Tag: আবরার ফাহাদ

  • আবরারকে মারধরে জড়িত সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা

    আবরারকে মারধরে জড়িত সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা

    বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি।

    সোমবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

    তিনি বলেন, রাতে খবর পাওয়ার পরই আমি সেখানে (ঘটনাস্থল) যাই। কয়েকজন তাকে ওই রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। যারা মারধরে জড়িত তারা সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা।’

    তিনি বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ভাবাও কষ্টের। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক।

    সানি বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে ছাত্রলীগের ছেলে হিসেবে নয়, অপরাধী যে-ই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    অপরদিকে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

    নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

    রোববার দিনগত রাতে তাকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর পিটিয়ে হত্যা করা হয়। কক্ষটিতে ছাত্রলীগের নেতারা থাকতেন। তারা সবাই এখন পলাতক।

    হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী একদল নেতাকর্মী তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

    হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় ওই কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন।

    ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।

  • নিহত আবরারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    নিহত আবরারের শেষ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবরার ফাহাদ নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    শের-ই-বাংলা হলের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা হত্যার রহস্যের সূত্র খুঁজে পাচ্ছেন তার সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে।

    আবরার ৫ অক্টোবর তার সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে ভারত সর্ম্পকে লিখেছিলেন।

    পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- ‘৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে উদ্বোধনের আগেই মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।

    কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব।

    কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব।

    হয়তো এসুখের খোঁজেই কবি লিখেছেন-

    “পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি

    এ জীবন মন সকলি দাও,

    তার মত সুখ কোথাও কি আছে

    আপনার কথা ভুলিয়া যাও।”

    সহপাঠীরা অভিযোগ করছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কয়েকজন নেতাকর্মী রোববার (৬ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ২০১১ নাম্বার রুমে তাকে তার দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

    ওই সময় তারা আবরারকে মারধর করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু। তবে আবরারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, ছাত্রলীগের উপদফতর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজতবা রাফিদ, উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপআইন সম্পাদক অমিত সাহা।

    পরবর্তীতে তাদের সঙ্গে যোগ দেন ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার।

    অন্যদিকে রাত অনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে সবাই জানতে পারে, সিঁড়ি থেকে পড়ে আবরার ফাহাদ মারা গেছেন।

    ঘটনাটি সর্ম্পকে লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার কামাল হোসাইন জানান, হল প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসে ছেলেটির মরদেহ দেখতে পাই। পরে তা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • আবরার হত্যা : ২ ছাত্রলীগ নেতা আটক

    আবরার হত্যা : ২ ছাত্রলীগ নেতা আটক

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    এরা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ। তারা উভয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। আজ সকালে তাদেরকে আটক করা হয়।

    এর আগে রোববার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আবরার ও আটককৃতরা ওই হলের ছাত্র।

    তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চকবাজার থানায় নেয়া হয়েছে।

    চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফুয়াদ ও রাসেল নামে দু’জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।

    পুলিশ ও আবরারের সহপাঠি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে হলের কক্ষে ছিলেন আবরার। রাত ৮টার দিকে তাকে ২০১১ নং কক্ষে ডেকে নেয় ছাত্রলীগ নেতারা। পরে গভীররাতে তার লাশ ওই হলের সিঁড়িতে পাওয়া যায়।

    সহপাঠিরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবরার সক্রিয় ছিলেন। লেখালেখি করতেন। এ কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

    পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, আবরারের পায়ে ও ঊরুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছি। কারণ বুয়েট একটি সম্মানজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা তদন্ত করছি।

  • সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে প্রভোস্ট কার্যালয় ঘিরে রেখেছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

    সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে প্রভোস্ট কার্যালয় ঘিরে রেখেছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা

    বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার সময়কার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে প্রভোস্ট কার্যালয় ঘিরে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাত ২টা ৬ মিনিটের পর আর কোনো ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই ফুটেজ পেলে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। যতক্ষণ সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো না হবে ততক্ষণ প্রভোস্ট কার্যালয় ঘেরাও করে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

    বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার ঘটনায় এক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। তার নাম মেহেদি। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

    এই হত্যাকাণ্ডের হত্যার বিচার দাবিতে সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বুয়েট অভিমুখে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ‘বুয়েটে ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ‘ নামে প্রতিবাদী একটি ইভেন্টও খুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    রবিবার রাত তিনটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

    আবরারের সহপাঠীরা বলছেন, গতরাত আটটার দিকে শেরে বাংলা হলের নিজ কক্ষ থেকে কয়েকজন আবরারকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত দুইটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা হলের কোনো কক্ষে নিয়ে তাকে পেটানো হয়। পরে শের বাংলা হলের একতলা ও দুই তলার মাঝখানের সিঁড়ি থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    কে বা কারা বুয়েটের এই শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। বুয়েট কর্তৃপক্ষও এখনো কিছু বলেনি।

    আবরার ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের লেভেল-২ এর টার্ম ১ এর ছাত্র ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে তিনি স্কুলজীবন শেষ করে নটরডেম কলেজে পড়েন।