জিম্বাবুয়েকে মিরপুর টেস্টে একেবারেই সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রায় দেড় দিন হাতে রেখে ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে বেঁধে ফেলে টাইগাররা। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে সতীর্থরা যেখানে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন, সেখানে রীতিমত একা লড়াই চালিয়ে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহী এবং নাঈম হাসান নেন সমান ৪টি করে উইকেট।
প্রতিপক্ষকে অলআউট করে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। যেখানে প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি স্বাদ পান মুশফিকুর রহিম। একই সাথে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।
পাশাপাশি ব্যক্তিগত নবম সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল হকের প্রথম শতকের সাথে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং লিটন দাসের ফিফটি ছাড়ানো ইনিংসের উপর ভর করে ৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল।
ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ২৯৫ রানে পিছিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে সুবিধা করতে পারেনি এবারও। সফরকারী শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন নাঈম। শূন্য রানে ফেরান মাসভাউরে এবং টিরিপানোকে। এবারও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন আরভিন, কিন্তু ৪৩ রানের মাথায় মুমিনুলের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর সিকান্দার রাজা ৩৭ ও মারুমা ৪১ রান করে আউট হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়েও এক ইনিংসে বাংলাদেশের তোলা ৫৬০ রান টপকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইনিংস এবং ১০৬ রানে ম্যাচ হারতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়া নাঈম দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন।
এ জয়ের ফলে টানা ৬ ম্যাচ পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ দল। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে টাইগারদের পরবর্তী মিশন পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংস- ২৬৫/১০
আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।
দ্বিতীয় ইনিংস- ১৮৯/১০
আরভিন ৪৩, রাজা ৩৭, মারুমা ৪১; নাঈম ৫/৮২, তাইজুল ৪/৭৮।
বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৬০/৬ ডিক্লেয়ার
মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১; লোভু ২/১৭০, তাসুমা ১/৮৫।