Tag: আবু সুফিয়ান

  • বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত

    বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান স্ত্রী-ছেলে ও গাড়ী চালকসহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    গতকাল শনিবার (৬ জুন) রাতে তিনি নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পান।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবু সুফিয়ান বলেন, ঈদের দিন রাতে তার জ্বর এসেছিল। পরে তার স্ত্রী, ছেলে এবং গাড়ি চালকের জ্বর আসে। পরবর্তীতে গত ২ জুন তারা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। শনিবার রাতে দেওয়া প্রতিবেদন পান তারা।

    সুফিয়ান বলেন, আমরা ভাল আছি, সকলেই বাসায় আইসোলেশনে আছি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রামবাসীকে আবু সুফিয়ানের ঈদ শুভেচ্ছা

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রামবাসীকে আবু সুফিয়ানের ঈদ শুভেচ্ছা

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান চট্টগ্রামবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি চট্টগ্রামবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়ে বলেন, মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। মাসব্যাপী রমজানের আত্মশুদ্ধির মহান দীক্ষার মধ্য দিয়ে আসে ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্ত। দেশের বিদ্যমান ক্রান্তি-লগ্নে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঈদের আনন্দ নিজেদের ভাগ করে নিতে হবে।

    তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আঘাতে এবারে হয়তো পূর্বের ন্যায় সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজনসহ সবাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেব। কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যারা সচ্ছল ব্যক্তি তারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।

    তিনি বলেন, পবিত্র এ দিনে প্রতিটি ঘরে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা। পবিত্র ঈদুল ফিতরে আমি এই কামনা করি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সরকার মার্কেট, কারখানা খুলে মানুষকে মৃত্যু ঝুঁকিতে নিয়ে যাচ্ছে:ডা.শাহাদাত

    সরকার মার্কেট, কারখানা খুলে মানুষকে মৃত্যু ঝুঁকিতে নিয়ে যাচ্ছে:ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাধারন ছুটির পর থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চালকরা বিপাকে পড়েছে। তারা সবাই কর্মজীবী। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে তারা সংকটে পড়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাস মহামারীকে পুঁজি করে সরকার সাধারন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। পরিবহণ শ্রমিকসহ সাধারন মানুষের মনে সুখ নেই,তারা অর্থ কষ্টে দিন পার করছে। সেই সাথে বেড়েছে মৃত্যু আতঙ্ক। এখন নতুন করে মার্কেট, শপিংমল, কারখানা খুলে মানুষকে আরো ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকার জনগণের মাঝে খাদ্য সামগ্রীসহ ত্রাণ সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য জনজীবন স্বাভাবিক করছে। এতে করে সরকার মানুষকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    তিনি অসহায় মানুষের সাহায্যে বিত্তশালী ধনি ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

    তিনি আজ শুক্রবার (৮ মে) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদলের অসহায় চালকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরনকালে এ কথা বলেন।

    এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান।

    ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীও দোকান পাট, শপিংমল খুললে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা করোনা মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন হওয়ার কথা বলছে। অথচ সরকার দোকানও খুলবে, আবার জনগণকে সচেতন হতেও বলবে। এ থেকে বোঝা যায় তাদের ভিতরে কোন সমন্বয় নেই। এসি রুমে নিজেদেরকে নিরাপদে রেখে তাদের যেমন খুশি তেমন কথা বলে জনগণকে বিপদের মুখে ফেলছে।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার প্রতিদিন আত্বঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যে মুহুর্তে কঠোর হওয়ার কথা সে সময় সরকার নমনীয় হচ্ছে। এখন রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনাই করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশের নাগরিকদের সাথে ভারসাম্যহীন আচরণ শুরু করেছে। করোনা দূর্যোগের শুরু থেকে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াচ্ছে।

    তিনি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শপিংমল, কারখানাসহ দোকানপাট আরো কিছুদিন বন্ধ রাখার জোর দাবি জানান।

    আবু সুফিয়ান বলেন, শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে। তাদের নিরাপদ রাখলে দেশ নিরাপদ থাকবে। অথচ সরকার এ শ্রমিকদের জীবন জীবিকাকে কঠিন করে তুলেছে।

    শ্রমিকরা এখন সময়মতো বেতন পাচ্ছে না, অনেক কারখানায় শ্রমিকদের ছাটাইও করা হচ্ছে। আওয়ামীলীগের কাছ থেকে জাতি ভাল কিছু আশা করে না।

    খাদ্যসামগ্রী বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সড়ক পরিবহণ শ্রমিকদলের রাজেন হোসেন সম্রাট, মোঃ মানিক মিয়া, মোঃ রফিক, আবদুস সামাদ, নুর মোহাম্মদ প্রমূখ।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • চট্টগ্রাম ৮ আসনে অসহায় দু:স্থদের মাঝে আবু সুফিয়ানের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

    চট্টগ্রাম ৮ আসনে অসহায় দু:স্থদের মাঝে আবু সুফিয়ানের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষজনের অর্থনৈতিক সমস্যাটা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষই এখন দিন আনে দিন খায়। এই বিশাল একটা অংশ কয়েকদিন ধরে কোনো আয় করতে পারছে না। সেই মানুষগুলোর জন্য যদি অবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায় তাহলে দেশে একটা বড় রকমের বিপর্যয় দেখা দেবে। তাই দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে মানবিক কারণে সমাজের বিত্তশালী মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

    তিনি আজ বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম-৮ নির্বাচনী আসনের প্রতিটি ওয়ার্ডের অসহায় দুঃস্থদের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এ কথা বলেন। নগরীর এক কিলোমিটারস্থ যমুনা স্কয়ার কমিউনিটি সেন্টারে আবু সুফিয়ানের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এক হাজার পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এসময় তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষকে নিয়েই বিএনপির রাজনীতি। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের জনগণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা মানুষের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তাই রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি সকলকে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক নিয়ম ও প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঘনঘন হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও ফ্লু প্রতিরোধের সাধারণ নিয়মাবলী অনুসরণ করতে সবাইকে আহবান জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আবু, নগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, সহ-শ্রম সম্পাদক আবু মুছা, বায়েজিদ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, বিএনপি নেতা নুরুল আলম, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, নুরুন্নবী চৌধুরী, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি ম হামিদ, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, গোলজার হোসেন, বিএনপি নেতা আবুল বশর, দিদারুল আলম হীরামন, জানে আলম, ফজল আজিম মাসুম, ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াস আলী, আবু বক্কর, মোহাম্মদ এসকান্দর, সাইদুল ইসলাম প্রমূখ।

     

  • ডাঃ শাহাদাতের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন আবু সুফিয়ান

    ডাঃ শাহাদাতের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করলেন আবু সুফিয়ান

    দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে সরকার সারাদেশে সাধারন ছুটি ঘোষণা করে সব মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারি এই নির্দেশনা মানতে গিয়ে জীবিকার সংকটে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া গরিব মানুষ গুলো। সেই ধরনের পরিবারকে চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেনের পক্ষ থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন ওয়ার্ডের জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়স্থ ট্রিটমেন্ট হাসপাতালের সামনে অসহায় ছিন্নমূল মানুষ ও পাঁচলাইশ ৩ নং ওয়ার্ডের জন্য চাউল, ডাল, তেল, আলু, পিয়াজ, লবণ ও সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    ডাঃ শাহাদাত হোসেনের পক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি ও দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    এসময় তিনি বলেন, দেশের এই দুর্যোগ মূহূর্তে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দান, দুর্বলের পাশে থাকা প্রতিটি ক্ষমতাবান মানুষের কর্তব্য। হতদরিদ্র মানুষগুলো আজ বড় অসহায়। তাদের কাজকর্ম নেই, বেকার হয়ে বসে আছে। তাই মানবিক কারণে তাদেরকে সহায়তায় সমাজের সামর্থ্যবান মানুষদেরকে এগিয়ে আসা উচিত। তিনি সকল সক্ষম মানুষকে নিজের অবস্থান থেকে অপেক্ষাকৃত কম শক্তি সম্পন্ন মানুষের প্রতি সদয় হওয়ার আহ্বান জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামরুল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, বায়েজিদ থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, ডাঃ শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী প্রমূখ।

  • ভোট পেয়েছিলাম ৬০ হাজার ডিজিটাল জালিয়াতির ইভিএমে দেখায় ১৭ হাজার-সুফিয়ান

    ভোট পেয়েছিলাম ৬০ হাজার ডিজিটাল জালিয়াতির ইভিএমে দেখায় ১৭ হাজার-সুফিয়ান

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে আবু সুফিয়ান সরকার নির্বাচন কমিশনকে ভোটাধিকার হরণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে মন্তব্য করেন।

    এ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ঘোষণা করলেও বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান দাবি করেছেন, মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে পেরেছেন। বাকি ভোট ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে দেখানো হয়েছে।

    শনিবার (১৮ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ‘জালিয়াতির চিত্র’ তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান। উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, বিভিন্ন অনিয়ম এবং ইভিএমে ভোট কারচুপি জাতির সামনে উপস্থাপনের জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    লিখিত বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে তথাকথিত ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করা যায়। এটি মধ্যরাতের নির্বাচনের মতো আরেকটি কৌশল।

    ইভিএম এখন মহাপ্রতারণার নতুন পদ্ধতি। এতে ডিজিটাল ডাকাতির পর অভিযোগ করারও সুযোগ নেই। একজন ভোটার কোথায় ভোট দিলেন তা নিজে জানারও সুযোগ নেই।

    এক প্রশ্নের জবাবে সুফিয়ান বলেন, ‘মাত্র পাঁচ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু দেখানো হয়েছে ২২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ইভিএম মেশিনের পাসওয়ার্ড নিয়ে প্রতি বুথে ৭০ থেকে ৮০টি জাল ভোট দিয়েছে। এভাবে ২২ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, উপ-নির্বাচন ছাড়াও বিগত এক বছর আগে অনুষ্ঠিত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমি এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলাম। বিশ্বের ইতিহাসে কলঙ্ক জনক এই নির্বাচনে আমি ধানের শীষ প্রতিকে ভোট পেয়েছিলাম প্রায় ৬০ হাজার। কিন্তু ইভিএম মেশিনে জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে ভোট দেখানো হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার।

    একই প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ’২২ শতাংশ ভোটের মধ্যে আসলে ভোট পড়েছে ৫ শতাংশ। ১০ শতাংশ ভোট দিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার নিজে। বাকি ভোট কেন্দ্র দখল করে পাসওয়ার্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা দিয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র দখল করে ইভিএমের পাসওয়ার্ড নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান। তিনি জানান, নগরীর হামজারবাগ রহমানিয়া স্কুল কেন্দ্রে বেলা ১২টার সময় ২ নম্বর কক্ষে কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রবেশ করেন।

    তারা নির্বাচন কমিশনের আইটি বিশেষজ্ঞ ও প্রিজাইডিং অফিসার ছোটন চৌধুরীকে নিয়েই সেখানে যান। তার মোবাইল থেকে নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে ডিভাইস নম্বর দিয়ে কোড অথবা পাসওয়ার্ড চাইলে +৮৫৮৪৭৭৬৭+ নম্বরটি দেওয়া হয়। তারা এসময় বলতে থাকেন, ১০ শতাংশ ম্যাচিং কোড দিয়ে তাড়াতাড়ি ভোট নিয়ে নেন।

    তখন অন্যজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। অবৈধভাবে শুরু করা ভোটার নম্বর- ৪২২, ৫০২, ৪৯৯ ও ৫৮০। মৃত ব্যক্তি এবং প্রবাসীদের নামেও ভোট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর জানান, ভোটগ্রহণের সময়ই অনিয়মের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানকে অভিযোগ করা হলেও তিনি নীরব থাকেন এবং অস্বীকার করেন। এভাবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন পূর্ব নির্ধারিত ফলাফল ঘোষণা করেছে।

    ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে সুফিয়ান বলেন, ‘জনগণের করের টাকা খরচ করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন তামাশা করেছে। তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেয়নি।

    পরপর তিনবারের সাংসদ জাসদ নেতা মঈনউদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনে গত ১৩ জানুয়ারী উপ-নির্বাচন হয়েছে। এতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ৮৭ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মীর্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য বোয়ালখালীর পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, এস এম মামুন মিয়া, হুমায়ুন কবীর আনসার, এডভোকেট আবু তাহের, আবুল কালাম আবু চেয়ারম্যান, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সহশ্রম সম্পাদক আবু মুসা, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম প্রমুখ।

  • চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচন : সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ কাল

    চট্টগ্রাম-৮ উপ নির্বাচন : সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, ইভিএমে ভোট গ্রহণ কাল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পূজন সেন, বোয়ালখালী: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচন আগামীকাল ১৩ জানুয়ারি সোমবার। এ আসনের ১৭০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।

    এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।

    তিনি জানান, গতকাল শনিবার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি কেন্দ্রে (১৭০টি) মক ভোটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটের আগে মনের ভয় কিংবা সংশয় দূর করার জন্য এই মক ভোটিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    আজ রবিবার বিকেলের মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পৌঁছুবে। নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবাহিনীর ২ জন করে সদস্য কারিগরি সহযোগিতার জন্য থাকবে বলে জানান জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।

    ২৩ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে নামেন প্রার্থীরা। তারা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের মন কাড়তে নানা প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। এরই মাঝে ছিলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় বাঁধা, পোস্টার-ব্যানার ছেঁড়া, হামলা ও অগ্নিসংযোগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে দুই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারপ্রচারণায় সরগম হয়ে ওঠে কুর্ণফুলীর দুই পাড়ের জনপদ।

    গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বোয়ালখালী উপজেলার আমতল এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় বোয়ালখালী বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ আসনের সিটি কর্পোরেশনের ৩-৭ নং ওয়ার্ডের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

    চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর মোহরা, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর) আসনের উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) চেয়ারম্যান এস এম আবুল কালাম আজাদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক।

    একটি অবাধ-শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১১ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। মোতায়েন করা হয়েছে ৫ প্লাটুন বিজিবি, ৬ প্লাটুন র‌্যাব।

    এছাড়া ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিজিবির সঙ্গে মোবাইল টিমে থাকবেন বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান।

    জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে শতভাগ ইভিএম’এ ভোট গ্রহণের জন্য আড়াই হাজার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং) প্রস্তুত রয়েছে। ১৭০টি কেন্দ্র্রের ১১৯৬টি কক্ষে ভোট গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসে ১২শ’ ইভিএম চলে এসেছে।

    এই আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। বোয়ালখালী উপজেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার জন ভোটার।

  • জনগণের আকাঙ্খা, জনগণের আশার বিরুদ্ধে যাবেন না, নিরপেক্ষ থাকুন

    জনগণের আকাঙ্খা, জনগণের আশার বিরুদ্ধে যাবেন না, নিরপেক্ষ থাকুন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। অনেক হামলায় আক্রান্ত হয়েছি। কিন্তু জনগণের ভালোবাসায় আমাদের সমস্ত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।

    তিনি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, প্রশাসনকে বলতে চাই, এই নির্বাচনে আপনারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন, এই প্রত্যাশা আমাদের আছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা, জনগণের আশার বিরুদ্ধে আপনারা যাবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই।

    তিনি ১১ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে নগরীর জামালখানস্থ একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

    আবু সুফিয়ান বলেন, আমি বিশ্বাস করি ১৩ জানুয়ারী জনগণের ভোটে সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা জনগণের বিজয় নিশ্চিত করে আমরা ঘরে ফিরতে পারব। বিগত কয়েকদিন আগে প্রধান নিবাচন কমিশনার আমাদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। সেখানে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলাম, সিইসি মহোদয় চট্টগ্রাম ছাড়ার পরে আমাদের নেতাকমীদের নামে হয়ত বিভিন্ন থানায় মামলা হতে পারে।

    অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সেই কথার প্রতিফলন আমরা পেয়েছি। গত পরশুদিন বোয়ালখালীতে নৌকার ক্যাম্পে সাজানো আগুন দিয়ে একটি মোটর সাইকেল তারা নিজেরাই পুড়িয়ে দেয়। বোয়ালখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানসহ আমাদের দলের নির্বাচনের মূল কাজ যারা করবে তাদেরকে আসামি করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ একটি মামলা করেছে।

    আমাদের নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের দিন এলাকায় না থাকার জন্য, ভোটের কাজে অংশগ্রহণ না করার জন্য। এসব ঘটনার প্রকৃত তথ্যটি সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে জাতিকে অবহিত করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদেও তিনি অনুরোধ জানান।

    গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বোয়ালখালীতে কাঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি বলে নৌকার প্রার্থী বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। বিগত ১১ বছর উনারা ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু তারা কোন উন্নয়ন করতে পারেননি। আওয়ামীলীগ প্রার্থী বলছেন নির্বাচিত হলে তিনি বোয়ালখালীকে সোনা দিয়ে মুড়ে দেবেন অথবা কালুরঘাট সেতু এক বছরের মধ্যে দৃশ্যমান করবেন, অনেক প্রতিশ্রুতি তিনি দিচ্ছেন।

    আমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিশ্রুততি দিতে চাই না। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। একজন রাজপথ থেকে উঠে আসা কর্মী হিসেবে আমার কমিটমেন্ট হচ্ছে জনগণের প্রতি। রাজনীতিতে এসেছি একটা কমিটমেন্ট নিয়ে। সেটা হচ্ছে- দেশের জন্য, জনগণের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টা। আমি যদি সংসদ সদস্য নিবার্চিত হতে পারি, আমার ব্যক্তিগত কোনো লাভ, লোভ থাকবে না।
    একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকা এবং দেশের জন্য কাজ করবো নিঃস্বার্থভাবে, সততার সাথে। এই আবু সুফিয়ানকে যেভাবে রাজনীতির শুরু থেকে দেখে এসেছেন সংসদ সদস্য যদি হতে পারি, তারপরও সেই আবু সুফিয়ানকেই আপনারা পাবেন।

    তারপরও সংসদ সদস্যের প্রতি এলাকার মানুষের কিছু প্রত্যাশা থাকে। যদি নিবাচিত হতে পারি, কালুরঘাট ব্রিজ এটা বোয়ালখালীবাসীর জন্য এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্য একটা মরণ যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ কালুরঘাট ব্রিজের দুই পাশে অপেক্ষা করে, তাদের শ্রমঘন্টা নষ্ট হচ্ছে। এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক বিষয়। কালুরঘাট ব্রিজকে নিবাচনী বৈতরণী পার হবার জন্য মূলা না ঝুলিয়ে এই ব্রিজ অবিলম্বে নির্মিত হওয়া প্রয়োজন চট্টগ্রামের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার এলাকার মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। সন্ত্রাসী কর্মকা-, মাদক-চুরি-ডাকাতি থেকে যাতে এলাকা মুক্ত থাকে সেই চেষ্টা করব। সুন্দর পরিবেশে সবাই যাতে মর্যাদার ভিত্তিতে সহাবস্থানে থাকতে পারে সকল রাজনৈতিক দল, সকল মত-পথের মানুষ যাতে থাকতে পারে সেই চেষ্টা থাকবে। কোনো ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর প্রতি বিভেদ, সাম্প্রদায়িক বিভেদ না করে যাতে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারি, সেটাই আমার প্রত্যাশা।

    তিনি বলেন, মানুষের কাছে গেছি, মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস আছে। তবে আতঙ্কও আছে যে ভোট দিতে পারব কি না। আমরা সেই আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করেছি। প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। উনারা আমাকে আশ্বস্থ করেছেন যে, জনগণ ভোট দিতে পারবে। সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে তারা আশ্বস্থ করেছেন। আমরা তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে চাই।

    মতবিনিময় সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়েজি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, জেলা বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান. মোস্তাফিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী উপস্তিত ছিলেন।

  • নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আবু সুফিয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে:শাহাদাত

    নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আবু সুফিয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে:শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ান বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। প্রতিটি গণসংযোগ গণমিছিলে পরিণত হয়েছে। আগামী ১৩ ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম ৮ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে সাধারণ জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে বিজয়ী করবে।

    কিন্তু এদেশের জনগণ এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বিশ্বাস করে না। এই সরকার একটি দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্ট সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করছে। কারণ বিগত ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগেও জাতিকে বুঝিয়েছিল অবাধ ও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু তারা ৩০ শে ডিসেম্বর ভোট ২৯ শে ডিসেম্বর রাত্রে নিয়ে ফেলেছে। তাই এই সরকার যত বেশি চাপাবাজি করবে তত বেশি জালিয়াতি করবে।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারী) দুপুরে পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড গণসংযোগকালে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, নির্বাচনে প্রতি ভোটারদের আস্থার সংকট কাটানোর উদ্যোগ সরকার বা প্রশাসন কেউ এখনো গ্রহণ করেনি। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা চট্টগ্রামে এসে আমাদেরকে বলেছে এই উপনির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। তাই আমরা এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এই সরকার বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট প্রয়োগগের মাধ্যমে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান হবে।

    ধানের শীষের প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, এই সরকার জনগণের ভোট ভোটাধিকার হরণ করেছে। এই সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে দেশের কোন জনগণ ভোট দিতে ভোট সেন্টারে যেতে পারে নাই। এই সরকার বিগত জতীয় সংসদ নির্বাচনেও দিনের ভোট নিয়ে ভোট জালিয়াতি করেছে । আর এই ভোট জালিয়াতি করে এমপি, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। চট্টগ্রাম ৮ সংসদীয় আসনের মানুষ নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে চায়। আমার ভোট আমি দিব। আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করব। উন্নয়ন উন্নয়ন করে নিজেদের উন্নয়ন করছে। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আপনাদের উন্নয়েনের গল্প আর মানুষ শুনতে চায় না। আপনারা বিদায়ের প্রস্থিতি নিন। আগামী আগামী ১৩ই জানুরি নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে তাদের বিদায়ের পথ খোলা হবে।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু , যুগ্ন সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু, সহ-সম্পাদক অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, মোঃ শাহজাহান সিরাজ, আজাদ বাঙালি, ইসমাইল বাবুল, আব্দুল আজিজ, আলমগীর নূর, নগর সদস্য আবদুস সবুর, আলী ইউসুফ, মঞ্জুর আলাম মঞ্জু, সাহেদা বেগম, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ সেকান্দর আলম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, নাসিম উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, এমদাদুল হক বাদশা, হাজী ইমরান উদ্দিন, হাজী ইউসুফ, কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মুকতার আহমদ, গোলজার হোসেন লেদু, আইয়ুুব খান, জমির উদ্দিন বাবলু, সাইফুল ইসলাম নিরব, মো:হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • আবু সুফিয়ানের বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে:শাহাদাত

    আবু সুফিয়ানের বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে:শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে বিজয়ী করতে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

    আগামী ১৩ জানুয়ারী ভোটের দিন ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। যেন তারা নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করতে পারে। বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভোটারদের পাশে থাকতে হবে। সন্ত্রাস ও ভোট ডাকাতদের হাতেনাতে ধরতে হবে। কোন মতেই এ অবৈধ সরকারের ভোট ডাকাতদের ছাড় দেয়া যাবে না।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের পক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গঠিত সমন্বয় কমিটির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামীলীগ মানুষের বাকস্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। সারাদেশে আজ দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। সাধারণ মানুষ আজ এই অবৈধ সরকারের নিকট জিম্মি। মানুষের গণতন্ত্র নেই, নেই বাকস্বাধীনতা। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে দেশে একদলীয় শাসন চালাচ্ছে এই অবৈধ সরকার। দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে দেশপ্রেমী জনতাকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

    সমন্বয় সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, উপনির্বাচনে মুক্তিকামী মানুষ এর থেকে উত্তরণের জন্য ধানের শীষকে বেছে নিয়েছে। শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত এই আসনে ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই আওয়ামীলীগ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদান করছে।

    তিনি মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।

    এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, কাউন্সিলর সামশুল আলম, এডভোটেক আবদুস সাত্তার, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আজম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, শফিকুর রহমান স্বপন, সৈয়দ আহমদ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবু ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাশেম, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, শাহেদ বক্স, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, সহসাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, কাউন্সিলর মো. আজম, ড. নুরুল আবচার, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো. শাহজাহান, আরিফ মেহেদী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, মো. শাহাব উদ্দিন, শরীফ খান মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • সুফিয়ানের সমর্থনে স্বেচ্ছাসেবক দলের গণসংযোগ

    সুফিয়ানের সমর্থনে স্বেচ্ছাসেবক দলের গণসংযোগ

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল’র সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, আগামী ১৩ জানুয়ারী জনগণ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে এনে তাদের ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা করবে। তাই ভোটের দিন দলমত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। যাতে অতীতের ন্যায় কোন অপশক্তি জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিতে না পারে।

    সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। একমাত্র দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব। ধানের শীষের বিজয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন ত্বরাণ্বিত করবে।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) সকালে চট্টগ্রাম-৮ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আবু সুফিয়ানের সমর্থনে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত গণসংযোগ কর্মসূচিতে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র হরণ করে, জনগণের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে আইন, বিচার ও শাসন ব্যবস্থাকে কলংকিত করে সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিরোধী দল ও মতের টুঁঠি চেপে ধরে তারা নেতাকর্মীদের উপর হামালা, মামলা নির্যাতনের মাধ্যমে স্টীমরুলার চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ফ্যাসিষ্ট সরকারের দুর্নীতি ও দু:শসনের বিরুদ্ধে দাঁতাভাঙ্গা জবাব দিতে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল’র সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের লেবাসে অবৈধ সরকার ক্ষমতাসীন রয়েছে তারা একদিকে দেশে রাজনৈতিক নিপীড়ন চালাচ্ছে অন্যদিকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক নৈরাজ্য কায়েম করেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার কুমানসে জামিনযোগ্য মামলায় অন্যায়ভাবে জেলে রাখা হয়েছে। শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আগামী ১৩ জানুয়ারী ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে এনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল’র সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় উক্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল’র সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক আলী মর্তুজা খান, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্মসম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ প্রমুখ।

    এ সময় মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগটি চান্দগাঁও পুরাতন থানাস্থ পাঠানিয়া গোদা হতে শুরু করে নাজিরপাড়া, দর্জিপাড়া, সানোয়ারা আবাসিক, বরিশাল কলোনী, হামিদচর,মৌলভী পুকুর পাড়,গাবতল হয়ে সিএন্ডবি মোড় এসে শেষ হয়।

  • ধানের শীষে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়ী করুন:আকবর

    ধানের শীষে ভোট দিয়ে আবু সুফিয়ানকে জয়ী করুন:আকবর

    বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেছেন, বোয়ালখালীতে ধানের শীষের পক্ষে যারা পোস্টার-ব্যানার লাগিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে, তাদেরকে টার্গেট করছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। প্রথমে হুমকি দিয়ে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। না পারলে হামলা করছে, পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কারণে নির্বাচনী এলাকায় এখন ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। এভাবে কি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব? এলাকার ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে যে, আদৌ তারা ভোট দিতে যেতে পারবেন কি না।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষের পক্ষে বোয়ালখালীর শাকপুরা হাজী নুরুল হক ডিগ্রী কলেজের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করে শাকপুরা চৌমুহনী বাজার, গোলক মুন্সির হাট, তাজেদিয়া মাদ্রাসা, আনজীর মার টেক, মনার বাপের টেক, চর খিজির পুর হয়ে টেক্সঘর এলাকায় এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

    এ সময় তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তার অনুসারীরা বোয়ালখালী-চান্দগাঁও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। সন্ত্রাসীরা এই আসনের বিএনপির নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে আমাদের অনেক নেতাকর্মী ঘরছাড়া, এমনকি এলাকা ছাড়া হয়ে গেছে। আমাদের পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, ব্যানার খুলে ফেলছে। গণসংযোগ করতে গেলে হামলা করছে। হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তিনি ভোটের দিন সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে শক্ত অবস্থান নিয়ে আবু সুফিয়ানকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহবান জানান।

    বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের সংসদ সদস্য প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই প্রশাসনের কাছ থেকে আমি সমান আচরণ পাচ্ছি না। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। আওয়ামীলীগ প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং আমার ওপর হামলার অভিযোগ করেও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি। বিএনপির দুজন ত্যাগী নেতা মোস্তাক আহমেদ খান ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার এলাকার নেতাকর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এভাবে অনেকটা হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আমাদের নির্বাচন করতে হচ্ছে।

    আওয়ামীলীগের প্রার্থী গতকালের সংবাদ সম্মেলনে বোয়ালখালী পৌর মেয়রের নির্বাচনী প্রচারণা করে আচরণ বিধি লঙ্গন করেছেন বলে যে অভিযোগ করেছেন এ বিষয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধিতে আছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না। পৌর মেয়রের প্রচরণা চলাতে কোনো বাধা নেই। তিনি মনে হয় আচরণ বিধিমালা না পরেই এই অভিযোগ করেছেন।

    তিনি আরো বলেন, জনগণের প্রত্যাশা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। জনগণ আর কোনো কারচুপির নির্বাচন চায় না। দিনের ভোট আগের রাতে করে ফেলার নির্বাচন জনগণ চায় না। আমরা যারা নির্বাচন করছি, যারা নির্বাচন কমিশনে আছেন, যারা প্রশাসনে আছেন, সবাই এদেশের সন্তান। দেশের প্রতি যদি ন্যূনতম ভালোবাসা থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হত্যায় সামিল না হওয়ার জন্য আমি তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বলব, জনগণের অধিকার কেড়ে নেবেন না। জনণকে বঞ্চিত করবেন না।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মীর মোহম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী জেনে গেছেন, জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। যারা ১১ বছরে একটি সেতু করতে পারে না, তাদের জনগণ চায় না। যারা এত সুন্দর বোয়ালখালীকে ধ্বংস করেছে, সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছে, তাদের জনগণ চায় না। চান্দগাঁও এলাকায় থেকেও যারা শহরের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা বলছেন, তারা আর ভাঙ্গা নৌকায় উঠবেন না।

    গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, বোয়লখালী পৌর মেয়র আবুল কালাম আবু, উত্তর জেলা বিএনপির আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, নগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিাস আলী, বিএনপি নেতা হাজী মোঃ ইসহাক চৌধুরী, নুরুন নবী চৌধুরী, আব্দুল মান্নান চৌধুরী, মাহফুজুল হক সাজু, মহিবুল ইসলাম রাসেল, আজম খান, আইয়ুব মেম্বার, শওকত আলী চেয়ারম্যান, সরওয়ার আলম, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহিদুল আলম শহীদ, উত্তর জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ শফিকুল ইসলাম শাহীন, গোলাম হোসেন নান্নু, মহসিন খোকন, রবিউল হাসান ইকবাল, মেহেদী হাসান সুজন, মোঃ কফিল উদ্দিন, হারুনুর রশীদ, সায়েম উদ্দিন টিটু, মতিউর রহমান রাসেল প্রমূখ।