Tag: আসামী

  • পটিয়ায় কাঠ ব্যবসায়ি জামাল হত্যায় গ্রেফতার ১

    পটিয়ায় কাঠ ব্যবসায়ি জামাল হত্যায় গ্রেফতার ১

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় কাঠ ব্যবসায়ি জামাল হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। তাছাড়া ঘটনার দিন দুবৃর্ত্তদের লুট করা মালামালগুলো নূর হোসেন নামের অপর এক ব্যক্তির বাসস্থানের পাশে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করার তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

    সন্দেহভাজন গ্রেফতার আসামির নাম মাহবুবুল আলম। তিনি উপজেলার কোলাগাঁও নলান্দা এলাকার নজির আলীর ছেলে।

    পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, নরসিংদিও ফার্নিচার ব্যবসায়ি জামাল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে ঘটনাটি হত্যাকা- হিসেবে নিয়ে তদন্ত শুরু করে পটিয়া থানা পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা সন্দেহভাজন ১০জনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

    সূত্র ধরেই মাহবুবুল আলম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া মেলা থেকে লুট হওয়া ফানির্চারগুলো স্থানীয় নূর হোসেন নামের এক ব্যক্তির ঘরের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরো খবর : মেলায় দোকান বসিয়ে লাশ হলেন নরসিংদীর কাঠ ব্যবসায়ি

    ওসি বলেন, গ্রেফতার মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাছাড়া ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট কোলাগাঁওয়ে খোরশেদ আলম কুসুম হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে বললেন ওসি।

    এদিকে গ্রেফতারের পর মাহবুবুরের বুকে ব্যাথা অনুভব হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

    এর আগে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের নলান্দা এলাকার ওরস মেলা থেকে নরসিংদীর বেলাবো এলাকার কাঠ ব্যবসায়ি জামাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
    লাশের গায়ে আঁঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ধারণা করছে দুবৃত্তরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি কোলাগাঁও ইউনিয়নের গরীব আলী শাহ মাজারের বার্ষিক ওরস উপলক্ষে বসানো হয় মেলা। এ মেলায় আসবাব পত্রের পসরা নিয়ে আসেন নরসিংদীর ব্যবসায়ি জামাল। ফার্নিচার বিক্রির টাকা ছিনিয়ে নিতেই এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড সারোয়ার গ্রেফতার

    মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড সারোয়ার গ্রেফতার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে দুধর্ষ শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড সরোয়ার আলমকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা বিমানবন্দর থানা পুলিশ।

    ঢাকা বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরমন আলী তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাতার থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌছার পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    তিনি বলেন, সরোয়ার পুলিশের তালিকাভূক্ত ও গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত আসামী। তার বাড়ী চট্টগ্রাম। ফলে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা পুলিশকে জানানো হলে তাদের একটি টিম ঢাকায় এসে গ্রেফতার সরোয়ারকে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছে। পরে তার ব্যাপারে সিএমপির বায়োজিদ থানা বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

    এদিকে বায়োজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, দূধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের সহযোগি সারোয়ারকে আটক করেছে ডিএসপি। বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করার পর তারা আমাদের জানায়। পরে বায়োজিদ পুলিশের একটি টিম তাকে আনতে ঢাকায় যায়। আশা করছি শনিবারের মধ্যে তাকে নিয়ে চট্টগ্রামে ফিরবে পুলিশ টিম।

    তিনি জানান, সরোয়ারের বিরোধ খুন সন্ত্রাস চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১০/১২টি মামলা রয়েছে। শুনেছি দুই মাসে তার অপর সহযোগি শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন এর সাথে মারামারির ঘটনায় কাতার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।

    সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১১ জুলাই নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে একে-৪৭ রাইফেল, অন্যান্য অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী ম্যাক্সন ও সারোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তারা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে কাতারে চলে যায়।

  • সৈয়দপুরে আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগে আ’লীগ নেতা ভলুর বিরুদ্ধে মামলা

    সৈয়দপুরে আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগে আ’লীগ নেতা ভলুর বিরুদ্ধে মামলা

    হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ছিনতাইয়ের অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কে প্রধান আসামী করে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে থানা পুলিশ।

    ঘটনাটি ঘটেছে ৫ অক্টোবর শনিবার রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। আসামীরা হলেন- গোলাহাট এলাকার আফসার আলী চৌধুরীর (থোপসা) ছেলে হিটলার চৌধুরী ভলু (৪৫) ও স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা বেগম চৌধুরী (৬২), মৃত ইউসুফের ছেলে ইয়াকুব (৪২), সৈয়দ আলীর ছেলে কাজল (৩০), আইয়ুব আলীর ছেলে বাবু (৩৫), মৃত খোদা উদ্দিনের ছেলে সমশের আলী ওরফে সেরু (২৫), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম (৪০) ও আরমান (৩৭) এবং সোহাগ সরকার চৌধুরী (২৬)।

    এজাহার সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর থানা পুলিশ খবর পায় যে, সৈয়দপুর শহরের চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত গৃহবধু পপি হত্যা চেষ্টার দুই আসামী জীবন ও রাজা শহরের পুরাতন বাবুপাড়াস্থ বাংলা হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন মোটর সাইকের মেকার লাল্লুর বাড়িতে অবস্থান করছে। সেখানে তারা মামলার বাদি গোলাহাটের ঘোড়াঘাট এলাকার সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ভলু ও গৃহবধু পপির স্বামীর সাথে শলাপরামর্শ করছে।

    এ খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে হিটলার চৌধুরী ভলু আসামীদের ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে বাইপাস সড়ক হয়ে তার নিজ বাড়িতে পালিয়ে যায়।

    এমতাবস্থায় পুলিশ মাইক্রোবাসের পিছু পিছু গোলাহাটে হিটলার চৌধুরীর বাড়ির কাছে গিয়ে আসামীদের পুলিশের হাতে হস্তান্তরের জন্য বললে হিটলার চৌধুরী ভলুসহ তার সহযোগি প্রায় ১৫ জন পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে জোড় পূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে এবং পুলিশকে ভিতরে যেতে বাধা দেয়।

    রাত আনুমানিক ৮টার দিকে এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কির এক পর্যায়ে হিটলার চৌধুরী ভলু আসামীদের নিয়ে তার বাড়ির পিছনের গেট দিয়ে পালিয়ে যায়।

    অন্যদিকে বাড়ির সামনে অন্যান্য আসামীরা পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ জোর পূর্বক বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করলে হিটলার চৌধুরীর মা ফাতেমা বেগমসহ ইয়াকুব, কাজল পুলিশের উপর চড়াও হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে।

    পরে এ ঘটনায় উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে বাধা, পলায়নে সহযোগিতা, পুলিশকে লাঞ্চিত করাসহ পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে এজাহার দায়ের করেন সৈয়দপুর থানার এস আই আবু বকর সিদ্দিকী। মামলা নং ১০।

    মামলার আসামী হিটলার চৌধুরী ভলু তার মুঠোফোন নম্বর ০১৭১০১৪৩০০২ এ যোগাযোগ করা হলে বলেন, পুলিশ পূর্ব থেকে আমার সাথে অসহযোগিতা করে আসছে। আমার স্ত্রী পপিকে হত্যা চেষ্টা ঘটনার দিন যখন আমি তার চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত তখনও পুলিশ আমাকে থানায় এনে জিজ্ঞাবাদের নামে মানসিক নির্যাতন করে। তাছাড়া ঘটনার দীর্ঘ দিনেও আসামীদের গ্রেফতারে কোন তৎপরতা না থাকায় আমি নিজেই আসামীদের কৌশলে ধরে আনি এবং পুলিশকে সোপর্দ করার উদ্যোগ নেই। এমন সময় পুলিশ আমার বাড়িতে হানা দেয়। যে কারণে আসামীরা পালিয়ে যায়।

    এব্যাপারে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান পাশা জানান, থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আইনী কাজে বাধা দানকারীদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবেনা।