Tag: আদালত

  • জামিন না দেওয়ায় বিচারককে জুতা ছুড়ে মারল আসামি

    জামিন না দেওয়ায় বিচারককে জুতা ছুড়ে মারল আসামি

    জামিন না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেছেন এক আসামি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি মনির খান মাইকেল (৩২) মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) কাঠগড়া থেকে এজলাসে বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করেন।

    আসামি মনির খান মাইকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা। মামলার অভিযোগ সূত্রে কা.বি. ১৬১ ধারায় মামলার সাক্ষ্যের জবানবন্দি অনুযায়ী আসামি মনির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থক।

    ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হাজতি আসামি মনির খান মাইকেলের জামিন শুনাননির দিন ধার্য ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে এজলাসে বিচারক আসনে বসামাত্র পুলিশের উপস্থিতিতে গালাগাল করতে করতে বিচারককে দুটি স্যান্ডেল ছুড়ে মারেন আসামি মনির।

    তিনি আরও বলেন, আসামির অভিযোগ তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে জানান পিপি।

    অভিমানে বিএনপি ছাড়লেন ইউপি চেয়ারম্যান
    আদালত সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি মনিরের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদসহ এমপি, ডিআজিদের নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে ব্রাহ্মণিবাড়িয়ার নাসিরনগর থানায় মামলা হয়। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন মনির। একই বছরের ২০ জুন অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

    এর আগে ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম আদালতে জামিন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারকের উদ্দেশে এক আসামি জুতা ছুড়ে মারেন।

  • বাবার থেকে মুক্ত হয়ে উচ্ছ্বাসিত ব্রিটনি

    বাবার থেকে মুক্ত হয়ে উচ্ছ্বাসিত ব্রিটনি

    দ্বন্দ্ব-সংঘাত আর নানান আলোচনায় সব সময়ই শিরোনামে থাকতে ভালোবাসেন মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। প্রায় ১৩ বছর যাবৎ তার অভিভাবত্বের দায়িত্বে ছিলেন বাবা। কিন্তু বাবা হলেও এতে বেশ বিরক্ত ছিলেন ব্রিটনি। বহুদিন ধরেই বাবার থেকে মুক্তি চেয়ে আসছিলেন আলোচিত এ সঙ্গীত শিল্পী। অবশেষে মুক্ত হলেন মার্কিন গায়িকা। সম্প্রতি আদালত তার অভিভাবকত্বের বিষয়ে রায় দিয়েছেন। যাতে বাবার কাছ থেকে মুক্তি মিলেছে তার।

    জানা গেছে, ২০০৮ সালে জেমি স্পিয়ার্সকে তার মেয়ের অভিভাবক করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক স্থিরতা নেই, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারেন না কিংবা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিকে কারও অভিভাবকত্বে দেওয়ার বিধান রয়েছে। সেই হিসেবেই এতো দিন অভিভাবকত্বের দায়িত্বে ছিলেন বাবা জেমি স্পিয়ার্স। কিন্তু বাবাকে কখনও মেনে নিতে পারেননি ব্রিটনি।

    এদিকে জেমি স্পিয়ার্স সরে দাঁড়ালেও অন্য এক ব্যক্তিকে ব্রিটনির অভিভাবক নিয়োগ করা হয়েছে। তবে বাবাকে অভিভাবকের জায়গা থেকে সরিয়ে দেওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন ৩৯ বছর বয়সী ব্রিটনি। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর বেরিয়েছে।

    রায়ের পর আদালতের ইনস্টাগ্রামে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ব্রিটনির প্রেমিক স্যাম আসগরিও। সম্প্রতি তাদের বাগদান হয়েছে।

    গত কয়েক বছর ধরেই ব্রিটনি তার বাবার শাসন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। অবশেষে সেটি বাস্তবায়িত হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ব্রিটনির ভক্তরা।

    এন-কে

  • ফেসবুককে রোহিঙ্গাবিরোধী অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশের আদেশ মার্কিন আদালতের

    ফেসবুককে রোহিঙ্গাবিরোধী অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশের আদেশ মার্কিন আদালতের

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুককে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাবিরোধী সংঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। গোপনীয়তা রক্ষার নীতির কথা জানিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেগুলো প্রকাশে অনীহা জানিয়েছিল। আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। মামলার কার্যক্রমের জন্য ফেসবুকের ওই তথ্য প্রয়োজন বলে এর আগে জানান আন্তর্জাতিক আদালত। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের গোপনীয়তা বিষয়ক আইনের দোহাই দিয়ে তথ্য সরবরাহ করতে অনীহা দেখিয়েছিল ফেসবুক।

    ওয়াশিংটন ডিসির আদালত স্থানীয় সময় বুধবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের সমালোচনা করেন। আদালত বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক।

    ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোম্পানির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে।

    এরই মধ্যে মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের একটি স্বাধীন তদন্ত কার্যক্রমে আইনি পন্থায় তথ্য দিয়েছে বলে জানান ফেসবুকের ওই মুখপাত্র।

    মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের গণহত্যা বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দিয়েছে গাম্বিয়া।

    ২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের মুখে সাত লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। ওই সময় রোহিঙ্গাদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, গণহারে হত্যা ও নির্যাতন করা হয়, বহু রোহিঙ্গা নারী ধর্ষণের শিকার হন

    এন-কে

  • দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ

    দুই শিক্ষার্থীর ভর্তি বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ

    দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌস নাইমকে ভর্তি করানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

    আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব শফিক। শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি।

    পরে আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আপিল বিভাগ এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন। তবে দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌসকে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির বিষয়ে বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ যদি তারা কেবল প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।

    উচ্চমাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়ায় চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ, বি, সি ইউনিটে) মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এ ছাড়া ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন।

    ওইসব রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ চবি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।

    এ ছাড়া ডি ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়।

    পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা রোববার ভার্চুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, তারা কোথাও ভর্তি হননি। চবিও তাদের ভর্তি করেনি। তাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।

    এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন।

    আজ শুনানিতে বি এম ইলিয়াস কচি বলেন, ৮২ জনের অনেকে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে গেছেন। এখন বাকি আছেন ৫৭ জন।

    এন-কে

  • দুই ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে সাজা

    দুই ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে সাজা

    অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে দুটি ধারায় ১৫ বছর করে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুটি সাজাই চলবে একসঙ্গে।

    সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

    সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার জানান, দুটি ধারায় মালেককে ১৫ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে।

    প্রসঙ্গত, গেল ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক।

    এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

    উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ টাকার বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।

    এন-কে

  • সাইবার অপরাধের বিচারে আশার আলো, চট্টগ্রামে ট্রাইব্যুনাল গঠন

    সাইবার অপরাধের বিচারে আশার আলো, চট্টগ্রামে ট্রাইব্যুনাল গঠন

    রাজীব সেন প্রিন্স : বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বাংলাদেশেও। সেই সাথে হু হু করে প্রযুক্তিগত অপরাধ ও সাইবার অপরাধের মামলাও বাড়ছে। আর প্রায় সব মামলায় হচ্ছে অজামিনযোগ্য তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়।

    এদিকে সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দিন দিন মামলার সংখ্যা বাড়লেও নিষ্পত্তির সংখ্যা খুব একটা বাড়ছে না। ফলে দ্রুত মামলা নিস্পত্তির জন্য সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে আইনজীবীরা।

    এরই প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে টেলিফোন, অনলাইন এবং ই-মেইল হ্যাকিং-সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্য ২০১৩ সালে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার।

    তবে তা মাত্র একটিমাত্র বিভাগ ঢাকায় গঠিত হওয়ায় সারাদেশেই মামলা জট দীর্ঘ থেকে রীতিমত স্তুপে পরিণত হয়েছে। পরে এ সমস্যা নিরসনকল্পে সরকার নতুন করে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহসহ সাত বিভাগে পৃথক সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।

    কিন্তু বেশ কয়েকবছর পেরিয়ে গেলেও ঢাকা ছাড়া অন্য কোনো বিভাগীয় শহরে আলোর মুখ দেখেনি এই প্রকল্প। তবে দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার পর সাইবার অপরাধের বিচারকার্যে আশার আলো দেখছে বিচারপ্রার্থীরা।

    সাইবার সংঘটিত অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে অবশেষে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনের-২০০৬-এর বিধানের আলোকেই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

    মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রাম সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে পদায়ন করা হয় ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানকে।

    এর আগে দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করে আসছিলেন জেলার আইনজীবীসহ এই অপরাধের শিকার বিচারপ্রার্থীরা। তাছাড়া সাইবার ট্রাইব্যুনাল স্থাপনে ২০২০ সাল থেকে জেলা আইনজীবী সমিতি আইন মন্ত্রণালয়ে জোর তদবির শুরু করে।

    অবশেষে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যম এখন থেকে ঢাকার পর চট্টগ্রামেও সাইবার অপরাধের বিচার কাজ শুরু হওয়ায় প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ. এইচ. এম জিয়াউদ্দিন বলেন, এর আগে এতদিন ধরে একমাত্র ঢাকার আদালতে স্থাপিত সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) দায়ের করা মামলা গুলোর বিচারকাজ সম্পন্ন করা হতো।

    মঙ্গলবার সরকারের পক্ষ থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা জজ এস. কে. এম. তোফায়েল হাসানকে নিয়োগ দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে বিচারপ্রার্থীদের ঢাকায় যেতে সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ এবং হয়রানিমূলক ছিল। এজন্য আমরা চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। অবশেষে দাবি পূরণ হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনালের জন্য ৬টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক থাকবেন।

    এ ছাড়া সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, বেঞ্চ সহকারী, আউটসোর্সিং গাড়িচালক, আউটসোর্সিং জারিকারক, ও এমএলএসএসের আউট সোর্সিং পদে একজন করে নিযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে গাড়ি, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার মেশিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

    মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে মিথ্যা ও গুজব রটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং ৫৭ ধারায় আগের করা মামলাগুলোর দ্রুত বিচার শেষ করতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

    এ ছাড়া মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের বিচার হবে এই ট্রাইব্যুনালে।

    জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন থানা থেকে বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে প্রায় তিন হাজারের মত মামলা হয়েছে। প্রতিবছরই মামলার সংখ্যা বেড়েছে।

    ২০১৩ সালে মাত্র ৩টি মামলা এলেও বছর বছর ক্রমান্বয়ে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ২০১৪ সালে ৩৩টি, ২০১৫ সালে ১৫২টি, ২০১৬ সালে ২৩৩টি, ২০১৭ সালে ৫৬৮টি, ২০১৮ সালে ৬৭৬টি, ২০১৯ সালে ৭২১টি, ২০২০ সালে ৩৫০র বেশি এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত শতাধিক মামলা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘন্টা স্পেশাল/রাজীব

  • পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা সে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের রিমান্ড মঞ্জুর

    পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করা সে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের রিমান্ড মঞ্জুর

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ৬ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।

    আজ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল্লাহ কায়সার এই আবেদন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ূন কবির।

    তিনি জানান, এক ঠিকাদারকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার ৬ পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত অভিযুক্ত ৬ জনের প্রত্যেককে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সিএমপির ৬ পুলিশ সদস্যকে সিএমপি হেড কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

    অভিযুক্ত ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের বডিগার্ড মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপ কমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম ও বন্দর) মনজুর মোরশেদের বডিগার্ড মো. মাসুদ, দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, সিএমপির সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর মনিরুল ইসলাম ও ডিবিতে (উত্তর) কর্মরত আবদুল নবী। এরা সবাই কনস্টেবল পদে কর্মরত।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • রাঙ্গুনিয়ায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ধর্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

    রাঙ্গুনিয়ায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ধর্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

    ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে হোটেলে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত ২ আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।

    জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পোঁড়াবন এলাকা থেকে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষকরা।

    শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন (৩৫)কে আদালতের তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। অন্যদিকে একই ঘটনায় জড়িত আরো এক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

    মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জোরপূর্বক মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে রাঙামাটি নিয়ে যায় গ্রেফতার সাজ্জাদ ও তার বন্ধু মো. রিপন (২০)। সেখানের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে দুজনই পালিয়ে যায়।

    এদিকে কিশোরী মেয়েটিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরদিন রাঙ্গামাটির স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের স্বীকার ওই কিশোরীকে মূর্মুর্ষু অবস্থায় পরিবারের কাছে নিয়ে আসে।

    কিশোরীটি তার পরিবারের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বললে ইসলামপুর ইউপি সদস্য মো. বেলালের সহযোগীতা নিয়ে তার নানী ২ যুবককে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

    রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ যুবককে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিশোরীর নানী।

    মামলার সূত্র ধরে ঘটনার স্বীকার কিশোরী মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এই ঘটনায় জড়িত মো. রিপন নামে আরো এক যুবককে গ্রেফতারপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • কারাগারে সাবরিনা/দুই দফা রিমান্ডে মিলেছে প্রতারণার পর্যাপ্ত তথ্য, শিগগিরই চার্জশিট!

    কারাগারে সাবরিনা/দুই দফা রিমান্ডে মিলেছে প্রতারণার পর্যাপ্ত তথ্য, শিগগিরই চার্জশিট!

    ২৪ ঘণ্টা আদালত ডেস্ক : দুই দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে জেকেজি চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে আদালতে হাজির করা হলেও জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

    করোনা টেস্টের নামে জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর দুই দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার (২০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মহানগর হাকিম আদালতে আনা হয়।

    আদালত তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া জেকেজির সাবেক কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরকে তিনদিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

    এর আগে একইদিন সকাল ১১টার দিকে সাবরিনাকে আদালতে পাঠানোর পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওয়ালিদ হোসেন।

    রিমান্ডে থাকা সাবরিনার কাছ থেকে করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণার পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন জানিয়ে ডিএমপি এ-পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তার (সাবরিনা) কাছ থেকে যথেষ্ট প্রমাণ পেয়েছি। তার স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে মুখোমুখি করা হয়েছে। উভয়ের যথেষ্ট সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। এতে দুজনেই অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন।

    এর আগে গত ২৩শে জুন ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া কোভিড রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর একই অভিযোগে ১২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও আরিফের স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    সাবরিনা আরিফের দুই দফা রিমান্ডে প্রতারণার অভিযোগের পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ মেলায় শিগগিরই চার্জশিট দেয়া যাবে বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • বার আউলিয়া পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি, আদালতে আরো দুই ডাকাতের স্বীকারোক্তি

    বার আউলিয়া পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি, আদালতে আরো দুই ডাকাতের স্বীকারোক্তি

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া পেট্রোল পাম্পে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আরো দুই ডাকাত শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে।

    তারা হলো- উপজেলা মধ্যম সোনাইছড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে গিয়াস উদ্দিন পারভেজ (২৬) ও ভাটিয়ারী জাহানাবাদ এলাকার নুর বসরের ছেলে হারুন(২০)।

    সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, গত বুধবার রাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পরই তারা পুলিশের কাছে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

    শুক্রবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে তারা স্বীকারোক্তি দেন। তারা জানান, ইতিমধ্যে সে বেশ কিছু ডাকাতি, চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। গত রবিবার ওই ডাকাতির পর এ পর্যন্ত মোট ৪ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এর আগে বিপ্লব ও সবুজ নামে দুই আমামী আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।

    মামলার তদন্তকারী অফিসার সীতাকুণ্ড থানার ওসি(অপারেশন) মোঃ আবুল কালাম বলেন, এ ডাকাতির ঘটনার পর এডিশনাল এসপি শম্পা রানী সাহা ও ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা ডাকাতদের বিরুদ্ধে কড়া অভিযান শুরু করেন। তাদের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ, ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিক ও আমিসহ অন্য অফিসাররা প্রতিদিন সারারাত অভিযান পরিচালনা করছি। এতে তিন রাতে ৪ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

  • ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে

    ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যা মামলায় ফের কারাগারে গেলেন এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম।

    উচ্চ আদালতের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক মাসুমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দীন আহমেদ।

    তিনি বলেন, সুদীপ্ত হত্যা মামলায় এর আগে হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম। পরে বাদিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আপিল বিভাগ সেই জামিন বাতিল করে। পাশাপাশি ১৩ নভেম্বর মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয় আদালত।

    উচ্চ আদালতের নির্দেশে মাসুম আজ মঙ্গলবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানিয়েছেন, দিদারুল আলম মাসুম অসুস্থ, তার হার্টে তিনটি রিং পরানো হয়েছে। ফলে আদালতে তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করলে বিচারক কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    দিদারুল আলম মাসুম লালখানবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যায় ‘নির্দেশদাতা’ হিসেবে অভিযুক্ত। এর আগে ৪ আগষ্ট রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় ঢাকা বনানীর কামাল আতার্তুক অ্যাভিনিউ-এর ব্লু-ওশান টাওয়ারের সামনে থেকে মাসুমকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি টিম।

    উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার মিজানুর রহমান নামে এক আসামি গত ১২ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করেন।

    এদিকে হত্যাকান্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ১৫ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পান মাসুম।

  • ভাটিয়ারীতে অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    ভাটিয়ারীতে অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

    সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ডের সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রসহ আটক ৫ সন্ত্রাসীকে এক দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারিক আদালতে আটক ৫ জনকে হাজির করে ৫দিন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইলে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ বিচারক।

    রিমান্ড মঞ্জুর করা বক্তিরা হলো, নুরু (২৫), ফরহাদুল আলম মিজান (২৩), তিলক দে টিপু (২৪), মোহাম্মদ রিদওয়ান (১৯), মোহাম্মদ হেলাল (১৯)।

    মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস আই মো. মামুন হোসেন তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

    উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ ২ নং ওয়ার্ডের সম্মেলন ছিল স্থানীয় জাহানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সম্মেলন শুরুর সময় একটি নোহা মাইক্রো করে ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ অস্ত্র উচিয়ে সম্মেলনে দিকে আসার চেষ্টা করলে এসময় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রনি লোকজন তাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলে।

    পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে একটি পিস্তলসহ ৫ জন সন্ত্রাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। সোমবার মামলা তদন্তকারী আটক ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।