Tag: ইউএনও

  • ঠাকুরগাঁওয়ের প্রবেশদার হতে ছয় যাত্রীকে ফেরত পাঠালেন-ইউএনও,ওসি

    ঠাকুরগাঁওয়ের প্রবেশদার হতে ছয় যাত্রীকে ফেরত পাঠালেন-ইউএনও,ওসি

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :২৯ মাইল প্রবেশদার থেকে এ্যাম্বুলেন্সে আসা ছয় যাত্রীকে ফেরত পাঠিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম।

    শুধু ফেরত পাঠিয়েই দায় সারেনি তাঁরা, বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার  ও বীরগঞ্জ থানার ওসির কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে তবেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।

    এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের প্রবেশদার ২৯ মাইল চেকপোস্ট এলাকায়।

    জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও জেলার প্রবেশদার ২৯ মাইল এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সে আসা ৬ যাত্রী জেলায় প্রবেশের চেস্টাকালে আটক হয়েছে এমন খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। সেখানে গিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে আসা ছয়যাত্রীকে ফেরত যেতে বলা হয়। কথা মতো এ্যাম্বুলেন্সটি যাত্রীদের নিয়ে ফিরে যায়।এসময় সদর ইউএনও বীরগঞ্জের ইউএনওকে মোবাইল মারফৎ বিষয়টি অবগত করেন এ্যাম্বুলেন্সটি দিনাজপুর সীমানা অতিক্রম করা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান নেন।

    অন্যদিকে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল বীরগঞ্জ থানার সাথে যোগাযোগ করে এ্যাম্বুলেন্সটি দিনাজপুর সীমানা পার হওয়া নিশ্চিত করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

    এ্যাম্বুলেন্সে আসা ৬ যাত্রীকে ফেরত পাঠানোকালে সদর ইউএনও ও ওসি সহ সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তূজা উপস্থিত ছিলেন।

  • রামগঞ্জে ইউএনও’র অভিযান : ২টি ইটভাটা বন্ধ

    রামগঞ্জে ইউএনও’র অভিযান : ২টি ইটভাটা বন্ধ

    লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান আজ বৃহস্পতিবার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামে মদিনা ইটভাটা ও জেবিএম ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ইটভাটা গুলি বন্ধ করে দেয়।
    জানা যায়, দেশের এ দূর্যোগময় সময় দেহলা গ্রামে মদিনা ইটভাটার মালিক আমির হোসেন ডিপজল ও জেবিএম ইটভাটার মালিক জাহাঙ্গীর হোসেন সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে শত শত লোকজন নিয়ে ইটভাটার কার্যক্রম চালু রাখেন । এবং ১৫/২০টি অবৈধ ট্রলি দিয়ে ফসলি জমির টপসয়েল ও মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে খালের পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যায়। বিষয়টি নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পেরে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ইটভাটা ২টি বন্ধ করে দেয়।
    নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, খবর পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পরবর্তিতে এ ইটভাটা ২টি ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
  • দেশের দুই ভিন্ন নারী ইউএনও

    দেশের দুই ভিন্ন নারী ইউএনও

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : সারাদেশে প্রশাসনের যেখানে দমন-পীড়ন সেখানে লক্ষীপুরের ফটো চিত্র ভিন্ন। লক্ষীপুরের দুই নারী ইউএনও তাদের সর্বস্ব দিয়ে গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশের দুর্যোগ মুহূর্তে তারা থেমে নেই, তাদের কার্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    নিজ গুনে ক্রমেই আলোকিত হচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের দুই নারী ইউএনও। অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যখন করোনা ভাইরাসের কারনে হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ে ব্যস্ত। ঠিক তখনই নিজ অর্থায়নে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নজির স্থাপন করছেন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরী ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান। তাঁরা নিজের বেতনের টাকা দিয়ে ফুটপাতের হকার, রিক্সা চালক, ভিক্ষুক ও হত দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। উপজেলার প্রায় প্রত্যকটি অঞ্চলকেই নিজগুনে আলোকিত করছেন এই দুই নারী ইউএনও।

    ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই থেকে রামগঞ্জ ইউএনও হিসেবে কাজ শুরু করেন মুনতাসির জাহান। অপরদিকে ২০১৯ সালের ০৮ সেপ্টেম্বর রায়পুরে যোগদান করেন ইউএনও সাবরীন চৌধুরী ।

    জানা যায়, যোগদানের পর থেকে সূর্য উদয় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ দুই ইউএনও ছুটছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।

    ব্যবসায়ীরা যখন ক্রেতা সাধারণকে জিম্মি করে দ্রব্য মূলের দাম বাড়াচ্ছেন, ঠিক তখনি সাধারন মানুষের প্রতিনিধি হয়ে ছুটে গিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে। পরিচালনা করেছেন ৪০টি মত মোবাইল কোট। জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ৪৫টি বাল্যবিয়ে আটকে দিয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের দেখিয়েছেন আলোর পথ। সেই সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা এমনকি হাত খরচ উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যক্তি কাঁধে তুলে দিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয় বয়স্ক ও বিধবা ভাতা নিয়েও রাখছেন কঠোর নজরদারি। বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধে ইউনিয়নের ওয়াড গুলোতে করেছেন সতেচনমূলক উঠান বৈঠক।

    দুই উপজেলার সাধারন মানুষ বলছে ইউএনওদের কাজে সন্তষ্ট তারা, সরকারী সহায়তার আগে তারা নিজেদের উদ্দ্যেগে অসহায় হত দরিদ্রদের মাঝে যে খাদ্য সহায়তা করেছেন এতে খুশি অসহায় ও হত দরিদ্র মানুষ গুলো, তারা বলেন দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে আইন মেনে চলা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব, ইউএনও দের কাছে গিয়ে আমাদের সমস্যার কথা বলতে পারছি, সমস্যা সমাধান হচ্ছে এটাই বড় কথা।

    রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান বলেন, দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে আইন মেনে চলা আমাদের সবার দ্বায়িত্ব। কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঠিক দিকনির্দেশনার কারণে নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে পারছি।

    রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন, এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করছি মানুষের জন্য কিছু করতে। আমাদের কর্ম দিয়ে মানুষের উপকার করতে পারি এটাই আমার সাথর্কতা।

  • করোনা ভাইরাস : পটিয়ায় কোয়ারেইনটিনে ২, মোকাবেলায় ইউএনও’র প্রচারপত্র বিলি

    করোনা ভাইরাস : পটিয়ায় কোয়ারেইনটিনে ২, মোকাবেলায় ইউএনও’র প্রচারপত্র বিলি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় মধ্য প্রাচ্যের আরব আমিরাত (ইউএই) ও কুয়েত থেকে আসা দুই ২ প্রবাসী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসলে চিকিৎসক তাদের ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেনটিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

    গতকাল মঙ্গলবার রাতে তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে এ নির্দেশনা দেওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ জাবেদ।

    তিনি জানান, ‘আরব আমিরাত ও কুয়েত থাকা আসা একজন পুরুষ ও একজন মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের শরীরে তাপমাত্রা বেশি অনুভব হয় এবং মাথা ব্যথা ও সর্দি ছিল। তাদের আগামী ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেনটিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।পটিয়ায় কোয়ারেইনটিনে ২ ইউনও প্রচারপত্র বিলি

    এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা জাহান উপমা প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। তিনি উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টে পথচারী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করেন।

    মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পটিয়া উপজেলা হাসপাতাল এলাকা, পটিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মুখ এলাকা, পোস্ট অফিস, ডাকবাংলো, বাস স্টেশন, আদালত রোড়, বৈলতলী রোড় ও স্টেশন রোড়ে সচেতনতামূলক মাইকিং এবং প্রচারপত্র বিলি করেছেন ইউএনও।

    ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা বলেন, পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রচারপত্র বিলি করে জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছি। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে।পটিয়ায় কোয়ারেইনটিনে ২ ইউনও প্রচারপত্র বিলি

    করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আপাতত সব ধরনের জনসমাগমকে নিরুৎসাহিত করব, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রচারপত্র বিলি চলমান থাকবে। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনসমাগম ছাড়াই সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। মসজিদে মসজিদে ইমামরা প্রচারণা চালাবেন।

    তিনি আরোও বলেন, সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয় এমন প্রচারণা চালানো যাবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায় এমন প্রচারণা করা যাবে না। সচেতনতামূলক প্রচারণার নামে কেউ আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ২৪ ঘন্টা/সনজয় সেন/আর এস পি

  • রাউজানে গুজরা ভূমি অফিসে চুরি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনও

    রাউজানে গুজরা ভূমি অফিসে চুরি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ইউএনও

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রাউজানের গুজরা ভূমি অফিসে চুরি সংগঠিত হয়েছে। গতকাল গভীর রাতে চোরের দল ভূমি অফিসের দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরায় সংরক্ষিত অফিসের ল্যাপটপ নিয়ে যায়।

    গুজরা ভূমি অফিসের তহশিলদার মন্টু চাকমা চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

    এদিকে ভূমি অফিসে চুরির ঘটনার সংবাদ শুনে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ, সমবায় কর্মকর্তা মুজিব উর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহকারি কৃষি কর্মকর্তা (উন্নয়ন) সনজীব কুমার সুশীল, পূর্ব গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, পূর্ব গুজরা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহসিন রেজা।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বিষয়টি তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ল্যাপটপ উদ্ধার করার জন্য পূর্ব গুজরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মহসিন রেজাকে তাৎক্ষনিক নির্দেশ প্রদান করেন।

  • বালীয়াডাঙ্গীতে ইউএনও’র অসদাচরণে ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা,শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বর্জন

    বালীয়াডাঙ্গীতে ইউএনও’র অসদাচরণে ক্ষুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধারা,শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বর্জন

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে ফিরে গেছেন দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। সেই সাথে বর্জন করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শহীদ মিনারে ফুল প্রদানসহ সকল কর্মসূচী।

    একুশের প্রথম প্রহরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যেই বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়।

    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের পর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিটি জাতীয় দিবসে শহীদ মিনার এবং স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ হয়। কিন্তু এবারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন উপজেলা প্রশাসনের পর বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশকে ২ নম্বর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ৩য় নম্বর করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানোর কথা বলেন। এমন ঘোষণা পর মুক্তিযোদ্ধারা শহীদ মিনার ত্যাগ করে ফুল দেয়া বর্জন ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কার্যালয়ে চলে আসেন।

    মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, সলেমান আলীসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ইউএনও সাহেবের নতুন নিয়ম আমরা মানিনা। এ নিয়ম আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোনদিন মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করে দেখেননি। আমরা শহীদ মিনারে ফুলের শ্রদ্ধা বর্জন করলাম। আগামী রবিবার আমরা ইউএনও’র বিরুদ্ধে কর্মসূচী গ্রহণের জন্য সভার আহবান করেছি।

    মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানেরাও শ্রদ্ধা নিবেদন করেননি শহিদ মিনারে।

    রাত সাড়ে ১২টায় সময় ইউএনও খায়রুল আলম সুমন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কার্যালয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের পুনরায় ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে বলেন। এক পর্যায়ে ইউএনওকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের কার্যালয়ে রেখে বাড়ীতে চলে যান মুক্তিযোদ্ধারা। পরে স্থানীয় আ.লীগের নেতাদের মধ্যস্থতায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুটি কয়েক সন্তান রাত ১টায় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

    উপস্থিত সুধী জনেরা জানান, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের বীর সন্তান। তাদের অগ্রাধিকার সবার আগে। এমনটা করা ইউএনও’র উচিত হয়নি।

    বালিয়াডাঙ্গী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এন এম নুরুল ইসলাম বলেন, মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব না খুবই নিন্দনীয় কাজ। আশা করছি বিষয়টি তদন্ত করবে জেলা প্রশাসন।

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন তাৎক্ষনিক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। পরে শুক্রবার তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি সাড়া দেননি।

     

  • রাউজানে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে তালা ঝুলানো পেলেন ইউএনও

    রাউজানে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে তালা ঝুলানো পেলেন ইউএনও

    রাউজান প্রতিনিধি : পূর্ব রাউজানে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে তালা ঝুলানো অবস্থায় দেখতে পেলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ।

    এ সময় তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ফোনে কারণ জানতে চান।

    এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ নূর দীন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিটিং থাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সেখানে ছিল। তবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে ক্লিনিকি খোলা রাখার বিষয়টি বলা হয়েছিল।

    পূর্ব রাউজানে বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করেন ইউএনও।

  • পটিয়ার নতুন ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা

    পটিয়ার নতুন ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা

    পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদে যোগ দিচ্ছেন ৩১তম ব্যাচের বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হওয়া ফারহানা জাহান উপমা।

    রবিবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে পদায়ন করা হয়। শীঘ্রই তিনি পটিয়ার ইউএনও হিসাবে যোগদান করবেন।

    পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসানকে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।

    ঢাকার মেধাবী সন্তান ফারহানা পটিয়ায় পদায়নের আগে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    তিনি ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে কৃতিত্বের সহিত প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।

    তিনি ঢাকার মিরপুর গার্লস আইডিয়াল ল্যাবরেটরি ইনস্টিটিউট থেকে মাধ্যমিক এবং এসওএস হারমান মেইনার কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে বিবিএ শেষ করে প্রথম কর্ম জীবন শুরু করেন এইচএসবিসি ব্যাংকে।

    এসময় তিনি ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করে সরকারী চাকরিতে প্রবেশ করেন।

    এর আগে তিনি কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলায় সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • পটিয়ায় ৫ ফার্মেসিকে জরিমানা

    পটিয়ায় ৫ ফার্মেসিকে জরিমানা

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার অলির হাট এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি ও ফার্মেসীর লাইসেন্স না থাকার অপরাধে পাঁচ ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসানের নেতৃত্বে উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    জরিমানা করা পাঁচ ফার্মেসি হলো- মেসার্স আলী ফার্মেসীর মালিককে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স লাকী ফার্মেসীর মালিককে ২ হাজার টাকা, লক্ষী ফার্মেসীর মালিককে ৫ হাজার টাকা, কাশেম ফার্মেসীর মালিককে ১০ হাজার টাকা এবং মাওয়া ফার্মেসীর মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    এ সময় ইউএনও বলেন, সকল ফার্মেসি মালিককে বাৎসরিক ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করলে জরিমানা করা হবে।

  • বোয়ালখালীতে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল তুলে দিলেন ইউএনও

    বোয়ালখালীতে শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল তুলে দিলেন ইউএনও

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। বোয়ালখালী প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো শীতে দূর্ভোগে পড়েন চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দু:স্থ শিশু-বৃদ্ধরা। ঠিক এসময় সহায় সম্বলহীন শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আছিয়া খাতুন।

    শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে তিনি উপজেলার আমুচিয়া, শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের শীতার্ত দু:স্থ মানুষের গায়ে তুলে দেন কম্বল। এছাড়া চলতি পথেও শীতার্ত মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন।

    প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া কম্বল নিয়ে রাতে আঁধারে দু:স্থ, এতিম ও শীতার্তদের মাঝে ছুটে যান নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন।

    নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আছিয়া খাতুন বলেন, সমাজের অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কম্বল পাঠিয়েছেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর উপহার। দেশের একজন মানুষও যাতে শীতে কষ্ট না পায় সেই জন্য এ কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

    কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন আমুচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজল দে, ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক রাজু দে, দেবাশীষ বড়ুয়া রাজু, ছাত্রলীগ নেতা ইউনুচ আজম খোকন, পিআইও অফিস সহকারি মো. নুরুন্নবী ও মনছুর আলম।

  • রেলওয়ের গেটম্যানকে ইউএনওর মারধর, থানায় অভিযোগ

    রেলওয়ের গেটম্যানকে ইউএনওর মারধর, থানায় অভিযোগ

    পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রেলওয়ের গেটম্যানকে মারধরের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার আজিজের বিরুদ্ধে জিআরপি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ মামলার এজাহার গ্রহণ করে এফআইআর করতে আদালতের অনুমতি চেয়েছে।

    অভিযোগে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি এলাকায় (গেট নং টি/১০, কি.মি ২৪৭/৫-৬) দায়িত্ব পালন করছিলেন রেলওয়ের অস্থায়ী গেটকিপার মো. সিপরাত হোসেন। এ সময় বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন আসার সংকেত পেয়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ছয়সূতি-কুলিয়ারচরের মধ্যবর্তী গেটে ব্যারিয়ার ফেলেন তিনি। এতে সড়কে সাময়িক সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

    আটকা পড়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহনকারী গাড়িটিও। এ সময় গাড়িচালক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গেটকিপারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আজিজ গাড়ি থেকে নেমে গেটকিপারকে গালিগালাজ ও বেধড়ক মারধর করেন।

    বিষয়টি ওই দিনই গেটকিপার মো. সিফরাত হোসেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে জানান। পরদিন কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) আনিসুজ্জামান ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশকে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

    এ দিকে গত ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় প্রকৌশলী/২ মো. সুলতান আলী ভৈরব জিআরপি থানায় একটি মামলার অভিযোগ দাখিল করেন। এতে ‘রেলওয়ে অ্যাক্ট ১৮৮০ অনুসারে জননিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মচারীকে মারধরের ঘটনা গুরুতর অপরাধ’ উল্লেখ করে মামলা গ্রহণপূর্বক বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়।

    বাংলাদেশ রেলওয়ের ভৈরব অফিসের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী জিসান দত্ত জানান, একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তিনি গেটম্যানকে গালিগালাজ ও মারধর করতে পারেন না। ঘটনার দিন ইউএনও যাওয়ার জন্য গেটটি খুললে যদি ট্রেন দুর্ঘটনা হতো তবে এর দায়িত্ব তিনি নিতেন না। ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর আমি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেলওয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়।

    ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস মামলার এজাহার পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি যেহেতু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, তাই মামলা এফআইআর করার জন্য কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (সিজেএম) কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আজিজ বলেন, ট্রেন তখনও অনেক দূরে ছিল। তাই গেট খুলে দেয়ার কথা বললে গেটকিপার আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তবে গেটম্যানকে মারধর ও গালিগালাজের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

  • পেঁয়াজ এখন রড সিমেন্টের দোকানে! অভিযানে ৫টন জব্দ

    পেঁয়াজ এখন রড সিমেন্টের দোকানে! অভিযানে ৫টন জব্দ

    কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রির আশায় কমদামে পেঁয়াজ নিয়ে কিনে মজুদ করে রেখেছে এক ব্যবসায়ি। এমন অভিযোগ পেয়ে হাটহাজারী পৌরসভার পুড়াহাট এলাকায় আমির হোসেনের মালিকানাধীন একটি রড সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

    ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে হাটহাজারী থানার দক্ষিণ পাশের একটি রড সিমেন্টের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে মিলে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় রড সিমেন্টের ব্যবসার আড়ালে এ পেঁয়াজের আড়তের জন্ম হয় মাত্র ৪ থেকে ৫ দিন আগেই। ১৪ টন পেঁয়াজ মজুদ করা হয় এ গোডাউনে।

    এ আড়ৎ থেকে স্থানীয় বাজারে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার তথ্য নিশ্চিত করলেও পাইকারী বাজার থেকে কত করে পেঁয়াজ ক্রয় করেছে তার সঠিক কোন হিসেবে বা নথিপত্র দেখাতে পারেনি আড়তদার। তিনি একবার ৬০ টাকা আবার ৬৫ কিছুক্ষন পর ৬৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজগুলো ক্রয় করেছেন বলে ভ্রাম্যমান আদালতকে তথ্য দিয়েছেন।

    ফলে রড সিমেন্টের এ গোডাউন থেকে প্রায় ১শত বস্তা ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করে ভ্রাম্যমান আদালত। বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ করায় পেঁয়াজের পাইকারী ব্যবসায়ী আমির হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন।

    আড়তদারের সাথে কথা হলে তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, তিনি ৬৮ টাকা কেজি ধরে ১৪ টন পেঁয়াজ কিনেছেন তবে তাকে কোন ধরনের রশিদ দেয়া হয়নি। তিনি বলছেন পেঁয়াজ যিনি আমদানি করেছে এবং এলসি’র মাধ্যমে এসব পেঁয়াজের চালান যার মাধ্যমে কাটা হয়েছে তারা একটি দর ধরে শুধুমাত্র স্কেলে ওজন মেপে মৌখিকভাবে তাদের কাছে পেঁয়াজগুলো হস্তান্তর করেছে।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পেঁয়াজের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্দ্যেশে মজুদ করেছেন ব্যবসায়ি আমির হোসেন। মনিটরিংয়ে এসে তার কাছ থেকে পাওয়া বক্তব্য মোটেও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না। কোন ধরনের কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করা হয়েছে।

    হাটহাজারীতে এ ধরনের অসংখ্য গুদামে পেঁয়াজ মজুদ রাখা আছে জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, যারা মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করার মত অসাধু পথ অবলম্বন করবেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিয়ান অব্যাহত রেখে প্রত্যেক অসাধু ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত এবং বাজারেও যথেষ্ট পেঁয়াজ আছে জানিয়ে এ নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে হাটহাজারীবাসির বিভ্রান্তিতে পড়ার কোন সুযোগ নেই।

    জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো কি করা হবে এমন প্রশ্নে রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, এ গোডাউন থেকে একশ বস্তা প্রায ৫টন পেঁয়াজ জব্দ করা হয়েছে। আড়তদার যদি তার পেঁয়াজ ক্রয়ের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারে এবং তা সুলভ মূল্যে বিক্রি করার অঙ্গিকারনামা দিলে জব্দকৃত পেঁয়াজগুলো তাকে পুনরায় ফেরত দেওয়া হবে।