Tag: আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী

  • এক নজরে আল্লামা শাহ আহমদ শফী

    এক নজরে আল্লামা শাহ আহমদ শফী

    আল্লামা শাহ আহমদ শফী একজন ইসলামি ব্যক্তিত্ব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আমির। তিনি একইসঙ্গে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। তিনি হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের মহাপরিচালক ছিলেন।

    শাহ আহমদ শফী চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম ও ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় শিক্ষালাভ করেন। শফী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

    ছাত্র বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হয়।

    শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

    জন্ম ও শিক্ষা : তিনি ১৯৩০ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ১৩৫১ হিজরি সনে বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে এক অভিজাত, সম্ভ্রান্ত ও ঐতিহ্যবাহী দ্বীনদার আলেম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। শরফভাটা মাদরাসায় প্রাথমিক কিতাব পাঠ করেন। এরপর আল জামিয়াতুল আরাবিয়া ইসলামিয়া জিরি মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে পাঁচ-ছয় মাস অধ্যয়ন করেন। ১৩৭১ হিজরিতে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে ভর্তি হন। এখানে এসে তিনি একাধারে ১০ বছর কৃতিত্বের সাথে উর্দু, ফার্সি, আরবি ভাষা ও সাহিত্যসহ ইলমে নাহু, ইলমে সরফ, ইলমে ফিকাহ, মানতিক (যুক্তিবিদ্যা), ফালসাফা (দর্শনবিদ্যা), বালাগাত (অলঙ্কারবিদ্যা) প্রভৃতি বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জন করতে সম হন।ওই বয়সে কিছুদিনের মধ্যে তিনি পিতা-মাতা উভয়কে হারান। ওই সময় তিনি শায়খুল আরব ওয়াল আজম, সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানীর হাতে বায়আত গ্রহণ করেন। অল্প সময়েই তিনি খেলাফতপ্রাপ্ত হন।

    দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে তিনি মিশকাত শরিফ, জালালাইন শরিফ ইত্যাদি কিতাব পড়া শেষ করেন। এরপর ইলমে হাদিস ও ইলমে তাফসিরের উচ্চতর শিক্ষা হাসিল করার অদম্য বাসনা নিয়ে ১৩৭১ হিজরি সালে ছুটে যান ইসলামি শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র, দ্বীনি বিদ্যানিকেতন দারুল উলুম দেওবন্দে। দারুল উলুম দেওবন্দে হজরত ফুনুনাতে আলিয়া, দাওরায়ে হাদিস, দাওরায়ে তাফসিরের কোর্স অধ্যয়ন করেন।

    দেওবন্দে অধ্যয়নকালে তিনি যাদের সংশ্রবে ধন্য হন, তাদের মাঝে প্রথমেই উল্লেখ্য শায়খুল আরব ওয়াল আযম, আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আল্লামা হুসাইন আহদ মাদানী রাহ:-এর নাম। দেওবন্দে অধ্যয়নরত অবস্থাতেই এই মহা মনীষীর হাতে বাইয়াত গ্রহণকরত খেলাফতপ্রাপ্ত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন।

    কর্মজীবন : আল্লামা শাহ্‌ আহমদ শফী একাধারে চার বছর অধ্যয়ন ও বিশ্ববিখ্যাত ধর্মগুরুদের পদাঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে হাদিস, তাফসির, ফিকাহশাস্ত্র বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি আল্লামা মাদানির প্রতিনিধি হয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন।

    দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর তিনি তার পরম হিতাকাক্সী ওস্তাদ জামিয়ার তৎকালীন মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আবদুল ওয়াহ্হাব রাহ:-এর সাথে সাাতে মিলিত হন। আল্লামা আবদুল ওয়াহ্হাব রাহ: তার উচ্চরিত্র মাধুরী, অসংখ্য গুণাবলির দ্বারা ভূষিত জ্ঞান-প্রজ্ঞা, পাণ্ডিত্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি, উৎকৃষ্ট বোধশক্তি, সততা, উদারতা, আত্মত্যাগ, ইখলাস ও দায়িত্ব সচেতনতা সর্বোপরি ইলমের গভীরতা অবলোকন করে অত্যন্ত বিমোহিত হন। ফলে অত্র জামিয়ার শীর্ষ পদে হজরতকে নিয়োগ দান করেন। ১৪০৭ হিজরি সালে তদানীন্তন জামিয়ার মহাপরিচালক হাফেজ কারি আল্লামা হামেদ রাহ: পরলোক গমন করলে জামিয়ার সর্বোচ্চ মজলিসে শূরার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জামিয়া পরিচালনার গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয় শাহ্ আহদ শফীর ওপর।

    তিনি দারুল উলুম হাটহাজারীতে শিক্ষতায় যোগদান করেন এবং বিগত ২৭ বছর ধরে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্রের সাথে দীর্ঘ দিন যুক্ত থাকার কারণে সারা দেশে তার রয়েছে লাখ লাখ ছাত্র, মুরিদ, ভক্ত ও খলিফা। কওমি ধারার ৪০ হাজার মাদরাসার প্রায় প্রত্যেকটির শিক্ষকতা ও পরিচালকের পদে রয়েছে তার অগণিত ছাত্র। এ ছাড়াও তার শত শত খলিফা বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আরো লাখ লাখ ভক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দেশের সর্বত্র এবং বহির্বিশ্বের অনেক স্থানেই। দেশের ওলামা-মাশায়েখ এবং ইসলামি রাজনীতির সাথে জড়িত শীর্ষ আলেমদের মধ্যে সমবয়সী দুই-একজন ছাড়া প্রায় সবাই তার ছাত্র, মুরিদ অথবা ভক্ত।

    আন্দোলনে নেতৃত্ব : অনসৈলামিক কর্মকাণ্ড বন্ধ ও ইসলামী প্রচারণার জন্য আল্লামা শফি ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গঠন করেন।

    ভারতে বাবরী মসজিদ ধ্বংস, ফারাক্কা বাঁধ, তাসলিমা নাসরীন ইস্যু, সরকারের ফতোয়া বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তৎকালীন সময়ে আল্লামা শফি ছিলেন প্রথম সারিতে। ওই সময় মরহুম শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. সহ শীর্ষস্থানীয় আলেমদের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন আন্দোলন করে।

    গ্রন্থাবলী : উর্দু : ১. ফয়জুল জারী ২. আল-বায়ানুল ফাসিল বাইয়ানুল হক্ব ওয়াল বাতিল ৩. ইসলাম ও ছিয়াছাত ৪. ইজহারে হাকিকাত বাংলা : ১. হক ও বাতিলের চিরন্তন দ্বন্দ্ব ২. ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা ৩. ইসলাম ও রাজনীতি ৪. সত্যের দিকে করুন আহবান ৫. সুন্নাত ও বিদ’আতের সঠিক পরিচয়।

    মৃত্যু: রাজধানীর আজগড় আলী হাসপাতালে ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিঃ সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নেয়া হচ্ছে আল্লামা শফীকে

    এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নেয়া হচ্ছে আল্লামা শফীকে

    হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আজ দুপুরে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বিকেল চারটায় আল্লামা শফীকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    জানা যায়, হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শফী।

    রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
    সকালে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ডে বসেন।

    দেশের শীর্ষ এ আলেমের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাকে ঢাকার আজগর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে চমেক হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, আল্লামা শফীর অবস্থা সংকটাপন্ন। বৃহস্পতিবার অক্সিজেন হার্টে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। একই সাথে ফুসফুসে পানি জমেছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ কওমী আলেম আল্লামা আহমদ শফীর শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ।

    ১০৫ বছর বয়সী এ প্রবীণ আলেম ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। ফলে প্রায় ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। গত কয়েক মাসে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিলে একাধিক বার চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নিতে হয় বড় হুজুরখ্যাত আল্লামা শফীকে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আল্লামা শফী ফের আইসিইউতে

    আল্লামা শফী ফের আইসিইউতে

    বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ফের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন হেফাজত ইসলামের আমির আহমদ শফী।

    সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখেছেন বলে জানান তার ছেলে আনাস মাদানী।

    গণমাধ্যমকে তিনি জানান, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে আহমদ শফীকে চেকআপ করাতে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

    এর আগে, ৭ জুন অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।

    আইসিইউতে সপ্তাহখানেক চিকিৎসা নিয়ে ১৬ জুন তিনি হাটহাজারি দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় ফিরে যান।

    এর আগে ১১ এপ্রিল অসুস্থ শফীকে চট্টগ্রামের বেসরকারি সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নেয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সুস্থ হয়ে নিজ মাদ্রাসায় ফিরলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি

    সুস্থ হয়ে নিজ মাদ্রাসায় ফিরলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফি

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:আবারও সুস্থ হয়ে নিজ মাদ্রাসায় ফিরলেন আল-জামিআতুল দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

    শারীরিকভাবে সুস্থতা বোধ করায় আজ সোমবার (১৫ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হতে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

     

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পুত্র হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী।

    চলতি মাসের ৭ তারিখ বার্ধক্য জনিত অসুস্থ্য নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চমেক হাসপাতালের আইসিইউ সহযোগী অধ্যাপক ডা. ঘারুন উর রশিদ সহ গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

    উল্লেখ্য ১০৩ বছরের অধিক বয়সী আল্লামা শাহ আহমদ শফী চলতি বছরে মাথা ব্যাথা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস, রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কারণে নানা সমস্যা নিয়ে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পারভেজ

  • সংকটাপন্ন অবস্থায় চমেকের আইসিইউতে ভর্তি আল্লামা শফি

    সংকটাপন্ন অবস্থায় চমেকের আইসিইউতে ভর্তি আল্লামা শফি

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বার্ধক্য জনিত কারণে অসুস্থ্য হয়ে দেড় মাসের ব্যবধানে আবারো হাসপাতালে ভর্তি হলেন আল-জামিআতুল দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

    আজ রবিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮ টার দিকে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পুত্র হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী বলেন হুজুর বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভূগছেন। এসময় দেশে বাসীর কাছে হুজুরের সুস্থ্যতার জন্য দোয়া চেয়েছেন তিনি।

    উল্লেখ্য ১০৩ বছরের অধিক বয়সী আল্লামা শাহ আহমদ শফীেক মাথা ব্যাথা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস, রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কারণে নানা সমস্যা নিয়ে এ বছরের ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ এপ্রিল সুস্থ্য হয়ে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসায় ফিরে আসেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পারভেজ

  • চিকিৎসা শেষে নিজ মাদ্রাসায় ফিরলেন আল্লামা শফী

    চিকিৎসা শেষে নিজ মাদ্রাসায় ফিরলেন আল্লামা শফী

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহা পরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমির আল্লামা শাহ আহম্মদ শফীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৪ এপ্রিল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমানে হুজুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

    আজ রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তাঁকে হেলিকপ্টার যোগে হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে আনা হয়।

    আজগর আলী হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. মতিউর ইসলামের তত্ত্বাবধানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হুজুরের ব্যক্তিগত সচিব মাওলানা শফিউল আলম।

    উল্লেখ্য গত ১১ এপ্রিল (শনিবার) ১০৩ বছরের অধিক বয়সী আল্লামা শাহ আহমদ শফী মাথা ব্যাথা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কারণে নানা সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসা ও শারীরিক চেক অ্যাপের জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পারভেজ

  • এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে আহমদ শফীকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি

    এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে আহমদ শফীকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি

    হাটহাজারী প্রতিনিধি: বিগত কয়েক দিন ধরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রামের সিএসসিআর হসপাতালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মো: ইব্রাহীম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহা পরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমির আল্লামা শাহ আহম্মদ শফী।

    তবে হুজুরের বর্তমান শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা ভাল হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা এবং শারীরিক অবস্থা চেক আপের জন্য ঢাকার আজগর আলী মেডিকেলে হুজুরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব মাওলানা শফিউল আলম।

    আজ মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১ টায় চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম হতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, গত শনিবার (১১ এপ্রিল) ১০৩ বছরের অধিক বয়সী আল্লামা শাহ আহমদ শফী মাথা ব্যাথা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কারণে নানা সমস্যা নিয়ে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি হন। চলতি বছরে এর আগেও কয়েক দফা অসুস্থ্য হয়ে তিনি ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন ।