Tag: আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী

  • গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই : আমির খসরু

    গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই : আমির খসরু

    গণতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। সেই প্রেক্ষিতে তাদের (রাজনীতিবিদ) আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাবে চালাতে হবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

    তিনি সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিজয় র‍্যালীপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

    আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী দিনের সংস্কারের কথা যদি বলা হয়, আমরা যে ৩১ দফা সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রতিজ্ঞা করেছি, বিএনপিসহ প্রায় ৫০টি দলের ঐক্য মতে আমরা আমাদের ৩১ দফার সংস্কার পরিপূর্ণভাবে পালন করব।

    তিনি আরো বলেন, এখন কি সংস্কার হবে, না হবে আমরা সেটার সহযোগিতা করতে রাজি আছি। এটা যাদের কাজ, সেটা হচ্ছে আগামী সংসদের কাজ। সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের কাজ। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, যেভাবে বিগত দিনে নিয়েছে। বিগত দিনের রাজনীতিবিদরা যেহেতু সফল হয়নি, তারজন্য রাজনীতিবিদরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। এবং রাজনীতিবিদরা তার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আগামী দিনের রাজনৈতিক পথ সঠিক পথে চালাবে। সেটাই গণতন্ত্র, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

    মহান বিজয়ের জন্য চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেশি। বিপ্লব উদ্যান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। প্রধান এবং প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। এই চট্টগ্রাম থেকে চট্টগ্রাম রেডিও স্টেশন থেকে প্রথম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। আজকের স্বাধীনতা পাওয়ার পেছনে যুদ্ধের যে প্রেরণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের যে প্রেরণা, সেটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছে এবং এ অঞ্চল থেকে শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় গর্বের।

    স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমরা এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। অথচ স্বাধীনতার পর যখন বাকশাল হয়, এই বাকশালের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলকে মুখ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়, সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রিত করে এবং মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের লক্ষ মানুষের উপর গুম, খুন, নিপীড়ন, নির্যাতন চালানো হয়। সেখান থেকে আবারো মুক্ত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

    সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই যে সংস্কারের কথা বলছে, প্রথম সংস্কার করেছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। প্রথম সংস্কারটা হলো, একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র। এটি ছিল, প্রথম সংস্কার বাংলাদেশের। সংস্কার সংস্কার যারা বলে তারা এগুলো বুঝে নাই, চিন্তা করে নাই। দ্বিতীয় সংস্কার হলো সরকার চালিত অর্থনীতি। যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাকশালরা লুটপাট করে দেশের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল। সেখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তৃতীয় সংস্কার করেছিলেন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির মাধ্যমে।

    সেই মুক্তবাজার অর্থনীতির মাধ্যমে সমস্ত বাংলাদেশীদের অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের সমান অধিকার পেয়েছিল। এজন্য শ্রমিক, কিশোর, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সকলে মিলে আরেকটি নতুন বাংলাদেশ গড়েছিল সেদিন। সেই সংস্কারের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আজকের যে গার্মেন্টস শিল্প অর্থনীতিতে প্রথম অবদান রাখছে। সেটা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প নীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রথম পিলার প্রথম শক্তি। বিদেশে মানুষ পাঠিয়ে যে রেমিটেন্স আজ বাংলাদেশে আসছে, দেশের মানুষ বাইরে গিয়ে কাজ করছে, সেটার অবদান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের, যোগ করেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    তিনি আরো বলেন, আরো সংস্কার বাংলাদেশের স্বৈরাচারের পতনের পরে সংসদীয় গণতন্ত্রকে প্রবর্তন করেছিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমস্ত সংস্কারের মাধ্যমে আজকে যে অর্থনীতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়েছে, এটা হচ্ছে বিএনপির অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে। আজও বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে।

    মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে বিএনপি দেশকে এগিয়ে নেয়ার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কেবলমাত্র বিএনপি করেছে। আর তা সম্ভব হয়েছে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের জন্য। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রাম কিংবা দেশ গঠনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে নয়, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায় করতে চায়। ফ্যাসিবাদ মুক্ত এবারের বিজয় দিবসে জনতার ঢল নেমেছে। মানুষ এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে। মত প্রকাশ করতে পারছে। প্রকৃত স্বাধীনতা উপভোগ করছে।

    সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিমুদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং, শামসুল আলম, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।

    সমাবেশ শেষে জননেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এক বিশাল বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালী বের হয়ে নগরীর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়, কাজির দেউড়ি মোড় হয়ে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় মঞ্চে এসে শেষ হয়। র‍্যালীতে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ অংশ নেন।

  • বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু

    বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মী হারিয়েছি, অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিনত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী। বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। বিএনপি কোথায় আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?

    তিনি শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় যুবদলের দিনব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সমাবেশ ও বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট অভিমূখী যুব পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

    সমাবেশের আগে বিপ্লব উদ্যানে রং তুলিতে আঁকা স্বাধীনতার ঘোষণা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

    আমীর খসরু বলেন, আবারো বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চাই। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি এর জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছে, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।

    দেশের রাজনীতি কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলে দিতে পারে না আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কি হবে! এ সিদ্ধান্ত দিবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

    জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।

    বিপ্লব উদ্যানের কথা তুলে ধরে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ঐক্যের টান হচ্ছে বিপ্লব উদ্যান। এখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রিভোল্ড করেছিল। পাকিস্তানিদের মুখের ওপর বলেছিল, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষণা করেছি। সেই ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানিদের তৎকালীন অফিসারদের অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। সেই বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়েছে। সেখান থেকে এ ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশি সৈন্যদের নিয়ে তিনি বের হয়েছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।

    এরপর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। কিন্তু তিনি প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেননি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার কথা বলেছেন। স্বাধীনতার এ কথাগুলো কেউ বলতে সাহস পায় না, লজ্জা পাই। স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন এ দুটি কাজের মাধ্যমে। একটি হচ্ছে, এখানে (বিপ্লব উদ্যান) বিদ্রোহ করে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে, আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। সেই স্বাধীনতার ঘোষণার পরে যাদের মধ্যে সন্দেহ ছিল, যারা পদ নির্দেশনা পাচ্ছিল না এবং শেখ মুজিবুর রহমান তো পাকিস্তানে চলে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ পদ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে পদ নির্দেশনা পরিস্কারভাবে জিয়াউর রহমান দিয়েছেন। এরপর পুরো জাতি যুদ্ধে নেমে গেছে, সারা বাংলাদেশ ব্যাপী যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যোগ করেন তিনি।

    দেশের স্বাধীনতায় অনেকের অবদান রয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের অবদান আছে এবং অনেকের অবদান আছে। জাতির জনক বলতে যা বুঝায়, এগুলো কোনো এক ব্যক্তির কথা নয়, এগুলোর পেছনে অনেক নেতাদের ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে, জীবন যুদ্ধে নামতে হয়েছে, অনেকে সম্মুখ যুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। সবাইকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অনেকের অবদান আছে, যাদের অবদান আছে আজ পর্যন্ত সবাইকে স্বীকৃতি দিয়ে স্মরণ করতে হবে। শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়।

    শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘সিম্বল’ হিসেবে ব্যবহার করে খারাপ কাজ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওই যে একজন ব্যক্তিকে (শেখ মুজিবুর) সিম্বল হিসেবে ব্যবহার করে, বাংলাদেশে যে গুম, খুন, হত্যা, মামলা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুটপাট, এদেশের মানুষের মানব অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, আইনের শাসন কেড়ে নেওয়া, বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা করেছে। ওই সেই ব্যক্তির নাম দিয়ে এবং সেই ব্যক্তির মূর্তি স্থাপন করেছে বাংলাদেশে, এই খারাপ কাজগুলো করেছে তারা। তারা এ খারাপ কাজগুলো করেছে, তাদের সাথে সাথে সেই ব্যক্তিও হঠাৎ করে চলে যায়। একটা সিম্বল ব্যবহার করে খারাপের পর খারাপ কাজ করতে থাকেন, এরপর আপনার যখন পতন হয়, তখন ওই সিম্বলেরও পতন হই। এটা দুর্ভাগ্য। তারা যদি সকলকে স্বীকৃতি দিত, দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতো, দেশের মানুষের অধিকারগুলো দিয়ে দিত, ভোটাধিকার দিত, জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার থাকতো, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতো। তাহলে এই দুর্ভাগ্য হতো না।

    কোনো ব্যক্তিকে মূলধন বানিয়ে খারাপ কাজ টিকে থাকা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বা কোনো ব্যক্তিকে মূলধন বানিয়ে কোনো খারাপ কাজ করে টিকে থাকতে পারে না। এটা বাংলাদেশে প্রমাণ হয়েছে। সেই শহীদ জিয়াউর রহমান, যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল করেছিলেন। এটার মূল ভিত্তি ছিল, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, অর্থনৈতিক মুক্তি, একটি স্বাধীন সার্বভ্রৌম দেশ, এখানে জনগণ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এজন্য শহীদ জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আজকেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এ দলকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোনো কিছুই বাদ রাখেনি। আমাদের নেতাকর্মীরা চাকরি হারিয়েছে, বাড়িতে থাকতে পারেনি, পালিয়ে থাকতে হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর মিথ্যা মামলায় জেল কেটেছে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, মো. শাহ আলম, সদস্য আবুল হাসেম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাবেক উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, সোহেল, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ।

  • যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না: আমীর খসরু

    যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক খেলাধূলা চলছে বাংলাদেশে। অনেকে আমাকে বলেন, আবার কি শুরু হয়েছে দেশে ? স্বৈরাচার চলে গেছে, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, আমাদের কি আবার ইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে ? আমি বলেছি, চিন্তার কোনো কারণ নেই। খেলাধূলা যারা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না। তারা বিএনপির শক্তি বুঝতে পারছে না। এই বিএনপি সেই বিএনপি নই। এই বিএনপি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে, এর শেকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। এই বিএনপিকে টলানোর সাধ্য কারও নেই। বিএনপির কয়েকটা সিদ্ধান্ত তো আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন। সুতরাং এরকম সিদ্ধান্ত দিলে এ অবস্থায় যেতে হবে।

    তিনি সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আলোচনা সভা, পেশাজীবি সমাবেশ ও নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী ও এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিমের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ।

    অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাছাড়া ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ ও জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এর উপর নির্মিত ডকুমেন্টরী শর্টফিল্ম প্রদর্শনী করা হয়।

    আমীর খসরু বলেন, বিএনপিকে জোর করে ক্ষমতার বাইরে রাখার তাদের যে ভাবনা ছিল, ওই ওয়ান-ইলেভেনের বিরাজনীতিকরণ, আবার নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা, ক্ষমতার স্বাদ তো কেউ কেউ পেয়েছেন, মনে রাখছেন এ ক্ষমতা ধরে রাখলে মন্দ কী ! কিন্তু এ স্বাদ পাবার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পাবার জন্য ১৬ বছর যুদ্ধ করেছে। বিএনপিকে ভাঙার সব ধরনের চেষ্টা হয়েছে। কিছু বাকি নেই, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা সব হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার চেষ্টার মধ্যেও দেশনেত্রী টলেননি, তারেক রহমান টলেননি, বিএনপির নেতাকর্মীরা কেউ টলেনি। সবার অবস্থান শক্ত।

    তিনি বলেন, সাতই নভেম্বর হচ্ছে বাংলাদেশের অনেকটা দ্বিতীয় স্বাধীনতা। স্বাধীনতার যে ভাবনা, যে চিন্তা, যে আকাঙ্খা, সেটা স্বাধীনতার পরে সেদিন পূর্ণ হয়নি। বরং স্বাধীনতার পরে সেটাকে ভুলুন্ঠিত করা হয়েছিল। একদলীয় শাসন, সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে দেয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি, জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, কালো আইন, এসবের মাধ্যমে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের লড়াই ছিল, সেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়ে তারা একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্খা, মুক্তিযুদ্ধের যে ভাবনা, মুক্তিযুদ্ধের যে স্যাক্রিফাইস, সেটা বাংলাদেশের মানুষ আবার নতুনভাবে পেয়েছে, নতুনভাবে গ্রহণ করেছে এবং উজ্জীবীত হয়েছে সাতই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে।

    তিনি বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকারকে পতনের মধ্য দিয়ে আজ যে আরেকটা বাংলাদেশের কথা চিন্তা করছি, একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের চিন্তা করছি, একটা যে নতুন বাংলাদেশের চিন্তা করছি, সাতই নভেম্বরও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে একই বিষয় ছিল। স্বাধীনতার পর যে বাকশাল এবং একদলীয় স্বৈরাচার সৃষ্টি হয়েছিল, সৈনিক-জনতা সেদিন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করার মধ্য দিয়ে আরেকটি নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছিল।

    তিনি বলেন, একেকবার বাংলাদেশে স্বাধীনতা আসে, আবার সেটা হরণ হয়ে যায় স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের মাধ্যমে। প্রতিবারই সেটা মুক্তিলাভ করেছে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে এবং এবার দেশনায়ক তারেক রহমানের মাধ্যমে। প্রতিটি মুক্তি এসেছে বিএনপির নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে। এজন্য সাতই নভেম্বর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরাচারের পদত্যাগ এবং তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার দিনটি আমদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার পাঁচই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার স্বৈরাচারকে বিদায়, বিএনপির নেতৃত্বে, বিএনপির অবদানের মাধ্যমে দেশকে একটি সংকটময়, একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন সময় থেকে মুক্ত করা গেছে।

    তিনি বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে আমাকে যেকথা বলতে হয়, আমরা গত ১৫-১৬ বছর ধরে সবাই কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা গুমের শিকার হয়েছে, খুনের শিকার হয়েছে, বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হতে হয়েছে পুলিশসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে। ১৬টা বছর এভাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা অতিক্রম করেছে। ত্যাগ করতে শিখেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা, এ ত্যাগের মাধ্যমে তারা জ্বলেপুড়ে খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের আর কারও কিছু করার সুযোগ কারও নেই। আমরা অনেক কষ্ট করেছি, আমাদের অনেক ত্যাগ করতে হয়েছে। কিন্তু একটা লাভ হয়েছে, আমাদের নেতাকর্মীরা, আমাদের এ দলটি কিন্তু ত্যাগ স্বীকার করতে শিখে গেছে। একটি রাজনৈতিক দলের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক কষ্ট হলেও, সময় কঠিন হলেও এটা কিন্তু রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে অনেক ওপরের লেভেলে নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও এটা আমি বলছি। তাই আজ আমাদের বুকে সাহস হয়েছে, কোনো শক্তি আমাদের টলাতে পারবে না।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে পাবার আকাঙ্খায় অপেক্ষা করছে, তার ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষা করছে, তার নির্বাচিত সংসদ, সরকার গঠনের জন্য অপেক্ষা করছে, যে নির্বাচিত সংসদ ও সরকার জনগণের কাছে জবাব দেয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। অন্য কোনো সরকার দায়বদ্ধ থাকবে না। কারণ, তাদের তো জনগণের কাছে যেতে হবে না। বিএনপিকে যেতে হবে। যারা রাজনীতি করে তাদের যেতে হবে। সুতরাং জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে বাংলাদেশকে অতিস্বত্তর একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে, সরকার নির্বাচিত করতে হবে, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।

    তিনি বলেন, আর যত ধরনের সংস্কারের কথা আমরা আলাপ করছি, সেটা রাজনীতিবিদরাই পূরণ করবে। আমাদের ৩১ দফার মধ্যে আমরা পরিস্কারভাবে বলেছি। সংস্কারের কথা বলছেন ? দেশনেত্রী ছয় বছর আগে ভিশন টুয়েন্টি-থার্টিতে সংস্কারের কথা বলেননি ? তখন তো কারও মুখে সংস্কারের কথা শুনিনি। কারণ, দেশনেত্রী অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, আগামীদিনের বাংলাদেশ কেমন হবে সেটা ছয় বছর আগে উনি উনার ভিশনের মধ্যে সেটা পরিস্কার করেছিলেন ছয় বছর আগে। দেশনায়েক তারেক রহমান সাহেব এক বছর আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন শেখ হাসিনারও পতন হয়নি, এত বড় বড় বিশ্লেষকদেরও আবির্ভাব হয়নি। সেই ৩১ দফায় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যে ধরনের সংস্কারের দরকার, সবকিছু পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে। সংস্কারের জন্য আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা দায়বদ্ধ জাতির কাছে। ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি একা করেনি। ৪২টি দল, যারা আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল, আমরা সবাই মিলে করেছি। অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আমরা ৩১ দফা করেছি। আমরা ৪২টা দল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জাতির কাছে এ সংস্কার করার জন্য। আপনারা কতটুকু পারবেন, কি করবেন জানি না, কিন্তু আমরা পারবো, আমরা করবো। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

    তিনি বলেন, আমি মনে করি, এ প্রেক্ষাপটে শুধুমাত্র ৩১ দফা দিয়েই বিএনপি সবকিছু শেষ করেনি। তারেক রহমান সাহেব এ ৩১ দফা কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন সেটাও পরিস্কার করে দিয়েছেন। অর্থাৎ নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদের রায় দেন, তারেক রহমান সাহেব বলেছেন বিএনপি একা সরকার গঠন করবে না, বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে। এ জাতীয় সরকার ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। আমরা যারা ৩১ দফা প্রস্তুত করেছিলাম, জাতীয় সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে আমরা সবাই মিলে ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করবো। সবকিছু পরিস্কারভাবে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। কিছু বাকি নেই। আবার বলছি, অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় ঐক্যমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সংস্কার করতে চায়, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সেগুলো জাতীয় ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে হতে হবে। যেখানে ঐক্যমত্য হবে না, সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচনের আগে মানুষের কাছে যাবে, জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রস্তাব পাস করলে কোনো অসুবিধা নেই, এটাই তো নিয়ম, তারপর সংসদে সেটা পাস হবে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার করলে, সংসদে তো সেটা আবার রেটিফাই করতে হবে। সুতরাং যেটুকু করতে পারেন, আমাদের আপত্তি নেই। এর মধ্যে ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে যদি দশটা সংস্কার করতে পারেন, তাহলে আমরা রাজি আছি। ঐক্যমতের পরিপ্রেক্ষিতে, কথাটা কিন্তু, এর বাইরে নয়। আর বাকিগুলো জনগণের কাছে যাবে, জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।

    তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় সংস্কার হচ্ছে নির্বাচনী সংস্কার। সব কথা শুনছি, নির্বাচনী সংস্কারের কথা শুনছি না। একটা কমিশন গঠন করেছে, আমরা খুশি হয়েছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে, আমরা অপেক্ষা করছি। আমরাও কিন্তু নির্বাচনী সংস্কারের জন্য সবকিছু তৈরি করে রেখেছি। আমাদের সংস্কার তো আজকের না, বাংলাদেশ আগামীদিনে কি হবে, সেটা নিয়ে আমরা বহুদিন ধরে কাজ করছি, প্রত্যেকটি। ক্ষমতায় যেদিন বিএনপি বসবে, সেদিন থেকে ইনশল্লাহ সংস্কার কাজ শুরু হবে। বিচার বিভাগের সংস্কার, যেদিন থেকে বিএনপি বসবে ওইদিন থেকে শুরু হবে। একটা দিনও আমরা নষ্ট করবো না। শিক্ষাখাত, ব্যবসায়ীদের বিষয়, সব খাতের সংস্কার, সবকিছু প্রস্তুত। ডে-ওয়ান থেকে সংস্কারের কাজ শুরু হবে। আর কারা কি করবে আমরা জানি না, আমরা কি করবো সেটা আমরা জানি। আগামীদিনে বিএনপি সরকার গঠন করলে, বাংলাদেশ নিয়ে জনগণের যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে, দেশকে সেখানে নিয়ে যাবে ইনশল্লাহ। একটা কথা বলি, শেখ হাসিনা পলায়ন করার পরে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের মনোজগতের বিশাল পরিবর্তন হয়ে গেছে। এই মনোজগতের যে পরিবর্তন, যে স্বপ্ন দেখছে জনগণ, রাজনীতিবিদরা যদি সেই স্বপ্ন না দেখে, তাহেলে সেই রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বিএনপি এটা বুঝেছে, অনুধাবন করেছে, ধারণ করেছে এবং এটা শতভাগ প্রয়োগ করে দেশের মানুষের, নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা পরিপূর্ণভাবে আগামীদের সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আমরা সে কাজটা করবো।

    আমীর খসরু বলেন, সুতরাং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি নির্বাচিত সরকারের দরকার। আওয়ামী লীগকে যদি আপনাকে বাতিল করতে হয় রাজনৈতিকভাবে, সেটা নির্বাচনের মাধ্যমে বাতিল করা সবচেয়ে সহজ। সেই বাতিল হবে পার্মানেন্ট বাতিল। অন্য বাতিলে কাজ হবে না। আপনি অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় বাতিলে গেলে, সেই বাতিল কিন্তু সাময়িক কাজ করবে, দীর্ঘমেয়াদে কাজ করবে না। জনগণ যখন বাতিল করবে আওয়ামী লীগকে, সেটাই হচ্ছে আসল বাতিল। আমাদের ওদিকে যেতে হবে। সকলের অধিকার সমুন্নত রেখে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। কারণ আমরা তো অধিকারের জন্য লড়াই করেছি, অধিকারের জন্য জীবন দিয়েছি, অধিকারের জন্য জেলে গেছি। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার আবার কারও নেই।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ একটি অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার পালিয়েছে।। কিন্তু তার দোসররা আমাদের মাছ আছে, সমাজে আছে। এ দোসরদের যদি আমরা চিহ্নিত করতে না পারি তাহলে সত্যিকার অর্থে যে মূল্যবোধ আবু সাইদ, মুগ্ধ, ইলিয়াছ আলী, চৌধুরী আলম, কোনো কিছুই আদায় হবে না। যদি দোসরদের আইনের কাঠগড়ায় না আনতে পারেন। তাদের ক্ষমতার যে দম্ভ অর্থাৎ মানুষের লুণ্ঠণকৃত টাকা, আইন-বেইনী অস্ত্র, সেগুলো যদি উদ্ধার এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে না পারে তাহলে সকল শহীদের রক্ত বৃথা যেতে বাধ্য।

    শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর এখন নাটক করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো লজ্জা নেই পালিয়ে গেলেন, এরপরও অডিও দেন ভিডিও দেন বিভিন্ন কথা বলেন কতক্ষণ পরে বলেন স্থগিত করা হলো, অর্থাৎ নাটক চলছে। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র থেমে নেই।

    চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে আওয়ামীলীগের ব্যর্থতায় জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। এমনি এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহীনির বিরুদ্ধে “উই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহ ঘোষনা করে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিষয় আসলেই জিয়াউর রহমানের নাম আসবে। শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অগ্রনায়ক। কেউ চাইলেই এই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারবে না। কারণ ইতিহাস লিখেন ইতিহাসবিদরা। রাজনীতিবিদরা ইতিহাস রচনা করলে সেটা হয় প্রোপাগান্ডা।

    এরশাদ উল্লাহ বলেন, ছাত্র জনতার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মাধ্যমে দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এজন্য গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধারের পথ আজ প্রশস্ত হয়েছে। দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান পরবর্তী সময়ে একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পেশাজীবীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে কোনভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া যাবে না।

    এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দীন, সিএমইউজে সভাপতি সাংবাদিক মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক, ড্যাব মহানগর সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি এম এ সাফা চৌধুরী, ব্যাংকার মেহরাব হোসেন খান প্রমূখ।

  • আমীর খসরু গ্রেপ্তার

    আমীর খসরু গ্রেপ্তার

    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র নেতা মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের পর এবার দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    ডিবি প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।

    সূত্র জানায়, নাশকতার মামলার আসামি আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার তার গুলশানের বাসা ঘিরে ফেলে ডিবি। এরপর তাকে ভেতর থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়।

  • আওয়ামীলীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: খসরু

    আওয়ামীলীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে: খসরু

    আওয়ামীলীগ দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    ‘আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশির উপর ভর করেছে বিএনপি’ আওয়ামীলীগের এমন অভিযোগের সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো কোনো সময় বলি না তলে তলে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছি। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। বেগম খালেদা জিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তারেক রহমান সবচেয়ে ডায়ানেমিক লিডার। কারও উপর নির্ভর করতে হবে না বিএনপিকে। যারা নির্ভরশীল তাদের হৃদয়ে কম্পন শুরু হয়েছে। কারণ তারা দেশও হারিয়েছে, বিদেশও হারিয়েছে।

    তিনি সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর কাজির দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের একদফার আন্দোলনকে আরো বেগবান করার লক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক।

    ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতা করে একটি উপায় বের করা উচিত’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ বিএনপি বিষয় না। বিষয়টি হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরে পাওয়ার বিষয়। তার ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার বিষয়। এখানে কোনো দলের বিষয় না। সেটা একমাত্র সম্ভব আজ জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে।

    তিনি বলেন, দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে বিধান ছিল সেটা আওয়ামী লীগ এককভাবে বাতিল করেছিল। সেটা ফেরত এনে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। কাদের মধ্যে সমঝোতা হবে এটা কোনো আলোচনার বিষয় না। বাংলাদেশের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। একমাত্র সমঝোতা হবে বাংলাদেশের মানুষের প্রতাশা প্রয়োগে।

    আমীর খসরু বলেন, বলেছিলাম ৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের রোড মার্চে সুনামি হবে। সেদিন চট্টগ্রামের মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে। সুনামির থেকেও বেশী কিছু করেছে। চট্টগ্রামে সেদিন মানুষের ঝড় তুলেছে। আমাদের আগামী দিনগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জন্য, মানুষের জন্য ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য।

    সভাপতির বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি। এই স্লোগান এখন বাংলাদেশের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। আমাদের এক দফার আন্দোলন হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন হবে। নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হতে হবে। শেষপর্যন্ত লড়তে হবে। আমরা প্রয়োজনে প্রতিরোধ করব। জীবন দিয়ে হলেও এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আজকে মানুষ জেগে ওঠেছে। সারাদেশের মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। দেশের মানুষ আন্দোলন মুখি। আন্দোলন ছাড়া সফলতা অর্জন করা যায় না। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্তবর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে।

    গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন হুমকির মধ্যে আছে। এই হুমকি থেকে বাঁচতে হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নাই। বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি নির্বাচিত সরকার হবে। যে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।

    এস এম ফজলুল হক বলেন, দেশের গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন চরম সংকটে পতিত হয়েছে। এ সংকট থেকে উদ্ধার করতে হলে অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকারকে পতন করতে হবে। তাই আরো কঠিন কর্মসূচি দিতে হবে।

    এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক মিসেস মা ম্যা চিং, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুন অর রশিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল মনিষ দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মশিউর রহমান বিপ্লব, মামুনুর রশিদ মামুন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, লক্ষীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দীন সাবু, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, ফেনী জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক এম এ খালেক। উপস্থিত ছিলেন মহানগর ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গণ।

  • নতুন বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশে এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ চলছে: আমীর খসরু

    নতুন বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশে এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ চলছে: আমীর খসরু

    বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসুরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে রাতে ধরে তুলে নিয়ে গেছে। কি জন্য? একটি মানুষ তার পেটের ক্ষিধের কথা বলেছে। শামসুজ্জামান অনেক কম বলেছে। আপনারা যদি ইতিমধ্যে সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিস্ট এর একটি রিপোর্ট যদি দেখেন সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ছয় মাসে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ এক বেলা না খেয়ে আছে। ৭২ শতাংশ মানুষ ধার করে চলছে। ৫২ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেনা। সুতরাং প্রথম আলোর সাংবাদিক যা বলেছে কম বলেছে। এটাকে বলে নীরব দুর্ভিক্ষ। আজকাল নতুন বিশ্ব পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আগের মতো দুর্ভিক্ষ এখন আর হয়না। বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ।

    তিনি সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকালে চকবাজার কাতালগঞ্জস্থ কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

    আওয়ামী লীগ সংবিধানের সবকিছু লঙ্ঘন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন করে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচন করতে রাজি নেই। তবে বাংলাদেশের সংবিধানের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা দেওয়া। দেশের মানুষের অধিকার ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। আজকে তার সংবিধানের সব কিছু লঙ্ঘন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার সহ সব অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধান যা যা সুরক্ষা দিয়েছে,সবকিছু তারা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভোট চুরির বেলায় সংবিধানের দোহাই তারা দিচ্ছে। দিনের ভোট রাতে নিচ্ছে।

    তিনি বলেন, বাকশাল করার সময় বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হনন করে ১৩ মিনিটের মাথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে। আবার তারাই বলছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করা যাবে না। যারা গনতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে, আইনের শাসন কেড়ে নিয়েছে তারা যদি সংবিধানের দোহাই দেয় সেটা চলবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।’

    আমীর খসরু বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিনের সময় ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো না। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলো। দুইটাই সংবিধান দুইটাই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিলো। একটা নির্বাচনের আগে ও একটা নির্বাচনের পরে। আমি সরকার প্রধানকে বলবো আপনি চিন্তা করেন আগে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবেন নাকি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে যে সংসদ আসবে তারাই সংবিধান সংশোধন করবে। দুইটাই সম্ভব। চিন্তা করেন কি করবেন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোতাধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া আগামীদিনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটচোরদের তালিকা হচ্চে। দেশে ও বিদেশেও হচ্ছে। ভোট চোরদের রেহায় নেই।

    প্রধান বক্তা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, দেশের কোন সেক্টরেই ঠিক নেই। সরকার ভয় পেয়ে গেছে। সারাদেশে আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা সফল হতে পারে নাই। সাধারণ মানুষ এখন বিএনপির সাথে রাস্তায় নেমেছে। এই সরকারের আর সময় নেই। বিএনপি এখনো চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়নি, যখন ডাক দিবে তখন এই আওয়ামীলীগের কি হবে আল্লাহই জানে।

    ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এর ভেতরে কোনো ফাঁকফোকর কিছু নেই। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী দৈনিক প্রথম আলো দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু বলে সমালোচনা করেছেন। এরা যখন ড. ইউনুস ও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বলছে তখন বুঝতে হবে তাদের পায়ের তলায় মাঠি নেই। তাই চিকিৎসকদেরকে আগামী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

    কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকার দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃংখলে বন্দি করে রেখেছে নিরপরাধ মহিলা জেসমিনকে হত্যা করেছে। তাই এই সরকার আর সময় দেওয়া যাবেনা। সরকারের পতনের জন্য আগামীতে ১ দফার আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করার দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন রাজপথে মরণপণ লড়াই করছি। তরুণ চিকিৎসকরা মাঠে নামলেই সরকারের পতন হবে।

    বক্তব্য রাখেন জেলা ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা খুরশিদ জামিল চৌধুরী, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মো জানে আলম, চবি শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. সাইফুদ্দিন নিসার আহমেদ তুষান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, চমেক ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, ইউএসটিসির ডা. এ এম রায়হান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. মাসুদ রানা, ডা. জাহিদ ইকবাল, ডা. জাহিদুল ইসলাম, ডা. মঈনউদ্দীন, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মেহেদী হাসান প্রমূখ।

  • আওয়ামীলীগ আজ এতিম হয়ে গেছে: খসরু

    আওয়ামীলীগ আজ এতিম হয়ে গেছে: খসরু

    জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের আজকের পদযাত্রার সমাবেশ ওয়াসার মোড়, এনায়েত বাজার মোড় পার হয়ে গেছে। লক্ষ জনতা রাস্তায় নেমে গেছে। এরা কেউ বাড়ি ফিরে যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে এ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে তারা বিদায় করবে। জনগণ এই ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে দেশে নিরপেক্ষ সংসদ ও নিরপেক্ষ সরকার আনবে যাদের সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে।

    তিনি শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবীতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে লাভলেইন মোড়, জুবলী রোড়, তিনপুলের মাথা, বোস ব্রাদার্স, ডিসি হিল, বৌদ্ধ মন্দির, লাভলেইন হয়ে পূনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে এসে শেষ হয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    আওয়ামীলীগ আজ এতিম হয়ে গেছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো আর পন্থা নেই। রাজপথে জনগণকে নিয়ে এ ফ্যাসিস্টকে হঁটাতে হবে। ঢাকায়ও আমাদের সমাবেশ হয়েছে। লোকে লোকারণ্য ছিল এ পদযাত্রা। আওয়ামী লীগ আজ এতিম হয়ে গেছে। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। পুলিশের পিছে পিছেও ঘুরছে। আর ছুরি, লাঠি, দা নিয়ে তারা শান্তি সমাবেশ করছে। ওরা নাকি জনগণের সম্পদ রক্ষা করবে।

    আইন রক্ষার জন্য কয়জন থাকবে এমন প্রশ্ন করে আমির খসরু বলেন, আইন রক্ষার জন্য একজন থাকবে। নয়তো পুলিশ থাকবে নতুবা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা থাকবে। দুইটা তো থাকতে পারে না। দেশে যদি আইন থাকে তাহলে পুলিশ থাকবে। দেশে যদি আইন না থাকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা দা, চুরি নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে। তবে এসব দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে দমানো যাবে না।

    বিশ্ব বিবেক আজ আজ বিএনপির পাশে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যদি আগের নির্বাচনের মতো করেন, দিনের ভোট রাতে চুরি করেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ বুঝিয়ে দেবে ‘কত ধানে কত চাল। আজকে আওয়ামী লীগ ভীত হয়েছে। বিশ্ব বিবেক আজ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা বার্তা দিচ্ছেন পরিষ্কারভাবে। যদি বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিচের দিকে যায় তাহলে তাদের সাথে সম্পর্কও নিচের দিকে যাবে। ভোট চুরির নির্বাচন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন, মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে বাঁচার কোনো সুযোগ নেই।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে মীর নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা মেগা পদযাত্রা শুরু করলাম। আরেকটা দলের ছটফটানি শুরু হয়ে গেছে। সে দল হচ্ছে চোরের দল, ডাকাতদের দল, ব্যাংক লুটেরাদের দল, মানি লন্ডারিং-এর দল। সে দলের প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই। যদি আস্থা থাকত পুলিশ বাহিনীর সমর্থন নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রাণি করতো না। সে সমর্থন যদি উইথড্রো করে তাহলেতো তারা রাস্তায়ও নামতে পারবেনা। আমরা রাস্তায় আছি ,থাকব। এই সরকারের পদত্যাগ করিয়েই আমরা ক্ষান্ত হবে। তাদের দলের নেতারা বলেন শেখ হাসিনা আজীবন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন । পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খাই।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, আমাদের পদযাত্রার কাউন্টার প্রোগ্রাম আওয়ামীলীগ প্রতিটি ইউনিয়নে দিয়েছে। এ কাউন্টার প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাদের আসল চেহারা উম্মোচিত হয়েছে। হাসিনার সরকারের আমলে মানুষের যে ভোটের অধিকার সেটা ধ্বংস করা হয়েছে। তারা সরকারে আসার পর একটি পুতুল নির্বাচন কমিশন করে দিনের ভো্ট রাতে নিয়েছে। হাসিনা মানুষের বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে। এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি পদে বসিয়েছে যিনি আওয়ামী লিগের মধ্যম ও তৃতীয় সারির নেতাও নন। যার বাংলাদেশে কোনো পরিচিতি নেই। আমরা হাসিনার আগের ভোটের ধরণ দেখেছি। এ মিথ্যাবাদীর অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।

    জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, যে সরকারেরর অধীনে কবর থেকে উঠে এসে মরা মানুষ ভোট দেয় তাদের অধীনে নির্বাচন আমরা মানিনা। আওয়ামী লিগকে বিশ্বাস করেছিলাম একবার আর বিশ্বাস করবো না। তারা আবার ছলছাতুরি শুরু করেছে। তারেক রহমানের কাছে তারা হেরে গেছে। আগে তারা কি করত জানেন! চট্টগ্রামে শামীম, শাহাদাত, বক্কর, আর সুফিয়ানের নেতৃত্বে যখন মিছিল শুরু হতো তাদের কিছু লোক বোমা মেরে তাদের ঘাড়েই চেপে দিত। সেগুলা আর তারা পারবেনা। আপনাদের সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। জনগন আর আপনাদের মানবেনা।

    মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সারাদেশে বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসূচিতে এই ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের লক্ষে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। আজকের এই পদযাত্রা কর্মসূচিও প্রমাণ করেছে তারা শেখ হাসিনাকে আর চায় না। শেখ হাসিনার পতনের ঘন্টা বেজে গেছে। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

    সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের এই পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে সরকারের পতনের ঘন্টা বেজে গেছে। কোন ধরনের ভয় ভীতি দেখিয়ে আন্দোলনকে দমানো যাবেনা। দমানোর চেষ্টা করলে এর ফল ভাল হবেনা। আমরা রাজপথে আছি, থাকবো। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মানুষের অধিকার আদায় করবো।

    আবু সুফিয়ান বলেন, পদযাত্রা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসী প্রমাণ করেছে তারা শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করবো।

    পদযাত্রা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, পেশাজীবি নেতা বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এড নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, পেশাজীবি নেতা অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন, ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এড. হাসান আলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী বাবুল হক, মো. আজম, হাজী মো. সালাউদ্দীন, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জাহিদ হাসান, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাঈনুউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, আবদুল কাদের জসিম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, নুর হোসাইন, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিকদলের তাহের আহম্মেদ, নজরুল ইসলাম সরকার, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, সদস্য সচিব এড আবদুল আজিজ, জাসাসের সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।

  • বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণে: আমির খসরু

    বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণে: আমির খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দেড় দশক ধরে বর্তমান সরকারের নির্যাতন নিপীড়নে বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত। আর্থিক অবস্থা বিপন্ন। এই অবস্থায়ও বিএনপি জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করেনি। কষ্ট করে হলেও এই কাজগুলি করে যাচ্ছি। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে তারপরও যতটুকু সম্ভব আমাদের সাধ্যের মধ্যে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।কারণ বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণে। বিএনপি’র রাজনীতি অন্য কিছুর উপর নির্ভরশীল নয়। জনগণের সুখে দুখে পাশে থাকায় বিএনপির রাজনীতি।

    তিনি শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে গরীব অসহায় শীতার্ত নারী পুরুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সারাদেশের মানুষের এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠে গেছে, হিমশিম খাচ্ছে। এখন গতকাল আবারো নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। এই দাম বৃদ্ধির কারণে জিনিসপত্রের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই এই শীতে মানুষের কষ্ট লাঘবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা হচ্ছে, জেলে যাচ্ছে, প্রতিদিন কোর্টে যাচ্ছে এর মধ্যেও সাধারণ মানুষের কষ্ট লাগবে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বিএনপি’র পক্ষ থেকে সারাদেশে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। এর অংশ হিসাবেই এই কনকনে শীতে কোনও দুঃস্থ মানুষ যেন শীতবস্ত্রের জন্য কষ্ট না পায় সেজন্য এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। চট্টগ্রামের প্রতিটি ওয়ার্ডে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে। বিএনপি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম নগরীতেও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও শ্রমজীবী মানুষ প্রচণ্ড শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। এ অবস্থায় আমরা শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন লুটপাট, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করার ফলে মানুষের অর্থনৈতিক দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা মো. ইদ্রিস আলী, আলী আজম চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জু, হাজী মো. মহসিন, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুজ্জামান জুনু, নুর উদ্দিন সোহেল, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, মন্জুর মিয়া, হাজী আবু ফয়েজ, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবু মহসিন চৌধুরী, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক নুর জাফর রাহুল, যুবদল নেতা ইদ্রিছ সবুজ প্রমূখ।

  • আমীর খসরু ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    আমীর খসরু ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।

    সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মামলাটি করেন।

    মামলায় বাকি আসামিরা হলেন- গোলাম সরোয়ার, সাবেরা সরোয়ার (নীনা) ও আওরঙ্গজেব নান্নু।

    দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন ঢাকার বনানী এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ২৭ নম্বর প্লটটি ডেভেলপ করার নামে ওই প্লটের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ২৫ নম্বর প্লট ক্রয় করেন। সেখানে নকশা না মেনে উভয় প্লটে ২২তলা ও ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ১০৯, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিশন কর্তৃক নির্দেশ দেওয়া হয়। তাদের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাছাইকালে দেখা যায়, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলম ঢাকাস্থ বনানী এলাকার ১৭নং রোডের ২৭ ও ২৫নং প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের শেয়ার হোল্ডার ছিলেন।

    সংগৃহীত এবং জব্দকৃত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, তার স্ত্রী মিসেস তাহেরা খসরু আলম যৌথভাবে তার ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ার এবং শ্যালিকা মিসেস সাবেরা সরোয়ার নীনার সাথে হোটেল সারিনা ইন লিমিটেড নামে পাঁচ তারকা হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি গোপন করেছেন। এ ছাড়াও আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার ভায়রা গোলাম সরোয়ার বনানী ১৭নং রোডের ২৫নং প্লটটি (বসতি টাওয়ার) যৌথ নামে ক্রয় করে রাজউকের অনুমোদিত ১৫ তলা নকশার স্থলে ২১তলা ভবন নির্মাণ করেন। আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট, সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিত ভাবে প্রথমে নিজের ভায়রাকে দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের (সিএসই) ২৭নং প্লটের ডেভেলপার নিযুক্ত করেন। পরে সেখানে নিজের স্ত্রীসহ যুক্ত হয়ে প্লটটি আত্মসাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।

    প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে জব্দকৃত রেকর্ডপত্র এবং সংগৃহীত রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ ডিসেম্বর ২০০১ সাল পর্যন্ত আসামি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য ঢাকায় ‘সিএসই ভবন’ নির্মাণের প্রয়োজনে রাজউক থেকে ঢাকাস্থ বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ১৭নং রোডের ২৭নং প্লটটির নিলাম ক্রয় করা হয়। রাজউক থেকে প্লটটির লিজ ডিডের আগেই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট আমীর খসরু মাহমুদের সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদদের ৭৪তম বোর্ডসভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ভায়রা ভাই গোলাম সরোয়ারকে হোটেল হাবর ভিউসহ চারটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে ৭৪তম বোর্ডসভার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ৭৫তম বোর্ডসভায় গোলাম সরোয়ারকে একটি বেজমেন্ট ও পাঁচটি ফ্লোর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়ার শর্তে চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়। তবে ওই বোর্ডসভায় সারিনা ইন লিমিটেড নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির সিদ্ধান্ত হয়নি।

    চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ৭৪ এবং ৭৫তম বোর্ডসভার সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে ২০০০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি অনিবন্ধিত চুক্তি সম্পাদিত হয়। অর্থাৎ ঢাকার বনানী বাণিজ্যিক এলাকার একটি মূল্যমান ফ্লোর দেওয়া থেকে বিরত থেকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের একটি ফ্লোর আত্মসাত করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়।

  • সরকার সংলাপের নামে আগামি নির্বাচনের ভোট চুরির আলোচনা করছেঃ আমির খসরু

    সরকার সংলাপের নামে আগামি নির্বাচনের ভোট চুরির আলোচনা করছেঃ আমির খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশ এমন এক প্রেক্ষাপটে উপনীত হয়েছে যেখানে কোন গণতন্ত্র নেই। সরকসর ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া এখনো পরিপূর্ণ মুক্তি দেনি। তিনি এখন মারাত্মক অসুস্থ। সংবিধানে যেখানে সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, সেখানে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা থেকে বি ত করেছে সরকার।

    তি‌নি আজ বুধবার (৫ জানুয়ারী) ২০২২ ইং বিকা‌লে চট্টগ্রাম প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে গণতন্ত্র হত‌্যা দিবস উপল‌ক্ষ্যে কেন্দ্রঘো‌ষিত চট্টগ্রাম মহানগর ও দ‌ক্ষিন জেলা বিএন‌পি আ‌য়ো‌জিত মানববন্ধন কর্মসূ‌চিতে প্রধ‌ান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে উপ‌রোক্ত বক্তব‌্য রা‌খেন।

    পূর্ব‌নির্ধারিত মানববন্ধন কর্মসূ‌চি বিকাল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাক‌লেও তারই আ‌গে ৪১ টি ওয়ার্ড় থেকে মিছিলে প্রেসক্লাব চত্তর কানায় কান‌ায় পূর্ণ হ‌য়ে যায়। এরই মা‌ধ্যে পু‌লিশ নেতাকর্মী‌দের উপর লা‌ঠি চার্জ কর‌লেও নেতাকর্মীরা প্রতি‌রোধ ক‌রে মানবন্ধন কর্মসূ‌চি চল‌তে থা‌কে। একপর্যা‌য়ে মানববন্ধন কর্মসূ‌চি সমা‌বে‌শে প‌রিণত হয়।

    আ‌মীর খসরু ব‌লেন, আমাদেরকে এমন কঠিন প্রেক্ষাপট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সামনের সময়গুলো যে কতো কঠিন হবে তা অনুধাবন করা যায়। তবে এটা শুধু বিএনপির সমস্যা নয়। দেশের মানুষের সমস্যা। দেশের গণতন্ত্র মুক্তির সংগ্রামে বিএনপির নেতৃত্বে জাতীকে এগিয়ে আসতে হবে। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী থেকে আজ পর্যন্ত দেশের মানুষ দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস মনে করে। মন থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়, আমরাও দেশের মাবুষের মুক্তির কথা বলতেছি। আজকের এই তার প্রমান। আজকে এই সরকারের বিরোধে ঐক্যবোধ হয়ে কাজ করতে হবে।

    আমীর খসরু আ‌রো ব‌লেন, যারা ২০০৮ সা‌লে ভোট চু‌রি ক‌রে‌ছে, যারা ২০১৪ সা‌লে ভোট চু‌রি ক‌রে‌ছে, যারা ২০১৮ সা‌লে ভোট চু‌রি ক‌রে‌ছে, আগামী দি‌নের নির্বাচ‌নে ভোট চু‌রির আ‌লোচনা চল‌ছে। এই ভোট চোর‌দের আ‌লোচনায় কি‌ছু উচ্ছিষ্ট রাজ‌নৈ‌তিক দল ভোট‌চোর‌দের থে‌কে উচ্ছিষ্ট খাবার খাওয়ার জন‌্য ঘুরঘুর কর‌ছে। এই ভোট‌চোর‌দের এবার রুখ‌তে হ‌বে, এই ভোট‌চোর‌দের দা‌বি‌য়ে দি‌তে হ‌বে বাংলা‌দেশ।বাংলা‌দেশ‌কে ফেরত নি‌তে হ‌বে। বাংলা‌দেশ‌কে উদ্ধার কর‌তে হ‌বে। বাংলা‌দে‌শের আত্না‌কে মুক্ত কর‌তে হ‌বে। এই ভোট চোর‌দের হাত থে‌কে বাংলা‌দে‌কে মুক্ত কর‌তে হ‌বে। এই যে আ‌ন্দোল‌নের গণ‌জোয়ার উ‌ঠে‌ছে সে আ‌ন্দোল‌নে ভোট‌ চোররা ভে‌সে যা‌বে। কোন অ‌স্তিত্ব থাক‌বে না। সাবাই‌কে ঐক‌্যবদ্ধ ভা‌বে এ‌দের‌কে পরা‌জিত কর‌তে হ‌বে। আজ‌কে শুধু দে‌শে নয় বি‌দে‌শি‌দের কা‌ছেও ওরা ধরা প‌ড়ে‌ছে। পালা‌নোর জায়গা পা‌বেনা। আজ‌কে দে‌শে বি‌দে‌শে সবাই পর্য‌বেক্ষন কর‌ছে ভোটচু‌রির সা‌থে কারা কারা জ‌ড়িত। আজ‌কে যে আ‌ন্দোলন শুরু হ‌য়ে‌ছে দে‌শে বি‌দে‌শে, তা অব‌্যহত রে‌খে দেশ‌কে মুক্ত কর‌তে হ‌বে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২০১৪ সালের রকিব উদ্দিন কমিশনার ও ২০১৮ সালে সালের নুরুল হুদা কমিশনারের অধীনে ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছিল। তারা সবাই রাস্ট্রপতির সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত। কাজেই যারা এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সবাই ভোট ডাকাতির সাথে জড়িত। এই সরকার আরও একটি ভোট ডাকাতির পাঁয়তারা করছে। সুতরাং এই ধরনের কোনো সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন এই দেশের মানুষ মানবেনা। তত্ত¦াবাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে হয়েছিল। সেই নির্বাচন কমিশন গুলো বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছ। এখনো তারা আবারো চিন্তাভাবনা করছে আরও একটি ভোট ডাকাতির ইতিহাস রচনা করতে । এই ধরনের কোন ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, গণতন্ত্র হত্যা করে এই দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না। জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিকল্প নেই। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সোচ্চার। পাশাপাশি আইনের শাসন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ছেন, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারী একতরফা ভোটার‌বিহীন নির্বাচ‌নের মাধ‌্যমে মানু‌ষের গণতা‌ন্ত্রিত অ‌ধিকার হত্যার ক‌রে জগদ্দল পাথ‌রের মত চে‌পে ব‌সে‌ছে বর্তমান ফ‌্যা‌সিবাদ সরকার। আজ দে‌শে ভোটা‌ধিকার, আই‌নের শাসন, মতপ্রকা‌শের স্বাধীনতা নেই। ২০১৪ সা‌লের পর সরকার সর্ব‌ক্ষে‌ত্রে দেশের মানুষের গণতা‌ন্ত্রিক অ‌ধিকার কে‌ড়ে নি‌য়ে‌ছে। স্বাধীন দে‌শে এই যেন পারাধীনতার শৃংখল। দে‌শের প্রতি‌টি নির্বাচ‌নে প্রশাস‌ন ও নির্বাচন ক‌মিশ‌নের যৌথ প্রযোজনায় ভোট ডাকা‌তির মহোৎসব চল‌ছে। দে‌শের জনগন এই ভোট‌চোর‌দের বিরুদ্ধে জে‌গে উ‌ঠে‌ছে। আমরা আজ জনগণের গণতন্ত্র মুক্তি ও গণতন্ত্র মা কে মুক্তির জন্য এইখানে এসেছি। অ‌চি‌রেই দে‌শে গণতন্ত্র, ভোটা‌ধিার প্রতি‌ষ্ঠিত হ‌বে, বেগম খা‌লেদা জিয়ার মু‌ক্তির মাধ‌্যমে জনগণ প‌রিপূর্ণ মু‌ক্তির স্বাদ পা‌বে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হো‌সেন’র সভাপ‌তি‌ত্বে সদস‌্য স‌চিব আবুল হাশেম বক্কর’র প‌রিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূ‌চি‌তে বক্তব‌্য রা‌খেন দ‌ক্ষিন জেলা বিএন‌পির সা‌বেক সভাপ‌তি ও সা‌বেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, দ‌ক্ষিন জেলা বিএন‌পির আহবায়ক আবু সু‌ফিয়ান, মহানগর বিএন‌পির সি‌.যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ‌মিয়া ভোলা, এডঃ আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান, সদস‌্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, কমিশনার মাহবুবুল আলম, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উ‌দ্দিন আহ‌মেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল,আবুল হাশেম হা‌শেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম , মহানগর যুবদ‌লের সভাপ‌তি মোশারফ হো‌সেন দিপ্তী, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট ইফতেখার মহসিন,জামাল হোসেন ,লায়ন হেলাল উদ্দিন , মোস্তাফিজুর রহমান,নগর স্বেচ্ছা‌সেবক দ‌লের সভাপ‌তি এইচ এম রা‌শেদ খান, ভ‌ারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ‌লি মুর্তোজা খান, ছাত্রদ‌লের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস‌্য স‌চিব শরীফুল ইসলাম তুহীন, থানা বিএন‌পির সভাপ‌তি মোশারফ হো‌সেন ডেপ‌টি, হাজী হা‌নিফ সওদাগর, সরফরাজ কা‌দের রা‌সেল, ডা. নুরুল আফসার, আবদুস সাত্তার সে‌লিম, মো. সেকান্দর, মোঃ আজম, আবুল্লাহ আল হারুন, থানা বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক,আলহাজ্ব জ‌কির হো‌সেন, সাহাব উ‌দ্দিন, ম‌নির আহমদ চৌধুরী, জ‌সিম উ‌দ্দিন জিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মঈনউদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, নূর হো‌সেন, আবদুল কা‌দের জ‌সিম, হাজী বাদশা মিয়া, হা‌বিবুর রহমানসহ থানা ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

  • জিয়াউর রহমানের কারণেই বীর উত্তম খেতাবটি গৌরবান্বিত হয়েছে : আমীর খসরু

    জিয়াউর রহমানের কারণেই বীর উত্তম খেতাবটি গৌরবান্বিত হয়েছে : আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়াউর রহমান বীর উত্তম খেতাব পেয়ে গৌরবান্বিত হননি, বরং বীর উত্তম পদটি গৌরবান্বিত হয়েছে। বিএনপিতে অনেক খেতাবপ্রাপ্ত লোক আছেন কিন্তু আওয়ামী লীগে খেতাবপ্রাপ্ত লোক খুঁজে বের করতে হবে। জিয়াউর রহমান নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, তাহলে তো এখন বাংলাদেশের অনেক বড় নেতা থেকে শুররু করে মাঠের কর্মী পর্যন্ত কেউ রেহায় পাবে না। তারা সংবিধানের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে। এসবেরও বিচার হবে।

    শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরের নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের প্রস্তাবের প্রতিবাদে আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। আল জাজিরা ক্ষুদ্র একটি অংশ প্রকাশ করেছে। এতেই ভয়ে কম্পন শুরু হয়েছে সরকারের। আরও আসছে, আল জাজিরার পরবর্তী প্রতিবেদনে বহু লোকের নাম জড়িত আছে। তাতে সরকারের দেশে ও দেশের বাইরে পাতিলের খবরও বের হয়ে যাবে। প্রকাশিত হওয়া প্রতিবেদনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটিও সদুত্তর পেলাম না। তারা শুধু প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মধ্যে কম্পন শুরু হয়েছে। এসব সরকার বিদায়ের লক্ষণ। সমস্ত অপকর্মের দায়ভার নিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। আমীর খসরু বলেন, রোজার পর, ঈদের পর এরকম দিনক্ষণ দেখে আন্দোলন হয় না। যে কর্মসূচির মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে, সেই কর্মসূচি আসবে। এখন প্রতিদিনই আন্দোলন। আমরা-তো নেমেই গেছি মাঠে, আর ফিরে যাবো না। এটাই-তো কর্মসূচি। সরকার বলছে, আড়িপাতার যন্ত্র আনার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, তাদের সঙ্গে আমাদের এ রকম কোনো চুক্তি নাই। জাতিসংঘ বিবৃতি দিয়ে সরকারের মুখে লাথি মেরে দিয়েছে। লজ্জা নাই তাদের। জাতিসংঘ বলছে, তোমরা মিথ্যাচার করছো। তিনি আরো বলেন, খুন, গুম, হত্যার নায়ক কারা? এগুলোর সঙ্গে জড়িত সরকার। প্রশাসনকে বলব, আপনারা কোনো দলের পক্ষে দায়িত্ব পালন করবেন না, জনগণের পক্ষে দায়িত্ব পালন করুন। আপনারা যতই লাঠিপেটা করেন, গুম-খুন করেন, হত্যা করেন, দেশের মানুষ কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। দুর্নীতি এখন চরম শিখরে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগের কিছু মানুষ রাষ্ট্রের সব সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে। সমস্ত জাতি আজ শঙ্কিত। আমরা চট্টগ্রাম থেকে অতীতেও আন্দোলনের সূচনা করেছি। চট্টগ্রাম থেকেই আন্দোলন গড়ে তুলব।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নয়, আমি তাদের সরকার বলি না। কারণ সরকার গঠন করে রাজনৈতিক দল। কিন্তু এরা কারা ? কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, কিছু দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের লোক, এরাই এখন সরকারে। এরা একটা মাফিয়া রেজিম। কিন্তু চোরের দশদিন, গৃহস্থের একদিন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক বীর উত্তম জিয়াউর রহমান শুধু একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না তিনি ছিলেন রনাঙ্গনের বীর সেনানায়ক। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বলেই আমরা স্বাধীন একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। সরকারের মাফিয়া তান্ত্রিক চরিত্র আল-জাজিরার মতো বিশ্ব বিখ্যাত একটি চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কারণ জনগণ মাফিয়া এ সরকারের চেহেরা দেখতে পেয়েছে। জনগণকে সরকার তাদের অপকর্মের দিক থেকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা সাঁজানো মামলায় সরকার দুই বছরের সাঁজা দিয়েছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, মাঠে বসে আর বক্তব্য হবে না, এবার রাজপথে হবে আমাদের চূড়ান্ত ফয়সালা। তার জন্য চট্টগ্রামবাসী প্রস্তুত আছে।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ইভিএম একটি ডিজিটাল মেশিন। যেখানে আপনারা ধানের শীষে ভোট দিয়েছেন সেটা চলে গেছে নৌকায়। আওয়ামী লীগও এমন একটা যন্ত্র যেখানে গেলে রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হয়, মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার হয়। এসময় তিনি সাবেক মন্ত্রী শাহাজান খান কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন সে প্রশ্নও তোলেন। শহীদ জিয়াই চট্টগ্রাম থেকে উই রিভোল্ট বলে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। যতদিন বাংলাদেশের পতাকা থাকবে, ততদিন শহীদ জিয়া বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে অমর হয়ে থাকবেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করে পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ.এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট এনামুল হক।

    সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো: মিয়া ভোলা, এড. আব্দুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস.কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল হালিম শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, মোঃ আলী, মাহবুবুল আলম, নিয়াজ মো. খান, ইকবাল চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস.এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাসেম, শামসুল হক, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, নগর অঙ্গসংগঠনের সভাপতিবৃন্দ মোশারফ হোসেন দিপ্তী, এইচ.এম রাশেদ খাঁন, মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ মোহাম্মদ শাহেদ, বেলায়েত হোসেন বুলু, জেলি চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ হোসেন ডেপটি, মোঃ সেকান্দন, মো. সালাউদ্দিন, সরফরাজ কাদের রাসেল, আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক জকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, জসিম উদ্দীন জিয়া, সাহাব উদ্দিন, জাহিদ হাসান, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, আবদুল কাদের জসিম, জাহাঙ্গীর আলম, হাবিবুর রহমান, নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, তাঁতি দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।

  • জনগনের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার:আমির খসরু

    জনগনের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার:আমির খসরু

    চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।

    তিনি বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সারাদেশে মহামারী আকার ধারন করেছে। চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা সংক্রমিত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সরকার করোনা মোকাবেলা ও জনগনের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেডের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। সরকারের ব্যর্থতার কারনে দিন দিন স্বাস্থ্যখাতের অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে ওঠেছে। মানুষের মধ্যে এখন মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা ন্যূনতম চিকিৎসাসেবাও পাচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে গিয়েও করোনার রোগীরা ভর্তি হতে পারছেনা। চট্টগ্রামের অধিকাংশ করোনা হাসপাতালে অক্সিজেন ও সিলিন্ডার সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত আইসিইউ’র ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসার জন্য মানুষ এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছে। কিন্তু সময় উপযোগী পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেনা। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম দরকার সেটাও দেয়নি সরকার।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের সেবা দিতে সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে মৃত্যু ও সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চট্টগ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

    তিনি করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা
    আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। এছাড়া তিনি চিকিৎসক, সাংবাদিক, আইনশৃংখলা বাহীনি ও প্রসাশনসহ চট্টগ্রামের যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর