Tag: ইনিংস পরাজয়

  • গোলাপী টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়

    গোলাপী টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক দিবারাত্রি টেস্টেও ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়েছেন মুশফিকুর রহিম। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ভারতের কাছে ইনিংস ও ৪৬ রানে হারল বাংলাদেশ।

    ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হ্যামস্ট্রিং চোটে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধান হার। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ইনিংস হার এড়াতে একাই লড়ে গিয়েছেন মুশফিক। তবে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মুশফিককে। ২২ বলে ১৫ রান করে বিদায় নিয়েছিলেন মিরাজ। এবং দ্বিতীয় দিনের শেষ বলে উমেশের বাউন্স ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তাইজুল।

    টেস্টের তৃতীয়দিন ব্যাটিং করতে নামলে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করেন মুশফিক। রীতিমত ভারতীয় বোলারদের উপর আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মুশফিক। ইনিংস হার এড়ানোর শেষ আশা ছিল মুশফিক কিন্তু উমেশের স্লোয়ারে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। ৭৪ করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে তখন পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল পুরোপুরি। আল-আমিন একটু ব্যাটিং ঝলক দেখালেও বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৯৫ রানে।

    ভারতীয় বোলারদের হয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন উমেশ যাদব এবং চার উইকেট তুলে নেন পেসার ইশান্ত শর্মা।

    এর আগে ২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তবে আগের তিন ইনিংসের মতো এবারও একই দৃশ্য দেখা যায় টপ অর্ডারদের। শুন্য করেই সাজঘরে ফিরতে হয় সাদমানকে। আগের তিন ইনিংসের মতো এ ইনিংসেও রান করতে ব্যর্থ অভিজ্ঞ ইমরুল। পাঁচ রান করে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ‘শুন্য’ রানে আউট হন দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। মাত্র পাঁচ করেই উমেশের বাউন্স পুল করতে গিয়ে আউট হন মিঠুন।

    প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে ৩৪৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। বিরাট কোহলির ১৩৬ রানের কল্যাণে তিনশ পেরোয় ভারত। কোহলির সঙ্গে ফিফটি হাঁকিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা ও অজিঙ্কা রাহানে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬ (সাদমান ২৯, লিটন ২৪: ইশান্ত ৫-২২)

    ভারত ৩৪৯-৯ (কোহলি ১৩৬, পুজারা ৫৫: আল-আমিন ৩-৮৫

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) ১৯৫ ( মুশফিক ৭৪, মাহমুদউল্লাহ ৩৯: উমেশ ৫-৫৩)

  • ভারতের ২৪১ রানের লিড,ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ

    ভারতের ২৪১ রানের লিড,ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বড় লিড পেয়েছে ভারত। ২৪১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।

    চার উইকেট নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছিল ভারত। তখনও নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি। লাঞ্চ ব্রেকের পরেই আবু জায়েদ রাহীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি আউট হন ১২ করে। নতুন বল হাতে নিতেই ঝলক দেখান বাংলাদেশের বোলাররা। বাউন্ডারি লাইনে তাইজুলের অসাধারণ এক ক্যাচে এবাদতের বলে সাজঘরে ফিরে যান কোহলি। আউট হওয়ার আগে করেন ১৩৬ রান!

    সাহা ও অশ্বিন মিলে কিছুটা চেষ্টা করলেও দলীয় ৩২৯ রানে আল-আমিনের বলে এল্বিডব্লিউর শিকার হন অশ্বিন। আল-আমিন, এবাদতের পর নতুন বলে উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদও। উমেশকে স্লিপে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন আবু জায়েদ। ৩৩১ রানে ফের উইকেট তুলে নেন আল-আমিন। শেষ পর্যন্ত ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

    এর দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কোহলি প্রথমদিনেই ফিফটি পেলেও, দ্বিতীয় দিনে এসে ফিফটির দেখা পান রাহানে। অন্যদিকে ফিফটিকে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কোহলি। ফিফটি করে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি রাহানে।

    তাইজুলের স্লোয়ারে এবাদতের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহানে। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস সেই সাথে কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির দেখা পান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

    প্রথমদিনে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ইশান্ত শর্মা একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে শুরুতে ফিরিয়ে সাফল্য পান আল-আমিন হোসেন। রোহিতের ক্যাচ ছাড়লেও শেষ সেশনের শুরুতে তাকে ফেরান এবাদত। ২১ করে আউট হন তিনি। তবে পূজারা ও কোহলির দায়িত্বশীল ব্যাটিং ভারতকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। প্রথমদিনের শেষদিকে ব্যক্তিগত ৫৫ করে এবাদতের বলে আউট হন পূজারা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬

    সাদমান ২৯, লিটন ২৪*, নাঈম ১৯: ইশান্ত ৫-২২

    ভারত ৩৪৭-৯ (১ম ইনিংস)

    কোহলি ১৩৬, পূজারা ৫৫: আল আমিন ৩-৮৫