Tag: ইংল্যান্ড

  • স্পেনের ইউরো জয়

    স্পেনের ইউরো জয়

    দানি ওলমো ফিরিয়ে দিলেন ডেক্লান রাইসের হেড। সঙ্গে সঙ্গে ফেটে পড়লেন উল্লাসে। সবসময় গোল করা তার দায়িত্ব। খেলেন স্ট্রাইকার হিসেবে। কিন্তু ফাইনালে দলের প্রয়োজনে গোলরক্ষক উনাই সিমনের পাশে দাঁড়ালেন। সেখানেই গোললাইন থেকে করলেন দারুণ এক সেইভ। রাইসের হেড ফিরিয়ে দিলেন পাল্টা হেডে। পরমুহুর্তে তার উল্লাসই বলে দিলো, এমন একটা কিছু স্পেনের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ।

    দানি ওলমোর এমন সেইভের কয়েকমিনিট আগেই স্পেন পেয়ে যায় নিজেদের জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি। ‘টাইম ইজ রানিং আউট এন্ড স্পেন ইজ নিয়ারলি দেয়ার!’ ৮৬ মিনিটে মিকেল অরায়াথাবালের গোলের পর ঠিক এভাবেই মুহূর্তটাকে বর্ণনা করেছিলেন ধারাভাষ্যকার পিটার ড্রুরি। নিখুঁত ইংলিশ উচ্চারণে বুঝিয়ে দিলেন আরও একটা ইউরো হারের দ্বারপ্রান্তে আছে ইংল্যান্ড। ২০২১ সালে ঘরের মাঠে ইতালির কাছে হারের পর, এবারে জার্মানির বার্লিনে। প্রতিপক্ষ স্পেন!

    ২-১ গোলের জয়ে এদিন স্পেন জয় করেছে নিজেদের চতুর্থ ইউরো শিরোপা। নিকো উইলিয়ামস আর মিকেল অরায়াথাবালের গোল তাদের করলো প্রেস্টিজিয়াস এই আসরের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন। কোল পালমারের দুর্দান্ত এক গোল এদিন বৃথা গেল পুরোদমে। টানা ৭ জয় দিয়ে রেকর্ড গড়েই ইউরো জয় করল স্পেন। আর এমন হারে ৫৮ বছর কোনো মেজর শিরোপা ছাড়াই পার করতে হলো ইংল্যান্ডকে।

    অথচ ম্যাচের শুরুর ৪৫ মিনিট দেখে কেউই ধারণা করেননি শেষটা হবে এতই জমাট। দুই দলই খেলতে নেমেছিল ডাবল পিভট নিয়ে। বোঝাই গিয়েছিল ফাইনালে আগ্রাসী হয়ে বিপদ ডাকতে রাজি ছিলেন না লুইস দে লা ফুয়েন্তে বা গ্যারেথ সাউথগেট। প্রথমার্ধ তাই পার হলো সাবধানী ফুটবলে। ইংল্যান্ড অবশ্য আগে থেকেই এমন সাবধানী ফুটবলে অভ্যস্ত। তবে স্পেনের গতিশীল ফুটবলেও আজ এসেছিল ভাটা। লামিনে ইয়ামাল কিংবা নিকো উইলিয়ামসরা খুব একটা এগিয়ে যাননি। ৪৫ মিনিট তাই শেষ হয় গোলশূন্য ড্র-য়ে।

    কিন্তু বিরতির পরেই রঙ বদল ঘটে ম্যাচের। কাইল ওয়াকার ভুল করলেন আরও একবার। রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে তারই পজিশনের ভুলে লিড পেয়েছিল স্লোভাকিয়া। এবারও ঘটল তাই। দানি কার্ভাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে লামিনে ইয়ামাল দিয়েছিলেন দুর্দান্ত এক রান। নিজের পজিশন তখনও পুরো আয়ত্বে আনা হয়নি কাইল ওয়াকারের। এগিয়ে এলেন আরও অনেকটা।

    তাতেই ফাঁকা হয়ে যান নিকো উইলিয়ামস। ইয়ামালের পাস থেকে এরপর পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন নিচু এক শটে। মাঝে দানি ওলমোর ফলস রান বোকা বানালো ইংলিশ রক্ষণের সবাইকে। নিকো উইলিয়ামসের কাজটা তাতে হলো আরও সহজ। প্রথমার্ধের ম্যাড়ম্যাড়ে খেলার পর ফাইনালে লিড পেয়ে যায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই হলো গোল।

    মিনিট দুয়েক পরেই আরেকবার গোলের সুযোগ পেয়ে যায় স্পেন। দানি ওলমো দুর্দান্ত এক সুযোগ মিস করেন গোলের বাইরে শট মেরে। ৫৫ মিনিটে গোল করার সহজ সুযোগ হারান স্পেনের অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। ৬০ মিনিটের মাথায় কেইনকে তুলে নেন সাউথগেট। এরপরেও ম্যাচে ইংলিশরা ফিরে আসতে পারেনি। ৬৭ মিনিটে অলমোর পাস ধরে বক্সে ঢুকে দ্বিতীয় পোস্টে বল রাখার চেষ্টা করেন ইয়ামাল। ঝাঁপিয়ে বল বার করেন পিকফোর্ড।

    ৭৩ মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। ডানপ্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বুকায়ো সাকা। মার্ক কুকুরেয়াকে পেছনে ফেলে বল দিয়েছিলেন বক্সে। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেও সেই বল বক্সের বাইরে পালমারের উদ্দেশ্যে ঠেলে দেন জ্যুড বেলিংহাম। ফাঁকা অবস্থায় ডিবক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন কোল পালমার।

    বক্সের বাইরে থেকে নেয়া কোল পালমারের সেই শট ঠেকাবার কোনো সাধ্য ছিল না স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমনের। অবশ্য এর আগেও বেলিংহাম আর সাকারা একাধিকবার ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। আক্রমণে ধার আনতে নিজেদের সেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনকেও উঠিয়ে নেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। শেষ পর্যন্ত কাজে এসেছে তার এই বদল।

    ৮৬ মিনিটের মাথায় স্পেনকে এগিয়ে দেন পরিবর্ত হিসাবে নামা মিকেল অরায়াথাবাল। বাঁ প্রান্ত ধরে ওঠেন আসরের অন্যতম সেরা তারকা কুকুরেয়া। বল বাড়ান বক্সে। আলতো টোকায় পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে গোল করেন অরায়াথাবাল। শেষ পর্যন্ত এই গোলেই নির্ধারণ হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ৮৯ মিনিটে দানি ওলমো অবশ্য ফিরিয়ে দেন ইংল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার শেষ আশাও। তাতেই ৫৮ বছরে গড়াল ইংলিশদের শিরোপার অপেক্ষা।

  • বিশ্বকাপে অঘটনের শিকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

    বিশ্বকাপে অঘটনের শিকার চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

    এবারের বিশ্বকাপে এই প্রথম বড় কোনো অঘটনের জন্ম দিলো আফগানিস্তান। আগের দুই ম্যাচে গো-হারা আফগানিস্তান আজ দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে হারিয়ে দিয়েছে গত বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে।

    টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত যে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের জন্য কতবড় ভুল ছিল, তা ম্যাচ শেষে এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।

    জবাব দিতে নেমে আফগান স্পিনের সামনে খেই হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। মুজিব-উর রহমান, রশিদ খান এবং মোহাম্মদ নবির মায়াবি ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে ৪০.৩ ওভারে ২১৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যার ফলে আফগানিস্তানের জয় এলো ৬৯ রানে।

    এ নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেললো আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড। দুই দলই দুটি করে ম্যাচ হেরেছে এবং জিতেছে একটি করে ম্যাচ। ইংল্যান্ড হেরেছে নিউজিল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের কাছে। আর আফগানিস্তান হারলো বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে।

    ২৮৫ রানের পুঁজি নিয়েই লড়াই করতে নামে আফগান বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই আফগানিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন বা হাতি পেস বোলার ফজল হক ফারুকি। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা জনি বেয়ারস্টোকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই পেসার।

    বেয়ারস্টো সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলেও বাংলাদেশ আম্পায়ার সৈকতের বিচক্ষণ সঠিক সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে যেন বিপদেই পড়ে ইংলিশরা।

    দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ডেভিড মালান ও জো রুট কিছুটা বিপর্যয় সামাল দেন ৩০ রানের জুটি গড়ে। কিন্তু ৭ম ওভারেই সেই জুটি ভাঙেন স্পিনার মুজিব। তার অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক করা জো রুট।

    প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ডরা। আফগান স্পিনে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। ১৩তম ওভারে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ারন ডেভিড মালানকে আউট করে আবারো ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ফেলেন অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী। ১৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা এই বোলার বলে মালান শর্ট এক্সট্রা কাভারে ইব্রাহিম জারদানের হাতে ধরা পড়েন।

    ৯০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক জস বাটলারকেও হারায় তারা। নাভিন উল হকের অসাধারণ এক ইন সুইং ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হন জস বাটলার। মাত্র ১৮ বলে ৯ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। বাটলারের আউটের দুই ওভার পরেই রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন লিভিংস্টোন।

    ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের এক পাশে যখন ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিল চলছিল ঠিক অন্যপাশে আফগান বোলারদের উপর চড়াও হচ্ছিলেন হ্যারি ব্রুক। তুলে নিনে অর্ধশতকও।

    ২৮তম ওভারে আবারো ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নবী। এবার তার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্যাম কারান। ক্রিস ওকসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৩তম ওভারে তাকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান মুজিব।

    মুজিবের বোলিংয়ের কারিশমা তখনও শেষ হয়নি। এরপরের ওভার করতে এসেই ইংলিশদের এই ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান ৬১ বলে ৬৬ রান ব্রুককে আউট করলে কার্যত ইংলিশদের জয়ের আশা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এরপর শেষের দিকে আদিল রশিদ ২০, ক্রিস উড ১৮ ও রিস টপলি ১৫ রান করলেও তা ম্যাচ জয়ের মত যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৪০.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা ২১৫ রানেই থামে।

    আফগানিস্তানের হয়ে মুজিব ৩টি, নবী ও রশিদ খান ২টি, ফজলহক ফারুকী ও নাভিন উল হক ১টি করে উইকেট পান।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামতে হয় আফগানিস্তানকে। রহমানুল্লাহ গুরবাজের টর্নেডো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে অসাধারণ সূচনা করেছিলো আফগানরা। তবে ১১৪ থেকে ১২২ রানের মধ্যে ৩ উইকেটের পতনে থমকে যায় তাদের ইনিংস। ইকরাম আলিখিল ৫৮ রান করার ফলে শেষ পর্যন্ত ৪৯.৫ ওভারে ২৮৪ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
    প্রথম ১৫টি ওভার যেন স্বপ্নের মত কেটেছিলো আফগানিস্তানের। কোনো উইকেট হারাতে হয়নি। রান তুলে ফেলেছে ১১০-এর বেশি। ইংল্যান্ডের মত দলের বিপক্ষে এমন স্বপ্নের শুরু কবে করতে পেরেছিলো আফগানরা!

    কিন্তু এই সুখস্মৃতি খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। একে একে তিনটি উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়ে যায় আফগানরা। তিন নম্বর ব্যাটার হিসেবে রানআউট হন দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা রহমানুল্লাহ গুরবাজ।

    ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে হাশমতউল্লাহ শহিদি ব্যাট করছিলেন। আদিল রশিদকে ঠেলে দিয়েই দ্রুত একটি রান তুলতে যান তিনি। মিড উইকেটে ফিল্ডার ছিলেন ডেভিড উইলি। তিনি বল থ্রো করেন ব্যাটিংপ্রান্তে। বল ধরেই উইকেট ভেঙ্গে দেন জস বাটলার। সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যায় ৫৭ বলে ৮০ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস।

    পরপর দুই বলে দুটি উইকেট হারিয়েই ব্যাকফুটে চলে যায় আফগানিস্তান। লড়াইয়ে নিজেদেরকে চালকের আসনে নিয়ে আসে ইংল্যান্ড।

    আগে টস হেরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নামার পর আফগানদের ঠিক ‘আফগানিস্তানে’র মতো মনে হচ্ছিল না। এই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে বোলারদের পিটিয়েছিলো, ঠিক তেমনটাই মনে হচ্ছিলো রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের ব্যাটিংয়ে।

    শেষ পর্যন্ত এই দু’জনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে সক্ষম হন ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ১১৪ রানের বিশাল জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হলেন গুরবাজ এবং ইবরাহিম। আদিল রশিদকে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে মেরে বাউন্ডারি আদায় করতে চেয়েছিলেন ইবরাহিম। কিন্তু শর্ট মিডউইকেটে সরাসরি জো রুটের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৪৮ বলে ২৮ রান করে আউট হলেন ইবরাহিম।

    এরপর রহমত শাহ মাঠে নেমে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান সাজঘরে। হাশমতউল্লাহ শহিদির ভুলে তো রান আউট হলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ৫৭ বলে ৮০ রানের ইনিংসে গুরবাজ ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৪টি।

    হাশমতউল্লাহও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। ৩৬ বল খেলে মাত্র ১৪ রানে আউট হন তিনি। ২৪ বলে ১৯ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৬৬ বলে ৫৮ রান করেন ইকরাম আলিখিল। মোহাম্মদ নবি আউট হন ৯ রান করে। ২২ বলে ২৩ রান করেন রশিদ খান। তবে শেষ মুহূর্তে ঝড় তুলেছিলেন মুজিব-উর রহমান। ১৬ বলে ২৮ রান করেন তিনি। নাভিন-উল হক রানআউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস। তখনও একটি বল বাকি ছিল তাদের।

    ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট নেন আদিল রশিদ। ২ উইকেট নেন মার্ক উড। ১টি করে উইকেট নেন রিসি টপলি, লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জো রুট।

  • টাইগারদের বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয় ইংল্যান্ডের

    টাইগারদের বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয় ইংল্যান্ডের

    ২০১১ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর সুখস্মৃতি নিয়েই আজ বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে ইংলিশদের বিপক্ষে নেমেছিল বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভিড মালানের ১৪০ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রানের সংগ্রহ পায় জস বাটলারের দল। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের তোপে ১০ বলে হাতে রেখেই ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। এতে বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের বিপক্ষে ১৩৭ রানের বিশাল জয় পায় জস বাটলারের দল।

    লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের প্রথম ওভারেই তিন বাউন্ডারিতে ১২ রান তুলে নেন লিটন। তবে দ্বিতীয় ওভারেই খেই হারায় টাইগাররা। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে রিস টপলির বলে জনি বেয়ারস্টোর তালুবন্দী হয়েছেন তামিম। আউট হওয়ার আগে ১ রান করেন তিনি।এরপর উইকেটে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে রানের খাতা খোলার আগেই টপলির বলে লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দেন তিনি। ম্যাচের শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পরা বাংলাদেশ। পরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন লিটন।

    তবে টাইগার দলপতিও ব্যর্থ ইনিংস বড় করতে। দলীয় ২৬ রানে টপলির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। আউট হবার আগে ৯ বলে ১ রান করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে আসে বাংলাদেশে ভরসার নাম মিরাজ। তবে আজ ইনিংস বড় করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। দলীয় ৪৯ রানে ক্রিস ওকসের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ৭ বলে ৮ করেন তিনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা।

    সেখান থেকে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৬২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন লিটন। একই সঙ্গে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটিও তুলে নেন টাইগার ওপেনার। অবশ্য সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে ক্রিস ওকসের বলে বাটলারের তালুবন্দী হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৭৬ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার। তার বিদায়ে উইকেটে আসেন তাওহীদ হৃদয়। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিক।

    দেখেশুনে খেলে ম্যাচের ৩০তম ওভারের তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের ৪৭তম ফিফটি হাঁকান মুশি। অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। রিস টপলির বলে ডিপ থার্ডে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আদিল রশিদের তালুবন্দী হন মুশি। আউট হওয়ার আগে ৫১ রান করেন তিনি। শেষ দিকে হৃদয়ের ৩৯ ও শেখ মেহেদীর ১৪ রান কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে টাইগারদের। শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখেই ২২৭ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।

  • বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

    ২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুরু হয়। অথচ ইংল‌্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম খেলার সুযোগ পায় ২০২১ সালের বিশ্বকাপে। বিষয়টি অবাক করার মতোই। ম‌্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৮ উইকেটে। সে সময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশও দুঃসময় পার করছিল। এবার ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ বিশ্বচ‌্যাম্পিয়নদের ঘায়েল করে জিতে নিয়েছে সিরিজ।

    রবিবার (১২ মার্চ) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সিরিজ জেতার ম‌্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ৪ উইকেটে।

    প্রথমে বোলারদের ক্ষুরধার বোলিংয়ে টস জিতে ইংল‌্যান্ডকে ব‌্যাট করতে পাঠিয়ে ১১৭ রানে অলআউট করে। সিরিজ জেতার নেশায় মত্ত বাংলাদেশের ব‌্যাটাররা সেই রান ১৮.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে অতিক্রম করে উল্লাসে মেতে উঠে। প্রথম ম‌্যাচ বাংলাদেশ চট্টগ্রামে জিতেছিল ৬ উইকেটে। সিরিজের শেষ ম‌্যাচ একই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার।

  • বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১১৮ রান

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১১৮ রান

    ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি জিতে একটি ইতিহাস হয়েছে, ডাকছে আরেকটি ইতিহাস। ইংলিশদের বিপক্ষে এর আগে কখনও দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ। এবারই প্রথম, আর প্রথমবারেই সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ।

    বোলাররা এরই মধ্যে তাদের কাজটা করে দিয়েছেন। অফস্পিন ভেল্কিতে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনিংসের শেষ বলে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১১৭ রানে। অর্থাৎ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১১৮ রান।

    মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসভাগ্যটা বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল। টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

    শুরুতেই ইংলিশদের চাপে ফেলে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৫ রান করা ডেভিড মালান ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদের শিকার হন। ক্যাচ নেন হাসান মাহমুদ। এরপর ফিল সল্ট চালিয়ে খেলছিলেন। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৫০ রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

    তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আঘাত হানেন সাকিব। ফিরিয়ে দেন ভয়ংকর হতে চাওয়া সল্টকে (১৯ বলে ২৫)। ঘূর্ণি জাদুতে পরাস্ত করে সাকিব নিজেই নেন ফিরতি ক্যাচ।

    এরপর অষ্টম ওভারে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারকে (৪) চোখ ধাঁধানো এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। মঈন আলি (১৭ বলে ১৫) চাপ সামলাবেন কি, তার ঠিক পরের ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন। ৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকতে থাকে ইংল্যান্ড।

    সেখান থেকে স্যাম কারান আর বেন ডাকেট হাল ধরতে চেয়েছিলেন। ৩২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু ইনিংসের ১৫তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ জোড়া ধাক্কা হানেন ইংলিশ শিবিরে।

    মিরাজের টার্ন বুঝতে না পেরে এগিয়ে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন স্যাম কারান (১৬ বলে ১২) আর ক্রিস ওকস (০)। ৯১ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংলিশরা।

    স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ছিলেন কেবল বেন ডাকেট। শেষ ওভার পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মারতে গিয়ে বল আকাশে ভাসিয়ে দেন ডাকেট। ২৮ বলে ২৮ করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

    মিরাজ ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে একাই নিয়েছেন ৪টি উইকেট। একটি করে উইকেট সাকিব, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আর মোস্তাফিজের। আফিফ, শান্তসহ সাকিব আজ বাংলাদেশের ৮ বোলার ব্যবহার করেছেন।

  • বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    নানা অলিগলি পেরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আবারো নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এসেছেন নতুন কোচ, বিপিএলে ভালো করে সুযোগ পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তাদের পরীক্ষা দিতে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। তবে এতসব চ্যালেঞ্জ প্রথম ম্যাচেই টপকে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে আজই প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দ পেল সাকিব আল হাসানের দল। বল হাতে হাসান মাহমুদদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পর শান্ত ও সাকিবের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সাকিব অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।

    চট্টগ্রামের সাগরিকা পাড়ে দর্শক ছিল না শেষ ওয়ানডেতে, তবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সাসনে সাকিবের দল প্রথমবার হারাল ইংল্যান্ডকে। মাঠজুড়ে শুধু একটাই চিৎকার, একটাই হুংকার ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’।

    বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকে বাংলাদেশ দল। প্রায় ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার দেখালেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। তবে আগ্রাসী ইনিংস খেললেও পারেননি ইনিংস দীর্ঘ করতে। ১৪ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন টাইগার এই ওপেনার। এরপরই দুঃস্বপ্নের ওয়ানডে সিরিজ কাটানো লিটনও প্রত্যাবর্তনের বার্তা দিয়ে ফিরে যান ১২ রান করে।

    এরপরের গল্পটা শুধু শান্ত আর হৃদয়ের। জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, আদিল রশিদ কাউকেই ছাড় দেননি শান্ত। মার্ক উডের ৪ বলে ৪ টা চারই হাঁকিয়ে বসে বাঁহাতি এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে শান্তকে সঙ্গ দিয়ে চলছিলেন অভিষিক্ত হৃদয়। ২৭ বলে শান্ত তুলে নেন অর্ধ-শতক। তবে এরপরের বলেই ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান হৃদয়।

    অর্ধ-শতক করে শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রানে থাকা অবস্থায় উডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টাইগার এই ব্যাটার। বাকি গল্পটা আফিফ হোসেনকে নিয়ে শেষ করেছেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটিতে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। আফিফ থাকেন ১৩ রানে অরপরাজিত। ইংলিশদের হয়ে ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন জোফরা আর্চার, মঈন আলি, আদিল রশিদ এবং মার্ক উড।

    দিনের শুরুতে অবশ্য টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ইংলিশরা। ইংলিশ দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলার মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। তবে ৩৮ রানে সল্ট ফিরলেও ইনিংসের শেষ দিকে গিয়ে ৬৭ রান করে ফেরেন বাটলার। এছাড়া বেন ডাকেট করেন ২০ রান।

    টাইগারদের হয়ে দারুণ বল করা হাসান মাহমুদের বল খেলতে বেশ বেগ পেতে হয় ইংলিশ বোলারদের। এছাড়া ডেথ ওভারে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান করেছেন নজরকাড়া বোলিং। যে কারণে শেষ ৫ ওভারে ইংলিশরা তাদের স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ করে মোটে ৩০ রান।

    শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন তাসকিন, সাকিব, নাসুম এবং মুস্তাফিজুর।

  • সাকিব ম্যাজিকে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধ

    সাকিব ম্যাজিকে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড বধ

    সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে এসে অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলের জয়ে একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। ব্যাটিংটা ভালো-মন্দের মিশেলে হয়েছে টাইগারদের। ফিফটি হাঁকিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান। শেষদিকে ৭১ বলে ৭৫ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন সাকিব। শেষমেশ ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

    ২৪৭ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিল ইংল্যান্ড। ওপেনার ফিল সল্টই বেশি মারমুখি ছিলেন। আরেক ওপেনার আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জেসন রয় আগাচ্ছিলেন কিছুটা ধীরগতিতে। দুজনের জুটি পার করে ফেলে ৫০ রান। সল্টকে ফিরিয়ে দিয়ে ইংলিশদেরকে প্রথম আঘাতটা দেন সাকিব। ২৫ বলে ৩৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে দলের দলের ৫৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান সল্ট।

    সল্টের আউটের পর ইংলিশদের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। পরের ওভারেই ডেভিড মালানকে আউট করে দেন সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা এবাদত হোসেন চৌধুরী। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন মালান।

    পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এবার আউট হন জেসন রয়, ফিরিয়েছেন সেই সাকিব। টানা ৩ ওভারে ইংল্যান্ডের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটা বেশ জমিয়ে তোলে বাংলাদেশ।

    সেই চাপ থেকে ইংলিশদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন স্যাম কারান এবং জেমস ভিন্স। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে রান তুলছিলেন তবে কিছুটা ধীরগতিতে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করেন ভিন্স এবং কারান। ভিন্স কিছুটা সাবলীল থাকলেও অনেকটাই নড়বড়ে ছিলেন কারান। দলের ১০৪ রানের মাথায় কারানকে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। এর কিছুক্ষণ ৪৪ বলে ৩৮ রান করে আউট হন ভিন্স, উইকেটশিকারী এবারও সেই সাকিব। পরের ওভারেই মঈন আলীকে ফিরিয়ে দেন এবাদত। ১৩০ রানের মধ্যে হুট করেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ইংলিশদের একের পর এক উইকেট তুলে ম্যাচটাকে আবারও জমিয়ে তোলেন টাইগার বোলাররা।

    এরপর ক্রিস ওকসকে সাথে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক জস বাটলার। বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন বাটলার। তবে ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দলের ১৫৮ রানের মাথায় ইংলিশদের বড় ভরসা বাটলারও আউট হয়ে যান। বাটলারকে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। আর তাতেই যেন ম্যাচ হেলে পড়তে শুরু করে বাংলাদেশের দিকে।

    পরে ইংল্যান্ডের বাকি ব্যাটাররা মিলে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন ম্যাচ বের করার। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। বেশ তাড়াতাড়িই বাকি উইকেটগুলো হারিয়ে ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। সাদা বলের ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

    বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ৩৫ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন এবাদত এবং তাইজুল। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন বোলাররা। আর বোলারদের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলে বেশ সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

    এই জয়ের ফলে সিরিজে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ জেতার কারণে ওয়ানডে সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে শেষে এবার টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ে মাঠে নামবে দুই দল। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াবে আগামী ৯ মার্চ, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু হবে বেলা ৩টায়।

  • বড় হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খোয়ালো টাইগাররা

    বড় হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খোয়ালো টাইগাররা

    রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। পরে সাকিব-তামিম মিলে চাপ সামলে নিলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি। মিরপুরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ১৩২ রানের বড় ব্যবধানে হারল টাইগাররা। তাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড।

    ৩২৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্যাম কুরানের করা প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানেই ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে আরও একটি তুলে নেন কুরান। ব্যাট হাতে ৫ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।

    মাত্র ৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। অতপর সেই জুটি ভাঙেন ইংলিশ স্পিনার মঈন আলী। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে জেমস ভিন্সের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।

    এদিকে সাকিব তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক। ৬৯ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ৩২ রানে মাহমুদউল্লাহ ও ২৩ রানে আফিফ হোসেন সাজঘরে ফেরেন। আর তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এছাড়া মিরাজ ৭ ও মোস্তাফিজ শূন্যরানে আউট হন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল। বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৪ রানে।

    এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশি দলনেতা তামিম ইকবাল খান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। তাসকিন আহমেদের করা বলে ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ফিল সল্ট। দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ১১ রান করেন ডেভিড মালান। ভিন্স আউট হন ৫ রানে।

    চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলনেতা জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার জেসন রয়। এ সময় দুজন মিলে তোলেন ১০৯ রান। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ইংলিশরা। জেসন রয় তুলে নেন ব্যক্তিগত শতরানের ইনিংস। এরপর সাকিব আল হাসানের করা বলে ব্যক্তিগত ১৩২ রানে আউট হন রয়।

    এরপর মঈন আলীকে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করতে থাকেন দলনেতা জস বাটলার। তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকের। শতকের পথেই ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে তাকে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন মিরাজ। আর মাত্র ৩৫ বলে ৪২ রান করেন মঈন আলী।

    এদিকে আদিল রশিদকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন স্যাম কারেন। ১৯ বলে ৩৩ রানে স্যাম কারেন ও ৫ বলে ৬ রানে আদিল রশিদ অপরাজিত থাকেন।

  • মালানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

    মালানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

    ডেভিড মালানের কাছেই হার টাইগারদের। ইনিংসের শুরু থেকে একের পর এক উইকেট শিকার করে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন তাইজুল, সাকিব, তাসকিনরা।

    কিন্তু উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ডেভিড মালানের মনসংযোগ ক্রিকেট থেকে ফেরানো যায়নি। তিনি দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ত্রাতার ভূমিকা পালন করেন।

    ঠাণ্ডা মাথায় ভালো লেন্থের বলগুলো দেখেশুনে মোকাবেলা করার পাশাপাশি খারাপ বলগুলো বাউন্ডারিতে পরিণত করার মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মালান। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করে ইংল্যান্ড।

    ক্যারিয়ারের ১৬তম ওয়ানডেতে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। গত ১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেঞ্চুরি করেন মালান। সেই ম্যাচে জস বাটলার ও মালানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ২-১ ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত করে ইংলিশরা। সেই সেঞ্চুরির পর আজ খেলতে নেমে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকালেন ৩৫ বছর বয়সী এই তারকা ব্যাটসম্যান।

    বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১০ রানের টার্গেট তাড়ায় মালান একাই করেন ১১৪ রান। তার ইনিংসটি ১৪৫ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় সাজানো।

    বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগাররা। যে কারণে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।

    ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানেই অলআউট হয় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৮২ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন। এছাড়া ৪৮ বলে ৩১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩২ বলে ২৩ রান করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১২ বলে ৮ রানে ফেরেন সাকিব।

  • ঢাকায় পৌঁছেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

    ঢাকায় পৌঁছেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল

    ক্রিকেটের উত্তাপ ছড়াতে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এখন ঢাকায়। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে শুক্রবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন জস বাটলাররা।

    জানা গেছে, একদিনের বিশ্রাম শেষে আগামীকাল শনিবার সকালে মিরপুরের একাডেমি মাঠে প্রথম অনুশীলন করবে ইংলিশরা।

    আগামী ১ মার্চ মিরপুর শেরে-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। এছাড়া মার্চের ৩ ও ৬ তারিখ মাঠে গড়াবে বাকি দুই ওয়ানডে। এরপর ৯, ১২ ও ১৪ মার্চ তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি শেষ হবে।

    যদিও সিরিজ শুরুর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে দুই বোর্ডের সমঝোতার মাধ্যমে বাতিল হয়েছে এ দুই প্রস্তুতি ম্যাচ। এ ব্যাপারে বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছিলেন, ‘আমরা সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচের পরিকল্পনা করেছিলাম। সেটা সিলেটে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ইংল্যান্ড দল শুধু আনুষ্ঠানিক ম্যাচগুলো খেলতে চাইছে। কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ এবার হচ্ছে না।’

    ওয়ানডে সিরিজটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় দুপুর বারোটা থেকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে বেলা তিনটা থেকে। দ্বিপাক্ষিক এ সিরিজকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দল ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশ উভয় দলই। টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অবশ্য এখনও দল দেয়নি টাইগাররা।

    তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ

    ১ মার্চ প্রথম ওয়ানডে মিরপুর দুপুর ১২টা
    ৩ মার্চ দ্বিতীয় ওয়ানডে মিরপুর দুপুর ১২টা
    ৬ মার্চ তৃতীয় ওয়ানডে চট্টগ্রাম দুপুর ১২ টা

    তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ

    ৯ মার্চ ১ম টি-টোয়েন্টি চট্টগ্রাম বেলা ৩ টা
    ১২ মার্চ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি মিরপুর বেলা ৩ টা
    ১৪ মার্চ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি মিরপুর বেলা ৩ টা

  • দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

    দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান

    করাচি টেস্টে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। এর ফলে দেশের মাটিতে এই প্রথম পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেল। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে দীর্ঘ ১৭ বছর পর টেস্ট সিরিজে খেলতে নেমে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড।

    আজ মঙ্গলবার টেস্টের চতুর্থ দিনে খেলতে নামার আগে ইংল্যান্ড জয় থেকে মাত্র ৫৫ রান দূরে ছিল, হাতে ছিল ৮ উইকেট। বেন ডাকেট ৮২ রান ও অধিনায়ক বেন স্টোকস ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

    সোমবার তৃতীয় দিন শেষে বেন স্টোকসের দল ১১২ রান করে ২ উইকেট হারিয়ে।

    ঘরের মাঠে এই প্রথম টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তানের এই করুণ পরিণতির জন্য দায়ী ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট নেওয়া লেগ-স্পিনার রেহান আহমেদ। ১৮ বছর ১২৮ দিন বয়সে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি।

    বাবর আজম ও সাউদ শাকিলের চতুর্থ উইকেট জুটি ভেঙে করাচি টেস্ট ইংল্যান্ডের পক্ষে নিয়ে আসেন রেহান। এর পর মিডল ও লোয়ার অর্ডারে ধস নামিয়ে নিজের মাত্র চতুর্থ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৫ উইকেট নেন ৪৮ রান দিয়ে।
    ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৬৭ রান। তৃতীয় দিনের খেলা বাকি তখন ২২ ওভার। কিন্তু আলো কমে যাওয়ায় আগেই দিনের খেলা থামিয়ে দেওয়া হয়।
    ওপেনার বেন ডাকেট ৩৮ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত। ১০ রান নিয়ে ব্যাট করেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। অপর ওপেনার জ্যাক ক্রলি আউট হন ৪১ রানে। এর আগে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২১৬ রানে। অধিনায়ক বাবর আজম (৫৪) ও সাউদ শাকিল (৫৩) শুধু হাফ সেঞ্চুরি করেন। রেহানের ৫ উইকেট ছাড়াও জ্যাক লিচ নেন ৩ উইকেট।

  • হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিসে ইংল্যান্ডের বিদায়, সেমিতে ফ্রান্স

    হ্যারি কেইনের পেনাল্টি মিসে ইংল্যান্ডের বিদায়, সেমিতে ফ্রান্স

    ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ফেভারিট ফ্রান্স। ফরাসিদের হয়ে গোল দুটি করেন চুয়ামেনি ও অলিভিয়ার জিরুদ। ইংল্যান্ডের হয়ে পেনাল্টিতে একটি গোল করলেও আরেকটি পেনাল্টি মিস করেন হ্যারি কেইন। পেনাল্টি শট নিতে গিয়ে আকাশে বল উড়িয়ে দেন তিনি, তাতেই কপাল পুড়ে ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় ইংলিশরা।

    এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই উপভোগ্য ফুটবল খেলতে থাকে। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ পায় ফ্রান্স। ডান পাশ থেকে ডেম্বেলের ক্রসে জিরুদের হেড সোজা চলে যায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের হাতে।

    ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। কাউন্টার অ্যাটাকে ফরাসিরা। এমবাপ্পে রাইসকে কাটিয়ে ডানদিকে সুইচ করেন এবং গ্রিজম্যানকে পাস বাড়ান। বলটি গ্রিজম্যান দেন চুয়ামেনিকে। ২৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের বুলেট গতির শটে গোল করতে ভুল করেননি তিনি।

    এক গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। ২৭ মিনিটে ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ায় হ্যারি কেইনের পেনাল্টি আপিল। ভিএআর এর মাধ্যমে দেখা যায় ফাউলটি ডি বক্সের বাইরে হয়েছিল। ৩০ মিনিটে আবারও হ্যারি কেইনের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লরিস।

    ম্যাচের ৩৮ মিনিটে প্রথমবারের মতো গোলের সুযোগ পান এমবাপ্পে। মিডফিল্ডে ফ্রান্সের একটি শর্ট ফ্রি-কিক এবং গ্রিজম্যান বক্সের বাইরে ডেম্বেলেকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান। তিনি হার্নান্দেজকে বল দেন। বলটি পেয়ে শট নেন এমবাপ্পে শট নিলেও সেটি বেরিয়ে যায় বারের ওপর দিয়ে। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ফ্রান্স।

    বিরতির পর ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। সাকা ডান ফ্ল্যাঙ্ক থেকে ড্রিবল করে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লে চুয়ামেনি তাকে ফাউল করেন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি হ্যারি কেইন। এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বাধিক গোলস্কোরার হলেন হ্যারি কেইন। ১-১ গোলে সমতা।

    ৭৭ মিনিটে জিরুদের শট দুরন্ত সেভ করেন পিকফোর্ড। কোনও মতে রক্ষা পায় ইংল্যান্ড।

    ৭৮ মিনিটে আবারও ফ্রান্সের লিড। গ্রিজম্যানের ক্রস প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে ধাক্কা খেয়ে তার কাছেই ফেরে। আবারও গ্রিজম্যানের ক্রস থেকে হেডে গোল জিরুদ।

    ৮২ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো ইংল্যান্ড। মাউন্টকে ডি-বক্সের ভিতর ফাউল করে বসেন থিও হার্নান্দেজ। প্রথমে রেফারি দেননি পেনাল্টি। পরে ইংল্যান্ডের দাবিতে ভারের সাহায্য নেন। ভার চেক করে পেনাল্টি দেন ইংল্যান্ডকে। হ্যারি কেইন পেনাল্টি শট নিতে এসেছিলেন। কিন্তু নার্ভ ধরে রাখতে পারেননি। শটটি গোলবারের অনেক ওপর দিয়ে মারেন। ওই পেনাল্টি মিসে ম্যাচ ইংল্যান্ডের হাত থেকে বের হয়ে যায়।

    শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই সেমিফাইনালে ফ্রান্স। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ একের পর এক মিরাকল ঘটানো মরক্কো।