Tag: আম্পানের

  • ভারতে ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবা

    ভারতে ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের থাবা

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দুই চব্বিশ পরগণা, কলকাতা। লণ্ডভণ্ড পুরো কলকাতা। তাণ্ডবে কলকাতা শহর ও বিভিন্ন জেলায় রাস্তায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে।

    বিদ্যুতের খুঁটি উপরে পড়েছে রাস্তার উপর। এখন পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটি। ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতেও আঘাত হেনেছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। কলকাতা বেহালার বীরেন রায় রোডে সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান থাবা বসিয়েছে।

    আম্পানের তাণ্ডবে সৌরভের বাড়িতে বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে একটি আমগাছ। ২১ মে, বৃহস্পতিবার সেই গাছটিকে আগের অবস্থানে ফেরাতে অনেক কষ্ট করতে হয় তাকে। গাছের ডালে দড়ি বেঁধে আমগাছটিকে আবার পুরনো জায়গায় স্থাপন করে দেন। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ।

    ওই ছবি টুইটারে পোস্ট করে সৌরভ লিখেছেন, ‘এই বয়সে লড়াই করে ঘাম বেরিয়ে গেলো’ আম্পানের আঘাতে হেলে পড়া আমগাছকে রক্ষার ওই ছবি এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।আম্পানের আঘাত হেনেছে সৌরভ গাঙ্গুলির বাড়িতে

    প্রসঙ্গত : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। বৃহস্পতিবার নবান্নে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    রাজ্যের বিপর্যয় আইনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি টাস্ক ফোর্সও গঠন করেছেন। ৭ দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল/দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত ১০

    ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল/দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহত ১০

    ২৪ ঘণ্টা সারাদেশ ডেস্ক : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড খুলনা উপকূল। ঘূর্ণিঝড় আম্পান বুধবার সন্ধ্যার দিকে প্রথম সুন্দরবনে আঘাত হানে। এ সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। প্রবল বেগের এই ঝড় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকা লণ্ডভণ্ড করে দেয়।

    রাত দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাছ ও দেয়ালচাপায় এবং নৌকাডুবিসহ দেশের বিভিন্ন উপকুলীয় অঞ্চলে নানা দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

    বুধবার বিকেল থেকে আম্পান উঠে আসতে শুরু করে স্থলভাগের দিকে। ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার বেগের এই ঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি, ভেঙে পড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে উপকূলের ১৯ জেলায় অন্তত ৫১ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আছে।

    আবহাওয়া অফিস সূত্রে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান ১৩৫ কিলোমিটার বেগে যশোর অতিক্রম করছিল। রাত পৌনে ৩টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঝিনাইদহে অবস্থান করছে। তবে এটি ঝড়ো হাওয়া সৃষ্টি করে বৃষ্টিপাত ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস।

    জানা যায়, আম্পানের মূল কেন্দ্র দিঘা, উড়িশার পর পশ্চিমবঙ্গ হয়ে অতিক্রম করতে শুরু করে। এ সময় সাতক্ষীরা, খুলনাসহ পশ্চিম উপকূলে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস বয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে জোয়ার শুরু হলে ১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়। এতে প্লাবিত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা।

    প্রবল ঝড়ে গাছচাপায় সাতক্ষীরা শহরে গৃহবধূ, যশোরে ঘুমন্ত অবস্থায় মা-মেয়ে, পটুয়াখালীতে শিশুসহ দু’জন, কলাপাড়ায় নৌকাডুবিতে একজন, পিরোজপুরে দেয়ালচাপায় একজন, ভোলার চরফ্যাসনে গাছচাপায় একজন, বরগুনায় একজন এবং লক্ষ্মীপুরে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    এবারও সুন্দরবন ঢাল হয়ে দাঁড়ানোয় উপকূলীয় জনপদে জীবন ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে দেশের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে, বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অনেক বাঁধ। গাছপালা উপড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এক ঘণ্টার মধ্যেই উপকূলীয় এলাকার ৫১ লাখের মতো গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর আগেও সিডর-বুলবুলের আঘাত আসে সুন্দরবনে। এই সুন্দরবনই বাঁচিয়ে দেয় হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

    এদিকে, আম্পানের সার্বিক পরিস্থিতি গণভবনে বসে পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। গতকাল দুপুরের মধ্যে প্রায় ২৪ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয় বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    আম্পানে তছনছ পশ্চিমবঙ্গ,লন্ডভন্ড কলকাতা/মৃত্যু হয়েছে ১০ থেকে ১২ জনের!

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক সংবাদ : সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় তছনছ হয়ে গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। লন্ডভন্ড কলকাতা। ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে বয়ে চলা আম্পানের তাণ্ডবলীলায় রাস্তায় একের পর এক ভেঙে পড়েছে গাছ।

    বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাও। কারণ বিভিন্ন ট্র্যাফিক লাইটগুলি ভেঙে পড়ে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ২০ মে, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার পর দক্ষিণে তাণ্ডব চালিয়ে যখন উত্তর ২৪ পরগনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, সেইসময় রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সুপার সাইক্লোন আম্পানের তাণ্ডবলীলায় কলকাতায় গাছ পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবেই এই ঘটনা ঘটে। হাওড়ায় ঘরের টিন ভেঙে পড়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়, এছাড়া মিনাখাঁয় এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    বসিরহাটে ঝড়ে নারকেল গাছ চাপা পড়ে ৪ জন হতাহতের খবর জানা গেছে। তাছাড়াও মেনকা মিনাখা হিঙ্গলগঞ্জ সন্দেশখালি হাসনাবাদ হাড়োয়া সহ আশেপাশে এলাকার কমপক্ষে ৫ হাজার ২শ টি মাটির তৈরি ঘর ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসক।

    এদিকে ঝড়ের তান্ডব শুরু হওয়ার আগেই বুধবার সকালে দিঘাতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়। একেবারে গার্ডওয়াল টপকে আসে জল। বেলা বাড়ার সঙ্গে তা ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়। প্রায় ৪ থেকে পাঁচ ফুট চেহারা নেয় ঢেউয়ের। আর তার সঙ্গে বাড়তে থাকে ঝোড়ো হাওয়া। যার কারণে বহু জায়গায় বোল্ডার একেবারে রাস্তার উপরে চলে আসে।

    এরপর যখন ল্যান্ডফল শুরু হয় তখন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে পরিস্থিতি। বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে। যার কারণে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, দিঘায় প্রচুর ঝাউ গাছের উপড়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাস্তার দুধারে সেগুলি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ খুঁটিগুলিও ভেঙে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দোকানগুলিরও।

    ঝড়ের পর মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে জানিয়েছেন, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রশাসন সাধারণ মানুষের সাহায্যে ৫ লক্ষ মানুষকে সরাতে পেরেছি। দঃ ও উত্তর ২৪ পরগণা প্রায় ধ্বংস ঝড়ের দাপটে। গাছ পড়ে মানুষ মারা গেছেন। মোট ক্ষতি এখনও গণনা করা যায়নি।

    অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই। পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কাকদ্বীপ, কুলতলি, বারুইপুর, সোনারপুর সব জায়গায় ধ্বংসের ছবি। রাজারহাট, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, হাবড়া সব জায়গাই বিপর্যস্ত।’

    ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার’এর খবরে বলা হয়, এখন পর্যন্ত পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।’ ধ্বংসের হাত থেকে উন্নয়নের পথে আবার সবাইকে শামিল করে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স