Tag: আদালত

  • প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি: গিয়াস কাদেরের ৩ বছরের কারাদণ্ড

    প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি: গিয়াস কাদেরের ৩ বছরের কারাদণ্ড

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। অনাদায়ে আরো ৩ মাসের জেলের আদেশ দেয়া হয় রায়ে। আজ বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালত এ রায় দেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মহুরীর দায়ের করা মামলায় এ রায় দেন আদালত।

    মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি জেলার অতিরিক্ত পিপি সমির দাশগুপ্ত তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে মামলাটিতে (সিআর মামলা-১৪৪/১৮, ফটিকছড়ি) সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।

    পরে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করে বিচারক। আজ রায় ঘোষণায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট বলে জানান তিনি।

    এর আগে গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ফটিকছড়ি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। নাজিম উদ্দিন মহুরীর দায়ের করা এ মামলায় বিএনপি তো গিয়াস কাদের ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।

    উল্লেখ্য- ২০১৮ সালে ২৯ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘আপনার বাবার চেয়েও আপনার অবস্থা খারাপ হবে।

    আপনার বাবার মৃত্যুর পর যেমন ইন্নালিল্লাহ্ পড়ার লোক ছিল না, আপনার পরিণতি তার চেয়েও খারাপ হবে। আপনাকে বাবার চেয়েও নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করতে হবে।

  • স্বর্ণ চোরচালান মামলায় যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

    স্বর্ণ চোরচালান মামলায় যুবকের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

    ২০১৭ সালে শাহ আমানত বিমান বন্দরে ১৫ পিস স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার হওয়া মো. শাহাদাত হোসেন (৩৩) নামে এক যুবককে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত এবং তা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহাদাত হোসেন আনোয়ারা উপজেলার বটতলী নূরপাড়া এলাকার মো. আবদুস সবুরের ছেলে। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

    সোমবার (২৮ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান এ রায় দেন। মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    আদালত সূত্রে জানা যায় ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৫ পিস স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার হন মো. শাহাদাত হোসেন। এঘটনায় ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা থানায় শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।

    একই বছরের ২৫ মার্চ আসামি শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১১ জ্লুাই আদালত আসামি শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

  • কারাগারে ফটিকছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার স্বপন

    কারাগারে ফটিকছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার স্বপন

    চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় ফটিকছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান একে এম সরোয়ার হোসেন প্রকাশ স্বপনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

    আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালতের বিচারক সরোয়ার জাহান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    কারাগারে প্রেরিত আসামি সরোয়ার হোসেন স্বপন ফটিকছড়ি হাইদচকিয়া এলাকার মৃত হাজী আবুল কালামের ছেলে এবং ফটিকছড়ি উপজেলার ৬ নং পাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে মামলার বাদীর আইনজীবি অ্যডভোকেট মোশারফ হোসেন বলেন, সৌরভ হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার উদ্দ্যেশে ধারালো অস্ত্র নিয়ে জখম ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে আকবর শাহ থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন মামলার প্রধান ও প্রথম আসামি সরোয়ার স্বপন।

    আদালত শুনানীতে আসামি এবং বাদী পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ইউপি চেয়ারম্যান স্বপনের জামিন না মঞ্জুর করে পিডব্লিউ মূলে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    আইনজীবি অ্যডভোকেট মোশারফ হোসেন বলেন, হত্যার উদ্দ্যেশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শণের অভিযোগ এনে গত ১১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩০৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৫০৬ ও ৩৪ ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী সৌরভ হোসেন। অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বপনসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়।

    আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য নগরীর আকবর শাহ থানাকে নির্দেশ দেন। তদন্ত করতে গিয়ে থানা সূত্রে জানতে পেরে আজ সোমবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থণা করেন স্বপন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে স্বপনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

    এ মামলার অপর আসামীরা হলেন, ফটিকছড়ির দক্ষিণ পাইন্দং আলম চৌধুরী বাড়ির আবু বক্কর চৌধুরীর ছেলে ইকবাল করিম (৪০), আকবর শাহ থানা গোলপাহাড় মোড় মালিপাড়ার আবুল সরকারের ছেলে মোহাম্মদ আজিম (২৫) ও একই এলাকার মৃত মনোহর আলীর ছেলে মো. নাছির (৪)।

  • বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মী খুনের মামলায় একজনের ফাঁসি

    বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মী খুনের মামলায় একজনের ফাঁসি

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা বান্ডেল রোড এলাকায় ১০ বছর আগে ডাকাতি করতে গিয়ে বৃদ্ধ গৃহকর্ত্রী ও শিশু গৃহকর্মীকে খুনের মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (২৩ অক্টোবর) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরীর আদালত এ রায় দেন।

    একই রায়ে পৃথক ধারায় দন্ডিত আসামী মো. সোলায়মানকে (৩২) ১০ বছরের কারাদন্ড ও অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সোলায়মানকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তসলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত ২০০৯ সালের ১৮ আগষ্ট বিকেলে হত্যাকান্ডটি ঘটে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধ গৃহকত্রীর ছেলের দায়ের করা হত্যা মামলায় একবছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    একই বছর মামলার অভিযোগ গঠন করার পর থেকে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বুধবার আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেন আদালত।

    আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৮ আগস্ট বিকেলে নগরীর কোতোয়ালী থানার বান্ডেল রোড এলাকার তিনতলা একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ঘর ভাড়া নেওয়ার নাম করে ঘরে ঢুকে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি সোলায়মান। এসময় ঘরে ছিলেন বৃদ্ধ গৃহকত্রী নুরজাহান বেগম (৭০) ও শিশু গৃহকর্মী পপি (৭)।

    একপর্যায়ে তাদেরকে জিম্মি করে ঘরের মালামাল লুট করতে চাইলে বাধা দেন নুরজাহান বেগম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে নুরজাহান বেগমকে হত্যা করে সোলায়মান। ঘটনাটি দেখে ফেলায় শিশু গৃহকর্মী পপিকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তিন ভরি আট আনা স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সোলায়মান।

    নিহত গৃহকত্রীর ছেলে ফারুক রাতে বাসায় এসে মা ও গৃহকর্মীর লাশ দেখতে পান এবং থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট আসামি সোলায়মানকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সোলায়মান।

  • ২দিনের রিমান্ডে আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারী

    ২দিনের রিমান্ডে আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারী

    চট্টগ্রামে খুলশী থানা এলাকায় ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারীকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খাইরুল আমীন তাদের প্রত্যেককে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে রিমান্ড শুনানীর নির্ধারিত সময়ে ভারতীয় নাগরিকসহ গ্রেফতার ৫ নারীকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিন করে রিমান্ড আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। আদালত শুনানী শেষে প্রত্যেককে দুদিন করে রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি দেন। আরো খবর : আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

    তথ্যটি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী। তিনি বলেন, ভারতের উত্তরাখ-ের নানকমাথা এলাকার কোমল কর (২৮), ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার রোজিনা বেগম (৫২) ও তার মেয়ে নাইমা বেগম (২৮) এবং মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর এলাকার শাহনাজ বেগম (৫০) ও তার মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম (২১) এরা আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের সদস্য।

    তাদের সাথে সম্পৃক্ত অন্যদের তথ্য অনুসন্ধান ও তাদের কর্মকাণ্ড এবং উদ্দ্যেশ্য জানতে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানী শেষে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে অনুমতি দেন।

    এর আগে গত ২০ অক্টোবর রবিবার বিকেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক ইয়াবা পাচারকারী চক্রের ৫ নারী সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। নগরীর খুলশী থানার নাসিরাবাদ এলাকার মহিলা কলেজ মোড়ে একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এ ৫ নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

    এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে সিএমপির খুলশী থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের আদালতে নেয়া হলে আদালত আজ ২২ অক্টোবর শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।

  • হাটহাজারীর রঞ্জন হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন

    হাটহাজারীর রঞ্জন হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন

    চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রঞ্জন সিংহ চৌধুরী হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আব্দুল হালিম এ আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল কাদের, মো. মহসিন, এমরান ও ফোরকান। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল মোনাফ ও শাহাদাত।

    রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির মধ্যে আদালতে মাত্র একজন আসামি আব্দুল মোনাফ হাজির ছিলেন। বাকিরা সবাই পলাতক। মোনাফকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক এবং বাকিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।

    এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি আইয়ুব খান। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আদালতে বিচারাধীন হাটহাজারীর রঞ্জন হত্যা মামলায় ১৯ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত সোমবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে চার আসামির মৃত্যুদণ্ড ও দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৮ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের আসাদনগর এলাকা থেকে রঞ্জনকে তুলে নিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। ওই দিন রাতে যোগীরহাট এলাকার একটি পুকুর থেকে রঞ্জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় তার স্ত্রী স্মৃতি রাণী চন্দ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মামলাটির তদন্ত শেষ করে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এতে অভিযুক্ত করা হয় ৬ আসামিকে। এরপর চার্জ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরু করেন আদালত।

    ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৩৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল স্থানান্তর করেন।