Tag: ইডিইউ

  • মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : নোমান

    মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : নোমান

    ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, মানবসম্পদের উন্নয়নে জ্ঞান ও শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে ইডিইউ ছাড়াও প্রতিষ্ঠা করেছি চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইডিইউ বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষায় এ দেশের মানুষদের গড়ে তুলবে, এবং শিক্ষার্থীরা উন্নয়নের সম্পদ হয়ে উঠবে এই প্রত্যাশা করেন তিনি।

    চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডে ২০২০’ এর সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ শনিবার (১৪ মার্চ) তিনি এসব কথা বলেন।

    সাবেক এ মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান যুগে কর্মক্ষম মানুষের চেয়েও উদ্ভাবনী মানুষের কদর বেশি। তাই নতুন ধারণা নিয়ে উঠে আসতে হবে। পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে আজকের জটিল সময়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।

    সারাদেশ থেকে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক দলের অংশগ্রহণে গতকাল ১৩ মার্চ শুক্রবার শুরু হয় আগামীর প্রকৌশলীদের এ উৎসব। উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, সেরা হতে সম্পদের প্রাচুর্য নয়, প্রয়োজন মেধার বিকাশ। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার মূল কারিগর মানুষের মেধা। বাংলাদেশি হিসেবে তাই হীনম্মন্যতায় ভোগার কিছু নেই।

    এতে সভাপতির বক্তব্যে ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, প্রতিযোগিতা মেধাকে শাণিত করে। এ ধরণের প্রতিযোগিতার নিয়মিত আয়োজন দেশসেরা মেধাবীদের তুলে আনবে।

    ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ভবিষ্যৎ শিল্প বিপ্লবে যাতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিতে পারে, তার জন্য আমরা শুরু করছি ইডিইউ ফিউচার ফ্যাক্টরি। রোবট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট মেশিন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন ডেটা- এ ধরনের এডভান্স প্রযুক্তিতে সেরা হয়ে ওঠার জন্য চর্চা ও অনুশীলনের প্লাটফর্ম দিচ্ছে ইডিইউ।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইডিইউর ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসমিন আরা নোমান ও সুপার পেট্রো ক্যামিকেলের সিইও প্রণব সাহা।

    এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ডিনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

    দু’দিনে ৭টি প্রতিযোগিতায় প্রকৌশলীদের মেধার পরীক্ষা নেয়া হয়। এগুলোর মধ্যে হ্যাকাথনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রেইনডেড জোম্বি দল চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয়েছে ইডিইউর মাস্টার কোডার।

    ইঞ্জিনিয়ারিং অলিম্পিয়াডে তিন বিভাগেই সেরা হয়েছে ইডিইউর তিনটি দল; প্রোগ্রামিং কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইউ ৪১৩ দল, প্রথম রানার আপ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আইইউটি জিল ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির আইইউটি অপরাগত।

    প্রজেক্ট শো-কেইসে চবি’র এস্ট্রো পিরানহাস চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ হয়েছে ইডিইউর রোবো রিফ্ল্যাক্স, দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ইডিইউর এসপি ১৭; পোস্টার প্রেজেন্টেশনে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের দুটি দল বিজয়ী হয়েছে।

    আইডিয়া কনটেস্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, রানার আপ হয়েছে আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম; এবং রোবো সকার কম্পিটিশনে ইডিইউর দুটি দল বিজয়ী হয়েছে।

    এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় টেক টক। এতে চুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আরেফিন, গ্রামীণফোনের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মুহাম্মদ জাকারিয়া হায়দার বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের জেনারেল সেক্রেটারি মুনির হাসান, স্যামসাং বাংলাদেশের চিফ টেকনোলজি অফিসার জুবেরুল ইসলাম এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্ট্রোলস লি. এর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাওহিদুল ইসলাম।

  • ইডিইউতে ‘ইন্টার্নশিপ রঁদেভূ’

    ইডিইউতে ‘ইন্টার্নশিপ রঁদেভূ’

    সাধারণত ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে শঙ্কিত ও সন্দিহান থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। যাদের চাকরিক্ষেত্রেই ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা থাকে, তাদের ভয় যেন আরো বেশি। এ ভয় কাটানোর অন্যতম উপায় হলো ইন্টার্নশিপ।

    চাকরির আগেই কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায় এতে। ইন্টার্নশিপ ও চাকরিতে প্রবেশের কঠিন পথ পাড়ি দিতে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি নিয়মিত আয়োজন করছে ‘ইন্টার্নশিপ রঁদেভূ’ শিরোনামের কর্মশালা।

    চলতি সেমিস্টারের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায়। এতে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও ধ্যান-ধারণার আলোকে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিনিয়র টেরিটরি ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ইডিইউর প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমানে মাইডাস সেফটির মানবসম্পদ বিভাগে কর্মরত আবু শাহাদাত মোহাম্মদ সায়েম।

    প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে প্রবেশের জন্য শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে তুলবে কর্মশালায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিভি ও কভার লেটার লেখা থেকে শুরু করে জব ইন্টারভিউর নানা খুটিনাটি বিষয় এতে উঠে আসে।

    বক্তারা বলেন, শিক্ষাজীবনেই নিজেকে গড়ে তুলতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতার। পড়াশোনায় ভালো ফল অর্জনের পাশাপাশি নানা সামাজিক-সাংগঠনিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

    ইন্টারভিউতে ঘাবড়ে না গিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত থাকার পরামর্শ দেন আলোচকদ্বয়। তারা বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ইন্টারভিউ।

    ইন্টারভিউতে পজিটিভ থেকে চাকরিদাতাদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে। চাকরির ধরণ বুঝে নিজের প্রস্তুতি নিতে হবে।

    ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, বিভিন্ন কর্মশালা-সেমিনার আয়োজনের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উন্নত দেশে নিয়ে যাচ্ছি আমরা, যাতে সেখানকার বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। যা পরবর্তীতে কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে ইডিইউ গ্র্যাজুয়েটদের অধিকতর সক্ষম করে তুলবে।

    এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইডিইউর প্ল্যানিং এন্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী।

    তিনি বলেন, বর্তমানে চাকরির আগেই অভিজ্ঞতা অর্জন খুব জরুরি। এক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ একটি সুবর্ণ সুযোগ। এক্ষেত্রে সিভি ভালো হওয়ার পাশাপাশি কর্মপরিবেশ ও কর্মক্ষেত্র কেমন হবে, তা সম্পর্কে বাস্তব ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া নিজের অপূর্ণতা ও সক্ষমতা সম্পর্কেও জানা যায় ইন্টার্নশিপে।

    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির নেটওয়ার্কিং এন্ড প্লেসমেন্ট সেলের কর্মকর্তাগণ। তারা গ্র্যাজুয়েটদের ইন্টার্নশিপ ও চাকরিপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি বড় প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ইডিইউর গ্র্যাজুয়েটরা কর্মরত আছেন।

  • ইডিইউতে ভাষা শহীদনের স্মরণে নানা আয়োজন

    ইডিইউতে ভাষা শহীদনের স্মরণে নানা আয়োজন

    ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে ভাষা শহীদদের স্মরণে এই গান। একে একে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে ইডিইউ পরিবারের সবাই।

    ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ ও সম্মান জানাতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি এদিন আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।

    ভোরে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খানের নেতৃত্বে প্রভাতফেরীর মধ্যদিয়ে ইডিইউ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বোর্ড অব ট্রাস্টি, উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ভাষা শহীদদের।

    পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রারম্ভিক বক্তা ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তিু বড়ুয়া।

    উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, একটি জাতির পরিচিতি তার ভাষায়। তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতিসত্তাকে মুছে ফেলতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু হাজার বছরের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতি এর প্রতিবাদ করে নিজের মাতৃভাষার স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছিলো। তাই এ ভাষার মৌলিকত্ব ধরে রাখতে হবে।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ভাষা আন্দোলন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছিলো না। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীকার আন্দোলনের সূত্রপাত ছিলো বায়ান্ন, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ভিত গড়ে দিয়েছিলো। ভাষার মর্যাদা রক্ষার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন সালাম-বরকতেরা, আমাদেরও তা অনুসরণ করতে হবে।

    এদিন অমর একুশের থিম নিয়ে দেয়ালিকা প্রকাশ করে ইডিইউ লিটারেরি ক্লাব। উপাচার্য ফিতা কেটে দেয়ালিকাটি উদ্বোধন করেন।

    এতে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লিবারেল আর্টসের ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী প্রমুখ।

     

  • ইডিইউতে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু

    ইডিইউতে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু

    বিতর্ক মনের জানালা খুলে দেয়। জ্ঞান ও যুক্তির জগতে প্রবেশের মাধ্যমে একজন বিতার্কিক আদর্শ মানুষ হয়ে ওঠেন। সমাজের উৎকর্ষের জন্য আমাদের আলোকিত ও আদর্শ মানুষের প্রয়োজন।

    ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে তিনদিনব্যাপী জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে এ কথাগুলো বলেন, উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান।

    আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

    কিশোয়ানের সহযোগিতায় এ উৎসবের আয়োজন করছে ইডিইউ ডিবেটিং সোসাইটি। সারাদেশের ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮ জন বিতার্কিক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ৩০ জন বিচারক এতে অংশ নিয়েছেন।

    ফাইনালে গেস্ট অব অনার থাকবেন ডা. আব্দুন নূর তুষার এবং বিশেষ অতিথি থাকবেন কিশোয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব। এতে সহযোগী হিসেবে থাকছে দৃষ্টি চট্টগ্রাম, র‌্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে মাছরাঙা টিভি ও কালের কণ্ঠ।

    ইডিইউ ডিবেটিং সোসাইটির উপদেষ্টা প্রভাষক মিথিলা আফরিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবিরসহ ইডিইউর ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যবৃন্দ।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাড়ে ১১টা থেকে গ্রুপ পর্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা দলগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্তির লড়াইয়ে অংশ নেয়। এদের মধ্য থেকে ৮টি দল নিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০টা থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল ও পর্যায়ক্রমে সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে এবং পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ২টা বাজে পর্দা নামবে এ উৎসবের।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, সাদার্ন ইউনিভার্সিটি, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আন্তর্জাতিক ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নিচ্ছেন। (বিজ্ঞপ্তি)

  • ‘সামাজিক নেতৃত্ব গড়ে তুলছে ইডিইউ’

    ‘সামাজিক নেতৃত্ব গড়ে তুলছে ইডিইউ’

    সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব।

    গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে কষ্ট পাওয়া চট্টগ্রাম শহরের সিআরবি এলাকার দুস্থ শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে দুই শতাধিক কম্বল ও অন্যান্য শীতের পোশাক বিতরণ করা হয়। এছাড়া নগরীর পথে পথে রাত কাটানো উদ্বাস্তুদের শীতের কষ্ট লাঘবে রাতে রাস্তায় হেঁটে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব।

    বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান এসব শীতবস্ত্র তুলে দেন।

    তিনি বলেন, সাম্প্রতিক শৈত্যপ্রবাহে দেশের আনাচে-কানাচে অনেকেরই বেশ কষ্ট হয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে শহরের খোলা উদ্যান, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, রাস্তার পাশে ঘরহীন মানুষেরা কষ্টে দিনযাপন করছে। তাদের কষ্ট লাঘবে ইডিইউর সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উৎসাহব্যাঞ্জক। একইসাথে সরকার ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক-প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে, যার মূলভিত্তিই হলো সহানুভূতি ও নৈতিকতা। অন্য মানুষের দুঃখ-কষ্ট যাকে ছোঁয় না, তার পক্ষে সমাজের উপকারে আসা সম্ভব হয় না কখনো। ইডিইউতে বর্তমানে ১৫টি ক্লাব রয়েছে। ক্লাবগুলো এ ধরনের নেতৃত্ব তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।

    শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের এডভাইজর সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার বলেন, ক্লাবের যেকোন কার্যক্রমে তার অনুপ্রেরণা এগিয়ে চলার উৎসাহ যোগায়।

    ক্লাবের কনভেনার প্রশান্ত ভৌমিক ও কো-অর্ডিনেটর দীপ্ত বিশ্বাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী, সহকারী অধ্যাপক রবিউল হোসেন দোভাষ প্রমুখ।

  • সামাজিক নেতৃত্ব গড়ে তুলছে ইডিইউ

    সামাজিক নেতৃত্ব গড়ে তুলছে ইডিইউ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব।

    গত কয়েকদিনের তীব্র শীতে কষ্ট পাওয়া চট্টগ্রাম শহরের সিআরবি এলাকার দুস্থ শিশু ও বৃদ্ধদের মাঝে দুই শতাধিক কম্বল ও অন্যান্য শীতের পোশাক বিতরণ করা হয়। এছাড়া নগরীর পথে পথে রাত কাটানো উদ্বাস্তুদের শীতের কষ্ট লাঘবে রাতে রাস্তায় হেঁটে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব।

    আজ ১ জানুয়ারি বুধবার বিকেল ৪টায় ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান এসব শীতবস্ত্র তুলে দেন।

    তিনি বলেন, সাম্প্রতিক শৈত্যপ্রবাহে দেশের আনাচে-কানাচে অনেকেরই বেশ কষ্ট হয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে শহরের খোলা উদ্যান, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, রাস্তার পাশে ঘরহীন মানুষেরা কষ্টে দিনযাপন করছে। তাদের কষ্ট লাঘবে ইডিইউর সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসা উৎসাহব্যাঞ্জক। একইসাথে সরকার ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক-প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে, যার মূলভিত্তিই হলো সহানুভূতি ও নৈতিকতা।

    অন্য মানুষের দুঃখ-কষ্ট যাকে ছোঁয় না, তার পক্ষে সমাজের উপকারে আসা সম্ভব হয় না কখনো। ইডিইউতে বর্তমানে ১৫টি ক্লাব রয়েছে। ক্লাবগুলো এ ধরনের নেতৃত্ব তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।

    ইডিইউ সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের এডভাইজর সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা আক্তার ও কনভেনার প্রশান্ত ভৌমিকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী, সহকারী অধ্যাপক রবিউল হোসেন দোভাষ প্রমুখ।

  • প্রকৃত মেধাবীদের খুঁজে বের করছে ইডিইউ

    প্রকৃত মেধাবীদের খুঁজে বের করছে ইডিইউ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) স্প্রিং ২০২০ সেমিস্টারে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। শুধু পরীক্ষার উত্তরপত্র দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণভাবে যাচাই করা যায় না। তাই সক্ষমতাগুলো খুঁজে সে অনুসারে ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতা করার অংশ হিসেবে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি।

    আজ ২২ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। তিনটি স্কুলের ৯টি প্রোগ্রামে ভর্তিচ্ছুদের এ সাক্ষাৎকার নিয়েছে ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা।

    এতে অংশ নেয়া ভর্তিচ্ছুদের পাঠ্যবিষয়, বুদ্ধিমত্তা, দায়িত্বশীলতা সম্পর্কিত প্রশ্নের পাশাপাশি ইডিইউতে পড়তে চাওয়ার কারণ, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের থেকে কেমন সহযোগিতা প্রত্যাশা করে, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ইডিইউ প্রকৃত মেধাবীদের খুঁজে বের করছে। ব্যক্তিভেদে প্রত্যেকের সৃজনশীলতা ও সক্ষমতা ভিন্ন। ফলে প্রচলিত প্রোগ্রামের অধীনে সবাইকে একই ছাঁচে ঢেলে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

    প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিপর্যায়ে পরিচর্যা করার মাধ্যমে তাদের মেধা বিকাশে সহযোগিতা করতে চায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আমরাই প্রথম গত সেমিস্টার থেকে ভর্তিচ্ছুদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু করেছি।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, সাক্ষাৎকার গ্রহণের ফলে ভর্তিচ্ছুরা আরো বিশদভাবে জানার সুযোগ পেয়েছে ইডিইউকে। পেয়েছে ইডিইউ সম্পর্কে তাদের নানা প্রশ্নের উত্তর। আমরাও তাদের চাওয়া ও অনুভূতিগুলো সরাসরি জানতে পেরেছি।

  • ইডিইউতে কর্মরতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

    ইডিইউতে কর্মরতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : ইডিইউতে কর্মরত অফিস স্টাফ ও সিকিউরিটি গার্ডদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। আজ ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শীতবস্ত্র বিতরণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, নেতৃত্বের প্রধানতম শর্ত হলো সহমর্মিতা বা এম্পেথী। অন্য মানুষের দুঃখ-কষ্ট যাকে ছোঁয় না, তার পক্ষে সমাজের উপকারে আসা সম্ভব হয় না কখনো।

    তিনি বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মাঝে শুধুমাত্র পড়ালেখা নয়, একইসাথে সামাজিক-প্রাতিষ্ঠানিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে, যার মূল ভিত্তিই হলো সহানুভূতি ও নৈতিকতা।

    তিনি আরো বলেন, প্রতি শীতেই দুঃখ-কষ্টে কাটে লাখো মানুষের দিন। দেশের আনাচে কানাচে অনেকেরই শীতবস্ত্র জোটে না। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয় শহরে খোলা উদ্যান, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, রাস্তার পাশে ঘরহীন মানুষেরা কষ্টে দিন যাপন করছে। শীতজনিত অসুখ-বিসুখের বিস্তার হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার ও সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর প্ল্যানিং এন্ড ডেভলমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী, সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার ফারহানা আহমদ সিগমা, সহকারী রেজিস্ট্রার হাসানুল বান্না, আইটি বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মোফাজ্জল উদ্দিন, হিসাবরক্ষণ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার রাকিব মোহাম্মদ ওমর গণি, জোনাইদ হোসেন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

  • দুবাইতে ইডিইউর শিক্ষার্থীদের স্বপ্নযাপন

    দুবাইতে ইডিইউর শিক্ষার্থীদের স্বপ্নযাপন

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : স্বপ্নকে বাস্তবতায় পরিণত হতে দেখছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স (আইজিএলই) কোর্সে দুবাই-আবুধাবি যাওয়া শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন ও ওয়ার্কশপ-সেশনে অংশ নিতে তারা পার করছেন খুবই ব্যস্ত, কিন্তু একই সাথে জীবনের অন্যতম চমৎকার কিছু সময়।

    গতকাল ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দুবাইতে টিম ইডিইউ’র তৃতীয় দিন। মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের ডিপ্লোমা কোর্স, স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য বিখ্যাত দুবাই নলেজ পার্কে সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি সেশনে উপস্থিত হয়েছেন তারা।

    দুবাইকে জ্ঞাননির্ভর অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত করতে ২০০৩ সালে চালু হয় নলেজ পার্ক। এখানে আমিরাতের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান টেকম গ্রুপের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শাজাদী দুররানি ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য কালচারাল মিক্স অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট’ শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন।

    বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিবর্গের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানাশোনা এবং তাদের সঙ্গে বোঝাপোড়া বাড়ানোর নানা দিক ও কৌশল সম্পর্কে প্রায়োগিক এ কর্মশালায় শেখানো হয়।

    এছাড়া ২৫ নভেম্বর সোমবার প্রাক্তন ব্যাংকার ও বর্তমানে একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক উজায়ের হাসানের সঙ্গে লিডারশিপ ও ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে দিনব্যাপী কয়েকটি সেশনে মিলিত হয় টিম ইডিইউ। এতে গুরুত্বপূর্ণ লেকচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের এক্টিভিটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মজীবন ও চারপাশের মানুষগুলো সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন উজায়ের।

    আইজিএলই কোর্সের প্রথম দিন ২৪ নভেম্বর ইডিইউর শিক্ষার্থীদের ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন এমন দুজন বাংলাদেশি, যারা আমিরাতে দীর্ঘদিন ধরে দুটো বড় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। তারা হলেন আমিরাত এনবিডি’র গ্রুপ ক্রেডিট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহিদ খন্দকার এবং বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান আইবিএম এর সফটওয়্যার ক্লায়েন্ট আর্কিটেক্ট সোহরাব সায়ীদ।

    বর্তমান সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এবং ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন তারা। একই সাথে কিভাবে একটি হার্ডওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার জগতের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে, তা নিয়েও বিশদ কথা বলেন। এ সময় তারা আমিরাতে, বিশেষত আইবিএম’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশিদের কাজের সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন।

    আইজিএলই কোর্সে দুজন বাংলাদেশিকে যুক্ত করার কারণ শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা নয়, একই সাথে প্রবাসী হিসেবে আমিরাতে কাজের সমস্যা-সম্ভাবনার অভিজ্ঞতা ও অর্জিত শিক্ষা সম্পর্কে জানাটাও ছিলো অন্যতম উদ্দেশ্য, বলেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান।

    তিনি আরো বলেন, আইজিএলই শুধুমাত্র একটি কোর্স নয়, এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য লাইফটাইম এচিভমেন্ট। এ অভিজ্ঞতা তাদের জীবনে চলার পথে অন্যতম পাথেয় হিসেবে কাজ করবে।

    শিক্ষার্থী মাইমুনা মানিতা বলেন, বিদেশের সংস্কৃতি, তাদের মানুষজনের সাথে কাজ করার ইচ্ছে বহুদিনের। ইডিইউর এই কোর্সে সেই সুযোগটা পাচ্ছি। একেবারে ভিন্ন একটি পরিবেশে নিজেদের সক্ষমতাকে আমরা নিরূপণ করতে পারছি নতুন করে।

    উল্লেখ, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুবাই এবং আমিরাতে অবস্থান করে কালচারাল হেরিটেজ সাইট, গ্লোবাল ভিলেজ, শেখ যায়েদ ইউনিভার্সিটি, ফ্রি জোন, লেবার ক্যাম্পসহ প্রতিদিনই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন ও কর্মশালায় অংশ নেবে টিম ইডিইউ।

  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটে মাইডাস সেফটি’তে ইডিইউর এসিএইচআরএম

    ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটে মাইডাস সেফটি’তে ইডিইউর এসিএইচআরএম

    দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) সেন্টার ফর প্রফেশনাল ডেভলপমেন্ট এন্ড চেইঞ্জ (সিপিডিসি) এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (এসিএইচআরএম) কোর্স।

    ইডিইউর সিপিডিসি ও মানবসম্পদ পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে এ কোর্সটি।

    কোর্সের অংশ হিসেবে সম্প্রতি অংশগ্রহণকারীরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটে যায় নগরীর সিইপিজেডস্থ মাইডাস সেফটি বাংলাদেশের কারখানা ও কার্যালয়ে।

    ইডিইউ সেন্টার ফর প্রফেশনাল ডেভলপমেন্ট এন্ড চেইঞ্জ বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাদারদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নানান ধরনের শর্ট কোর্স, প্রশিক্ষণ, কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।

    প্রফেশনাল কোর্সের গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্য হলো হাতে-কলমে শিক্ষা। ব্যবহারিক শিক্ষার অংশ হিসেবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের ব্যবস্থা করে আসছে ইডিইউ। একটি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কর্মকৌশল ও কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বা জ্ঞানকে পরিপূর্ণতা দিতে কোর্স কারিকুলামের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় এই ভিজিটের।

    এতে মাইডাস সেফটি বাংলাদেশ-এর মানবসম্পদ বিভাগ, প্রশাসন ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস ম্যানেজার অতনু গুপ্ত উক্ত কোম্পানির শ্রমশক্তি, কর্মচারীদের সুবিধাদি, ট্রেড ইউনিয়ন, মানবসম্পদ এবং ব্যবসায়িক কৌশল সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

    মাইডাস সেফটি বাংলাদেশ-এর জ্যেষ্ঠ মানবসম্পদ কর্মকর্তা সাহাদাত সায়েম ওয়্যারহাউস এবং উৎপাদন ইউনিটসহ কোম্পানির পুরো প্রাঙ্গণ ঘুরিয়ে দেখান।

    পরিদর্শন শেষে এক ইন্টারেক্টিভ সেশনে কোম্পানির সামগ্রিক ব্যবসা, এইচআর এবং সিএসআর কার্যক্রমসহ কর্মচারী প্রশিক্ষণ, কর্মচারীদের প্রদেয় সুবিধাদি, অনুপ্রেরণামূলক কর্মকাণ্ড এবং কর্মী টার্নআউট ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।

    এ বিষয়ে ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, শুধুমাত্র প্রায়োগিক জ্ঞান পেশাগত দক্ষতা অর্জনে যথেষ্ট নয়। এর জন্য ব্যবহারিক জ্ঞানের বিকল্প নেই। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরতদের জন্য প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষায়িত প্রোগ্রাম রেখেছে। কর্পোরেট বিশ্বে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। এই সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যবহারিক দক্ষতা তথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট কোর্সটির লক্ষ্য হলো মানবসম্পদ পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন, কোর্সটির কারিকুলাম এই লক্ষ্যকে মাথায় রেখেই করা হয়েছে।

    ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিস্ট্রার হাসানুল বান্নার নেতৃত্বে এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটটি পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট পেশাগত কোর্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এই সময়ে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন কোম্পানি পরিদর্শন করে এবং কোম্পানির অভ্যন্তরীণ পরিবেশ সম্পর্কে অন্তঃদৃষ্টি লাভ করে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট অংশগ্রহণকারীদের বাণিজ্যিক জগতের বাস্তবিক চ্যালেঞ্জগুলোর প্রতি সংবেদনশীল করে। কোম্পানি পরিচালনায় কার্যকরী ধারণা এবং কলাকৌশল সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের সরেজমিনে শিক্ষা দেয়। মাইডাস সেফটির মতো একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রকৃত এবং ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা ছিল এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট।