Tag: আবুল হাশেম বক্কর

  • মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র: বক্কর

    মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র: বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য-সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিবর রহমানের সরকার জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর তার রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের কুটিল প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ। গণতন্ত্রকে হত্যা করার পর সেটিকে জায়েজ করতে এখন নানা অপকর্মের আশ্রয় নিয়েছে এ সরকার। তার সর্বশেষ কুৎসিত নাটক হলো স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।

    তিনি আজ বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে স্বৈরতন্ত্র ও মাফিয়াতন্ত্রের পতনের দাবিতে এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এমনিতেই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে এবং নানা ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন। সে জন্যই জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন। কারন জিয়া পরিবারের নামে বিষোদগার করলেই আওয়ামী নেতাদের পুরস্কৃত করেন শেখ হাসিনা। জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতি আওয়ামী সরকারের লাগামহীন ক্রোধ এবং প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এরা হুকুমের অপেক্ষায় থাকে। জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তো অত্যন্ত ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত। সরকারের প্ররোচনায় জামুকা এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বর্তমান সরকারের মাফিয়া দুঃশাসনের যে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, তা আড়াল করার জন্যই রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের যে মাফিয়া চরিত্র দেশবাসী ও বিশ্বের কাছে উম্মোচিত হয়েছে তা মুছে ফেলতে পারবে না। আমরা একদিন স্বৈরশাসক দেখেছি, সেনাশাসক দেখেছি বিশ্ববাসী এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাফিয়া শাসক দেখেছে। এটা সরকারের জন্য অনেক বিশাল বড় অর্জন হলেও আমাদের বাংলাদেশের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাাদক নূরে আরা ছাফা, এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, এড. আব্দুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দীন, মো, শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য হারুন জামান, মোঃ আলী, মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হক ভুইয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাসেম, শামসুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মোশারফ হোসেন ডেপটি, হাজী হানিফ সওদাগর, মো. সালাউদ্দিন, মোঃ সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাব উদ্দিন, জসিম উদ্দিন জিয়া, জাহিদ হাসান, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গির আলম, তাঁতি দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, নগর জাসাস সাধারণ সম্পাদক মামুনুল রশিদ শিপন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নবাব খাঁন, আকতার খান, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, জমির আহমদ, ইলিয়াছ চৌধুরী আলাউদ্দিন আলী নূর, আলি আব্বাস খান, মোঃ ইলিয়াছ, জানে আলম জিকু, এড আবুল কাশেম মজুমদার, মোঃ ইলিয়াছ, ফারুক আহমদ, মোঃ বেলাল, খাজা আলাউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির সোহেল, ফয়েজ আহমদ, শায়েস্তা উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আবু, ফরিদুল আলম, সৈয়দ আবুল বসর, নাছিম আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, জসিম মিয়া, হাজী আবু ফয়েজ, আবু সাঈদ হারুন, আনোয়ার হোসেন আরজু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, এস এম আজাদ, মোঃ হাসান, মামুন আলম, হাজী জাহেদ, মনজু মিয়া, আশ্রাফ খান, মনজুরুল কাদের, হাজী এমরান প্রমুখ।

  • নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার:বক্কর

    নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার:বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেছেন, সমকালীন রাজনীতির সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তাকে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের অসাংবিধানিক সরকারের নির্দেশে গ্রেফতারের পর থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো শুরু হয়। তারা গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে তারেক রহমানকে নিয়ে নানা চক্রান্তের জাল ছড়ায়। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে হেয় করার জন্য রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করা হয়। অথচ দেশের কোথাও তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা মামলা ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১/১১ সরকারের দায়ের করা মামলায় সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তারেক রহমানের নাম দেওয়া হয়েছে। বিদেশে অবস্থান করলেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া এখনো অব্যাহত রেখেছে। এই নাম দেওয়া সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থের নামান্তর। নির্দোষ তারেক রহমান আওয়ামী সরকারের আক্রোশের শিকার।

    তিনি আজ বুধবার (১৩জানুয়ারী) সকাল ১১টায় উদ্যোগে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেনন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন।

    এতে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তারেক রহমানের ওপর সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ধারা এখনও বয়ে চলেছে। নানাভাবে তাকে বিপর্যস্ত ও বিপন্ন করার জন্য সরকার কূটচাল চালিয়েই যাচ্ছে। তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ার নামে মিথ্যা মামলা ও অন্যায় সাজা দিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পূরণের গতি অব্যাহত আছে। এক ব্যক্তির হিংসার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটছে জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ওপর। এমতাবস্থায় আমরা দুঃশাসনের অবসানে অতি দ্রুত তার দেশে ফেরার জন্য প্রতীক্ষা করছি।

    মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মহানগরী বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম (ডক), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর জাসাস সভাপতি কন্ঠশিল্পী আব্দুল মান্নান রানা, গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হারুণ, গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হারুণ, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম, মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন্নাহার লিজা, বিএনপি নেতা আলী আজম চৌধুরী, মো. নাছির, মো, ইউসূফ, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক তারিকুল ইসলাম তানভীর, নুর জাফর রাহুল প্রমুখ।

  • নগর বিএনপির নেতৃত্বে আবারও শাহাদাত-বক্কর, উত্তরে আকবর

    নগর বিএনপির নেতৃত্বে আবারও শাহাদাত-বক্কর, উত্তরে আকবর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও উত্তর জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মহানগরে বর্তমান সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহবায়ক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সদস্য করা হয়েছে আরও ৩৭ জনকে।

    এছাড়া উত্তর জেলায় আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকারকে। ওই কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে ৪২ জনকে। তবে উত্তরের কমিটিতে কাউকে সদস্য সচিব করা হয়নি।

    বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিএনপি’র কেন্দ্র থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা কমিটির অনুমোদন দেন।

    জানা গেছে, গত ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালের জুলাইয়ে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ২৭৫ জন সদস্যদের নিয়ে নগর বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই বছরের জন্য দেওয়া এ কমিটি পার করছে চার বছরেরও বেশি সময়।

    এদিকে প্রায় ৬ বছর আগে আসলাম চৌধুরীকে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মামলায় কারাগারে অবস্থান করছেন আসলাম চৌধুরী আর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মারা যান সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান।

    নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন:

    যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আযম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস এ খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান।

    এছাড়া সদস্য করা হয়েছে এরশাদ উল্লাহ, আবু সুফিয়ান, কমিশনার শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মো, আলী কমিশনার মাহবুবুল আলম, এড. মফিজুল হোক ভূঁইয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ইকবাল চৌধুরি, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এসএম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরি সাইন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম কমিশনার, শামসুল হক, মনজুর আলম মঞ্জু (পাঁচলাইশ), আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম মঞ্জু (আকবরশাহ) ও কামরুল ইসলাম।

    উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে যারা স্থান পেয়েছেন:

    নুরুল আমিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, শাহীদুল আলম চৌধুরী, মো সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান, ফকির আহমেদ, দিদারুল আলম মিয়াজী, কর্ণেল আজিম উল্লাহ বাহার, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, সারোয়ার আলমগীর, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, এড. আবু তাহের, আহসানুল কবির রিপন তালুকদার, আজমত আলী বাহাদুর, আলমগীর ঠাকুর, ইসহাক কাদের চৌধুরী, কাজী সালাউদ্দিন, ইউসুফ নিজামী, জয়নাল আবেদীন দুলাল, জহুরুল আলম জহুর, শামসুল আলম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, প্রফেসর মির্জা মোহাম্মদ শহীদ উল্লা বাবুল, ডাক্তার রফিকুল আলম চৌধুরী, সেলিম চেয়ারম্যান, সোলেমান মঞ্জু, জাকির হোসেন, এম এ হালিম, জসিম উদ্দিন সিকদার, অ্যাড এনামুল হক, সেকান্দার চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাফর আহমদ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আজম খান, শওকত আলী নূর, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত, অধ্যাপক মহসিন ও মাহবুব সাফা।

  • সদালাপী মানুষ হিসাবে সানোয়ার আলী ছিলেন সকলের শ্রদ্ধার: বক্কর

    সদালাপী মানুষ হিসাবে সানোয়ার আলী ছিলেন সকলের শ্রদ্ধার: বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সৈয়দ সানোয়ার আলি সানু দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন, পরবর্তীতে দেশ গঠনে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। দেশ, জাতি ও জণগনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও কল্যাণে তাঁর নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং কর্তব্যপরায়নতায় তিনি ছিলেন অঙ্গীকারবদ্ধ। চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। রাজনীতির পাশাপাশি শতদল ক্লাবের মতো একটি ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠনের কর্ণধার ছিলেন তিনি।

    একজন সদালাপী ও স্পষ্টবাদী মানুষ হিসাবে তিনি সবার কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় ছিলেন। দেশের মানুষের ভোটধিকার ও গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সৈয়দ সানোয়ার আলি সানু জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে সে স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। দেশের মানুষ আজও গণতন্ত্রহীন, নিরাপত্তাহীন, বাকস্বাধীনতাহীন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা চট্টগ্রামবাসী আজীবন মনে রাখবে। তিনি সৈয়দ সানোয়ার আলী সানুর বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা কারেন।

    তিনি বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বাদে যোহর নগনীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মনজিদে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানু স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানুর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীর দোয়া মাহফিল ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ কালে এ কথা বলেন।

    বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সানোয়ার আলী সানু স্মৃতি সংসদের দোয়া ও মাহফিলে আবুল হাশেম বক্কর।

    দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলান মীর মোঃ রাসেদুল আলম। মিলাদ মহফিল শেষে বায়তুল ফোরকান এতিন খানার শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার বিররন করা হয়।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুছা, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাসেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সৈয়দ সানোয়ার আলী সানু স্মৃতি সংসদের সভাপতি আবু মোহাম্মদ মহসীন চৌধুরী , স্মৃতি সংসদের দিদারুল ইসলাম দিদার, আব্দুল্লাহ আল হারুন, এফ এ এফ রুমী, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, মোঃ রায়হান আলম, ওমর ফারুক, নুর হোসেন, মোঃ ওয়াসিম , মোঃ সাজ্জাদ হোসেন খাঁন, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, মীর মোহাম্মদ মোবারক হোসেন , মোঃ হানিফ রানা প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা//রিহাম

  • অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ভেঙে দিতে হবে: বক্কর

    অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ভেঙে দিতে হবে: বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও নেশার পথ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য জাতীয়তাবাদী যুবদল প্রতিষ্ঠা করেছেন। সারাদেশে আজ যুবদলের শক্ত ভিতের উপর দাড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের হাজারো দমন নিপীড়ন সহ্য করে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও আজ শক্তিশালী অবস্থানে আসীন হয়েছেন। ওয়ার্ড, মহল্লা থানায় থানায় যুবদলকে সংগঠিত করে সরকারের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ভেঙে দিতে হবে।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবদলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    ২২ নং এনায়েত বাজার ওয়ার্ড যুবদলের নেতা মোহাম্মদ জাহেদের সভাপতিত্বে আর. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন।

    এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক তানভীর মল্লিক, মো. নওশাদ, মহানগর যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ যুবরাজ, সাবেক যুবদল নেতা সালেহ আহমদ, কোতোয়ালি থানা যুবদল নেতা ওয়াহিদ মুরাদ, ২২নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. মোর্শেদ, মো. হাবিব, মো. জাবেদ, মো. হাসান, মো. হেলাল, মো. ইসলাম, মো. জসিম, মো. ইসকান্দর, মো. রুবেল, মো. ওয়াদুদ, মো. জিহাদ প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • বেগমগঞ্জের লোমহর্ষক ধর্ষনের ঘটনা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে: বক্কর

    বেগমগঞ্জের লোমহর্ষক ধর্ষনের ঘটনা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে: বক্কর

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীর উপর ভয়াবহ পাশবিকতা, সারাদেশে নারী ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

    তিনি বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে সরকারী দলের ছত্রছায়ায় সারাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবী জানান।

    তিনি বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যে লোমহর্ষক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। শুধু নোয়াখালীর ঘটনাই নয়, গত কয়েক মাসে দেশে ধর্ষণের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নারীর শ্লীলতাহানি, নারীর ওপর নির্যাতন এটি এখন এই অবৈধ সরকারের নিয়মিত ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।

    দেশের মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই মন্তব্য করে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আজকে এই দেশে সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় আছেন আমাদের মা-বোনেরা। প্রতি মুহূর্তে তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। তাই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই।

    তিনি অবিলম্বে বেগমগঞ্জ, সিলেট,খাগড়াছড়িসহ সারাদেশে সংঘটিত প্রতিটি ধর্ষণ ও নারী নিগ্রহের ঘটনার সাথে জডিত অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবী জানান। সমাবেশ থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন মো: আসলাম চৌধুরী সহ সরকারের প্রতিহিংসায় গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকেই এই সরকার নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। আমরা বারবার সরকারকে বলেছি, কিন্তু সরকার কর্ণপাত করেনি। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা রাতের আধারে জোর করে জনগণের ভোট ডাকাতি করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে।

    সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আমরা যারা জনগণের ক্ষমতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি, তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি শামসুল আলম, নাজিমুর রহমান, হারুন জামান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক আলম, ইসকান্দার মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, সম্পাদকবৃন্দ এড,সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হামিদ হোসাইন, জিয়াউদ্দীন খালেদ চৌধুরী, শেখ নুরউল্লাহ বাহার, শহীদুল ইসলাম, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো: সালাউদ্দিন আবদুল্লাহ আল হারুন, সহ সম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো: সেলিম, মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ শাহাজাহান, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলি চৌধুরী, আমলগীর নূর, আবু মুসা, রঞ্জিত বড়ুয়া, আবুল খায়ের মেম্বার, শফিক আহমদ, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলহাজ জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, হাজী বাদশা মিয়া, হাবিবুর রহমান, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, আখি সুলতানা, আবদুর রহিম , আতিকুর রহমান, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শহীদুল্লাহ চিশতি, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান জিলানী, তাঁতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জাম টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎসজীবি দলের আহবায়ক হাজী নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, রফিক চেধুরী, হাজী মো: ইলিয়াছ, কাজী শামছুল আলম, ইলিয়াছ চৌধুরী, আলাউদ্দিন আলী নুর, মো: বেলাল, রাসেল পারভেজ সুজন, মো: আজম, মো: মহসিন, মো: সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, এম এ হালিম বাবলু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, আবুল কালাম আবু, জাহেদ উল্লাহ রাসেদ, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, হাজী আবু ফয়েজ, হাজী মো: ইমরান, ফরিদুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক,আবু সাঈদ হারুন, সৈয়দ আবুল বসর, মামুন আলম, জিয়াউর রহমান জিয়া, জসিম মিয়া, কামরুল ইসলাম, শফিউল্লাহ, হাসান ওসমান, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এম এ গফুর বাবুল, নাছিম চৌধুরী, মো: মুছা, তোফাজ্জল হোসেন, শহীদুল্লাহ বাহার, মজিবুল হক, আলী মুর্তোজা খান, হুমায়ুন কবির, মো: সেলিম, এরশাদ হোসেন, এম এ ইউসুফ, খায়রুল আলম দিপু, মো: আসলাম, মে: হারুন, মাঈনুদ্দিন রাসেদ, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, জহিরুল হক টুটুল, মো: সরওয়ার, তানভীল মল্লিক, নওশাদ প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন: বক্কর

    জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন: বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বিএনপির গণমানুষের আস্থার ও বিশ্বাসের জায়গা। জিয়াউর রহমান দেশের ক্লান্তিলগ্নে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা করে মানুষের মৌলিক অধিকার ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারার প্রবর্তন করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান যেখানে এক দলীয় বাকশাল কায়েম করে লুটের রাজ্যে সদ্য স্বাধীন দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন, সেখানে জিয়াউর রহমান ১৯দফা কর্মসূচির আলোকে সারাদেশে চষে বেড়িয়ে খাদ্য স্বয়ংপূর্ণ একটি আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করেছেন। যার কারণে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের জনগণের নেতা হয়েও হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ব নেতা।

    তিনি আজ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে আওয়ামীলীগ নেতারা যখন প্রাণভয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন, দেশ যখন অবিভাবকহীন হয়ে পড়ে তখনই কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে অভিভাবকহীন দেশের অবিভাবক হয়ে উঠেন।

    মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের যে অপবাখ্যা, ইতিহাস বিকৃতি তার জবাব তরুণ প্রজন্ম তাদের দিবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা। জিয়াউর রহমানকে খাটো করতে গিয়ে এখন আওয়ামীলীগ সরকার ও নেতারা মুক্তিযুদ্ধকে ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খাটো করছেন। ইতিহাস বিকৃতকারী আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে এখন ক্ষমতায় মুখ্য বিষয় হিসাবে পরিণত হয়েছে। যার কারণে মানুষের চাহিদার কোন মূল্য তাদের নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা দেশের শাসন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে।

    ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মনজু মিঞার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি নাজিমুর রহমান।

    এসময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কামাল উদ্দীন সর্দার, সহসভাপতি শহীদ হোসেন, আবুল হাশেম, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানন মোস্তাফা, বিএনপি নেতা মো. হেলাল, জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম শফি দুুলু, সেকান্দর কোম্পানী, ডা. সিরাজ, যুবদল নেতা ওসমান গণি সিকদার, জাহাঙ্গীর আলম বাঁচা, বজল আহমদ, তাজ উদ্দীন, মো. বারী সুমন, কাইয়ুম হোসেন কিরণ, আকতার হোসেন, আবদুল্লাহ আল আজাদ, শফি রানা, রাজিব উদ্দীন, মো. সোহেল, রনি আহমদ, মো. আবদুর রব, মো. সোহাগ, মো. কাউসার, মো. সাইফুল, মো. এনাম, মো. সুমন ও মো. আলমগীর।

    আলোচনা সভার আগে শেখ দেওয়ান আলী সওদাগর জামে মসজিদের খতিব মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন। মোনাজাতে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রামবাসীকে আবুল হাশেম বক্কর’র শুভেচ্ছা

    পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রামবাসীকে আবুল হাশেম বক্কর’র শুভেচ্ছা

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রামবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, বছর ঘুরে আবার পবিত্র ঈদুল আয্হা আমাদের দ্বারে সমাগত। ঈদুল আযহা মানুষকে ত্যাগ ও কুরবাণীর আদর্শে উজ্জীবিত করে শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের অনুপ্রেরণা দেয়। মানুষ সকল ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে পরস্পর পরস্পরের নিকটবর্তী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশের মানুষ এমন এক সময় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন দেশে এক ভয়ংকর নৈরাজ্য চলছে। মানুষের জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। কোভিড-১৯ এর আঘাতে আমাদের জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি যেন বদলে গিয়ে এক অচেনা রূপ ধারণ করছে। মানুষের দিন অতিবাহিত হচ্ছে আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে। করোনা ভাইরাসের ছোবলে সারাদেশে বিনাচিকিৎসায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু এবং হাজারও মানুষের অসুস্থতার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

    তিনি বলেন, মানুষের মনে আজ ঈদের আনন্দ নেই। দেশের বর্তমান অবস্থায় সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা কঠিন।একদিকে করোনা মহামারী অন্যদিকে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। মানুষের ঘরবাড়ী, ফসলী জমিসহ সহায় সম্পদ বানের পানিতে ভেসে গেছে। দেশের এই চরম ক্রান্তিকালে সরকারী দল জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে লুটপাটে ব্যস্ত রয়েছে। সরকারের অব্যবস্থাপনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের মানুষ আরো বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

    ঈদুল আযহা সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তিও সমৃদ্ধি, সমাজে সৃষ্টি হোক সম্প্রীতি ও মেলবন্ধন। তিনি চট্টগ্রামবাসী সহ দেশের সকল জনগণকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাসের কারণে অসুস্থ রোগী ও বানভাসী অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করার জন্য আহবান জানান। সে সাথে করোনা থেকে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদ উল আযহা উদযাপনের অনুরোধ জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিএনপি উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনৈদিক দল : বক্কর

    বিএনপি উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনৈদিক দল : বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বিএনপি একটি উদার অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনৈদিক দল।

    বিএনপির শাসনামলে হিন্দু, বৌদ্ধসহ সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করেছে। আওয়ামীলীগ নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দাবি করলেও তারা উগ্র সাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। তাদের শাসনামলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনদের উপর হামলা, ভাংচুর ও নির্যাতন বেশি হয়েছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে বিশ্বজিৎকে তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগেড়র সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। আমাদের ছাত্র সমাজকে সচেতন হতে হবে। আওয়ামীলীগের অপরাজনীতি, দুর্নীতি, গণতন্ত্র হরণ ও ভোট ডাকাতিসহ দেশের স্বাধীনতা স্বার্ভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্র সমাজকে প্রহরীর ভূমিকায় জেগে থাকার আহবান জানান তিনি।

    আজ ২৬ জুলাই (রোববার) নগরীর এনায়েত বাজার বাটালী রোডস্থ নিজ বাসভবনে নবনির্বাচিত জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসলে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

    এসময় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী মুর্তজা খান, জাতীয়তাবাদী হিন্দু ছাত্র ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব ধর তমাল, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, সিনিয়র সহ-সভাপতি বাপ্পী দে, সহ-সভাপতি সুমন দত্ত, লিটল দাশ, অসিম বণিক, সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত তালুকদার জুয়েল, সি. যুগ সম্পাদক প্রকৌশলী সুব্রত সেন, যুগ্ম সম্পাদক রুবেল দাশ, মিথুন দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক জীবন মিত্র রাজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন কান্তি নাথ, দপ্তর সম্পাদক রাজিব দত্ত, সদস্য সীমান্ত বসাক, প্রান্ত বসাক ও সুমন ধর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • অনৈতিক করোনা নমুনা পরীক্ষার ফি বাতিল করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করুন:বক্কর

    অনৈতিক করোনা নমুনা পরীক্ষার ফি বাতিল করে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করুন:বক্কর

    করোনা সংক্রমণ একটি বৈশ্বিক মহামারি। এ মহামারীতে মানুষ এখন দিশেহারা, কর্মহীন হয়ে আর্থিক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার উপর করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে মানুষকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে সরকার। করোনার কারণে মানুষ কাজ হারিয়ে রোজগারহীন হয়ে পড়েছে। খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাধি জোগাড় করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সেখানে নতুন করে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ মরার ওপর খাঁড়ার ঘা এর শামিল।

    স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সে অধিকার টুকুই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের প্রতি তাদের কোন ধরণের দায়বদ্ধতা না থাকার কারণে অনৈতিক এ সিদ্ধান্ত নিতে কোন ধরণের ভাবেনি। এতে করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত গরিব সাধারণ মানুষের পক্ষে নমুনা পরীক্ষা করানো একে বারেই অসম্ভব নয়, যার ফলে নমুনা পরীক্ষা না করেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে এবং পুরো সমাজ ব্যবস্থার ভিতরে করোনার বিস্তার বেড়ে যাবে। মৃত্যুর মিছিল আরো দীর্ঘ হবে। সরকার এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক হিসাবে বিশ্বের প্রচার করে বাহবা কুড়ানোর জন্য এ অপকৈৗশল করে ফি নির্ধারণ করেছে।

    সরকার জনগণের সেবক থেকে রক্তচোষা জোকে পরিণত হয়ে দেশের মানুষের রক্তচুষে খাচ্ছে। বছরের পর বছর উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে ধোকা দিয়েছে। লুটপাটের মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল।স্বাস্থ্যখাত ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের ক্রান্তিকালে সাধারণ জনগণ সরকারের কাছ খেকে নগরিক সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। অবিলম্বে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের অবৈধ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার পূর্বক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

    আজ বৃহস্প‌তিবার (২ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

    তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা সংক্রমিত রোগী বেড়ে চলছে। সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম এখন করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে শীর্ষ অবস্থানে আছে।

    সরকার চট্টগ্রামের ১০টি ওয়ার্ডে রেডজোন ঘোষণা করলেও একটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি নয়টি ওয়ার্ডে এখনো কার্যকর লকডাউনের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এসব ওয়ার্ডের মানুষ যেমন ঝূঁকিতে রয়েছে তেমনি আশেপাশের এলাকাগুলোকে ঝূঁকির মধ্যে ফেলছে। লকডাউন করা একটি ওয়ার্ডেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, সেখানকার কর্মহীন গরীব অসহায় মানুষের মাঝে কোন ধরণের খাদ্য সহায়তা ও স্বাস্থ্য সেবাসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে কর্মহীন মানুষ ক্ষুধার জ্বালা নিবারণ করতে লকডাউন ভেঙে খাদ্যের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে। লকডাউনকৃত এলাকায় গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা খোলা রেখে সরকার লকডাউনের যে সুফল পেতে চাচ্ছে সেটা তা কখনো সম্ভব নয়। অবিলম্বে লকডাউনকৃত এলাকার কর্মহীন গরিব অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন:বক্কর

    জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন:বক্কর

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রম সার্কিট হাউসে দেশি বিদেশী ষডযন্ত্র ও সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যেরা জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

    তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশে একদলীয় শাসন ও গণতন্ত্র হত্যার মহা উৎসব শুরু হয়েছে, যা আজ অবধি চলছে।

    আজ শনিবার (৩০ মে) দুপুরে শহীদ প্রেসিডিন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর নগরীর এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন দেশের জনগনের সবচেয়ে জনপ্রয় রাষ্ট্রনায়ক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি দেশকে একদলীয় দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সামাজিক ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করেছিলেন।

    দেশকে খাদ্যে সংসম্পুন্ন করে ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা উপহার দিয়েছিলেন। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বার বার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিশেহারা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধ সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন।

    স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কি, তা জনগন শহীদ জিয়ার শাসনামলেই প্রথম অনুধাবন করতে পেরেছিলেন দেশের মানুষ। শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকীর ৩৯ বছর পরেও তার আদর্শ ও কর্মমুখর জীবন নিয়ে মানুষ গৌরব করে। দেশে স্বাধীনতা উত্তরকালের মতো একদলীয় বাকশালী দুঃশাসন চলছে। জনগনের কথা বলা ও মত প্রকাশ তো দূরের কথা, এখানে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন, এনায়েত বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উল্লাহ রাসেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিঃ যুগ্ম সম্পাদক আলি মুর্তোজা খান, ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান, নগর যুবদল নেতা মোঃ হাসান, নগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তারেক আহমদ, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আবদুল মতিন, আবদুল আজিম প্রমূখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জিয়াউর রহমান’র ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বক্করের শ্রদ্ধা

    জিয়াউর রহমান’র ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বক্করের শ্রদ্ধা

    রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু একটা নাম নয়। একটা অনুভূতি। এই অনুভূতিতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ একই সূত্রে গাঁথা। উনবিংশ, বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল উন্নত ও ক্ষমতাধর দেশের জন্ম। এবিষয়টি একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাইতো তিনি জন্ম দিয়েছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের।

    বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনায় তলাবিহীন ঝুঁড়ি খ্যাত সদ্য স্বাধীন একটি দেশ যখন শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অবকাঠামোতে অভাবনীয় দ্রুত উন্নয়ন করছিলো ঠিক তখনি দেশী-বিদেশী ও আন্ত:এশিয় নেতৃবৃন্দরা বাংলাদেশের উন্নতি সহ্য করতে পারেনি। এশিয়া ও ইসলামিক বিশ্বে বাংলাদেশের তথা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আধিপত্য বিস্তারকে কেউই মেনে নিতে পারেনি। তাইতো দেশীয় দোসরদের সাথে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত একত্রিত হয়ে ১৯৮১ সালের ২৯ মে দিবাগত-রাতে তৎকালীন প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে।

    তারা প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করলেও, তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারিনি। তিনি তাঁর আদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছেন ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম আপাত দৃষ্টিতে ১৯৩৬ সালে হলেও, তাঁর জন্ম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্যদিয়ে এই চট্টগ্রামের মাটিতেই। একটি নতুন রাষ্ট্র জন্মদানের মধ্যদিয়ে। তাই আমরা চট্টগ্রামবাসী ধন্য। আর চট্টগ্রামের মাটিতেই তিনি শহীদ হন। এজন্য আমরা চট্টগ্রামবাসী তাঁর নিকট ঋণী।

    বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা প্রতিটি অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে বাংলার রাখালরাজা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর নাম ও কর্ম ।

    আজ ৩০ মে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা অবনত মস্তকে স্বরণ করছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর