Tag: আবরার হত্যা

  • ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার প্রত্যয়ে বুয়েটে গণশপথ

    ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার প্রত্যয়ে বুয়েটে গণশপথ

    ক্যাম্পাসে সকল অন্যা‌য়, সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদা‌য়িক শ‌ক্তিকে রু‌খে দিতে গণশপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

    শপথে ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। আর এই শপথ গ্রহণের মাধ্য‌মে শিক্ষার্থীরা মা‌ঠের আন্দোলনের ইতি টানেন। গণশপথে বুয়েটের শিক্ষকরাও অংশ নেন।

    বুধবার দুপুর একটায় বুয়েট মিলনায়তনে এই গণশপথ অনুষ্ঠান হয়। শপথবাক্য পাঠ করান বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্রী রাফিয়া রিজওয়ানা।

    শপথে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের কল্যাণ ও নিরাপত্তার নিমিত্তে আমার উপর অর্পিত ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক, নৈতিক ও মানবিক সকল প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করব।’

    শপথে বলা হয়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় আমার জ্ঞাতসারে হওয়া প্রত্যেক অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমি সর্বদা সোচ্চার থাকব। আমি আরও প্রতিজ্ঞা করছি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেব। নৈতিকতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরণের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার আমরা সকলে উৎপাটিত করব’।

    ‘এই আঙ্গিনায় যেন আর কোনো নিষ্পাপ প্রাণ ঝরে না যায়, আর কোনো নিরপরাধ যেন অত্যাচারের শিকার না হয়। তা আমরা সবাই মিলে নিশ্চিত করব’।

    এর আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

    এ সময় বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. আব্দুল বাসিত, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দসহ অন্যান্য ‌শিক্ষকরা উপ‌স্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এরপর থেকেই ১০ দফা দাবিতে আনন্দোলনে নামের শিক্ষার্থীরা। আর আজ গণশপথ গ্রহণের মাধ্যমে মা‌ঠের আন্দোলন শেষ করে শিক্ষার্থীরা।

  • আবরার হত্যা : আসামি মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : আসামি মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মনিরুজ্জামান মনির নামে আরও এক আসামি।

    মনির রিমান্ডে থাকাকালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে সোমবার (১৫ অক্টোবর) তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

    ডিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী মনিরের জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মনির ৫ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।

    এর আগে ১০ অক্টোবর বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ও ১১ অক্টোবর মেফতাহুল ইসলাম জিয়ান, ১২ অক্টোবর অনিক, ১৩ অক্টোবর মোজাহিদ ও ১৪ অক্টোবর মেহেদী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এ নিয়ে ছয়জন আবরার হত্যায় দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

    গত ৬ অক্টোবর দিনগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের জেরে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার সহপাঠীরা।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • আবরারের ভাই ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন

    আবরারের ভাই ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজে আর পড়তে চান না।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা কলেজ থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন তিনি। ফায়াজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ঢাকা কলেজ ছেড়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়বে ফায়াজ।

    ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ শাখার এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, আবরারের ছোট ভাইয়ের ছাড়পত্র হয়ে গেছে। সে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়বে। বিশেষ ব্যবস্থায় সে আজকে আবেদন করেছে এবং আজকেই তার ছাড়পত্র মঞ্জুর করা হয়েছে।

    গত ৬ অক্টোবর শেরে-ই- বাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। ভাইয়ের এ ঘটনার পর আবরার ফায়াজ ঢাকায় পড়তে অনীহা প্রকাশ করে।

    ১২ অক্টোবর কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ভাইকে হারিয়ে সে একা হয়ে পড়েছে। ভাই তার সব বিষয়ে খেয়াল রাখত। ভাই নেই, তাই সেও ঢাকায় থাকবে না।

  • আবরার হত্যা : ভারতে পালানোর সময় আসামি সাদাত গ্রেফতার

    আবরার হত্যা : ভারতে পালানোর সময় আসামি সাদাত গ্রেফতার

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি এ এস এম নাজমুস সাদাতকে ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সাদাতকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।

    ডিবি সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেফতার এড়ানোর জন্য তিনি দিনাজপুর জেলার হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

    এ নিয়ে আবরার হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    উল্লেখ্য, গেল ৫ অক্টোবর বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রবিবার রাতে বুয়েটের শেরে-বাংলা হলে নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রথমে সাদাতসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় অমিত সাহাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

  • আবরারের হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    আবরারের হত্যাকারীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

    দ্রুত সময়ের মধ্যে বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    তিনি বলেন, দোষী যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আলোচিত এই হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    সোমবার বিকালে আবরারের বাবা-মা ও ভাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের এই আশ্বাস দেন সরকারপ্রধান।

    গণভবন সূত্র জানায়, বিকাল পাঁচটায় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, মা রোকেয়া বেগম এবং ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ গণভবনে যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এসময় প্রধানমন্ত্রী আবরারের মা রোকেয়া খাতুনকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন।

    এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে কঠোর ভূমিকা নিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই।

    জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি কে কার লোক। আপরাধী কে বা কোন দল করে সেটা বিবেচনা করিনি।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় কিছু শিক্ষার্থী ভিডিও ফুটেজ আটকানোর চেষ্টা করেছে। সেটা তারা কেন করেছে তা এখনো আমার বোধগম্য নয়। তা না হলে হয়তো সব অপরাধী আরও আগেই গ্রেপ্তার হতো।

    তিনি আবরারের মায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলব আমাকে দেখেন। স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি।

    এই সময় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও বাবা বরকতউল্লাহ প্রশাসন ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আবরার হত্যার বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে বুয়েটসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা প্রায় সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

    অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। এছাড়া ১৯ আসামিকে বুয়েট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা : রবিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : রবিনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

    আদালত সূত্র জানায়, আসামি মেহেদী হাসান রবিন স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন।

    এর পরিপ্রেক্ষিতে মেহেদী হাছান রবিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত তিনটার দিকে হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

    পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যায়। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    পরে হত্যায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • শিবির সন্দেহেই আবরারকে হত্যা করা হয়েছে

    শিবির সন্দেহেই আবরারকে হত্যা করা হয়েছে

    বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

    সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৯ জন আসামির মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের জবানবন্দিতে বলা হয়, মূলত শিবির সন্দেহেই আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তাকে মেরে ফেলার জন্য পেটানো হয়েছে নাকি হুমকি-ধমকি দেওয়ার জন্য পেটানো হয়েছে সেটি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’

    সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘আগামী নভেম্বর মাসের শুরুর দিকেই আবরার হত্যা মামলার তদন্ত কাজ শেষ হবে। নভেম্বর মাসেই মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।’

    আবরার হত্যাকাণ্ডের দিন পুলিশের টহলদল ছিল কি-না জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত তিনটা পর্যন্ত বুয়েট এলাকায় পুলিশের একটি টিম টহল দেয়। কিন্তু তারা এ সময় কোনো শব্দ পায়নি।’

  • সৈয়দপুরে আবরার হত্যার বিচার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা

    সৈয়দপুরে আবরার হত্যার বিচার ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা

    বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার(১৩ অক্টোবর) বিকেলে সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোডস্থ সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ শাহিন আকতার শাহিন, সৈয়দপুর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ও কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান, সৈয়দপুর পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক শেখ বাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এম এ পারভেজ লিটন প্রমুখ।এছাড়াও সমাবেশে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।

    এসময় বক্তারা বলেন, বিনা ভোটের সরকার বলেই বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ ও সরকারের কাছে মানবতা বা গণতন্ত্রের কোন মূল্য নেই। তাই তারা বিনা দোষে মানবতার মা বিএনপি চেয়ারপার্সন তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খাদেলা জিয়াকে কারাবন্দী করে রেখেছে। আর দূর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থ নানাভাবে বিদেশে পাচার করছে।এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেই নিরাপরাধ জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করছে। যার প্রমান বিশ^জিৎ হত্যা থেকে শুরু করে সর্বশেষ আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ড।

    তারা অনতি বিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন এবং আবরার হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক দ্রুত বিচার দাবি করেন।

  • আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

    আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।

    রোবরার (১৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিন বাবুর পক্ষে অপর আইনজীবী এ কে এম ফায়েজ এ রিট আবেদন দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেন।

    ক্ষতিপূরণের সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্ত (জুডিশিয়াল ইনকয়ারি) এবং আবরারের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

    বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় আবরার ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

  • আবরার হত্যা: মুজাহিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা: মুজাহিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় অন্যতম আসামী রিমান্ডে থাকা মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুজাহিদ বুয়েট ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) মুজাহিদকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হলে মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

    এ তথ্য নিশ্চিত করে আদালতের পেশকার জাহিদ হাসান বলেন, মুজাহিদ অপরাধে সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

    গত ৬ জুন আবরার খুন হওয়ার পরপরই যে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল, তাদের মধ্যে মুজাহিদ একজন।

    এর আগে এই মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও অনিক সরকার।

  • আবরার হত্যায় বিবৃতি দেয়ায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব

    আবরার হত্যায় বিবৃতি দেয়ায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তলব

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর জাতিসংঘের দেয়া বিবৃতির জন্য বাংলাদেশে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    রবিবার সকালে মিয়া সেপ্পো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে জাতিসংঘ উইংয়ের মহাপরিচালক নাহিদা সোবহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এমনকি জাতিসংঘও এ ব্যাপারে বিবৃতি দেয়।

    গত বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানায়।

    বুধবার জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয় থেকে আবরার হত্যার নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং হত্যার সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়।

    বিবৃতিতে ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের কারণে আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় এবং ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘের প্রতিনিধির কাছে দুটি বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একটি হলো, মুক্তভাবে মতপ্রকাশের সাথে আবরারকে হত্যার যোগসাজশের বিষয়টি উল্লেখ করা। অন্যটি হলো একজন ছাত্রের মৃত্যুর সাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টিকে সম্পৃক্ত করা।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে অনেকেই নানা মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা-মন্তব্য করেছেন। সরকার কাউকে তার মত প্রকাশে বাধা দেয়নি। এমনকি আবরার খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে ফেসবুকে কী লিখেছে, তা সরকারের ধারণায় ছিল না।

    উন্নত বিশ্বে যখন কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন তা নিয়ে জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়ানো হয় কেন এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতে চায়।

  • আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    ঢাকায় আর না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বুয়েটে হত্যাকাণ্ডের শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

    বর্তমানে তিনি ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। ঢাকা কলেজ ছেড়ে গ্রামের কোনো বিদ্যাপীঠে ভর্তি হতে চান তিনি।

    গতকাল শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা বলেন ফায়াজ।

    কেন এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকর্মীদের ফায়াজ বলেন, ভাইকে হারিয়ে আমি একা হয়ে পড়েছি। ঢাকায় থাকার এখন কোনো মানে হয় না।

    তিনি বলেন, ‘ফাহাদ ভাই আমার অভিভাবক ছিলেন। আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে যে সম্পর্কটি ছিল তা এক কথায় প্রকাশ করা যাবে না। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন ছিল যে মা–বাবার কথা তেমন মনেই হতো না। আর সেই ভাই এখন নেই। কার জন্য তা হলে ঢাকায় পড়ে থাকব। বড় ভাইকে হারিয়ে মা-বাবা এমনিতেই দিশেহারা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা আর না, কুষ্টিয়াতে পড়াশোনা করব। এটিই পরিকল্পনা।’

    উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দিন ফায়াজ কুষ্টিয়াতেই ছিলেন। আবরার ফাহাদ যেদিন (রোববার) কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কের বাড়ি থেকে চলে যান, সেদিন সকালে ঘুমিয়ে ছিলেন ফায়াজ।

    ফায়াজ বলেন, ‘ভাই যাওয়ার সময় মা ডেকেছিল। কিন্তু শুয়েই ছিলাম। আমাকে শুয়ে থাকতে দেখে ভাই বলল, তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে আসবি। আমি ঘুমের ঘোরেই হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছিলাম। ভাইয়ের সঙ্গে এটিই ছিল আমার শেষ কথা।’

    কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন ভাই নেই, ঢাকায় আমি কার কাছে যাব?

    ভাইয়ের এমন হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ফায়াজ! তাই ঢাকায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্ন ওঠার আগেই নিজের আবেগের কথা জানালেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘কোনো ভয় থেকে নয়, সত্যি কথা হচ্ছে- ঢাকাতে নিয়ে ভাই (ফাহাদ) আমাকে ঢাকা কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। সব ছিল ভাইয়ের ইচ্ছায়। ঢাকায় ও আমার অভিভাবক ছিল। বাবা-মা ওর হাতেই আমাকে তুলে দিয়েছিল। ভাই আমাকে সেভাবে যত্ন ও দেখভালও করতেন। এই যেমন ধরুন- মেসে পানি নেই, ভাইকে বলতাম, তিনি ব্যবস্থা করে দিতেন। এখন ও নেই, সেখানে কী করে থাকব আমি।’

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।

    এর জের ধরে পর দিন ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    এমন ঘটনার সময় থেকে আবরার ফায়াজ কুষ্টিয়া গ্রামের বাড়িতেই আছেন। ঢাকায় ফেরেননি এখনও।