চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নিবার্চনী প্রচারণায় সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কাছে লিখিত আকারে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর,সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন,বিএনপি নেতা এম এ হাশেম রাজু,গোলাম মনসুর,মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, নগরের নাসিরাবাদ ও পলিটেকনিক এলাকায় গত কয়েকদিনে পোস্টার লাগাতে গেলে সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে, কর্মীদের মারধর করে প্রচারণায় ব্যবহৃত মাইক ভেঙে ফেলেছে। এছাড়া পুলিশও বিএনপির পোস্টার লাগাতে বাধাঁ দিচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ পলিটেকনিক এলাকায় ডা. শাহাদাতের প্রচারণায় ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করা হয়। এতে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। এছাড়া ১৫ মার্চ রাত একটায় বক্সিরহাট রাজাখালী এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এসময় পোস্টার লাগাতে গেলে বিএনপি কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়। নতুন ব্রিজ এলাকায়ও প্রচারণা চালাতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হন বিএনপির কর্মীরা।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ১৬ মার্চ সকাল ১০টায় ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া এলাকায় বিএনপি নেতা সেলিমকে সাদা পোশাকে পুলিশ গিয়ে আটক করার চেষ্টা করে। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছন, আমি বাকলিয়ার সন্তান। বাকলিয়া আমার নিজের এলাকা। বাকলিয়ার মানুষের সাথে আমার রক্তের সর্ম্পক। এখানে আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা। এক সময়ের অনুন্নত এই বাকলিয়াকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের একান্ত প্রচেষ্টায় শহরে রুপদান করা হয়েছে। অবহেলিত বাকলিয়াকে উন্নত এলাকায় রুপান্তর করা হয়েছে। আমি মেয়র নিবার্চিত হলে এই বাকলিয়াকে একটি আধুনিক,সুন্দর,মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত,আর্বজনামুক্ত পরিবেশ বান্ধব এলাকায় পরিণত করবো।
তিনি আজ রবিবার (১৫ মার্চ) পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিন বাকলিয়া এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদল্লাহ আল নোমান ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন কে সাথে নিয়ে রাহাত্তার পুল মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করে কেবি আমান আলী রোড, ধুনীর পুল,ডিসি রোড, মিয়ার বাপের মসজিদ,দেওয়ান বাজার,বৌ বাজার,মাষ্টার পুল, বাদামতল,মুজাহেরুল উলুম মাদ্রাসা সড়ক,চর চাকতাই স্কুল, ময়দার মিল,ইসহাকের পুল, তুলাতলী,কালামিয়া বাজার এলাকায় এসে শেষ করেন ।
এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বৃহত্তর বাকলিয়ার উন্নয়নে আবদুল্লাহ আল নোমান ও মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের অবদান সবচেয়ে বেশি। বাকলিয়ায় এক সময় কোন স্কুল কলেজ ছিল না। শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য বিএনপির সময়ে বাকলিয়ায় উচ্চ ও মাধ্যমিক স্কুল এবং একমাত্র শহীদ এনএমজে ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাছাড়া বাকলিয়া স্টেডিয়াম ও কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। বিএনপি বাকলিয়ার আইলকে রাস্তায় পরিণত করেছে। বাকলিয়ায় বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দির নির্মাণে অনুদান দেয়া হয়েছিল। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে বৃহত্তর বাকলিয়া বাসীর জন্য চাইল্ড কেয়ার ও মাতৃসদন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবো।অবহেলিত এই বাকলিয়ার উন্নয়নে নিজিকে উৎর্সগ করবো।
গনসংযোগকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদল্লাহ আল নোমান বলেন, বাকলিয়া নগরীর একটি প্রসদ্ধি ও ঐতহ্যিবাহি এলাকা। এখানকার রাস্তাঘাট, অলিগলি সবই আমার চেনাজানা। র্দীঘদিন ধরে অবহলেতি থাকা এ বাকলিয়ায় আমি অনেক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি। বাকলিয়া বাসীর প্রতি আমার অনেক দাবী আছে। সেই দাবী নিয়ে আমি ডা. শাহাদাত হোসেনের জন্য ধানের শীষে ভোট চাইতে এসেছি। ডা: শাহাদাত হোসনে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ ।তাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে কারাবন্দী বেগম খালেদার জিয়ার মুক্তি আন্দোলনকে বেগবান করবেন।
গনসংযোগকালে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ভোটের দিন সকালে সকালে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে পাশাপাশি ভোটে বাধাদানকারী দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহিত করে ভোটের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।
তিনি বলেন,পিছিয়ে থাকা বাকলিয়াবাসীর নাগরিকমান উন্নয়নের জন্য ডা. শাহাদাতের বিকল্প হতে পারে না।সকলকে ২৯ তারিখ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
গনসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সি. সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, ইদ্রিছ মিয়া চেয়ারম্যান,সহ-সভাপতি অধ্যাপক নূরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন,ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াসিন চৌধুরী আসু, ইসহাক চৌধুরী আলিম,ধর্ম সম্পাদক নুরুল আক্তার,প্রশিক্ষণ সম্পাদক এম আই চৌধুরী মামুন, গণ শিক্ষা সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু,পরিবেশ সম্পাদক আমিন মাহমুদ,সহ সম্পাদক একে খান, মো শাহজাহান,অধ্যক্ষ খুরশেদ আলম,মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক জেলী চৌধুরী, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহিন, মো. মহসিন, সাহেদা বেগম পারভীন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো: সেকান্দার, সাধারন সম্পাদক মো. হাজী এমরান, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম ,নগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, কাউন্সিলর প্রার্থী আরিফুল ইসলাম ডিউক,মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, মাহমুদা সুলতানা ঝর্ণা,নাছরিন আক্তার প্রমুখ।
ভোট চাওয়ার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাস তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবুও আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে তিনি এ প্রচারণা চালান।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান কে সাথে নিয়ে জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি টাওয়ারের মোড়ে থেকে গণসংযোগ শুরু করে মুরগি ফার্ম, ওয়ারলেস, পাহাড়তলী কলেজ, ঝাউতলা কোলোনি, ঝাউতলা বাজার, সর্দার নগর, আম বাগান, ভাঙ্গাপুল, বাস্তুহারা, ওয়ার্কশপ গেইট হয়ে রেলওয়ে স্কুলে এসে শেষ করেন।
এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দুর্নীতিমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে চসিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। চট্টগ্রামকে একটি স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ, সাম্য ও সম্প্রীতির শহরে পরিণত করতে চাই। একটি আইটি প্রযুক্তি সমৃদ্ধ স্মার্ট, আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ বান্ধব শহর গড়ার জন্য নির্বাচনী মাঠে নেমেছি। মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে বিশ্বের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।
তিনি বলেন, গতবছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার তৈরি করা ক্লোরিন সলিউশন বানিয়ে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা তৈরি করেছিলাম।বাংলাদেশের জন্য এটা একটা উদাহরণ ছিল। প্রতিটি জায়গায় ব্লিচিং পাউডারের সাথে পানির মিশ্রণ করে সারা চট্টগ্রাম শহরে ছিটিয়েছি। যেটা পরে সিটি কর্পোরেশন অনুসরণ করেছে। ডেঙ্গ প্রতিরোধে বিএনপি যেভাবে গণসচেতনতা তৈরি করেছে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেও মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি করছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডেঙ্গু মশা এবং মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন,চসিক নির্বাচনে আমরা জয়ের জন্য মাঠে নেমেছি।জয়ের মাধ্যমে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। তাই প্রতিটি কেন্দ্রে আপনাদেরকে ভ্যানগার্র্ডের ভূমিকা পালন করতে হবে।চট্টগ্রামের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আমাদেরকে বিজয়ের মালা পরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি ২০% লোকের মেয়র হতে চাই না, ৮০% মানুষের মেয়র হতে চাই। আমি নগর পিতা নই,নগর বাসীর সেবক হতে চাই। জনগনকে ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত করুন। জনগণের পবিত্র আমানত রক্ষার জন্য ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার নিশ্চিত করুন। ইনশাল্লাহ জয় আমাদের সুনিশ্চিত।
এ সময় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন,চট্টগ্রামে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের জন্য মাঠে নেমেছে বিএনপি। বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।
সরকারের সকল অপকর্মের জবাব দিতে সবাই এখন সোচ্চার। বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী ডাক্তার শাহাদাত হোসেন একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি।একজন পেশাজীবী হিসেবে তিনি সকলের কাছে পরিচিত।তাই ভয়কে জয় করে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে তাকে বিজয়ী করতে হবে।তিনি ডা. শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে ১৭ টি পয়েন্টের উপর ভিক্তি করে লালদিঘীর মাঠে বেগম খালেদা জিয়া চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।এখন নিবার্চনে এসে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধূরী আমাদেরকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।এটা একধরনের বিভ্রান্তিকর।এসব বক্তব্য চট্টগ্রাম বাসীর সাথে প্রতারণার সামিল।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এস কে হুদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ফাতেমা বাদশা, আব্দুল হালিম স্বপন, জেলী চৌধুরী, এম আর মঞ্জু,মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ছকিনা বেগম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহিদ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক এস এম আজাদ, নগর যুবদল নেতা আব্দুল হামিদ পিন্টু, আমান উল্লাহ আমান, তানভীর মল্লিক, হাসান আল মামুন, জিয়াউর রহমান জিয়া, হেলাল হোসেন, বাদশা আলমগীর, মনিরুল ইসলাম মনির, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ কামাল, মোহাম্মদ সরোয়ার, মোহাম্মদ মিল্টন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দেখেছি, মানুষ জেগে উঠেছে। মানুষের জোয়ারের কাছে ইভিএম ষড়যন্ত্র খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে।
তিনি বলেন, আতঙ্ককে জয় করে মানুষ যখন মাঠে নেমেছে, মানুষ যখন আন্দোলন-সংগ্রামে নেমেছে, তাহলে ইভিএম নিয়ে কারচুপির ষড়যন্ত্র করে পার পাওয়া যাবে না। ভোটে কোনো কারচুপি হলে আমরা জনগণকে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাব।
তিনি ১১ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে নগরীর জামালখানস্থ একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, ভোটারদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এটা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবে বলে আমাদের আশ্বস্থ করেছেন।
প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে যাতে কোনো বিঘœ সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রশাসনকে চোখ খোলা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান চাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়েজি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, জেলা বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান. মোস্তাফিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী উপস্তিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়াম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা অংশ গ্রহণ করেছিলাম। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল। সরকার যদি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে রাজাকারের তালিকা করতো তা হলে কোনো ধরনের অভিযোগ থাকতো না। এই রাজাকারের তালিকা সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ। রাজাকারের তালিকা সকারের মনগড়া।
সমাবেশে তিনি বলেন, প্রশাসন নিরপেক্ষ না হলেও মানবিক হবে, এটা আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু এটা হয়নি। নির্বাচন যেমন ৩০ তারিখের টা ২৯ তারিখ হয়ে গেছে। আজকে বিজয় দিবসও ১৬ তারিখের পরিবর্তে ১৭ তারিখে পালন করতে হচ্ছে আমাদের। এটা আমাদের নয়, জাতীয় লজ্জার বিষয়। বিএনপিকে যথা সময়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান পালন করতে দিচ্ছে না এ সরকার।
আজকে যদি বিজয় বিদবসের র্যালি বিজয় দিবসের দিন করার অনুমতি দিতেন, তাহলে সকলের সাথে বিজয় দিবসের আনন্দ ভাগাভাগি করা যেতো। বিজয় দিবস কোন একক দলের নয়।
তিনি আজ ১৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কাজীর দেউরী মোড়ে বিজয় দিবসের র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন।
এতে তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে মিছিল করার অনুমতি প্রদান করে না প্রশাসন। মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে এমন কি এরশাদ সরকারের আমলেও প্রশাসন বাস্তব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। এখন এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না তারা। আমাদের মিছিলে পুলিশের হুমকি ধমকি দেখি। আমাদের সময় দেয়া হয় মাত্র ৫ মিনিট। ৫ মিনিটে কি একটা বিজয় মিছিল করা যায়?
তিনি বলেন, প্রথম বাংলাদেশ গান গাইতে শহীদ জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। শেষ বাংলাদেশ বলতে বলতে আমাদের সামনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদত বরণ করেছেন। তার আদর্শেআমরা উজ্জ্বীবিত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। তিনি যতদিন মুক্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকবে। দেশনেত্রীকে জেলে রেখে দেশের সংকট দূর হবে না। তাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করছি। আমাদের নেতাকর্মীরা সুশৃংখলভাবে এখন সে লড়াইয়ে অবতীর্ণ। ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের হবেই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সমাবেশে ডা. শাহাদাত বলেন, মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় দিশেহারা জাতি মুক্তিযুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছিলো। আজকের এই বিজয় মিছিল প্রমাণ করেছে চট্টগ্রামের মাটি শহীদ জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার ঘাঁটি। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। বিজয়’র এই দিনে আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, বিনা ভোটের নির্বাচনে নিজেদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করে পেশীশক্তির জোরে দেশ চালাতে গিয়ে সরকার সম্পূর্ণ হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। তারা নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, শাসনক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে জনগণের সমর্থন বা ভোটের প্রয়োজন নেই। আর এ কারণেই দেশ পরিচালনায় অবৈধ সরকারের নির্মম আচরণ দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষকের হাতে গড়া দল। এই দলকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। মিছিল মিটিং বন্ধ করে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না। আওয়ামীলীগ যদি লালদীঘির মাঠে সমাবেশ করতে পারে তাহলে বিএনপি কেন পারবে না? আগামীতে আমরা লালদীঘির মাঠে সমাবেশ করতে চায়। আশাকরি সরকার জনগণের মনের ভাষা বুঝে বিএনপিকে লালদীঘির মাঠে সমাবেশ করতে সহযোগিতা করবে।
র্যালী ও সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, মহিলা দলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা, সি: যুগ্ম সম্পাদক ছকিনা বেগম, স্বেচ্ছাসেবকদলের সি: সহসভাপতি তফাজ্জল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, সদস্যসচিব এড. আবদুল আজিজ, শমিক দলের সভাপতি তাহের আহমেদ, নগরীর ১৫ টি থানা ও ৪৩ টি ওয়ার্ড ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে অংশ গ্রহণ করেন।
র্যালী ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মোহাম্মদ আলী, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, এস এম আবু ফয়েজ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন প্রমুখ।