Tag: আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন

  • টার্ফ ধীরে ধীরে ক্রীড়া বিনোদনের অনন্য মাধ্যম হয়ে উঠছে- আ জ ম নাছির

    টার্ফ ধীরে ধীরে ক্রীড়া বিনোদনের অনন্য মাধ্যম হয়ে উঠছে- আ জ ম নাছির

    বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালক চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন , ক্রীড়া বিনোদনের ক্ষেত্রে টার্ফ সংস্কৃতি ধীরে ধীরে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠছে।এই নাাগরিক জীবনে এক চিলতে জায়গা থাকলে সেখানে মানুষ ভবন বা বিভিন্ন বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করে রাখছে। এতে করে খেলাধুলার সংস্কৃতি সংকট দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। বানিজ্যিক উদ্দেশ্য থাকলেও টার্ফের প্রতি মানুষের দুর্বলতা তৈরি হচ্ছে। মোবাইল আসক্ত প্রজন্মকে ক্রীড়াসক্ত প্রজন্ম তৈরির ক্ষেত্রে বর্তমানে টার্ফ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। আমার জানামতে, মহানগরের কর্নফুলী বাজার এলাকায় প্রথম টার্ফ তৈরি হয়। সেটি ঘন্টায় তিন হাজার টাকা ভাড়াতে চলত। আর বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে নির্মিত টার্ফগুলো মাত্র নয়শ টাকা ঘন্টায় ভাড়া দেয়া হচ্ছে। এতে করে শুধু উচ্চবিত্তরাই নয় নিম্নবিত্তরাও টার্ফ ব্যবহার করতে পারবে।

    শুক্রবার ১৫ ডিসেম্বর বিকালে বোয়ালখালী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এলাকায় মাওয়া গ্রুপের অর্থায়নে নির্মিত টার্ফ মাওয়া স্পোর্টস জোন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম -৮ আসন সাংসদ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি।

    মাওয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আলম ববির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী ,বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য বোরহান উদ্দিন মো এমরান, বোয়ালখালী পৌরসভা মেয়র জহুরুল ইসলাম, বোয়ালখালী আওয়ামীলীগ সাবেক সহসভাপতি মো মনছুর আলম পাপ্পি, মো সরওয়ার উদ্দীনসহ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর , বোয়ালখালী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • একক ক্ষমতা থাকলে ডোপ টেস্টে দলীয় পদে নেতা-নেত্রী নির্বাচন করতাম-মেয়র

    একক ক্ষমতা থাকলে ডোপ টেস্টে দলীয় পদে নেতা-নেত্রী নির্বাচন করতাম-মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশে প্রায় ৭০ লক্ষ মাদকসেবী রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই এই প্রজন্মের যুব সমাজ। যা জাতির জন্য একটি অশানি সংকেত। এ থেকে উত্তোরণ ঘটাতে তিনি সমাজপতি, পরিবার ও পরিবারের কর্তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর দলের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার যদি একক ক্ষমতা থাকতো, দলের নেতা-নেত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট (মাদক গ্রহণ করেছে কি না তার পরীক্ষা) এর মাধ্যমে দলীয় পদে স্থান দিতাম।সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান

    তিনি আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ সিডিএ এলাকায় উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ(সিএমপি), চট্টগ্রাম এর কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন বাচ্চু, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ারা আলম, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ, আরাসকা সিডিএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লিয়াকত আলী।

    এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুকুল হক। এছাড়া কাউন্সিলর আবদুল কাদের, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, ফারহানা জাবেদ, কমিউনিটি পুলিশি এর সভাপতি অহিদ সিরাজ চৌধুরী সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনীতিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন। এতে যারা জড়িত তাদের পার পাওয়ার কোন পথ নেই। এই ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের অনড় অবস্থানের কারণে দলের কেউ সন্ত্রাসী,মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গীদের স্থান দিলেও তাতে রক্ষা পাওয়া যাবেনা।

    মেয়র বলেন, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদের ধারাবাহিকতায় দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষণীয়। উপস্থিত এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন মাদকাসক্ত পরিবার,সমাজ ও দেশের জন্য অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে পরিবারকে মাদকমুক্ত রাখতে হবে। এর জন্য পরিবারের প্রধান বা অভিভাবককে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে।

    তিনি বলেন যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে, এরা আপনার আমার সন্তান। এদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই ব্যবসা থেকে ফিরিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করার সুযোগ করে দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসয়ীদের তালিকা রয়েছে। এই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শিঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মেয়র সংশিষ্টদের সতর্ক করে দেন।

    মেয়র বলেন, নগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ওয়ার্ড,থানা কমিটি বা কোন নেতৃত্বে স্থান দেওয়া হবে না। মাদকের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী আমাদের দলের সুনাম নষ্ট ও দেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টায় রয়েছে।

    তাই আমাদের সন্তানরা কি করছে, কোথায় যাচ্ছে,সেটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মিত হবে।

    তিনি বলেন,পুলিশ বাহিনী সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহবান জানান মেয়র।

    চট্টগ্রাম এর নব নির্মিত কার্যালয়টি উদ্বোধনের ফলে অত্র এলাকার জনসাধারনের নিরাপত্তা ও দ্রুত পুলিশিং সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে মেয়র ও পুলিশ কমিশনার উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) এর নব নির্মিত কার্যালয়ের ফলক উম্মোচন করেন।