে নিঃসন্তান থাকায় আলমগীরকে তিনি দত্তক নেন। পরে আমাদের দুরসম্পর্কের এক আত্মীয় তৌহিদুল হকের মেয়ে রুবি আকতারের সাথে আলমগীরের সম্পর্ক হয়। বিষয়টি আমরা মেনে নিয়ে পারিবারিকভাবে ঘটা করে বিয়ের আয়োজনও সম্পন্ন করা হয়। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কি বিষয়ে মনোমালিন্য হয়েছে আমরা জানিনা। রাগ করে ৭ মাস বয়সী কন্যাকে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে দেখি লাশ ঝুলছে।

    বিষয়টি সবাইকে জানালে, স্থানীয় লোজজন ও ইউপি মেম্বার ছুটে এসে পুলিশের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করা হয়।

    ঘটনাস্থলে থাকা রাউজান থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) টুটুন মজুমদার ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ২৪ ঘন্টা/নেজাম রানা/আর এস পি

  • ‘আমার জন্য যে চলে গেল, আমিও গেলাম’:প্রেমিকার পর প্রেমিকের আত্মহত্যা

    ‘আমার জন্য যে চলে গেল, আমিও গেলাম’:প্রেমিকার পর প্রেমিকের আত্মহত্যা

    জয়পুরহাট শহরে চিরকুট লিখে প্রেমিকার আত্মহত্যার পর প্রেমিকও আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। মৃত্যুর আগে প্রেমিক তার বাম হাতে কলম দিয়ে লিখে গেছেন– ‘আমার জন্য যে চলে গেল, আমিও গেলাম।’

    বুধবার সকাল ৮টায় জয়পুরহাট শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার চেতনা মাদকাসক্ত চিকিৎসাকেন্দ্রের স্টাফ কক্ষ থেকে প্রেমিক ইনজামামুল হক ইমরানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাদকাসক্ত চিকিৎসাকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে বিছানার চাদর গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ইমরান।

    এর আগে মঙ্গলবার রাতে আত্মহত্যা করে তাজনুবা নাভিলা চৌধুরী নীড়, যার সঙ্গে ইমরানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয়রা জানান।

    আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া তাজনুবা নাভিলা চৌধুরী নীড় তুলা উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত আবদুস সামাদের মেয়ে। সে জয়পুরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ইমরান হোসেন জয়পুরহাট পৌর এলাকার মাদারগঞ্জ মৌজার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। তিনি শহরের জয়পুরহাট শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

    মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাট শহরের আরাফাত নগরের ইয়ুথ প্লাজার ভাড়াটে বাসা থেকে নাভিলা চৌধুরী নীড়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় লাশের পাশে সাদা কাগজে একটি চিরকুটে লেখা ছিল– ‘I am sorry. মাফ করে দিও আমাকে, আমি তোমাদের ভালো মেয়ে হতে পারলাম না। মাফ করে দিও। খোদা হাফেজ।’ রাতেই তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    নাভিলার মৃত্যুর পর দিন বুধবার সকাল ৮টায় জয়পুরহাট শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার চেতনা মাদকাসক্ত চিকিৎসাকেন্দ্রের স্টাফ কক্ষ থেকে ইমরান নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে বিছানার চাদর গলায় পেঁচিয়ে ইমরান আত্মহত্যা করেন।

    ইমরান মৃত্যুর আগে তার বাম হাতে কলমের কালি দিয়ে লিখে যান– ‘IMRAN+NABILA. আমার জন্য যে চলে গেল, আমিও গেলাম’।

    স্থানীয়রা বলছেন, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেম কেন্দ্র করে প্রথমে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নাবিলা। প্রেমিকার মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে পর দিন একই পথ বেছে নেন ইমরান।

    ইমরানের পরিবারের সদস্যরা জানান, নাভিলার সঙ্গে ইমরানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে ইমরান মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তাকে জয়পুরহাট ট্রাক ট্রার্মিনাল এলাকায় চেতনা মাদকাসক্ত চিকিৎসাকেন্দ্রে তিন মাস চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। তিন ভাইয়ের মধ্যে ইমরান সবার ছোট।

    ইমরানের বাবা ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে নাভিলার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমরা গরিব। ছেলেকে অনেক নিষেধ করেছি কিন্তু কিছুতেই শোনেনি। নাভিলার আত্মহত্যার খবর পাওয়ার পর থেকে ছেলেটি যেন পাগলের মতো আচরণ শুরু করে।

    মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আত্মহত্যারও চেষ্টা করে। অনেক বোঝানোর পর বায়না ধরে মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে যাওয়ার। বুঝতে পারিনি আমাদের ফাঁকি দিয়ে আত্মহত্যার জন্যই ছেলেটি মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল।

    এ বিষয়ে নাভিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য বারবার যোগাযোগ করা হলেও পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

    চেতনা মাদকাসক্ত চিকিৎসাকেন্দ্রের সিনিয়র স্টাফ এসএ জাহাঙ্গীর তুহিন বলেন, রাত ১০টার দিকে ইমরানকে তার বাবা ফরিদ উদ্দিন চিকিৎসাকেন্দ্রে রেখে যান। পরের দিন সকাল ৮টার দিকে আমাদের স্টাফ রুমে ইমরানের মরদেহ ঝুলতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

    জয়পুরহাট সদর থানার ওসি শাহরিয়ার খান বলেন, এ ঘটনায় দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, নাভিলা ও ইমরানের আত্মহত্যার বিষয়টি প্রেমের কারণেই ঘটেছে।

  • পটিয়ায় মানসিক রোগীর আত্মহত্যা

    পটিয়ায় মানসিক রোগীর আত্মহত্যা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় সুমন সর্দ্দার (৩৫) নামে এক মানসিক রোগী আত্মহত্যা করেছে।

    গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের নাইখাইন গ্রামে গাছের সাথে ঝুঁলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    নিহত সুমন সর্দ্দার (৩৫) একই গ্রামের মৃত চিত্ত সর্দ্দারের ছেলে এবং সে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে সুমনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পটিয়া থানার এস.আই জাহাঙ্গীর জানান, প্রতিদিনের ন্যায় নিহত সুমন সর্দ্দার তার মায়ের সাথে ঘুমাতে যায়। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ঘুমানোর ঘরে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজি করতে গেলে বাড়ীর পাশে পুকুর পাড়ের একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের লাশ দেখতে পায়।

    তিনি জানান, ঘটনাটি পটিয়া থানা পুলিশের কাছে জানালে পুলিশের একটি টিম বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

  • সালমান শাহ’র মৃত্যু হত্যা নয়, আত্মহত্যা: পিবিআই

    সালমান শাহ’র মৃত্যু হত্যা নয়, আত্মহত্যা: পিবিআই

    ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহকে হত্যার কোনো আলামত পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

    পারিবারিক কলহের জের ধরেই সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে।

    হত্যা মামলাটির তদন্ত শেষে সোমবার ধানমন্ডিতে সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডাকে পিবিআই। সেখানে চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

    বনজ কুমার বলেন, পিবিআইয়ের তদন্তে সালমান শাহকে হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

    পিবিআই প্রধান বলেন, ২০১৬ সালে পিবিআই তদন্ত শুরু করে। প্রায় ২৫ বছর আগের ঘটনা তাই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের জবানবন্দি গ্রহণ করতে বেশি সময় লেগেছে। ১৬৪ ধারায় ১০ জনের জবানবন্দি নিয়েছে পিবিআই।

    পিবিআই নতুন করে আলামত হিসেবে একটি ফ্যান জব্দ করেছে, ধারনা করা হয় ওই ফ্যানেই আত্মহত্যা করেছিলেন সালমান।

    ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস, নিজস্বতার কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় ওঠেন তিনি। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই ছিল সুপারহিট।

    ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান জনপ্রিয় এই নায়ক। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

    ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা করেন।

    ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১৫ বছর মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

    ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী ছেলের মৃত্যুতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান এবং ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে আবেদন করেন। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে নারাজির আবেদন দাখিল করেন। নারাজি আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন তার ছেলে সালমান শাহের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন

    মামলাটি এরপর র‌্যাব তদন্ত করে। তবে র‌্যাবের দ্বারা তদন্তের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত বছরের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রাষ্ট্রপক্ষের রিভিশনটি মঞ্জুর করেন এবং র‌্যাবকে মামলাটি আর না তদন্ত করার আদেশ দেন। তখন থেকে পিবিআই মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়।

  • চট্টগ্রামে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ৮ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী

    চট্টগ্রামে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে ৮ম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ইয়াছমিন আক্তার নামে ১৩ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে।

    সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার পুটিবিলা গৌড়স্থান চিরা মুড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

    নিহত ইয়াছমিন আক্তার ওই এলাকার রিক্সা চালক শাহ আলমের মেয়ে। সে গৌড়স্থান আখতারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান হাজী মুহাম্মদ ইউনুছ। তিনি নিহতের পরিবারের বরাতে বলেন, নিহত ইয়াছমিনকে মাদ্রাসায় যাবার সময় প্রতিদিন কিছু যুবক উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। সোমবার সে মাদ্রাসা থেকে ফিরে এসে অপমানে বিষপান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।

    পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পেরে গুরুতর অবস্থায় ইয়াছমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।