Tag: ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

  • প্রিমিয়ারে বর্ষসেরা ফুটবলার সালাহ, সেরা একাদশে রোনালদো

    প্রিমিয়ারে বর্ষসেরা ফুটবলার সালাহ, সেরা একাদশে রোনালদো

    ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০২১-২২ মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় ও সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন লিভারপুলের মিসরিয়ান তারকা মোহামেদ সালাহ।

    লিভারপুল লিগ জিততে ব্যর্থ হলেও যুগ্মভাবে আসরের সর্বোচ্চ ২৩ গোল করেছেন সালাহ। পাশাপাশি ১৩টি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি। লিভারপুলের দ্বিতীয় হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকাই রেখেছেন সালাহ। এছাড়া কারাবাও কাপ এবং এফএ কাপেও দারুণ পারফর্ম করেন তিনি।

    অবাক করার বিষয় হলো, বর্ষসেরা একাদশে জায়গা হয়নি সালাহর সমান ২৩ গোল করা টটেনহ্যাম হটস্পারের কোরিয়ান তারকা সন হিউং মিনের। তবে ছয় নম্বরে থেকে লিগ শেষ করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে আলো ছড়িয়ে সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

    বর্ষসেরা একাদশে গোলরক্ষক ও জোড়া ফরোয়ার্ডসহ সর্বোচ্চ ছয়জন খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন লিভারপুল থেকে। চ্যাম্পিয়ন হয়েও ম্যানচেস্টার সিটি থেকে রয়েছেন মাত্র তিনজন খেলোয়াড়। বাকি দুজন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসির ফুটবলার।

    অন্যদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো পিএফএ তরুণ বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ম্যান সিটির মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। মাত্র পঞ্চম ফুটবলার হিসেবে এ কীর্তি গড়লেন তিনি। তার আগে পরপর দুই বছর পুরস্কার জিতেছেন রায়ান গিগস, রবি ফাওলার, ওয়েন রুনি ও ডেলে আলি।

    পিএফএ প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা একাদশ
    অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল), ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার আর্নল্ড (লিভারপুল), ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল), অ্যান্টনিও রুডিগার (চেলসি), হোয়াও ক্যানসেলো (ম্যানচেস্টার সিটি), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি), থিয়াগো আলকান্তারা (লিভারপুল), বার্নার্দো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি), সাদিও মানে (লিভারপুল), ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) ও মোহামেদ সালাহ (লিভারপুল)।

  • ম্যানইউকে উড়িয়ে দিল টটেনহ্যাম

    ম্যানইউকে উড়িয়ে দিল টটেনহ্যাম

    ২৪ ঘণ্টা, ক্রীড়া ডেস্ক : খেলা শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পেনাল্টির বাঁশি এবং টটেনহ্যাম হটস্পারের জালে বল। পরে তারাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য হয়ে উঠল দুঃস্বপ্ন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে উলে গুনার সুলশারের দলকে উড়িয়ে দিল জোসে মরিনিয়োর টটেনহ্যাম।

    ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রোববার ৬-১ গোলে জিতেছে সফরকারীরা। জোড়া গোল করেন হ্যারি কেইন ও সন হিউং-মিন। একটি করে গোল করেন সের্জ অরিয়ের ও টানগাই এনদোমবেলে।

    প্রায় এক ঘণ্টা একজন কম নিয়ে খেলা ইউনাইটেডের একমাত্র গোলটি করেন ব্রুনো ফের্নান্দেস।

    মরিনিয়োর সাবেক ও বর্তমান দলের ম্যাচের শুরুটা ছিল পাগলাটে। সফল স্পট কিকে দ্বিতীয় মিনিটে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন ফার্নান্দেস। অঁতনি মার্সিয়ালকে দাভিনসন ফাউল করলে ২৯ সেকেন্ডের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা।

    দুই মিনিট পরেই সমতা টানে টটেনহ্যাম। থ্রু-ইন থেকে নিজেদের ডি-বক্সে একের পর এক দুর্বল হেডে বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টায় ছিল ইউনাইটেড। পারেননি হ্যারি ম্যাগুইয়ার, লুক শরা। জটলার মধ্যে আলগা বল পেয়ে বুলেট গতির শটে জালে পাঠান এনদোমবেলে।

    সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। এই গোলের পেছনেও দায় আছে ম্যাগুইয়ারের। তার অহেতুক ফাউলের পর হ্যারি কেইনের দ্রুত নেওয়া ফ্রি কিক খুঁজে পায় হিউং-মিনকে। দ্রুত এগিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা দুই খেলোয়াড়কে এড়িয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।

    গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগের কোনো ম্যাচে প্রথম সাত মিনিটে হলো তিন গোল।

    টটেনহ্যামের একের পর এক আক্রমণে দিশাহীন ইউনাইটেড বড় একটা ধাক্কা খায় ২৯তম মিনিটে। এরিক লামেলার সঙ্গে মৃদু ধাক্কাধাক্কির জন্য লাল কার্ড দেখেন মার্সিয়াল। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের লুটিয়ে পড়ার ধরন বেশ নাটকীয় ছিল, রিপ্লেতে মনে হয়নি মার্সিয়াল লাল কার্ড পাওয়ার মতো কিছু করেছেন।

    দুই মিনিট পরেই স্বাগতিকদের আরেকটি উপহারে বাড়ে ব্যবধান। নিজেদের ডি-বক্সে দাভিদ দে হেয়া বল দেন এরিক বেইলিকে। তিনি নেমানিয়া মাতিচকে পাস দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। ছুটে এসে স্লাইড করে বল কেড়ে নেন কেইন। সনের পা ঘুরে বল পেয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ স্ট্রাইকার।

    ৩৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন সন। সের্জ অরিয়েরের ক্রসে ইউনাইটেড গোলরক্ষককে পরাস্ত করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার এই ফরোয়ার্ড।

    প্রিমিয়ার লিগ যুগে প্রথমবারের মতো প্রথমার্ধে ৪ গোল হজম করা ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার জাল থেকে বল কুড়িয়ে আনে। পিয়েরে-এমিলির দারুণ পাসে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন রাইট-ব্যাক অরিয়ের।

    এরপর রক্ষণে আরও মনোযোগ বাড়ায় ইউনাইটেড। তবুও ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি টটেনহ্যামকে। ৭৯তম মিনিটে সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৬-১ করেন কেইন। বেন ডেভিসকে পল পগবা ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল সফরকারীরা।

    প্রিমিয়ার লিগে এ নিয়ে তৃতীয়বার ৬ গোল হজম করল ইউনাইটেড। আগের দুবারও অক্টোবরেই, ১৯৯৬ সালে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৩-৬ ও ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ১-৬ গোলে হেরেছিল প্রতিযোগিতার সফল দলটি।

    চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে টটেনহ্যাম। তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হারের স্বাদ পাওয়া ইউনাইটেড আছে ১৬ নম্বরে।

    ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে এভারটন। ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়া লেস্টার সিটি সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে।

    শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারানো আর্সেনাল ৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে তাদের পরেই।

    ২৪ ঘণ্টা/আবরার