Tag: আবু তৈয়ব

  • হুসাইন মোঃ আবু তৈয়ব মির্জাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত

    হুসাইন মোঃ আবু তৈয়ব মির্জাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মির্জাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়মিত পরিচালনা কমিটি গঠনের জন্য এডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম।

    বুধবার (৩ মার্চ) অনুমোদিত চার সদস্যের এই এডহক কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন
    ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুসাইন মোঃ আবু তৈয়ব। এডহক কমিটির অন্য তিনজন হলেন, পদাধিকার বলে সদস্য সচিব হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কান্তি দত্ব, শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে শুভ্রা ভট্টাচার্য ও অভিভাবক জানে আলম সুমন মুন্সি।

    এডহক কমিটিকে ৬ মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে।

    এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান হুসাইন মোঃ আবু তৈয়ব বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল।

  • চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কর্মীদের নিয়ে অন্যরকম গায়ে হলুদ

    চট্টগ্রামে গার্মেন্টস কর্মীদের নিয়ে অন্যরকম গায়ে হলুদ

    চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলের শিল্পঘন একটি কারখানা ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্টস। প্রতিদিনই সেলাই মেশিনের টুকটাক শব্দ, গাড়ির হর্ন, শ্রমিকদের হাঁক ডাক- সবমিলিয়ে জমজমাট থাকে পুরো এলাকা। পথচারী কিংবা আশেপাশের লোকজন অভ্যস্ত গার্মেন্টস কারখানার পরিবেশে।

    কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে চারদিকে ছিল সুনসান নিরবতা। শ্রমিকরা কাজে আসেননি। কোনো হৈ চৈ নেই। এত বেলা তবুও আসছে না কেন কেউ? মে দিবস বা কোনো সরকারি ছুটি নেই? কিন্তু তবুও তারা আসছে না কেন? তবে বেলা কিছুটা বাড়ার পর দলে দলে কারখানায় আসতে লাগলেন শ্রমিকরা। কিন্তু এই কী- সবাই হলুদ শাড়ি পড়ে আসছেন কেন? খোঁপায় এত ফুলই-বা কেন লাগিয়েছেন গার্মেন্টস কর্মীরা। কিছুই যেন বুঝে উঠেতে পারছিলেন না আশপাশের লোকজন, দোকানদার কিংবা অন্যান্য কারখানার লোকজন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ছিল কারখানা মালিকের একমাত্র কন্যার গায়ে হলুদ। আর গায়ে হলুদের পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হবে গার্মেন্টস কন্যাদের দ্বারা। সত্যি সত্যি তাই হলো চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্টসে। কোম্পানির মালিক, খ্যাতনামা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতা এবং নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব নিজের একমাত্র কন্যার গায়ে হলুদ করেছেন গার্মেন্টসের দেড় হাজার নারী শ্রমিকের সাথে।

    কারখানার সব নারী শ্রমিককেই তিনি দিয়েছেন হলুদ শাড়ি। যেই শাড়িটি তিনি নিজের স্ত্রী ও স্বজনদের জন্য কিনেছেন ঠিক একই শাড়ি কিনেছেন কারখানার দেড় হাজার শ্রমিকের জন্য। পুত্রসহ নিজে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যেই পাঞ্জাবি পরেছেন ঠিক একই পাঞ্জাবি দিয়েছেন গার্মেন্টসের পুরুষ শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের।

    চট্টগ্রাম ক্লাবে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেই বাবুর্চি রান্না করবেন, তাকে দিয়েই একই ম্যানুর রান্না পরিবেশিত হয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে। নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার ইন্ডিপেন্ডেন্ট গার্মেন্টস কারখানার সব শাখায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল গতকাল। ছাদের উপর মঞ্চ করে আয়োজন করা হয় মালিক কন্যার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। পুরো ছাদ জুড়ে ছিলেন শত শত নারী। সবই গার্মেন্টস কন্যা। সবার পরনে একই শাড়ি। ব্যবসায়ী আবু তৈয়বের স্ত্রী উলফাতুন্নেছা পুতুলও একই শাড়ি পরে এসেছিলেন অনুষ্ঠানে।

    এই দম্পতির একমাত্র কন্যা সাইকা তাফাননুম প্রীতির গায়ে হলুদ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চারদিকে যেন ছড়িয়ে পড়েছিল উচ্ছ্বাস। গার্মেন্টস কন্যারা সবাই হলুদ বাটো, মেন্দি বাটো…. এবং লীলাবালি লীলাবালি….সাজাইবো তোরে, গানের তালে তালে যেভাবে সুন্দর করে নাচছিলেন, যে কেউ হয়তো বলবে- তাদের কোনো সখী অথবা বোনের বিয়ে হচ্ছে। এস এম আবু তৈয়বের একমাত্র কন্যা প্রীতির বিয়ে হচ্ছে ঢাকার বারিধারার আসলাম মোল্লা ও রুবিনা মোল্লার পুত্র শফিউল ইসলাম মোল্লা (নিলয়)এর সাথে।

    আগামী ৫ জানুয়ারি নগরীর নেভি কনভেনশন সেন্টারে এই বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিয়ে অনুষ্ঠানের আগে গতকাল দেড় হাজার গার্মেন্টস কন্যাকে নিয়ে প্রীতির গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। এতে গার্মেন্টস কন্যাদের সরব অংশগ্রহণ পুরো অনুষ্ঠানটিকে দিয়েছে আলাদা একটি সৌন্দর্য। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবার ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রীতি। গার্মেন্টস কন্যারা কেউ পঞ্চাশ টাকা, কেউ বিশ টাকা, কেউবা একশ, টাকা চাঁদা দিয়ে নিজেদের মতো করে প্রীতিকে চমৎকার এক সেট স্বর্ণের গহনা উপহার দিয়েছেন। প্রায় দেড় লাখ টাকা দিয়ে কেনা সেই গহনা গার্মেন্টস কন্যারাই পরিয়ে দিয়েছেন মালিক কন্যার গায়ে।

    নিজের একমাত্র কন্যার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান গার্মেন্টসের ছাদে গার্মেন্টস কন্যাদের দিয়ে করানোর এই বিরল আয়োজনে ব্যাপারে এস এম আবু তৈয়ব বলেন, এটা প্রচারের জন্য নয়। গার্মেন্টস কারখানার এই খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রচুর ভূমিকা রয়েছে আমার জন্য, আমার কন্যার জন্য, পুরো পরিবারের জন্য। এরাইতো রক্ত ঘাম দিয়ে আমাকে এই অবস্থানে এনেছেন। আমার সন্তানকে একটি মর্যাদার আসন দিয়েছেন। আমি মনে করি, এরা আমার পরিবারের অংশ। তাই মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি আমি তাদের সাথে করেছি।

  • উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ফটিকছড়ির তৈয়ব

    উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ফটিকছড়ির তৈয়ব

    এম.জুনায়েদ: চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে এবারের সম্মেলন বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই জোর আলোচনা চলছে সর্বোচ্চ পদ সভাপতি-সম্পাদক পদে কারা প্রার্থী হচ্ছেন।

    এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম. এ সালাম আলোচনায় রয়েছেন।

    কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় এ পদটিতে কে আসছে তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। উত্তর জেলার আওতাধীন সাত উপজেলা থেকে অন্তত অর্ধ ডজন নেতা এ পদে প্রার্থী হতে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

    এদিকে চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত ফটিকছড়ি উপজেলা থেকে এখন পর্যন্ত সভাপতি পদে কারো নাম শোনা না গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্রনেতা হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়বের নাম বেশ আলোচিত হচ্ছে।

    এর মধ্যে আবু তৈয়ব ৮০ দশকে চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠে আলোচিত ছাত্রনেতা। সে সময় জামাত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে খ্যাত ফটিকছড়িসহ সমগ্র চট্টগ্রামে আওয়ামী রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার জামাত-শিবিরের হাতে মৃত্যুর মুখোমুখি হন তিনি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগের সুসংগঠিত ইউনিট হিসেবে গড়ে তুলে দলীয় হাইকমান্ডের নজর কাড়তে সক্ষম হন।

    পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ গত উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আবু তৈয়ব।

    এবার বৃহত্তর চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আশির দশকের এ ছাত্রনেতা। তিনি পদটি পেতে দলের হাইকমান্ডে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

    অন্যদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীরাও আবু তৈয়বকে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত করছেন।
    উত্তর জেলার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলার নেতৃস্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিক্ষিত সৈনিক আবু তৈয়ব জীবনে একাধিকবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী রাজনীতিকে ছড়িয়ে দিতে ছাত্রজীবন থেকেই জীবনবাজি রেখে কাজ করছেন। জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনকালে তিনি দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন।’

    তারা আরো বলেন, আবু তৈয়ব তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন নেতা। তিনিই আমাদের (তৃণমূল নেতাকর্মী) সুখ-দুঃখ বুঝতে সক্ষম হবেন। সব মিলিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আবু তৈয়বের বিকল্প নেই।’

    এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানাভাবে আবু তৈয়বের পক্ষে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তার কর্মী-সমর্থকরা।

    এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ তৈয়বের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জীবন-যৌবন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ব্যয় করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কোনো মুহুর্তেই আপোষ করিনি। অতীতে দলের যেসব দায়িত্ব পেয়েছি, তা নিষ্ঠার সাথে পালন করতে চেষ্টা করেছি। এবারও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো জোরদার করার লক্ষে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, আমার অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীত কর্মকান্ড মূল্যায়ন পূর্বক আমার উপর আস্থা রাখবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস।’