২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানা বন্দরটিলা এলাকায় জেসমিন আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধু খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত গৃহবধুর স্বামী আব্দুর রাজ্জাকসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকালে স্থানীয়দের কাছ খবর পেয়ে ইপিজেড থানার বন্দরটিলা বক্সআলী মুন্সি রোডের মুন্সী বাড়ি এলাকার একটি বাসা থেকে গৃহবধু জেসমিনের লাশটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার কথা জানায় পুলিশ।
প্রতিবেশিরা জানায়, ওই বাসায় পেশায় বাবুর্চি পিরোজপুর মঠবাড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা স্বামী আব্দুর রাজ্জাকের সাথে থাকতেন নিহত গৃহবধু জেসমিন আক্তার। খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা গার্মেন্টেস শ্রমিক জেসমিন ও বাবুর্চি রাজ্জাক দুজনের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। নিহত জেসমিনের আগের ঘরের স্বামী মারা যাওয়ায় সে দ্বিতীয় বিয়ে করে। তার ওই ঘরে একটি ছেলে সন্তান আছে। সে নানীর কাছে থাকেন।
তবে জেসমিনের ২য় বিয়ের তথ্য জানা থাকলেও রাজ্জাক তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে জেসমিনকে বিয়ে করেন। এবিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। শুক্রবার রাতেও দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিবেশিরা।
নিহত গৃহবধুর স্বামী রাজ্জাকের বরাতে পুলিশ জানায়, রাজ্জাক বলেছে শুক্রবার রাতে তার স্ত্রী জেসমিনের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে রাতে তাদের বাসার পাশে ছোট বোনের বাসায় দুজনেই চলে যান।
পরে জেসমিন বাসায় ফিরলেও রাজ্জাক বোনের বাসায় থেকে গিয়েছিল। সকালে বাসায় সাইকেল নিতে গিয়ে স্ত্রীর বিবস্ত্র লাশ দেখতে পেয়ে ভগ্নিপতিকে খবর দেন বলে জানিয়েছে স্বামী রাজ্জাক।
ইপিজেড থানার ওসি (তদন্ত) মো. ওসমান গণি গৃহবধু জেসমিনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে বা ভোরের দিকে জেসমিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার স্বামী আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে একেকবার একেক রকম তথ্য দিচ্ছে। পরে পুলিশ রাজ্জাক ও তার একবোনসহ ৩ জনকে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলেই ধারণা করছি। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার আসল রহস্য জানা যাবে বললেন ওসি তদন্ত।