Tag: ইউএনও ওয়াহিদা

  • ইউএনওর ওপর হামলা:ঘোড়াঘাট থানার ওসি প্রত‌্যাহার

    ইউএনওর ওপর হামলা:ঘোড়াঘাট থানার ওসি প্রত‌্যাহার

    ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত‌্যাহার করা হয়েছে।

    শুক্রবার সকালে তাকে প্রত‌্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

    তিনি জানান, ‘ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।’

    এদিকে ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনায় তার বড় ভাই শেখ ফরিদ উদ্দীনের দায়েরকৃত মামলাটি ইতিমধ্যেই ঘোড়াঘাট থানা থেকে স্থানান্তর করে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি ইমাম জাফরকে।

    এছাড়া এ মামলায় রিমান্ডে নেয়া ৩ জন আসামির মধ্যে ২ জনকে (রঙমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাস) ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আজ শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা ইমাম জাফর জানান, আজ বিকালে আসামি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে আদালতে হাজির করা হবে। গ্রেফতারকৃত অপর আসামি আসাদুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হবে আগামীকাল শনিবার।

    প্রসঙ্গত গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার দিনগত রাতে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।

    বর্তমানে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতাল এবং তার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা, বাধা দেওয়ায় হামলা

    চুরির উদ্দেশ্যেই ঘরে ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা, বাধা দেওয়ায় হামলা

    দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ঘরে চুরির উদ্দেশ্যেই ঢুকেছিল দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওয়াহিদা বাধা দেওয়ায় তার ওপর হামলা চালানো হয়।

    আজ শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায় র‌্যাব।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সান্টু ও নবীরুল। এ ঘটনায় জড়িত বলে এরই মধ্যে তারা দায় স্বীকার করেছে।

    জিজ্ঞাসবাদে তারা জানিয়েছে চুরির জন্য ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে ঢোকেন। তবে ওয়াহিদা জেগে গিয়ে চুরিতে বাধা দেওয়ায় তার ওপর হামলা চালায়।

    তবে র‌্যাব বলছে, এ বিষয়ে আরো তদন্ত করার পরই মূল ঘটনা জানা যাবে। আসাদুল ও নবীরুল দুজনই রঙ মিস্ত্রি।

    এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার দিনভর অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    এরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) জাহাঙ্গীর আলম (৪২), উপজেলা যুবলীগের সদস্য (বহিষ্কৃত) আসাদুল ইসলাম (৩৫), শিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফা আদুর ছেলে মাসুদ রানা (৪০), নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ (৩৮), চকবামুনিয়া বিশ্বনাথপুর এলাকার মৃত ফারাজ উদ্দিনের ছেলে রং মিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই এলাকার খোকার ছেলে সান্টু চন্দ্র দাস(২৮)।

    বুধবার দুষ্কৃতকারীরা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম এবং তার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। এই পৈশাচিক ও কাপুরুষোচিত হামলায় ওয়াহিদা খানম এবং তাঁর পিতা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতেই প্রথমে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরদিন সকালে রংপুর কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বাবা-মেয়েকে ঢাকায় আনা হয়। ভর্তি করা হয় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে হাসপাতালে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলায় আটককৃতরা যুবলীগের নেতাকর্মী

    ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলায় আটককৃতরা যুবলীগের নেতাকর্মী

    দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন যে দুজনকে আটক করা হয়েছে, তারা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

    আটককৃতরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ কষিগারি এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪২)। অন্যজন একই উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪০)।

    জাহাঙ্গীর ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। আর আসাদুল যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

    দিনাজপুর-৬ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি শিবলী সাদিক বলেন, ‘জাহাঙ্গীর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকায় আড়াই মাস আগে জেলা যুবলীগ কমিটির কাছে লিখিতভাবে তাকে বহিষ্কারের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু আমার বোধগম্য নয়, কেন আজও তাকে বহিষ্কার করা হয়নি’।

    জাহাঙ্গীরসহ আরও ৫-৬ জনের একটি দল উপজেলার বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলেও জানান এই সংসদ সদস্য।

    ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট থানার পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করে আসাদুলকে। আর দিনাজপুরের র‍্যাবের সদস্যরা জাহাঙ্গীর হোসেনকে তার নিজ বাসা থেকে আটক করেন।

    তিনি বলেন, আটক দুজনকে রংপুর র‌্যাব কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেল্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে।

    ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়।

    রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়।

    ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির হাসপাতালটির চিকিৎসকরা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলাকারী আটক

    ইউএনও ওয়াহিদার ওপর হামলাকারী আটক

    দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে(৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ একটি টিম।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

    শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে হাকিমপুর থানাধীন হিলির কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুরের আমজাদ হোসেনের ছেলে। আসাদুলই ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    হাকিমপুর থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র‌্যাব রংপুরের একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসাদুল হককে আটক করে। সে ওই ঘটনার প্রধান আসামি। ইউএনওর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে সে। তাকে রংপুরে র‌্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন র‌্যাব ও পুলিশের একই টিম জাহাঙ্গীর নামের আরও একজনকে আটক করেছে। সে ওই ঘটনার সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

    ওয়াহিদা খানম বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। ইতোমধ্যে তার অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। অস্ত্রোপচার সফল হলেও ইউএনও ওয়াহিদা আশঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিসকরা।

    বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ডা. জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। রাত সোয়া নয়টা থেকে শুরু হয়ে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত চলে এই অস্ত্রোপচার।

    ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, যখন প্রথম তাকে নিয়ে আসা হয় তখন ব্যান্ডেজ করা ছিল, অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার পর দেখা যায় মাথায় মোট নয়টা আঘাতের চিহ্ন। একটা খুব বড়, যার ভেতর দিয়ে হাড় ভেঙে ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল। বাকি আটটা ইনজুর ছিল। তার ভেতরে ছিল মাথার দুই পাশে তিনটা করে ছয়টি, মুখের উপরে একটা, নাকের উপরে একটা এবং চোখের নিচে একটা। ভেতরে ঢুকে যাওয়া হাড় বের করা হয়েছে, রক্তরক্ষণ বন্ধ করা হয়েছে। অন্য আঘাতগুলোও সব রিপেয়ার করা হয়েছে । আমার আশাবাদী, তবে এটা হেড ইনজুরি, ব্রেইনের ভেতরে রক্তক্ষরণের ব্যাপার। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন কিনা এখনই আমরা বলতে পারবো না। অন্তততাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ রাখার পর বলতে পারবো।

    তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা প্রশ্নে ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, এখনই শঙ্কামুক্ত কথাটা আমরা বলবো না। আগে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কারণ তার মাথায় আঘাত লেগেছে, মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে ডান পাশ প্যারালাইজড ছিল সেটা আশা করি সচল হয়ে যাবে। তবে তাতে সময় লাগবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • ইউএনও ওয়াহিদার সফল অস্ত্রোপচার

    ইউএনও ওয়াহিদার সফল অস্ত্রোপচার

    দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১ টা ৫ মিনিটের দিকে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

    রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারভেসনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি বলা যায়, তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।

    এর আগে রাত ৯ টার দিকে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার আগে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।

    প্রেশার চেক করে, অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

    চিকিৎসকরা জানান, দূর্বৃত্তের হামলায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথার বাঁ দিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাথার কিছু অংশ ভেঙ্গে মস্তিষ্কের ভেতরে প্রেশার তৈরি করেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটি অপসারণ করা গেলে অবস্থার উন্নতি হবে এমন আশা থেকে তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইউএনও ওয়াহিদার সর্বোচ্চ চিকিৎসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    ইউএনও ওয়াহিদার সর্বোচ্চ চিকিৎসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে দেখতে আসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইউএনওদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়ে ডিসি সম্মেলনে একটা দাবি ছিল। সেটি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনেও আছে। ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও জননিরাপত্তা সচিব এবং অর্থ সচিবের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউএনওদের বাড়িতে পাহারা দেয়ার জন্য আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য নিয়োগ করা বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

    জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলাকারী দুজন তরুণ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে তাদের হালকা স্বাস্থ্য। তবে তাদের চেহারা পুরো বোঝা যাচ্ছে না।

    পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি আশাবাদী, খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে পারবেন। ইতোমধ্যে সিসিক্যামেরা ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা গেছে।

    হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কারণ জানা যায়নি। তদন্ত চলছে, কারণ বের করার চেষ্টা চলছে।

    প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ২ টার দিকে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয় বলে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।

    ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ২ টার পরে উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইউএনওর বাসভবনের টয়লেটের ভেন্টিলেটর ভেঙে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। ইউএনও টের পেলে দুর্বৃত্তরা তাকে সরাসরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার বাবা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। রাতেই রক্তাক্ত ইউএনওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল উপস্থিত হন।

    পরে ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাস্বুলেন্সে করে ঢাকার আনা হয়। আর তার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    উল্লেখ্য, ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত আছেন। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে বাবা ওমর আলী থাকতেন। তিনি নওগাঁ থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা ঢাকায়

    গুরুতর আহত ইউএনও ওয়াহিদা ঢাকায়

    দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে (৩৫) রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়। তাকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    এর আগে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতকারীরা। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    জানা গেছে, তার মাথার বাম পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম হাত ও পা কোনো রকম সাড়া দিচ্ছে না। হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঘোড়াঘাট থানার ওসি এ তথ্য জানিয়েছেন।

    ওয়াহিদা খানমের বাবার নাম ওমর আলী। নওগাঁ থেকে মাঝে মাঝে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী। ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তাদের তিন বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। হামলার সময় শিশুটি ঘুমন্ত ছিল। বর্তমানে সে ভালো আছে।

    দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল আলম জানান, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে দুর্বৃত্তরা প্রবেশ করে। প্রথমে তার বাবাকে আহত করে পাশের ঘরে বাথরুমে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়িভাবে তাকেও পিটিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

    মূলত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা জেলা প্রশাসকের। ঘটনার পর জেলা প্রশাসকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা-ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, প্রথমে নির্বাহী কর্মকর্তার বাবাকে আহত করে বাথরুমে আটকে রাখে। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বাসভবনের নাইট গার্ডকে তালা দিয়ে আটকে রাখে। কাজের মেয়েও নিচে ছিল।

    এটি কোনো ডাকাতি ছিল না, সম্ভবত হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর