Tag: আল-জাজিরা

  • কাবুলে ঢুকছে তালেবান যোদ্ধারা

    কাবুলে ঢুকছে তালেবান যোদ্ধারা

    মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দ্রুতগতিতে আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সব শহরের দখল নিয়েছে তালেবান। তাদের সামনে বাকি ছিল রাজধানী কাবুল। অবশেষে এটির দখল নিতে শহরে প্রবেশ শুরু করেছে তালেবান যোদ্ধারা। তবে তার আগে এক বিবৃতিতে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কাবুল দখলে তারা ‘শক্তি প্রয়োগ করতে চায় না’। খবর আল জাজিরার।

    রবিবার দুপুরের দিকে চারদিক থেকে রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে শুরু করেন তালেবান যোদ্ধারা।

    কাবুলে প্রবেশের খবর তালেবানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

    খবরে বলা হয়েছে, কেউ যদি কাবুল ছাড়তে চায় তাহলে তাকে নিরাপদ রাস্তা করে দেয়ার জন্য যোদ্ধাদের নির্দেশ দিয়েছেন তালেবান নেতারা।

    আজ সকালে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের রাজধানী শহর জালালাবাদ দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা। জালালাবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। এরপর যেকোনো সময় তালেবান কাবুলে প্রবেশ করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। সে আশঙ্কা সত্যি হলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই।

    এদিকে, রবিবার কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান এক নেতা যোদ্ধাদের হিংসা থেকে বিরত থাকার এবং কাবুল ত্যাগ করতে ইচ্ছুকদের নিরাপদ রাস্তা তৈরি করে দেয়ার নির্দেশ দেন।

    কাবুলে প্রবেশের আগে এক বিবৃতিতে তালেবান বলেছে, তারা তাদের বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের গেট অতিক্রম না করতে এবং জোর করে শহর দখল না করতে।

    তালেবান জানায়, ‘কারও জীবন, সম্পত্তি এবং সম্মানে আঘাত না করে নিরাপদে তাদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আলোচনা চলছে।’

    এছাড়া তালেবান ব্যাংক, ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে আরেকটি বিবৃতিতে বলেছে যে, তাদের সম্পত্তি, অর্থ এবং প্রতিষ্ঠানগুলি সশস্ত্র গোষ্ঠী আক্রমণ করবে না।

    তবে তালেবানের আশ্বাস সত্ত্বেও লোকেরা শহরের রাস্তা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এবং বাড়ি যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে।

    তালেবানদের রুখতে আশরাফ ঘানি সরকার পাল্টা আক্রমণ করবে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

  • আলজাজিরার প্রতিবেদন:বার্গম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন

    আলজাজিরার প্রতিবেদন:বার্গম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন

    ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনের জন্য আলজাজিরা টেলিভিশনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার আবেদন করা হয়েছে ঢাকার আদালতে।

    মামলার আবেদনে আসামি করা হয়েছে আলজাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোস্তেফা সউয়াগ, শায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে।

    বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে মামলার আবেদন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক।

    বাদীর জবানবন্দি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত আছেন।

    ‘১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী ভুয়া মিথ্যা তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন প্রচার করে এবং ওই প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, যা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে।’

    আরজিতে আরও বলা হয়, ‘আসামিরা তাদের এহেন অবৈধ ষড়যন্ত্রমূলক অবৈধ কার্যক্রমের দ্বারা দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে, যা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ।

    ‘যা সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশিত আসামিসহ তাদের নেপথ্যের মদদদাতা, অর্থের জোগানদাতা ও মূল পরিকল্পনাকারীদের নাম-ঠিকানা উদ্ঘাটনসহ উপযুক্ত আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া একান্ত প্রয়োজন।’

  • আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত চায় বিএনপি

    আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত চায় বিএনপি

    বাংলাদেশকে নিয়ে প্রকাশিত আল জাজিরার প্রতিবেদনের অভিযোগের বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। বুধবার বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই দাবি জানান।

    তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার প্রতিবেদন শাসনের অভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন তথা দুঃশাসনের এক বিশাল ক্যানভাসের কেবলই ক্ষুদ্র চিত্র, রাষ্ট্র ক্ষমতার চরম অপব্যবহার ও মাফিয়া সংস্কৃতির এক অতি ক্ষুদ্রাংশ, রাষ্ট্রযন্ত্রকে কুক্ষিগত করে ক্ষমতার দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখার ভয়ানক প্রক্রিয়ার এক অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ এবং লাগামহীন সাগরসম দুর্নীতির একটি ট্রিপ অব দ্য আইসবার্গ। দেশের চলমান এই শ্বাসরুদ্ধকর বাস্তবতায় বিএনপি এসব মনে করে।’

    খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘একদিকে সরকার আল জাজিরার পুরো প্রতিবেদনকেই মিথ্যা ও বানোয়াট বলে নাকচ করে দিয়েছে। অপরদিকে দায়সারাভাবে জাতিসংঘের কর্তৃক তদন্ত আহ্বানে অনাপত্তি জানিয়ে বলেছে, তদন্ত হতেই পারে, এ ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আবার অন্যদিকে আল জাজিরার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে তথ্যগত ভুল আছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরবো এবং আমরা মামলা করবো।’

    তিনি বলেন, ‘আল জাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই না করেই সরকার প্রতিবেদনটিকে ঢালাওভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অথচ সঠিক তথ্যের প্রকাশই হচ্ছে ভুল তথ্যের জবাব। আর অপ্রচার থেকে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের উপায়ও হচ্ছে আসল সত্য তুলে ধরা। কিন্তু সরকার প্রতিবেদনের মূল বিষয় বস্তু উহ্য রেখে খণ্ডিত তথ্য অথবা প্রান্তিক বিষয়ের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব প্রকাশ করে চলছে। যদিও তথ্যচিত্রটি সম্প্রচারের আগে অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল, যা তারা উপেক্ষা করেছে।’

    গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

    সংবাদ সম্মেলনের পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এতে সিঙ্গাপুর থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

  • আল-জাজিরা ইস্যুতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

    আল-জাজিরা ইস্যুতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

    কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং বাংলাদেশকে নিয়ে করা প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর বিষয়ে মতামত শুনতে ৬ জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
    এ জন্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

    এ সংক্রান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এ আদেশ দেন।

    ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন- এজে মোহাম্মদ আলী, কামালুল আলম, আবদুল মতিন খসরু, ফিদা এম কামাল, শাহদীন মালিক ও প্রবীর নিয়োগী।

    শুনানি চলাকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেছেন, বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ এরইমধ্যে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখেছেন। বিটিআরসি এতদিন কী করল, আপত্তিকর কিছু সম্প্রচার বন্ধের বিটিআরসির ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রাখা হচ্ছে? এখন এগুলো বন্ধ করা না করা সমান।

  • আল-জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবে বাংলাদেশ

    আল-জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিবে বাংলাদেশ

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে সরকার।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন আজ এখানে তার দফতরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই মিথ্যা খবর প্রচারের জন্য আল জাজিরার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারি।’

    লন্ডন ও অন্যান্য স্থানে কর্মরত সক্রিয় উগ্রপন্থী ও তাদের সহযোগীদের উসকানিতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টিার’স মেন’ শিরোনামে আল জাজিরা নিউজ চ্যানেলের গত সোমবার প্রচারিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, মানহানিকর এবং বেপরোয়া ও নোংরা অপপ্রচার যা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার এটি প্রত্যাখ্যান করছে।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রতিবেদনটি এক গুচ্ছ বিভ্রান্তিকর শ্লেষ আর বক্রোক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়, যা আসলে চরমপন্থী গোষ্ঠী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু কুখ্যাত ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় আরো বলেছে, ঢাকা দুঃখিত যে আলজাজিরা নিজেকে বাংলাদেশে অসামান্য আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির রেকর্ডধারী একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে তাদের এ হীন রাজনৈতিক চক্রান্তের হাতিয়ারে পরিণত হতে দিয়েছে।

  • আল-জাজিরার প্রতিবেদন ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    আল-জাজিরার প্রতিবেদন ভিত্তিহীন : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ শিরোনামের প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন ও মানহানিকর আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ প্রতিবেদন ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারের প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করে জামায়াতে ইসলামীর চরমপন্থি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত কুখ্যাত ব্যক্তিদের দ্বারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জনপ্রতনিধির বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচারণার ধারাবাহিক অংশ ছাড়া আর কিছুই না।

    এতে আরও বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ হলো এ প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের নৃশংস গণহত্যার কথা ঐতিহাসিক তথ্যের কথা উল্লেখ করা হয়নি। যখন জামাতের অপরাধীচক্র লাখো বেসামরিক বাঙালিকে হত্যা এবং ২ লাখের বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছে। এ প্রতিবেদন আল-জাজিরার সম্প্রচার ও তাদের ভাষ্যকার ডেভিড বার্গম্যানের রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রতিফলন। ১৯৭১ সালে নিহতের সংখ্যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করায় বার্গম্যান বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, প্রতিবেদনের অভিযোগের মূল সূত্র একজন অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক অপরাধী, যাকে আল জাজিরা নিজেই ‘সাইকোপ্যাথ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এতে এ নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকার এক বিন্দু প্রমাণও হাজির করা হয়নি। মানসিকভাবে অস্থির প্রকৃতির একজন মানুষের কথার ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেলের জন্য বড় ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকজন দণ্ডিত পলাতক অপরাধী এবং নিন্দিত ব্যক্তিদের দ্বারা বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারের অভ্যাসগতভাবে সাজানো হয়েছে। যা বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মিলিত হয়েছে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশেষ করে আল-জাজিরা। উগ্রবাদী গোষ্ঠী এবং লন্ডনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কাজ করা তাদের মিত্রদের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এই বেপরোয়া ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচারণাকে প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশ সরকার।