Tag: আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন

  • রমজান মাসব্যাপী অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সেহেরি-ইফতার বিতরণ করছে আলোর আশা

    রমজান মাসব্যাপী অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে সেহেরি-ইফতার বিতরণ করছে আলোর আশা

    বরাবরের মতই এইবারও স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন “আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন” নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পথ শিশু ও কর্মহীন মানুষদের জন্য। তার’ই ধারবাহিকতায় আলোর আশার উদ্দ্যোগে রমজান মাস ব্যাপী অসহায় ও পথশিশুদের জন্য সেহেরী ইফতারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    করোনা প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব আজ লকডাউন,থমকে আছে প্রতিটা শ্রমজীবী পরিবার। ঠিক সে সময়ে কর্মহীন অসহায়, গরীব, দুস্থদের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষদের জন্য কল্যাণমূলক সংগঠন ‘আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন’।

    সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুরাদ শামসুল আলম খাঁন বলেন, সকলের ব্যক্তিগত অর্থ, সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগীতায় এখন পর্যন্ত আমরা ২৪৭ পরিবার কে ত্রাণ দিয়েছি এছাড়া রমজানে ৭২ পরিবারকে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

    আলোর আশার প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহি ফয়সাল বলেন মাহে রমজান উপলক্ষে বরাবরের মত এবছরও মাসব্যাপী আমরা অসহায় মানুষদের মাঝে ইফতার ও সেহেরী বিতরণ করছি। প্রায় প্রতিদিনই কমপক্ষে ১০০ জন অসহায় মানুষকে ইফতার বিতরণ করছি। মধ্যরাতে আমাদের সদস্যবৃন্দ সারা শহর ঘুরে রাস্তায় পড়ে থাকা ক্ষুধার্ত্ব মানুষকে খাবার বিতরণ করে আসছে।আমাদের এই কার্যক্রম সারামাস ব্যাপী চলবে।

    আলোর আশার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংগঠন “আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন” সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের নিয়ে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডও পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় পরিবারে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন রোজাদারদের ইফতার বিতরণ করা এছাড়া অসহায় পরিবারদের মাঝে শুকনা খাবার পৌঁছানো হয়েছে যেন রমজানে রোজা রাখতে কারো অসুবিধা না হয়৷

    আমাদের এই মানবিক কাজে যারা আমাদের সহযোগিতা করছেন তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সংগঠনের পরিচালকবৃন্দ। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কখনো আমাদের এই মানবিক কাজ গুলো সম্ভব হতো না৷

    এছাড়া মাঠ পর্যায়ে যারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উক্ত সংগঠনের হয়ে তারা হচ্ছেন, মোরশেদ আহমেদ শান্ত, আব্দুল্লাহ আল নোমান, কুতুবউল্লাহ শাহ সোহেল, মুক্তা শিকদার, সুমন দাশ সহ আরো অনেকে।

    প্রতিদিন ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে সংগঠনের পক্ষ থেকে সারাদেশবাসী ও আলোর আশার সকল সদস্যদের জন্য দোয়া করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সুবিধাবঞ্চিত ও মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারের পাশে ‘আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন’

    সুবিধাবঞ্চিত ও মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারের পাশে ‘আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন’

    প্রাণসংহারী নভেল করোনা (কভিড-১৯) ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সুবিধাবঞ্চিত ও মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন।

    এই ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রচার চালানোর অংশ হিসেবে প্রায় ১,০০০ সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে জীবানু নাশক সাবান ও বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছে।

    পাশাপাশি ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও নির্দিষ্ট কিছু সামাজিক শিষ্টাচার পালনের মাধ্যমে সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে পথচারি ও বিভিন্ন বস্তীতে ভাইরাস প্রতিরোধে লিফলেট, হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক বিতরণ ও করেছে।

    এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহি ফয়সাল বলেন, “করোনা যেহেতু সাধারণ মানুষের জন্য নতুন ও অনাকাঙ্ক্ষিত একটি বিষয় তাই এ সংকট মোকাবেলায় আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে যেমনঃ রেল স্টেশন, বস্তি ও মসজিদে সাধারণ মানুষের নিকট সচেতনতার বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পরিকল্পনাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন আমরা একদম মাঠ পর্যায়ে থেকে কাজ করছি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক ডাউন দেয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অনেকের ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দূর্যোগ দেখা দিয়েছে। অনেক অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ না খেয়ে জীবন যাপন করছে কর্মহীনতার কারনে। তাই সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য প্রতিদিন একবেলা খাবার এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের নিকট সাপ্তাহিক বাজার পৌঁছে দিতেই কাজ করছে আমাদের মানবতার সৈনিকরা।

    সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি মুরাদ শামসুল আলম খাঁন বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে ঘনবসতি বাংলাদেশ। এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সর্বপ্রথম রক্ষা করতে হবে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের। আমরা চেষ্টা করেছি স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ঘটাতে, পথশিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করতে, খাদ্য সংকট মোকাবিলায় অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। এ পর্যন্ত প্রায় ২০৩ পরিবারকে সাপ্তাহিক বাজার পৌঁছানো হয়, আলোর আশা সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আমাদের শুভাকাঙ্খীদের সহযোগীতার মাধ্যমে। সমাজের সকল বিত্তবান ও হৃদয়বান মানুষরা এগিয়ে আসলে সম্ভব হবে বাকি পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর।দেশের ক্রান্তিলগ্নে সবকিছু অচল অবস্থায় মধ্যবিত্তদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছানো সম্ভব হতনা! যদি না এগিয়ে আসতো আগ্রবাদ রাইডারস গ্রুপের সকল সদস্য বৃন্দ। তারা আলোর আশার সদস্যদের সাথে একাত্ম হয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে মধ্য বিত্তদের জন্য হাট বাজার উপহার।

    আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশনের সাধারণ
    সম্পাদক শরিফুল ইসলাম বলেন, সারা শহরব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির প্রাণপণ চেষ্টা করছি এবং সম্মিলিতভাবে সব ধরণের সহায়তা নিশ্চিত করছে আমাদের সেচ্ছাসেবীরা। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে লোক সমাগমের স্থানে দিনব্যাপী জীবাণু নাশক স্প্রে করছি। এপেক্স বাংলাদেশ জেলা-০৩ এর সহযোগিতায় সবার কাছে পরিস্কারভাবে হাত ধোয়ার জন্য ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানির ড্রাম ও সাবানের ব্যবস্থা করেছি।বার্তা পৌঁছে দিয়েছি হাত দোয়ার কোন বিকল্প নেই এ ভাইরাস প্রতিহত করতে। আমাদের রয়েছে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ সংক্রমণ প্রতিরোধে যাবতীয় নিয়ম মেনে আমরা মাঠ পর্যায়ে থেকে কাজ করছি এবং করোনা মোকাবেলায় আমাদের পাঁচটি ইউনিট তৈরী করা হয়েছে।

    সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের খাবার বিতরণে রয়েছে তৌফিকুর রহমান ইমন, মানিক আহমেদ, মোহাম্মদ কাইয়ূম। দূর দুরান্তে মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে বাজার পৌঁছাতে কাজ করছে-জোবায়েদ হোসেন, কুতুব উল্ল্যাহ শাহ সোহেল, মোরশেদ আহমেদ শান্ত, সুমন দে, রহিম উল্ল্যাহ, মাহফুজুর রহমান সহ আরো অনেকে।

    এই দূর দুরান্তে বাজার পৌঁছে দিতে আমাদের বাইক সার্ভিস দিচ্ছে আগ্রাবাদ রাইডারস গ্রুপের সকল সদস্যবৃন্দ।

    এছাড়াও মধ্যবিত্ত পরিবারের সার্বিক অবস্থা যাচাই করছে শাহরিয়ার পিপলু ও রিশাত। এছাড়া তথ্য ও ফাইনান্স বিষয় নিয়ন্ত্রণ করছে ওমর ফারুক বিপ্লব, আব্দুল্লাহ আল নোমান, নওশাদ হাসান রাজু ও তৌফিক রবিন। প্যাকিং কার্যক্রমে রয়েছে মুক্তা শিকদারের নেতৃত্বে আলোর আশার অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।

    সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ। এছাড়াও যে-কোনো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফলপ্রসূ কাজ করলে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে দেশের এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব বলে আমাদের বিশ্বাস। এ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন জনগণের পাশে থাকবে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন।অর্থ সংকটে যেন থেমে না যায় আমাদের এই কার্যক্রম তাই সংস্থার পক্ষ থেকে সকল বিত্তবান মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।

  • ভালোবাসা হোক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আলোর আশা

    ভালোবাসা হোক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আলোর আশা

    ভালোবাসা হোক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য এই স্লোগানে ভালোবাসা দিবস উদযাপন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন।

    শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে দিনব্যাপী চট্টগ্রাম ডিসি হিলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় সমাজের নানান অসংগতি ও সমাধান।

    এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত স্কুল অব হিউম্যানিটি এন্ড এ্যানিমেশন তথা সোহা স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীবৃন্দ।

    তারা অভিনয়, নৃত্য ও গানের মাধ্যমে সমাজের নানান সমস্যা ও সমাধান তুলে ধরে। সামাজিক পরিবর্তন সৃষ্টির আহ্বান জানায় তারা সমাজের সকল স্তরের মানুষদের।

    এসময় সংগঠনের সিনিয়র সহ সভাপতি মুরাদ শামসুল আলম খাঁন বলেন, ভালোবাসা দিবসে সবাই যখন নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক তখন আলোর আশা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েকজন তরুণ-তরুণীরা ভালোবাসা ভাগ করে নিয়েছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে এজন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই যারা অতীতে ও বর্তমানে আমাদের সাথে ছিলেন।

    মহৎ এই উদ্দ্যোগের কারণ জানতে চাইলে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহি ফয়সাল বলেন, ভালোবাসা দিবস নয় আমাদের মূলমন্ত্র গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গি দূর করে সামাজিক সচেতনতা তৈরী করা। মানবতা, সুশিক্ষা সচেতনতা এই তিনটি বিষয়ের উপর কাজ করে আলোর আশা। যুব সমাজের পরিবর্তন না হলে কখনো আমাদের সমাজ পরিবর্তন হবে না। যুব সমাজের হাত ধরেই সুন্দর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। এবং আজকের শিশু আগামী বাংলাদেশ আমরা যদি তাদের নৈতিকতা ও সুশিক্ষার আওতায় না আনতে পারি তাহলে এই শিশুদের ভবিষ্যত অন্ধকার ।

    ফয়সাল বলেন, তাদের পাশাপাশি নিজেদের ও পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের সমাজে আমরা যে কোন কাজ আরম্ভ করি কিন্তু ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে শেষ করি না। যাহা অনুষ্ঠান করি তাহা বিশ্বাস করি না আমাদের এসব থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

    তিনি বলেন, শুধুমাত্র কোন দিবস বা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নয় বরং সারাবছর সমাজের অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভালোবাসতে হবে তাদের জীবনের পরিবর্তনের লক্ষ্যে সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা সুন্দর এক বাংলাদেশ বিনির্মান করতে পারবো।

    শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার ও বিভিন্ন উপহারের ব্যবস্থা করেন আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন এর ত্রাণ দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক কামরুন নাহার।

    এদিকে এমন আয়োজনে উদ্বুদ্ধ হয়ে আগত দর্শকবৃন্দ শিশুদের গোলাপ ফুল ও চকলেট দিয়ে ভালোবাসা বিনিময় করেন।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আলোর আশার সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুর রহমান ইমন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ কুতুব উল্লাহ শাহ-সোহেল, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ হাসান রাজু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নওরীন নেওয়াজ। সংগঠনের শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফাহমিদা আক্তার, সাইমুন আক্তার, মুক্তা শিকদার ও রাশেদ উল্ল্যাহ সহ আরো অনেকে।

    উপস্থিত সকলে বলেন বলেন, সবাই যখন তাদের আপনজনদের নিয়ে ভালোবাসা বিনিময় করে তখন আমরা আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালোবাসা ভাগাভাগি করি। আজ আড়াই বছরে ওরা আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছে। ভালোবাসা প্রতিটি মানুষের অধিকার।সেই ভালোবাসা বঞ্চিত হয় এই শিশুরা ওরা ওদের মৌলিক অধিকার সম্পূর্ণ পায় না ঠিকভাবে।

    সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে তাই আমরা সমাজের সকল মহলকে বলি ভালোবাসা হোক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য। এজন্য আমরা চেয়েছি আজকের দিনটি সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও সোহা শিক্ষার্থীদের অমর করে রাখতে। আমরা বিশ্বাস করি গতানুগতিক দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন সম্ভব।

  • রাজশাহীতে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন’র উদ্দ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

    রাজশাহীতে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন’র উদ্দ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

    আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার অন্তর্ভুক্ত হলিদাগাছী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে, হলিদাগাছী জাগির পাড়া গ্রামের হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

    জাগিরপাড়া রাজশাহী অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। যেখানে দারিদ্রতা ও নিরক্ষরতার হার অনেক বেশী। শৈত্য প্রবাহ জনিত কারণে সেখানকার শিশু ও বৃদ্ধরা অনেক বেশী কষ্ট পাচ্ছিল। এই বিষয়টি আলোর আশা ফাউন্ডেশনকে অবগত করেন রাজশাহী শাখার প্রধান আহবায়ক মোঃ জাহিদ হাসান। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অসহায় পরিবারদের জন্য সূদর চট্টগ্রাম থেকে পরিচালিত আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারদের পাশে এগিয়ে আসে।

    শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা মোঃ সালাউদ্দিন মিন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন চারঘাট উপজেলা আওয়ামিলীগ এর সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকার সংস্থা “হিউম্যানিটি এন্ড ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল” এর চেয়ারম্যান মোঃ আরিফুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আফতাব উদ্দিন খান, আশরাফুল ইসলাম, শহীন আলম।

    এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হিমেল, সজীব, আঁখি, আতিকুর সহ আলোর আশা ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

    অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হলিদাগাছী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রুবেল।

    এ সময় মোঃ জাহিদ হাসান বলেন, সূদর চট্টগ্রাম থেকে পরিচালিত আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন অসহায় মানুষের কল্যাণে সারাদেশে কাজ করছে। সমাজের সকল বিত্তবান ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ আমাদের পাশে এগিয়ে এলে আমরা এই গ্রামেও শিশুদের সোহা স্কুল চালু করবো যার মাধ্যমে সমাজের অসহায় শিশুরা পড়াশুনা করবে এবং কোন শিশু যেন পড়াশুনা হতে ঝরে না পড়ে তার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহি ফয়সাল, সিনিয়র সহ সভাপতি শামসুল আলম খাঁন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম এর নিকট। ওনাদের সহযোগিতায় আমরা এই মহৎ কার্যটি সম্পূর্ণ করেছি এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো কার্যক্রম করব ইনশাআল্লাহ।

    এই শৈত্যপ্রবাহের মাঝে কম্বল পেয়ে অসহায় পরিবারদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের মধ্যে রহিমা বলেন এই গ্রামে এই প্রথম আমরা কোন সহযোগিতা পেয়েছি, ছেলেপুলে নিয়ে এবার একটু আরামে থাকবো। রহিমার মত আগত সকলে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশনের সকল সদস্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।

    এসময় বিশেষ অতিথি আরিফুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী শহরে হিউম্যানিটি ওয়াচ ইন্টারন্যাশনাল অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে পাশাপাশি আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশনও কাজ করে যাচ্ছে। জাগিরপাড়া গ্রামের কোন হতদরিদ্র মানুষ অসুস্থ হলে আমরা যৌথভাবে তার চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করবো।

    পরিশেষে প্রধান অতিথি সালাউদ্দিন মিন্টু সকল বক্তার সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন এর পাশে সবসময় থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দেন এবং সেইসাথে শিক্ষার্থী ঝড়ে পরা রোধে সংগঠন গুলোর পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরো এগিয়ে আসার আহ্বান করেন যার মাধ্যমে আমরা সত্যিকার অর্থে গড়ে তুলতে পারবো সুন্দর এক সোনার বাংলাদেশ।

  • সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

    সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

    মানবিক ডাঃ মুকিত ওসমান চৌধুরীর নিজস্ব উদ্যোগে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত স্কুল অব হিউম্যানিটি এন্ড অ্যানিমেশন সোহা স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।

    ডা: মুকিত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ই এন্ড টি বিশেষজ্ঞ। প্রায় প্রতি মাসেই তিনি অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য নিজ উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করে থাকেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোহা স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণের আয়োজন করেন।

    ডাঃ মুকিত ওসমান চৌধুরী বলেন, গতবারের চেয়ে এইবার সোহা শিক্ষার্থীদের নাক কান গলার সমস্যা কমে এসেছে। মানবিক সেবা অব্যাহত থাকলে এই বাচ্চাদের রোগের হার আরো কমে আসবে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে৷

    এসময় ডাঃ মুকিত ওসমান চৌধুরী এর সাথে সহযোগিতায় ছিল চট্টগ্রাম হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের বিএসসি ইন নার্সিং নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

    শিরিন শিলা ও শামসুন নাহার বলেন, বাচ্চাদের মাঝে এলার্জি, ও চোখের সমস্যা বেশী দেখা যাচ্ছে। তাদের জন্য নাক, কান, গলার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা গেলে তারা পরিপূর্ণ সুস্থ থাকবে বলে আশা করা যায় ।

    এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান মুহাম্মদ আনোয়ার এলাহি ফয়সাল, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আক্তার ও মৌসুমি আক্তার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নওরীন নেওয়াজ, স্কুল অব হিউম্যানিটি এন্ড এ্যানিমেশন সোহা স্কুলের শিক্ষকবৃন্দদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মুক্তা শিকদার, মেহরুন ইসলাম তাসনুভা, ফাহমিদা আক্তার, মেহজাবিন শবনম , রাশেদ উল্যাহ, অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এপেক্সিয়ান ইমতিয়াজ মোরশেদ খাঁন, রোটারিয়ান মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।

    সোহা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ শেষে তাদেরকে পড়াশুনার প্রতি আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। এবং আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আক্তার ও মৌসুমি আক্তার বাচ্চাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ধারণা দেন৷ বাচ্চাদের শীতকালীন পিঠা বিতরণের মাধ্যমে মানবতার এই মহৎ কার্যটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

  • কুতুবদিয়ায় এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশনের কম্বল বিতরণ

    কুতুবদিয়ায় এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশনের কম্বল বিতরণ

    কুতুবদিয়ায় এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ সহ ব্যতিক্রম আয়োজন ছিল চট্টগ্রামের আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশনের।

    শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার উত্তর ধুরুং ওমর ইবনে খাত্তাব হেফজ এতিম খানা ও মাদ্রাসায় আয়োজনটি করা হয়।

    ওমর ইবনে খাত্তাব মাদ্রাসা,ফুডার পাড়া হেফ্জ ও এতিম খানা,ধুরুং বাজার ফয়জুল উলুম হেফ্জ খানা মাদ্রাসা ও আলী আকবর ডেইল রওশনিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার মোট ৬০ জন এতিম ছাত্রসহ ৩টি অসহায় পরিবারের মাঝে ৭০ টি কম্বল বিতরণ করা হয়। একই সাথে এতিমদের হাতে তুলে দেয়া হয় শীত নিবারণে গরম টুপি ও ভ্যাসলীন। এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে উন্নতমানের খাবারের আয়োজনও করে আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন (চট্টগ্রাম) এর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম খান মুরাদ, সার্ক মানবাধিকারের চট্টগ্রামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাশেদ উল্লাহ ,কুতুবদিয়া অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক এম. এ মান্নান, আলো আশার আজীবন সদস্য নাজমা উল হুসনা ,রক্তের বন্ধন কুতুবদিয়ার সমন্বয়ক মো: শাহনেওয়াজ,ওমর ইবনে খাত্তাব মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল মান্নান,মাওলানা আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আমান উল্লাহ,হাফেজ মোহাম্মদ ইউসুফ, হাফেজ আনিছুর রহমান, হাফেজ মোহাম্মদ শফি,হাফেজ আবু রায়হান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।