Tag: আসামি

  • ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা, আসামি পুত্রবধূও

    ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা, আসামি পুত্রবধূও

    ভরণপোষণ না দেওয়ায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ নামে ৭০ বয়সী এক বৃদ্ধ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মুস্তাকিম তাসিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

    মামলায় তিনি ছেলে আবু ছালেকের (৩৫) পাশাপাশি পুত্রবধূ ইয়াসমিন আক্তার শিখাকে (২৫) আসামি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুই আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

    মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৃদ্ধ আব্দুল আজিজকে কোনোরকম ভরণপোষণ, খাবার ও চিকিৎসার খরচ দেন না তার ছেলে আবু ছালেক। গত ১ জুলাই ভরণপোষণ চাইলে আবু ছালেক বাবাকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী শিখার প্ররোচনায় আবু ছালেক দা দিয়ে তার বাবাকে কোপ মারার জন্যও আক্রমণ করে এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় আব্দুল আজিজ থানায় অভিযোগ দেন। তখন থানা থেকে আজিজের সঙ্গে এমন ব্যবহার না করার জন্য ছেলেকে সতর্ক করা হয়। এই সময় ছালেক এমন ব্যবহার করবে না বলে ওয়াদা করে। কিন্তু এরপরও ভরণপোষণের কোন খরচ দেন নাই। গত ১২ নভেম্বরও বাবা ভরণপোষণ ও চিকিৎসার জন্য টাকা চান, কিন্তু ছেলে তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন। একপর্যায়ে দুই আসামি মিলে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আজিজকে গালিগালাজ ও অপমান করে।

    মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৌরপ কান্তি নাথ বলেন, ভরণপোষণ, খাবার ও চিকিৎসা খরচ না দেওয়ার অভিযোগে ছেলে ও ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধ আব্দুল আজিজ। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

  • জোরারগ‌ঞ্জে মাদক ও অস্ত্রসহ ৫ আসামি গ্রেফতার

    জোরারগ‌ঞ্জে মাদক ও অস্ত্রসহ ৫ আসামি গ্রেফতার

    চট্টগ্রামের মিরসরাই উপ‌জেলার জোরারগঞ্জ থানা পু‌লিশের পৃথক টিম অ‌ভিযান চা‌লি‌য়ে এক‌টি আ‌গ্নেয়াস্ত্র, গু‌লি ও বিপুল প‌রিমান মাদক দ্রব্য উদ্ধার কর‌তে সক্ষম হ‌য়ে‌ছে।

    আ‌গ্নেয়াস্ত্র ও মাদক দ্রব্য বহ‌নের অ‌পরা‌ধে ৫ আসামী‌কে গ্রেফতার করা হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া পলাতক র‌য়ে‌ছে মাদক ও আ‌গ্নেয়া‌স্ত্রের মূল হোতা মাদক বি‌ক্রেতা মামুন।

    জোরারগঞ্জ থানার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বুধবার (৬ এ‌প্রিল) মধ্যরাত দেড়টায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়ন কাটাগাং রাস্তার মাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারিতিরা হলেন, মো. রুবেল (৩০), মো. রাজু (২৪), মো. সুমন (৩৪), মো. রুবেল(১৯) ও বিবি খতিজা (২৭)।

    পুলিশ জানায়, জোরারগঞ্জ সামনেরখীল ঘেরামারা আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা মৃত মো. হারুনের ছেলে মো. রুবেলসহ তার সহযোগীদের কাছ থেকে ৫ বোতল ফেনসিডিল ও ২ বোতল ভারতীয় তৈরী হুইস্কি উদ্ধার করা হয়।

    পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে একই এলাকার মামুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ১৪ বোতল ভারতীয় তৈরী হি-ম্যান বিয়ার, ৪শ গ্রাম গাঁজা, উদ্ধারপূর্বক মূল মাদক কারবারি মো. মামুন (৩৪) এর স্ত্রী বিবি খতিজাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে পুলিশের অভিযানের খবর আগে থেকে টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ি মো. মামুন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

    জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর হো‌সেন মামুন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মাদ‌কের গোপন সংবাদ পে‌য়ে আ‌মি নি‌জেই অ‌ভিযা‌ন প‌রিচালনা ক‌রি।

    থানার চৌকস অ‌ফিসার এসআই সাজ্জাদ হোসেন, এসআই মামুনুর রশিদ, এএসআই এনামুল হক, এএসআই হাফিজুর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন ও প্র‌য়োজনীয় ফোর্স স‌ঙ্গে নেওয়া হয়।

    এ‌তে মাদক ও আ‌গ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র বহনের অপরাধে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া মূল আসামী পলাতক র‌য়ে‌ছে জানিয়ে তা‌কে গ্রেফতা‌রে চেষ্টা চলমান আছে বললেন ওসি।

    তিনি বলেন, আটককৃত‌দের বিরু‌দ্ধে প্র‌য়োজনীয় মামলা রুজু পূর্বক আদাল‌তে প্রেরন করা হ‌বে।

    ২৪ ঘন্টা/আশরাফ উদ্দিন/রাজীব

  • পিএইচপির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা

    পিএইচপির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলাস্থ বাড়বকুণ্ড পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানার পূর্ব পাশের একটি পাহাড় টিলা কেটে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি ছড়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে কৃত্রিম জলাধার সৃষ্টি করার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর।

    অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল গত ৩০ জানুয়ারি রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।

    এ সময় কারখানাটির আমবাগান প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলফাতুন ও পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান অভিজিৎ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

    পরিদর্শণে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের শুনানিতে হাজির থাকার নোটিশ দেয় অধিদফতর।

    ওইদিন যথাসময়ে শুনানি শেষে সাত দিনের মধ্যে বাঁধটি সরিয়ে পানির প্রবাহ সচল করার জন্য প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।

    তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের এ আদেশ আমলে নেয়নি পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ের টিলা কেটে বন্ধ করা ছড়া (ঝিরি) পানিপ্রবাহের জন্য খুলে দেওয়ার নির্দেশ অমান্য করায় প্রতিষ্ঠানটির ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে অধিদপ্তর।

    গত বুধবার (২ মার্চ) পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। মামলার এজাহারে উপরোক্ত তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়।

    আসামিরা হলেন, কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, কারখানার আমবাগান প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. আলফাতুন ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান অভিজিৎ চক্রবর্তী।

    পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ।

    মামলার বাদী পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের কাছে অভিযোগে আসে।

    অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, একটি পাহাড় টিলা কেটে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ি ছড়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ করে কৃত্রিম জলাধার সৃষ্টি করেছেন পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানা কর্তৃপক্ষ। অধিদপ্তরের একটি তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে অভিযোগের সত্যতা পাই।

    গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কর্তৃপক্ষকে অধিদপ্তরের শুনানিতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুনানিতে সাতদিনের মধ্যে বাঁধটি সরিয়ে ঝিরি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তা অপসারণ করেনি। ফলে পরিবেশের নির্দেশনা না মানায় কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

    এদিকে মামলাটি একতরফাভাবে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান অভিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, পাহাড়ে তাদের একটি টিলায় প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি আমগাছ নিয়ে একটি আমবাগান প্রকল্প রয়েছে।

    শুষ্ক মৌসুমে বাগানের গাছগুলোতে পানি দেওয়ার লক্ষ্যে ছড়ার ওপর বাঁধ দিয়ে পানি জমিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এতে যদি পরিবেশের ক্ষতি হয় তাহলে তারা বাঁধ সরিয়ে ফেলতেন।

    বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য এবং বাঁধটি তুলে নিতে ১৫ দিন সময় দেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে অনুরোধ করেছেন। এর মধ্যে মামলা করা হলো। যা একতরফা। সূত্র-প্রথম আলো।

  • চাঁন্দগাওয়ে মা-ছেলে হত্যার ৩৭ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেফতার

    চাঁন্দগাওয়ে মা-ছেলে হত্যার ৩৭ দিন পর প্রধান আসামি গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন চাঁন্দগাও এলাকায় চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডের ৩৭ দিন পর অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছে প্রধান খুনী মো. ফারুক (৩৩)।

    আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টায় নিহতের কথিত ধর্মের ভাই ফারুকের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আকবরশাহ থানার পাক্কারমাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ফারুক চাঁন্দগাও থানার খাজারোড কসাইপাড়ার মো. সিরাজের ছেলে।

    র‌্যাব জানায় হত্যাকান্ডের পর গ্রেফতার এড়াতে ফারুক প্রথমে খাগড়াছড়ি চলে যায়। সেখানে একটি গ্যারেজে কিছুদিন কম বেতনে চাকরি করে। এরপর সেখান থেকে ঢাকায় ছিলেন কিছুদিন। সেখানেও আয় রোজগার ভাল না দেখে আবারো চট্টগ্রামে চলে আসে।

    সবশেষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকায় একটি মাজারে অবস্থান নিয়েছে তথ্য পেয়ে র‌্যাব পুলিশের যৌথ টিম চট্টগ্রাম শহরের আশেপাশে মাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। বিষয়টি টের পেয়ে কৌশলে সে আবারো ঢাকায় চলে যায়।

    তবে ৩৭ দিনের নানা পন্থা অবলম্বন করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ পর্যন্ত র‌্যাবের হাতে ধরা পড়তে হলো কুখ্যাত এই খুনী। বৃৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় র‌্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাব-৭ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল।

    তিনি বলেন, ফারুক ক্রাইম পেট্রোল সিরিয়াল দেখে হত্যার কৌশল রপ্ত করেছে এবং হত্যার পর আত্মগোপনে থেকে গ্রেফতার এড়াতেও সিরিয়ালের বিভিন্ন কৌশলগুলো কাজে লাগিয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ৩৭ দিনের মধ্যে বারবার সিম মোবাইল ও লোকেশান পরিবর্তণ করেছে খুনী।

    মশিউর রহমান জুয়েল আরো বলেন, খুনি ফারুক প্রায় সময় ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের সিনেমার কাহিনীর স্টাইলে খুন করার হুমকি দিত। বাস্তবেও সে তাই করেছে। ফিল্মি স্টাইলে প্রথমে ধর্মের বোন গুলনাহার বেগমকে খুন করে। এ ঘটনা দেখে ফেলায় পরে ৯ বছরের ছেলে রিফাতকেও রান্না ঘরে নিয়ে জবাই করে হত্যা করে ফারুক।

    র‌্যাব-৭ এর চাঁন্দগাও ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কাজী তারেক আজিজ বলেন, ফারুক ভুক্তভোগী গুলনাহার বেগমের সাথে যৌথভাবে সিঙ্গারা, সমুচা, পিঠা বিরিয়ানীসহ নাস্তার ব্যবসা করতেন।

    হত্যার কিছুদিন আগে থেকে দুজনের মধ্যে প্রায় সময় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এর জেরে রাগের মাথায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় ফারুক। মা ও ভাইয়ের খুনীকে গ্রেফতার করা হয়েছে শুনে সংবাদ সম্মেলনে ছুটে আসেন নিহত গুলনাহার বেগমের মেয়ে ও নিহত রিফাতের বড় বোন ময়ূরী আকতার।

    উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার মা অসুস্থ ছিলেন। টুকটাক পিঠা বানিয়ে বিক্রি করতেন। অনেকটা টানাপোড়নে আমাদের সংসার চলতো। একমাত্র ছোট ভাইটা ছিলো আমাদের পরিবারে সকলের মধ্যমণি। মা ও ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে পরিবারে একটু স্বচ্ছলতার আশায় নিজে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে গার্মেন্টসে যোগ দিয়েছিলাম। সে ভাই আর মাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমি ফারুকের ফাঁসি চাই।

    উল্লেখ্য গত ২৪ আগস্ট চাঁন্দগাও থানার পাঠানিয় গোদা এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংভাবে হত্যা করা হয় গুলনাহার বেগম ও তার ৯ বছরে শিশু পুত্র রিফাতকে। যার নেপথ্যে ছিলেন পাতানো ভাই মো. ফারুক।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি আকবরশাহতে গ্রেফতার,অস্ত্র উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল,গুলি ও ককটেলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

    গত ২৪ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামির অবস্থান শনাক্ত করার পর মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌণে ১২টার সময় পুলিশ অভিযানটি পরিচালনা করে। এসময় দুজন গ্রেফতার হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার বাংগরা বাজার পূর্বধৈইর মো. আব্দুল খলিল মিয়া প্রকাশ খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ওসমান মিয়া প্রকাশ উসমান (২৯) এবং ফেনী জেলার দাগনভুইঁয়া দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন প্রকাশ কাজলের ছেলে মো. আরিফ (১৯)। বর্তমানে দুজনই নগরীর আকবরশাহ বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীন অস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আকবরশাহতে আসামির অবস্থান শনাক্ত হয়।

    মঙ্গলবার রাত ১২টার সময় আকবরশাহ থানা এলাকার বিজয় নগর এলাকা থেকে উসমান মিয়া ও মো.আরিফকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ১ টি ককটেল এবং ১১টি রামদা পাওয়া যায়।

    ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং আকবরশাহ থানা এলাকায় অবৈধভাবে জমি দখলে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।

    গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে উসমান মিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি, খুলশী ও আকবরশাহসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টির অধিক মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে জানিয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আকবরশাহ থানায় নতুন একটি এজাহার দায়ের করার কথা জানিয়েছেন ওসি মহসীন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • সাতকানিয়ায় হত্যা ও নাশকতা মামলার আসামি রিফাত গ্রেফতার

    সাতকানিয়ায় হত্যা ও নাশকতা মামলার আসামি রিফাত গ্রেফতার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে হত্যা ও নাশকতা মামলার আসামি রিফাত কবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    গতকাল ২৭ মে বুধবার রাত সোয়া ১১টার সময় উপজেলার কাঞ্চনা ৪ নম্বর ওয়ার্ড দফাদার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    পুলিশ জানায়, গ্রেফতার রিফাত কবির ওই এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে। সে শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও নাশকতামূলক মামলাসহ ডজনখানেক মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।

    গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া থানার কর্তব্যরত অফিসার এস আই মো. সাইফুল বলেন, হত্যা ও নাশকতায় প্রায় ডজন খানেক মামলার এ আসামির ওয়ারেন্ট থাকা স্বর্ত্তেও দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পলাতক ছিলেন।

    বুধবার রাতে সে সাতকানিয়ায় অবস্থান করছে স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি অভিযানে চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। থানার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে জানালেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ভুজপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত/আহত ৫ পুলিশ

    ভুজপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত/আহত ৫ পুলিশ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ভূজপুর থানাধীন আন্ধারমানিক গলাচিপার টেক এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত হয়েছে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এক আসামি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন থানা পুলিশের পাঁচ সদস্য।

    আজ ২৪ মে রবিবার ভোরে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, একটি কিরিচ, চারটি গুলি উদ্ধার করার তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

    বন্দুকযুদ্ধে নিহতের নাম মো. হেলাল উদ্দিন (৩২)। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার পশ্চিম ভুজপুর গ্রামের মো. জাফর আলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দুই খালাতো বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ছাড়াও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

    তিনি জানান, রবিবার ভোরে দুই খালাতো বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে গত শনিবার বিকেলে দায়ের করা একটি মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে গলাচিপার টেক এলাকায় যায় ভুজপুর থানা পুলিশের একটি টিম।

    এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ধর্ষণ মামলার আসামি হেলাল। পুলিশও এ সময় পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় হেলালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

    তিনি বলেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন-ভুজপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেন, এসআই প্রবীণ, এসআই রাশেদুল হাসান, এএসআই কল্পরঞ্জন চাকমা ও কনস্টেবল মো. জাহিদ।

    প্রসঙ্গত : গত ২২ মে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভূজপুর কাজীরহাট বাজার থেকে ফেরার পথে দুই খালাতো বোনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় হেলাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে আন্ধারমানিক গলাচিপার টেক এলাকায় জঙ্গলে নিয়ে ১০ জন মিলে তাদের ধর্ষণ করে ফেলে যায়।

    এ ঘটনায় একই দিন রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতাদের খালা। মামলার পর শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে হালিম (২৫) ও সুমন (২৩) নামে দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • পুলিশকে পাথর নিক্ষেপের পর গ্রেফতার হলেন চট্টগ্রামের সুদীপ্ত হত্যার আসামি

    পুলিশকে পাথর নিক্ষেপের পর গ্রেফতার হলেন চট্টগ্রামের সুদীপ্ত হত্যার আসামি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে পাথর নিক্ষেপের পর গ্রেফতার হয়েছেন চট্টগ্রামের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত হত্যার আসামি মো, জাহেদুর রহমান জাহেদ। গ্রেফতারের আগে জাহেদেও ছোড়া পাথরের আঘাতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

    শনিবার দিবাগত রাত (১৮ জানুয়ারী) ১১টার দিকে নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড় এলাকায় পুলিশ ধাওয়া করে আসামি জাহেদকে গ্রেফতার করে।

    এ ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রতন ও কনস্টেবল মো. মনির।

    পাথর নিক্ষেপের ঘটনা এবং জাহেদকে গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী।

    তিনি বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে আমাদের থানা পুলিশের একটি টহল টিম ইস্পাহানী মোড়ে কর্তব্য পালন করছিলেন।
    এসময় সন্ত্রাসী জাহেদ তার সহযোগীদের নিয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ করে অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে থানা পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরে ধাওয়া করে জাহেদকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যান।

    ওসি বলেন, গ্রেফতার মো, জাহেদুর রহমান জাহেদ চট্টগ্রামের আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলার অন্যতম আসামী। এ হত্যা মামলায় সে আগে গ্রেফতার হলেও পরে সে জামিনে মুক্তি পায়।

    জাহেদ লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুদীপ্ত হত্যা মামলায় কারাবন্দি দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। আরো খবর : সুদীপ্ত হত্যা মামলায় দিদারুল আলম মাসুম ফের কারাগারে

    উল্লেখ্য : ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে নগরীর দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বাবুল বাদী হয়ে সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার মিজানুর রহমান নামে এক আসামি গত ১২ জুলাই আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে তিনি সুদীপ্ত খুনের মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুল আলম মাসুমের নাম উল্লেখ করেন।

    এদিকে হত্যাকান্ডের এক বছর পর বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিলে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে পিবিআই। পিবিআই তদন্ত শুরু করার পর দিদারুল আলম মাসুমসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।

  • সীতাকুণ্ডে মন্দির ভাংচুর মামলার আসামী গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে মন্দির ভাংচুর মামলার আসামী গ্রেফতার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে মন্দির ভাংচুর ও মন্দিরের মালামাল চুরির মামলার এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    গ্রেফতার আসামির নাম জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা দাড়াঁলিয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছালে আহম্মদের ছেলে।

    তার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে মন্দির ভাংচুর ও মন্দিরের মালামাল চুরির মামলা রয়েছে। মামলা নং ( ১০৭/১১)। সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই মামুন হোসেন জানান, বুধবার রাত ৩টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামী।

  • এমইএস কলেজছাত্র সানি হত্যা মামলায় ২ আসামি কারাগারে

    এমইএস কলেজছাত্র সানি হত্যা মামলায় ২ আসামি কারাগারে

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী ওমর গনি এমইএস কলেজ ছাত্র জাকির হোসেন সানি (১৭) হত্যা মামলায় ২ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

    ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে দুজন আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    কারাগারে প্রেরিত ২ আসামি হলেন, আনিসুর রহমান (৩০) ও মো. মামুন (৩০)। দুজনই এমইএস কলেজ ছাত্র জাকির হোসেন সানি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৫ ও ৭ নং আসামি।

    তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতে দায়িত্বে থাকা জিআরও মো. মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের পর দায়েরকৃত হত্যা মামলায় আনিসুর ও মামুন দুজনই হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন।

    দুজনের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বৃহস্পতিবার তারা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে এবং বিচারকের কাছে জামিনের আবেদন করেন। বিজ্ঞবিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে দুজনকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।

    উল্লেখ্য : চলতি বছরের ২৬ আগস্ট এমইএস কলেজের সামনে সিনিয়র জুনিয়র তর্কের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয় চট্টগ্রাম ওমর গণি এম ই এস কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র জাকির হোসেন সানি (১৭)।

    এ ঘটনায় সানির বড় বোন মাহমুদা আক্তার বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে খুলশী থানায় মামলা (মামলা নং-৩৬(৮)১৯ ধারাঃ-৩০২/৩৪ দঃবিঃ)দায়ের করেন।

    মামলার আসামিরা হলেন- সৌরভ ঘোষ (২০), সৈয়দ সাফাত কায়সার (১৯), রবিউল (১৯), তুষার (২২), আনিসুর রহমান (৩০), আয়াতুল হক (২০) ও মো. মামুন (৩০)। এছাড়া আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় এ হত্যা মামলায়।

  • চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ডাকাত আইজ্জা নিহত

    চট্টগ্রামে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি ডাকাত আইজ্জা নিহত

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা মামলার আসামি আজিজ ডাকাত ওরফে আইজ্জা ডাকাত নিহত হয়েছে। রবিবার গভীররাত আড়াইটার সময় নগরীর খুলশী থানা নাসিরাবাদ প্রোপার্টিস লিমিটেড নামের আবাসিক এলাকার চার নম্বর সড়কের পশ্চিমে টিলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।

    ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশিয় আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড অব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, গরিবুল্লাহ শাহ আবাসিক এলাকার এক বাসা চুরির অভিযোগের সুত্র ধরে পুলিশ আইজ্জ্যা ডাকাতকে গ্রেফতারে অভিযানে গেলে ডাকাত আইজ্জ্যা ও তার সহযোগীরা অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর গুলি বর্ষন করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আইজ্জ্যা বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিব্ধ অবস্থায় আইজ্জ্যাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রনব চৌধুরী। তিনি বলেন, গত (১৫ নভেম্বর) শুক্রবার জুমার নামাযের সময় গরীবুল্লাহ হাউজিং সোসাইটি এলাকার একটি বাসায় ঢুকে এক মহিলাকে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে অজ্ঞাত ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন বাড়ির মালিক।

    মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার দিন ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিসহ চালক শাহজালালকে আটক করে পুলিশ। এর পর তার দেওয়া তথ্য মতে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত জুয়েলার্স ব্যবসায়ি দুর্জয় ও মোহাম্মদ রফিক নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চোরাই গয়নাগুলো। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা আইজ্জ্যা ডাকাতের তথ্য দেন। তথ্যমতে রবিবার গভীর রাতে আইজ্জ্যাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান চালায়।

    এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে একটি এবং একটি হত্যা মামলা দায়ের করার কথা জানিয়ে ওসি প্রনব বলেন, আইজ্জ্যা ডাকাতের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ও একটি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া গত তিন মাস আগে জননিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় ১২ বছর সাজা খাটার পর সে জামিনে মুক্তি পায় নিহত আজিজ।

  • এজলাসে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির!

    এজলাসে গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির!

    আদালতের এজলাসে(কাঠগড়ায়) দাড়িয়ে মোটরসাইকেল চুরি মামলার হাজতি আসামী জাহিদুল ইসলাম শুভ (৩২) নিজ গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

    সোমবার(৪ নভেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর চীফ জুডিসিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল আমলী আদালত-২ এর এজলাসে এ ঘটনা ঘটে।

    আহত আসামীকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

    হাসপাতালের জরুরী বিভাগ জানায়, শুভকে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় তার গলার ক্ষত স্থান দিয়ে রক্ত ঝড়ছিল। ওই ক্ষতস্থানে ১০টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

    ওই আদালতের পুলিশের সিএসআই উপ-পরিদর্শক (সৈয়দপুর) ফজলুল হক জানান, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিজপাড়া মহল্লার বাসা থেকে তিনটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। ওই ঘটনায় তালুকদার নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ১৭)।

    ওই মামলায় প্রাথমিক তদন্তে উক্ত জাহিদুল ইসলাম শুভ, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম কাঁঠালী গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে লেলিন (৩০), একই উপজেলার চাওড়াডাঙ্গী গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে লেলিন ইসলাম (২২), লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার উত্তর দোলাগ্রামের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ (৩৫) সহ চার জনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।

    এরই মধ্যে চলতি বছরে ৩ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে অপর একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় জাহিদুল ইসলাম শুভসহ গ্রেফতার ওই চার আসামী। যার মামলা নম্বর ৪, তারিখ ৩ অক্টোবর/ ২০১৯)। এই খবরে সৈয়দপুর থানায় দায়ের হওয়া তিনটি মোটরসাইকেল চুরির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজওয়ানুল হক মন্ডল চার আসামীকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করে নীলফামারী আমলী -২ আদালতে। আদালত বিষয়টি আমলে নিলে ওই চারজনকে ঠাকুরগাঁও থেকে এনে সোমবার দুপুরের দিকে নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালত -২ এ হাজির করা হয়।

    এ সময় আসামী শুভ হাতকড়া দিয়ে তার গলায় টান দিলে গলার চামড়া কেটে রক্ত বের হয়।

    এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র জানান, আদালতের এজলাসে শ্যোন অ্যারেস্টের শুনানী চলাকালে আদালতের বিচারক সহদেব চন্দ্র রায় এই চারজনকে সৈয়দপুর থানার তিনটি মোটরসাইকেল চুরির মামলায় গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করেন। আসামীর পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় জাহিদুল ইসলাম শুভ নিজেই বিচারকের সঙ্গে কথা বলছিল। এক পর্যায়ে আসামী শুভ পকেটে রাখা ব্লেড দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এতে তার গলার চামড়া কেটে যায় ও রক্ত ঝড়তে থাকে। তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নেয়।

    তবে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,‘হাতকড়ার ভোতা কোন অংশ গলায় চালিয়ে নিজেকে আহত করেছে সে। এতে করে গলার কিছুটা অংশের চামড়া কেটে গেছে।

    এ ব্যাপারে নীলফামারী সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান, আমরা এ ঘটনায় একটি জিডি করেছি।