Tag: ইন্টারপোল

  • ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিফ প্রসিকিউটরের চিঠি

    ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করতে আইজিপিকে চিফ প্রসিকিউটরের চিঠি

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

    এর আগে, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল অভিযোগ করে বলেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করেছে আওয়ামী লীগ। যা সরকার আমলে নিচ্ছে না।

    আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত জানালেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

  • ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় আরাভ খান

    ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় আরাভ খান

    দুবাইয়ে আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি।

    বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে ইন্টারপোল ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় তার নাম পাওয়া গেছে।

    এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার যুবক রবিউল ইসলাম নিজের নাম, জাতীয়তা পরিবর্তন করে জোগাড় করেন ভারতীয় পাসপোর্ট। এ পাসপোর্টেই পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। দুবাই পাড়ি জমিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন ‘আলাদিনের চেরাগ’।

    দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। মূলত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিউল ইসলাম। তবে ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন আরাভ খান।

    পুলিশ বলছে, আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এছাড়া তিনি কিভাবে দেশত্যাগ করলেন সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

    দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ। বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দিয়ে দুবাইয়ে তার শোরুম উদ্বোধন করা হবে- এমন ঘোষণার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও দুবাইয়ে নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।

     

  • জিসানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে

    জিসানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে

    পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ পুলিশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

    শুক্রবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    সোহেল রানা জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি (ইন্টারপোল) দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনসিবি দুবাই বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে জিসানকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

    পুলিশ জানায়, দুবাই কর্তৃপক্ষ জিসানকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছিল। সেখানে তার নাম আছে আলী আকবর চৌধুরী।

    ২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ২৩ জন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ তালিকা করেছিল, জিসান তাদেরই একজন। এই পলাতক আসামিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

    রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে জিসানের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির একাধিক মামলাও ছিল তার নামে।

    ২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগে একটি হোটেলে জিসানকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে গিয়ে গুলিতে নিহত হন গোয়েন্দা পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ওই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।

    এরপর জিসান গা ঢাকা দেন এবং ভারত হয়ে দুবাইয়ে চলে যান বলে ধারণা করা হয়। তাকে ধরতে বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল।

    সম্প্রতি ঢাকায় ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া এবং ঠিকাদার জিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিসানের নাম নতুন করে আলোচনায় আসে।

    গত মাসের শেষে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, শামীম ও খালেদকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে জিসানের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখনই ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে নতুন নামে জিসানের দুবাইয়ে অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।