Tag: আবরার হত্যা

  • বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার বিচার শুরু

    বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার বিচার শুরু

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হলো।

    ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় এ মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও গ্রেফতার ২২ আসামির শুনানি শেষ হয়েছে। ওই দিন শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন। আজ আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

    এর আগে ১৩ জানুয়ারি মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। এর পর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পাঠানোর আদেশ দেন।
    প্রসঙ্গত গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটছাত্র আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ পরে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

    আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

    গত বছরের ১৩ নভেম্বর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারের বাইরে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনসহ মোট ২২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক রয়েছে তিনজন।

    এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো– মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।

    এজাহারবহির্ভূত ৬ জন হলো– ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।

    পলাতক তিন আসামি হলো– মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আবরার হত্যা : অভিযোগ গঠন শুনানি ১৮ মার্চ

    আবরার হত্যা : অভিযোগ গঠন শুনানি ১৮ মার্চ

    বুয়েটের মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির তারিখ আগামী ১৮ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

    আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাটি বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতে যাওয়ার গেজেট প্রকাশিত হয়নি। এ জন্য আদালত চার্জ শুনানির এ তারিখ ঠিক করেন।

    গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে আবরার ফাহাদকে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এর পর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

    ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

    গ্রেফতার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

    মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।

  • আবরার হত্যা: ৩০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানি

    আবরার হত্যা: ৩০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানি

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ দিন ধার্য করেন।

    আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপাস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

    মামলার তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুইজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহার বহির্ভূত আসামি।

  • আবরার হত্যা : আসামি মোর্শেদ কারাগারে

    আবরার হত্যা : আসামি মোর্শেদ কারাগারে

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি মোর্শেদ অমত্য ইসলামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।

    এজহারভুক্ত এই আসামি এতদিন ধরে পলাতক ছিলেন। আজ রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন মোর্শেদ।শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চার পলাতক শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

    মোর্শেদ অমত্য ইসলাম বাদে পলাতক বাকি তিন আসামি হলো- বুয়েট শিক্ষার্থী মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে রাফিদ এজহারভুক্ত আসামি নন; তদন্তে আগত।

    গত ৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেছিলেন, আবরার হত্যা মামলায় পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

    এ পরিপ্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর আদালত পলাতকদের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেন। তবে আসামিদের ব্যক্তিগত কোনো সম্পদ না থাকায় সম্পত্তি ক্রোক করা যায়নি। এর পর আদালত আসামিদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১৩ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

    আদালত সূত্র জানায়, এর আগে ১৮ নভেম্বর আদালত মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করে ওই চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরও আগে ১৩ নভেম্বর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে এ চার্জশিট দেয়া হয়।

    এর মধ্যে ১১ আসামি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। বাকি ১৪ জন বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ততার কারণে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হয়। চার্জশিটে বলা হয়- আসামিরা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নির্মমভাবে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে।

    ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

    অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহার বহির্ভূত ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

    গ্রেফতার ২১ জন হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

    প্রসঙ্গত, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

    পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। ওই ঘটনায় নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

  • আবরার হত্যা:চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

    আবরার হত্যা:চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২২) হত্যা মামলায় ২৫ আসামির মধ্যে পলাতক চার আসামির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

    যাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন- মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মুজতবা রাফিদ।

    গত ১৮ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ডিবি পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। চার আসামি পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

    পলাতক আসামিদের গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেন। আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে পলাতক রয়েছেন মর্মে উল্লেখ করে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে। এজন্য আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন। এরপর আদালত আগামী ৫ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করেন।

    গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান চার্জশিট দাখিল করেন।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত‌্যা করে।

    পরদিন আবরারের বাবা বুয়েটের ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে।

  • বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

    বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

    বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে বুয়েটের ডি এস ডব্লিউ অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

    স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মুজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান রবিন, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বী তানিম, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মো. শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হোরায়রা, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মুজতবা রাফিদ, মো. মিজানুর রহমান, মো. আশিকুল ইসলাম, এস এম মাহমুদ, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মাজেদুর রহমান, অমিত সাহা, মো. শামসুল আরেফিন, মো. মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ও মো. আকাশ হোসেন।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। পরদিন আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দাযের করেন। পরে প্রাথমিক তদন্তে ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এ ঘটনায় বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের মামলায় আসামি করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর এর মধ্যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে মোহাম্মদ গালিব, আবু নওশাদ সাকিব, মো. শাওন মিয়া, সাখাওয়াত ইকবাল অভি, মো. ইসমাইল ও মো. সাইফুল ইসলাম নামে ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

  • আবরার হত্যার চার্জশিট গ্রহণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি

    আবরার হত্যার চার্জশিট গ্রহণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে করা চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। এরমধ্য দিয়ে আবরার হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হলো।

    সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে পলাতম ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পাশাপাশি গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন আগামী ৩ ডিসেম্বর আদালতে উত্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

    যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ারা জারি করা হয়েছে তারা হল- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত।

    এর আগে ১৩ নভেম্বর আবরার হত্যায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

    চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হল—মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না মোশতুবা রাফি এবং এস এম মাহমুদ সেতু।

    পলাতক রয়েছেন জিসান, তানিম, মোরশেদ, মোশতুবা রাফি। তাদের বিরুদ্ধে আজ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো।

  • আবরার হত্যা: ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট চূড়ান্ত

    আবরার হত্যা: ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট চূড়ান্ত

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। দুপুরেই মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট পাঠানো হয়েছে।

    আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

    মনিরুল ইসলাম বলেন, চার্জশিট আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, আবরার হত্যা সরাসরি অংশে নেয় ১১ জন। বাকি ১৪ জন হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত রয়েছে।
    বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন আবরারের বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে মোট ৮ জন তাদের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, যাদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

    আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর বিবরণ উঠে এসেছে তাদের জবানবন্দিতে।

    আবরারকে সেদিন সন্ধ্যার পর ওই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি জায়গায় তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। ভোরে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • আবরার হত্যা : মাহমুদ ৪ দিনের রিমান্ডে

    আবরার হত্যা : মাহমুদ ৪ দিনের রিমান্ডে

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এস এম মাহমুদ সেতুর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    সোমবার (২৮ অক্টোবর) ৭ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৭ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন।

    এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সেতুর রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট তা নাকচ করে দেন।

    রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে বুয়েট থেকে সেতুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আবরার হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠিরা।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান ৫ দিনের রিমান্ডে

    আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান ৫ দিনের রিমান্ডে

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তার রুমমেট ও বুয়েট শিক্ষার্থী মিজানুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লাহ এই আদেশ দেন।

    মিজান বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। সে আবরারে সঙ্গে এক রুমে থাকতেন।

    গত ১০ অক্টোবর তাকে আটক করা হয়। ওই সময় অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

    কারাগারে থাকা অবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। যার ওপর শুনানি শেষে বুধবার রিমান্ড মঞ্জুর হলো। রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে আসামি মিজানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।

    মামলাটিতে এ পর্যন্ত ৮ জন শিক্ষার্থী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এরা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত।

    বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড শেষে কারাগারে গেছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী সাসছুল আরেফিন রাফাত, আকাশ হোসেন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ ও মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা।

    গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরার ফাহাদকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

    আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটিতে এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

  • আবরার হত্যা : দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে অমিত

    আবরার হত্যা : দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে অমিত

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় এজাহারের বাইরে থাকা আসামি অমিত সাহার ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ফের সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

    অপর আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

    শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ অমিতের তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং তোহাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালতে রিমান্ড শুনানির আগে সাংবাদিকদের অমিত সাহা বলেন, “ঘটনার দিন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। রাত দেড়টার দিকে আমি খবর পাই। মিথ্যাভাবে ফেঁসে গেলাম। আমি ঘটনার সাথে জড়িত না। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”

    আবরারকে পিটিয়ে মারা বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অমিত বলেন, “আমিও তো একজন মানুষ”। এরপর তিনি আদালতের ডকে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন।

    অমিত সাহা বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। আবরার হত্যা মামলায় গত ১০ অক্টোবর সকালে সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার সহপাঠিরা।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে সোমবার রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

  • আবরার হত্যা : পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাদাত

    আবরার হত্যা : পাঁচ দিনের রিমান্ডে সাদাত

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার এএসএম নাজমুস সাদাতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত।

    রিমান্ড আবেদনের শুনানিকালে বিচারকের জিজ্ঞাসায় সাদাত জানিয়েছেন, বড় ভাইদের কথায় তিনি আবরার ফাহাদকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে আসেন।

    বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া সাদাতকে রিমান্ডের আদেশ দেন। তিনি বুয়েটের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর ডিবির লালবাগ জোনাল টিমের পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাদাতকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

    রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই আসামি মামলার এজাহারনামীয় ১৫ নম্বর আসামি। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্য প্রমাণে ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় তার জড়িত থাকা সম্পর্কে যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিকারীদের মধ্যে কয়েকজন এই আসামি জড়িত মর্মে নাম প্রকাশ করেছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

    রিমান্ড শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের জিআরও এসআই মাজহারুল ইসলাম ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

    এরপর আসামি নাজমুস সাদাতের পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাবায় বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন কিছু বলার আছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, আমি বড় ভাইদের কথায় আবরারকে রুম থেকে ডেকে এনে দিই। আমি আবরারকে মারিনি।

    এরপর বড়ভাই কারা বিচারকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনিক, সকাল, মুজাহিদ ও রবিন মনির। এরপর বলেন, ওরাই আবারকে মারে। আমি সাড়ে ১২টায় চলে আসি। এরপর কী হয়েছে জানি না।

    রিমান্ডে যাওয়া সাদাত বুয়েটের ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি জয়পুরহাট সদর থানার কড়ই উত্তর পাড়ার মো. হাফিজুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    মামলাটিতে ছয় জন আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির ও শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান।

    মামলাটিতে রিমান্ড শেষে কারাগরে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, আকাশ হোসেন ও মিজানুর রহমান। তারা সবাই ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত।

    রিমান্ডে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েটের শিক্ষার্থী শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, সামছুল আরেফিন রাফাত ও হোসেন মোহাম্মাদ তোহা।

    একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    দেশ-বিদেশে তোলপাড় করা এই ঘটনায় আবরারের বাবা বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামি করা হয়েছে ১৯ জনকে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।