Tag: আফগানিস্তান

  • টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    একমাত্র টেস্টের পর এবার ওয়ানডে মিশনে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদী। ফলে টস হেরে ব্যাট করতে নামবে তামিম ইকবালের দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।

    ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এছাড়া দুই সিরিজ বাদে আবারো দলে ফেরা আফিফ হোসেনও রয়েছেন একাদশে।

    একাদশে তিন পেসারের সঙ্গে দুই স্পিনার নিয়ে মাঠে নামছে টাইগাররা। যদিও কোমরের চোট থাকায় তামিমের খেলা নিয়ে কিছুটা দোলাচল থাকলেও গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন প্রথম ওয়ানডেতে খেলছেন তিনি। তবে শতভাগ ফিট নন সেটাও নিজ মুখে গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন এই ওপেনার। তামিমের এমন সিদ্ধান্তে অবশ্য নাখোশ প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

    আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে চায় তামিম ইকবালের দল। ওয়ানডে ফরম্যাটে আফগানরা শক্তিশালী হলেও জয়ের বিকল্প ভাবছে না স্বাগতিকরা। অন্যদিকে, টেস্টে হারের পর ওয়ানডেতে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই এসেছে আফগানরা। দলে আছে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবি, মুজিবসহ পরিচিত সব মুখ। স্পিন ও পেস বোলিং অ্যাটাক বিশ্বমানের হওয়ায় জয় ভিন্ন অন্য কোনো কিছু ভাবছে না সফরকারীরা। চট্টগ্রামে অভিষেক হচ্ছে পেসার সেলিম সাফির।

    বাংলাদেশের একাদশ

    তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

    আফগানিস্তান একাদশ

    রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইবরাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি ও সেলিম সাফি।

  • আফগানদের উড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের

    আফগানদের উড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের

    আফগানদের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে জয়টা যেন লেখাই ছিলো বাংলাদেশের, দেখার ছিলো সেটা কত তাড়াতাড়ি আসে। কাঙ্ক্ষিত সেই জয় পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই আফগানদের অলআউট করে ৫৪৬ রানের বিশাল এক জয় তুলে নিয়েছে লিটন দাসের দল। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটিই। আর টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে শুধু রানের হিসেবে এর চেয়ে বড় জয় আছে মাত্র দুটি।

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের একমাত্র ম্যাচে মাঠে না,আর আগে একটা ভয় যেন ঠিকই ছিলো বাংলাদেশি ভক্ত-সমর্থকদের মনে। ২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়া প্রথম টেস্টেই চট্টগ্রামে ২২৪ রানের হার যেন এখনো দগদগে এক ক্ষত টাইগার ক্রিকেটে। সেই হারের মোক্ষম জবাবই যেন এবার দিলো বাংলাদেশ। প্রতিশোধও নেওয়া হলো, সঙ্গে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডও লেখা হলো মিরপুরেরহোম অব ক্রিকেটে।

    শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান করে বাংলাদেশ। জবাব এবাদত-শরীফুলের বোলিং তোপের মুখে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানেি গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।ফলোঅনের সুযোগ থাকলেও তা না করিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ২৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবাও তিন অঙ্কের দেখা পান শান্ত। সঙ্গে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকেও আছে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪২৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৬৬২ রানের বিশাল বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ১১৫ রানেি থামতে হয় আফগানদের। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের রানের ব্যবধানে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

    ৬৬২ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন বিকেলে ৪৫ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। আজ সকালে কত দ্রুত বাংলাদেশের জয় আসে সেটিই ছিলো দেখার বিষয়। টাইগার বোলাররা সেই কাজটি সেরেছে বেশ দ্রুতই। লাঞ্চের আগেই টাইগার বোলাররা তুলে নিয়েছে আফগানিস্তানের বাকি ৮ উইকেট।

    আজ দিনের তৃতীয় ওভারেই এবাদতের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন আফগান ব্যাটার নাসির জামাল। এবাদতের পরই আফগান শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন শরীফুল। ত্তুলে নেন আফসার জাজাই আর আগেরদিন রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া হাশমতুল্লাহ শহিদীর কনকাশন হিসেবে উইকেটে আসা বাহির শাহকে।

    ৭৮ রানেই ৫ উইকেট হারানো আফজ্ঞানদের হয়ে রহমত শাহ একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে গেলেও শেষমেশ তাসকিন আহমেদের বলে হার মানেন তিনি। আফগানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩০ রান করে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর বাকিরা আর তেমন কিছুই করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশও পায় ৫৪৬ রানের ইতিহাসগড়া বিশাল বড় জয়। প্রথম ইনিংসে ভালো পারফর্ম না করা তাসকিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রান দিয়ে একাই নেনে ৪ উইকেট। শরিফুল নেন ৩ উইকেট। আর এবাদত ও মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।

  • পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ১১ জনের মৃত্যু

    পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ১১ জনের মৃত্যু

    আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারতে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানে ৯ জন এবং আফগানিস্তানে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শুধু পাকিস্তানেই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে একসঙ্গে কেঁপে ওঠে এই তিন দেশ। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

    পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। এর উৎপত্তিস্থল আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশের হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকায়। তবে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫।

    আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোরসহ বেশ কয়েকটি শহর এবং ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কাশ্মীরে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ভূমিকম্পের পর উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রায় দুই মিনিটের মতো কম্পন অনুভূত হয়।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষজন রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে জড়ো হচ্ছেন। ভূমিকম্পের কারণে তাদের ঘরের ভেতরে জিনিসপত্র পড়ে গেছে বলেও জানান তারা।

    এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ভূমিকম্পে পাকিস্তানে প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মতো স্থায়ী হয়।

    রাওয়ালপিন্ডিতে থাকা বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক জানান, ভূমিকম্পের সময় মানুষ তাদের বাড়ি থেকে দৌড়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা কোরআন তেলওয়াত করতে থাকেন।

    এ ছাড়া ইসলামাবাদ, লাহোর ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও একই ধরনের খবর আসছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।

    পাকিস্তানের উদ্ধারকারী দল রেসকিউ ১১২২ এর ডিজি ডা. খাতের আহমেদ জানান, তারা স্বাবি ও লোয়ার দির এলাকা থেকে উদ্ধারের ডাক পেয়ে ঘটনাস্থলে টিম পাঠিয়েছেন।

  • আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

    আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

    আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশটিতে এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও জানানো হয়।

    আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর এক চিঠির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন মাস আগে আফগানিস্তানজুড়ে হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।

    গত বছর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষ ও প্রবেশপথ চালু করে তালেবান। সেইসঙ্গে তাদের পাঠদানে নারী অথবা বৃদ্ধ শিক্ষকদের নিয়োজিত করা হয়। এ ছাড়া নারীদের জন্য কয়েকটি বিষয়ে পড়াশোনার ওপর বিধিনিষেধও জারি করে তারা।

    তালেবান ক্ষমতায় যাওয়ার পরই আফগানিস্তানের শিক্ষা খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। গত বছর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী প্রত্যাহারের পর প্রশিক্ষিত শিক্ষাবিদদের অনেকেই দেশত্যাগ করেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষক বেতন থেকে বঞ্চিত হতে থাকেন।

  • শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে পাকিস্তান

    শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে ফাইনালে পাকিস্তান

    শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১১ রান, হাতে ছিল ১ উইকেট। বোলার ছিলেন ফজলহক ফারুকি, যিনি কিনা শুরুর ওভারে বাবর আজমকে ফিরিয়েছিলেন দারুণ এক বলে, রানের খাতা খোলার আগেই!

    এ অবস্থায় পরিষ্কার ফেভারিট ছিল আফগানিস্তানই। সেই অবস্থা থেকে পাকিস্তান হাসল শেষ হাসিটা। কারণ বাবরদের দলে যে একজন নাসিম শাহ ছিলেন!

    শেষ ওভারের শুরুতে তার টানা দুই ছক্কাতেই সব রোমাঞ্চের ইতি ঘটল, এশিয়া কাপে ইতিহাসের অন্যতম শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষে ১ উইকেটের জয় পেল পাকিস্তান, নিশ্চিত করে ফেলল ফাইনাল। সঙ্গে সঙ্গে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতেরও।

    বাবরদের সামনে আফগানরা লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ১৩০ রানের। শেষ ম্যাচেই যারা ১৮১ রান তাড়া করে জিতেছে, তার আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে, তাদের জন্য এ আর এমন কী লক্ষ্য ছিল এই রান!

    তার ওপর পাকিস্তানের সঙ্গী ছিল আরও একটা ফ্যাক্টও, এবারের এশিয়া কাপে যে টেস্ট খেলুড়ে কোনো দলই যে শেষে ব্যাট করে হারেনি একটা ম্যাচও!

    পরে ব্যাট করা পাকিস্তানের কাজটা কঠিন করে তোলার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। সেটা তার দল করেছে একেবারে শুরু থেকেই। রানের খাতা খোলার আগেই বাবর আজমকে ফেরান ফারুকি।

    এরপর ফখর জামানও ফেরেন দলীয় ১৮ রানে। এবারের এশিয়া কাপে দারুণ পারফর্ম করা মোহাম্মদ রিজওয়ানও যখন ফিরলেন ব্যক্তিগত ২০ রানে, পাকিস্তান তখনো জয় থেকে ৮৫ রান দূরে! খানিকটা অস্বস্তি তখন বাবরের দলকে জেঁকে ধরেছিল বৈকি!

  • সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার শুভসূচনা

    সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার শুভসূচনা

    গ্রুপপর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। হেরেছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এবার যেন সেই হারের ‘প্রতিশোধ’ নিলো লঙ্কানরা।

    শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে শুভসূচনা করলো দাসুন শানাকার দল। আফগানিস্তানকে হারালো ৪ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে।

    ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন লঙ্কান দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস আর পাথুম নিশাঙ্কা। ৩৯ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৯ বলে ২ চার আর ৩ ছক্কায় ৩৬ রানের ঝড় তুলে মেন্ডিস হন নাভিন উল হকের শিকার।

    এরপর নিশাঙ্কাকে (২৮ বলে ৩৫) উইকেটরক্ষকের দারুণ ক্যাচ বানান আফগান অফস্পিনার মুজিব ‍উর রহমান। উইকেটে এসে সুবিধা করতে পারেননি চারিথ আসালাঙ্কা। ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করা এই ব্যাটারকে বোল্ড করেন নাবি।

    কপাল বোধ হয় একেই বলে! বাংলাদেশের বিপক্ষে কুশল মেন্ডিস একাই পেয়েছিলেন ৫টি জীবন। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই বলে বেঁচে যান লঙ্কান দুই ব্যাটার।

    ইনিংসের ১২তম ওভারে মোহাম্মদ নাবি চারিথ আসালাঙ্কাকে (১৪ বলে ৮) বোল্ড করলে ৯৪ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। দ্রুত আরও দুটি উইকেট হারালে বেশ বিপদেই পড়ে যেতো লঙ্কানরা।

    নাবির ওই ওভারেই শেষ বলে উঠেছিল ক্যাচ। কিন্তু গুনাথিলাকার সেই ক্যাচ ফাইন লেগে ফেলে দেন করিম জানাত। তার পরের ওভারের প্রথম বলে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। আম্পায়ারও আবেদনে আঙুল তুলে দেন।

    কিন্তু রিভিউ নিয়ে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। গুনাথিলাকা ১৩ আর শানাকা জীবন পান ব্যক্তিগত ১ রানে। যদিও শানাকা সেই জীবন কাজে লাগাতে পারেননি। মুজিবের দ্বিতীয় শিকার হন ৯ বলে ১০ করেই।

    ১৬তম ওভারে নাভিন উল হকের ওপর চড়াও হন ভানুকা রাজাপাকসে। প্রথম তিন বলে দুটি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটার। ওভারের শেষ বলেই আউট হতে পারতেন রাজাপাকসে। এবার ডিপকভারে ড্রপ হয় সহজ ক্যাচ।

    পরের ওভারে রশিদ খান বোল্ড করেন ভয়ংকর গুনাথিলাকাকে। ২০ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৩ রান আসে গুনাথিলকার ব্যাট থেকে। ১৫১ রানে ৫ উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তবে ততক্ষণে জয়ের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। ২০ বলে দরকার ছিল ২৫ রান।

    ভানুকা রাজাপাকসে আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা দলকে প্রায় জয়ের বন্দরে নিয়ে আসেন। রাজাপাকসে (১৪ বলে ৩১) অবশ্য শেষ সময়ে এসে বোল্ড হন নাভিনের বলে। তবে তখন ৯ বলে মাত্র ২ রান দরকার লঙ্কানদের। হাসারাঙ্গা ৯ বলে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।

    আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন মুজিব উর রহমান। ৪ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন এই অফস্পিনার।

    এর আগে রহমানুল্লাহ গুরবাজ যে ইনিংসটা খেলে দিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছিল আফগানিস্তানের সংগ্রহ দুইশর কাছাকাছি হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে দারুণ বোলিং করে আফগানদের বিশাল পুঁজি গড়তে দেয়নি শ্রীলঙ্কা।

    শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৩৭ রান। সবমিলিয়ে ২০ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৫ রান।

    শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আফগানিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় আফগানরা।

    প্রথম ২ ওভারে মাত্র ১১ রান আসার পর তৃতীয় ওভারেই চড়াও হন গুরবাজ। লঙ্কান অফস্পিনার মাহিশ থিকশানাকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারে পেসার আসিথা ফার্নান্ডোকে হাঁকান আরও একটি ছক্কা ও চার।

    ইনিংসের তৃতীয় আর চতুর্থ ওভার মিলিয়ে ২৯ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান। তবে পরের ওভারে মধুশঙ্কা বোল্ড করে ফেরান ওপেনিংয়ে গুরবাজের সঙ্গী হজরতউল্লাহ জাজাইকে (১৬ বলে ১৩)। ভাঙে ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৪৯ রান তোলে আফগানরা।

    এরপর ২২ বলে ফিফটি তুলে নেন গুরবাজ, যা কিনা আফগানিস্তানের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম। দেশের পক্ষে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবির (২১ বলে)।

    শ্রীলঙ্কাকে পেলেই যেন জ্বলে উঠেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। গ্রুপপর্বে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৮ বলে খেলেছিলেন ৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ২০ বছর বয়সী এই আফগান ওপেনার সুপার ফোরপর্বেও শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন।

    মাঠে রীতিমত চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন গুরবাজ। অবশেষে ১৬তম ওভারে এসে তাকে ফেরান আসিথা ফার্নান্ডো। এবারও ছক্কাই হাঁকাতে গিয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু বল অনেক ওপরে উঠে যায়, মিডউইকেটে কঠিন ক্যাচ তালুবন্দী করেন হাসারাঙ্গা।

    সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় গুরবাজকে। ৪৫ বলে গড়া তার ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ৪টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার।

    ১৭ ওভারে দেড়শ ছোঁয় আফগানিস্তান। ১৮তম ওভারে ৩৮ বলে ৪০ করে মধুশঙ্কার শিকার হয়ে ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে নাজিবুল্লাহ জাদরানের

    একটি করে চার-ছক্কায় ওভারে ঠিকই ১৩ রান তুলে নেয় আফগানিস্তান।

    কিন্তু শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত রান পায়নি আফগানরা। ১৯তম ওভারে থিকসানা আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবিকে (১) ফিরতি ক্যাচ বানান, রানআউট হন নাজিবুল্লাহ (১০ বলে ১৭)। ওই ওভারে মাত্র ৩ নিতে পারে আফগানিস্তান।

    ২০তম ওভারেও প্রথম তিন বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি রশিদ খান। আসিথা ফার্নান্ডোর পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে শেষ বলে দুই নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে যান (৭ বলে ৯)।

    লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল দিলশান মধুশঙ্কা। তবে ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৭ রান।

  • আফগানিস্তানের সুপার ফোর নিশ্চিত

    আফগানিস্তানের সুপার ফোর নিশ্চিত

    আশা জাগিয়েও পারল না বাংলাদেশ। ‘ফেভারিট’ আফগানিস্তানই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নিল। ‘দুই জাদরান’ ইব্রাহিম এবং নাজিবুল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের তুচ্ছ করে জয় তুলে নিল আফগানিস্তান। আর তাতে এশিয়া কাপ গ্রুপ ‘বি’র চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার ফোরে জায়গা করে নিয়েছে মোহাম্মদ নবির দল। আর আফগানদের বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু হলো টাইগারদের। বাংলাদেশের দেওয়ার ১২৮ রানের লক্ষ্য ৯ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় আফগানিস্তান। ৭ উইকেটের বড় হার উপহার দেয় বাংলাদেশকে।

    ইনিংসের শুরুতে আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ১১ রান করে সাজঘরে পাঠান স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে। এরপর হজরতউল্লাহ জাজাই ইনিংসকে বড় করার চেষ্টা করলেও মোসাদ্দেকের বলে লেগ বিফোরের কবলে পড়ে ২৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। তৃতীয় উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ নবী দ্রতু ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে আফগানরা। তবে পরবর্তীতে সে চাপকে জয় করে মাঠ ছাড়েন দুই ব্যাটার ইব্রাহিম জাদরান এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান।

    এদিন প্রথম থেকেই বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছিলেন টাইগার বোলাররা। তবে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে ১৭ এবং ১৮তম ওভারে। প্রথমে মুস্তাফিজ এরপর সাইফউদ্দিনকে কচুকাটা করেছেন আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহ। ১৭ বলে ৪৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এছাড়া ৪১ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন ইব্রাহিম জাদরান।

    বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব, মোসাদ্দেক এবং সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজ ৩ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও পাননি কোন উইকেট, এছাড়া সাইফউদ্দিন ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৭ রান।

    এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বে ফেরা সাকিব আল হাসান। নিশ্চয়ই ব্যাটসম্যানদের প্রতি আস্থা রেখেই আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটসম্যানরা যেন সেটার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন।

    ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মুজিব বোলিংয়ে আসতেই ঘাম ছুটে যায় বাংলাদেশের দুই ওপেনারের। সেই ওভারের শেষ বলে তার ক্যারম বল বুঝতে না পেরে লাইন মিস করে বোল্ড হন নাঈম (৮ বলে ৬)।

    তার পরের ওভারের শেষ বলে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে ব্যাটের সঙ্গে বলের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন বিজয়, বল গিয়ে আঘাত হানে পায়ে। রিভিউ নিয়ে বিজয়ের ধীরগতির ইনিংসের সমাপ্তি নিশ্চিত করে আফগানিস্তান। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে মোটে ৫ রান করেছেন তিনি।

    দুই ওপেনারকে ফিরিয়েই ক্ষান্ত হননি মুজিব। নিজের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবকেও ধরাশায়ী করেছেন তিনি। আগের ওভারে পেসার নাভিন-উল-হকের টানা দুই বলে দুই চার মেরে শুরুতে উইকেট হারানোর চাপ হালকা করার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। তবে মুজিবের ঘূর্ণিতে তাকেও হার মানতে হয়। মুজিবের বলে জায়গা করে নিয়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরেছেন ৯ বলে ১১ রান করে।

    এরপর বোলিংয়ে এসে নিজের দ্বিতীয় বলেই মুশফিকুর রহিমের (১) উইকেট তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিন জাদুকর রশিদ খান। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাওয়া আফিফ হোসেনও (১২) কাটা পড়েছেন তার বলেই। মুশফিক-আফিফ দুজনকেই লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ চিনিয়েছেন রশিদ। মাত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে এর আগে কখনো এত কম রানে ব্যাটিং লাইনআপের অর্ধেক হারায়নি টাইগাররা।

    রশিদের বলে সাজঘরের পথ ধরার আগে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ২৫ বলে ২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ। এরপর ষষ্ঠ উইকেট মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেকের ৩১ বলে ৩৬ এবং সপ্তম উইকেট জুটিতে মোসাদ্দেক-মেহেদী হাসানের ২৪ বলে ৩৮ রানের জুটিতে ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

    ২৭ বলে ২৫ রান করে রশিদ খানের বলে হাঁটু গেঁড়ে সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে তালুবন্দি হন মাহমুদউল্লাহ। ১২ বলে ২ চারে ১৪ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান। আর ৩১ বলে ৪ চার এবং ১ ছয় সহযোগে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন।

  • শ্রীলংকাকে বিধ্বস্ত করে আফগানিস্তানের শুভ সূচনা

    শ্রীলংকাকে বিধ্বস্ত করে আফগানিস্তানের শুভ সূচনা

    লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল শ্রীলংকা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। তাদের আগ্রাসী ব্যাটে খেলতে থাকা আফগানরা তা ছুঁয়ে ফেলে পানি পানের বিরতির পরই।

    ৫৯ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।

    টস ভাগ্য জিতে আয়োজক দেশ শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানরা। শুরুতেই ফজল হক ফারুকী ও নাভিনউল হকের পেস বলে দিশাহারা হয়ে যান আসালাঙ্কারা। প্রথম দুই ওভারেই আউট হয়ে যান লংকানদের তিন টপ অর্ডার। রাজাপাকশে ও গুনাথিলাকার জুটি সেই চাপ সামাল দেন। তবে শেষ মুহূর্তে একশ রানের আগেই অল-আউটের শঙ্কা জেগেছিল। কারুনারত্নের ৩১ রানের ইনিংসে কোনো রকমে ১০০ পাড় করে তারা।

    মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন জাজাই ও গুরবাজ। দুজনের ব্যাটে তান্ডব ছুটে যেন।

    তাদের দানবীয় ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই আসে ৮৩ রান। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে শ্রীলংকাকে দিশাহারা করে ফেলে আফগানরা। তারা যেন তখন মরিয়া হয়ে উঠেছিল একটি উইকেটের জন্য।

    তখনই দলকে ব্রেক থ্রো এনে দেন শ্রীলংকার লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। তার গুগলিতে গুরবাজের লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে। ফিরে যান ৪০ রান করে। ১৮ বলে তিন চার ও চার ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

    গুরবাজ ফিরে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাজাই। তবে তাকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিতে পারেননি তিনে নামা ইব্রাহিম জাদরান। থিকশানার বল সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়েছিলে জাজাই। দাগের বাইরে চলে এসেছিলেন ইব্রাহিম। বোলারের হাতে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। ফিরে যেতে হয় ১৫ রান করেই। ১৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল দুটি চারে।

    ইব্রাহিম যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। সেটা পেতে শেষ পর্যন্ত বেগ পেতে হয়নি। ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জয় নিয়ে ফেরেন জাজাই। ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

    শ্রীলংকার হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন রাজাপাকশে। দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিধ্বস্ত করা ফজল হক ফারুকী হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

  • আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্যর্থ’ হয়েছে: মার্কিন শীর্ষ জেনারেল

    আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ‘ব্যর্থ’ হয়েছে: মার্কিন শীর্ষ জেনারেল

    যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জেনারেল বুধবার সুস্পষ্টভাবে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের যুদ্ধ ‘ব্যর্থ’ হয়েছে। খবর এএফপি’র।

    ইউএস জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে বলেন, ‘আমাদের সকলের কাছে এটি সুস্পষ্ট যে তালেবান কাবুল দখল করায় আফগানিস্তান যুদ্ধ আমাদের চাওয়া অনুযায়ী শেষ হয়নি।’

    আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার এবং রাজধানী কাবুল থেকে হুড়োহুড়ি করে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কমিটির শুনানিতে মিলি বলেন, ‘এ যুদ্ধ কৌশলগতভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’

    মিলি বলেন, ‘সর্বশেষ ২০ দিন বা এমনকি ২০ মাস এটি ব্যর্থ ছিল না।’

    প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ সামরিক উপদেষ্ঠার দায়িত্ব পালন করা এ জেনারেল বলেন, আফগানিস্তান থেকে ‘ফিরে আসার কৌশলগত ধারাবাহিক সিদ্ধান্তের ক্রমবর্ধিত প্রভাবে এমনটা হয়েছে। বাইডেন আফগানিস্তানে মার্কিন সৈন্যের ২০ বছরের উপস্থিতির অবসান ঘটানোর নির্দেশ দেন।

    গত এপ্রিলে বাইডেন ৩১ আগস্ট নাগাদ আফগানিস্তান থেকে সম্পূর্ণভাবে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার নির্দেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে তালেবানের সাথে করা একটি চুক্তি অনুযায়ী তিনি এমন নির্দেশ দেন।

    মিলি ও ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড কমান্ডার ম্যাকেঞ্জি মঙ্গলবার সিনেট কমিটিকে বলেন, তারা ব্যক্তিগতভাবে আফগানিস্তানে আড়াই হাজার সৈন্য রাখার সুপারিশ করেছিলেন। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে কি করা যায় সে ব্যাপারে ‘আংশিক’ পরামর্শ বাইডেন গ্রহণ করেছেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে আল-কায়েদা হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে আগ্রাসন চালায়।

    এন-কে

  • আইএস-খোরাসানের বিরুদ্ধে তালেবানের অভিযান শুরু, গ্রেপ্তার ৮০

    আইএস-খোরাসানের বিরুদ্ধে তালেবানের অভিযান শুরু, গ্রেপ্তার ৮০

    আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে জনগণকে আশ্বস্ত করে আসছে তালেবান। তারা বলেছে, আফগানিস্তান এখন থেকে যেকোনো ‘যুদ্ধ থেকে নিরাপদ ও মুক্ত’। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান শাখার (আইএসকেপি) ধারাবাহিক হামলায় তাদের এই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে।

    তবে এরই মধ্যে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে তালেবান কঠোর ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। এমনকি আইএসের প্রতি অনুগত যেকোনো শক্তিকে নির্মূল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তারা। আইএসকেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত নানগর থেকে গ্রুপটির ৮০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তালেবান দাবি করেছে, আইএসকেপির সাবেক নেতা জিয়াউল হককেও তারা হত্যা করেছে।

    তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদের খুঁজে বের করে দমন করা হবে। খবর আল জাজিরার।

    তালেবান ক্ষমতায় আসার ছয় সপ্তাহের মধ্যে আইএসকেপি কাবুল, জালালাবাদ এবং মাজার-ই-শরিফে হামলা চালায় এবং তারা এখন এসব এলাকায় আগের থেকে বেশি সক্রিয়।

    কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমা হামলার দায়ও স্বীকার করে তারা। ওই হামলায় ১৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং শত শত মানুষ আহত হয়েছিল।

    এ ছাড়াও দেশটির নানগর প্রদেশ এবং জালালাবাদ শহরে অনেকগুলো পৃথক হামলা চালিয়েছে আইএসকেপি। তাদের সাম্প্রতিক হামলাগুলোতে সাধারণ নাগরিকসহ তালেবান সদস্যদেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    টেলিগ্রাম মেসেজে আইসকেপি দাবি করেছে, জালালাবাদের হামলায় কমপক্ষে ৩৫ তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যদিও তালেবান তা অস্বীকার করেছে।

    এন-কে

  • আফগানিস্তানের ব্যাংক ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে

    আফগানিস্তানের ব্যাংক ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে

    আফগানিস্তানের অন্যতম বড় ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংক অব আফগানিস্তানের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মুসা কালিম আল-ফালাহি বলেছেন, দেশের আর্থিক খাত তথা ব্যাংক ব্যবস্থা পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। গ্রাহকদের আতঙ্কের ফলে ব্যাংকগুলো ‘অস্তিত্ব সংকটের’ সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে মুসা কালিম আল-ফালাহি এমনটি বলেছেন।

    মুসা কালিম আল-ফালাহি বলেন, মানুষ ব্যাপক পরিমাণে অর্থ উত্তোলন করছে। শুধুই উত্তোলন হচ্ছে। বেশিরভাগ ব্যাংক কার্যক্রম চালাতে পারছে না। পুরোদমে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে।

    অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য তালেবানের ভিন্ন উৎসের সন্ধানের বিষয়টিকে আশাব্যাঞ্জক বলে উল্লেখ করেন আল-ফালাহি। তিনি বলেন, ‘তালেবান চীন এবং রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। মনে হচ্ছে, আজ হোক কাল হোক তালেবান এই প্রচেষ্টায় সফল হবে।’

    সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন মুসা কালিম। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে তিনি দুবাই চলে যান।

    কর্মক্ষেত্রে নারীদের অবস্থা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মুসা কালিম বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকে নারীরা কাজে ফিরছে।’

    ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যাওয়ার পর দেশটির অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে। এমনিতেই যুদ্ধবিধস্ত দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল ছিল না। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে জিডিপির ৪০ শতাংশ বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল অর্থনীতিতে দুর্দশা নেমে এসেছে।

    তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ব ব্যাংক সব ধরনের বরাদ্দ ছাড় করা বাতিল ও সম্পদ জব্দ করেছে।

    এই মুহূর্তে অর্থ ছাড় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান মুসা কালিম আল-ফালাহি।

    এন-কে

  • আফগানিস্তানের হেলমান্দে সেলুনে দাড়ি কাটায় তালেবানের নিষেধাজ্ঞা

    আফগানিস্তানের হেলমান্দে সেলুনে দাড়ি কাটায় তালেবানের নিষেধাজ্ঞা

    আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে সেলুনে দাড়ি কাটায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইসলামি আইনের লঙ্ঘন হয় উল্লেখ করে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবানের ধর্মীয় পুলিশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

    দক্ষিণ হেলমান্দের সেলুনগুলোতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে চুল-দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে শরিয়া আইন মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সেলুনওয়ালাদের কেউ এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।

    এ ছাড়া রাজধানী কাবুলের বেশ কিছু সেলুনেও এমন নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কাবুলের একজন সেলুনকর্মী বিবিসিকে বলেন, যোদ্ধারা মাঝে মধ্যেই আসছেন এবং দাড়ি কাটতে নিষেধ করছেন।

    কাবুলের সবচেয়ে বড় সেলুন পরিচালনাকারী বিবিসিকে বলেছেন, “সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ে একজন ফোন করেছিলেন। তিনি আমাকে ‘আমেরিকান স্টাইলে চুল কাটতে’ নিষেধ করেছেন এবং দাড়ি কাটা যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছেন।”

    গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে তালেবান বলে আসছে তারা আগের মতো কট্টর নীতিতে দেশ চালাবে না।

    এদিকে, শনিবার হেরাত প্রদেশে চার জন অপহরণকারীকে হত্যার পর তাদের মরদেহ প্রকাশে রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখে তালেবান কর্তৃপক্ষ।

    এন-কে