Tag: ইইউ

  • বাংলাদেশকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি ইইউ’র

    বাংলাদেশকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি ইইউ’র

    বাংলাদেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জোটের ১৯ দেশের কূটনীতিকের সাথে বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়। দলটির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব ডেলিগেশন মাইকেল মিলার।

    বৈঠকে সংখ্যালঘু ইস্যু, বাণিজ্য সুবিধা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।

    এছাড়া আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, গণতন্ত্র, অর্থপাচার বিষয়গুলোও উঠে আসে। বিশেষ করে ফ‍্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের অগ্রগতি, জিএসপি সুবিধা নিশ্চিত ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা হয়।

  • মৎস্য রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখতে চট্টগ্রাম আসছে ইইউ’র প্রতিনিধি

    মৎস্য রপ্তানি প্রক্রিয়া দেখতে চট্টগ্রাম আসছে ইইউ’র প্রতিনিধি

    মৎস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে মান নিয়ন্ত্রণ, পরিবহন ও রপ্তানি প্রক্রিয়ার ধাপগুলো সরেজমিনে দেখতে আজ (বৃহস্পতিবার) নয়দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছেন ইউরোপের উচ্চ পর্যায়ের একটি টিম। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৎস্যখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।

    মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, জাপান, হংকং, অস্ট্রিলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছ, বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি ও শুঁটকি রপ্তানি হয়ে থাকে। সবশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৪ হাজার ৪৩ মেট্রিক টন। যা থেকে রপ্তানি আয় হয় ৫ হাজার ১৯১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ মৎস্য রপ্তানিকে ঘিরে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে উঠেছে মৎস্যচাষের খামার, ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার, রপ্তানি প্রসেসিং কারখানা, পরিবহন ব্যবস্থা। এছাড়াও রয়েছে এ খাতে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশও। মৎস্য রপ্তানির এসব সামগ্রিক পরিবেশ দেখতে প্রতি তিন বছর অন্তর ইউরোপ থেকে একটি টিম পরিদর্শনে আসে। তারা রপ্তানি কাজে বিভিন্ন কর্মকা- দেখে রিপোর্ট দিয়ে থাকে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী মৎস্য রপ্তানির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। এছাড়া কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্যেও তারা সুপারিশমালা দিয়ে থাকে।

    সূত্র আরও জানায়, ইউরোপের দুই সদস্যের টিমের সদস্যরা আজ ৭ ডিসেম্বর ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন। পরদিন ৮ ডিসেম্বর তারা কক্সবাজার যাবেন। সেখানে চিংড়ি চাষের হ্যাচারি পরিদর্শনসহ রপ্তানি কার্যক্রম দেখে ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আসবেন। চট্টগ্রামে টিমের সদস্যরা তিনদিন অবস্থান করে মৎস্য আহরণ ভ্যাসেল, ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা পরিদর্শন এবং মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ, চট্টগ্রামের কার্যালয় পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সভা করবেন। এরপর টিমের সদস্যরা যশোর, খুলনা গিয়ে মৎস্যচাষসহ রপ্তানি প্রক্রিয়ার সবগুলো দিক পরিদর্শন করবেন। ১৫ ডিসেম্বর তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ, চট্টগ্রামের উপপরিচালক শাহজাদা খসরু বলেন, ইউরোপ থেকে দুই সদস্যের একটি টিম প্রথমে কক্সবাজার, সেখান থেকে চট্টগ্রাম আসবেন। এখানে টিমের সদস্যরা মৎস্য উৎপাদন, পরিবহন, রপ্তানি প্রক্রিয়ার সকল কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। এ সংক্রান্ত আমরা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এর আগে ২০১৮ সালেও এ ধরনের একটি টিম বাংলাদেশে আসেন এবং সরেজমিন মৎস্য রপ্তানি সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

  • ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা চায়, আমরাও তা-ই চাই : কাদের

    ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা চায়, আমরাও তা-ই চাই : কাদের

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে একমত। নির্বাচনের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যা বলেছে, আমরাও তা-ই চাই।’

    বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    ‘বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় বিশ্ব’— ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি গতকাল এমন মন্তব্য করেছিলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ নির্বাচন নিয়ে যত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, যত অপবাদ ছাড়ানো হয়েছে… অনেকে ভেবেছিল বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সাড়া দেবেন না। কিন্তু ইতোমধ্যে শতাধিক পর্যবেক্ষক সাড়া দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।’

    গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি / ফাইল ছবি
    কাদের বলেন, নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র ও কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পিটার হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণের সীমা মেনে চলবেন বলে আশা করে সরকার। আর জোটের আসন নিয়ে শরিকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ।

    নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের শেষ কথা বলে দিয়েছে। তাই তাদের নিয়ে কথা বলার কোনো জায়গা নেই।

    দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে জাগরণ দেখা যাচ্ছে। এই নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

  • বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় পুরো বিশ্ব : ইইউ

    বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় পুরো বিশ্ব : ইইউ

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় পুরো বিশ্ব।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।

    তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তার টিম খোলামেলা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছি। আমরা আশাকরি গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য ও অংগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। পুরো বিশ্বও এটি দেখতে চায়।’

    এ সময় তিনি কোনো প্রশ্ন নিতে চাননা বলেও মন্তব্য করে। তবে সাংবাদিকরা ভোটের পরিবেশ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে হোয়াইটলি বলেন, ‘না। ধন্যবাদ।’

    বিকেল তিনটা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে হোয়াইটলি ছাড়াও ইইউর প্রতিনিধি দলে সাত দেশের রাষ্ট্রদূত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় খোঁজা জরুরি: ইইউ

    অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় খোঁজা জরুরি: ইইউ

    বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় খোঁজা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা দপ্তরের হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেল। একইসঙ্গে তিনি বিরোধী দলের অন্তত ৮ হাজার কর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    রোববার রাতে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে এ বার্তা দেন।

    এতে জোসেপ বরেল বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের ৮ হাজার কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ন্যায়বিচার সকল ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করি। মৌলিক স্বাধীনতা, মানবাধিকার, গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ উপায় খুঁজে বের করা জরুরি।

    এর আগে বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রকৃত সংলাপকে উৎসাহিত করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোসেপ বরেল। এ ছাড়া বাংলাদেশে সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চা এবং সংসদীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছেন তিনি।

    গত ১২ জুন জোসেপ বরেলকে বাংলাদেশ ইস্যুতে চিঠি দিয়ে ছিলেন ইইউর ৬ সংসদ সদস্য। এর জবাবে গত ৬ জুলাই ৬ সংসদ সদস্যকে এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছেন জোসেপ বরেল।

    ৬ সংসদ সদস্য বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অবাধ, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতহীন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে প্রতি ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানিয়ে ছিলেন।

    এর উত্তরে জোসেপ বরেল বলেছিলেন, ইইউ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত সংলাপে রয়েছে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন ইইউর রাজনীতি ও মূল্যবোধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর ফলে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রতিনিয়ত এ বিষয়গুলো আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে তুলে ধরি।

    তিনি আরও বলেছিলেন, ইইউর কাছ থেকে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পেয়ে থাকে। জিএসপি সুবিধা পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এমন এক দেশ, যার মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ রয়েছে। ইইউ ও এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।

  • নির্বাচনের আগে-পরের পরিস্থিতিতে নজর রাখবে ইইউ

    নির্বাচনের আগে-পরের পরিস্থিতিতে নজর রাখবে ইইউ

    বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের এবং পরের পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর।

    মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর। বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

    ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের আগে ও পরে মানবাধিকারসহ সব ধরনের পরিস্থিতি নজরে রাখবে ইইউ। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার। আমরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।

    বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চান বলেও মন্তব্য করেন ইমন গিলমোর।

    সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া ইইউর স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল প্রসঙ্গে গিলমোর বলেন, ইইউর প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল সফর শেষে ব্রাসেলসে প্রতিবেদন পেশ করবেন। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    বৈঠকে মানবাধিকার পরিস্থিতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি।

    এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গিলমোর। তার সঙ্গে ছিলেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ( ইইএএস) রাজনৈতিক উপদেষ্টা ভিক্টর ভিলিক। বৈঠকে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত এইচ ই চার্লস হোয়াইটলিসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।

    উল্লেখ্য, সোমবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ সফরে আসেন ইমন গিলমোর। এটি তার দ্বিতীয় বাংলাদেশ সফর। সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

    বাংলাদেশ সফরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন গিলমোর। পাশাপাশি তিনি নাগরিক সমাজ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও ঢাকায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার কথা রয়েছে।

  • ইইউ যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে : ইসি

    ইইউ যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে : ইসি

    নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন (ইইউ) যত খুশি তত নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারবে। এক্ষেত্রে ইসির কোনো লিমিটেশন নেই বলে জানান তিনি।

    মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত সচিব।

    অশোক কুমার বলেন, আজ ইইউ’র সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়েছে। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। আমাদের ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও প্রস্তুতি এবং সিসি ক্যামেরাসহ সব বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছেন। আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই তাদের একটি টেকনিক্যাল টিম আমাদের সঙ্গে মিটিং করবে। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-১ ও ২ এর সঙ্গে মিটিং করে তারা আরও বিশদভাবে জানার চেষ্টা করবে। আজকের মিটিংয়ে তাদের কিছু প্রশ্ন ছিল, সেগুলোর জবাব দিয়ে আমাদের কমিশন তাদের সন্তুষ্ট করেছে। আজকের মিটিংয়ে তারা সন্তুষ্ট।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাদের পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চেয়েছে এবং তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য যা যা করতে হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তাদের বলেছি, পর্যবেক্ষক পাঠাতে হলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন দিলে ভালো হয়। কারণ, আরও কিছু ফরমালিটি রয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ও রয়েছে। পর্যবেক্ষক পাঠাতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের কোনো লিমিটেশন নেই। তবে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক যত খুশি তত তারা পাঠাতে পারবে।

    অতিরিক্ত সচিব বলেন, অবজারভার পাঠানোর বিষয়ে কি কি প্রস্তুতি নিতে হয়, ইসি কি করবে তা জানতে চেয়েছে। কমিশন বলেছে, তারা যত সংখ্যক ইচ্ছা অবজারভার পাঠাতে পারে, এর কোনো লিমিটেশন নেই। আবেদনের জন্য টাইম ফ্রেম আছে কি না জানতে চেয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলো এলে সুবিধা হয় বলে কমিশন জানিয়েছে।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, আমাদের এ পর্যন্ত ৯১১টি নির্বাচন হয়েছে। তাতে সন্তোষ রয়েছে তাদের। পরিবেশ নিয়ে এখন পর্যন্ত সেটিসফাইড হলেও তারা আরও আলোচনা করবে। তারা ২৩ জুলাই পর্যন্ত থাকছে। ১৮-২২ জুলাইয়ের মধ্যে তারা আবারও টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে বসবে। নির্বাচনকালীন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে আনার বিষয় আলোচনায় আসেনি।

    তিনি বলেন, তারা প্রধান নির্বাচনী প্রস্তুতিটা কী তা জানতে চেয়েছে। আমাদের মেইনলি রোডম্যাপ, আমরা তা নিয়ে কাজ করছি। ট্র্যাকেই আছে। নির্বাচন কমিশন ফেয়ারলি নির্বাচন করতে সক্ষম কি না সেসব বিষয়গুলো জানতে চেয়েছে। ইসি সে বিষয়গুলো এক্সপ্লেইন করেছে, তারা সেটিসফাইড।

    তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই ইইউ’র : ইএমএফ চেয়ারম্যান

    এর আগে সকালে রাজধানীর গুলশানে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) সঙ্গে বৈঠক করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে ইএমএফ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, উনারা সংবিধানে নেই এমন কোনো কথা বলেননি এবং তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে কোনো কিছু তারা জানতে চাননি। তত্ত্বাবধায়ক বিষয়ে তারা কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

    গত রোববার ভোরে ঢাকায় আসে ইইউ প্রতিনিধি দল। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিশেষজ্ঞ হিল্লেরি রিকার্ডোর নেতৃত্বে দুই সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের কাজ করবেন তারা। আগামী ২৩ জুলাই তাদের বাংলাদেশ সফর শেষ হবে। ইইউ প্রতিনিধি দলটি সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবে।

    এর আগে, ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার (১০ জুলাই) বিকেলে গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

    জানা গেছে, ইইউর প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে।

    নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইইউর প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলটি। সফরের শুরুর দিন রোববার (৯ জুলাই) সকালে ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলির গুলাশানের বাসায় শুরু হয় প্রথম কার্যক্রম। সেখানে ইইউর কয়েকটি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রুটিন বৈঠক করেন তারা। পরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গেও বৈঠক করেন তারা।

    বাংলাদেশে দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে ইইউর পর্যবেক্ষক দলটি। বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন তারা। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের কাছে তাদের মূল্যায়নের মতামত জমা দেবেন বিশেষজ্ঞ দলটি।

    তাদের মতামত ইতিবাচক হলে পরবর্তী সময়ে আরও প্রতিনিধি দল পাঠাবে ইইউ। আর সবকিছু ঠিক থাকলে অর্থাৎ প্রতিনিধি দলের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ প্রধান। পরবর্তী সময়ে যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল আসবে তাদের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়াদি মূল্যায়ন করবে এই দলটি।

  • অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইইউ, আওয়ামী লীগও চায় সুষ্ঠু হোক

    অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইইউ, আওয়ামী লীগও চায় সুষ্ঠু হোক

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আওয়ামী লীগও চায় একটি ভালো, ত্রুটিমুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তবে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। ২০১৩-১৪ সালের মতো আবারও আগুন সন্ত্রাসের ওপর ভর করে সরকার উৎখাত ও দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে।

    বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সংলাপে বিশ্বাস করে না। রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচন কমিশনের সংলাপে তারা যায়নি। বিএনপি দূতাবাসে চুপিচুপি আসে, কাউকে জানায় না। আওয়ামী লীগ আমন্ত্রণ পেয়ে এসেছে। সবাইকে জানিয়েই এসেছে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কারও নির্দেশনা শোনে না, সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী চলে।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আগামী নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচন কমিশনকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এতে নির্বাচন ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।