Tag: আবরার ফায়াজ

  • কুষ্টিয়ায় ভর্তি হলেন আবরারের ছোট ভাই

    কুষ্টিয়ায় ভর্তি হলেন আবরারের ছোট ভাই

    কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হলেন বুয়েটের নিহত মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

    আজ বৃহস্পতিবার ফায়াজের বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকা কলেজের ছাড়পত্র কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে জমা দেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ফায়াজকে ভর্তি করে নেয়।

    কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাজী মনজুর কাদির জানান, বুয়েটে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা কলেজে আসেন। তিনি ফায়াজের ঢাকা কলেজের ছাড়পত্রসহ কাগজপত্র জমা দেন। তাৎক্ষণিকভাবে ফায়াজকে ভর্তি করা হয়। এখন থেকে সে এই কলেজেই পড়াশোনা করবে। এখান থেকেই তার শিক্ষাজীবন চলতে থাকবে।

    এবিষয়ে ফায়াজের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, ফায়াজ অসুস্থ থাকায় আমিই তার কাগজপত্র নিয়ে এসেছি। কাগজপত্র দেওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করেছে।

    গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন।

    ভাইয়ের মৃত্যুর পর ফায়াজ ঢাকায় পড়ালেখা করতে অনীহা প্রকাশ করেন। ফায়াজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

    ভাইয়ের মৃত্যুর নিজ বাড়িতে ফায়াজ জানান, ভাইকে হারিয়ে একা হয়ে পড়েছি। ভাই আমার সব বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতেন। আজ ভাই নেই, তাই আমিও আর ঢাকায় থাকবো না। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সে ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নেন ফায়াজ।

  • আবরারের ভাই ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন

    আবরারের ভাই ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজে আর পড়তে চান না।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন তিনি। ফায়াজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ঢাকা কলেজ ছেড়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়বে ফায়াজ।

    ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ শাখার এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আবরারের ছোট ভাইয়ের ছাড়পত্র হয়ে গেছে। সে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়বে। বিশেষ ব্যবস্থায় সে আজকে আবেদন করেছে এবং আজকেই তার ছাড়পত্র মঞ্জুর করা হয়েছে।

    গত ৬ অক্টোবর শেরে-ই- বাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। ভাইয়ের এ ঘটনার পর আবরার ফায়াজ ঢাকায় পড়তে অনীহা প্রকাশ করে।

    ১২ অক্টোবর কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ভাইকে হারিয়ে সে একা হয়ে পড়েছে। ভাই তার সব বিষয়ে খেয়াল রাখত। ভাই নেই, তাই সেও ঢাকায় থাকবে না।

  • আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    ঢাকায় আর না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বুয়েটে হত্যাকাণ্ডের শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

    বর্তমানে তিনি ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। ঢাকা কলেজ ছেড়ে গ্রামের কোনো বিদ্যাপীঠে ভর্তি হতে চান তিনি।

    গতকাল শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা বলেন ফায়াজ।

    কেন এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকর্মীদের ফায়াজ বলেন, ভাইকে হারিয়ে আমি একা হয়ে পড়েছি। ঢাকায় থাকার এখন কোনো মানে হয় না।

    তিনি বলেন, ‘ফাহাদ ভাই আমার অভিভাবক ছিলেন। আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে যে সম্পর্কটি ছিল তা এক কথায় প্রকাশ করা যাবে না। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন ছিল যে মা–বাবার কথা তেমন মনেই হতো না। আর সেই ভাই এখন নেই। কার জন্য তা হলে ঢাকায় পড়ে থাকব। বড় ভাইকে হারিয়ে মা-বাবা এমনিতেই দিশেহারা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা আর না, কুষ্টিয়াতে পড়াশোনা করব। এটিই পরিকল্পনা।’

    উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দিন ফায়াজ কুষ্টিয়াতেই ছিলেন। আবরার ফাহাদ যেদিন (রোববার) কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কের বাড়ি থেকে চলে যান, সেদিন সকালে ঘুমিয়ে ছিলেন ফায়াজ।

    ফায়াজ বলেন, ‘ভাই যাওয়ার সময় মা ডেকেছিল। কিন্তু শুয়েই ছিলাম। আমাকে শুয়ে থাকতে দেখে ভাই বলল, তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে আসবি। আমি ঘুমের ঘোরেই হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছিলাম। ভাইয়ের সঙ্গে এটিই ছিল আমার শেষ কথা।’

    কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন ভাই নেই, ঢাকায় আমি কার কাছে যাব?

    ভাইয়ের এমন হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ফায়াজ! তাই ঢাকায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্ন ওঠার আগেই নিজের আবেগের কথা জানালেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘কোনো ভয় থেকে নয়, সত্যি কথা হচ্ছে- ঢাকাতে নিয়ে ভাই (ফাহাদ) আমাকে ঢাকা কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। সব ছিল ভাইয়ের ইচ্ছায়। ঢাকায় ও আমার অভিভাবক ছিল। বাবা-মা ওর হাতেই আমাকে তুলে দিয়েছিল। ভাই আমাকে সেভাবে যত্ন ও দেখভালও করতেন। এই যেমন ধরুন- মেসে পানি নেই, ভাইকে বলতাম, তিনি ব্যবস্থা করে দিতেন। এখন ও নেই, সেখানে কী করে থাকব আমি।’

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।

    এর জের ধরে পর দিন ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    এমন ঘটনার সময় থেকে আবরার ফায়াজ কুষ্টিয়া গ্রামের বাড়িতেই আছেন। ঢাকায় ফেরেননি এখনও।