Tag: আমরণ অনশন

  • পরীক্ষা না নিলে আমরণ অনশন

    পরীক্ষা না নিলে আমরণ অনশন

    চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন বিভাগের ‘স্থগিত’ পরীক্ষা না নেওয়া হলে আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ, চবি। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর সব বিভাগের চলমান সকল পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাগুলো নেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে মানববন্ধন, বিশ্ববিদ্যালয় ফটক অবরোধ ও স্মারকলিপি প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

    শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকবার মৌখিক আশ্বাস দিলেও গত ১৫ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। সর্বশেষ গত ২৯ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিভিন্ন বিভাগের মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা সমূহ এবং এরপর পরিস্থিতি বুঝে পর্যায়ক্রমে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পক্ষ থেকে ৪৩ তম বিসিএস (সাধারণ) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। যেখানে আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
    ফলে এর মধ্যে আমাদের পরীক্ষা শেষ না হলে আমরা আবেদনের যোগ্যতা হারাবো। যা গত ৪১তম বিসিএস সহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী চাকরিতে আমরা হারিয়েছি।

    এ অবস্থায় আমরা ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ, চবি’ সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসে, তাহলে ৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা আমরণ অনশনে যাব।

    ২৪ ঘণ্টা/মেহেদী

  • তৃতীয় দিনের মতো হাফিজ জুট মিলে আমরণ অনশন চলছে, অনেক শ্রমিক অসুস্থ

    তৃতীয় দিনের মতো হাফিজ জুট মিলে আমরণ অনশন চলছে, অনেক শ্রমিক অসুস্থ

    কামরুল ইসলাম দুলু,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: তৃতীয় দিনের মতো চলছে সীতাকুণ্ডের হাফিজ জুট মিল শ্রমিকদের আমরণ অনশন।

    বেতন-ভাতা পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচী শুরু করে সীতাকুণ্ডের হাফিজ জুট মিলের শ্রমিকরা।

    বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সিবিএ নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে উক্ত আমরণ অনশন শুরু হয়। অনশন কর্মসূচীর তৃতীয় দিনে বেশ কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান শ্রমিক নেতারা।

    তীব্র শীতের মধ্যে অনশনরত শ্রমিকরা অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন। বেতন-ভাতা পরিশোধ ও জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে সারাদেশের রাস্ট্রয়াত্ব পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের হাফিস জুট মিলস সিবিএ নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে উক্ত আমরন অনশন কর্মসূচী পালন করছে।

    হাফিজ জুট মিলস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক বলেন, “শ্রমিকদের ৬টি সেক্টরের ৪টি সেক্টর বাস্তবায়ন হল। পাট-সেক্টর করতে এত গড়িমসি কেন? গত কয়েকটা বছর আমরা আশা করেও বারবার প্রতারিত হচ্ছি। আমারা রাস্তায় থাকত চাই না, উৎপাদন বাড়িয়ে মিলকে এগিয়ে নিতে চাই। গত কয়েক বছর পাটকল গুলোতে নামমাত্র পাট ক্রয় করা হচ্ছে। উৎপাদন একেবারে তলানিতে। কেন এমন হবে ?” দাবী আদায়ের ব্যাপারে যতক্ষণনা পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন আশার বাণী না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আমরণ অনশন চলবে।

  • ১১ দফা দাবিতে সীতাকুণ্ডের হাফিজ জুট মিলস শ্রমিকদের আমরণ অনশন শুরু

    ১১ দফা দাবিতে সীতাকুণ্ডের হাফিজ জুট মিলস শ্রমিকদের আমরণ অনশন শুরু

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : বেতন-ভাতা পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচী শুরু করেছে সীতাকুণ্ডের হাফিজ জুট মিলের শ্রমিকরা।

    বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল সি.বি.এ নন সি.বি.এ সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে উক্ত আমরণ অনশন শুরু হয়।

    এসময় শ্রমিক নেতারা পাটকল শ্রমিকদের জন্য জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পিপিপি বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের পিএফ গ্র্যাচ্যুইটির টাকা পরিশোধ, শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি নিয়মিত পরিশোধ, পাট মৌসুমে পাট কেনার অর্থ বরাদ্দসহ শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

    তীব্র শীতে কেন পাটকল শ্রমিকদের রাজপথে থাকতে হবে জানিয়ে তারা বলেন, “শ্রমিকদের ৬টি সেক্টরের ৪টি সেক্টর বাস্তবায়ন হল। পাট-সেক্টর করতে এত গড়িমসি কেন? গত কয়েকটা বছর আমরা আশা করেও বারবার প্রতারিত হচ্ছি।

    আমারা রাস্তায় থাকত চাই না, উৎপাদন বাড়িয়েমিলকে এগিয়ে নিতে চাই। গত কয়েক বছর পাটকলগুলোতে নামমাত্র পাট ক্রয় করা হচ্ছে। উৎপাদন একেবারে তলানিতে। কেন এমন হবে?”

    অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন হাফিজ জুট মিলস ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি নুর মোহাম্মদ মিলন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী,জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ রবিউল হকসহ বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।

  • পাটকল শ্রমিকদের অনশন ৩ দিনের জন্য স্থগিত

    পাটকল শ্রমিকদের অনশন ৩ দিনের জন্য স্থগিত

    খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা শর্ত দিয়ে তিন দিনের জন্য ঘরে ফিরেছেন। ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা। চার দিন পর তাদের আমরণ অনশন কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।

    শুক্রবার রাত সোয়া ১টায় শ্রমিক নেতাদের দেয়া তিনদিনের স্থগিতাদেশ মেনে নিয়ে নিজ নিজ ঘরে ফেরেন সাধারণ শ্রমিকরা।

    তবে, তাদের আন্দোলনের স্থানে নির্মাণকৃত প্যান্ডেল, তাবু ও মঞ্চ এখনই তারা ভাঙছেন না। ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় পাটমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দাবি মেনে নেওয়া না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে আবারো অনশন পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্লাটিনাম জুট মিল সিবিএ’র সভাপতি শাহানা শারমিন।

    এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর বয়রাস্থ শ্রম অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মজুরি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের চলমান অনশন কর্মসূচি ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার আহবান জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।

    এ সময় শ্রমিক নেতারা বলেন, সাধারণ শ্রমিকদের কাছে এ প্রস্তাব দেয়া হবে। তারা যদি মেনে নেয় তাহলেই কেবল এটি বাস্তবায়ন হতে পারে।

    মতবিনিময় সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান শ্রমিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই পাটকল এবং শ্রমিকদের ব্যাপারে আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় খুলনার বন্ধ হওয়া পাটকলগুলো চালু হয়েছে। এ সরকারের আমলে মজুরি কমিশন ২০১৫ পাশ হয়েছে এবং এ সরকারই তা বাস্তবায়ন করবে। প্রতিমন্ত্রী শ্রমিক নেতাদের বলেন, দাবি-দাওয়া পূরণ করতে এক সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ প্রেক্ষাপট তৈরি করা দরকার।

    প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শ্রমিকদের স্বার্থে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়া জাতীয় মজুরি কমিশন ২০১৫ বাস্তবায়নে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আগামী ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা এবং বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি)’র সভাকক্ষে শ্রমিক নেতাদের সাথে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উপলক্ষে চলমান অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তিনি শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

    বৈঠকে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কাউসার শিকদার এবং আন্দোলনরত পাটকলগুলোর সিবিএ ও ননসিবিএ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বরের বৈঠকে দাবি পূরণ না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে আবারও আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করা হবে। অনশন স্থগিত হওয়ার পর খালিশপুরের বিআইডিসি সড়ক থেকে অনশনরত সকল শ্রমিকরা ঘরে ফিরে গেছেন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

    উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা বাস্তবায়ন দাবিতে ১০ ডিসেম্বর থেকে খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয় পাটকলের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরণ অনশন শুরু করে শ্রমিকরা। এতে প্রায় অর্ধ লক্ষ শ্রমিক অংশ নেন। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার আব্দুস সাত্তার নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় তার জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে তাকে দাফন করা হয়।

    এছাড়া দুই শতাধিক শ্রমিক এ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন সবাই তাকিয়ে আছেন রোববারের বৈঠকের দিকে। বৈঠক ফলপ্রসু না হলে আবারো আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারি রয়েছে শ্রমিক নেতাদের।

  • আমরণ অনশন: এক পাটকল শ্রমিকের মৃত্যু

    আমরণ অনশন: এক পাটকল শ্রমিকের মৃত্যু

    মজুরী কমিশনসহ ১১ দফা বাস্তবায়নে অন্যান্য শ্রমিকদের সাথে আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার (৫৫)। জীবন চলে গেলেও দাবি আদায় না হওয়া অবধি ঘরে ফিরে যাবেন না বলেও তিনি ছিলেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কিন্তু তিনি দেখে যেতে পারলেন না তাদের আন্দোলনের সফলতা। অনশনে অসুস্থ হয়েই মারা গেলেন তিনি। খুলনাসহ রাজশাহী ও নরসিংদীতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক শ্রমিক। এদের মধ্যে অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও অনশন স্থলেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬ টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুস সাত্তার।

    তিনি প্লাটিনাম জুট মিলের তাঁত বিভাগের শ্রমিক ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলায়।

    রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্লাটিনাম জুট মিলের তাঁত বিভাগের শ্রমিক আব্দুস সাত্তার অনশনরত অবস্থায় সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি সন্ধ্যায় মারা যান।

    প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খান বলেন, অনশনে অসুস্থ হয়ে গেলে প্লাটিনাম জুট মিলের শ্রমিক সাত্তারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    তাৎক্ষনিকভাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এদিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের গগণবিদারী স্লোগানে কেঁপে ওঠে গোটা শিল্পাঞ্চল।

    এর আগে মঙ্গলবার থেকে মজুরি কমিশন বাস্তবায়সহ ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে তারা এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

    আন্দোলনে থাকা পাটকলগুলো হচ্ছে- ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল ও ইস্টার্ন জুট মিল, কার্পেটিং জুট মিল ও জেজেআই জুট মিল।

  • আমিন জুটমিল শ্রমিকরা ১১ দফা দাবিতে অনশনে অটল : অসুস্থ ১০ শ্রমিক

    আমিন জুটমিল শ্রমিকরা ১১ দফা দাবিতে অনশনে অটল : অসুস্থ ১০ শ্রমিক

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : মঞ্জুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনের মত আমরণ অনশন করছে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের পাটকল শ্রমিকরা। এখনো মেলেনি সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের আশ্বাস। খোঁজ নেয়নি কেউ।

    শ্রমিক নেতারা দাবি করছে গত তিনদিন ধরে চলমান অনশন কর্মসুচিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ১০ জন পাটকল শ্রমিক। এদের মধ্যে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে।

    এর আগে গত মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিক সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে সারাদেশে অনশন কর্মসূচীর ঘোষণা দিলে সারাদেশের মত আমিন জুট মিলসহ চট্টগ্রামের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত মিলের শ্রমিকরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

    রাতভর শীত উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম আমিন জুট মিলের গেটে অনশন স্থলে অবস্থান করছেন শত শত শ্রমিক। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ১০ শ্রমিক। এরপরও শ্রমিক নেতারা এবারের কর্মসূচি থেকে পিছু হটার কোন সুযোগ নেই উল্লেখ করে দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে মৃত্যুকে বরণ করে নিতেও তারা প্রস্তুত বলে জানায়। সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন অনশনরত শ্রমিক নেতারা।

    আমিন জুট মিল সিবিএ’র দপ্তর সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, দাবি-দাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবরই উদাসীন। বৃহস্পতিবার অনশনের তৃতীয় দিন চলছে কিন্তু এখনো দাবী আদায়ের কোন আশ্বাস কারো কাছ থেকে পাইনি। এখন পর্যন্ত খবরও নেয়নি উল্লেখযোগ্য কেউ।

    এরমধ্যে বুধবার ও বৃহস্পতিবার মিলে আমাদের ১০ জনের মত শ্রমিক ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে বাকি দুজনের অবস্থা অবনতি হলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    আমরণ অনশন কর্মসূচীতে শ্রমিক নেতারা বলেন, ২০১৫ সালে ঘোষণা দিয়েও মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন শ্রমিকরা।

    মঞ্জুরী কমিশন বাস্তবায়ন, ১১ সপ্তাহের বকেয়া বেতন পরিশোধ, পিএফ’র টাকা প্রদান, বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ১১ দফা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবী। যা সরকার মানছেন না। এ জন্য বাধ্য হয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন করছে শ্রমিকরা।

    ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আমরণ অনশন ধর্মঘটে মিলের সকল শ্রমিক স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

    এদিকে আমরণ অনশন কর্মসূচি চলাকালীন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের আমিন জুটমিলে। মিলের উৎপাদনবন্ধ হওয়াসহ পণ্যবাহী কোন ট্রাক ও মিল কর্মকর্তারা সকাল থেকে মিলে প্রবেশ করতে পারেনি।

  • ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে পাটকল শ্রমিকেরা

    ১১ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে পাটকল শ্রমিকেরা

    বকেয়া মজুরি পরিশোধ, জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরণ অনশনে নেমেছেন আমিন জুট মিলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা।

    পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) সকাল ৮টা থেকে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলের সামনে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকরা। এরপর তারা আমরণ অনশন শুরু করেন। এখন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন সিবিএ এবং নন-সিবিএ নেতা-শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

    আমিন জুট মিল সিবিএ’র দপ্তর সম্পাদক কামাল উদ্দিন বলেন, আমিন জুট মিলে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কর্মরত আছেন। এর বাইরে চট্টগ্রামে আরও ৯টি পাটকল রয়েছে। সেগুলোর শ্রমিকনেতারাও আমাদের সঙ্গে মিল গেটে অবস্থান করছেন।

    এর আগে কয়েক দফায় আমিন জুট মিলের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ এবং পাটমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ, থালা-বাটি হাতে শ্রমিকরা ভুখা মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।

    আমিন জুট মিল সিবিএ সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার আমরা বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। কিন্তু পাটশিল্প রক্ষায় তার কোনো উদ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তাই আজ আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে লাগাতার অনশনে নেমেছি।’

    এই সিবিএ নেতা বলেন, ‘আমাদের কোনো দাবিই পূরণ হয়নি। গত রমজানেও আমরা আন্দোলন করেছি। সরকারি ও অন্যান্য কর্পোরেশনের কর্মচারীরা পেয়েছেন জাতীয় মজুরি কমিশন ২০১৫ স্কেল। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা পাননি। আমরা যে ন্যূনতম মজুরি পাই তাও ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বকেয়া। অনেক শ্রমিক অবসরে গেলেও তাদের এককালীন পাওনা পাননি। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এমনকি পাওনা ছাড়াই অনেক শ্রমিক মারা গেছেন, মারা গেছেন তাদের নমিনিও।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কারখানার কর্মচারীরা গত ১৩ সপ্তাহ ধরে বেতন পাচ্ছেন না। কর্মকর্তারা বেতন পেয়েছেন তিন মাস আগে। এই কারথানায় প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা কী খেয়ে বেঁচে আছেন সে খবর কি কারও আছে? তাই আমরা বাধ্য হয়ে আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে লাগাতার অনশনে এসেছি।’

    আমিন জুট মিল সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা জানান, আমিন জুট মিল ছাড়াও চট্টগ্রামে আরও ৯টি পাটকল রয়েছে। চট্টগ্রামের সব শ্রমিক নেতাও আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘কেবল ১১ দফা দাবিই নয়, আমাদের আরও অনেক ক্ষোভ রয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের সমস্যা লাঘবে সরকারের কোনো সদিচ্ছা নেই। সরকার বরাবরের মতোই আমাদের ব্যাপারে উদাসীনতা দেখিয়ে আসছে। সত্যি কথা বলতে কী- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এ সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।’