Tag: আবরার হত্যা

  • আবরার হত্যা : আসামি জিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : আসামি জিয়নের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন।

    শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আবরার হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম আসামি হিসেবে স্বীকারোক্তি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল। যিনি ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।

    এদিকে শুক্রবার এ মামলায় গ্রেফতার আরেক আসামি মিজানুর রহমান মিজানকেও আদালতে হাজির করা হয়। তবে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

    গত ৮ অক্টোবর একই আদালত আসামি সকাল, জিয়নসহ এ মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

    গ্রেফতার আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, অনীক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশারেফ, বুয়েট ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না, ছাত্রলীগের সদস্য মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর, মোহাজিদুর রহমানকে, শামসুল আরেফিন, মনিরুজ্জামান ও আকাশ হোসেন, মিজানুর রহমান (আবরারের রুমমেট), ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

    হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলেট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

    ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় বুয়েট শাখার সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা : ভারতে পালানোর সময় আসামি শামিম আটক

    আবরার হত্যা : ভারতে পালানোর সময় আসামি শামিম আটক

    ভারতে পালানোর সময় বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি শামীম বিল্লাহ গ্রেপ্তার হয়েছেন।

    সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা থেকে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবির একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।

    শামীমের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বিরুলিয়া।
    তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে ধারণা পুলিশের।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

    রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    একাধিক শিক্ষার্থী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে হামলাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে আবরার দুবার বমি করেন। সঙ্গে প্রস্রাবও করেন।

    এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ এনিয়ে ১৮ জনকে আটক করল পুলিশ।

    আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ। তবে এজাহারের বাইরে বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

  • আবরার হত্যা : অমিত-তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে

    আবরার হত্যা : অমিত-তোহা ৫ দিনের রিমান্ডে

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা ও এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম শরাফুজ্জামান আনসারী শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এর আগে শুক্রবার সকালে দুজনকে আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিত সাহা এবং বিকেল ৩টার দিকে গাজীপুরের মাওনা থেকে তোহাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি পুলিশ।

    অমিত বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। হোসেন মোহাম্মদ তোহা বুয়েটের এমই বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি এ মামলার মামলার ১১ নম্বর আসামি।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

    রবিবার মধ্যরাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার মাঝামাঝি সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    একাধিক শিক্ষার্থী ও এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে হামলাকারীদের নির্মম নির্যাতনের মুখে আবরার দুবার বমি করেন। সঙ্গে প্রস্রাবও করেন।

    এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ ১৭ জনকে আটক করে পুলিশ।
    আবরার হত্যাকাণ্ডে ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তার বাবা বরকত উল্লাহ।

    তবে এজাহারের বাইরে বেশ কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
    এদিকে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুয়েট শাখার ১১ জন নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফেনী নদীর পানি বণ্টন ও বন্দর ব্যবহারসহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

  • আবরার হত্যা: এজাহারভুক্ত আসামি মাজেদুল সিলেটে গ্রেফতার

    আবরার হত্যা: এজাহারভুক্ত আসামি মাজেদুল সিলেটে গ্রেফতার

    বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাজদুল ইসলামকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

    শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে তাকে সিলেটের শাহ-কিরণ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই নিয়ে আবরার হত্যা মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হল। মাজদুল ইসলাম আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ৮ নম্বর আসামি।

    প্রসঙ্গত, বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে রবিবার রাতে তাকে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটান বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে তিনি মারা যান।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • আবরারকে হত্যার আগের দিন নির্যাতনের নির্দেশ

    আবরারকে হত্যার আগের দিন নির্যাতনের নির্দেশ

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের এক দিন আগে শনিবার (৫ অক্টোবর) মেরে শেরেবাংলা হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন।

    শেরেবাংলা হলের ১৬তম ব্যাচের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ফেসবুক গ্রুপে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়।

    বুয়েট ও শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে তৈরি ফেসবুকের মেসেঞ্জার গ্রুপে ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ‘এসবিএইচএসএল ১৫+১৬’ নামে ওই গ্রুপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে আবরারকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

    গ্রুপটি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেরেবাংলা হলের ১৫ ও ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হতো বলে জানা গেছে।

    ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কথোপকথনে দেখা যায়, ৫ অক্টোবর দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ১৬তম ব্যাচের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মেহেদী হাসান রবিন লেখে, ‘১৭-এর আবরার ফাহাদ; মেরে হল থেকে বের করে দিবি দ্রুত @১৬; এর আগেও বলছিলাম; তোদের তো দেখি কোনও বিগারই নাই; শিবির চেক দিতে বলছিলাম; দুই দিন সময় দিলাম।’

    রবিন মেসেঞ্জার গ্রুপে আরও লেখে, ‘দরকারে ১৬ ব্যাচের মনিরের সঙ্গে কথা বলিস। ও আরও কিছু ইনফো দিবে শিবির ইনভলমেন্টের ব্যাপারে।’

    ‘ওকে ভাই’ জবাব দেয় ১৬তম ব্যাচের মনিরুজ্জামান মনির।

    রবিনের নির্দেশ পাওয়ার পরদিন রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিটে মনির গ্রুপে লেখে, ‘নিচে নাম সবাই’।

    এরপরই রাত ৮টা ১৩ মিনিটে আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায় তানিম, বিল্লাহ, অভি, সাইফুল, রবিন, জিওন ও অনিক। যা শেরেবাংলা হলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।

    এরপর রাত ১২টা ৩৮ মিনিটে ‘এসবিএইচএসএল ১৬+১৭’ গ্রুপে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা লেখে, ‘আবরার ফাহাদ কি হলে আছে’। জবাবে শামসুল ও সজীব জানায়, ‘২০১১-তে আছে।’ জানা গেছে ২০১১ নম্বর কক্ষে অমিত সাহা থাকে।

    মেসেঞ্জারে অন্য আরেকটি কথোকথন পাওয়া গেছে, যা ছিল অমিত সাহা ও ইফতি মোশাররফ সকালের মধ্যে। এতে অমিত সাহা লিখেছে, ‘আবরার ফাহাদরে ধরছিলি তরা?’। ইফতি জবাব দেয়, ‘হ’। আবার প্রশ্ন করে অমিত, ‘বের করছোস?’ জবাবে ইফতি পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘কি হল থেকে নাকি স্বীকারোক্তি’। এবার অমিত লেখে, ‘স্বীকার করলে তো বের করা উচিত।’

    এরপর ইফতি জবাব দেয়, ‘মরে যাচ্ছে; মাইর বেশি হয়ে গেছে’। জবাবে অমিত সাহা লেখে, ‘ওওও বাট তাকে তো লিগ্যালি বের করা যায়’। এরপর একটি ইমোজি পাঠায় ইফতি। পরে এই দুজনের আর কোনও কথোকথন পাওয়া যায়নি।

    এদিকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কথোপকথনের বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তারা অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম। তিনি জানান, আমরা এগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।

    আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

  • আবরার হত্যা : সকালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    আবরার হত্যা : সকালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

    আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    জিআরও মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইফতির জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।’

    এর আগে গত ৮ অক্টোবর ইফতি মোশাররফ সকালসহ ১০ জনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পরদিন (৯ অক্টোবর) আরও তিন জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

    উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।

    পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে।

    আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরে হত্যায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে বুয়েট ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    আবরার হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই দেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বুয়েটের মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘শিগগিরই নিখুঁত ও নির্ভুলভাবে চার্জশিট দেয়া হবে।’

    বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত ও মর্মাহত। কেন এ হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে তার তদন্ত চলছে। যারা এটি ঘটিয়েছে ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা শনাক্ত করছি।’

    ঘটনার পর পুলিশ সাথে সাথে (অপরাধীদের) গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও জড়িত থাকলে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে। ’

    তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল(বুধবার) শক্ত ভাষায় বলেছেন যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে যে রাজনীতিই করুক, যেই হোক তাদের ছাড় দেয়া হবে না। এখানে রাজনীতির সাথে কোন সম্পর্ক নেই।’

    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা ভিসিদের সাথে কথা বলে খুব শিগগিরই ভার্সিটি ও কলেজগুলোর ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানো হবে। ছাত্রাবাস নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।’

    ‘বুয়েটের যে কক্ষে আবরারকে নির্যাতন করা হয়েছে সেই কক্ষটি ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহার’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি সে ঘটনার সাথে ছিল, পূজায় বাড়ি ছিল। তবে অমিত সাহা কোন ফ্যাক্ট না। যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। আবরারের বাবা যে মামলা করেছে, সে মামলায় তার (অমিত সাহা) নাম নেই। তারপরও পুলিশ তাকে আটক করেছে।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ‘টর্চার সেল’ রয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘কতখানি টর্চার সেল আছে আমরা দেখবো। আসলেই আছে কি না সেটা দেখার বিষয়।’

    বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাগিং সংস্কৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, র‌্যাগিং সংস্কৃতি পুরানো, বুয়েটে বেশি হয় এটা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন তথ্য আসেনি। যারা ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব দেন তাদের দায়িত্ব এসব দেখা।

    শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন। উনি তিনবারের মতো ক্ষমতায় আছেন। উনি (প্রধানমন্ত্রী) চাচ্ছেন রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে। আমাদের চ্যালেঞ্জ এখন রাষ্ট্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। দেশের সুসাশন প্রতিষ্ঠায় যা যা করার দরকার তা করবো। সেটি হোক টেন্ডারবাজি বা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ।

    তিনি আরও বলেন, ‘যে শুদ্ধি অভিযান চলছে, এটি আগে থেকেই ছিল। তবে এখন মাত্রা ছাড়িয়েছে বলে সেটি আরও কঠোরভাবে অভিযান চলছে।’

  • সৈয়দপুরে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    সৈয়দপুরে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)’র মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত করেছে।

    ১০ অক্টোবর বিকালে শহরের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক রোডস্থ সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ রাজনৈতিক জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবু ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কবির চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুহিদ চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রাহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক জিসান, প্রচার সম্পাদক আবু সাঈদ, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ খান রুবেল, সহ সাধারণ সম্পাদক আকাশ, প্রচার সম্পাদক আলী সহ আরও অনেকে।

    মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ সহ সৈয়দপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক সামসুল আলম, সদস্য আবদুল খালেক ও শেখ বাবলু বেং জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন।

    বক্তারা বলেন, দেশ বিরোধী চুক্তির প্রতিবাদে সোস্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেওয়ায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। এর দ্রুত বিচার দাবি করছি। দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা না হলে আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।

  • রিজভীর নেতৃত্বে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে মিছিল

    রিজভীর নেতৃত্বে আবরার হত্যার বিচার দাবিতে মিছিল

    বুয়েটের মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের পিটিয়ে হত্যা ও ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

    মিছিলটি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মতি, সাইফুর রহমান মিহির, কোষাধ্যক্ষ আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, সহ-সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান ফাহিম, দফতর সম্পাদক এ বি এম এ রাজ্জাক, প্রমুখ।

    মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান।

    এতে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-বাংলাদেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে এটা হতে পারে না। তাহলে ভারত থেকে কি কি নিয়ে আসলেন ? জনগণ প্রত্যাশা করেছিল- ‘ভারতকে সারাজীবন মনে রাখার মত’ আপনার দেয়া ট্রানজিট, বানিজ্য, কানেক্টিভিটি, ৭ রাজ্যের নিরাপত্তা, নদী, সমুদ্র, বন্দর, সুন্দরবন, প্রতিরক্ষা, বৃহত্তম রেমিটেন্স, অবাধ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে আপনি প্রতিবারের মত এবারও হয়ত খালি হাতে ফিরবেন না।

    ‘সব প্রধানমন্ত্রীই বিদেশ সফরে কিছু না কিছু আনতে যায়। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে সবকিছু উজাড় করে দিয়ে আসেন। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গেলেই দেশের মানুষের উদ্বেগ বেড়ে যায়। এবারও আপনি দেশের অনেক কিছু দিয়ে দিলেন, আর ফিরে আসলেন খালি হাতে’-যোগ করেন রিজভী।

    বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে করেন, আপনি বললেন দেশের স্বার্থ আপনি বিকিয়ে দেন না, তাহলে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর কেন দিয়ে আসলেন ? গতকালের সংবাদ সম্মেলনে তার কোনো সদুত্তর দিতে পারলেন না। বরং আমাদের বন্দরগুলো ব্যবহারে ভারতের অধিকারও আছে বলে যে জাতীয় স্বার্থপরিপন্থী বক্তব্য রাখলেন, তাতে গোটা জাতি হতভম্ব হয়ে পড়েছে।

    তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি করতে না পারায় সরকার প্রধানের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এবারও তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো চুক্তি হবে না। আপনি তিস্তার পানি চাইতেই পারলেন না, বরং ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসলেন ভারতকে! আপনি এখন দাতা হাতেমতাই হয়ে বলছেন, ‘কেউ পানি চাইলে, তা যদি না দেই, সেটা কেমন দেখায় ?’ অথচ আপনি ভুলেই গেছেন, আপনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আপনার সাংবিধানিক দায়িত্ব নিজ দেশের মানুষের ন্যায্য পানির অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। নিজেদের পানি চাহিবামাত্র বিনাস্বার্থে অন্যকে উজাড় করে দিয়ে আসা নয়! এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে আপনি ভারতকে চাপ দিতে পারেননি। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের বদলে দিয়ে এসেছে ফেনী নদীর পানি এবং গ্যাস। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) বিষয়ে টু শব্দটি করেননি। যৌথ বিবৃতির কোথাও এটির উল্লেখ নেই। অথচ বাংলাদেশের মানুষ সেটি নিয়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। এছাড়া সীমান্ত হত্যা, বানিজ্য ঘাটতির মতো ইস্যুগুলো এজেন্ডার কোথাও স্থান পায়নি। যা বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট।

    ভারতের রাডার স্থানের অনুমতি দেয়ার নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, ভারতকে আমাদের উপকূলে নজরদারির জন্য ২০টি রাডার স্থাপনে অনুমতি দেয়া হলো। তাতে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক সংঘাতের বলি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি স্বাধীন দেশের সমুদ্র বন্দর, ফেনী নদীর পানি, উপকুলে ভারতের নজরদারীর জন্য ২০টি রাডার স্থাপন এবং জ্বালানী সংকটের এই দেশে গ্যাস অন্য দেশের হাতে তুলে দেয়া হলো-তা সম্পূর্ণভাবে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তি এবং সুষ্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘন।

    বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, মূলত অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা দখল এবং সেই ক্ষমতা দীর্ঘ মেয়াদে ভোগ করার মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতেই ‘গণতন্ত্রের মা’ এদেশের গণমানুষের আস্থাভাজন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১০ মাস আগেই মিথ্যা ও সাজানো মামলায় জড়িয়ে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রেখেছে সরকার। আওয়ামী সরকার জানে যে, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে তিলে তিলে নি:শেষ করতে পারলেই দেশ বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকাটা সহজ হবে, কিন্তুজনগণের ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও তাদের হুঁশ হয়নি। এখন সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ প্রবল শক্তি নিয়ে রাস্তায় নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপরাধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয়তাবাদী শক্তি এখন আরও বেশী ঐক্যবদ্ধ।

    খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, আমি আবারও অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

  • আবরার হত্যার বিচার দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

    আবরার হত্যার বিচার দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

    বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার এবং ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের দাবিতে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

    বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।

    দলের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

    তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করেছে। এ চুক্তি বাতিল ও চুক্তির প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের হাতে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছে।’

    এর (ভারতের সঙ্গে চুক্তি ও আবরার হত্যা) প্রতিবাদে আগামী ১২ অক্টোবর ঢাকাসহ সারা দেশের মহানগরে জনসভা করবে বিএনপি। একই দাবিতে ১৩ অক্টোবর সারা দেশের জেলা শহরগুলোতে জনসভা করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ।

  • আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান আটক

    আবরার হত্যা : রুমমেট মিজান আটক

    বুয়েটের শেরেবাংলা হলে মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার রুমমেট মিজানকে আটক করেছে ডিবি দক্ষিণের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

    বৃহস্পতিবার বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তাকে আটক করা হয়। আবরারকে যে কক্ষে থাকতেন সেই ১০১১ কক্ষের বাসিন্দা মিজান। বুয়েটের ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মিজান।

    গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা মিজানকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তারা জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজানকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হবে। আবরার হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

    হলটির শিক্ষার্থীরা জানায়, আবরারের মৃত্যুর পর দুইদিন রুমটি বন্ধ ছিল। বুধবার থেকে আবরারের বাকি রুমমেটরা সেখানে থাকতে শুরু করে। আজ দুপুরে ডিবি পুলিশ ওই রুমে গিয়ে মিজানকে তুলে নিয়ে যায়।

    এর আগে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আটক করা হয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক অমিত সাহাকে, যার রুমে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছিল।

    গত রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

    ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জনকে গত মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    এদিকে আবরার ফাহাদের হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ১০ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বুয়েট শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

    শুক্রবারের মধ্যে দাবি না মানলে প্রত্যেক প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলানোর হুঁশিয়ারি এসেছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আগামীকাল দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্য নিজে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন দাবি না মানলে সোমবার থেকে অনুষ্ঠেয় ভর্তি পরীক্ষা হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

  • আবরার হত্যা : অমিত সাহা আটক

    আবরার হত্যা : অমিত সাহা আটক

    বুয়েটের মেধাবি ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

    আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ জনের তালিকায় তার নাম না থাকা নিয়ে চলছিল ব্যাপক সমালোচনা।

    বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সবুজবাগ থেকে বেলা ১১টার পর তাকে আটক করা হয় বলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

    বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এই আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদককে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

    বুয়েটের শেরে বাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়; সেই কক্ষটি অমিত সাহার। তার বিরুদ্ধে আবরারকে হত্যার অভিযোগ থাকলেও মামলায় তাকে আসামি না করায় এবং তিনি গ্রেফতার না হওয়ায় সমালোচনা চলছিল।

    মঙ্গলবার বুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হেলালউদ্দিন বলেন, ‘২০১১ নম্বর কক্ষটি অমিত সাহার। ঘটনার সময় তার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা আবরারকে বেদম মারধর করেন। পরে তিনিসহ অন্যরা বেরিয়ে যান।’

    ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের জেরে আবরারকে রোববার রাতে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে কয়েক ঘণ্টা ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

    ওইদিন রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির করিডোর থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    পরদিন সোমবার রাতে নিহত আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে ওই রাতেই হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।