Tag: আনোয়ারা

  • আনোয়ারায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স যেন ময়লা আবর্জনার স্তূপ

    আনোয়ারায় ট্রাফিক পুলিশ বক্স যেন ময়লা আবর্জনার স্তূপ

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃ  চট্টগ্রামে আনোয়ারা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চাতরী চৌমুহনী বাজারের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের চারপাশে ভয়ানক নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তূপ।

    শনিবার (২৮ মে) সরেজমিনে পরিদর্শন করা দেখা যায়, চাতরী চৌমুহনী বাজার সিইউএফএল সড়কের নোংরা পানি, ময়লা আবর্জনার নদর্মা পরিনত এবং ট্রাফিক পুলিশ বক্সের চারপাশে ময়লা আবর্জনার পাহাড় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে।

    পথচারী আরফাত জানান, চাতরী চৌমুহনী হচ্ছে আনোয়ারা উপজেলা মূল প্রাণকেন্দ্র। এমন একটা জায়গা বৃষ্টি হলে হাঁটা চলার করতে নানার সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে নোংরা পানি এবং ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে পিছনে ময়লা আবর্জনার পাহাড়ের পরিনত হয়েছে।

    সিএনজি (অটোরিকশা) চালক মোঃ আলম জানান,আমার বাড়ি বাঁশখালী উপজেলা, আমি নিয়মিত এখানে সাধারণ যাত্রী নিয়ে যায়।সামান্য বৃষ্টি হলে চাতরী চৌমুহনী বাজারের নোংরা পানি ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে গাড়ি চালাতে নানা মুখি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

    এই ব্যাপারে আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, ময়লা আবর্জনার জন্য সমস্যা আমাদের তো বেশি হচ্ছে এই মাসে সড়কের কাজের জন্য ভেঙ্গে দেওয়া কথা আছে। ট্রাফিক বক্সটা অন্য জায়গা বসানো হবে। যখন ভেঙ্গে দিবে, তখন ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ওদেরকে বেশি চাপ দেওয়া যাবে না।

  • বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন হত্যায় জড়িত ‘কালা হেলাল’ বিএনপির সদস্য সচিব, সারাদেশে তোলপাড়

    বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন হত্যায় জড়িত ‘কালা হেলাল’ বিএনপির সদস্য সচিব, সারাদেশে তোলপাড়

    নিউজ ডেস্কঃ আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির কমিটিতে হেলাল উদ্দিন নামের জনৈক ব্যক্তিকে সদস্য সচিব করা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সারাদেশে। ২০ এপ্রিল মোশারফ হোসেনকে আহবায়ক ও হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৬১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ। অনুমোদনের ২৪ দিন পর গত ১৪ মে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানান দেয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব বিএনপিসহ বিভিন্ন মতাদর্শের লোকজন।

    নতুন করে সামনে এসেছে সারাদেশের আলোচিত অপহরণ ও হত্যাকান্ড ‘ বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন ‘ ইস্যু। জামাল উদ্দিনের অপহরণের পর আদালতে তৎকালীন আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক (২০০৫) শহিদুল আলমের জবানবন্দিতে ‘ এই অপহরণের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কালা হেলালের নাম আসার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

    ক্লুলেস অনেক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, তদন্তকারী সংস্থাগুলো-এমন সফলতার মুকুটে কলঙ্ক তিলকের নাম জামাল উদ্দিন অপহরণ, হত্যাকাণ্ড।

    আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে জামাল উদ্দিন অপহরণ, হত্যাকাণ্ড। বের হয়েছে একযুগ পুরোনো বিভিন্ন জবানবন্দির নথি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বরাবর জমা দেয়া চট্টগ্রামের উপজেলার শীর্ষ আট নেতার অভিযোগ পত্রে উঠে আসে সেই পুরোনো হেলালের নাম। সেই সুত্র ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে শহিদ চেয়ারম্যানের জবানবন্দির নানা তথ্য।

    দীর্ঘ উনিশ বছরেও শেষ হয়নি সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের বিচারের কাজ। চট্টগ্রামের আনোয়ারার বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে গ্রেফতার হওয়া আসামি শহীদ চেয়ারম্যান আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। ২০০৫ সালের ২০ আগস্ট আদালত দেয়া জবানবন্দিতে শিল্পপতি জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যার বিভিন্ন তথ্য উঠে আসলেও তদন্ত ও বিচারের ধীরগতির রহস্যের শেষ হয়নি। মামলার আসামীদের কেউই এখন জেলে নেই। এই মামলায় শহিদ চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন।

    ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের চকবাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁওয়ের বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে। অপহৃত জামাল উদ্দিনের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই বছর পর অপহরণের অন্যতম হোতা আনোয়ারা সদরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কালা মাহবুব ও তাঁর স্বীকারোক্তিতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা কাঞ্চননগরের পাহাড়ি এলাকা থেকে ২০০৫ সালের ২৪ আগস্ট জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করে র্যাব।

    শহীদ চেয়ারম্যানের (বর্তমানে সাবেক) দেয়া জবানবন্দিতে বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে অপহরণের বিস্তারিত তথ্য উঠে আসে। অপহরন মিশনে সরাসরি জড়িত হেলাল উদ্দিন (কালা হেলাল, বাড়ি আনোয়ারার হাইলদর) , নাজিম, অমর দাশ, ইসহাক ড্রাইভার, সোবহান ড্রাইভার, গ্যারেজ কাশেমের সম্পর্কে নানা তথ্য প্রদান করেছিলেন তিনি। সেসময় রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও ‘ হেলাল’ সম্প্রতি আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের পদ পেয়েছেন।

    এরআগে ২০১৯ সালে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে প্রথম পদ পান হেলাল উদ্দিন।

    উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মিদের দেয়া তথ্যমতে প্রয়াত বিএনপি নেতা শাহজাহান চেয়ারম্যানের সাথে হেলালের পারিবারিক আত্নীয়তার কারনে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন নেতার সাথে পরিচয় ও সখ্যতা হয়। ধীরে ধীরে চট্টগ্রামের সাবেক এক সাংসদের ভাইয়ের সাথে তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হয়।

    মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানিয়েছে, জামাল উদ্দিন অপহরণের সাথে জড়িত সবাইকেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছিল৷ কিন্তু তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রভাবশালী কোন এক মন্ত্রীর কারণে দেশব্যাপী আলোচিত এই অপহরণ ও হত্যাকান্ডের মামলা গ্রহনে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয় জামাল উদ্দিনের পরিবারকে । ২০০৭ সালে প্রথম আলোচিত এই হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    শহিদ চেয়ারম্যানের দেয়া স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে দূর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে জামাল উদ্দিনের কঙ্কাল উদ্ধার করার পর সিংগাপুরে ডিএনএ পরীক্ষা করে তদন্তকারী সংস্থা নিশ্চিত হয়েছিল জামাল উদ্দিনকে অপহরণের পর মেরে ফেলা হয়েছে। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে শহিদ চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘তখন তারা হেসে হেসে বলে জামাল উদ্দিনকে অপহরণ করা হবে। আমি হাস্যকর মনে করছি। তখন তারা বলে গাড়িতে উঠো। সামনের একটি সাদা মাইক্রোতে আমাকে উঠায়।’

    জবানবন্দিতে শহিদ চেয়ারম্যানের দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে সাদা মাইক্রো গাড়িতে অপহরণ করে জামাল উদ্দিনকে উত্তর চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। জামাল উদ্দিন তখন একটি রিকসাতে করে বাসায় ফিরছিলেন। সেদিন রাত ৯/৯.৩০ মিনিটের দিকে অপহরণে ব্যবহৃত গাড়িটি গতিরোধ করে তার। গাড়িতে শহিদ চেয়ারম্যান বসা ছিলো -এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন অপহরণের সাথে ফটিকছড়ির কাসেম চেয়ারম্যানের পরিকল্পনার কথা।

    মুক্তিপণ ভাগাভাগি নিয়েও তথ্য দেন শহিদ । তার বক্তব্য অনুযায়ী ‘হেলাল, নাজিম, ইসহাক খুবই দূর্দান্ত প্রকৃতির। আমি মুক্তিপণের কোন টাকাই পাইনি।’

    ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনকে অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়ে জামাল উদ্দিনের স্ত্রী, শ্যালককে ফোন করেছিলো অপহরণকারী চক্রটি । জামাল উদ্দিনের পরিবারের সাথে ৫০ লক্ষ টাকায় দফারফাও হয়েছিলো। ততকালীন প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী অপহরণকারী চক্রকে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকাও প্রদান করেছিলো জামাল উদ্দিনের পরিবার। কিন্তু টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত জামাল উদ্দিনকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত কঙ্কাল ছাড়া তার লাশও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। জবানবন্দিতে শহিদ চেয়ারম্যান বলেন, ”অপহরণের পর জামাল উদ্দিনের পরিবার অর্থাৎ জামাল উদ্দিনের স্ত্রী, উনার শ্যালক, উনার ভাই,

    সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আমার সাথে কয়েকবার মুক্তিপণের টাকা দিলে, কিংবা কাকে ধরলে জামাল উদ্দিনকে পাওয়া যাবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমি বলি হেলাল, নাজিম, এবং অমর ও ইসহাক ওদের ধরলে জামাল উদ্দিনকে পাওয়া যাবে। আরো বলি আমি নিজেও খবর পেলে আপনাদের জানাবো। দুই মাসের মাথায় আমার মোবাইল নস্ট হয়ে যাওয়ায় কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারি না-এই আমার জবানবন্দি।’

    মামলা নিতে অনীহা, তদন্ত প্রতিবেদন থেকে মুল আসামিদের নাম বাদ দেয়া, বাদির নারাজি, উচ্চ আদালতে দুই আসামীর রীট- আদালতের স্থগিতাদেশ নানা কারনে গতি পায়নি জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার বিচার। শেষমেশ তদন্তের ফাইল চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পৌছুলেও বাদির কোন খোঁজ নেই। সমন জারী করেও আদালতে সাক্ষ্য দিতে নেয়া সম্ভব হয়নি জামাল উদ্দিনের ছেলে ও তার স্ত্রীকে। সংশ্লিষ্টদের মতে দেড় যুগের বেশি সময় জামাল উদ্দিনের পরিবার এমন লোমহর্ষক ঘটনার বিচারের জন্য প্রহর গুনছিল। কিন্তু বিচারহীনতার সংস্কৃতি তাদের হতাশ করেছে।

    জানতে চাইলে মামলার বাদি জামাল উদ্দিনের ছেলে চৌধুরী ফরমান রেজা বলেন, বিচারের আশায় অনেক দিনই তো হলো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন নিয়ে বিভিন্ন সময় আদালতে নারাজি উপস্থাপন করেছি। চার্জশিট থেকে অনেককেই বাদ দেয়া হয় যাদের নাম শহিদ চেয়ারম্যানের জবানবন্দিতে এসেছিলো। হেলাল নামের যে লোক আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির শীর্ষনেতা হয়েছেন, এতে আমি বিস্মিত নই। সবই তো বুঝেন। তবে উনি একবার এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সেসময়।’

    অভিযোগের তীর যার দিকে সেই হেলাল উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, জামাল উদ্দিন হত্যা, তদন্ত প্রতিবেদন, অপহরণের কোন মামলায় আমার নাম ছিলো না। জবানবন্দি কিংবা তদন্তের কোন জায়গায়ও আমার নাম কখনোই আসেনি। গ্রেফতার হওয়া শহিদ চেয়ারম্যানের জবানবন্দিতে কি বলেছিলেন সেটাও আমার জানা নেই। কেন্দ্রীয় বিএনপির কেউ বা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেউ কমিটি ঘোষণার আগে আট বিএনপি নেতার কথিত অভিযোগ যাচাইও করেননি। ‘

    আদালতের নথি অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালত। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত করে পাঠানো হয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে। একই বছরের নভেম্বরে মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠান চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ।

    ২০১৮ সালের ৩০শে জুলাই ছিল এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিলো মামলার বাদী জামাল উদ্দিনের পুত্র চৌধুরী ফরমান রেজা লিটনসহ তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তাদের কেউ আদালতে উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। ৫ই আগস্ট পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। সেবারও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন বাদি। তবে এর আগে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের খুঁজে বের করে আদালতে হাজির করার জন্য সিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালতের বিচারক।

    পুলিশের খাতায় চান্দগাঁও আবাসিকের বাসা পরিবর্তন করে ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পরিবার ও পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ। ধারনা করা হচ্ছে তদন্ত প্রতিবেদন, তদন্ত প্রক্রিয়ায় হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন মামলার বাদি। এই ঘটনার মুলহোতাদের কেউ কেউ তদবির করে চার্জশিট থেকে নাম কাটিয়েছেন, কেউ বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন, হদিস মেলেনি অনেকেরই। আবার অনেকেই সাফসুতরা হয়ে রাজনীতির মাঠে শীর্ষপদ বাগিয়ে নেবার প্রতিযোগিতায় মাঠে রয়েছেন।

  • আনোয়ারায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

    আনোয়ারায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারা সড়কে যাত্রীবাহি একটি বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে আনোয়ারাস্থ লাবিবা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    নিহতের নাম আব্দুর রহমান। পেশায় তিনি একজন মেকানিক। তিনি বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আব্দুল করিমের ছেলে।

    মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত সে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় ইউনিভার্সেল জিনস নামের একটি পোশাক কারখানার মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম শিকদার জানান, আব্দুর রহমান আজ শুক্রবার বন্ধের দিনে মোটরসাইকেলে করে শহর থেকে নিজ গ্রাম বাঁশখালীতে যাচ্ছিলেন।

    মোটরসাইকেলটি আনোয়ারা-বাঁশখালী সড়কের লাবিবা ক্লাবের সামনে পৌছালে একই দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেন।

    এতে মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করার তথ্য জানান পুলিশ।

    ২৪ ঘন্টা/রাজীব

  • আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

    আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

    আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

    বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে প্রেসক্লাবের কার্যলয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ফরহাাদুল ইমলামের সঞ্চলনায় সভাপতি আবদুল নুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাস্টার শামসুল আলম। এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এফ এফ কমান্ডার বজল আহমেদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাজিগাঁও শোলকাটা এস. জে নিজাম উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ জাগের ।

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাষ্টার শামসুল আলম বলেন , স্বাধীনতার ৫০ বছরের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন হচ্ছে। তবে কি বাংলার মুক্তিকামী মানুষের আশা ও আকাঙ্খা প্রতিফলন হয়েছে। আমরা ৭১ যে চিন্তা ও চেতনা নিয়ে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছি সেটি এখনো পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। স্বাধীনতা শক্তি ঐক্যের বিভক্তির নয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক। স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। গণ মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হলে দেশ আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে বলে মনে করেন তিনি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক নাবিদ , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ জাবেদুল ইসলাম , পাঠাগার সম্পাদক রিয়াদ হোসেন , তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক জাহিদ হাসান হৃদয় , খালেদ মাহমুদ হাসান ও শেখ আব্দুল্লাহসহ প্রেসক্লাবের সদস্য ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    এন-কে

  • আনোয়ারায় ২ সংবাদকর্মীর উপর কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলা, প্রেস ক্লাবের তীব্র নিন্দা

    আনোয়ারায় ২ সংবাদকর্মীর উপর কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলা, প্রেস ক্লাবের তীব্র নিন্দা

    আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃঃ আনোয়ারা উপজেলায় মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক আজকালের খবরের আনোয়ারা প্রতিনিধি জাহিদ হাসান ও চট্টগ্রাম নিউজের আনোয়ারা প্রতিনিধি রিয়াদ হোসেনের উপর অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার হাইলধর ডা: জসিমের এবাদাত খানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে সংবাদকর্মী জাহিদ হাসান ও রিয়াদ হোসেন হেঁটে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার পথে হাইলধর ডাক্তার জসিমের এবাদতখানার সামনে পৌঁছালে পিছন থেকে হঠাৎ করে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অর্তকিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় নেতৃত্ব দেয় হাইলধর গ্রামের মোঃ আনোয়ারের ছেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মোঃ ওসমান ও আবদুর রহমানের ছেলে মোঃ রিদুয়ান। হামলার সময় রিদুয়ান বলতে থাকে তুই সমাজের এত কিছু নিয়ে কিসের লেখালেখি করস, জুয়ার বিরুদ্ধে লেখোস, তুই কত বড় সাংবাদিক আমরা দেখে নেবো। ঘটনাস্থল থেকে আহত সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আনোয়ারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত সংবাদকর্মী জাহিদ হাসান।

    এ বিষয়ে আজকালের খবরের আনোয়ারা প্রতিনিধি জাহিদ হাসান বলেন, কিছুদিন আগে আমি এলাকার মাদক ও জুয়া নিয়ে নিউজ করেছি। তখন থেকে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়।

    এদিকে সংবাদ কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল নুর চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সালাহ্উদ্দীন। তারা প্রশাসনের প্রতি সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানান।

    এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার ওসি তদন্ত সৈয়দ ওমর বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/জাবেদুল

  • আনোয়ারায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    আনোয়ারায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে খুন

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃঃ জায়গা জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় রতন দাশ (৫৫) নামের এক মুদি দোকানীকে কুপিয়ে খুন করেছে প্রতিপক্ষ।

    শনিবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামে রমেশ দাশের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, নিহত রতন দাশ ৭নং সদর ইউনিয়নের ১নং খিলপাড়া ওয়ার্ডের রমেশ দাশের বাড়ীর মৃত নির্মল দাশের ছেলে। নিহত রতন দাশের ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।

    নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রতন দাশের সাথে স্থানীয় মিন্টু ভৌমিক ও টিটু ভৌমিকের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। কয়েক মাস আগে রতন দাশ তার দখলীয় জায়গা থেকে গাছ কাটলে প্রতিপক্ষ বাধা দেয়।  এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত গাছ কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
    কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আজ শনিবার মিন্টু ভৌমিক ও তার পরিবারের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে রতন দাশের পরিবারের উপর হামলা করার উদ্দেশ্যে কাটা গাছ টা নিয়ে যেতে চাইলে রতন দাশ বাধা দেন। এসময় ধারালো দেশী অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে রতন দাশের উপর আঘাত করে। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে পড়ে।

    পরে আহত অবস্থায় রতন দাশকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এই বিষয়ে নিহত রতন দাশের স্ত্রী অশ্রু দাশ জানান,পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মিন্টু ভৌমিক,টিটু ভৌমিক, এবং টিটু ভৌমিকের স্ত্রী কণিকা ভৌমিক ও তার ছেলে নিলয় কিশোর ভৌমিক আমাদের জায়গার কাটা গাছ নিয়ে যাওয়ার বাহানায় আমি এবং আমার স্বামী ও মেয়ের উপর হামলা করে। তারা দা এবং লাটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আমার স্বামী কে হত্যা করে। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

    এই ঘটনায় আনোয়ারা থানায় নিহতের স্ত্রী অশ্রু দাশ বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, টিটু ভৌমিক (৫০), মিন্টু ভৌমিক (৪৭), নিলয় কিশোর ভৌমিক (১৯), কনিকা ভৌমিক (৪৫)।

    ঘটনার তদন্তের বিষয়ে আনোয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সৈয়দ ওমর বলেন, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সকালে আনোয়ারা সদরের খিলপাড়া গ্রামে রতন দাশ নামে এক ব্যবসায়ীকে ধারালো দা ও লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হয়। তাকে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরবর্তীতে নিহতের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং অভিযুক্ত টিটু ভৌমিকের ছেলে নীলয় কিশোর ভৌমিক ও স্ত্রী কণিকা ভৌমিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/জাবেদুল

  • আনোয়ারায় আ’লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    আনোয়ারায় আ’লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

    আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

    এই উপলক্ষে বুধবার (২৩ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলা পরিষদে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে উপজেলার গোল্ডেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় অনুষ্ঠানে আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মন্নান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ভিপি জাফর উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ফজলুল করিম চৌধুরী বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন, সুগ্রীব মজুমদার দোলন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছৈয়দ, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর তালুকদার, যুবলীগের যুগ্ম আহবান অনুপম চক্রবর্তী।

    এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলার ২নং বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ, ৭নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব, ৮নং চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াছিন হিরু,৩নং রায়পুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি আমিন শরীফ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মালেক, সদস্য এরশাদ আলী সোহেল, এম নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফোরকান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদুর রশিদ, মোহাম্মদ ইলিয়াস প্রমুখসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠন গুলোর নেতা-কর্মীরা।

    ২৪ ঘণ্টা/জাবেদুল

  • হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রাঃ) এর ৪৫৬ তম ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত

    হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (রাঃ) এর ৪৫৬ তম ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃঃ করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সীমিত পরিসরে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও বার আউলিয়ার অন্যতম সম্রাট চট্টগ্রামের আনোয়ারার আধ্যাত্বিক হযরত শাহ্ মোহছেন আউলিয়া (র.) এর ৪৫৬ তম ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    রবিবার (২০ জুন) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট এলাকায় অবস্থিত হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া(রাঃ) এর মাজার প্রাঙ্গনে এই ওরশ অনুষ্ঠিত হয়।

    সরেজমিনে দেখা যায়, মোহছেন আউলিয়া (রাঃ) এর ওরশকে ঘিরে সকাল থেকে মাজার পরিচালনা কমিটি ছাড়াও উপজেলার ১১ ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় সংগঠন ও ভক্তরা কোরআন খাতম, মিলাদ মাহফিল ও তবারুক বিতরণের মধ্য দিয়ে ওরশের কর্মসূচি পালন করছে।

    ওরশ শরীফ এর কর্মসূচীর বিষয়ে দরগাহ পালা কমিটির মোতোয়াল্লি ফজলুল করিম বলেন,প্রতিবছর ব্যাপক আয়োজনে আজকের দিনে হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া(রাহঃ) বার্ষিক ওরশ শরীফ পালন করে আসলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবছরের ন্যায় এই বছরেও তেমন কোনো বড় ধরনের আয়োজন করা হয়নি। তবে ভক্তরা স্বাস্থবিধি মেনে নিজ নিজ দায়িত্বে জিয়ারত,খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিল করে ওরশ পালন করতেছেন।

    উল্লেখ্য যে,মোহছেন আউলিয়া (রহ.) ৮৮৬ হিজরী ৭২ বাংলা ১৪৬৬ সনে ১২ রবিউল আউয়াল জন্ম গ্রহণ করেন। এবং তার মামা হযরত বদর আউলিয়া এর সাথে হযরত সর্বপ্রথম চট্টগ্রামে আগমন করেন। পরিশেষে ৯৮৫ হিজরি মুতাবেক ১৫৬৫ ইংরেজি, ৯৭১ বাংলা, ৬ আষাঢ় চট্টগ্রামে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মরদেহ প্রথমে আনোয়ারা উপজেলার ঝিউরী শঙ্খ নদীর পাশে কবর দেওয়া হলে পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গনের ফলে উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের রুস্তম হাট এলাকায় স্থান্তর করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/জাবেদুল

  • পারকি সৈকতের পরিত্যক্ত মাল্টাগুলো অপসারণ

    পারকি সৈকতের পরিত্যক্ত মাল্টাগুলো অপসারণ

    আনোয়ারা প্রতিনিধিঃঃ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পারকি সৈকতের প্রায় আধাঁ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পরিত্যক্ত মাল্টাগুলো উপজেলা প্রশাসনের উদ্যােগে অপসারণ করা হয়েছে।

    বুধবার (১৬ জুন) সকাল থেকেই পার্কি বীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায় হাজার হাজার মালটা। এসব মালটায় যেন পারকির পরিবেশ নষ্ট না হয় তাই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গর্ত করে তা পুতে রাখা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে বিকেল ৪টার দিকে পারকী বীচে গর্ত করে এসব মালটা পুতে ফেলা হয়।

    এই বিষয়ে ইউএনও শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, পারকী সৈকতে ফেলে যাওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ মাল্টার কারণে পরিবেশের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য গর্ত করে এসব মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।

    কারা মালটা ফেলে গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখনো এই বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানায় রাতে ট্রাকে করে এনে এসব মালটা ফেলে রেখে গেছে। পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/জাবেদুল

  • আনোয়ারায় অবৈধ ডলার ব্যবসার হোতা ওসমান আটক

    আনোয়ারায় অবৈধ ডলার ব্যবসার হোতা ওসমান আটক

    আনোয়ারা প্রতিনিধি : অবৈধ ডলার ব্যবসায়ের হোতা ওসমান গনি (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার।

    বুধবার (১৬ জুন) বিকেল ৪টার উপজেলা ৪নং বটতলী ইউনিয়নের মোহছেন আউলিয়া মাজারের সামনে রুস্তম হাট বাজার থেকে অভিযান চালিয়ে ওসমান গনিকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা নগদ অর্থ পাওয়া যায়। আটক ওসমান গণি উপজেলার ৩নং রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকার ইব্রাহিমের ছেলে বলে জানা গেছে।

    সূত্র জানায়, ওসমান গণি উপজেলার বটতলী রুস্তম হাট এলাকাসহ নানা জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মার্কিন ডলারসহ অর্থ কালোবাজারের ব্যবসা করছিল। তার কাছে ডলার বিক্রয়ের কোন বৈধ কাগজপত্র কিংবা লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও সে অবৈধ এই কাজের সাথে লিপ্ত। আনোয়ারায় অবৈধভাবে ডলার ব্যবসার হোতা এই ওসমানই।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ওসি (তদন্ত) সৈয়দ ওমর বলেন, ৪ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার ও নগদ অর্থসহ ওসমান গনি নামের এক অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধ মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/জাবেদুল

  • জন্ম নিবন্ধন করতে ভোগান্তি, অতিরিক্ত “ফি” আদায়ের অভিযোগ

    জন্ম নিবন্ধন করতে ভোগান্তি, অতিরিক্ত “ফি” আদায়ের অভিযোগ

    মোঃ জাবেদুল ইসলাম, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ চাওয়ার পর থেকেই চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে অভিভাবক আর শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। কারো প্রয়োজন ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ আবার কারো প্রয়োজন সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন সনদ। এসব সনদ নিতে কোন প্রকার রশিদ ছাড়া সরকারি নির্ধারিত “ফি” এর তুলনায় বেশি অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে।
    আর সনদ গ্রহীতাদের স্বাস্থ্য বিধি মানতে বা মানাতে দেখা যায়নি কাউকে।

    বাংলাদেশ সরকারের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৭ এর বিধি ২৩ এর উপবিধি ৭ এ বলা হয়েছে জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম বা মৃত্যু সনদের জন্য কোনো “ফি” নেওয়া হবেনা, ৪৫ দিন থেকে ৫বছর পর্যন্ত যে কোনো ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যু সনদের ক্ষেত্রে ২৫ টাকা এবং ৫ বছর পর থেকে ৫০ টাকা করে “ফি” নির্ধারিত থাকলেও সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়নে নিজেদের ইচ্ছে মত “ফি” আদায় করতেছে।

    উপজেলার ১০ নং হাইলধর ইউনিয়নে হুমড়ি দিয়ে আছে অনেক অভিভাবক আর শিক্ষার্থী। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছোট হোক বড় হোক যে কারো জন্মনিবন্ধনের আবেদনের জন্য ১০০ টা ” “ফি” দিতে হয়। আর একজনের জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে গেলে তার পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধনসহ ৩টি জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হয়। এবং প্রত্যেক জনের জন্ম নিবন্ধনের জন্য ১০০ টাকা করে ৩০০ টাকা দিতে হয়। আর এসব টাকার কোনো রসিদ ও দেওয়া হচ্ছে না।
    উপজেলার ৬নং বারাখাইন ইউনিয়নে স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ না থাকায় জন্ম নিবন্ধন গ্রাহকদের ভোগান্তি মাত্রাটা দ্বিগুণ। উপজেলার সদরে প্রগতী কম্পিউটারে এসে সব ধরনের জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে হয়। আর এই সুযোগে গ্রাহকদের থেকে ইচ্ছে মতো “ফি” আদায় করার অভিযোগও উঠেছে প্রগতী কম্পিউটারের মালিক রবিনের বিরুদ্ধে।

    উপজেলার ৭নং সদর ইউনিয়নে দেখা যায়,নতুন জন্মনিবন্ধন করতে লাগছে নানা কাগজ পত্র । হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে ঝামেলা তো আছেই । এক সপ্তাহের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়ার কথা বলে ২৫ দিনেও পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেক ভুক্তভোগী। তারা অভিযোগ করে বলেন বয়সভিত্তিক জন্মনিবন্ধন “ফি” হলেও ছোট বড় সবার দিতে হয় ৮০টাকা করে ।

    উপজেলার ১নং বৈরাগ ইউনিয়নেও একটি জন্ম নিবন্ধনের জন্য ১০০/১৫০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এইভাবে উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে রশিদ বিহীন অতিরিক্ত “ফি” আদায়ের এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

    হাইলধর ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন করতে আসা একজন শিক্ষার্থী জানায়,স্কুল থেকে ডিজিটাল জন্ম সনদ চাওয়া পরে সব ডকুমেন্টস নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসলাম। এসে দেখি আমার জন্ম সনদ টা অনলাইন করার আগে না-কি আমার আব্বু-আম্মুর টা করতে হবে। তাই আমার আর আব্বু-আম্মুসহ তিন জনের জন্ম নিবন্ধনের জন্য ১০০ টাকা করে ৩০০ টাকা দিতে হয়েছে।

    এই সব অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, যে সব ইউনিয়নে সরকারি নির্ধারিত “ফি” এর তুলনায় বাড়তি “ফি” আদায় করতেছে সেসব ইউনিয়নের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • আনোয়ারায় ২ ভুয়া সাংবাদিক ইয়াবাসহ আটক

    আনোয়ারায় ২ ভুয়া সাংবাদিক ইয়াবাসহ আটক

    আনোয়ারা প্রতিনিধি : আনোয়ারার বরুমছড়া এলাকায় ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইয়াবা পাচারকালে ১৭ হাজার ৬৪৫ পিস ইয়াবাসহ ২ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৭)।

    আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার মোঃ কাইয়ুম শরীফের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৮), একই উপজেলার, মোঃ আমিনের ছেলে কবির আহাম্মেদ (৩১)।

    রবিবার (২১ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মোটরসাইকেল যোগে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে।

    এমন তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার (২১ মার্চ ) দুপুর সাড়ে ১১টার সময় র‍্যাবের একটি আভিযানিক দল ঐ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শহিদুল ইসলাম (২৮),কবির আহাম্মেদ (৩১) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

    পরে আটককৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানো ও শনাক্ত মতে নিজ হেফাজতে থাকা মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকির ভিতর হতে ১৭,৬৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি (চট্ট-মেট্রো-ল-১৪-২৯৪০) জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৫৪ লক্ষ টাকা।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-৭ এর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবসার বলেন, আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলাম (২৮), কবির আহাম্মেদ (৩১) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা দুইজনই দুটি সাংবাদিকতার আইডিকার্ড প্রদর্শন করে ও নিজেদের কে টেকনাফ প্রতিদিন এবং নাফ টেলিভিশন এর সাংবাদিক বলে দাবি করে।
    এসময় তাদের মোটর সাইকেল তল্লাশি করে ১৭,৬৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

    পরে গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরর্বতী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আনোয়ারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/জাবেদুল