Tag: ইউএনও

  • কর্ণফুলীতে জাল দলিল তৈরির অভিযোগে ফার্মেসীতে ইউএনও’র হানা; জমির কাগজপত্র জব্দ ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা

    কর্ণফুলীতে জাল দলিল তৈরির অভিযোগে ফার্মেসীতে ইউএনও’র হানা; জমির কাগজপত্র জব্দ ও প্রতিষ্ঠান সিলগালা

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জমির জাল দলিল তৈরি করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে ভুক্তভোগিদের, এমন অভিযোগ পেয়ে কর্ণফুলী উপজেলার একটি ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    এছাড়াও অভিযানে ‘ইভা মেডিসিন কর্নার’ নামক ঐ প্রতিষ্ঠান থেকে বেশকিছু জমির দলিল সংক্রান্ত কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

    অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা সুলতানা। এতে অভিযানে আরও অংশ নেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা।

    বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের শাহসূফী আজিজনগরের খুইদ্দ্যারটেক এলাকায় এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

    উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অভিযানের খবর পেয়ে চরলক্ষ্যার ইভা মেডিসিন কর্নারের পরিচালক কথিত ডা. ইকবাল খোরশেদ দোকান খোলা রেখেই পালিয়ে যান। এ অপরাধে চেম্বারটি সিলগালা করা হয়। এসময় দোকানের ভেতরের কক্ষের বিভিন্ন আলমারিতে তল্লাশি চালিয়ে বেশকিছু জমির দলিল সংক্রান্ত কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

    এছাড়াও অভিযানে উপজেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার বিষয়ে স্থানীয় জনগনকে সচেতন করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

    ইউএনও শাহিনা সুলতানা বলেন, ‘ভুক্তভোগিদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে চরলক্ষ্যার ইভা মেডিসিন কর্নার থেকে বেশ কিছু জমির দলিল সংক্রান্ত কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত কাগজপত্রগুলো আসল না নকল যাচাই বাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ পাশাপাশি জনস্বার্থে এ অভিযান চলমান থাকব বলে তিনি জানান।

    উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানান, স্থানীয়দের অভিযোগ ছিলো ‘ইভা মেডিসিন কর্নার’ নামক ফার্মেসীর মালিক কথিত ডাক্তার ইকবাল খোরশেদ ঔষধের ব্যবসার আড়ালে দলিল লিখকের মাধ্যমে ভুয়াভাবে পর্চা ও আমমোক্তার নামা দলিল সৃজন করে নিরীহ জমি মালিকদের হয়রানি করতেন।

    জানা গেছে, ভুয়া জাল দলিলের কাগজপত্র তৈরি করে, বায়নানামা সাজিয়ে সাধারণ জমির মালিকদের জমি দখল বেদখলের সাথে জড়িত ছিলেন। এলাকার মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে প্রশাসন জানান।

    ভ্রাম্যমাণ অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কর্ণফুলী থানা পুলিশের এসআই শামীম রহমান, ইউএনও অফিসের সিএ দীপক চাকমা, আনসার সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নিজের ঘর থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধ মাকে ঘরে ফেরালেন ইউএনও

    নিজের ঘর থেকে বিতাড়িত বৃদ্ধ মাকে ঘরে ফেরালেন ইউএনও

    মো: পারভেজ, হাটহজারী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
    আকলিমা বেগম (৬০) এক বৃদ্ধ মা। যিনি এক পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তানের জননী। জীবনের শেষ বয়সে পৌছে যার থাকার জায়গা হয়নি নিজেরই ঘরে। পারিবারিক কলহের জের ধরে নিজের বৃদ্ধ মাকেই ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন ছেলে আবুল কালাম এবং তার বৌ।

    বুধবার (১৪ অক্টোবর) হাটহাজারী পৌরসভার আদর্শগ্রামের দক্ষিণ পাহাড়ের মাছুম ফকিরের বাড়িতে এই হৃদয় বিদারক এই ঘটনাটি ঘটে।

    জানা যায়, মা আকলিমা বেগমের নিজস্ব প্লট এবং নিজের গড়া একটি সুন্দর সেমিপাকা ঘর থাকার পরও দীর্ঘ দিন ধরেই সেই রত্নগর্ভা মায়ের ঠাঁই হয়েছে রান্নাঘরের পাশে একটি জরাজীর্ণ রুমে। নিজের সব কিছু সন্তানকে উজাড় করে দিয়েও সন্তুষ্ট মনে জীবন পার করছিলেন এই মা। কিন্তু বুধবার সকালে হঠাৎ করেই পারিবারিক কলহের জের ধরে মায়ের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জীবনের শেষ আশ্রয়স্থল সেই জরাজীর্ণ ঘর থেকে মাকে বের করে দেয় ছেলে ও তার বউ।

    অসহায় মা কোন উপায় না পেয়ে ছুটে যান উপজেলা পরিষদে এবং অশ্রুসিক্ত নয়নে সকল দুঃখ খুলে বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিনকে। অসহায় বৃদ্ধ এক মায়ের অভিযোগ শুনে মুহুর্তেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজের ঘর থেকে বিতাড়িত আকলিমা বেগমকে নিজের ঘর ফিরিয়ে দিয়ে পার্শ্ববর্তী সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। উপজেলা প্রশাসন ওই ঘরে থাকা পুত্র ও তার পরিবারকে বের করে দিয়ে প্লটের মূল মালিক ষাটোর্ধ মহিলা আকলিমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    ষাটোর্ধ মহিলা আকলিমা বেগম জানান,আমি অসহায় দরিদ্র।আমার নিজস্ব জায়গা আছে, ছেলে মেয়ে থাকার পরেও জরাজীর্ণ রান্নার ঘরের এক কোনে আমার বসবাস প্রায় ৬/৭বছর ধরে।তার পরেও আমি সন্তুষ্টি ছিলাম।আজ সকালে ছেলের সাথে ঝগড়া হওয়াতে সেই রান্নার ঘর থেকেও বের করে দেয়।আমার জিনিসপত্র সব বাহিরে ফেলে দেয়।আমি নিরুপায় হয়ে ইউএনও স্যারের কাছে ছুটে গেলে তিনি আমার ঘরে আমাকে তুলে দেন।

    এ বিষয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন জানান ,ষাটোর্ধ এক মহিলা অভিযোগ করেন তার পুত্র তাকে নিজের ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। যিনি জায়গার মূল মালিক তিনিই উচ্ছেদ এমন দুঃখজনক কথাগুলো শুনে দ্রুত ওই এলাকায় গিয়ে সত্যতা পেয়ে মহিলাটিকে তার ঘরে তুলে দেয়া হয়।সন্তানকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে জায়গার মালিকের সাথে থাকতে হলে মালিককে সন্তুষ্ট করে থাকতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • লোহাগাড়ায় নবাগত ইউএনও’র সাথে লোহাগাড়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

    লোহাগাড়ায় নবাগত ইউএনও’র সাথে লোহাগাড়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

    লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আহসান হাবিব জিতুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।

    বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে নবাগত ইউএনও`র সাথে এ সাক্ষাৎ করেন প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ।

    সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি অধ্যাপক পুষ্পেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক মানবজমিনের প্রতিনিধি এইচ.এম জসিম উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ প্রতিনিধি খোকন সুশীল ও দপ্তর সম্পাদক দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি রায়হান সিকদার প্রমুখ।

    এ সময় নবাগত ইউএনও মোহাম্মদ আহসান হাবিব জিতু লোহাগাড়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিকের সহযোগিতা কামনা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/আজাদ

  • রাউজানের কদলপুরে গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন ইউএনও

    রাউজানের কদলপুরে গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন ইউএনও

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নে গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ।

    সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে কদলপুর গুচ্ছ গ্রাম আবাসন সড়কে তাল গাছের বীজ রোপন কর্মসূচি শেষে তিনি প্রকল্প দুটি পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারসমূহের সাথে কথা বলেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইরফান আহম্মদ চৌধুরী, উপজেলা পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা লিকসন চৌধুরী, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ, সমবায় কর্মকর্তা মজিবুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ-ই জাহান, স্থানীয় ইউপি সদস্য কমল চক্রবর্তী সহ আরো অনেকেই।

    পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের কাছে বসবাসরত পরিবারগুলো সুপেয় পানি ও বিদ্যুত সমস্যার কথা তুলে ধরলে ইউএনও বিষয়গুলো সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

    রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইরফান আহম্মদ চৌধুরী ইউএনওকে গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত শিশুদের শিক্ষার বিষয়টি অবগত করলে এ সময় ইউএনও সোহাগ বলেন, সরকার সারা দেশে শিক্ষার প্রসারে নতুন করে বিদ্যালয় স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখানকার শিশুরা যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় বিষয়টি উল্লেখ করে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাটিয়েছি। আমরা চাই এখানকার শিশুরা সুশিক্ষা গ্রহণ করে সমাজে মাথা উচু করে দাঁড়াবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/নেজাম

  • সীতাকুণ্ডে ইউএনও’র নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন

    সীতাকুণ্ডে ইউএনও’র নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন

    কামরুল ইসলাম দুলু : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদার ওপর হামলার ঘটনার পর সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।

    শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ইউএনওর সরকারী বাস ভবনে ৪ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এরমধ্যে ২ জন সশস্ত্র এবং ২ জন নিরস্ত্র।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাসভবনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন ৪জন আনসার সদস্য।

    আনসারের চট্টগ্রাম জেলা কম্যান্ডেন্ট এর কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিরাপত্তায় ৬০ জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে সতর্ক থাকতেও বলা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় অস্ত্রধারী আনসার সদস্য মোতায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে। সীতাকুণ্ডসহ চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঘোড়াঘাটের ইউএনও এবং তার বাবাকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা

    ঘোড়াঘাটের ইউএনও এবং তার বাবাকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা

    দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম সন্ত্রাসী হামলা শিকার হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
    তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

    বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে ঘোড়াঘাট ইউএনওর সরকারি ডাকবাংলোতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঠিক কি কারণে ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।

    জানা গেছে, হামলার সময় ডাকবাংলোতে ইউএন ও তার বাবা অমর আলী অবস্থান করছিলেন।

    রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে ইউএনও এবং তার বাবার ওপর হামলা চালায়। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছে এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

    এ সময় ইউএনওর চিৎকারে সরকারি কর্মচারী ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইউএনও বর্তমানে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। অবস্থার গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

    এদিকে, ইউএনওর ওপর হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    ঘোড়াঘাট ইউএনও ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ইউএনও হিসেবে কর্মরত আছেন। ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে তার বাবা ওমর আলী থাকতেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইউএনও রুহুল আমিনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে চারা রোপন

    ইউএনও রুহুল আমিনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে চারা রোপন

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন এর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৫০০ চারা রোপন কর্মসূচীর প্রথম ধাপে ১০০ ফলজ চারা রোপন করা হয়েছে।

    আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) উপজেলার সন্ধীপ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের চার পাশে প্রায় ৫০ শতক জায়গায় হাটহাজারীতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এ চারা রোপন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

    এসময় ইউএনও কে নিয়ে উপস্থিত হাটহাজারী উপজেলার সকল গণমাধ্যমকর্মী প্রত্যেকে একটি করে চারা রোপন করে।

    এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন জানান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং সরকারী জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত রাখতে এ চারা রোপন কর্মসূচী পালন করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পারভেজ

  • আনোয়ারার ইউএনও জুবায়ের করোনায় আক্রান্ত

    আনোয়ারার ইউএনও জুবায়ের করোনায় আক্রান্ত

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাতে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ আসে।

    ইউএনও নিজেই তার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আনোয়ারা ফেইসবুক পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ফেসবুকে পোস্টে তিনি জানান, ‘কিছু উপসর্গ পরিলক্ষিত হওয়াতে গত ২৪ জুন করোনা টেস্টের জন্য স্যাম্পল প্রদান করি। আজকে রিপোর্ট পেয়েছি, আমি করোনা পজিটিভ। গায়ে হালকা জ্বর বাদে আর কোনো উপসর্গ নেই। সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করি। সুস্থ হয়ে আবার আপনাদের মাঝে ফিরতে চাই।’

    এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘নমুনার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ এসেছে। শারীরিক অবস্থা এখনও ভালো আইসোলেশনে থাকার মাধ্যমে ঘরোয় চিকিৎসা নিচ্ছি।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাইরে থেকে বন্ধ ভেতরে বাণিজ্য, ছদ্মবেশধারী ইউএনও’র হাতে ধরা ব্যবসায়ি

    বাইরে থেকে বন্ধ ভেতরে বাণিজ্য, ছদ্মবেশধারী ইউএনও’র হাতে ধরা ব্যবসায়ি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : করোনা মহামারির কারণে সরকারি বিধি নিষেধ থাকায় পটিয়া সদরে ব্যবসা করতে না পেরে গ্রামকেই বেচে নিয়েছে অনেক ব্যবসায়ি।

    আবার অনেকেই দিনের বেলার মতোই দোকানের বাইরে থেকে বন্ধ রেখে ভেতরে জমজমাট ভাবেই বেঁচা কেনা করছে। মানছে না সামাজিক দুরত্ব। নানাভাবে বুঝিয়েও প্রশাসনের কোন কথায় কর্ণপাত করছে না এসব ব্যবসায়িরা।   

    তবে করোনা মহামারিতে ব্যস্ত প্রশাসনের সাথে এমন লুকোচুরি করা অসাধূ ব্যবসায়িদের শায়েস্তা করার লক্ষ্যে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা।

    তিনি গতকাল ভোর থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ছদ্মবেশ ধারণ করে ক্রেতা সেজে এরকম একাধিক ব্যবসায়িকে হাতেনাতে ধরেছেন। তবে সামান্য জরিমানা করে শেষবারের মত সকলকে সতর্ক ও সাবধান করে দেন।

    জানা যায়, চট্টগ্রামের পটিয়ার স্বাস্থ্য বিধি না মেনে প্রতিনিয়ত প্রসাশনের সাথে লুকোচুরি করে ব্যবসা করে যাচ্ছে পটিয়া কতিপয় কিছু ব্যবসায়ী। কেউ গভীর রাতে আবার কেউ ভোরে ক্রেতাদের সাথে ফোনে কন্ট্রাক করে দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

    এদিকে পটিয়ার দোকান মালিক সমিতির প্রথমে দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও নানা জটিলতায় আবারও দোকান চালু করেন একাধিক ব্যাবসায়ী। গত কিছুদিন ধরে পটিয়াতে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে উপজেলা প্রসাশনের সাথে বৈঠক করে ব্যবসায়িরা মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

    কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে প্রায় প্রতিদিন মাঝ রাতে কিংবা ভোরে ক্রেতাদের দোকানে ডেকে এনে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে অসাধু ব্যাবসায়ীরা। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে জনসমাগম করে ব্যবসা করার অপরাধে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা বিভিন্ন সময় অর্থদণ্ড প্রদান করলেও এসব লোভী ব্যবসায়িদের ঠেকানো যাচ্ছে না।

    এদিকে প্রশাসনের কড়াকড়িতে অনেক ব্যবসায়ী পটিয়া সদরে ব্যবসা করতে না পেরে এখন গ্রামকে বেছে নিয়েছেন এবং গ্রামে গ্রামে অস্থায়ী ভাবে দোকান খুলে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

    আজ বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী জনস্বার্থে অভিযান পরিচালনা করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা।

    তিনি আজ উপজেলার ছনহরা, দক্ষিণ ছনহরা, মুরালীঘাট বাজার, দক্ষিন বাথুয়া, আশিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান দোকান বসিয়ে জনসমাগম করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে ৪ দোকানের মালিককে ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং ভাসমান দোকানগুলো বন্ধ করে দেন।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা বলেন, জনগণের স্বার্থে এধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/সঞ্জয় সেন/ রাজীব প্রিন্স

  • হাটহাজারীতে ভেজাল ঘি তৈরির কারখানা ধ্বংস করল ইউএনও

    হাটহাজারীতে ভেজাল ঘি তৈরির কারখানা ধ্বংস করল ইউএনও

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: অনেক দিন ধরেই হাটহাজারীতে পামওয়েলের সাথে নানা কেমিক্যাল মিশিয়ে ৭/৮ ব্র্যান্ডের ভেজাল ঘি তৈরি করে আসছিল এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এবার এমন এক ধরনের ভেজাল ঘি তৈরির কারখানা ধ্বংস করল হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন। এ সময় প্রায় ২০০০ লিটার ভেজাল ঘি এবং ঘি তৈরির উপকরণাদি ধ্বংস করা হয়।

    আজ শনিবার (১৬ মে) হাটহাজারী ফতেপুর ইউনিয়নের ইসলামিয়া হাটে আলম বিন্ডিং এর নিচতলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    উল্লেখ্য এর আগেও হাটহাজারীতে একই ধরনের ১৮টি কারখানা ধ্বংস করেছিলেন তিনি।

    জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ মহল পামওয়েলের সাথে নানা কেমিক্যাল মিশিয়ে এক ধরনের ভেজাল ঘি তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রি করেন। উপজেলার মুদির দোকান গুলোতে এ ধরনের ভেজাল ঘি দেখতে পাওয়া যায়। দোকানদার থেকে জিজ্ঞেস করা হলে তাদের জবাব চট্টগ্রাম হতে কিনে নিয়ে আসেন।

    ভেজাল ঘি কারখানা ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, কারখানার দুই জন লোক সব সময় রাস্তায় পাহারা দেয়। প্রশাসনের গাড়ি দেখলে তারা কারখানায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। তালা ভেঙ্গে কারখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    এসময় তিনি আরো, বলেন খাদ্যে ভেজালরোধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পারভেজ

  • পটিয়ায় আগুনে পুড়লো ৫ ঘর, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সহায়তার আশ্বাস ইউএনও‘র

    পটিয়ায় আগুনে পুড়লো ৫ ঘর, ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সহায়তার আশ্বাস ইউএনও‘র

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়ের ৮নং ওয়ার্ডে আগুন লাগার ঘটনায় পুড়ে গেছে ৫টি বসতঘর।

    আজ ২৭ এপ্রিল সোমবার দুপুর ২টার সময় ওই ওয়ার্ডের ইশান বৈদ্য বাড়ির রান্না ঘরের চুলা হতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

    জানা যায়, দুপুরে তাৎক্ষনিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে আগুন লাগার খবরটি পটিয়া ফায়ার সার্ভিস জানতে পারে। সাথে সাথে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুনে নেভাতে সক্ষম হয়।

    এর আগেই ওই বাড়ির যুদুষ্টি সিকদার, অমল সিকদার, সুমন সিকদার, রাজু বৈদ্য ও সুনিল বৈদ্যের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।

    পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার সোমেন বড়ুয়া তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, আজ দুপুর ২টার দিকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ হতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।

    রান্নার চুলা হতে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ আনুমানিক তিন লক্ষ টাকা হবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা।

    তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কিছু অবশিষ্ট নেই, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে এখন খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছে।পটিয়া আগুনে পুড়ল ৫ বসতঘর

    পরে খবর পেয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে ত্রাণ তুলে দেন। তাছাড়া আগামীতে আরো সাহায্য প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/সঞ্জয় সেন/আর এস পি

  • হাটহাজারী সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের অনুদান ইউএনও’র তহবিলে

    হাটহাজারী সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের অনুদান ইউএনও’র তহবিলে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। হাটহাজারী প্রতিনিধি : বৈশ্বিক মহামারি (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণরোধে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় হাটহাজারী’ও লকডাউন।

    চলমান এ লকডাউনে উপজেলার খেটে খাওয়া হত দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ছে। ঠিক এমন পরিস্থিতে হাটহাজারী উপজেলার হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সহায়তা স্বরূপ হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন এর ব্যক্তিগত তহবিলে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন হাটহাজারী সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ।

    বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় উপজেলার নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হাটহাজারী সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দরা ইউএনও এর হাতে এ সহায়তা অর্থ হস্তান্তর করেন।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ গুল মোহাম্মদ, সহকারী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন চৌধুরী, প্রভাষক মোঃ রাসেল জব্বার খান, প্রভাষক মীর মোহাম্মদ জিয়াউল হক, প্রভাষক মোঃ আবু তালেব।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন হাটহাজারী সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের অনুদানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, উপজেলার হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে যে নগদ অনুদান প্রদান করেছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার এবং অনুকরণীয় বটে।

    এসময় দেশের এই সংকটকালীন মুহুর্তে সমাজের খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁতে সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান ইউএনও মোহাম্মাদ রুহুল আমিন।

    ২৪ ঘণ্টা/মো. পারভেজ/আর এস পি