Tag: আশ্রয়কেন্দ্র

  • ঘূর্ণিঝড় মোখা : চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৯ হাজার মানুষ

    ঘূর্ণিঝড় মোখা : চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৯ হাজার মানুষ

    অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন ৮৯ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৫৯৫ পুরুষ, ৩৮ হাজার ৯৭৬ নারী, ১১ হাজার ৩৪৯ শিশু ও ১৪৫ প্রতিবন্ধী রয়েছেন। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তিন হাজার ৪১৮ গরু-মহিষ ও চার হাজার ৩২৩ ভেড়া-ছাগল নিরাপদে স্থানান্তর করা হয়েছে।

    শনিবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলায় ২৯ হাজার ৮৮৫ জন ও বাঁশখালী উপজেলায় ৪৫ হাজার ১৪৩ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ছয় হাজার লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে সবার জন্য পর্যাপ্ত খাবার পানি ও অন্যান্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, জেলা পুলিশের ১৭টি থানায় দায়িত্বরত ও ব্যাকআপ হিসেবে মোট দুই হাজার পুলিশ সদস্য প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোট ২৫০ কিলোমিটার বাঁধ আছে। এর মধ্যে ১২.৭ কিলোমিটার বাদে বাকি অংশ সুরক্ষিত রয়েছে। জেলায় দুটি সিএসডি ও ১৬টি এলএসডি রয়েছে। মজুতকৃত খাদ্যশস্যের সুরক্ষার জন্য কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। গুদামের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ ঠেকাতে বাফেল ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার পর্যন্ত) বর্ষণ হতে পারে। এর ফলে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। জেটি থেকে বড় জাহাজ বের করে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে লাইটার জাহাজকে কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতু এলাকায় নিরাপদে অবস্থান নিতে বলা হয়। এছাড়া শনিবার ভোর ৬টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আজ রোববার (১৪ মে) রাত ১২টা পর্যন্ত বিমান ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় সেনা মোতায়েন, নিরাপদ আশ্রয়ে ৯২ হাজার মানুষ

    সাতক্ষীরায় সেনা মোতায়েন, নিরাপদ আশ্রয়ে ৯২ হাজার মানুষ

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রচণ্ড শক্তিশালী হয়ে এগিয়ে আসছে। এর প্রভাবে সাতক্ষীরায় দিনভর বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। ইতোমধ্যে উপকূলবর্তী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের পাশাপাশি এবার সাতক্ষীরায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যশোর থেকে সেনাবাহিনী রওয়ানা দিয়েছে।

    আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এস মোস্তফা কামাল বলেন, ৯২ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার দুটি বিভাগের আওতায় ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বুলবুলের জলোচ্ছাসের আঘাত যদি ৭ ফুট উচ্চতায় হয় সেক্ষেত্রে এসব বেড়িবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে।

    সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের উপ-পরিচালক জুলফিকার অলী জানান, বেলা ১২ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ২৯ মিলি লিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এখনও সাতক্ষীরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে।

  • উপকূলবাসীকে দুপুর ২টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান

    উপকূলবাসীকে দুপুর ২টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান

    ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে আজ দুপুর ২টার মধ্যে উপকূলবাসীকে নিকটস্থ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

    তিনি বলেন, যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব পড়ার সম্ভবনা রয়েছে ওইসব এলাকায় সর্বোচ্চ ১ কি.মি দূরত্বে আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সুতরাং আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না।নিজের ও পরিবারের জীবন/সম্পদ রক্ষার জন্য সবাইকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া উচিত।

    শনিবার (৯ নভেম্বর) বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় দুুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে পূর্বপ্রস্তুতি, সাড়াদান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ।