Tag: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে

  • সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন রোববার

    সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন রোববার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ আগামী রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সীতাকুণ্ডর কুমিরাস্থ চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

    উক্ত সমবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৬ সালের বসন্ত সেমিস্টার থেকে ২০২০ সালের শরৎ সেমিস্টার পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৩৬১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী প্রদান করা হবে। এতে প্রায় ২ হাজার ১৪০ জন গ্র্যাজুয়েট সরাসরি সমাবর্তনে অংশ নিয়ে সনদ গ্রহণ করবেন। যার মধ্যে ২৯ জন উপাচার্য গোল্ড মেডেল ও ১৩৭ জন উপ-উপাচার্য গোল্ড মেডেলের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. বিশ্বজিত চন্দ, সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করবেন প্রকৌশলী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামুদ্দীন নদভী এমপি। এই সমাবর্তন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সাজসজ্জা ও সড়ক সংস্কারের কাজ হয়েছে। তাছাড়া নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ১৯৯৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। বিগত ২৬ বছরে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। ২০২১ সালের ৮ মার্চে ট্রাষ্টিজ বোর্ড পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাচ্ছে।

  • বিজয় দিবসে আইআইইউসি’র ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    বিজয় দিবসে আইআইইউসি’র ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)’র ভাইস চ্যান্সলর প্রফসর কে.এম. গোলাম মহিউদ্দিন বলছন, বিজয়ের ৪৯ বছরেও সাম্য প্রতিষ্ঠা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণকারী অগণিত মেহনতি মানুষের ভাগ্য বদলায়নি। তাদের উন্নতি না হলে দেশর অর্থনৈতিক মুক্তি আসব না। তবে ৪৯ বছরে আমাদর অর্জন অনেক। দারিদ্র্যর হার আশি-নব্বই শতাংশ থেকে একুশ শতাংশ চলে এসেছে, বীর সেনাবাহিনী বাংলাদশের দারুণ ব্রান্ডিং করেছে, রপ্তানীতে ব্যাপক অগ্রগতি, বিদেশের শ্রম বাজার এমন কি আমাদের শিক্ষিত-উচ্চ শিক্ষিত জনশক্তির ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হওয়া এবং সর্বশষে পদ্মা সেতু নির্মাণ এসব আমাদের অনেক বড় অর্জন। জাতি হিসাবে বিশ্বে আমরা একটা স্থান করে নিয়েছি। সমৃদ্ধির নানা সূচকে আমরা অনেক এগিয়ে আছি।

    ১৬ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে আইআইইউসি আয়োজিত বিজয় দিবসের এক ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রফেসর কে.এম গোলাম মহিউদ্দিন এ কথা বলেন।

    আইআইইউসি’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাব বক্তব্য রাখন, আইআইইউসি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি’র ডিরেক্টর প্রফেসর ড. মোঃ দেলোয়ার হাসান এবং শরীয়াহ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. শাকের আলম শাওন।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাসেম পিএসসি (অবঃ)।

    অনুষ্ঠান আবৃত্তি পরিবশন করেন আইআইইউসি’র সহকারী পরিচালক (জনসংযাগ) দেশবরণ্য আবৃত্তি শিল্পী মোসতাক খোন্দকার।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ ও অতিরিক্ত পরিচালক কবি, গীতিকার ও বাচিক শিল্পী চৌধুরী গোলাম মাওলা।

    প্রধান অতিথির বক্তব্য ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে.এম গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী রাজনৌতিক দূরদর্শীতা জাতিকে বিজয়ের স্বাদ এনে দিয়েছিল।

    সভাপতির বক্তব্য আইআইইউসি’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামেই জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • সীতাকুণ্ডে এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত

    সীতাকুণ্ডে এবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত

    কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:::চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আরো একজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের শিক্ষক (৩৫)। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর। তিনি উপজেলার জোড়আমতল এলাকার মোমিন চৌধুরী’র বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি।

    সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র প্রধান কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ নুরউদ্দিন রাশেদ বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি গত ৩০ এপ্রিল শরীরে জ্বর, সর্দি ও কাঁশি উপশম নিয়ে নিজে ফৌজদারহাটস্থ
    বিআইটিআইডিতে গিয়ে ভর্তি হন। ৬দিন পর তার শরীরে করোনার পজেটিভ রিপোর্ট আসে।

    এদিকে উক্ত ব্যক্তি যে এলাকায় ভাড়ায় থাকেন সেখানে ৪ টি বাড়ির ১০ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। উক্ত বাড়িতে ৩৮ জন সদস্য রয়েছে। রাতে উক্ত এলাকায় উপস্থিত হন মডেল থানার পুলিশ, ইউএনও’র প্রতিনিধি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ডাক্তারবৃন্দ।

    উল্লেখ যে, এ পর্যন্ত সীতাকুণ্ড উপজেলায় মোট ৪ ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

  • ২৬ দিন পর কাল খুলছে সীতাকুণ্ডস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

    ২৬ দিন পর কাল খুলছে সীতাকুণ্ডস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : ২৬ দিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) ক্যাম্পাস খুলছে।

    সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনায় দোষী ২ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং ৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি প্রদানেরর মাধ্যমে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হল খোলার কথা জানানো হয়।

    গত ২৯ শে জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত র‍্যাগিং, শিক্ষক লাঞ্ছনা, ছাত্র নির্যাতন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বহির্ভূত কার্যক্রমসহ কিছু শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইআইইউসি বন্ধ ঘোষনা করা হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) অনুষ্ঠিত এক জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

    গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সিন্ডিকেট সভায় পেশ করা হয়। সিন্ডিকেট তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশসমূহ বিশদ পর্যালোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে দোষী সাব্যস্ত ১০ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তিসমূহ প্রদান করে।

    জরুরী সিন্ডিকেট সভায় আইআইইউসি শিক্ষার্থী উচো অং মারমা ও মোঃ অনিক ইসলামকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়। এছাড়া মোঃ মশিউর রহমান ও ওমর ফারুক তুহিনকে ২ বছরের জন্য, হাসান হাবীব মুরাদ, রবিউল হোসেন রনি ও মোঃ শফিউল আলমকে ১ বছরের জন্য এবং এফজাজুল হক অমি, আবদুল্লাহ আল তাশরীফ ও আবদুল্লাহ আল নাঈমকে ১ সেমিস্টারের জন্য বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    আগামীকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে এসময় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) বহন ও প্রদর্শনের নির্দেশনা দেয়া হয়।

    উল্লেখ যে, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল- মিটিং সম্পুর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আইআইইউসি কৃর্তপক্ষ।

  • আইআইইউসি’তে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর : শিক্ষকসহ অজ্ঞাত ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    আইআইইউসি’তে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর : শিক্ষকসহ অজ্ঞাত ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। কামরুল দুলু,সীতাকুণ্ড : আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি) চট্টগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে দুই জামায়াত নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জামায়াতপন্থী চার শিক্ষকসহ আরো অজ্ঞাত ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলাটি দায়ের করেন যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন। মামলার আসামিরা হলেন, জামায়াত নেতা আ ন ম শামসুল ইসলাম ও আহসান উল্লাহ এবং চার শিক্ষক মাহবুব রহমান, কাউছার আহমেদ, মোহাম্মদ শফিউল আলম ও নিজাম উদ্দিন।

    মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮ ধারার পাশাপাশি ১২৪ (ক) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

    সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন কামাল উদ্দিন। মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ওই ক্যাম্পাসে গিয়ে ছবি ভাঙচুরের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয়।

    এদিকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়াম হলে এক সংবাদ সন্মেলনের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সম্পুর্ণরুপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিস্টার আবুল কাসেম।

  • আইআইইউসিতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ

    আইআইইউসিতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ

    কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইআইইউসিতে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং সম্পুর্ণরুপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ।

    সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা এগারোটায় ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়াম হলে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেজিস্টার আবুল কাসেম।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর মোস্তফা মনির, ট্রেজারার আবদুল হামিদ, এবং সায়েন্স ফ্যাকাল্টি দেলোয়ার হোসেন।

    লিখিতি বক্তব্যে আবুল কাসেম বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় একটি বহুল নন্দিত এবং সফল উদ্যাগ এর নাম,যা জাতির জন্য ব্যাপক কল্যান বয়ে এনেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেশনজট, অপরাজনীতি ও অপতৎপরতা মুক্ত উচ্চ শিক্ষা প্রদানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ সারাদেশে একটি বিপ্লব সাধন করেছে।

    আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এই বিল্পবে প্রথম সারির অংশীদার। এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে অল্প সময়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম ও সুখ্যাতি লাভ করে। বিগত ২৫ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটের শিকার হতে হয়নি। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকেনি। গুণগতমান ও নৈতিকতার সমন্বিত শিক্ষা প্রদানে সুদৃঢ় থাকায় আমরা কেবল সামনের দিকে অগ্রসর হয়েছি।

    সাম্প্রতিক সময়ে এই সামনে চলায় হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। আমাদের সন্তানতুল্য কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ছাত্রসুলভ নয় এমন কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট নানা অনৈতিক, অযৌক্তিক, অবৈধ ও অন্যায় দাবীর অভিযোগ আসতে থাকে।

    এসকল দাবীর মাঝে রয়েছে-ফেল করা ছাত্রকে পাশ করিয়ে দেয়া, বিরাট অংকের বকেয়া টাকা মওকুফ করে দেয়া, নকলের অভিযোগে অভিযুক্তকে শাস্তির আওতামুক্ত করা, বকেয়া পরিশোধ না করে সনদপত্র উত্তোলন করতে চাওয়া, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিকট চাঁদা দাবী করা এবং পরীক্ষার হলে অনৈতিক সুবিধা দাবী করা ইত্যাদি।

    কিন্ত নিয়মের পরিপন্থী এ সকল দাবী পুরণ করা সম্ভব না হলে তারা মুক্তিযুদ্বের স্মৃতিবাহী এবং দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের নামে পেশী শক্তির মাধ্যমে দাবী আদায়ে অন্যায্য চাপ দিতে থাকে। একই সাথে তাদের কর্মকাণ্ডে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অনেক নজির ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান হয়।

    এর মধ্যে রয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে শিক্ষকবৃন্দের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম নির্যাতন, পিতৃতুল্য শিক্ষকবৃন্দকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হেনস্থা করা, হুমকি দেয়া, অফিস কক্ষ ভাংচুর করা, শিক্ষকদের বাসভবনে বিশৃঙ্লা করা।

    এছাড়া রেজিস্ট্রেশনবিহীন অবৈধ অবস্থান, বহিরাগতদের আশ্রয় প্রদান, হল প্রশাসনের সাথে অসহযোগীতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণ, ডাইনিং এ ফ্রি খাওয়া, ডাইনিং ম্যানেজারের নিকট হতে জোরপূর্বক টাকা ছিনতাই ইত্যাদি।

    এছাড়া র‌্যাগিং এর নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং নেশাজাতীয় দ্রব্যের বহুল ব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগ ও রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৭ জানুয়ারী হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থীর উপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এই হৃদয় বিদারক ঘটনার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করে এবং তারা ক্লাস ছেড়ে প্রতিবাদে যোগ দেন।

    যার পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ শে জানুয়ারী জরুরী সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ এবং শ্রেণী কার্যক্রম অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

    বিগত ৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য উল্লেখ করেন, ” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসর ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চাইলে সরকার তাতে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না ” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের আলোকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ধারা ১৮ এবং ধারা ৩৭ অনুযায়ী বিগত ২২৯ তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সুষ্ঠু ও সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সোমবার হতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে র‌্যাগিং ও সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে।

    আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জ্ঞানের চর্চা করুক ও প্রতিভার বিকাশ ঘটাক। আমাদের পরম স্নেহের সন্তানতুল্য ছাত্ররা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষায় জ্ঞানমখি হবে। ছাত্র হিসেবে মানানসই নয় এমন কর্মকাণ্ডে নিজেদের ব্যস্ত না করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির মহারথীদের কাতারে নিজেদের সামিল করতে প্রতিটি মুহূর্তকে ব্যবহার করবে।

  • মামলা প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবীতে আইআইইউসি ছাত্রলীগের মিছিল

    মামলা প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবীতে আইআইইউসি ছাত্রলীগের মিছিল

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালের ১০ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আইআইইউসি শাখার ছাত্রলীগ।

    শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এর সকল নেতাকর্মী ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে।

    কুরানিক সাইন্সেস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ এর ১ম বর্ষের ২য় সেমিস্টারে শিক্ষার্থী আদনান এর উপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে আদনান বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রলীগ কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করে। উক্ত মামলা প্রত্যাহার করে অভিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে তারা মিছিল থেকে দাবী জানান।

    মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অতিক্রম করার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

    এর প্রতিবাদে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অতিক্রম করার চেষ্টা চালায় পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগ কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তালা খুলে না দিলে তারা সেখান থেকে সামনে অবস্থান নেয় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আলাপের মাধ্যমে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কথা বলার জন্য প্রশাসনিক ভবনে যায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে এক ঘন্টা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করলে কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় আনবে এ মর্মে আশ্বস্ত করলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।

    পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

    এসময় কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়ার বাস্তবায়ন না করে তাহলে সমস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজকে নিয়ে আগামী মার্চ মাসের বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করার ঘোষণা দেয়। তারা আরো জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আশ্বস্ত করেন অতি শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয় মূল ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল উন্মোচন করবে।

    এসময় বক্তব্য রাখেন সম্মেলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদ হোসেন পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সাম্রাট, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, আইআইইউসি ছাত্রলীগ নেতা আসিফ ইকবাল সৌরভ, জুবায়ের ইসলাম ডলার, মিফতাহুল হাসান আনাম, তানভীর হোসেন সাকিব, সুব্রত শুভ, রবিউজ হাসানসহ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

    তারা ঘোষণা দেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে আইআইইউসি ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হবে।

  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্যাতন : ১০ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নির্যাতন : ১০ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি)র এক ছাত্রকে শিবির আখ্যা দিয়ে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যলয়ের ১০ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২, চট্টগ্রামে এর আদালতে হামলার শিকার মাসুদুর রহমান আদনান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

    আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলা দায়েরের বিষয়ে বাদী ও আইআইইউসি’র কুর’আনিক সাইন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২য় সেমিস্টারের ছাত্র সুদুর রহমান আদনান বলেন, মামলাটি পিবিআই নিয়েছেন। গণমাধ্যমে আমাকে নির্যাতনের ছবি ছেপেছে। আশা করি পিবিআইয়ের ওপর যদি কোন ধরণের চাপ না আসে তাহলে সঠিক তদন্ত হবে এবং আসামীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে। আর আমি ন্যায় বিচার পাবো।

    মামলার এজহার থেকে জানা যায়, আইন বিভাগের ছাত্র (আইডি নং- LM- 183122) উচো অং মারমাকে ১নং আসামী করে মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা দায়ের করা হয়।

    এজহারে অভিযুক্ত বাকি আসামিরা হলো ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ছাত্র মশিউর রহমান মৃদুল, একই বিভাগের অনিক ইসলাম অনিক, ওমর ফারুক তুহিন, আব্দুল্লাহ আল নাঈম রবিন আইন বিভাগের হাসান হাবিব মুরাদ, এমবিএ এর ছাত্র শফিউল ইসলাম, ইকোনমিক্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের রবিউল হোছাইন রনি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ছাত্র আব্দুল্লাহ আলম তাশরীফ এবং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. আফজাজুল হক অমি। বাদী জানায়, তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

    আইআইইউসি সুত্রে জানায়, গত ২৭ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উসমান (রা.) হলের আদনানকে শিবির সন্দেহে মারধর করেন ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী কয়েক ছাত্র। পরে শিক্ষকেরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনার জেরে ২৯ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান করে।

    পরে উদ্বুদ্দ পরিস্থিতিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

  • আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা

    আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    বুধবার (২৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় কৃর্তপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জনান। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদেরকে রাত ৯ টার দিকে মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সোমবার সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আই.আই.ইউসি) তে শিবির কর্মী সন্দেহে আদনান নামের এক সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবীতে বুধবার সকাল ১১ টায় শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন।

    পরে দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আদনানের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর সামনে থেকে ভিসির নিকট স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য রওয়না হলে ছাত্রলীগ তাদের উপর হামলা চালায়। এর পর ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বেশ উত্তাপ্ত হয়ে উঠলে বিশ্ববাদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই গ্রুপকে সরিয়ে দেয়।

    সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

    এরপর শিক্ষকদের সাথে নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের নিকট স্মারকলিপি প্রদানের পর শিক্ষার্থীর প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান করে। একই সময়ে ভবনের বিপরীত পাশে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে উক্তেজনা বিরাজ করে। পরে ব্যাপক পুলিশী নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়।

    বিকালে ক্যাম্পাসে আসেন এএসপি (সীতাকুণ্ড সার্কেল) শম্পা রানী সাহা, ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ, ইন্টেলিজেন্ট সুমন বনিক।

    বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরী সভা ডাকেন। এরপর ক্যাপাসে যেকোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় অনদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন।

    এব্যাপারে সাইসেন্স অব হাদিস এন্ড ইসলামীক ষ্টার্ডিস প্রফেসর ড.মোঃ নাজমুল হক নদভী বলেন, কয়েকদিন ধরে দুইটি গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করায় বড় দরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে কৃর্তপক্ষ অনদিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশের মাধ্যমে খুলে দেওয়া হবে।

  • শিক্ষক লাঞ্চনার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইইই বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

    শিক্ষক লাঞ্চনার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইইই বিভাগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)’র ‘ত্রিপল ই’ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ শামিমুল হক চৌধুরীকে লাঞ্চনা করার প্রতিবাদে সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেছে ‘ইইই’ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

    বুধবার (০৮ জানুয়ারী) বিভাগের শিক্ষকদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ক্লাস বর্জনের ঘোষনা দিয়ে নোটিশ প্রদান করে শিক্ষকরা।

    নোটিশে বলা হয় গত (৭ জানুয়ারী) মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ শামিমুল হক চৌধুরীর সাথে কিছু সংখ্যক উশৃঙ্খল ছাত্র গালিগালাজ, বাকবিতন্ডা ও অশালীন আচরণ করে এবং নানাবিধ হুমকি প্রদান ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এবং বিভিন্ন সময় তারা একাডেমিক কার্যক্রমে অনৈতিকচাপ প্রয়োগ করে আসছিলো। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বিভাগের চেয়ারম্যানের নামে বিভিন্ন আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে আসছিলো তারা। গত বছরের এপ্রিল মাসে ওই উশৃঙ্খল ছাত্ররা উক্ত বিভাগে হামলা ও ভাংচুর করে। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করার লিখিত আশ্বাস দিলেও তার দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে তারা অভিযোগ করেন। উক্ত ঘটনায়
    তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।

    এ সকল ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখতে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    এদিকে লাঞ্চনার শিকার ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মাদ শামিমুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ক্লাস চলাকালীন সময়ে আমাদের বিভাগের ছাত্রদেরকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এবং আমার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে এক পর্যায়ে তারা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং অকথ্য ভাষায় চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বলে। এছাড়াও আমার সন্তানদের স্কুলে যাওয়ার পথে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুমকি প্রদান করে। এমনকি তাদের মধ্যে একজন আমাকে ‘তুই’ বলেও সম্বোধন করে।

    গত ৮ই জানুয়ারি শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা পরপরই আই আই ইউ সি ছাত্রলীগ(প্রস্তাবিত কমিটি) অনির্দিষ্টকালের ছাত্রধর্মঘটের ডাক দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। এসকল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ডঃ মোঃ কাউসার আহমেদ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। আগামী ৭দিনের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কমিটিতে রয়েছেন ট্রেজারার, কনভেনার ড. আ. আব্দুল হামিদ চৌধুরী,ড. মাসরুরুর মাওলা, মুহাম্মাদ নিজামুদ্দীন।

  • আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনমিকস এন্ড ব্যাংকিং ডে উৎযাপন

    আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকোনমিকস এন্ড ব্যাংকিং ডে উৎযাপন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক ইসলামাী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইবি ডে উৎযাপিত হয়েছে। ইকোনমিকস এন্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টের আয়োজনে শনিবার (৪ জানুয়ারী) সীতাকু- উপজেলার কুমিরাস্থ ক্যাম্পাসে উক্ত ইবি ডে অনুষ্ঠিত হয়।

    ১৫ টি ব্যাচের প্রায় ৭শ জন ছাত্র-ছাত্রী ইবি ডে তে অংশ নেয়। ক্যাম্পাসজুড়ে সাবেক আর বর্তমান মেলবন্ধনে নতুন এক উল্লাসে মেতেছিলো ইকোনমিকস এন্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টের পরিবার। চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, ব্যানার ফেস্টুনে বর্ণীল ছিলো ক্যাম্পাস চত্ত্বর। সকালে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি গোটা ক্যাম্পাস ঘুরে শেষ হয়।ইকোনমিকস এন্ড ব্যাংকিং ডে উৎযাপন ২

    শোভাযাত্রা শেষে দিনভর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো, নিজ নিজ ফ্যাকাল্টি আর হলে হলে নিজেদের রুমে যাওয়াসহ দিনভর চলে স্মৃতিচারণ, আড্ডা।

    স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস প্রফেসর ড.মো. আলী আজাদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌ., ট্রেজারার প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ, ডিপার্টমেন্ট এডভাইজার প্রফেসর ড.মো. সাইফুল ইসলাম।

    পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইকোনমিকস এন্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান ড. মোঃ শরিফুল হক।