Tag: আনোয়ারা

  • আনোয়ারায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক সহায়তা

    আনোয়ারায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক সহায়তা

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃআনোয়ারায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদ।

    ২৮ জুন (মঙ্গলবার) বিকালে সেন্টার টেস্ট অব লন্ডনে রেস্টুরেন্টে এর পিছনে জেলে পাড়া ও রাহাত খানের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ৫ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য রুমি আক্তার রুমি, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বতলু আক্তার, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বুলবুল আক্তার, ১ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোর্শেদ আলম,২ নং ওয়ার্ডের ফরহাদ,৩ নং ওয়ার্ডের রুপন বসু, ৫ নং ওয়ার্ডের ইলিয়াস কাঞ্চন রুবেল,৬ নং ওয়ার্ডের মোঃ ইদ্রিস, ৭ নং ওয়ার্ডের সাদ্দাম হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ডের এম এ রহিম, ৯ নং মুছা তালুকদার প্রমুখ।

    বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী জানান, বন্দর সেন্টারের জেলে পাড়া ও রাহাত খানের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্জাক খান, লাল বানু, বাবুল হক,আয়শা খানম, নেপাল দাশসহ ৫ পরিবারের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

  • আনোয়ারায় ক্যান্সার আক্রান্ত মোহাম্মদ আরমান বাঁচতে চায়

    আনোয়ারায় ক্যান্সার আক্রান্ত মোহাম্মদ আরমান বাঁচতে চায়

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ ভয়াবহ মরণব্যাধির নাম ক্যান্সার। এটা থেকে মুক্তির উপায় আছে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সময় মতো চিকিৎসার ও অর্থের। এর চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি হওয়ায় বহু রোগী মারা যায়। তাই সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সবাই যদি সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে বেঁচে যেত অনেক প্রাণ।

    ক্যান্সার আক্রান্ত মোহাম্মদ আরমান হোসেন (১৫)। আনোয়ারা উপজেলায় রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা ৯ নং ওয়ার্ড হাড়িয়ে পাড়ার রমজান আলী ছেলে। রায়পুর এজহারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির ছাত্র।

    ক্যান্সার আক্রান্ত মোহাম্মদ আরমান হোসেন বাবা রমজান আলী জানান, আমি একজন দিনমজুর মানুষ।আমার দু’ ছেলে ১ মেয়ে সন্তান আছে। আরমান আমার বড় সন্তান। সারাদিনের কষ্ট উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোন রকমের আমার সংসার চালায়। আমার আরমান ভয়াবহ মরণব্যাধির ক্যান্সার আক্রান্ত।

    ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলের সুচিকিৎসার জন্য সরকার এবং সব শ্রেণির হৃদয়বান মানুষদের নিকট জরুরিভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

    স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ফোরকান জানান, আমরা এলাকাবাসী মিলে একটা ফান্ড গঠন করছি। মোহাম্মদ আরমান হোসেন সুচিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আমি সকলের সহযোগিতায় কামনা করতেছি।

    সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা :সিফাত, পার্সানাল বিকাশ নাম্বার – 01814908237।
    পার্সানাল নগদ, রকেট নাম্বার – 01873151380। জব্বার পার্সানাল বিকাশ নাম্বার – 01994172231। পিতা, রমজান আলী – যোগাযোগ মোবাইল নং – 01857217426।

  • আনোয়ারায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফ হত্যা মামলার আসামি অংকন নন্দী গ্রেফতার

    আনোয়ারায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফ হত্যা মামলার আসামি অংকন নন্দী গ্রেফতার

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ আনোয়ারায় ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফ উদ্দিন ইমন হত্যা মামলার চতুর্থ আসামি অংকন নন্দীকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শনিবার (২৫ জুন ) রাত দশটার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন কাজী ডেইরি এলাকা থেকে আশরাফ এর সহপাঠীরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

    থানা সূত্রে জানা যায়,গতকাল সন্ধ্যায় কাজীর দেউড়ি এলাকায় এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে গানের কনসার্ট চলা অবস্থায় সেখানে আশরাফ হত্যা মামলার চতুর্থ আসামী অংকনকে দেখা যায়। তখন আশরাফের সহপাঠীরা তাকে ধাওয়া করে ধরে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে।

    আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম এস দিদারুল ইসলাম জানান, আশরাফ হত্যা মামলার চতুর্থ আসামিকে কোতোয়ালি থানায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আনোয়ারা থানা পুলিশ তাকে বুঝে নিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফ উদ্দিন খুন হন। নিহত আশরাফ উদ্দিন নোয়াখালী জেলার মাইজদী এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর ছেলে। তিনি দিলোয়ারা জাহান কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পরের দিন ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার আশরাফের বাবা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বাদী হয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নয়ন সরকারসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • আনোয়ারায় স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা নববধূর বাচ্চা নষ্ট

    আনোয়ারায় স্বামীর লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা নববধূর বাচ্চা নষ্ট

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ স্বামী ফোরকানের ফতোয়া ছিল, তাঁর সঙ্গে সংসার করতে হলে ব্যাবসা করতে বাপের বাড়ির থেকে নগদে ২ লাখ টাকা এনে দিতে হবে এবং সন্তান নেওয়া যাবে না। কিন্তু স্বামী সহবাস বন্ধ না করায় স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

    স্বামী ফোরকান নিদান দিয়েছিলেন, বিয়ে আরেকটি করবে আর ভাড়া বাসায় ২য় বউ রাখবে তাই জান্নাতুল এর সন্তান নেওয়া যাবে না। জান্নাতুল ফেরদৌস তার বাড়িতে বুয়ার কাজ করবে। আর তাকে মাদক সেবনের খরচ জোগাড় করে দিতে হবে। সে নিদান মানেননি স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। তাই তাঁর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে।

    ঘটনাটি আনোয়ারার ২নং বারশত ইউনিয়ন এর চালিতাতলী এলাকায়। এমন ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত মেয়ের পরিজন থেকে প্রতিবেশীরাও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই গত ২২জুন বুধবার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে অভিযোগ করলেন স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০২১সালের নভেম্বর এর ২৬তারিখ মাত্র ৬মাস আগে আনোয়ারা ২নং বারশত ইউনিয়নের চালিতাতলী গ্রামের বাসিন্দা গফুরের ছেলে ফোরকানের সঙ্গে বিয়ে হয় জান্নাতুলের।বিয়ের সময় ফার্নিচার বাবদ জনসম্মুখে নগদ এক লক্ষ টাকাসহ পাচশত মানুষ বরযাত্রী খাইয়ে ও কানে, হাতে, নাকে, আংগুলে সব মিলিয়ে ১ভরি স্বর্ন বুঝিয়ে দিয়ে ধুমধামে সামাজিকভাবে বিবাহ দেন মেয়ের পরিবার। কিন্তু বিগত ৬ মাসে ছেলের পরিবার প্রায় ৬০০ বারের বেশি মারধর করেছে। এই বিষয় নিয়ে বহুবার সামাজিকভাবে বৈঠক হয়েছে। উভয় পক্ষের দুই ওয়ার্ডের মেম্বারগন বসে ছেলে ও ছেলের বাবার থেকে একটি মুচলেকা নেয়া হলেও তারা আজোব্দি ঠিক হয়নি। মুছলেখাতে ২ মাসের মধ্যে মেয়েকে সব কিছু কিনা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় আর নির্যাতন বন্ধ করবে বলে স্বীকারোক্তি দেয় গফুর ও ছেলে ফোরকান।

    জান্নাতুল ফেরদৌসের অভিযোগ, বিয়ের পরেই তাঁর স্বামী ফোরকান ও তার পরিবার গায়ের সকল স্বর্ন খুলে নিয়ে বেচে দেয়। স্বর্ন বেচা টাকা দিয়ে বাবা ও ছেলে চোলাই মদ, গাজা ইয়াবা সেবন করেন বাবা ও ছেলে। মাদকাসক্ত হয়ে বাবা গফুর ও ছেলে ফোরকান গভীর রাতে বাসায় ফিরেন।বাবা গফুর দিবালোকেও মদ খেয়ে পাগলামি করেন। আর আমার স্বামী ফোরকান বাসায় না থাকলে আমার শশুর গফুর বিভিন্ন ভাবে আমাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন।বহুবার গায়ে হাত দেন,কাপড় ধরে টানাটানি করেছেন।আমি শশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে বা প্রতিবাদ জানালে স্বামী ফোরকান প্রচন্ড লাথি-ঘুষি মারতে থাকেন।এসময়ে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আজেবাজে গালিগালাজ করেন। লাঠি এনে দেন ফোরকান কে। ফোরকানের বোন শাহিদা চুল ধরে টানতে থাকেন। আর আমাকে বেশির ভাগ সময়ে তারা খাবার দেন না। আমাকে ক্ষেতে দেয় পচা-বাশি, নষ্ট খাবার গুলি যেগুলি কুকুর কে দেয়া হয় সেইগুলি তারা আমাকে খেতে দেন। তাছাড়া ফোরকান একাধিক মেয়ের সাথে ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ রেখেই চলেছে। একটি মেয়ের সাথে সবচেয়ে বেশি কথা বলেন সেই মেয়েটির সাথে ফোনে কথা বলার জন্য আমাকে পরামর্শ দেন।আমি তার দেয়া মেয়ের সাথে কথা বলতে অসম্মতি জানালে আমাকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও প্রান নাশের হুমকি দিতে থাকেন।

    জান্নাতুল ফেরদৌস আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে ফোরকান বিভিন্ন ‘ফতোয়া’র কথা জানান। জান্নাতুল ফেরদৌসের কথায়, ‘‘স্বামীর ফতোয়া ছিল, তাঁর সঙ্গে সংসার করলেও সন্তান নেওয়া যাবে না।’’ অন্য দিকে, স্বামী সহবাস বন্ধ না করায় বিয়ের চার মাসের মধ্যে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। আর তাতেই চটে যান স্বামী ফোরকান ও তার শশুর বাড়ির মানুষজন। গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে দিতে হবে বলে নিদান দেন। এই নিদান না মানায় স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির আরও চার সদস্য তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ। তবে দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করেও গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করতে চাননি তিনি। তাতেই নাকি রাগ চড়ে যায় ফোরকানের।

    গত ১০ জুন মধ্যরাতে প্রচন্ড বাক-বিতণ্ড করে স্ত্রীর পেটে সজোরে লাথি মেরে তার গর্ভে থাকা ৩ মাসের সন্তানকে তিনি ‘হত্যা’ করেন বলে অভিযোগ। পেটে অসহ্য যন্ত্রণার পাশাপাশি একটু একটু রক্তক্ষরণও শুরু হয় জান্নাতুলের।কাকতালীয় ভাবে জান্নাতুলের বাবা পরদিন ১২তারিখ সকালে মেয়েকে দেখতে যান।গিয়ে দেখেন মেয়ের অবস্থা খারাপ।তিনি গিয়ে সবার থেকে ভালো ব্যাবহারের পরিবর্তে কুকুরের মত খারাপ ব্যাবহার পান ফোরকানের পরিবারের থেকে। মেয়েকে কি হয়েছে বাবা আবদুর রাজ্জাক জিজ্ঞাসা করতেই তারা জান্নাতুল কে চুলের মুটি ধরে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে পরনের এক কাপড়ে বের করে দেয়।মেয়ের বাবা আবদুর রাজ্জাক মেয়ে অসুস্থ জান্নাতুল কে এনে পল্লী চিকিৎসক দেখান।পল্লী চিকিৎসা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। চমেক হাসপাতালের প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্টের মতে বাচ্চার ব্রুন নষ্ট হয়ে যায় বলে জানা যায়।

    জান্নাতুল ফেরদৌসের মা সেলিনা বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা মেয়ে বিয়ে দেই।মেয়ের সুখ আর দেখা হলোনা।‘‘হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও আমার মেয়ের গর্ভে থাকা মৃত তিন মাসের সন্তানকে বার করে কোনও রকম তাকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন।’’ আমি তাদের উচিত বিচার চাই। শারীরিকভাবে আমার মেয়ে খুব অসুস্থ।

    জান্নাতুল ফেরদৌসের উকিল জানিয়েছে, জান্নাতুল ফেরদৌসের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়েছে।বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমুলে নিয়েছেন।খুব দ্রুত জান্নাতুল ফেরদৌস তার সকল অপুরনীয় প্রাপ্য ক্ষতিপূরণসহ দাবি করা আসামীর শাস্তি পাবেন বলে আশাবাদী।

  • আনোয়ারায় সন্ধ্যা নামতেই পাহাড় থেকে নেমে আসে বন্যহাতি,আতঙ্কে মানুষ

    আনোয়ারায় সন্ধ্যা নামতেই পাহাড় থেকে নেমে আসে বন্যহাতি,আতঙ্কে মানুষ

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ সন্ধ্যা নামে হাতির ভয়ে। বিগত কয়েক বছর যাবৎ আনোয়ারা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে থামছে না বন্য হাতির তাণ্ডব। দেয়াং পাহাড় সংলগ্ন বৈরাগ ইউনিয়ন মধ্যম গুয়াপঞ্চক গ্রামে মোহাম্মদ উল্যা পাড়া এলাকায় বন্যহাতির তান্ডবের বসতবাড়ি ভাংচুর।

    রবিবার (১৯ জুন) রাত ১১ দিকে বন্যহাতি মধ্যম গুয়াপঞ্চক ৫নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ উল্যা পাড়া এলাকায় মোঃ আব্দুলের বসতবাড়িতে তান্ডব চালায়।

    ভুক্তভোগী আব্দুল জানান, আমি প্রতিদিনের মতো পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাসায় ঘুমাচ্ছি। এমন সময় রাতে বেলা ১১ দিকে বন্যহাতি আমার ঘরে দেয়াল, দরজা, জিনিসপত্র ওপর তান্ডব চালায়। আমরা কোনরকমে ঘরথেকে পালিয়ে বাহির হই।আমি গরীব মানুষ, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বসতবাড়িটি তৈরি করছি। আমার সার্মথ্য নেই যে নতুন দরজা, দেয়াল দিব। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

    স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বন্যহাতিগুলো দিনের বেলা কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায় দেয়াং পাহাড়ের অবস্থান নেয়। রাতে বেলা দেয়াং পাহাড় থেকে লোকালয় এসে তান্ডব চালায়।

    স্থানীয় শাহেদ নামে এক ব্যক্তি জানান, হাতির উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন ও বনবিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বন্যহাতি গুলো সরানো জন্য কোন প্রতিকার পাইনি।

    আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম জানান, বন্যহাতি তান্ডব একটা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতি পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃকর্তা জানানো হবে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ জানান, বন্যহাতি মাঝে মধ্যে তান্ডব চালাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের বন বিভাগ থেকে ওনাদের জন্য সুযোগ সুবিধা চেষ্টা করছি এখনো করতেছি। বন্যহাতি আক্রমণের যে ক্ষয়ক্ষতি হবে এর ওপর নিবার্চন করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    পটিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ অফিসার মোঃ ফোরকান জানান, বন্যহাতির আক্রমণের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রথমে থানা অভিযোগ করতে হবে।অভিযোগের তদন্তের সাপেক্ষ বনবিভাগ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।বন্যহাতি গুলো সরিয়ে নেওয়া বিষয়ের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিবেদককে জানান উর্ধ্বতন কর্তৃকর্তাকে জানানো হয়েছে।

  • আনোয়ারায় ফায়ার সার্ভিসের মহড়া অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারায় ফায়ার সার্ভিসের মহড়া অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ভূমিকম্প ও অগ্নিনির্বাপণ সংক্রান্ত ফায়ার সার্ভিসের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) উপজেলার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।

    মহড়ায় স্কুল শিক্ষার্থীদের আগুন থেকে মানুষদের উদ্ধার করা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

    এসময় আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস টিম, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আনোয়ারায় ৫ বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই

    আনোয়ারায় ৫ বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের বন্দর সেন্টার টেস্ট অব লন্ডন রেস্টুরেন্টের পিছনের জেলে পাড়া ও রাহাত্তার বাড়ি এলাকায় আগুনে পুড়ে ৫ বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি করছেন।

    বুধবার (১৫ জুন) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বন্দর সেন্টার টেস্ট অব লন্ডন রেস্টুরেন্ট এর পিছনে জেলে পাড়া ও রাহাত্তার বাড়ি এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

    অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, রাজ্জাক খান, লাল বানু, বাবুল হক,আয়শা খানম, নেপাল দাশ।

    ক্ষতিগ্রস্ত মোজাম্মেল খান বলেন, হঠাৎ রাত আড়াইটার দিকে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে সারা বাড়িতে। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে এখনও জানা যায়নি। আগুনে আনুমানিক পাঁচ বসতঘরের ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

    এই বিষয়ে উপজেলা ফাসার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ বেলাল হোসেন জানান, রাত পৌনে তিনটার টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় পাঁচটি পরিবারের ৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

  • আনোয়ারায় ইউপি নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষঃ পুলিশ সহ আহত ১৫, আটক ১৪

    আনোয়ারায় ইউপি নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষঃ পুলিশ সহ আহত ১৫, আটক ১৪

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিনে নৌকার প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দীনের সমর্থকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ১৫ জন আহত হয়েছেন।

    সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায ৭ টায় উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ছাত্তারহাট, কালিগঞ্জ ব্রিজ, লালার হাট, মাহাতা ও দেউতলা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

    আহতদের মধ্যে গুরুতর হলেন- ১নং বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: জাহাঙ্গীর আলম, চাতরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াছীন হিরু, সাবেক ইউনিয়ন সাধারণত সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হারুন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাকারিয়া, সিংহরা ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল্লাহ খাঁন, পুলিশ কনস্টেবল মো. কামাল ও যুবলীগ নেতা জালাল। আহত কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তার মধ্যে বেশ কজনকে চট্টগ্রাম মেডিকালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।

    হামলায় নৌকার প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী একজোট হয়ে ইউনিয়নের প্রবেশমুখগুলো ঘিরে প্রচারণায় অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখনও ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতা কর্মীদের আটক করে হামলা চালানো হচ্ছে।
    হামলার অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দীন বলেন, নৌকার বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমার নির্বাচনি ক্যাম্পে এসে আমাকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করতে আসলে নিয়ে আসে।

    এই বিষয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচনকালীন সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন রয়েছে।

  • আনোয়ারায় রিকশা উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা আবুল কালাম

    আনোয়ারায় রিকশা উপহার পেয়ে খুশিতে আত্মহারা আবুল কালাম

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের উদ্যােগে দরিদ্র রিকশা চালক আবুল কালাম (৭০) নতুন রিকশা হস্তান্তর করা হয়েছে।

    বুধবার (১৪ জুন) দুপুরের উপজেলা কার্যালয়ের সামনে রিকশা চালক আবুল কালামের হাতে নতুন রিকশা হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়র আহমেদ।

    নতুন রিকশা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা আবুল কালাম (৭০) জানান, আমি দীর্ঘদিন ৩০ বছর যাবৎ রিকশা চালিয়ে জীবিকার নির্বাহ করি।আমার সংসারের স্ত্রীসহ ৩ ছেলে মেয়ে রয়েছে। গত সপ্তাহে রাস্তা পাশে রিকশা রেখে দোকানের চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি আমার রিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে রিকশাটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে যায়। আমি দিশেহারা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদের কাছে আমার দুঃখে কথা জানালে, ওনি আমাকে নতুন একটা রিকশা উপহার দেন। আমি শেখ জোবায়ের মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

    এই বিষয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবারয় আহমেদ জানান, দরিদ্র রিকশা চালক আবুল কালাম আমাকে ওনার দুঃখের কথা জানালে আমি আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আবুল কালামের হাতে একটি নতুন রিকশা হস্তান্তর করি।

  • আনোয়ারা বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্সের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ, সচেতন মহলের ক্ষোভ

    আনোয়ারা বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্সের পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ, সচেতন মহলের ক্ষোভ

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্স পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপের সৃষ্টি হয়েছে ভয়ানক নোংরা পরিবেশ। ময়লা আবর্জনার কারণে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সচেতন মহল।

    সরেজমিনের পরিদর্শন করে জানা যায়, বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্সের সামনের সিইউএফএল সড়কের পাশে সৃষ্টি হয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ। মহাল খান বাজারের সকল ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে সৃষ্টি হয়েছে নোংরার স্তূপ। বিভিন্ন প্রকার বর্জ্যের দুর্গন্ধে কারণে পথযাত্রীরা নাক চেপে চলাফেরা করতে দেখা যায়।

    পথযাত্রী সোলাইমান জানান, আমি একজন গার্মেন্টস কর্মী। প্রতিদিন এই বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্সের সামনে সিইউএফএল সড়কের দিয়ে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে আমাদের চলাচলের সমস্যা হচ্ছে এমনি স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও রয়েছে।

    শেখ আবদুল্লাহ নামে এক মানবিক ব্যক্তি জানান, বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্স আমাদের বীর মুক্তিযুদ্ধের অহংকার। আমরা জাতীয় সকল দিবসসহ বিভিন্ন সময় বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্সে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্স সবুজের ঘেরা একটি নন্দিত স্থান। এমন একটা স্থানের সামনে ময়লা আবর্জনা স্তূপ খুব দুঃখ জনক।

    ইতিহাসের তথ্য মতে, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার অন্যতম স্থান হলো বন্দর বধ্যভূমি। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সূত্রে জান যায়, উপজেলার বন্দর গ্রামের বধ্যভূমিতে ১৯৭১ সালের ২০ মে ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী ১৫৬ জন মানুষকে অমানুষিক নির্যাতনের পর গুলি করে মারা হয়। এতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করে স্থানীয় রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী। এসব শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি রক্ষার্থে বধ্যভূমির ৫০ শতক সরকারি খাস জমির উপর আকর্ষণীয় কমপ্লেক্স ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

    ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর এ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
    ২০১১-১২ সালে সংসদ সদস্য মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপির উদ্যোগে দেড় কোটি টাকার সরকারি অর্থায়নে বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। সেই বধ্যভূমির পাশে সেন্টারের ব্যবসায়ীরা এবং বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলে ভাগাড় সৃষ্টি করা হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের মাঝে।

    জনসচেতনতার অভাব আর দায়িত্ববানদের অবহেলা ও কর্তৃপক্ষের চরম অব্যবস্থাপনায় এই বধ্যভূমির চারপাশের সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

    দক্ষিণ বন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী চৌধুরী বলেন, বীর শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয়েছে বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্স। বধ্যভূমি সামনের ময়লা আবর্জনা স্তূপ আমাদের জন্য খুবই দুঃখ জনক।আমি উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানানো হলে ওনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

    বন্দর বধ্যভূমি স্মৃতি কমপ্লেক্স ময়লা আবর্জনা স্তূপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী জানান, আমরা পুরো সেন্টার পরিষ্কার করার জন্য একটা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

    বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, বধ্যভূমির পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলা ব্যক্তিদের খোঁজ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং চারপাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হবে।

  • চাতরী চৌমুহনী বাজারের জলাবদ্ধতা যেন দুর্ভোগের কাটা, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

    চাতরী চৌমুহনী বাজারের জলাবদ্ধতা যেন দুর্ভোগের কাটা, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলার অর্থনীতির চাকা সচ্ছল হলেও এর প্রাণকেদ্র ঐতিহাসিক চাতুরী চৌমুহনী বাজারে অল্প বৃষ্টি হলেই ময়লা আবর্জনার নোংরা পানিতে জলাবদ্ধতা যেন দুর্ভোগের কাটা।

    জানা যায়, উপজেলায় হাজার হাজার মানুষের কর্মস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কেইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকো, কর্ণফুলী টানেলের শ্রমিক-কর্মচারী, পর্যটন কেন্দ্র পারকী সমুদ্রের সৈকতের যাতায়াতের মূল কেন্দ্র হচ্ছে চাতরী চৌমুহনী বাজার। কিন্তু বৃষ্টি নোংরা পানি ময়লা আবর্জনার জলাবদ্ধতা দুর্ভোগের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চরম ভোগান্তিতে চলাচল করতে পথযাত্রারা।

    সরেজমিনের পরিদর্শন করে দেখা যায়, সিএফএল সড়ক ও পিএবি সড়কের গোল চত্বরের সামনে জলাবদ্ধতা গর্ত সৃষ্টির হয়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনার। সড়কের গর্তের জমে থাকা পানিতে আটকে পড়ছে যানবাহন। অনেক সময় আটকা পড়া চলন্ত গাড়িগুলো টেনে গর্ত থেকে তুলতে হচ্ছে, সতেচন মহল বিশেষজ্ঞ দাবি করতে অধিক লাভের আশা বাজার কমিটির কর্তৃপক্ষ ভাসমান দোকান বাসানো, হোটলের ময়লা আবর্জনার ড্রেনের পড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনসমূহ পরিষ্কার করণের কার্যক্রম না করলে চৌমুহনী বাজার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে আরো বহু গুণ।

    আনোয়ারা সরকারি কলেজের ছাত্রীর রিংকি দাশ বলেন, নোংরা পানির ময়লা আবর্জনা জন্য ঠিক মতো গাড়ি পাচ্ছি না। নোংরা পানির থেকে দুর্গন্ধের কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও রয়েছে।

    অটোরিকশা চালক সোহেল বলেন, অল্প বৃষ্টি পানিতে জলাবদ্ধতা কারণে গাড়ি চালাতে হিমসিম ক্ষেতে হচ্ছে, ড্রেনসমূহ পরিষ্কার করে দিলে পানি আর জমে থাকবে না।

    এবিষয়ে চাতরী চৌমুহনী বাজার কমিটির সভাপতি আনোয়ারকে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

    এবিষয়ে উপজেলা চাতুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, বাজারের জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগেও সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। চলমান ছয় লাইনের কাজটা শেষ হলেই আমরা পানি নিষ্কাসনের কাজ শুরু করবো।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, আমরা অনেক সময় প্রশাসনের উদ্যোগে চৌমুহনী বাজারের পানি নিস্কাসনের ড্রেন পরিস্কার করেছি। আসলে যতদিন পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সচেতন না হবে ততোদিন এটা লেগেই থাকবে। তাই যত্রতত্র ময়লা ফেলা, ড্রেন পরিস্কার রাখা এসব বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই জলবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব।

  • সংবাদ প্রকাশের পর আবর্জনা মুক্ত হলো আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশ বক্স

    সংবাদ প্রকাশের পর আবর্জনা মুক্ত হলো আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশ বক্স

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চাতরী চৌমুহনী বাজারের “ট্রাফিক পুলিশ বক্সের যেন ময়লা আবর্জনার স্তূপ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশকের পর আবর্জনায় মুক্ত হলো ট্রাফিক পুলিশ বক্স।

    মঙ্গলবার (৩১ শে মে) সরেজমিনের পরিদর্শন করা দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশ বক্সের চার পাশের নোংরা পানির নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ পরিষ্কার এবং ময়লা আবর্জনা গুলো পরিষ্কার করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

    পথযাত্রী শেখ আবদু্ল্লাহ্ বলেন, খবর প্রকাশের পর ট্রাফিক পুলিশ বক্সের বিষয়টা নজরে আসার পর ময়লা আবর্জনা গুলো পরিষ্কার করে সুন্দর একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছে। চাতরী চৌমুহনী বাজারের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ইনচার্জকে এই রকম সুন্দর একটা উদ্দ্যােগ গ্রহণ করা জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

    এই ব্যাপারে আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আসলে বিষয়টা খুব দুঃখ জনক, এই মাসে সড়ক উন্নয়নের জন্য ট্রাফিক পুলিশ বক্সটা ভেঙ্গে অন্য জায়গা জায়গা হস্তান্তর করার কথা ছিল। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টা আমার নজর আসলে আমি তাৎক্ষণিক ভাবে নোংরা পানির নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার সহ ইট, বালি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। আশেপাশের দোকানদারকে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য, যদি কেউ আদেশ অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।