Tag: আয়কর রিটার্ন

  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো দুই মাস

    আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো দুই মাস

    ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দাখিলের সময় দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন ব্যক্তি করদাতারা।

    আর কোম্পানি করদাতাদের জন্য রিটার্ন জমার সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব মো. মহিদুল ইসলাম চৌধুরী সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

    নিয়ম অনুসারে, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ৩০ নভেম্বর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। আর কোম্পানি করদাতাদের জন্য রিটার্ন জমার নির্ধারিত সময় ছিল ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি। এই দুই ক্ষেত্রেই সময় বাড়ানো হয়েছে।

    গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) রিটার্ন জমার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করে। এছাড়া আগে ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশন রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা দুই মাস বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল।

  • যেসব সেবা গ্রহণে রিটার্নের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক

    যেসব সেবা গ্রহণে রিটার্নের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক

    এখন শুধু ট্যাক্সপেয়ার আইডেনটিফিকেশন নাম্বার বা টিআইএন থাকলে হবে না, সরকারি বিভিন্ন সেবা নিতে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে। তাই যাদের টিআইএন আছে, তারা এখনই রিটার্ন জমার প্রস্তুতি নিন। কারণ, গত ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ৪৩টি সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

    রিটার্নের প্রমাণপত্র বলতে যা বোঝায়

    ক. এনবিআরের পক্ষ থেকে রিটার্নপ্রাপ্তি স্বীকারপত্র; বা

    খ. করদাতার নাম, টিআইএন বা করবর্ষ–সংবলিত সিস্টেম জেনারেটেড সার্টিফিকেট বা সনদ বা

    গ. করদাতার নাম, টিআইএন বা করবর্ষ–সংবলিত উপ–কর কমিশনারের ইস্যু করা প্রত্যয়নপত্র গত ১ জুলাই ২০২৩ থেকে ৪৩টি সেবার ক্ষেত্রে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, রিটার্নের প্রমাণপত্র বানিয়ে জমা দেবেন। কিন্তু সেটা এখন আর সম্ভব হবে না। কারণ, রিটার্ন জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়কর বিভাগ রিটার্ন জমার তথ্য অনলাইনে হালনাগাদ করে। আর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা অনলাইনে রিটার্ন জমার তথ্য যাচাই করবে। যদি কোনো কারণে যাচাই না করেন, তবে উপ–কর কমিশনার ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড করতে পারবেন। তাই এখন রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র নিয়ে কারসাজির সুযোগ নেই।

    যে ৪৩টি সেবা গ্রহণে রিটার্নের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক

    ১. করারোপযোগ্য আয় না থাকার পরও ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ গ্রহণে;
    ২. কোনো কোম্পানির পরিচালক বা উদ্যোক্তা শেয়ারধারী হতে গেলে;
    ৩. আমদানি বা রপ্তানি নিবন্ধন সনদপ্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
    ৪. সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় ট্রেড লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও নবায়নে;
    ৫. সমবায় সমিতির নিবন্ধন নিতে;
    ৬. সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ার হতে এবং লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও নবায়নে;
    ৭. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় ১০ লাখ টাকার জমি, ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি বা লিজ বা হস্তান্তর বা বায়নানামা বা আমমোক্তারনামা নিবন্ধনে;
    ৮. ক্রেডিট কার্ডপ্রাপ্তি ও বহালে;
    ৯. চিকিৎসক, দন্তচিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি অথবা সার্ভেয়ার বা সমজাতীয় পেশাজীবী হিসেবে স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদপ্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
    ১০. মুসলিম বিবাহ–সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে নিকাহ রেজিস্ট্রার, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইনের অধীনে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক ও বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে রেজিস্ট্রার হিসেবে সনদপ্রাপ্তি বা নিয়োগ বহাল রাখতে;
    ১১. ট্রেড বডি বা পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদপ্রাপ্তি ও বহালে;
    ১২. ওষুধ বা ড্রাগ সনদ, ফায়ার সনদ, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআইয়ের সনদ ও ছাড়পত্রপ্রাপ্তি ও নবায়নে;
    ১৩. গ্যাসের বাণিজ্যিক ও শিল্প সংযোগপ্রাপ্তি ও বহাল এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় আবাসিক গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
    ১৪. লঞ্চ, স্টিমার, মাছ ধরার ট্রলার, কার্গো, কোস্টারসহ যেকোনো প্রকারের ভাড়ায় চালিত নৌযানের সার্ভে সনদপ্রাপ্তি ও বহালে;
    ১৫. পরিবেশ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইট উৎপাদনের অনুমতিপ্রাপ্তি ও নবায়নে;
    ১৬. সিটি করপোরেশন, জেলা সদর বা পৌরসভায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশু বা পোষ্য ভর্তিতে;
    ১৭. সিটি করপোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ–সংযোগপ্রাপ্তি বা বহালে;
    ১৮. কোম্পানির এজেন্সি বা ডিস্ট্রিবিউটর শিপ প্রাপ্তি ও বহালে;
    ১৯. আগ্নেয়াস্ত্রের সনদপ্রাপ্তি ও বহাল রাখতে;
    ২০. আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়;
    ২১. ডাকঘরে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে;
    ২২. ১০ লাখ টাকার বেশি মেয়াদি আমানত খোলা ও বহাল রাখতে;
    ২৩. ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে;
    ২৪. পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে;
    ২৫. মোটরযান, স্পেস বা স্থান, বাসস্থান অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে অংশীদারি অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে;
    ২৬. ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক বা উৎপাদন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী পদমর্যাদায় কর্মরত ব্যক্তির বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে;
    ২৭. সরকারি কর্মচারীর বেতন-ভাতাপ্রাপ্তিতে;
    ২৮. মোবাইল ব্যাংকিয়ে টাকা স্থানান্তর এবং মোবাইল ফোনের রিচার্জে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থপ্রাপ্তিতে;
    ২৯. উপদেষ্টা বা পরামর্শক সেবা, ক্যাটারিং সেবা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেবা, জনবল সরবরাহ, নিরাপত্তাকর্মী সরবরাহ সেবা বাবদ কোনো কোম্পানি হতে অর্থপ্রাপ্তিতে ;
    ৩০. এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে মাসে ১৬ হাজার টাকার বেশি অর্থপ্রাপ্তিতে;
    ৩১. বিমা কোম্পানির এজেন্সি নিবন্ধন বা নবায়নে;
    ৩২. দ্বিচক্র বা ত্রিচক্র মোটরযান ছাড়া অন্যান্য মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে;
    ৩৩. এনজিওবিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত এনজিও বা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সনদপ্রাপ্ত ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার অনুকূলে বিদেশি অনুদানের অর্থ ছাড়ে;
    ৩৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশে বসবাসকারী ভোক্তাদের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রয়ে;
    ৩৫. কোম্পানি ও সোসাইটি আইনে নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্যপদের আবেদনে;
    ৩৬. পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা সরবরাহের জন্য দরপত্র দাখিলকালে;
    ৩৭. কোনো কোম্পানি বা ফার্ম থেকে পণ্য বা সেবা গ্রহণে;
    ৩৮. পণ্য আমদানি বা রপ্তানির উদ্দেশ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিলে;
    ৩৯. রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য ভবন তৈরির নকশা দাখিলে;
    ৪০. স্ট্যাম্প, কোর্ট ফি ও কার্ট্রিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে নিবন্ধন ও সনদ বহাল রাখতে;
    ৪১. ট্রাস্ট, তহবিল, ফাউন্ডেশন, এনজিও, ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা, সোসাইটি এবং সমবায় সমিতির ব্যাংক হিসাব খোলা ও চালু রাখতে;
    ৪২. সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনো ব্যক্তির বাড়িভাড়া বা লিজ গ্রহণকালে বাড়ির মালিকের ক্ষেত্রে;
    ৪৩. কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ থেকে পণ্য বা সেবা সরবরাহে ওই সরবরাহকারী বা সেবা প্রদানকারীরক্ষেত্রে।

    তাই যাঁদের টিআইএন আছে, তাঁরা আর দেরি না করে এখনই রিটার্ন জমার প্রস্তুতি নিন।

  • আয়কর সেবা মাস শুরু

    আয়কর সেবা মাস শুরু

    আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ মেলার পরিবেশে করদাতাদের সব ধরনের সেবা দিতে বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে কর তথ্যসেবা মাস। নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যাবে করসেবা।

    গত তিন বছরের মতো চলতি বছরেও আয়কর মেলা হচ্ছে না। সে কারণে প্রতিটি কর অঞ্চলে কর মেলার পরিবেশে মিনি করমেলার আয়োজন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

    ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে করোনা মহামারির কারণে আয়কর মেলা বন্ধ ছিল। মহামারি শেষ হলেও বাড়তি খরচের বিবেচনায় এবারও আয়কর মেলা আয়োজনে না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আয়কর তথ্য সেবা মাস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম গণমাধ্যমকে বলেন, কর সংস্কৃতি বিকাশ, কর সচেতনতা বৃদ্ধি এবং করদাতাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে নভেম্বর মাসকে আয়কর তথ্যসেবা মাস ঘোষণা করে। উৎসবের আমেজ আনার জন্য করসেবা মাসে প্রতিটি কর অঞ্চলে মেলার আদলে করসেবা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    কর অঞ্চলগুলোতে যে সব সেবা পাওয়া যাবে

    >> আয়কর মেলার পরিবর্তে কর কমিশনার অঞ্চলগুলোতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন গ্রহণের জন্য করদাতাদের সেবা দেওয়া।

    >> প্রতিটি অফিসে উন্মুক্ত স্থান বা কার পার্কিং এরিয়ায় রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। একইসঙ্গে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের জন্য উৎসাহ প্রদানে উপহার দেওয়া হবে।

    >> অনলাইনে কীভাবে রিটার্ন দাখিল করা যায়, সে বিষয়টি হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে কর সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অফিস যেতে হবে না।

    >> সব কর কমিশনার সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    >> প্রতিটি কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করতে হবে। ওই ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফর্ম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করতে হবে।

    >> কর অঞ্চলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখবে। অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

    >> সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সচিবালয় ও অফিসার্স ক্লাবের সদস্যদের জন্য অফিসার্স ক্লাবে রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে নভেম্বর মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ কর তথ্য সেবা দেওয়া হবে।

    >> সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে নভেম্বর মাসে ২ দিন করদাতাদের রিটার্ন গ্রহণ ও কর তথ্য সেবা দেওয়া হবে।

    >> সব কর অঞ্চলের কমিশনাররা তাদের নিজ নিজ কর অঞ্চলের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    >> ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় ট্যাক্স কার্ড ও ঢাকার কর অঞ্চলগুলোর সেরা করদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

    >> ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের ৪টি কর অঞ্চলে কেন্দ্রীয়ভাবে ও অন্য সব কর অঞ্চল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যথাযথ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে জেলা ও সিটি করপোরেশনভিত্তিক সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান করবে।

    ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর কর মেলা আয়োজন করে আসছে এনবিআর। এরই মধ্যে এই কর মেলা সাধারণ করদাতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

  • আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় একদিন বাড়ল

    আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় একদিন বাড়ল

    আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় একদিন বাড়িয়ে ১ জানুয়ারি (রোববার) পর্যন্ত ব্যক্তিগত করদাতাদের কাছ থেকে ট্যাক্স রিটার্ন গ্রহণ করা হবে।

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন পর্যন্ত ব্যক্তিগত করদাতাদের কাছ থেকে ট্যাক্স রিটার্ন গ্রহণ করা হবে।

    বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীসহ অংশীজনদের দাবির মুখে ৩০ নভেম্বর এনবিআর আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ায়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি বছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল।

    বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এনবিআর তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে এক মাস সময় বাড়িয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।

    জানা গেছে, এবার অন্যবারের তুলনায় রিটার্ন জমার পরিমাণ কম। এনবিআরের সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ লাখ রিটার্ন জমা পড়েছে।

  • রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো একমাস

    রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো একমাস

    আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে। করদাতারা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বাড়ানো হয়েছে।

    বুধবার (৩০ নভেম্বর) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ ঘোষণা দেন। আগের ঘোষণা অনুযায়ী আজ ৩০ নভেম্বর ছিল রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন।

    তিনি বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংকটের কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আশা করছি এ সময়ের মধ্যে করদাতারা সহজেই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

    বুধবার বিকেলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলেও জানায় এনবিআর।

    দেশে বর্তমানে করদাতার সংখ্যা ৮২ লাখের বেশি।তবে এখন পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন ২২ লাখের মতো।

  • এক মাস বাড়লো রিটার্ন দাখিলের সময়

    এক মাস বাড়লো রিটার্ন দাখিলের সময়

    আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হয়েছে এক মাস। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ বছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে।

    সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন কার্যালয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

    তিনি বলেন,‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হলো। যারা এখনও রিটার্ন জমা দেননি, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন।’

    প্রসঙ্গত, আজ ৩০ নভেম্বর ছিল এবছর রিটার্ন দাখিলের শেষ কর্মদিবস। গতকাল এনবিআর থেকে জানানো হয়েছিল, রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হবে না। কিন্ত কোভিড পরিস্থিতির কারণে রাজস্ব প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্ত আজ পরিবর্তন করে। করদাতাদের সুবিধার্থে রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে এনবিআর জানিয়েছে।

    এদিকে, আজ করাঞ্চলগুলোতে রিটার্ন দাখিলের জন্য করদাতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি করাঞ্চলে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রিটার্ন জমা দিয়েছেন করদাতারা।

  • আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না

    আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না

    চলতি বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না। অর্থাৎ রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০ নভেম্বরই থাকছে। আজ রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

    এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‌‘নির্ধারিত সময়ে যারা আয়কর রিটার্ন দিতে পারবেন না, তারা সংশ্লিষ্ট কর অফিসে আবেদন করতে পারবেন।

    তবে ২ শতাংশ জরিমানার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। গ্রাহক সঠিক সময়ে কেন রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে জরিমানা মওকুফ করা হবে। কমিশনারের কাছে যদি কারণ যৌক্তিক মনে না হয়, তবে জরিমানা দিতে হবে। ’

    তিনি জানান, গত বছরের ২৬ নভেম্বরের চেয়ে এ বছরের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন বেড়েছে ৬৩ হাজার ১৯৯টি।

    তবে একই সময়ে আয়কর কমেছে ১৯৩ কোটি টাকা।