Tag: আন্দোলন

  • আন্দোলনের নামে বিএনপি’র কেবল তর্জন-গর্জনই সার : ওবায়দুল কাদের

    আন্দোলনের নামে বিএনপি’র কেবল তর্জন-গর্জনই সার : ওবায়দুল কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। আন্দোলনের নামে বিএনপি কেবল তর্জন-গর্জনই সার।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপির পুনঃনির্বাচনের দাবি অযৌক্তিক। নির্বাচন এলেই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করতে তাদের অপতৎপরতা শুরু হয়। তারা সব সময় নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চাই। মানবিক কারণে বেগম জিয়া জামিনে মুক্ত আছেন। এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক তর্জন-গর্জনই সার।’

    ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বলেন, ‘বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এই বিএনপি ঢাকা মহানগরিতে একটা বড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি! শেখ হাসিনা মানবিকতা, উদারতা, বেগম জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি চিন্তা করে তাকে আজকে কারাদন্ডাদেশ স্থগিত করে ছয় মাস। এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়,এটা শেখ হাসিনার মানবিকতা এবং উদারতার দৃষ্টান্ত।’

    তিনি বলেন, ‘তারা বারবার নির্বাচন আন্দোলনের প্রত্যাখাত হয়ে বারবার বিফ্রিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। পরীক্ষার পরে আন্দোলন, রোজার ঈদের পরে আন্দোলন, কখনো কোরবানির পরে আন্দোলন; কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি। আজকে বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চাই, আর সাংবাদিকদেরও বলতে চাই, আপনারা কি বিশ্বাস করে বিএনপির আন্দোলনের হাঁকডাক আষাড়ে তর্জন-গর্জনের সার কি না?’

    আওয়ামী লীগ টানা মেয়াদে সরকারে আছে। তারপরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে কি না? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য ওঠানামার পেছনে একটা সিন্ডিকেট সবসময় কাজ করে। তবে সরকার সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে এ কথাটা ঠিক নয়। আপনি প্রতিবেশী সব দেশের দিকে তাকান, এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজারমূল্য, কোথাও আমদানি-রফতানিতে আগের পর্যায়ে কেউ নেই এবং এখানে উৎপাদনেরও একটা ব্যাপার আছে। যেমন- পেঁয়াজ যদি আমাদের দেশে ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা কাছের দেশ ভারত থেকে আনি। ভারতে কর্নাটক, মহারাষ্ট্রেও পেঁয়াজের উৎপাদন কম নয়। তখন সেখানে একটা সংকট হয়। সে কারণে তারা বন্ধ করে দেয় রফতানি। কিন্তু আমাদের সরকারের চেষ্টার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে।

    তিনি বলেন, অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও এগুলো উঠানামা করবে। এখন বর্ষা, এসময়ে একটু দ্রব্যমূল্য বাড়ে, আবারও এগুলো ঠিক হয়ে আসে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী আপনাদেরকে তার বিফ্রিংয়ে বলে থাকেন। কাজেই এ নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাই না।

    আওয়ামী লীগের এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল না। আগামী মাস থেকে দলীয় কর্মকান্ড পূর্ণ উদ্যোমে শুরু করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ৩ নভেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেবেন।

    সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বেতন বন্ধ দুই মাস, গোল্ডেন সান লিমিটেড কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    বেতন বন্ধ দুই মাস, গোল্ডেন সান লিমিটেড কারখানা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বেতন ভাতা সব বন্ধ, ঘরে খাবার নাই। সংসার চালামু কী দিয়ে? বাসার ভাড়া দিতে পারতেছি না। এমন অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে বিক্ষোভ করছে বেশ কিছু শ্রমিক।

    আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্যারটেক এলাকার গোল্ডেন সান লিমিটেড কারখানার সামনে চলে এ শ্রমিক আন্দোলন। করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে পেট বাচাঁতে ঈদের আগে বেতন ভাতার পরিশোধের দাবীতে তারা আন্দোলন করছে কারখানাটির সামনে।

    তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ গত দুই মাস ধরে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ রেখেছে। মাঝখানে তাদেরকে এক মাসের বেতন প্রদানের আশ্বাস দিলেও তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি। ফলে বাধ্য হয়ে তারা আজ সবাই জড়ো হয়ে আন্দোলনে নামে।

    কয়েকজন শ্রমিক দুঃখ করে বলেন, করোনার প্রভাবে আমাদের উপার্জন নেই। সামনে ঈদ, আমাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে। এই সময়ে এসে কাজ করার পরও যদি বেতন না পাই, খুব মনে কষ্ট লাগে।

    তাই ইচ্ছে না থাকলেও বাধ্য হয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। ঈদের আগে কষ্টার্জিত পরিশ্রমের মজুরি হিসেবে দুই মাসের বেতন পরিশোধের দাবী তারা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে।

    ঈদ বোনাসের বিষয়টা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে কারখানার ম্যানেজার ওমর হায়দার বলেন, বেতন ভাতা নিয়ে শ্রমিকদের সাথে সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। তবে তাদের সাথে সমঝোতা হয়েছে।

    আগামী ১৭ মে প্রত্যেক শ্রমিকের অনলাইন মাধ্যম রকেট অ্যকাউন্টে পৌছে দেওয়া হবে গত মার্চ মাসের বেতন। তাছাড়া এপ্রিল মাসের বেতনও চলতি মাসের ২০ থেকে ২১ মে’র মধ্যে একইভাবে পরিশোধ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • বার আউলিয়ায় মারস্ টেক্সটাইলে বেতনের দাবিতে আন্দোলন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সমোঝতা

    বার আউলিয়ায় মারস্ টেক্সটাইলে বেতনের দাবিতে আন্দোলন, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সমোঝতা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বার আউলিয়াস্থ মারস্ টেক্সটাইল লিমিটেড নামক একটি বেসরকারী কারখানায় শতভাগ বেতনের দাবিতে দুইদিন ধরে আন্দোলন করছেন এক হাজারের অধিক শ্রমিক।

    গতকাল শনিবার রাত থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে আজ রোববার সকালে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

    শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত প্রতিষ্ঠানটি দেশে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ফলে গত এপ্রিল মাসে কারখানাটি ২৩ দিন বন্ধ ছিল। বিজিএম এর হিসাব মতে ৭ দিন মিল খোলা ছিল সেই কয়দিন পূর্ণ হারে বেতন পাবে এবং বাকি ২৩ দিন মিল ৬৫% হারে বেতন দেবেন।

    শনিবার দুপুরে কারখানা কর্তৃপক্ষ এপ্রিল মাসের বেতনের ৬০ শতাংশ দেওয়া হবে বলে একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেন। শ্রমিকেরা কারখানায় কাজে যোগ দিতে গিয়ে নোটিশটি দেখে আন্দোলন শুরু করেন।

    শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা খেটে খাওয়া শ্রমিক, আমাদের যে বেতন দেওয়া হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তারমধ্যে বেতন কেটে ফেললে আমরা চলবো কেমনে। এমনিতে এই কারখানাতে বছরে বেতন বাড়ে মাত্র ২/৩ শত টাকা।

    বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সব কারখানায় নিরাপাত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে, অথচ এখানে শ্রমিকরা কাজ করছে চরম ঝুঁকির মধ্যে।

    এদিকে আজ সকালে কারখানা প্রাঙ্গণে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন কর্তৃপক্ষ। এতে উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ইন্টেলিজেন সুমন বনিক, কারখানা কোম্পানী প্রতিনিধি এবং শ্রমিক প্রতিনিধি। বৈঠকে শ্রমিকদের দাবী মেনে নেওয়ার বিষয়টি জানালেন মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মারস্ টেক্সটাইলের সিনিয়র ম্যানেজার হুমায়ুন বলেন, সরকার কর্তৃক দেওয়া ৬০% বেতনের একটি নোটিশ আমরা লাগানোর পর শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করে। আজ সকালে প্রশাসন, শ্রমিক বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরহা হয় এবং শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন।

    উল্লেখ্য যে, মারস্ টেক্সটাইলে নারীসহ এক হাজারের অধিক শ্রমিক কর্মরত আছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ কামরুল ইসলাম দুলু/আর এস পি

  • আন্দোলন, আশ্বাস ও মিটিং এই নিয়ে কুবির পরিবহন পুল!

    আন্দোলন, আশ্বাস ও মিটিং এই নিয়ে কুবির পরিবহন পুল!

    কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৪ বছরেও পরিবহন সমস্যার সমাধান করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    প্রশাসন বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েও বাস সংকটের কোনো সমাধান করতে পারেনি।

    প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস গেট থেকে গোল চত্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে।

    মানব বন্ধনে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন,কুবি প্রশাসনকে বার বার বলার পরও তারা আমাদের এই পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে কোন দৃষ্টিপাত করছে না। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনা ঘটছে এবং তা আরও বাড়ার আশংকা করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, পরিবহন সংকট মহামারি আকার ধারণ করেছ। ছাত্রলীগের ১৩ দফা দাবির এটা ছিল ১ম দফা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সাথে ছাত্রলীগ এক মত পোষন করছে বলেও জানা তিনি।

    পরিবহণ পুলের প্রধান উপদেষ্টা মো. এমদাদুল হকের কাছে বাস সংকটের সমাধান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বাস সমস্যা সমাধান করার। তিনটা নতুন বাস ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান আছে, যা তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। আপদকালীন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন: আমরা মিটিংয়ে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বিষয়ের ।

    প্রায় ৪/৫ মাস ধরে নষ্ট বাস ঠিক করা নিয়ে মেরামত কমিটি বলেন, সমাবর্তনের কাজের কারণে এটা নিয়ে কাজ করা যায় নি। আমরা অতি তাড়াতাড়ি এটার কাজ শেষ করবো। এটা নিয়ে আমরা মিটিংয়ে বসবো। কথা বলে জানা গেছে, মেরামত কমিটিতে দক্ষ জনবল নেই। গাড়ি সম্পর্কে ধারনা আছে এমন কোন টেকনিক্যাল লোক না থাকার কারণে বাস প্রায়ই নষ্ট হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, পরিবহন ব্যবহার নীতিমালা নিয়ে কুবি প্রশাসন সুনিদির্ষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন না করে নিজেদের ইচ্ছে মতো যানবাহন ব্যবহার করছে এবং পরিবহন সেক্টরের কোন বার্ষিক পরিকল্পনাও নেই।