Tag: আবরার হত্যা

  • আবরার হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরও ৩

    আবরার হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরও ৩

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, শামসুল আরেফিনকে ডেমরা, গাজীপুর বাইপাস, ঢাকা জিগাতলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    এর আগে গ্রেফতার হওয়া ১০ আসামি হলেন : বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয় বর্ষ), সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, দ্বিতীয় বর্ষ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, চতুর্থ বর্ষ), উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ), মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, তৃতীয় বর্ষ) এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না।

    ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা বরকতুল্লাহ। সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর পুরান ঢাকার চকবাজার থানায় হত্যা মামলাটি করেন তিনি।

    আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার পরে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তার সহপাঠীরা। এরপরে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবরার ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন, ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

  • আবরার হত্যা মামলার আসামী তানিমের শহর সৈয়দপুরে তোলপাড়, মানববন্ধন

    আবরার হত্যা মামলার আসামী তানিমের শহর সৈয়দপুরে তোলপাড়, মানববন্ধন

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলার আসামী এহেতসামুল রাব্বি তানিমের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ায়।

    সে সৈয়দপুর সরকারী কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছিল। এখানে থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি এবং ২০১৭ সালে এইচএসসি পাস করে। ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সদস্য তানিম তার বন্ধু ফাহাদকে খুনীদের কাছে নিয়ে যায় এবং হত্যার পর তার লাশ নিয়ে সিঁড়িতে ফেলা দেয়ার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে বলে তাঁর কলেজের সহপাঠিরা ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েছে। এরপর থেকে সৈয়দপুর জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    ৮ অক্টোবর সকালে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে মাত্র চার জন ছাত্র দাঁড়িয়ে নিরবে প্রতিবাদ করছিলো সেসময় আশেপাশে লোকজন সহ পথচারী ও খবর পেয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবাদী মানুষেরা তাদের সমর্থনে মানব বন্ধনে অংশ নেয় ।

    রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। শিবির সন্দেহে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    নিহত ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তিনি থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে।

    সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া কেন্দ্র করে রোববার রাতে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষেও ভেতর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    এ হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। এদের মধ্যে তানিমও রয়েছে। অন্যরা হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও মুজাহিদুর রহমান।

    ৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এদিকে তানিম সৈয়দপুরের ছেলে হওয়ায় তার সহপাঠীসহ বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সে সাথে শহরের সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। তারা এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি নিন্দা জ্ঞাপন করছেন।

  • আবরার হত্যা: ৫ দিনের রিমান্ডে ১০ আসামি

    আবরার হত্যা: ৫ দিনের রিমান্ডে ১০ আসামি

    বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১০ আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

    এর প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ ও ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না। তারা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাকর্মী।

    গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দাযের করেন।