Tag: ইউএনও

  • উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে ইউএনওকে দায়িত্ব

    উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে ইউএনওকে দায়িত্ব

    যেসব উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন, সেসব উপজেলায় জনসেবা নির্বিঘ্ন রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ শাখা থেকে এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে। ১৪ আগস্ট থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হয়েছে।

    আদেশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদে অনেক চেয়ারম্যান ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং যোগাযোগ করেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না মর্মে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়।

    উপজেলা পরিষদের অনেক প্যানেল চেয়ারম্যানও কর্মস্থলে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেও অফিস আদেশে জানানো হয়েছে।

    এজন্য উপজেলা পরিষদগুলোর অনেক ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং জনসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে আদেশে আরও জানানো হয়।

    যেসব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং প্যানেল চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছেন সেসব উপজেলা পরিষদে সব ধরনের জনসেবা অব্যাহত রাখা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলু রাখতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।

    গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপরই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা।

    এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া রয়েছেন ১৬ জন উপদেষ্টা।

    আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বেশিরভাগই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতারা উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

  • ৩৩৮ ওসি-১১০ ইউএনও বদলির অনুমোদন

    ৩৩৮ ওসি-১১০ ইউএনও বদলির অনুমোদন

    ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির তালিকা পাঠানো হয় ইসিতে।

    নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসি-ইউএনও বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটা ফাইল স্বাক্ষরও হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হবে। এই চিঠি স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হবে।

    গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন।

    এর আগে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ইসি।

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যেসব ওসি বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন প্রথমে তাদের ও পরে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ওসি বদলির নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও আইজিপিকে চিঠি পাঠিয়ে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ওসিদের বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশন বদলির প্রস্তাব পাঠাতে আরও তিন দিন সময় বাড়ায়। সারাদেশে বর্তমানে ৬৫০টির বেশি থানা রয়েছে।

    এছাড়া দেশের সব ইউএনওকেও পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন।

    ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই চলে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

  • ৪৭ ইউএনও বদলি, গন্তব্য দেখে নিন

    ৪৭ ইউএনও বদলি, গন্তব্য দেখে নিন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ইসি এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

    ইসি সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, বরিশাল বিভাগের দুজন, খুলনা বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের ছয়জন, সিলেট বিভাগের ছয়জন, রাজশাহী বিভাগের ছয়জন এবং রংপুর বিভাগের দুই ইউএনওকে বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

    বরিশাল সদরের ইউএনও মনিরুজ্জামানকে পিরোজপুরে ও পিরোজপুর নেছারাবাদের ইউএনও মো. মাহবুব উল্লাহ মজুমদারকে বরিশাল সদরে বদলি করা হয়েছে।

    কুড়িগ্রাম সদরের ইউএনও রাসেদুল হাসানকে পঞ্চগড়ের অটোয়ারীতে, আর পঞ্চগড়ের অটোয়ারীর ইউএনও মো. মুসফিকুল আলম হালিমকে কুড়িগ্রাম সদরে বদলি করা হয়েছে।

    নওগাঁর বদলগাছীর ইউএনও মোসা. আলপনা ইয়াসমিনকে পাবনার সাঁথিয়ায় বদলি করা হয়েছে। নওগাঁর সাপাহারের ইউএনও মো. আব্দুল্যাহ আল মামুনকে জয়পুরহাট সদরে, জয়পুরহাট সদরের ইউএনও আরাফাত হোসেনকে পাবনার ভাঙ্গুড়া, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ইউএনও তৃপ্তি কণা মন্ডলকে নওগাঁর বদলগাছী, পাবনার সাঁথিয়ার ইউএনও মো. মাসুদ হোসেনকে নওগাঁর সাপাহার ও পাবনার ভাঙ্গুড়ার ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

    রাঙ্গামাটি সদরের ইউএনও নাজমা বিনতে আমিনকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে, বান্দরবানের লামার ইউএনও মোস্তফা জাবেদ কায়সারকে রাঙ্গামাটি সদরে, রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর ইউএনও শান্তনু কুমার দাশকে বান্দরবানের লামায়, খাগড়াছড়ির পানছড়ির ইউএনও রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে, কক্সবাজারের পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমাকে চাদপুরের হাইমচরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ইউএনও এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ইউএনও অনজন দাশকে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ও চাঁদপুরের হাইমচরের ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরীকে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বদলি করা হয়েছে।

    চুয়াডাঙ্গা সদরের ইউএনও শামীম ভুইয়া চৌধুরীকে সাতক্ষীরা সদরে, কুষ্টিয়ার কুমারখালির ইউএনও বিতান কুমার মন্ডলকে যশোরের ঝিকরগাছায়, সাতক্ষীরা সদরের ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরাকে চুয়াডাঙ্গা সদরে ও যশোরের ঝিকরগাছার ইউএনও মো. মাহবুবুল হককে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বদলি করা হয়েছে।

    ময়মনসিংহ ইশ্বরগঞ্জের ইউএনও হাফিজা জেসমিনকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, ময়মনসিংহ তারাকান্দার ইউএনও মিজাবে রহমতকে শেরপুর সদরে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের ইউএনও ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জিকে ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জে, জামালপুর সদরের ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরানকে নেত্রকোনার আটপাড়ায়, শেরপুর সদরের ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌসকে জামালপুর সদরে, নেত্রকোনা আটপাড়ার ইউএনও মো. শাকিল আহমেকে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

    কিশোরগঞ্জ ভৈরবের ইউএনও মো. সাদিকুর রহমান সবুজকে টাঙ্গাইলের মধুপুরে, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ইউএনও ফরিদপুরের ভাঙ্গায়, গাজীপুরের কাপাসিয়ার ইউএনও এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানকে কিশোরগঞ্জ ভৈরবে, কিশোরগঞ্জ সদরের ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিককে গাজীপুরের কাপাসিয়ায়, কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়ার ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরীকে নরসিংদি রায়ঞ্জে, গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ার ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদকে ঢাকার সাভারে, ঢাকার ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে, গাজীপুর শ্রীপুরের ইউএনও তরিকুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জ সদরে, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদকে ঢাকার ধামরাইয়ে, নরসিংদীর রায়পুরার ইউএনও মো. আজগর হোসেনকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, সাভারের ইউএনও মো. মাজহারুল ইসলামকে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ইউএনও শামীমা ইয়াসমিনকে গাজীপুরের শ্রীপুরে ও ফরিদপুরের ভাঙ্গার ইউএনও আজিম উদ্দিনকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বদলি করা হয়েছে।

    হবিগঞ্জের বাহবলের ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমাকে ওসমানী নগর সিলেটে, আর ওসমানীনগরের ইউএনও নীলিমা রায়হানাকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে, সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইউএনও তাহমিলুর রহমানকে হবিগঞ্জের বাহুবলে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ইউএনও সিদ্ধার্থ ভৌমিককে সিলেটের গোয়াইনঘাটে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ইউএনও মো. সাজেদুল ইসলামকে সিলেটের জৈন্তাপুর আর জৈন্তাপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলামকে জগন্নাথপুরে বদলি করা হয়েছে।

  • নৌকার মনোনয়ন জমা নেওয়ার সময় ‘ভি-চিহ্ন’ দেখিয়ে বিতর্কে ইউএনও

    নৌকার মনোনয়ন জমা নেওয়ার সময় ‘ভি-চিহ্ন’ দেখিয়ে বিতর্কে ইউএনও

    নোয়াখালীর চাটখিলে নৌকার প্রার্থীর মনোনয়ন জমা নেওয়ার সময় ‘ভি-চিহ্ন’ দেখিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।

    বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম নৌকার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তিনি হাসিমুখে বিতর্কিত ওই ছবি তোলেন।

    সন্ধ্যার পর থেকে ইউএনও হাসিমুখে তোলা ভি-চিহ্নের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে অনেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আওয়ামী লীগের জোটে থাকা অনেক প্রার্থীও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

    এম. মোতাহের হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘হায়রে সোনার বাংলা এসব নির্বাচন কর্মকর্তা দিয়ে করবেন তথাকথিত নিরপেক্ষ নির্বাচন? নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন যার কাছে তিনিই অতি আবেগে ‘ভি চিহ্ন’ দেখাচ্ছেন। এতে অপরাপর প্রার্থীরা তার কাছে নিরপেক্ষ আচরণের আশা হারালো।’

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোয়াখালী-১ আসনের এক স্বতন্ত্রপ্রার্থী বলেন, ‘যে মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার এমন আচরণ প্রার্থী ও ভোটারদের হতাশ করেছে।’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি উচ্ছ্বসিত হওয়ার মতো কিছু না। মনোনয়ন জমার সময় হাত তুলে কাউকে কিছু বলার সময় ছবিটি তোলা হয়েছে।

    এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি) দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ছবিটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মকর্তাসহ সব সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সতর্ক করে আবারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    এবার নোয়াখালী-১ আসনের ১১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে বুধবার বিকেল পর্যন্ত তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের এইচ এম ইব্রাহিম, গণফ্রন্টের মো. খোরশেদ আলম ও জাসদের হারুন অর রশিদ।

  • ডিসি-ইউএনওদের জন্য বিলাসবহুল ২৬১ গাড়ি কেনার অনুমোদন

    ডিসি-ইউএনওদের জন্য বিলাসবহুল ২৬১ গাড়ি কেনার অনুমোদন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং মাঠপর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য বিলাসবহুল ২৬১টি জিপ গাড়ি কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

    উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার অতিরিক্ত দামে এসব গাড়ি কেনা হবে।

    বুধবার (১১ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যে কয়টি প্রস্তাব উঠেছিল সবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়ছে।

    বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ডিসি ও ইউএনওদের ২৬১টি জিপ গাড়ি কেনা সংক্রান্ত এই একটি প্রস্তাবই ছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি আনা হয়।

    অন্যদিকে টেবিলের একটি প্রস্তাবসহ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

    এই ১৫টি প্রস্তাবই মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন দেওয়া প্রস্তাবগুলোর মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৯০৮ কোটি ৫৮ হাজার ৪৪০ টাকা। এরমধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৭ টাকা এবং দেশি ব্যাংক ও বৈদেশিক অর্থায়ন এক হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৩ টাকা।

    জানা গেছে, ডিসি এবং ইউএনওদের ২৬১ জিপ গাড়ি কিনতে নিয়মিত বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার বেশি দামে কেনার নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে। মন্ত্রিসভা কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।

    এর আগে সম্প্রতি ডিসি ও ইউএনওদের জন্য ২৬১টি গাড়ি কেনার জন্য যানবাহন অধিদপ্তরের চাহিদাপত্র জনপ্রশাসনের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই চাহিদাপত্র অনুযায়ী, ডিসিদের জন্য গাড়ি কেনা হবে ৬১টি। প্রতিটি গাড়ি কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। এতে ৬১টি গাড়ি কিনতে মোট ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।

    আর ইউএনওদের ব্যবহারের জন্য কেনা হবে ২০০ গাড়ি। প্রতিটি গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। ফলে ২০০টি গাড়ি কিনতে মোট লাগবে ২৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মাধ্যমে এসব গাড়ি কেনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    এসব জিপ গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা হিসেবে চাহিদাপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ মাঠপর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সেবা নিশ্চিত করতে এসব গাড়ির প্রয়োজন হবে।

    এদিকে বৈশিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ২ জুলাই সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা জারি করা সরকার।

    একই সঙ্গে পরিচালন বাজেটের আওতায় মোটরযান, জলযান, আকাশযান খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করার সুযোগ দেওয়া হয়।

    এছাড়া পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ কারার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

    সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    এই নিষেধাজ্ঞার পর এক মাস না যেতেই আগস্টের শুরুতেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আবার গাড়ি কেনার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এমনকি গাড়ির জন্য বরাদ্দ আগের থেকে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আগে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৯৪ লাখ টাকা দামের গাড়ি কেনা যেতো। নতুন নির্দেশনায় এই বাজেট বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের গ্রেড ১ ও ২ পর্যায়ের কর্মচারী এই গাড়ি কিনতে পারবেন। আর গ্রেড ৩ বা তার চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য কেনা যাবে ৬৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি। আগে তাদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৫৭ লাখ টাকা।

    সরকারের এই গাড়ি কেনার সিদ্ধান্তের মধ্যে কার, জিপ, পিক-আপ, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, কোস্টার/মিনিবাস (এসি), মিনিবাস (নন এসি), বাস, ট্রাক রয়েছে। এরমধ্যে ৪৫ লাখ টাকা দিয়ে ১৬০০ সিসির কার, ৬৫ লাখ টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ ২০০০ সিসির জিপ, ৩৮ লাখ টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫০০ সিসির পিক-আপ (সিংগেল কেবিন), ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে ২৫০০ সিসির পিক-আপ (ডাবল কেবিন), ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল, ৫২ লাখ টাকা দিয়ে ২৭০০ সিসির মাইক্রোবাস, ৫৪ লাখ টাকা দিয়ে ২৭০০ সিসির অ্যাম্বুলেন্স, ৭৫ লাখ টাকা দিয়ে ৪২০০ সিসির কোস্টার/মিনিবাস (এসি), ৩২ লাখ টাকা দিয়ে ২৭৭১ সিসির মিনিবাস (নন এসি), ৪৬ লাখ টাকা দিয়ে ৫৮৮৩ সিসির বাস (বড়, নন এসি), ৩৯ লাখ টাকা দিয়ে ৫ টনের ট্রাক এবং ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ৩ টনের ট্রাক কেনা যাবে।

  • উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল, ক্ষমতা কমলো ইউএনওদের

    উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল, ক্ষমতা কমলো ইউএনওদের

    উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এখন থেকে উপজেলা পরিষদে ইউএনওরা সাচিবিক সহায়তা দেবেন।

    বুধবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।

    আইনের ৩৩ (১) ধারায় বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। (২) পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, আর্থিক শৃঙ্খলা প্রতিপালন এবং বিধি মাধ্যমে নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সম্পাদন করবেন।

    আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকা সত্ত্বেও একজন নির্বাহী কর্মকর্তাকে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা সাংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে ৩৩ ধারা বাতিল করেছেন আদালত।

    এর আগে ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ এর ধারা ১৩ (ক) ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

    এছাড়া উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন বাতিল করা হবে না, এই মর্মে আরও একটি রুল জারি করা হয়।

    বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এবং বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক রুল জারি করেন।

    ২০২১ সালের ১৫ জুন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ক্ষমতা দেওয়ার বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ রিট দায়ের করেন।

    এদিকে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য ইউএনওদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে এর আগে জারি করা সার্কুলার অনুসরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইউএনওরা যাতে ওই সার্কুলার অনুসরণ করেন সেজন্য পৃথক আরেকটি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশন আরেকটি রিট দায়ের করে।

  • জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন সীতাকুণ্ডের ইউএনও মোঃ শাহাদাত হোসেন

    জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন সীতাকুণ্ডের ইউএনও মোঃ শাহাদাত হোসেন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২ পেয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহাদাত হোসেন।

    বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

    নিজ কর্মক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সহিত কাজ করার স্বীকৃতি হিসাবে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে ইউএনও মোঃ শাহাদাত হোসেন এর হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। সরকারি দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, ইউএনও হিসেবে যোগদানের পর সততা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সঙ্গে উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন মোঃ শাহাদাত হোসেন।

    তিনি বলেন, এ পুরস্কার অর্জন আমার কাজের গতি সঞ্চার করবে। আমি কাজ করতে পছন্দ করি। কারও উপকার করতে পারলে তৃপ্তি পাই। মানুষ ও দেশের জন্য আজীবন কাজ করে যেতে চাই।

  • ইউএনও শরীফ উল্যাহ’র ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’

    ইউএনও শরীফ উল্যাহ’র ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’

    লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে, শিক্ষা কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন, শিক্ষার্থীদেরকে বইমুখী করা এবং পড়াশুনায় মনোযোগী করতে বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে সমগ্র উপজেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এরই মধ্যে ইউএনও শরীফ উল্যাহ গতকাল সন্ধ্যায় শুরু করেন ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে সশরীরে সরেজমিনে গিয়ে ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’ কার্যক্রম।

    গতকাল সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত তিনি তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট এগারো জন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়েছন।

    এসময় তিনি দেখেছেন- শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যার পর যথাসময়ে বাসায় প্রবেশ করেছে কি না, বাড়িতে পড়াশুনা করছে কি না ও পড়াশুনার সার্বিক খোঁজখবর নেন। অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন। কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের একটি করে ব্যাগ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন।

    জানা যায়, লোহাগাড়া সুখছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী অমিত দেবনাথ, জুবাইরুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবুল ইলহাম, সুখছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী অমি দাশ, দ্বীপ দাশ, রিদম দাশ, রক্তম দাশ পশ্চিম কলাউজান শাহ মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল, মাহাতির মোঃ ইয়াসিন ও দশম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ মাহিন এর বাড়িতে ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’ করেছেন। জানা যায়, ভিজিটকালে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ ও একটি বইসহ প্রায় এক হাজার টাকার শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সান্ধ্যকালীন এমন আকস্মিক ভিজিটে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। যেসব শিক্ষার্থীর বাড়িতে তিনি গিয়েছেন সেসব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিস্মিত, অভিভূত ও অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন। তারা ধারণাই করতে পারেননি, উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অফিসার এভাবে সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে ভিজিট করতে চলে আসবেন। তারা মনে করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় এতটাই শিক্ষাবান্ধব যে তিনি একের পর এক নতুন নতুন ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করে চমক সৃষ্টি করে যাচ্ছেন! যা শিক্ষার মানোন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। তারা বলেন, এমন কার্যক্রমে আমাদের সন্তানরা পড়াশুনায় আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। প্রশাসনের এমন কঠোর মনিটরিং থাকলে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে উন্নতি অবশ্যম্ভাবী।

    এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ উল্যাহ জানান, শিক্ষার্থীদেরকে ক্লোজ মনিটরিং এ নিয়ে আসা, তারা যাতে সন্ধ্যার পরে অহেতুক বাসার বাইরে না থাকে, আড্ডা না দেয়, খারাপ সঙ্গে জড়িয়ে না পরে, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি না করে, মাদকাসক্তি ও অসামাজিক কার্যকলাপে সম্পৃক্ত না থাকে এবং তাদেরকে পড়াশুনায় মনোযোগী করা ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগটি হাতে নিয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা বইমুখী হলে, পড়াশুনায় মনোযোগ দিলে সামগ্রিক অর্থে শিক্ষা জীবনে তাদের সাফল্য ও উন্নতি হবে এবং জীবনে তারা অনেক উপরে উঠতে পারবে। একার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। আশা করি, এতে আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে।

    তিনি আরও বলেন, এই উদ্যোগের প্রথম ধাপে আমরা গরীব মেধাবী ছাত্রদেরকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমরা সন্ধ্যার পরপরই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। প্রথমদিন আমরা মোট এগারো জন শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়েছি। এর মধ্যে নয়জন ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী আর দুইজন দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। এছাড়া গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কিছু প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ দিয়েও সহায়তা করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এমন আকস্মিক ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিটের’ বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী, সচেতন সমাজ, অভিভাবক ও শিক্ষকমহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়। তাদের মতে, এটি সম্পূর্ণরূপে নতুন একটি বিষয়, যা অতীতে আমরা কখনোই দেখিনি। এই প্রথম এমন উদ্যোগ দেখলাম। শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। শিক্ষাসচেতনতা বৃদ্ধিতে ও শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এমন উদ্যোগ অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তারা বিশ্বাস করেন। একইসাথে তারা চান, শিক্ষা ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিবর্তন আনয়নে ও আমাদের আগামীর প্রজন্মকে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে গড়ে তুলতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অন্যান্য ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের পাশাপাশি এই কার্যক্রমও যাতে চলমান থাকে।

    মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অফিসার জনাব নুরুল ইসলাম জানান, আমার দীর্ঘ চাকুরি জীবনে ইউএনও কর্তৃক ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিট’ অতীতে কখনই দেখিনি। আসলে আমাদের ইউএনও মহোদয় সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমকে বেগবান ও কার্যকর করার লক্ষ্যে এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, বিভিন্ন নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করছেন ইতোমধ্যেই সর্বমহলে সেগুলো খুবই প্রশংসিত হয়েছে। আশা করি, অচিরেই আমরা লোহাগাড়ার শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবো।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ‘সান্ধ্যকালীন হোম ভিজিটে’ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাওন ভূঁইয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, সুখছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবাশীষ আচার্য্য ও মাস্টার মোবারক হোসেন সাথে ছিলেন।

  • মিরসরাইয়ে মালিকবিহীন অসুস্থ ঘোড়ার চিকিৎসা করালেন ইউএনও

    মিরসরাইয়ে মালিকবিহীন অসুস্থ ঘোড়ার চিকিৎসা করালেন ইউএনও

    মিরসরাই প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মালিকবিহীন একটি অসুস্থ ঘোড়ার দায়িত্ব নিয়ে নিয়ে চিকিৎসা করালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান। বুধবার (১৫ জুন) অসুস্থ ঘোড়াটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।

    এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী মোঃ সরোয়ার উদ্দিন জানান, আজ থেকে ৬-৭ মাস মাস আগে কে বা কারা ঘোড়াটি মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ঘেড়ামারা গ্রামে নিয়ে আসেন। কিছুদিন পর ঘোড়াটি অসুস্থ হয়ে পড়লে করেরহাট বাজারে রেখে চলে যান। ঘোড়াটির পেছনের পায়ে গুরুতর ক্ষত সৃষ্টি হওয়ায় হাঁটতে পারছিল না।

    মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারেন। এরপর তিনি গত মঙ্গলবার ঘোড়াটি দেখতে যান। কিন্তু পাননি। পরে বুধবার (১৫ জুন) করেরহাট বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম ও স্থানীয় ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনের সহযোগিতায় ঘোড়াটি খুঁজে বের করে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।

    সকালে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের ডা. ফরিদুল ইসলাম ও মীর মোহাম্মদ ওবায়দুল্লার তত্বাবধানে ঘোড়াটির প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসা সম্পন্ন করেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে করেরহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমানের দায়িত্বে অসুস্থ ঘোড়াটির চিকিৎসা চলছে। তিনি অনেক সহযোগিতা করছেন। বাজার কমিটির পক্ষ থেকে উনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান জানান, ঘোড়াটি পেছনের একটি পায়ের মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় ঘোড়াটির চিকিৎসা চলছে। স্থানীয় একজন ঘোড়াটি নিজের কাছে রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

  • ফটিকছড়িতে বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও

    ফটিকছড়িতে বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন ইউএনও

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ১৫ বছরের কনে। চলছিল বিয়ের তোড়জোড়। ফোনে খবর দেন কনে নিজেই। খবর পেয়ে এ বিয়ে ভেঙে দিল ইউএনও।

    (৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরের আজিমনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কনের নাম রাহেনা আকতার, সে সিতাকুন্ড চিন্নমুল বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী।

    কনে রেহেনার অমতে (৪ মার্চ) শুক্রবার মা-বাবা তার বিয়ের আয়োজন করে। পরে মেয়েটি ফোন দিয়ে বাল্যবিবাহের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসন গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেয়।

    ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহিনুল হাসান জানান, তাঁকে একজন ছাত্রী মুঠোফোনে অবহিত করে যে উপজেলার ভূজপুর ইউনিয়নে মেয়েটির বিয়ের আয়োজন করেছেন মা-বাবা। শুক্রবার দুপুরে তার বিয়ে। মেয়েটির বিয়েতে সম্মতি নেই।

    খবর পেয়ে আমি ভূজপুর থানা অফিসার ইনচার্জ হেলাল উদ্দীন ফারুকীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। একেতো বাল্যবিবাহ অন্যদিকে মেয়েটির এই বিয়েতে সম্মতি নেই।

    মেয়েটি আমাদের জানায়, সে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। লেখাপড়া চালিয়ে যেতে চায় সে। তাই আমরা মেয়েটির লেখাপড়ার দায়িত্ত্ব নিই এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিয়ে দেবে না মর্মে তার মা-বাবার কাছ থেকে মুছলেখা নেয়া হয়।

    ২৪ ঘন্টা/এম জুনায়েদ/রাজীব

  • চিকিৎসককে জরিমানা করা সেই ইউএনও প্রত্যাহার

    চিকিৎসককে জরিমানা করা সেই ইউএনও প্রত্যাহার

    চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় লকডাউনের সময় রোগী দেখতে যাওয়া চিকিৎসককে জরিমানা করায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    রবিবার (৪ জুন) বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ দেয়া হয়। সাতকানিয়া থেকে প্রত্যাহার করে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।

    এর আগে গত শুক্রবার (২ জুন) বিকালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকায় ডা. ফরহাদ কবিরকে চেম্বারে যাওয়ার পথে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। চিকিৎসকের হেলমেট ও গাড়ির লাইসেন্স না থাকার অভিযোগে মোটরযান আইনে মামলা দেয়ার কথা বললেও মামলায় অপরাধ হিসেবে দণ্ডবিধি ২৭০ ও ২৭১ উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বলেন, ‘সাতকানিয়ার ইউএনওকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তার স্থলে আপাতত দায়িত্ব পালন করবেন সাতকানিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) আল বরিশরু ইসলাম।’

    জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। একই আদেশে হবিগঞ্জের ইউএনও ফাতেমা তুজ জোহরাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

    জানা যায়, গত শুক্রবার বিকালে সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকায় ডা. ফরহাদ কবির নামে এক চিকিৎসককে রোগী দেখতে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ আইনে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। এসময় চিকিৎসকদের চেম্বারে আসা-যাওয়ায় কোনো নিষেধ না থাকার কথা জানালে ওই চিকিৎসকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জেলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে বলে হুমকিও দেন। গত শনিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন চট্টগ্রাম বিএমএ নেতারা। এ নিয়ে গতকাল বিভাগীয় কমিশনার, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জনদের মধ্যে আলোচনাও হয়।

  • সরকার ও এনজিও’র সমন্বিত পদক্ষেপে তৃণমূলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে: ইউএনও তুষার

    সরকার ও এনজিও’র সমন্বিত পদক্ষেপে তৃণমূলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে: ইউএনও তুষার

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : যেখানে সরকারি সেবা ও অধিকার পৌঁছানো কষ্টকর; সেখানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা জরুরী। দুর্গমতা, যোগাযোগ অবকাঠামোর কারণে অনেক এলাকায় ইচ্ছে থাকা সত্বেও সরকারি কর্মকর্তারা সরেজমিনে কাজ করতে পারেন না। সেসব এলাকায় যদি সরকারের লাইন ডিপার্টমেন্টের সাথে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়া যায়, তাহলে তৃণমূলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

    বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলার গুইমারা উপজেলার প্রত্যন্ত থোয়াফ্যামুনি পাড়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘আলো’র উদ্যোগে মাঠপর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের যৌথ সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তুষার আহমেদ এসব কথা বলেন।

    ‘আলো’র নির্বাহী পরিচালক অরুণ কান্তি চাকমা’র সভাপতিত্বে পাড়ার মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু রেজা তালুকদার, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কৃতি বিজয় চাকমা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসিনা আকতার এবং ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সুমন কর।

    ‘এথনিক পিপলস্ রাইটস এন্ড রেসিলিয়েন্ট লাইভলিহুড (ইপিআরআরএল)’- প্রকল্পের সমন্বয়ক রচয়িতা খীসা সভায় স্বাগড় বক্তব্য রাখেন।

    উন্নয়নকর্মী হিতার্থী চাকমা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় জনপ্রতিধি, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বাসিন্দারা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরলে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তারা সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিম্রুতি ব্যক্ত করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী