Tag: আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

  • এমসি কলেজে ধর্ষণ: তারেক-মাসুমেরও স্বীকারোক্তি

    এমসি কলেজে ধর্ষণ: তারেক-মাসুমেরও স্বীকারোক্তি

    সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার সকল আসামি নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

    রোববার (৪ অক্টোবর) সর্বশেষ দুই আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    চাঞ্চল্যকর এই মামলার ২ নম্বর আসামি তারেক ও ৬ নম্বর আসামি মাসুম আদালতে ঘটনার দিনে নিজেদের ভূমিকার বর্ণনা দেন। তরুণীকে ধর্ষণ করার আগে তারেক গাড়ি চালিয়ে এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে ছাত্রাবাস পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। যে চারজন তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল, তাদের মধ্যে তারেকও রয়েছে। সেই সময় মাসুমও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বলে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।

    রোববার জবানবন্দি রেকর্ডের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই আসামি তারেক ও মাসুমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

    মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, এই মামলায় সকল আসামি নিজেদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলার তদন্তে যা ইতিবাচক দিক। এখন আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যাচাই-বাছাইয়ের পাশাপাশি মামলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া আসামিদের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টসহ কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ব্যাপার আছে। এসব পাওয়ার পর চূড়ান্ত পর্যালোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

    রোববার দুপুর ২টার দিকে তারেক ও মাসুমকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এসময় তারা স্বীকারোক্তি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে পৃথক আদালতে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।

    তিনি জানান, অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে আসামি তারেক ও মহানগর হাকিম (২য়) সাইফুর রহমানের আদালতে আসামি মাসুমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ সময় তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান মহানগর আদালত পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের কতিপয় কর্মী তাকে আটকে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেন স্বামী। এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানের সময় আসামিরা তাদের জোর করে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে শাহপরাণ থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় র‌্যাব-৯, সিলেট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৬ জনসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে। এদের প্রত্যেককে আদালতের নির্দেশে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণে অভিযুক্তদের ব্যাপারে তথ্য-প্রযুক্তিগত প্রমাণের জন্য তাদের প্রত্যেকের ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে।

    গত শুক্রবার সর্বপ্রথম নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম। এরপর শনিবার আইনুদ্দিন, রাজন মিয়া ও মাহবুবুর রহমান রনি আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। এদের মধ্যে মাহবুবুরের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল। আসামিরা জোর করে তরুণীকে ছাত্রাবাসে নিয়ে যাওয়ার আগে তারা একটি বাসায় অবস্থান করছিল বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়েছে। এছাড়া তরুণীর স্বামী বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বীকার করেন, ‘বন্ধু’ আইনুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করার জন্য তারা এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

    এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আসামিদের জবানবন্দি প্রদানসহ তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • সীতাকুণ্ডে পেট্রোল পাম্পে ডাকাতীর ঘটনায় আটক ডাকাতের আদালতে স্বীকারোক্তি

    সীতাকুণ্ডে পেট্রোল পাম্পে ডাকাতীর ঘটনায় আটক ডাকাতের আদালতে স্বীকারোক্তি

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া পেট্রোল পাম্পে সংগঠিত ডাকাতির ঘটনায়
    গ্রেপ্তারকৃত আরো এক ডাকাত সাইফুল ইসলাম বিপ্লব (২৩) বৃহস্পতিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করেছে।

    বিপ্লব উপজেলার সোনাইছড়ি বক্তারপাড়া গ্রামের মৃত মোঃ ইউসুফের ছেলে।

    সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, বিপ্লব একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত । বুধবার রাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পরই সে পুলিশের কাছে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

    শেষে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ এর মোঃ শহীদুল্লাহ এর আদালতে সে স্বীকারোক্তি দিয়ে বিপ্লব জানায় যে, সে আসলে একজন শিপইয়ার্ড শ্রমিক। সোনাইছড়ি এলাকার একটি ইয়ার্ডে চাকুরি করে সে। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্থানে চুরিও করত সে। বারআউলিয়ায় একজন ডাকাত সর্দার আছে। চাকুরি শেষে আড্ডা দিতে গিয়ে তার সাথে পরিচয়। এরপর তার নেতৃত্বেই ডাকাতি শুরু করে। ইতিমধ্যে সে বেশ কিছু ডাকাতি, চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের মোট ৪টি মামলা থাকলেও ডাকাতির ঘটনায় সে এবারই প্রথম গ্রেপ্তার হয়েছে।

    ওসি আরো জানান, রবিবার ঐ ডাকাতির পর বিপ্লবসহ এ পর্যন্ত মোট ৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের মধ্যে গত বুধবারও এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে।

    মামলার তদন্তকারী অফিসার সীতাকুণ্ড থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ আবুল কালাম বলেন, এ ডাকাতির ঘটনার পর এডিশনাল এসপি শম্পা রানী সাহা ও ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা ডাকাতদের বিরুদ্ধে কড়া অভিযান শুরু করেন। তাদের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ, ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিক ও আমিসহ অন্য অফিসাররা প্রতিদিন সারারাত অভিযান পরিচালনা করছি। এতে তিন রাতে ৩ আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমি বিপ্লবকে
    আদালতে নিয়ে গেলে সে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে জবানবন্ধী দিয়েছে। এ সময় সে জানিয়েছে, সে একজন শিপইয়ার্ড শ্রমিক। তরে রাতে চুরি ও ডাকাতি করে। তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা থাকলেও এর আগে সে গ্রেপ্তার হয়নি। তার কাছ থেকে অন্য ডাকাতদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারাও অতি শীঘ্রই আইনের আওতায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

    উল্লেখ যে, গত শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার পাশের ‘বারআউলিয়া পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

    রাত তিন টার সময় তাদের ৮সদস্যের একটি ডাকাত দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পেট্রোল পাম্পে এসে কর্মচারীদের মারধর করে ১লাখ ৭২ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে বলে থানায় মামলা করেন।