Tag: আনোয়ার হোসেন

  • মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তুলে ধরতে হবে : রাউজানে ডিআইজি আনোয়ার

    মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তুলে ধরতে হবে : রাউজানে ডিআইজি আনোয়ার

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তুলে ধরতে পারলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

    তিনি মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের আবুরখীল গ্রামে শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ কনস্টেবল আব্দুল মান্নান বীর বিক্রমের স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    আবুরখীল কেন্দ্রীয় বিহারে রাউজান থানা প্রশাসনের আয়োজনে স্মৃতিচারণ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন,চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক,টুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ।

    রাঙুনিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীমের সঞ্চালনায় ও উরকিরচর ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়্যদ আব্দুল জব্বার সোহেলের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, হাটহাজারী সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

    বক্তব্য রাখেন শহীদ কনস্টেবল আব্দুল মান্নানের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা যীশু বড়ুয়া,শহীদ কনস্টেবল আব্দুল মান্নান বীর বিক্রমের ভাতিজা আশরাফুল হক হিমেল,গবেষক এস কে মাহবুব।

    উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার, মোঃ অলি উল্ল্যাহ,
    আওয়ামীলীগ নেতা দুলাল কান্তি বড়ুয়া, দীলিপ কুমার বড়ুয়া, শফিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ খান, সাধন পালিত,এস এম হারুনুর রশিদ, দীলিপ বড়ুয়া, রাখাল ঘোষ, মনোরঞ্জন বিশ্বাস, ধনঞ্জয় বড়ুয়া, বিদ্যুত বড়ুয়া, অমিত বিজয় বড়ুয়া,ইউপি সদস্য তাপস কুমার বড়ুয়াসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

    সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ কনস্টেবল আব্দুল মান্নান বীর বিক্রমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

    ২৪ ঘণ্টা/নেজাম

  • রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার পদে যোগ দিলেন আনোয়ার হোসেন

    রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার পদে যোগ দিলেন আনোয়ার হোসেন

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন মো. আনোয়ার হোসেন শামীম। এরপূর্বে তিনি র‍্যাব-৯ এর করোনা রেসপন্স এন্ড ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন সময়ে তার মানবিক কর্মকান্ড প্রশংসিত হয়।

    ৬ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় রাঙ্গুনিয়া সার্কেলে সদ্য বিদায়ী সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।

    এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম ২০১৬ সালের জুন মাসে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদায় ১ বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে বাস্তব প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর ২০১৮ সালের ১ লা মার্চ র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এ যোগদান করেন।

    প্রায় ২ বছর ৫ মাস র‍্যাবে কর্মকালীন সময়ে তিনি র‍্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার, কক্সবাজারের টেকনাফ-২ র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার, সুনামগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার, র‍্যাব-৯ এর আইন ও অপারেশন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালনরত অবস্থায় মানবিক কর্মকান্ডের কারণে প্রশংসিত হন।

    এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ হতে পড়াশোনা শেষ করার পর ৩৪ তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ সার্ভিসে যোগদান করেন।

    তিনি খাগড়াছড়ি জেলার উত্তর বড়বিল গ্রামের আব্দুল মান্নান ও বিলকিস বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তান। ব্যক্তি জীবনে তিনি অবিবাহিত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম

  • সেই অধ্যাপক আনোয়ারের করোনা নেগেটিভ/নিজ গ্রামে কবর দিতে বাঁধা প্রদানকারীদের শাস্তি দাবী পরিবারের

    সেই অধ্যাপক আনোয়ারের করোনা নেগেটিভ/নিজ গ্রামে কবর দিতে বাঁধা প্রদানকারীদের শাস্তি দাবী পরিবারের

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আলীউর রহমান : রাউজান নোয়াপাড়ার বাসিন্দা শিক্ষক আনোয়ার হোসেন (৫৯)। তিনি রাঙ্গুনিয়ার সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রী কলেজের জীব বিজ্ঞানের সহকারি অধ্যাপক। সেই সূত্রে মরিয়মনগর ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দবাড়ি গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

    গত এক সপ্তাহ আগে থেকে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মনে করে নমুনা পরীক্ষা করতে দেন গত ৯ জুন কিন্তু রিপোর্ট পাননি।

    এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল থেকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। রাত ৮টার দিকে তাকে আনা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে আনোয়ার হোসেন চলে গেছেন না ফেরার দেশে।অধ্যাপক আনোয়ারের লাশ নিয়ে পরিবারের আহাজারী

    গভীররাতে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও স্বজনদের আহাজারি শুনলোনা কেউ। লাঠি হাতে পথরোধ করলো আপন পাড়ার ভাই বন্ধুরা। শত অনুনয়, মিনতি নোয়াপাড়ার লোকজনের তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরাতে পারেনি। তারা শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের মরদেহ ফেরত পাঠায়।

    নিরুপায় স্ত্রী গভীর রাত পর্যন্ত স্বামীর মরদেহ নিয়ে ঘুরেছেন রাস্তায়। রাত দুইটার দিকে রাঙ্গুনিয়া কলেজের পেছনে মরিয়মনগর পাগলা মামার মাজার এলাকায় স্ত্রী আহাজারি শুনে এগিয়ে আসে গাউছিয়া কমিটির সদস্যরা।

    জানা যায়, আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী মরদেহ নিয়ে আসে জন্মস্থান রাউজানের নোয়াপাড়ায়। কিন্তু সেখানকার লোকজন মরদেহ দাফন করতে দেয়নি। আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও স্বজনদের আহাজারি, শত অনুনয়, মিনতি নোয়াপাড়ার লোকজনের তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরাতে পারেনি। তারা শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের মরদেহ ফেরত পাঠায়।অধ্যাপক আনোয়ারের লাশ দাফন গাউছিয়া কমিটির

    নিরুপায় স্ত্রী মরদেহ নিয়ে যান রাঙ্গুনিয়া থানার পাগলা মামার মাজার প্রাঙ্গণে এবং আহাজারি করতে থাকেন। খবর পায় স্থানীয় গাউছিয়া কমিটির সদস্যরা বিষয়টি রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাতেই জানাজা পড়িয়ে পূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় আনোয়ার হোসেনের মরদেহ দাফন করেন।

    নিজের জন্মস্থান রাউজানের নোয়াপাড়ায় মরদেহ দাফনে বাধা এবং রাঙ্গুনিয়ায় দাফন করার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ ও গাউছিয়া কমিটির এমন মানবিক কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

    রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা আজ শিক্ষক আনোয়ারের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার তথ্য দেন। রিপোর্ট পাওয়ার পর নিজ গ্রামের যারা রাতে মরদেহ দাফনে বাঁধা দিয়েছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান অধ্যাপক আনোয়ারের পরিবার।

    ২৪ ঘণ্টা/আলীউর রহমান/রাজীব প্রিন্স