Tag: আমির খসরু

  • জনগণের উপর আস্থা রেখেই নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি : আমির খসরু

    জনগণের উপর আস্থা রেখেই নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি : আমির খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,জাতির এই ক্রান্তিকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

    এখন একটি অগণতান্ত্রিক সরকার দেশ চালাচ্ছে। একটি অনির্বাচিত সংসদ দেশের আইন বানাচ্ছে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই।

    আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এসব বিষয়ে মাথায় রেখেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। বিএনপির নেতাকর্মীরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।

    বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তাই বিএনপিকে মোকাবিলার জন্য আওয়ামী লীগকে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে।আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা নেই। বিএনপি জনগণের উপর আস্থা রেখেই নির্বাচনে যাচ্ছে।

    আমাদের নির্ভরশীলতা হচ্ছে জনগণের উপর। আর আওয়ামী লীগের অস্থা হচ্ছে অন্য জায়গায়।এটাই হচ্ছে দেশের সত্যিকারের অবস্থা। আওয়ামী লীগ থেকে জনগণ সরে যাওয়ায় তারা এখন ভীত।

    তিনি আজ বুধবার (০৪ মার্চ)  বিকেলে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা.শাহাদাত হোসেনের সমর্থনে চট্টগ্রাম বিএনপির সমন্নয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন অত্যন্ত ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন নেতা। একজন পেশাজীবী হিসেবে ও তার জনপ্রিয়তা অতুলনীয়। তার বিজয়ী হওয়ার অনেক উপাদান আছে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও অনেক পরিশ্রমী। তারা ভয়কে জয় করতে জানে। অপরদিকে আওয়ামীলীগের কোন রাজনীতিই নাই।

    তিনি ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে বিজয়ী করতে যার যার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার আহবান জানান।

    বিএনপির মেয়র প্রার্থী ড. শাহাদাত হোসেন বলেন,আমি চট্টগ্রামের ছেলে, চট্টগ্রাম শহরেই আমার বেড়ে ওঠা। দীর্ঘ ৩৫ বছর রাজনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামবাসীর বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা নিয়ে রাজপথে ছিলাম। মেয়র হিসেবে জয়ী হলে চট্টগ্রামের নগরপিতা নয়,নিজেকে নগরবাসীর সেবক হিসেবে নিয়োজিত করবো।

    সমন্নয় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারর্পাসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার,এস এম ফজলুল হক ,ড: সুকোমল বড়ুয়া,বেগম রোজি কবির,বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর,বিএনপি নেতা এ এম নাজিম উদ্দীন,একরামুল করিম,নুরী আরা ছাফা,জালাল উদ্দীন মজুমদার,হারুনুর রশিদ ভিপি ,জাফরুল ইসলাম চৌধুরী,উদয় কুসুম বড়ুয়া,আবু সুফিয়ান,সরওয়ার জামান নিজাম,ব্যারিষ্টার মীর হেলাল,এডভোকেট বদরুল আলম,এমএ হালিম,ভিপি নাজিম,ইসহাক কাদের চৌধুরী,আজিম উল্লাহ বাহার,এনামুল হক এনাম,শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীন,ইদ্রীস মিয়া চেয়ারম্যান,নুরুল আমিন,নুরুল আমিন চেয়ারম্যান,নুর মোহাম্মদ,ইন্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন,আর ইউ চৌধুরী শাহীন,ইয়াছিন চৌধূরী লিটন,আবদুল মন্নান,আনোয়ার হোসেন লিপু ,এডভোকেট আবু তাহের,প্রমুখ।

  • গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে:খসরু

    গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে:খসরু

    দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে আওয়ামী লীগ জাতীয় কাউন্সিল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    তিনি বলেছেন, ‘আজকে তারা (আ.লীগ) সম্মেলন করছে। তাদের কাউন্সিল করছে। আওয়ামী লীগ তাদের দলের কাউন্সিল করবে, আমরা তাদেরকে দল হিসেবে স্বাগত জানাই। কিন্তু কিসের জন্য কাউন্সিল? কার কাউন্সিল? যেখানে বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে জনগণকে বাহিরে রেখে অব্যাহতভাবে দেশবিরোধী গণবিরোধী সব কাজ করে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের টাকা লুটপাট করে দিনের পর দিন ক্ষমতায় বসে আছে, সেখানে একটি দল কাউন্সিল করছে তাদের।’

    তিনি বলেন, ‘কাউন্সিল মানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দলের মধ্যে থাকতে হবে, দেশের মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে দলের কাউন্সিল করা হচ্ছে, সমস্ত মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করে দলের কাউন্সিল করা হচ্ছে। আমি আশা করি তারা আজকের কাউন্সিল এ দেশের গণতন্ত্র কিভাবে ফিরে আসবে, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কিভাবে ফিরে আসবে তারা এই কাউন্সিলে ঘোষণা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

    শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল তা আজ অনুপস্থিত মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল আজকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকারসহ আইনের শাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার সবকিছু অনুপস্থিত। আজকে মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ভোটাধিকারসহ সবকিছু যেহেতু কেড়ে নেয়া হয়েছে তাহলে বাংলাদেশে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ যে কারণে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তার সবকিছু যেহেতু কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাহলে অবশ্যই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, আমার আপনার বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আপনাকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে।’

    বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মূল কারণ ছিল গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। গণতন্ত্রের বাহক হচ্ছে নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যে দলটিকে নির্বাচিত করেন তারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন। পাকিস্তান আমলে যেটা হয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তানিরা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। তারা নির্বাচনের যে বাহক তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে নেমেছিল। সেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ। গণতন্ত্রের মূল বিষয় হলো বাকস্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা, আইনের শাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার। কিন্তু বাংলাদেশে আজ এসব অনুপস্থিত। তাই আমাদের এসব অধিকার ফিরিয়ে আনতে একটি মুক্তিযুদ্ধ করতে হবে এবং সেই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি জেলে বসে আছেন জেলে বসেও তাদের (সরকারের) ভয় শেষ হচ্ছে না।’

    খসরু বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের জন্য প্রতিটা মানুষ যারা জীবন দিয়েছেন আমরা প্রতিটি মানুষের নাম জানতে চাই। এই সম্পূর্ণ তালিকা দেশের মানুষ, এলাকার মানুষ জানতে চায়। বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বিএনপি যেদিন ক্ষমতায় আসবে সেদিন যারা এদেশের জন্য জীবনের মূল্য ত্যাগ করে প্রাণ দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন তাদের তালিকা বিএনপি প্রণয়ন করবে। তাদের তালিকা প্রণয়ন করে প্রতিটি এলাকায় স্তম্ভের মধ্যে তাদের নাম লেখা হবে। কিন্তু সরকার এই কাজটি করতে কেন এত দ্বিধাগ্রস্ত তা আমরা জানি না।’

    তিনি বলেন, ‘যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন যারা দেশের জন্য জীবন রেখেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করতে বলার কারণে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এজন্য আমরা তালিকা প্রকাশ করব। সরকার যদি না করে বিএনপি সেটা করবে। তারা এই তালিকা প্রকাশ না করার পেছনে কারণটা কি সেটাও কিন্তু স্পষ্টভাবে বলছে না। আমরা জানতে চাই, তারা যদি এটা করতে না চায় তাহলে দেশবাসীকে বলুক যে ‘আমরা এটা করব না’ এবং কি কি কারণে প্রকাশ করবে না সেটাও দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার করা হোক। কিন্তু বিএনপি অবশ্যই দেশের জনগণের কাছে এই তালিকা প্রকাশ করবে।’

  • চমেক’র লিফটে দুর্ঘটনা : খসরু ও শাহাদাতসহ বিএনপি নেতারা অল্পের জন্য রক্ষা

    চমেক’র লিফটে দুর্ঘটনা : খসরু ও শাহাদাতসহ বিএনপি নেতারা অল্পের জন্য রক্ষা

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে চমেক হাসপাতালে গিয়ে লিফটের তার ছিড়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত সহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা।

    তবে লিফটম্যান ও রোগীর স্বজনদের সহযোগীতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় নেতারা। দুর্ঘটনা কবলিত লিফটে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের চট্টগ্রাম ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহম্মদ শাহ ও আরেকজন সাংবাদিকও ছিলেন।

    আরিচ আহম্মদ শাহ জানিয়েছেন রবিবার চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে আসেন কেন্দ্রিয় ও নগর বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতৃবৃন্দ। এসময় নিউজ কাভারেজের জন্য আমি ও আরেকজন সাংবাদিকও ছিলো। আহতদের দেখার পর হাসপাতালের ৫ তলা থেকে নীচে নামার সময় ২য় তলায় এসে লিফটের তার ছিঁড়ে যায়।

    পরে বিকট শব্দে লিফটি নীচে পড়ে গেলে সবাই আতংকিত হয়ে পড়ি। এসময় লিফটম্যান সত্যপ্রিয় বড়ুয়া, আমির খসরুর একান্ত সচিব মো. সেলিম ও হাসপাতালে আগত রোগীর স্বজনরা এগিয়ে এসে পেশী শক্তি ব্যবহার করে লিফটের দরজা খুলে দিলে সকলে রক্ষা পায়।

    লিফট অপারেটর সত্যপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, এই লিফট রাতদিন ২৪ ঘণ্টা চলে, কোনো বিশ্রাম না থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে চমেক হাসপাতালের ৫ তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে ৩ নম্বর লিফটে চড়ে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে বিকট আওয়াজে লিফটটি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করেছেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রচুর পরিমাণে বাজেট থাকার পরও এসব লিফট মেরামত করার উদ্যোগ নেয় না কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষানাবেক্ষণ না থাকায় চমেকের এসব লিফট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আজকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো পারতো। আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করেছে।

    খসরু ও ডা. শাহাদাত ছাড়াও দুর্ঘটনা কবলিত লিফটে ছিলেন পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী বেলাল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেলসহ আরো কয়েকজন।

    এর আগে রবিবার পাথরঘাটার দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে সোমবার দুপুরে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে চমেক হাসপাতালে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নিজের একান্ত সচিব মো. সেলিমসহ অন্য নেতাকর্মীদের নিচে রেখে কয়েকজনকে নিয়ে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে যান আমির খসরু। সেখান থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    পরে ফোন করে আমির খসরু তার একান্ত সচিব মো. সেলিমকে বিষয়টি জানালে সবাই মিলে দরজা টেনে তাঁদের বের করেন। পরে পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আক্তারুল আলমকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।

  • বিশ্বের গণতান্ত্রিক নেতাদের যেভাবে মুক্ত করেছে বেগম খালেদা জিয়াকেও সেভাবে মুক্ত করতে হবে

    বিশ্বের গণতান্ত্রিক নেতাদের যেভাবে মুক্ত করেছে বেগম খালেদা জিয়াকেও সেভাবে মুক্ত করতে হবে

    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মানুষ এখন বিয়ে বাড়ীতে উপহার নিয়ে যায় না। উপহার হিসেবে পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছে। পেঁয়াজের দাম এখন আড়ইশ টাকা ছাড়িয়েছে। ঘন্টায় ঘন্টায় পেঁয়াজের
    দাম বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের ব্যাপারে একটা সমাধান দিয়েছেন।

    তিনি মানুষকে পেঁয়াজ খেতে মানা করেছেন। কারণ তার তো মানুষের ভোটের প্রয়োজন নেই। তিনি মানুষকে তোয়াক্কা করেন না। চট্টগ্রামে কৃষকদলের উদ্যোগে পেঁয়াজের উপর একটা সেমিনার আয়োজন করতে হবে। ৩০ টাকার পেঁয়াজ আড়াইশ টাকা কিভাবে হতে পারে এটার ইতিহাস মানুষ জানাতে হবে। তিনি বিশ্বের গণতান্ত্রিক নেতাদেরকে যেভাবে মুক্ত করেছে বেগম খালেদা জিয়াকেও সেভাবে মুক্ত করার
    আহবান জানান।

    তিনি আজ ১৬ নভেম্বর শনিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল চট্টগ্রাম উওর জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    এতে তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে দু’টি ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। অথচ মন্ত্রী বলছে এর পিছনে নাকি নাশকতা আছে। এই মন্ত্রীরা জীবনেও ভোটে
    নির্বাচিত হয়নি। এরা জনবিচ্ছিন্ন, এরা ভোট ডাকাত। মানুষের ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।

    উপস্থিত নেতাকর্মীর একাংশ

    তিনি বলেন, শহীদ জিয়ার উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছে তা অন্য কোন নেতা পারেনি। তারা ক্যাসিনো উৎপাদন করতে পারে। শেয়ার বাজার লুট করতে পারে। মানুষের শ্রম দিয়ে উৎপাদনের মধ্যে যে আনন্দ, হালাল আয়ের মাধ্যমে একটি দেশ কোথায় যেতে পারে শহীদ জিয়া তা চিন্তা করেছিলেন। সেজন্য
    তিনি কৃষক দল গঠন করেছিলেন। নির্বাচিত নতুন কমিটিকে শহীদ জিয়ার সে স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেন, দেশে যে অবস্থা চলছে তাতে কেউ শান্তিতে নেই। বর্তমানে কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের মূল্য না পেয়ে আগুন দিচ্ছে।
    সাম্প্রতিক বন্যায় সরকার কৃষকদের পাশে ছিল না। কৃষক দলের পক্ষ থেকে বন্যার্থদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। শহীদ জিয়া কৃষক দল গঠন করেছিলেন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।

    তিনি বলেন, বুয়েট ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যায় ছাত্রলীগের পঁচিশজন জড়িত ছিল। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসের কারাখানায় পরিণত হয়েছে। টর্চার সেল গঠন করে নেতাকর্মীদের নির্যাতন চালিয়েছে সেজন্য ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, যারা বলছেন পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করা যায়, পেঁয়াজ না খেলে কি হয় অথচ তারা পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করেনি। তারা জনগণের সমস্যা সমাধান না করে পেঁয়াজ না খাওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছেন তা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। এক সময় চালের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বলেছে ভাত না খেয়ে আলু খেতে। এখন বলছে পেঁয়াজ না
    খেতে, দেশে পর পর ট্রেন দূর্ঘটনা হচ্ছে এর প্রতিকার কি ট্রেনে যাতায়াত না করা? তিনি ভোটের অধিকার ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে স্বতস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে বর্তমান সরকার দেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। লুটেরা সরকারের সিন্ডিকেটের কাছে দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে
    পড়েছে। জনবচ্ছিন্ন সরকার কৃষি নির্ভরতা থেকে আমদানী নির্ভর অর্থনীতি চালু করায় দেশে খাদ্য উৎপাদন কমেছে। তার সুযোগ নিচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হওয়া সিন্ডিকেট। তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা
    বিএনপির আহবায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, শহীদ জিয়ার দূরদর্শীতায় দেশে উৎপাদনমূখি অর্থনীতি চালুর মাধ্যমে আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। এই জন্য তিনি
    দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কৃষদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে কৃষক দলের প্রয়োজনীতা অনুভব করেছেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উওর জেলা বিএনপি নেতা চাকসু ভিপি মো: নাজিম উদ্দীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা ও বানোয়াট। দেশে বিদেশের এর কোন ভিত্তি নেই। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে গণতন্ত্রের কোন মূল্য নেই।

    কৃষকদল চট্টগ্রাম উওর জেলা শাখার সভাপতি ইসহাক কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম লতিফির পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কৃষক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এম এ হালিম। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা
    বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব সালাহ উদ্দিন, কর্ণেল (অব:) আজিম উল্লাহ বাহার।

    সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক
    শাহ আলম, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, বিএনপি নেতা আজম খান, এড. আবু তাহের, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মনজুর রহমান চৌধুরী, কাজী সালাহ উদ্দিন, সোলায়মান মঞ্জু, মো. ইদ্রিস আলী, আবদুল হাই, মোস্তফা কামাল পাশা, মোরসালিন, দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের সভাপতি সৈয়দ সাইফুদ্দিন, মহানগর
    কৃষকদলের মনিরুল ইসলাম মনু, কৃষকদল নেতা নাছিরুল কবির মনির, নাছির উদ্দিন, নুরুল আমিন তালুকদার, আবিদ হোসেন মানিক, নুরুল আলম মেম্বার, এড.আবু সাঈদ, আজিজুল হক, ডা. মিজানুর রহমান, নাসিম উদ্দিন সিকদার, মো.
    মহিউদ্দিন, জুলফিকার আলী ভুট্টো, কাউসার কমিশনার প্রমুখ।

    সম্মেলনের ২য় অধিবেশনে কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন উত্তর জেলা কৃষক দলের কমিটি ঘোষণা করেন। অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম লতিফিকে সভাপতি ও বদিউল আলম বদরুলকে সাধারণ সম্পাদক করে উত্তর জেলা কৃষকদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার: খসরু

    বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার: খসরু

    দেশনেত্রী ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়ে জেলখানায় রেখে সরকার তিলে তিলে মারার ব্যবস্থা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

    তিনি বলেছেন, ‘খুনের আসামি জামিন পাচ্ছে, ধর্ষক-শিশুধর্ষক জামিন পাচ্ছে, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া জামিন পাচ্ছেন না। দেশের মানুষের কাছে এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, সবাই জামিন পেলেও নির্দোষ বেগম জিয়া জামিন পাবে না।’

    বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে “প্রতিহিংসার রাজনীতি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশে কোনও বিচার ব্যবস্থা নেই। সরকারের মন্ত্রীরা বলে দেয় মামলার রায় কবে হবে। দশ দিনে বিচার হবে নাকি ১৫ দিনে। এটা কি তারা বলতে পারেন? এর শাস্তি হয়ে যাবে ওর শাস্তি হয়ে যাবে এটাও সরকারের মন্ত্রীরা বলে দেন। দেশের বিচার ব্যবস্থার একটি ধারা আছে ‘ডিউ প্রসেস অফ ল’- এই প্রসেসে কার কী হবে সেটা বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু আজ বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার।’

    বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘যে দেশে প্রধান বিচারপতিকে বিচারালয় থেকে জোর করে অপসারণ করা হয় এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, যে দেশে তারেক রহমানের পক্ষে রায় দেয়ার কারণে বিচারপতিকে চাকরিচ্যুত হতে হয়, যে দেশে মন্ত্রীরা কার কী বিচার হবে আগেভাগে বলে দেযন- সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে ন্যায়বিচার আশা করবেন।’

    দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বিচার পাবেন না। আপনাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে, দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের মালিকানা নিজেদের হাতে তুলে নিতে হবে। আপনারা যখন দেশের মালিকানা আপনাদের হাতে তুলে নিতে পারবেন তখনই ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘কোরবানির পর থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। ৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ দেখতে দেখতে ৭০ টাকা, ৮০ টাকা, ১০০ টাকা হয়ে এখন ১৪০ টাকা। কোথাও কোথাও তারচেয়েও বেশি দাম হাঁকানো হচ্ছে। আপেলের চেয়ে পেঁয়াজের দাম বেশি হয়ে গেছে- এটা তো মশকরা করারই কথা, মশকরা তো হবেই। মশকরা করে অনেকেই বলছে যে, এত দাম দিয়ে খাওয়ার কি দরকার? তাহলে কাল ডিমের দাম বেড়ে গেলে ডিম খাবেন না, তেলের দাম বেড়ে গেলে তেল খাবেন না, চালের দাম বেড়ে গেলে চাল খাবেন না। এর চেয়ে সহজ পন্থা পৃথিবীতে আর কিছু আছে?’

    আমির খসরু আরও বলেন, ‘দেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণকে কোনও তোয়াক্কা না করেই এসব কাজ করা হচ্ছে। সরকারের মনোভাব হচ্ছে এরকম- ‘আমি কিংবা আমরা (সরকার) জনগণের তোয়াক্কা করি না, তোমাদের ভোটের দরকার নেই, একরাত ভোট ডাকাতি করলেই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা যায়’। যাদের জনগণের কাছে কোনও জবাবদিহিতা নেই যারা জনগণের মালিকানা নিয়ে তামাশা করছে তাদের কাছে কে পেঁয়াজ খেতে পারলো আর কে পারল না- এটা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।’

    জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী, সাবিরা নাজমুল মুন্নি, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম, সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক শামিম ভূইয়া প্রমুখ।

  • শান্তিপূর্ণ জনসভায় কেন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব-আমির খসরু

    শান্তিপূর্ণ জনসভায় কেন যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব-আমির খসরু

    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গুম, খুন হত্যার বিরুদ্ধে দেশের মানুষ অবস্থান নিয়েছে। প্রতিবাদের এই জোয়ারকে ভয়ভীতির মাধ্যমে থামিয়ে দেয়া সম্ভব না।

    বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ দেশবিরোধী চুক্তির বিরোধিতা করেছে, শুধুমাত্র সেইজন্য তাকে সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে। দেশপ্রেমিক নাগরিককে যারা হত্যা করে তারা দেশদ্রোহী।

    তিনি আজ শনিবার বিকালে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশবিরোধী চুক্তি ও আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষাভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ. এম নাজিম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুর হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান।

    আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, সমাবেশে আসতে দেখলাম, পুলিশ যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, মনে হচ্ছে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। শান্তিপূর্ণ এই জনসভায় কেন এই যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব। এখানে এত পুলিশ কেন? দেশের সংবিধান কি বাতিল হয়ে গেল?

    যারা জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কথা, যারা দেশ বিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর কথা, যারা দেশপ্রেমিক নাগরিকদের পক্ষে থাকার কথা তাদের এই অবস্থা কেন?

    প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আমির খসরু আরো বলেন, যারা সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে খুন করে, অবৈধ ব্যবসা করে, জনগণের অধিকার কেড়ে নেয় তাদের পাশে আপনাদের থাকার কথা নয়। আইনশৃংখলা বাহিনী আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করার কথা, শ্রদ্ধা করার কথা। আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে নাগরিকদের একটি সুসম্পর্ক থাকার সময় এসেছে, এটা বিবেচনা করতে হবে।

    তিনি বলেন, বুয়েটের ভিসি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশ সাথে নিয়ে আবরার ফাহাদের বাড়ীতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের অপদস্ত করতে সাহস পায় কিভাবে? যে স্ট্যাটাসের কারণে আবরার ফাহাদকে জীবন দিতে হয়েছে, সেই স্ট্যাটাস সারাদেশের মানুষকে বার বার দিতে হবে। এই স্ট্যাটাস ইতহাসের অংশ হয়ে থাকবে। শেয়ার বাজার, ব্যাংক লুট, বিশ্বজিত হত্যা, আবিদ হত্যার বিচার হয়নি, আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারও হবে কি না সন্দেহ।

    তিনি বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশ বিরোধী চুক্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে এই সরকার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও অবৈধভাবে আটকে রেখেছে সরকার। কিন্তু ক্ষমতার মালিক দেশের জনগণ।

    আমির খসরু বলেন, লুটেরেরা ধরা পড়ছে, সেই ভয়ে তাদের মধ্যে নার্ভাসনেস কাজ করছে। তাদের আচরণে সেটা প্রকাশ পাচ্ছে। ভারতের এনআরসি নিয়ে মন্ত্রীরা বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণে নেই বললেও যৌথ বিবৃতিতে এই বিষয়ে কোন কথা নেই। সীমান্তে হত্যা, রোহিঙ্গা সমস্যা, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি চুক্তি নিয়ে যৌথ বিবৃতিতে কিছুই নেই।

    সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভারতের সাথে দেশবিরোধী চুক্তি করে দেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এই অবৈধ সরকার। এই অসম চুক্তি দেশের মানুষ মেনে নেবে না। প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে, এটা শুধু প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা না, বাংলাদেশের মানুষের লজ্জা।

    তিনি বলেন, ক্যাসিনো দুর্নীতির মাধ্যমে যুবলীগ ছাত্রলীগ থেকে এখন দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের যখন দেশের রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসছিল ঠিক তখনি দেশপ্রেমিক বুয়েট মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করলো। দেশের
    মানুষ একদিন এ হত্যাকারীদের জনতার আদালতে বিচার করবে।

    প্রধান বক্তা মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, সরকারের শত বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে আজকে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ জনতার দখলে। চট্টগ্রামের জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আবরার হত্যার প্রতিবাদে রাজপথ আজ উত্তাল। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে সরকার। দেশনেত্রী শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে। সরকার তার জামিন প্রক্রিয়ায় বাঁধাগ্রস্ত করে তার মুক্তিতে বাঁধা দিচ্ছে।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষকে ক্ষমতাসীনরা হত্যা করছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দেশবিরোধী চুক্তি করা হয়েছে। সেই চুক্তির প্রতিবাদ করায় আবরারকে প্রাণ দিতে হয়েছে। শহীদ জেহাদের রক্ত দানের মাধ্যমে যেমন স্বৈরাচারী এরশাদের পতন হয়েছিল, তেমনি ভাবে আবরারের রক্ত বৃথা যাবে না। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য দেশ প্রেমিক জনতাকে ঐক্য গড়তে হবে।

    এ. এম নাজিম উদ্দিন বলেন, আবরার হত্যার বিচারের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করা যায় না। কারণ সাগর-রুনি, বিশ্বজিত ও চট্টগ্রামের আবিদ হত্যার বিচার এ পর্যন্ত হয়নি। আওয়ামীলীগের এ বিচার করার ক্ষমতাও নেই।

    আবু সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মা হিসেবে আবরার হত্যার বিচার করবেন বলে যে প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন, ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী হিসেবে তা জাতির সাথে প্রতারণা। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার হয় না। খুনীদেরকে রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সামশুল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, নাজিমুর রহমান, আশরাফ চৌধুরী, মাহবুবুল আলম, এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, সহসাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, সামশুল আলম, ইসহাক চৌধুরী আলিম, আবু জহুর, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ মোহাম্মদ আলী মিঠু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এম আই চৌধুরী মামুন, ফাতেমা বাদশা, এইচ এম রাশেদ খান, হামিদ হোসেন, নুরুল আকবর কাজল, মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক ঝন্টু কুমার বড়ুয়া, শহিদুল ইসলাম শহীদ, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, আবদুল মান্নান রানা, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমন চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, হাজী হানিফ সওদাগর, ডা. নুরুল আবছার, মো. সেকান্দর, সরফরাজা কাদের রাসেল, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ সালাহ
    উদ্দিন কায়সার লাবু, রফিকুল ইসলাম মো. ইদ্রিস আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, এড. নেজাম উদ্দিন খান, এড. সেলিম উদ্দিন শাহীন, অধ্যাপক রনজিত বড়ুয়া, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আজাদ বাঙালী, আবু মুসা, সফিক আহমেদ, আবুল খায়ের মেম্বার, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাহ উদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহমেদ চৌধুরী, মো. শাহাব উদ্দিন, জাহিদুল
    হাসান, হাবিবুর রহমান, নূর হোসাইন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জাহাঙ্গির আলম, আবদুল কাদের জসিম, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, আলী ইউসুফ, জমির আহমদ, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, আতিকুর রহমান, রেজিয়া বেগম মুন্নি, মেজবাহ উদ্দিন রাজু, কামাল পাশা নিজামী, সখিনা বেগম, খোরশেদ আলম, তাহের আহমদ, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, গাজী আলা উদ্দিন, এড. আবদুল আজিজ, মনিরুজ্জামান মুরাদ, মনিরুল ইসলাম মনুসহ প্রতিটি ওয়ার্ড বিএনপি ও অংগ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা
    করে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।