Tag: আমির খসরু

  • বিএনপি নেতা আমীর খসরু ও জহির উদ্দিন ৬ দিনের রিমান্ডে

    বিএনপি নেতা আমীর খসরু ও জহির উদ্দিন ৬ দিনের রিমান্ডে

    পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ছয় দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শুক্রবার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    ডিবির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম আমীর খসরু মাহমুদ ও জহির উদ্দিন স্বপনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জাকি আল ফারাবী এই আদেশ দেন।

    এর আগে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও জহির উদ্দিন স্বপনকে আজ বেলা আড়াইটার দিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

    গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গুলশান এলাকা থেকে জহির উদ্দিন স্বপনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

    গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর ফকিরাপুল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে মারা যান মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক।

     

  • আওয়ামীলীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে: আমীর খসরু

    আওয়ামীলীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আজকের পদযাত্রা থেকে মানুষ সরকারকে বার্তা দিয়েছে, শেখ হাসিনা বিদায় হও। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে- শেখ হাসিনা বিদায় হও। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। এই বার্তা যদি ফ্যাসিস্ট, দখলদার, অবৈধ সরকার বুঝতে না পারে, তাহলে তাদের জন্য আরও বড় দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। তারা রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে কবরে চলে গেছে। নূতন করে তাদের আর কবরে নেয়ার দরকার নেই। রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ কবরে সমাহিত হয়ে গেছে।

    তিনি মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে নগরীর সাগরিকা মোড়ে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর সাগরিকা মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে পোর্ট কানেক্টিং রোড় হয়ে সরাইপাড়া মোড় হয়ে নয়া বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী এবং আহবায়ক কমিটির সদস্য মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জুর পরিচালনায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    এসময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বীর চট্টলার জনগণ আজ জেগে উঠেছে। সারা বাংলাদেশের জনগণ আজ জেগে উঠেছে। পুলিশী তৎপরতা, গ্রেফতার, খুন, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, গুম, নির্যাতন করে বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যত বেশি হামলা হবে, যত বেশি গ্রেফতার করা হবে, তত বেশি আন্দোলন জোরদার হবে। বেশি হামলা করলে, বেশি মামলা করলে বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। বাড়াবাড়ি বেশি করলে দেশের মানুষও তাড়াতাড়ি তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। ইতোমধ্যে দেশের মানুষ পরিস্কার বার্তা দিয়েছে- এই অবৈধ, দখলদার, ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হও।

    তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। আপনারা সবাই প্রস্তুত হন। শেষপর্যন্ত থাকতে হবে। শেষপর্যন্ত লড়তে হবে। আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করব। জীবন দিয়ে হলেও এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করব। জীবন দিয়ে হলেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। দুর্নীতিবাজদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করব।

    আমীর খসরু বলেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। রাজপথে জনগণকে নিয়ে এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে হঁটাতে হবে। বিএনপির কর্মসূচীতে মানুষের জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ আজ অসহায় হয়ে গেছে। পুলিশের পিছে পিছে ঘুরছে। আর ছুরি, লাঠি, দা নিয়ে তারা শান্তি সমাবেশ করছে। ওরা নাকি জনগণের সম্পদ রক্ষা করবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের লক্ষে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আজকের এই পদযাত্রা কর্মসূচিও প্রমাণ করেছে তারা শেখ হাসিনাকে আর চায় না। শেখ হাসিনার পতনের ঘন্টা বেজে গেছে। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আমরা বলতে চাই, এখনো সময় আছে, শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে ভালই ভালই কেটে পড়েন, না হলে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।

    এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসী প্রমাণ করেছে তারা শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করবো।

    সভাপতির বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কাউন্টার প্রোগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের আসল চেহারা উম্মোচিত হয়েছে। হাসিনার সরকারের আমলে মানুষের ভোটের অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে। তারা সরকারে আসার পর একটি পুতুল নির্বাচন কমিশন করে দিনের ভো্ট রাতে নিয়েছে। তারা বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, আজকের এই পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে সরকারের পতনের ঘন্টা বেজে গেছে। কোন ধরনের ভয় ভীতি দেখিয়ে আন্দোলনকে দমানো যাবেনা। দমানোর চেষ্টা করলে এর ফল ভাল হবেনা। আমরা রাজপথে আছি, থাকবো। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মানুষের অধিকার আদায় করবো।

    পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি হাজী বাবুল হক, মোশারফ হোসেন ঢেপটী, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতীদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, জাসাসের আহবায়ক মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।

  • সবাই আওয়ামী সরকারেরর পতনের দিকে তাকিয়ে আছে: আমির খসরু

    সবাই আওয়ামী সরকারেরর পতনের দিকে তাকিয়ে আছে: আমির খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এখন রোজা হলেও আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এসে পৌঁছেছি। চট্টগ্রামের বিশাল সমাবেশ থেকে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল। এই বীর চট্টলা থেকেই পরবর্তি চুড়ান্ত আন্দোলনের যাত্রা হবে।

    তিনি আজ (১৫ এপ্রিল) শনিবার কাজির দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধি সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভা ও ইফতার মাহফিলে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, চরম আন্দোলনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। দেশের মানুষ ভালো নেই, সবাই তাকিয়ে আছে শেখ হাসিনার পতনের দিকে। টিসিবির লম্বা লাইনেই আওয়ামী উন্নয়নের জলন্ত উদাহরণ। বিনা আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার নজির সারা দুনিয়ার কোথাও নেই। আন্দোলনের মাধ্যমে এই রেজিম সরকারের পতন ঘটাতে হবে। জনগন তাদের থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। হাসিনা সরকারের অসহায়ত্ব প্রকাশ পাচ্ছে। এই অবস্থায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা এগিয়ে যেতে চাই।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আন্দোলনের কর্মসূচি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতেহবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোন নির্বাচন হবে না। আজ ৩৪টি রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব এ কথা বাস্তবায়নের। আগামী নির্বাচন একটি জাতীয় সরকারের অধীনে দিতে হবে।

    সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লুটপাটের ইতিহাস বহু পুরানো। ৭৪ এর পুনরাবৃত্তি চলছে বর্তমানে। মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই বিধায় মানুষ সরকারের সমালোচনা করতে পারছে না। বাকশালী কায়দায় দেশ চলছে এখন। এই বাকশালী সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, যুদ্ধের ময়দানে আমরা লড়তে এসেছি। আমরাই লড়বো, আমরাই গড়বো। দেশের মানুষ সরকারের পতন চায়, খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। তারেক রহমান আজ প্রবাসে। বীরের বেশে তারেক রহমান দেশে আসবে। সেই অপেক্ষায় আছে দেশের মানুষ।
    তিনি এসময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুবদলের নেতাকর্মীদের আগামীর চুড়ান্ত আন্দোলন সংগ্রামের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা এসএম ফজলুল হক, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।

    কেন্দ্রীয় যুবদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আহমদ উজ্বলের পরিচালনায় এ সময়ে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মামুন হাসান, সহ সভাপতি ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, শাহ আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম লিটন, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মুন্না, মো.কামাল উদ্দিন দাদা, কেন্দ্রীয় যুবদলের উপজাতী বিষয়ক সম্পাদক আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ যথাক্রমে মো. শাহজাহান, হাসান জসিম, মাহবুবুল আলম সবুজ, জাকির হোসেন জসিম, মো. নুরুন্নবী, মো. জহির উদ্দিন মাসুম, মোহাম্মদ আজগর, এসএম মুরাদ চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, নুরুল আমিন খান, নাসির উদ্দিন, সৈয়দ রাশেদুল হাসান লিংকন, জিসান উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

  • আঃলীগ দেশের স্বাধীনতাকে নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে: আমীর খসরু

    আঃলীগ দেশের স্বাধীনতাকে নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে: আমীর খসরু

    স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট এদেশের মানুষ ভূলে যাচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে এদেশের আপাময় জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। বাংলাদেশের রাজনীতি যে পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে স্বাধীনতা দিবসের গর্বিত দিনটিকে, গর্বিত কাজটিকে গর্হিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটটা আমরা ভূলে যাচ্ছি। এ প্রেক্ষাপটের মধ্যে মৌলানা ভাসানী, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, কর্ণেল ওসমানি, জিয়াউর রহমান আছেন। আরো অনেকের অবদান আছে। আজকে দেশের স্বাধীনতা একটি ব্যক্তি, একটি পরিবার, গোষ্ঠী ও একটি দলের হাতে। যেন তারা মূলধন পেয়েছে। এটাকে তারা নিজেদের মূলধন করে ফেলেছে।

    তিনি রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে পাঁচলাইশস্থ শায়লা স্কয়ারে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং ডা. শামীম আল মামুন ও ডা. ঈসা চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি বিএনপির উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজলুল হক, ডা. মো. গোফরানুল হক, একরামুল করিম, ডা. জাহিদ হোসেন শরীফ, এড. মফিজুল হক ভুঁইয়া, কমান্ডার শাহাবুদ্দিন ও মো. হারুনুর রশিদকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

    আমীর খসরু বলেন, কোনো জায়গায় কোনো নেতৃত্বে এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধে একজন জাতির পিতা বা ফাউন্ডার ফাদার অথবা কোনো একজনের ব্যক্তিত্বে স্বাধীনতা আসেনি। এটা যদি করা হয়ে থাকে অর্থাৎ একজনকে সামনে রেখে সমস্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ তাহলে এটা কিন্তু মনোপলি হয়। যখন স্বাধীনতা মনোপলি হবে তখন এটা ক্ষতিকর জিনিস। বাজার যেরকম একচেটিয়া হলে ক্ষতিকর হয়, খদ্দেররা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ,মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারেও মনোপলি করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে একটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে।

    জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমির খসরু বলেন, আমি যা বলেছি এসব তাজউদ্দীনের মেয়ের বইতে লেখা আছে। যে ফাদার অফ দ্যা নেশন ঠিক আছে, আমেরিকায় তো ফাদার অফ নেশন আছে, ফাউন্ডিং ফাদারও আছে। যে লোকগুলোর কথা আমি বলেছি এর বাইরেও অনেকেই আছেন। যাদের নাম ফাউন্ডিং ফাদার হিসেবে আমাদেরকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তারা সবাই ফাউন্ডিং ফাদার্স। কারো ভূমিকা কম নয়। একেকজনের ভূমিকা একেক দিকে। জিয়াউর রহমানের ভূমিকা হচ্ছে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি দেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা। উনি কি ফাউন্ডিং ফাদার হতে পারেন না?

    আমীর খসরু বলেন, জেনারেল ওসমানি সাহেব মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন । উনি কি ফাউন্ডিং ফাদার হতে পারেন না? তাজউদ্দিন সাহেব স্বাধীনতাকালীন মন্ত্রীসভার নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি কি ফাউন্ডিং ফাদার হতে পারেন না। মুক্তিযুদ্ধ ইনক্লুসিভ বিষয়। এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। এটি সমস্ত জাতির গর্ব। এই মূলধন সমস্ত জাতির মূলধন। এ গর্ব সমস্ত জাতির গর্ব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব বিষয় দেখা হবে। যারা প্রাণ দিয়েছেন প্রত্যেকের নাম বাংলাদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আজকে আমরা লড়াই করছি গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের রক্ষার জন্য। অর্থনৈতিক যে বৈষম্য যেটা ৭১ এ ছিল সেটা এখন আরো বেশী হয়েছে। মানবাধিকার ও মানুষের মুক্তির যে লড়াই সেটা অব্যহত আছে। কাজেই আমাদের আজ শপথ নিতে হবে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এক হয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে।

    এস এম ফজলুল হক বলেন, স্বাধীনতা কোন পণ্য নয়। স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অনেক কথা থাকতে পারে। কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতা, সে গণতন্ত্র ছাড়া দেশের মানুষ ভাবতে পারেনা।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং জিয়াউর রহমানের নাম সমার্থক। মুক্তিকামী জনতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা আশা করেছিল রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে। কিন্তু তাদের ব্যর্থতার কারণে সেদিন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সরকার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

    কাদের গণি চৌধুরী বলেন, এই চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই সত্যটিকে ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছে সরকার। আওয়ামী লীগ সব সময় মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

    জাহিদুল করিম কচি বলেন, আজ দেশে সুশাসন নেই। এ থেকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিকল্প নেই।

    ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী বলেন, সরকার মানুষের সমস্ত মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাই এই সরকারকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    সভায় অন্যান্নোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, চবি অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির, চমেক ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি এড: এনামুল হক, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহ নওয়াজ, এ্যাবের ইঞ্জি. সেলিম মো. জানে আলম, রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. ওসমান প্রমুখ।

  • শেখ হাসিনার পতন অবশ্যম্ভাবী: আমির খসরু

    শেখ হাসিনার পতন অবশ্যম্ভাবী: আমির খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অনির্বাচিত, দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে আজকের এই সমাবেশ। অর্থাৎ আপনারা বিএনপির শুধু নেতাকর্মী নন, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকরা যে প্রস্তুতি নেয়, সেটি আপনারা শিখেছেন। আপনারা আগামী দিনের আন্দোলনের জন্য সৈনিক হয়ে গেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে হুকুমের সঙ্গে সঙ্গে সৈনিকরা ঝাপিয়ে পড়ে। এটাই প্রমাণ করে শেখ হাসিনার পতন অবশ্যম্ভাবী। শিগগিরই এ সরকারের পতন হবে এবং আমরা বাধ্য করব।

    তিনি আজ ১৮মার্চ শনিবার বিকাল ৩টায় আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে, ঘোষিত ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভোট চোর, ব্যাংক চোর, শেয়ার বাজার চোরসহ যত উপাধি আছে বলে শেষ করা যাবে না। এতো চোর, এতো চুরি বিশ্বের কোনো দেশে হয় না। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। আওয়ামী চোর ব্যতীত সাধারণ মানুষের দুই বেলা খাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। স্কুলের বেতন দিতে কষ্ট হচ্ছে, চিকিৎসার খরচ মেটাতে কষ্ট হচ্ছে। আওয়ামী চোর ব্যতীত বাংলাদেশের বাকি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

    আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, কেন দ্রব্যমূল্য বাড়ছে? বিদ্যুৎ খাতে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। যাদেরকে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগের। এক্ষেত্রে কোনো টেন্ডার হয়নি। প্রধানমন্ত্রী অফিসে যেতে বলেছেন। একটা একটা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরা বিদ্যুতের লাইসেন্স নিয়ে বিদুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু উৎপাদন না করেও কুইক চার্জের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকা তারা সরকারের কোষাগার থেকে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোনো মামলা করতে না পারে, সেটার জন্য আইন করেছে। অর্থাৎ দুর্নীতি করার জন্য আইন করেছে তারা।

    আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। এই সিন্ডিকেট ছাড়া কেউ ডলার পাচ্ছে না। এমনিতে তো ডলার সব খেয়ে ফেলছে। ১০ লাখ কোটি টাকার ডলার তারা বিদেশে পাচার করেছে। এখন ডলারের রিজার্ভ শূন্যের দিকে যাচ্ছে। যা আছে তা পাচ্ছে আওয়ামী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেট বেশি দামে পণ্য মানুষের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচিতে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকারের আর পালাবার পথ নেই। এই সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে’। আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়। এরা জনগণের ভোট চুরি করেছে, চাল চুরি করেছে, তেল চুরি করেছে, জনগণের টাকা চুরি করেছে। বাংলাদেশ থেকে এখন ১২ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারের অধীনে কোন ধর্মের বর্নের মানুষের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্ক বানিয়ে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়। ৬ বছর আগে নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দুদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। গতকাল আদালত ওই উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদকসহ ১৩ জনকে কারাদন্ডে দন্ডিত করেছে।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর দাম্ভিকতায় প্রমাণিত হচ্ছে তারা ভয়ের মধ্যে আছে। কারন তারা জানে তাদের সময় শেষ হয়ে গেছে। ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। চট্টগ্রামে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। সুরক্ষা পরিষদের উপর ছাত্রলীগের নেতারা হামলা চালিয়েছে। আমরা বলতে চাই চট্টগ্রামের মানুষ অযাচিত হোল্ডিং ট্যাক্স দিবে না। যদি হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হয়, বিএনপি আন্দোলনে নামবে। জনগণের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পযন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও গ্যাস–বিদ্যুৎসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ নেমে এসেছে। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের ব্যর্থ হয়েছে। এই ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার দুর্নীতি ও লুটপাটে ব্যস্ত। তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগনের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে কোন প্রকার প্রচেষ্টা নেই। তাদের একমাত্র লক্ষ্য দমন নিপিড়নের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করা। দেশের জনগন এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। জনগন তাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি অব্যাহত কর্মসূচি পালন করছে। বিএনপি জনগনকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে ভোটাধিকার, আইনের শাসন সর্বোপরি জনগনের সরকার প্রতিষ্টা করবে, ইনশাআল্লাহ।

    কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেছেন, এই অবৈধ সংসদ ভেঙে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দিতে হবে। জনগনের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় জনগনকে সাথে নিয়ে দেশব্যাপী দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে সংবিধান পরিবর্তনে বাধ্য করা হবে। আওয়ামী লীগ জানে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। দেশের জনগণ নৌকাকে চিরতরে ডুবিয়ে দেবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আদালত প্রাঙ্গনে গত দুইদিন তান্ডব চালিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা নজিরবিহীন। সুপ্রিম কোর্ট আর সুপ্রিম কোর্ট নেই। এটা এখন আওয়ামী লীগের দখলে চলে গেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এ সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টাপ্র তিরোধে গড়ে তুলতে হবে।

    বিশিষ অতিথর বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেছেন,দেশের মানুষ আজকে ভোট দিতে পারে না। এ সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দেশের সম্মান নষ্ট করেছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উপহাসের পাত্র হিসেবে পরিণত করেছে। বর্তমান অবৈধ সরকার এমন কোনো নিত্যপণ্য নেই, যার দাম বাড়ানো হয়নি। আওয়ামী সরকার থেকে মুক্তি পেতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে, পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট চুরির নতুন স্টাইল ইভিএম মেশিন কেন্দ থেকে বাইরে নিয়ে গেলো যুবলীগ নেতা, দায়িত্বরত পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখলো। এটাই প্রকৃত আওয়ামী লীগের চরিত্র এদের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী,প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সহসংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম,কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু,মহিলা দল নেত্রী ফাতেমা বাদশা, জেলী চৌধুরী, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল­াহ আল হারুন,, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, নুর হোসাইন, নগর বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা নবাব খান,শ্রমিকদলের তাহের আহম্মেদ, নজরুল সরকার, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড. আবদুল আজিজ প্রমূখ।

  • দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার অন্য খেলাধুলায় ষড়যন্ত্রে নেমেছে- আমীর খসরু

    দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার অন্য খেলাধুলায় ষড়যন্ত্রে নেমেছে- আমীর খসরু

    দেশের জনগণ বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অতিস্বত্ত্বর বিদায় দেখতে চায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। রাস্তাঘাটে পথে, মাঠে, সমাবেশে প্রত্যেক জায়গায় আজ একটা প্রশ্ন এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে কবে বিদায় দিবেন? আমরা নিশ্বাস ফেলতে পারছিনা। আরো কিছুদিন এ অবৈধ সরকার যদি থাকে আমরা কেউ বাঁচব না। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় প্রতিটি দিন অতিবাহিত করছি, আমাদের মুক্তি দিন । দেশকে মুক্ত করেন। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ম্যাসেজ। পরিষ্কারভাবে জনগণের সিদ্ধান্ত এবং তারা অতিস্বত্তর সরকারের বিদায় দেখতে চায়। এটা নিয়ে আগামি দিনগুলোতে কেউ টিকে থাকতে পারবেনা যতদিন এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিদায় না হয়।

    তিনি শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ১১ টায় নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মী অংশ নেন। নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কের মূল অংশ থেকে শুরু হয়ে একদিকে কাজীর দেউরী মোড়, অন্যদিকে লাভলেইন হয়ে জুবলী রোড় পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশে মানুষ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেয়।

    তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণগুলো হচ্ছে এগুলোকেও তারা রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। একটা সরকারের আমলে যখন এগুলো ঘটে তখন সে সরকার দেশ পরিচালনাতে ব্যর্থ। তারা রাজনীতি করছে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরশাদের পতনের সময় মন্দিরে মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল। স্বৈরাচারদের যখন পতনের অবস্থানে চলে যায় তারা তখন তারা এ ধরণের কর্মকান্ড করে। তারা আরো করবে। কারণ আওয়ামীলিগের কোনো রাজনীতি নেই। এ দলটি রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় পড়ে গেছে। দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার অন্য খেলাধুলায় ষড়যন্ত্রে নেমেছে।

    নির্বাচনে যারা ভোট চুরিতে জড়িত তাদের তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে আমির খসরু বলেন, সারাবিশ্বের দৃষ্টি বাংলাদেশের দিকে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দিকে। দৃষ্টি হচ্ছে মানবাধিকারের দিকে, দৃষ্টি হচ্ছে এদেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচারের দিকে, দৃষ্টি হচ্ছে বাক স্বাধীনতার পক্ষে, মানুষের জীবনের নিরাপত্তার দিকে। বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে আছে। আর এক শতাংশের নিচের মানুষ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এই লক্ষ কোটি টাকা লোপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে এ টাকা ফেরত দিতে হবে। আর যারা আওয়ামীলীগের সাথে ভোট চুরিতে লিপ্ত থাকবেন ,যারা জড়িত থাকবেন সবার একটি তালিকা করা হচ্ছে।

    আমীর খসরু বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে। তারা আইন করেছে এ নির্বাচনে ভোট চুরির সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসবে। এটা তো বাইরে থেকে আসবে ভেতর থেকে তাদের বিচার হবে। ওয়ান ইলেভেনের তাদের যেসব মামলা তারা খারিজ করে দিয়েছে, গত এগারো বছরের গুম, খুনের যে মামলা এগুলোকে একত্রিত করলে আওয়ামীলীগের ৩০০ আসনের মধ্যে একটি আসনেও প্রতিদ্বন্দিতার করার প্রার্থী পাওয়া যাবেনা। সবাইকে জেলে যেতে হবে। বিচারের আওতায় আসতে হবে। কেউ ছাড় পাবে না। তাই তাদের বলবো, বুঝিয়া করিও কাজ, বুঝিয়া ভাবিও না। আর করিয়া ভাইবা নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না। বাংলাদেশের মানুষকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে চলে যান। ৫০ বছর পর আবার দেখা হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চরম দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিনত হয়েছে। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। এই অবৈধ সরকার দুর্নীতি দু:শাসনের মাধ্যমে জনগনের অর্থ লুটপাট করে জনগনের টাক বিদেশে পাচার করছে। দেশের অর্থনীতি অবনতির মূলে রয়েছে বিনা ভোটে নির্বচিত অবৈধ সরকারের এমপি ও মন্ত্রী এবং আমলারা। যার ফলে গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় গ্রেড়ে। এইটি হাইব্রিড সরকারের শাসন ব্যবস্থা। ডিজিটাল বাংলাদেশর কাথা বলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ভোট ডাকাতি করেছে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বলে আর ভোট ডাকাতির চেষ্টা করবেননা। বিএনপি ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য রাজপতে আছে। প্রয়োজনে নিজের বুকের তাজা রক্ষ দিয়েও অধিকার প্রতিষ্টা করবো।

    তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতি থেকে রেহায় পাচ্ছেনা দেশের ধর্মপ্রাণ জনগন। সরকারের হাজীদের বিমান ভাড়া প্রায় দুই লক্ষ টাকা, ওমরাতে এক লক্ষ টাকা, পর্যটক ভিসায় ৬০ হাজার টাকা নিচ্ছে। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে হাজীদের সাথে সরকার চরম বৈষম্য সৃষ্টি করছে। বিশ্বের অন্যন্য দেশে ধর্মীয় বিষয়ে এবং হজ্বের ক্ষেত্রে ভর্তূকি দিয়ে থাকে অন্যদিকে আমাদের দেশে ভর্তূকি দেওয়া তো দুরের কথা বরং সিন্ডিকেট করে হজ্বের টাকা বৃদ্ধি করেছে। সরকার ধর্মীয় বিষয় নিয়েও চরম দুর্নীতি করছে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন,নির্বাচন আসলে সরকার সংবিধানের দোহায় দেয়। তারা সেই সংবিধানের দোহায় দেয় যা তারা পরিবর্তন করে নিজের মত করে নিয়েছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই আওয়ামী সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বাস্তায়ন করেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। অন্যথায় শেখ হাসিনার অধিনে কোন নির্বাচন দেশের জনগণ হতে দিবেনা। বর্তমানে দেশের সকল প্রতিবন্ধকতা ও অশান্তির মূলে রয়েছে অবৈধ সরকার। সরকারের পতন ছাড়া রাষ্ট্র মেরামত করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশকে আজ পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। চলমান আন্দোলন সংগ্রামকে আরো জোরদার কারে দল মত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নসরুল কদির, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম জানে আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল্লাহ বাহার, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, মোশাররফ হোসেন ডেপটি, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, আবদুল কাদের জসিম, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, জাসাসের সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন প্রমূখ।

  • আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, তাই ওদের কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই: আমির খসরু

    আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন, তাই ওদের কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই: আমির খসরু

    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন-আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই এখন তারা কাউন্টার প্রোগ্রাম দিচ্ছে, কাউন্টার প্রোগ্রাম দেওয়া ছাড়া তাদের বিকল্প নেই।

    তিনি আজ বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাবলমুরিং থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আগ্রাবাদ ১ মোড়ে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।

    খসরু আরো বলেন, দেশে আজ নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে। মানুষ দুইবেলা খেতে পারছে না। মুরগি এখন চারভাগে ভাগ করে বিক্রি করা হচ্ছে, গরুর মাংস গ্রাম হিসাব করে বিক্রি করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ অর্থনীতির লুটেরা যারা সম্পদ লুটপাট করেছে তারা বাদে দেশের প্রায় মানুষ কষ্টে আছে। আওয়ামী লীগ প্রায় সংবিধানের কথা বলে আমি তাদেরকে একটা কথা বলতে চাই সংবিধান কি গুম খুন করতে বলেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করতে বলেছে, লুটপাট করতে বলেছে মানুষের মানবাধিকার ,ভোটাধিকার হরণ করতে বলেছে। সবকিছুতে তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ,এই দেশের জনগণ চোরদের হাতে তাদের ভাগ্য তুলে দিতে পারে না। আওয়ামী লীগ বলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নাকি রাজনীতি করতে পারবে কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। মামার বাড়ির আবদার, মনে হচ্ছে দেশটা তাদের জমিদারি, যা বলবে তাই মানতে হবে। আওয়ামী লীগ যতগুলো ঘুম খুনের সাথে জাডিত সবগুলো যোগ করলে যতগুলো মামলা হবে নির্বাচন তো দূরের কথা তাদের নেতা-নেত্রীরা কেউ জেলের বাইরে থাকতে পারবে না। আজ জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন সহ বিভিন্ন দেশ তাদের লুটপাট , মানবাধিকার লঙ্ঘন, ভোটাধিকার,লঙ্ঘনএর কার্যক্রম নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, আইএমএফ এর লোন নিয়ে তারা কি করছে তাও পর্যবেক্ষণ করছে। তারা যতই চেষ্টা করুক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তাদেরকে বিদায় নিতে হবে, তাদেরকে বিদায় করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।

    ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ সেকান্দর হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়ার পরিচালনায সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, মহানগর বিএনপির সদস্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল হাসেম, বিএনপি নেতা এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুল আলম , মহানগর বিএনপি নেতা মাহবুবুল হক, শহীদ মোহাম্মদ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, মহিলা দলের নেত্রী ফাতেমা বাদশা ডাবলমুরিং থানা বিএনপিরসিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা দিদারুল আলম, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, ডাবলমুরিং থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুদ্দিন সোহেল, মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সেলিম, মোঃ ইদ্রীছ, মোঃ সাবের, দক্ষিণ আগ্রাবাদ বিএনপির সভাপতি ফয়েজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল সরদার, উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপি আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহসিন, দক্ষিণ পাঠানটুল সভাপতি জামাল উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, ডাবল মুরিং থানা যুবদল সভাপতি বজল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মোঃ আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সোহাগ সহ প্রমুখনেতৃবৃন্দ।

    এদিকে পথযাত্রা শুরুর আগে ডবলমুরিং থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া মহল্লা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিযয়ে নেতাকর্মীরা চৌমুহনী মোডে জমায়েত হতে থাকে। একসময় চৌমুহনী সহ আশেপাশে এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। পরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে হাজার হাজার লোকের বিশাল মিছিল চৌমুহনী হয়ে হাজীপাড়া পানওলা পাড়াা ব্যাপারীপাড়ার মোড় হয়ে অ্যাক্সেস রোড হয়ে বড় পোল মোডে গিয়ে শেষ হয়। জনাব খসরু সেখানে থেকে আকবর শাহ থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নেন ও সেখানে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন। উক্ত সমাবেশে বিএনপি নেতা আয়ুব খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির ‘সদস্য মনজুর আলম চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি সহ নেতৃবৃন্দ।

  • ফ্যাসিষ্ট সরকার রাষ্ট্রটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: আমীর খসরু

    ফ্যাসিষ্ট সরকার রাষ্ট্রটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফ্যাসিষ্ট সরকার রাষ্ট্রটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধারের জন্য বিএনপির ২৭ দফা। সত্যি কথা বলতে বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ, এই রূপরেখায় তারা কিছুই ভুল বের করতে পারেনি, যেটা নিয়ে তারা বিরোধিতা করবে। তারেক রহমানের দেওয়া রূপরেখা নিয়ে আওয়ামী লীগ যে বিরোধিতা করবে, তার কিছুই এখানে দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা বিরোধিতা করার মতো কোনো ভাষা আওয়ামী লীগ খুঁজে পায়নি। আওয়ামী লীগ এটাকে বলছে, বিএনপির স্টান্টবাজি। এই রূপরেখার ওপর তারা কোনো বক্তব্য করতেও সক্ষম হয়নি। এই রূপরেখা এমন একটি রূপরেখা, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দেশে-বিদেশে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মনের প্রত্যাশার প্রতিফলন এই রূপরেখার মাধ্যমে ঘটেছে।

    তিনি বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে জামালখান রোডস্থ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    এসময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র নেই, রাজ্য হয়ে গেছে। বাংলাদেশ যে গভীর গর্তের মধ্যে পড়েছে, সেই গর্ত থেকে দেশকে উদ্ধার করে রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামো ভেঙে ফেলেছে। এ জন্য রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ বিএনপির সঙ্গে রাস্তায় নেমেছে স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য। কিন্তু একটি প্রশ্ন সবার মনে আসছে। কেউ বলছে, আবার কেউ বলছে না। সেটা হলো ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হলে বাংলাদেশের ভাগ্যের কী পরিবর্তন হবে? আমরা আবার আরেকটা ফ্যাসিস্ট সরকার দেখব না, তার গ্যারান্টি কী? মানুষ এটা জানতে চায়। মানুষের মনের সব প্রশ্নের উত্তর রূপরেখার মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু রাষ্ট্র সে কথা রাখেনি। এই রাষ্ট্র এখন মানুষের সমস্ত মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তাই এই সরকারকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ বলে আমরা বেহস্তে আছি, বিরোধী মতের মানুষেরা বলে দোযকে বসবাস করছি। নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার দেশ চলাচ্ছে। মিডিয়াসহ কারো স্বাধীনতা নেই।

    মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, এ থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের পতন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১০ দফা সরকার হঠানোর দফা আর ২৭ দফা রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা। আজ দেশে সুশাসন নেই। সব কিছু আজ পাচার হয়ে গেছে। এ থেকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিকল্প নেই।

    আবুল হাসেম বক্কর বলেন, মাফিয়ার কাছ থেকে দেশ উদ্ধার করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

    আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামিলীগ রাষ্ট্র ধংশ করে করেছে ফেলেছে। তাি রাষ্ট্র মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখার বিকল্প নাই।

    সভায় অন্যান্নোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক এস এম নছরুল কদির, চমেক ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, কৃষিবিদ অধ্যাপক আহসানুল হক, আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এড: এনামুল হক, ড্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, শিক্ষক নেতা এম এ ছাফা চৌধুরী, জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, ব্যবসায়ী নেতা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, এড: জহুরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান, এড. মুফিজুল হক, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, এড. কায়সার হামিদ প্রমুখ।

  • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করে আ’লীগ আজ ক্ষমতায়: আমির খসরু

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করে আ’লীগ আজ ক্ষমতায়: আমির খসরু

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ভর করে আওয়ামী্লীগ আজ ক্ষমতায় মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী্লীগ আজ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী বসবাস করছে। আপনারা সামনে আরো একাকী হয়ে যাবেন তখন আর জনগণের কাছে যেতে পারবেনা। তখন আপনাদের আশ্রয়স্থল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারী কিছু কর্মকর্তা ও দূর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। তারা কি আপনাদের বাঁচাতে পারবে? রক্ষা করতে পারবে? যাদের উপর তারা ভর করে ক্ষমতায়, তাদের আমরা বার্তা দিচ্ছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের সংবিধান্ মোতাবেক এ দেশের জনগণকে দৈনন্দিন সুরক্ষা দিবে। জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। সন্ত্রাসীদের বাঁধাগ্রস্থ করবে। সাংবিধানিক অধিকার কেউ বাঁধাগ্রস্থ করতে চাই্লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

    বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর কাজির দেউরিতে নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের নুর আহম্মেদ সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবী বাস্তবায়ন, ২৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা দিবস ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তিনি বলেন।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ।

    আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে রক্ষীবাহিনী না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বাকশালের সময় হাজার হাজার মানুষকে ও মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে রক্ষীবাহিনী। সেসময় তারা রাষ্টের সবসম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে। সমস্ত ক্ষমতা রাষ্ট্র প্রধানের হাতে তুলে দিয়েছে। বর্তমান দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যাতে রক্ষীবাহিনী হয়ে না যায় সে আহবান তাদের জানাই।

    তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ সংবিধানকে সুরক্ষা দেওয়ার পরিবর্তে জনগণকে তার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। আপনারা যদি জনগণের বিশ্বাস, আস্থা, সম্মান রক্ষা করতে না পারেন তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রবর্তন করতে পারবেন না। গায়েবি মামলা,মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার,ভয়-ভীতি দেখিয়ে সংবিধান রক্ষা করতে পারবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। আপনারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না। আপনারা আজ ব্যর্থ।

    বাকশালের মতোই এ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হনন করছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, বাকশাল হচ্ছে ভোট চুরির মেশিন। ১৯৭৫ সালে এ দিনে নির্বাচনে যাতে তাদের যেতে না হয় সব দল বন্ধ করে বাকশাল নামক একটি স্বৈরাচারি দলের জম্ম তারা দিয়েছিল। অর্থ্যাৎ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার তাদের কোন ইচ্ছা ছিল না। সাথে সাথে তারা আইনের শাসনকে নিজের হাতে নিয়ে ফেলেছিল। আইনের শাসনের অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছিল। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তারা হনন করেছিল। আজকেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। সেদিনও গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হয়েছিল। সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। চারটি সরকারি পত্রিকা রাখা হয়েছিল। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যেমে জনগনের জানার অধিকারকে তারা আজ ভূলুন্ঠিত করতে চাইছে।

    আওয়ামীলীগের নেতারা বেহেশতে আছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু বলেন, ‘সব ব্যাংক এখন খালি। রিজার্ভ খালি। পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার নোট নতুন করে ছাপানো হয়েছে। ব্যাংকগুলোতে আজ টাকা নেই, রিজার্ভ নেই। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা দশ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। পাচার করে বিভিন্ন দেশে দেশে ঘরবাড়ি করেছে। রিজার্ভ খালি তাই দেশের মানুষের জন্য পণ্য আমদানি করতে পারছে না ডলার নেই বলে। যার জন্য দ্রব্যমূল্যর দাম আজ আকাশচুম্বী। যারা জনগনের অর্থ চুরি , ব্যাংক লুটপাট, মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তাদের কোনো সমস্যা নেই কারণ তাদের পকেট ভর্তি টাকা। পণ্যর বাজারমুল্য যতই বাড়ুক তাদের সমস্যা হবেনা। হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক তারা। তারা বেহেশতে আছে। তাদের আগামীর বেহেশতের দরকার নেই। আগামীর বেহেশতে যাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা। যারা নির্যাতিত হচ্ছে, কারাবরণ করছে, অত্যাচারে মারা গিয়েছে তারাই বেহেশতে যাবে।

    সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচী দেয়া হয়েছে। এ কর্মসুচির মাধ্যমে আরেকটি ধাপ আমরা এগিয়ে গিয়েছি। পলোগ্রাউন্ডের জনসভার পর আজকে এবং ২৪ তারিখের গণমিছিলে চট্টগ্রামবাসী আবারো প্রমান করেছেন দখলদার, অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট সরকারকে জনগণ আর চায় না। আজকে আবারো বার্তা দিয়েছেন দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হও।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। ৪ পত্রিকা রেখে সবকিছু বন্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল।পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আওয়ামীলীগের নেতারা আওয়ামী লীগ’ নামে দল করার জন্য শহীদ জিয়ার কাছে দরখাস্ত দিয়েছিলন। শহীদ জিয়া অনোমদন দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগ করার জন্য। আজকে আওয়ামী লীগ বড় বড় কথা বলছে, তাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের ঠেলায় মানুষ আজ অস্থির। এখন তারা নাকি স্মার্ট বাংলাদেশ করবে। ব্যাংক খালী করা স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা চাই না।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভিপি হারুনুর রশীদ বলেন, ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় বলে, খেলা হবে। কিন্তু কি খেলা হবে ? এই কাদেরতো ভূয়া কাদের। কিছুদিন আগে ওর ভাই বলেছিল আওয়ামী লীগের নেতারা পালানোর জন্য দরজা খুঁজে পাবেনা। উনি কি খেলা খেলবেন। এখন সময় এসেছে, এখন খেলবে বিএনপি। যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে ২০২৩ সালের মধ্যে জনগণ এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করবে। আওয়ামিলীগের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড আবদুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, ইসকান্দর মির্জা, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, এনামুল হক এনাম, জসিম উদ্দিন শিকদার, এড. ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, মাহবুব আলম, আবুল হাশেম, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মোস্তাফিজুর রহমান, মুজিবুর রহমান, এড. আবু তাহের, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী সহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ।

  • গণঅবস্থান কর্মসূচি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বার্তা: খসরু

    গণঅবস্থান কর্মসূচি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বার্তা: খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম থেকে যে বার্তা আমরা দেয় সে বার্তা সারা বাংলাদেশে চলে যায় এবং মানুষ উজ্জীবিত হয়। সে বার্তা ফ্যাসিস্টদের পতনের বার্তা। পলোগ্রাউন্ডের পরে বাকি যে ৯ টি সমাবেশ হয়েছে তাতে বিপুল জনসংখ্যার মাধমে আমরা করতে পেরেছি। এবং সমস্ত বাংলাদেশে সেসব জনসভা উজ্জীবিত করেছে। সরকার আজ ভয়ে নিজেরা এত বেশী ভীত হয়ে গিয়েছে তারা আমাদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে। মানুষ যখন ভীত হয়ে আরেকজনকে ভয় দেখাতে চাই তার অবস্থা টা আপনি বুঝতে পারছেন। এত ভীত তারা আজকে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা সে ভয়কে আজ জয় করে ফেলেছে।নেতা কর্মীরা প্রমান করেছে সেই শোভাযাত্রা, মিছিলে যত বাধায় আসুক আমাদের নেতা কর্মীরা পিছপা হয়না। জীবন দিয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের ১৩ জন সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছে। পিছপা হয়নি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে ঘরবন্দী। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতৃবৃন্দকে জেলে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনে কি ভাটা পড়েছে?

    তিনি বুধবার (১১জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচীর আয়োজন করে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় দলনেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    এসময় আমীর খসরু বলেন, আমরা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিনা। যেখানেই হামলা হচ্ছে বিএনপির নেতা কর্মীরা প্রতিরোধ করছে। আগামীদিনের আন্দোলনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী ১৬ জানুয়ারী আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের সকল জেলা, উপজেলা গুলোতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    তিনি বলেন, আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই অবস্থান কর্মসূচী দেয়া হয়েছে। এ কর্মসুচির মাধ্যমে আরেকটি ধাপ আমরা এগিয়ে গিয়েছি। পলোগ্রাউন্ডের জনসভার পর আজকে এবং ২৪ তারিখের গণমিছিলে চট্টগ্রামবাসী আবারো প্রমান করেছেন দখলদার, অবৈধ, অনির্বাচিত, ফ্যাসিস্ট সরকারকে জনগণ আর চায় না। আজকে আবারো বার্তা দিয়েছেন দখলদার ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হও।পরিষ্কার বার্তা।

    তিনি বলেন, আজকে গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, গায়েবী মামলার মাধ্যমে বিএনপির এ আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্থ করার কোনো সুযোগ নাই। এ আন্দোলনের মালিকানা বাংলাদেশের জনগণ নিয়ে ফেলেছে। আন্দোলনের মালিকানা যখন জনগণ নিয়ে নেই তখন সে আন্দোলনের প্রতিরোধ কেউ করতে পারবেনা। সুতরাং নেতা যেই থাকুক বিএনপির তার পিছনে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে। আর বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেই ফ্যাসিস্ট,স্বৈরাচার সরকার সে যেই হোক তার থাকার কোনো সুযোগ নাই।

    আমীর খসরু বলেন, শেখ হাসিনা আপনি দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন। আপনাকে বিদায় হতে হবে। আর যদি দেয়ালের লিখন পরতে না পারেন আপনাদের জন্য মোটেও মঙ্গল হবে না। বাংলাদেশের জনগণ জয়ী হবে। তার ফলশ্রুতিতে আপনাদের আগামি দিনের রাজনীতি কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আপনারা টিকতে পারবে না । আর কিছু চাটুকারের দল নিয়ে জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যদি মনে করেন আবারো আরেকটি অবৈধ ভোট চুরির কাজ কারবার করবেন সে কাজ করতে দেবেনা বাংলাদেশের মানুষ। ভোট চোরদের এরমধ্যে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশের মানুষ। শেখ হাসিনার মত ভোট চোরদের যে প্রকল্প, যে প্রক্রিয়া, সে প্রক্রিয়ার সাথে কারা যোগ দিতে চাচ্ছে, কোন নেতা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ নিবিড়ভাবে সব পর্যবেক্ষন করছে। প্রত্যেকের কর্মকান্ড দেখছে। তারা রাজনীতিতে পরাজিত হয়ে গেছে। তারা পুলিশের একটি অংশ, সরকারী কর্মকর্তাদের একটি অংশকে ব্যবহার করছে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ও ঢাকার সমাবেশ শত বাধা বিপত্তির পরও জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছিল। চট্টগ্রাম রাজনীতির তীর্থ স্থান। এই চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি লড়াই করে ব্যর্থ হন নি। আমরাও হবো না। আওয়ামিলীগ যে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো বেগম খালেদা জিয়া লড়াই করে তা পুনরুদ্ধার করেছেন। তারেক রহমান দুরে থাকলেও তার সাথে আমাদের অবস্থান দুই ফুট দুরত্বে। তার নেতৃত্বেই শেখ হাসিনার পতন হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মীর মো, নাছির উদ্দিন বলেন, আ.লীগের জন্ম হয়েছে ভারত থেকে। তারা ভারতকে পছন্দ না করে বাংলাদেশকে পছন্দ করতে পারবে না। এটা জিয়াউর রহমানোর বাংলাদেশ। শহীদ জিয়া বলেছিলেন, আমাদের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ নিতে পারবে না। তারা সেই জিয়াকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ আমাদের পবিত্র জন্মভূমি। এই জন্মভূমি রক্ষায় বিএনপির কর্মীরা যথেষ্ট। জালিম সরকারকে দূর করতে না পারলে নিস্তার পাওয়া যাবে না।আগামী দিনে কর্মসূচি করার জন্য সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নিতে হবে না। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে দেশকে শেষ করেছে, তাদের বিচার হবে। তাদের দেশে থাকার অধিকার নেই।

    আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, আমাদের দাবী একটাই, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পরিবারের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। বিএনপি এখন মামলা হামলাকে ভয় পায়না।

    জয়নাল আবেদিন ফারুক বলেন, ‘চুরি করে সংবিধান পরিবর্তন যারা করে তারা জনগণের সরকার হতে পারে না । লুটেরার দল আওয়ামীলীগের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণ তাদের আর চাই না। তাদের ক্ষমতার থাকার আর সুযোগ নেই। যতই আমাদের সহযোদ্ধাকে কারাগারে রাখুন না কেনো, আমাদের ঘরে নিতে পারবেন না।

    অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে আটকে রেখে আন্দোলন দমানো যাবে। যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হবে ততদিন এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

    গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, এই সরকারকে জনগণ বিশ্বাস করে না। বিএনপি জনগণকে নিয়ে মাঠে নেমেছে তাই আওয়ামিলীগের মাথাব্যাথা শুরু হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে এই সরকারের পতন ঘটাবে।

    এস এম ফজলুল হক বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা দেশের ভোটার অধিকার চিনিয়ে নিয়েছে। এই সরকার থাকলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।

    মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, চট্টগ্রামে আমরা লক্ষ লক্ষ জনতার সমাবেশ করেছি। এই সমাবেশ প্রমাণ করেছে তারা শেখ হাসিনাকে আর চায় না। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এই গণঅবস্থান কর্মসূচিকে গণ অভ্যুথানে পরিণত করতে হবে। জনগণ অতীতের মতো আর কোন একতরফা নির্বাচন চায় না। এই ধরনের নির্বাচন আর হতে দেওয়া হবে না।

    সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের বিএনপির সমাবেশে আমরা কোন টাকা ও বিরানী পেকেট দিতে পারিনা। আর আওয়ামিলীগের সমাবেশে একমাস আগে থেকে প্রচার চালায়। দুর্নীতির টাকা দিয়ে ব্যানার ফেষ্টুন করে। প্রশাসনের মাধ্যমে গার্মেন্টস মালিকদের জোর গার্মেন্টস কর্মীদের সমাবেশে নিয়ে আসে। এটা কোন জনগণের সমাবেশ ছিলনা। আর আমরা জনগণের ভোটাধিকারের সংগ্রামে আছি।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সংকট তৈরি করেছে তা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের এখন মেরামতের প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, দেশে ডলার সংকটের পর এখন টাকার সংকট শুরু হয়েছে। এটা মরার উপর খাড়ার গা। তাই এই গণঅবস্থানকে গণভবনের দিকে ধাবিত করতে হবে। শেখ হাসিনাকে যেতেই হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, উপজাতি সম্পাদক ম্যা মা চিং, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, সহ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া, ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, কাজী মুফিজ, মশিউর রহমান বিপ্লব, সাচিং প্রু জেরী, মামুনুর রশীদ মামুন, ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড, শামীম আরা স্বপ্না, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ।

  • ২৭ দফা বিএনপির আন্দোলনের একটি অংশ: আমির খসরু

    ২৭ দফা বিএনপির আন্দোলনের একটি অংশ: আমির খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা, ভোটাধিকার, আইনের শাসন এবং জীবনের নিরাপত্তা ফিরে পেতে চায়। জনগণ স্পস্ট বার্তা দিয়েছে অবৈধ ফ্যাসিস্ট, দখলদার, অনির্বাচিত ও নির্যাতনকারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এই বার আর ভোট চুরি করতে দেয়া যাবে না। ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে। ভোট চোরদের ধরে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের মানুষের জন্য নির্বাচিত সরকার করতে হবে। বিএনপির এই ২৭ দফা আন্দোলনের একটি অংশ। বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি এই সরকারকে বিতাড়িত ও পতন করা।

    তিনি শনিবার (৭ জানুয়ারী) বিকালে কাজীর দেউরীস্থ সমাদর কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ১০ দফা দাবী ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের বিষয়ে বিশ্লেষণ মুলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নাই। দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের সাথে কিছু ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেক উপরে স্থান পেয়েছে। আজকে বিএনপির ২৭ দফার রুপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।

    আমির খসরু বলেন, বিএনপির সরকারে কোনো রোগী বিনা চিকিৎসায় ও টাকার অভাবে মারা যাবে না।জাতীয় সংসদে নারীদের প্রাধন্য দেওয়া হবে। শিক্ষিত জাতী ছাড়া দেশ কোনোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। প্রত্যেকটা নাগরিক যাতে হেলথ সুবিধা পায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমান যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে দেশের আমূল পরিবর্তন হবে। আবার যারা হতদরিদ্র তাদেরকে ওষুধের জন্য টাকা দেওয়া হবে। যারা চাকরি পাবে না, যারা বেকার তাদের জন্য বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে। অনেকে প্রশ্ন করে, এতটাকা দেওয়ার বাংলাদেশে আছে কি-না। আসলে বাংলাদেশে টাকা আছে। পদ্মাসেতুর ১০ হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ না করলে, এসব টাকা দেওয়া কোনো ব্যাপার না।

    তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুনগত পরিবর্তন চায়। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ আলোকে বিএনপি রাষ্ট্র রুপান্তর মুলক সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। এজন্যই তারেক রহমান গণতন্ত্রকামী সকল দল ও শক্তিসমুহকে নিয়ে নির্বাচনোত্তর একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় সরকার গঠন এবং জনগনের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বশীল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, বিশিষ্ট চিসিৎসক অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, এড. মফিজুল হক ভুঁইয়া, অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, এড. এনামুল হক, এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন শিকদার, এনামুল হক এনাম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, মাহবুব আলম, মোশারফ হোসেন, এড. ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মোস্তাফিজুর রহমান, এড. কাশেম চৌধুরী, এড. আবু তাহের, নুরুল কবির, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, জান্নাতুন নাঈম রিকু সহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ।

  • চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে যারা বাধা দিয়েছে তাদের তালিকা করুনঃ আমীর খসরু

    চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে যারা বাধা দিয়েছে তাদের তালিকা করুনঃ আমীর খসরু

    চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে আসার পথে যেসব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বাধা দিয়েছে, যেসব পুলিশ বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করছে, তাদের নামের তালিকা করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে নগরের নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নির্দেশনা দেন তিনি। গতকাল রেলওয়ের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে সার্বিক বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
    সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপির সি. যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহম্মেদ ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
    এরপরে নেতৃবৃন্দ চট্টেশ্বরী মোড়স্থ কসমোপলিটন হাসপাতালে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান।

    পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশটি চট্টগ্রামে এই সময়ে সবচেয়ে বড় সমাবেশ উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যেমন উৎসাহ-উদ্দীপনার জন্ম নিয়েছিল, সাথে সাথে প্রতিপক্ষ গণবিরোধী শক্তি যারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, সেই রেজিম এবং রেজিমের শক্তিকে বাধাগ্রস্ত করার অব্যাহতভাবে চেষ্টা করেছে। সেজন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের পক্ষ থেকে যারা সবকিছু উপেক্ষা করে গতকালের সমাবেশকে মহা মহাসমাবেশে পরিণত করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

    তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম, এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের আন্দোলনে একটি মাইলফলক সৃষ্টি করবে। গতকালের এই মহাসমাবেশ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে সাড়া জেগেছে গতকাল। ফেসবুকে কোটি কোটি মানুষ মহসমাবেশ চলাকালীন শেয়ার করেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল ফোন করে আমাকে বলতে বলেছেন, উনি আমাদের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর প্রতি উনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আমাদের যারা কষ্ট করে এই সভা সফল করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মিডিয়ার ভাইয়েরা যারা কষ্ট করে কাভারেজ করে দিয়েছেন, তাদেরকে উনি ধন্যবাদ দিয়েছেন।

    খসরু বলেন, আমার নেত্রী গতকাল অনুপস্থিত ছিল। তার অনুপস্থিতি আমরা সবাই অনুভব করেছি। এর আগে ২০১২ সালে আমাদের নেত্রীর উপস্থিতিতে পলোগ্রাউন্ড মাঠে সভা হয়েছিল। বিস্ময়ের বিষয়, অনেকের ধারণা বেগম খালেদা জিয়া যদি গতকাল সমাবেশে উপস্থিত থাকতেন, তাহলে সারা চট্টগ্রাম জনসভায় পরিণত হত। যারা তিনটা, সোয়া তিনটার দিকে মিছিল নিয়ে এই সমাবেশে এসেছেন তারা কদমতলী অতিক্রম করতে পারেনি। ওদিকে টাইগারপাস ক্রস করে পারেনি। সিআরবি জনসমুদ্র ছিল। রেললাইনের ওপরে জনগণের উপস্থিতি, এটা অবিশ্বাস্য। মাঠে যা লোক ছিল, মাঠের বাইরে তার চেয়ে বেশি লোক ছিল। অবিশ্বাস্য, অবিস্মরণীয় মহাসমাবেশ চট্টগ্রামবাসী উপহার দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিভাগের সব নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কাল অসম্ভব গরম ছিল, এর মধ্যেও মিডিয়া যেভাবে তিনদিন ধরে কাভারেজ দিয়েছে, আমি দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।

    তিনি বলেন, আরেকটা বিষয়, যেটা বলা প্রয়োজন, এই যে রেজিম ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার যে সংস্কৃতি এই রেজিমের আছে সেটা যে আমরা প্রত্যাশা করিনি তা নয়। এদের রাজনীতি হচ্ছে বাধা দেওয়া। নিজেরা কিছু করতে পারেনা, জনগণের কাছে যাওয়ার তো তাদের সুযোগ নেই, তারা তো জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, সুতরাং বাধাগ্রস্ত করেই তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। গতকাল প্রতিফলন ঘটেছে সেটার, তার আগেরদিনও হয়েছে। কিছু কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে রাতে রেইড করেছে, অনেককে গ্রেফতার করেছে। পরবর্তীতে গতকাল আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী অনেক জায়গায় আক্রমণ চালিয়েছে। চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বারে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর আঘাত করেছে, গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে, পুলিশ বন্ধ করেছে, মোবাইল কোর্ট বসিয়েছে, আক্রমণ করেছে, গাড়ি ভাংচুর করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের অফিস ভাংচুর করেছে-বাধাগ্রস্ত করার জন্য যা যা করা দরকার তারা কিন্তু কোনোটাই বাদ রাখেনি। আমরা কিন্তু আমাদের নেতাকর্মীদের বলেছিলাম, এদিক-সেদিক কর্ণপাত না করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যান। যে ঢল চট্টগ্রামে নামবে কোনো বাধাবিপত্তি সেটা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। মানুষ যদি সিদ্ধান্ত নেয়, দেশের জনগণ যদি সিদ্ধান্ত নেয়, কোনো শক্তি যে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না, গতকালের মহাসমাবেশ সেটা প্রমাণ করেছে। পুলিশের কিছু অংশ যারা বাধাগ্রস্ত করছে, বাড়িতে-বাড়িতে রেইড দিয়েছে, বাসগুলোতে বাধা দিয়েছে, ভয়ভীতি দেখিয়েছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- বাংলাদেশের সংবিধানে সভা-সমিতিসহ যে অধিকার দেয়া হয়েছে চাকরিতে ঢোকার সময় যে ওয়াদা করে তারা ঢুকেছিল, তারা যেন সেই ওয়াদাগুলো আবার পড়ে দেখে। কারণ ওয়াদাগুলো তারা যদি পড়ে না দেখে, একই কাজ করতে থাকে, জনগণ সেটা মেনে নেবে না। সমস্ত পুলিশ বাহিনীর ওপর এ দায় এসে পড়বে।

    ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কিছু অতি উৎসাহী সদস্যের দায় সমস্ত পুলিশ বাহিনী কেন নেবে? র‌্যাবের কিছু সদস্যের কর্মকাণ্ডের জন্য র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলে এসেছে। ব্যক্তিগতভাবে এসেছে, প্রতিষ্ঠানের ওপর এসেছে। নিশ্চয় বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী চাইবে না, কিছু অতি উৎসাহী দলীয় আওয়ামী মার্কা সদস্যের দায় বহন করতে চাইবে না’ যোগ করেন তিনি।

    আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে জনাব খসরু বলেন, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের তালিকা করছে। পরিস্কারভাবে বলতে চাই- আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এবং যারা এ কাজে থাকে, আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাও তালিকা করেন এরা কারা, গতকাল যারা হামলা করেছে, আক্রমণ করেছে, আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে, বাধাগ্রস্ত করেছে, আপনারাও তাদের তালিকা করুন। অতি উৎসাহী পুলিশ যারা দেশ, সংবিধান ও পুলিশের আইন লঙ্ঘন করছে, তাদের বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখছি। কারণ, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। এই যে মহাসমাবেশ হয়েছে, আমাকে একটি উদাহরণ দিতে পারবে, বিএনপির একজন নেতাকর্মী উচ্ছৃঙ্খলতা দেখিয়েছে কিংবা সহিংসতা করেছে। কেউ দিতে পারবে না। আমাদের নেতাকর্মীদের যে ধৈর্য্য সেটাকে স্যালুট করতে হবে। তারা পূর্ণমাত্রার ধৈর্য্য রেখে এই মহাসমাবেশকে সফল করেছে। কিন্তু সহিংসতা এসেছে কাদের কাছ থেকে ? আওয়ামী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে। আমরা কোনোসময় সহিংস রাজনীতির দিকে যাব না। এই ফাঁদে পা দেয়া যাবে না। তারা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে, আমরা দেশকে গণতন্ত্রের দিকে নিতে যেতে চাচ্ছি। আমরা গণতন্ত্রের পথে থাকব, যারা জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তারা সহিংসতার দিকে থাকবে, জয় হবে গণতেন্ত্রর। জয় হবে বাংলাদেশের মানুষের।

    এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির সি. যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহম্মেদ বলেন, স্বৈরাচারের যে এত শৃঙ্খল, এত বেড়া, সেই শৃঙ্খল ভেঙ্গে চট্টগ্রামের জনগন পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু এই শৃঙ্খল ভাঙতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের অনেক নেতাকর্মীর রক্ত ঝরেছে। অনেকে নিজের জীবন বিপন্ন করে এই সমাবেশকে সফল করেছেন। একটি বিষয়- মীরসরাইয়ের এক চেয়ারম্যান বলেছেন, যারা এই সমাবেশে যাবে তারা যেন বাড়ি ফিরতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সময়ে কখনোই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা সুরক্ষিত হয়নি। পৃথিবীর যে কোনো দেশ, যেখানে ন্যূনতম গণতন্ত্র আছে, সেখানে এমন ঘটনা হলে সাথে সাথে গ্রেফতার করা হতো। এটা হিংসাশ্রয়ী ঘটনা, কে এই চেয়ারম্যান, এত ঔদ্ধত্য ! তাকে সরকার প্রশ্রয় দিয়েছে।

    সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা শাহাদাত হোসেন বলেন, মীরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ্যে মাইকিং করে ঘোষণা দিয়েছেন, যারা বিএনপির সমাবেশে যাবে তাদের মীরসরাই ফিরতে দেয়া হবে না। জাহাঙ্গীরের নাম তালিকাভুক্ত করা হবে। অতি উৎসাহী পুলিশ অফিসারদের নামের তালিকা করা হবে। আমাদের ছাত্রদলের নেতা সাইফুলের পা কেটে ফেলতে হয়েছে, আমরা মামলা করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে- যারা আমাদের গণতান্ত্রিক মিটিং-মিছিলে বিনা কারণে, বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করব। কোনো কারণ ছাড়া আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে ভাংচুর করে, গণতান্ত্রিক মিছিল-সমাবেশে বাধা দেয় আমরা এবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব।

    কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গণসমাবেশের সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, সি. যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহম্মেদ, চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা ভিপি জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন, তরিকুল ইসলাম তেইনজিং, মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির সদস্য এড. মুফিজুল হক ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, এড. আবু তাহের, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিন প্রমূখ।