Tag: ইফতার

  • ইউনেস্কোর ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায় মুসলমানদের ইফতার

    ইউনেস্কোর ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তালিকায় মুসলমানদের ইফতার

    জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হলো ইফতার। পবিত্র রমজান মাসে মুসলিমদের ইফতারকে বুধবার বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে ইউনেস্কো।

    সামাজিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একসঙ্গে জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) এর কাছে আবেদন করেছিল ইরান, তুর্কি, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।

    ইউনেস্কো বলেছে, ‘সমস্ত ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে মুসলমানরা রমজান মাসে সূর্যাস্তের সময় ইফতার পালন করে। পবিত্র মাসে প্রার্থনার জন্য সূর্যাস্তের অপেক্ষার পর একসঙ্গে পরিবার ও সম্প্রদায়ের সবাই মিলে ইফতার করে থাকে। এর মাধ্য ভালো বন্ধন, দান, সংহতির মতো সামাজিক বিনিময় ঘটে থাকে।

    সোমবার থেকে বতসোয়ানায় মিটিং করছে আন্তঃসরকারি কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অব ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটি। তারাই বহু পুরনো ঐতিহ্যবাহী মুসলিম এই রীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

    জাতিসংঘের সংস্থাটি বলেছে, ‘ইফতার সাধারণত পরিবারের মধ্যেই গ্রহণ করা হয়। পরিবারের ছোট বড় সকলে ইফতার বনানোর দায়িত্ব নেয়।’

    এছাড়াও ইউনেস্কোর বৈশ্বিক ঐতিহ্যের তালিকায় যোগ করা হয়েছে ইতালীয় অপেরা গান।

     

  • কাজির দেউরী পুলিশ বক্সে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সাথে ডিসি’র ইফতার

    কাজির দেউরী পুলিশ বক্সে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সাথে ডিসি’র ইফতার

    পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন আজ শুক্রবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর কাজির দেউরী ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বসে সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট ও সদস্যদের সাথে ইফতার করেছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন।

    এসময় ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমা ও টিআই আবদুল মুকিতসহ ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • সীতাকুণ্ডের জোড়আমতল চৌরাস্তা জামে মসজিদে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন

    সীতাকুণ্ডের জোড়আমতল চৌরাস্তা জামে মসজিদে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: পবিত্র রমজান মাস জুড়ে প্রতিদিন রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজনের উদ্যেগ নিয়েছে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোড়আমতল চৌরাস্তা জামে মসজিদে। প্রতি বছরের মতো এবারও শুক্রবার প্রথম রোজা থেকে শুরু হয়েছে এ আয়োজন। চলবে শেষ রোজা পর্যন্ত।

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ইফতারকালীন সময়ে মসজিদে রোজাদারদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। আসরের নামাজের পর থেকেই মসজিদের বারান্দায় রোজাদারদের মধ্যে ইফতার বণ্টনের কাজ শুরু হয়। এতে রেজাদরদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। পুরো রমজান মাসজুড়েই চলবে এ ইফতার আয়োজন। এই আয়োজনে দুর দুরান্ত থেকে শত শত রোজাদার অংশ নেন। ইফতারে গ্রামের গরীব, অসহায়,শিশু- কিশোর ছাড়াও একই কাতালে বসে ইফতার করেন বিত্তবানরাও।

    মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবুল, বলেন, আমরা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে প্রতি বছর রমজানে পুরো মাস ধনী-গরিব সকলের জন্যে ইফতারের আয়োজন করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও এ আয়োজন কনেছি।

    মসজিদের খাদেম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিধ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, রমজান একটি পবিত্র মাস, ধর্মে কর্মে, দানে বছরের অন্য মাসের তুলনায় আলাদা। তার মধ্যে সাররাদিন রোজা রাখার পর সবাই একসাথে ইফতার করাটা সওয়াবের কাজ। আমরা প্রতিবছরের মতো এবারও পুরো মাসজুড়ে ধনী গরীব সকলে মিলে ইফতারের আয়োজন করেছি। সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি এলাকার প্রত্যেক মসজিদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ইফতার আয়োজন করেন, তাহলে গরিব ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতারের আর কোনো সমস্যা হবে না।

  • ইফতারের সময় যেসব আমল করতেন নবীজি সা. ও সাহাবাগণ

    ইফতারের সময় যেসব আমল করতেন নবীজি সা. ও সাহাবাগণ

    ইফতার রোজাদারের পার্থিব পুরষ্কার। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের মুহূর্তটি রোজাদারের জন্য বয়ে আনে এক অপার্থিব আনন্দের বার্তা। নবী সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীও এ কথাই বলে। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রোজাদারের দুটি আনন্দ। একটি ইফতারের সময় আর অপরটি তার প্রভুর সাক্ষাতে।” (বুখারী ও মুসলিম)

    এই আনন্দের মুহূর্তে কিছু করণীয় কাজের কথা বলেছেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। যেগুলো আমাদের আখিরাতের কাঙ্ক্ষিত সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার সহায়ক হবে। আসুন জেনে নেই সে কাজগুলোর বিবরণ।

    ১. ইফতারের পূর্বে দোয়া করা:

    ইফতারের পূর্ব মুহূর্ত তথা দিনের শেষ বেলা এমনিতেই দোয়া কবুলের সময়। আর রোজাদারের জন্য এ সময়ের রয়েছে আরো বিশেষ গুরুত্ব।

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি মকবুল দোয়া চেয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।” (ইবনে মাজাহ)

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) ইফতারের পূর্বে তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দোয়া করতেন। (ইবনে মাজাহ) তাই ইফতারের পূর্বে দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া দরকার।

    ২. ইফতার জলদি জলদি করা:

    জলদি জলদি ইফতার করা মানে হলো সময় হয়ে গেলে ইফতারে বিলম্ব না করা। কেননা সময় হওয়ার পরও বিলম্বে ইফতার করা ইহুদি নাসারাদের স্বভাব। তারা এরূপ বিলম্ব করে থাকে। (আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)

    হযরত সাহল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ততদিন মানুষ কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তারা শিঘ্র শিঘ্র ইফতার করবে”। (বুখারী ও মুসলিম)
    তাই সময় হয়ে গেলে যত দ্রূত সম্ভব ইফতার করে নেওয়া উত্তম।

    ৩.ইফতার গ্রহণের দোয়া পড়া:

    হযরত মুয়ায ইবনে যুহরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতার গ্রহণের সময়—

    “اللهم لك صمت و على رزقك أفطرت”

    এই দোয়া পড়তেন। (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু)।

    অর্থ:-“হে আল্লাহ! আপনার (সন্তুষ্টির) জন্য রোজা রেখেছি, আপনার দেয়া রিযিক দিয়ে ইফতার করেছি।”
    ইফতার গ্রহণের সময় এই দোয়া পড়া সুন্নত।

    ৪. খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার করা:

    খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করা। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে শুরু করা।

    হযরত সালমান ইবনে আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ ইফতার করলে, যেন খেজুর দিয়ে শুরু করে। কেননা খেজুর বরকতপূর্ণ। আর খেজুর না পেলে যেন পানি দিয়ে শুরু করে। কেননা পানি পবিত্রতার উপকরণ।” (আহমদ ও তিরমিযী)

    ৫. রোজাদারকে ইফতার করানো:

    রোজাদারকে ইফতার করানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। এর প্রতিদানও অনেক বিশাল।

    হযরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ” যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোন রোজাদারকে ইফতার করাবে, এই ইফতার করানোটা তার গুনাহ মাফের কারণ হবে, জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় হবে এবং ঐ রোজাদারের সওয়াব একটুও না কমিয়ে সমপরিমাণ সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।” (শুআবুল ঈমান লিল বায়হাকি)

    এই প্রতিদান পাওয়ার জন্য পেট পুরে খাওয়ানো আবশ্যক নয়। সাহাবায়ে কেরামের অক্ষমতার ওজরের জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা তো এই সওয়াব তাকে দিবেন, যে কোন রোজাদারকে এক ঢোক দুধ বা একটি খেজুর বা এক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করাবে।”(প্রাগুক্ত)

    আর যে লোক কোন রোজাদারকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াবে তার প্রতিদান সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা তাকে আমার হাউজ তথা হাউজে কাওসার থেকে পান করাবেন। সে আর পিপাসার্ত হবে না। এমন কি জান্নাতে প্রবেশ করবে।”(প্রাগুক্ত)

    মহান আল্লাহ তায়ালা একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আশায় আমাদেরকে এ আমলগুলো করার তাওফীক দান করুন।

  • ইফতারে ফ্রীজের ঠান্ডা পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

    ইফতারে ফ্রীজের ঠান্ডা পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়ার ছনহরা গ্রামে ইফতারের সময় ফ্রিজের পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম শাহীনা আকতার (২৮)। সে ছনহরা এলাকার কামাল উদ্দিনের স্ত্রী।

    গতকাল শনিবার ইফতারের সময় উপজেলা ছনহরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আলমদার পাড়ার ছালেহ আহমদ তালুকদারের বাড়িতে এই ঘটনা।

    স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ইফতারিতে ফ্রিজের পানি না দেওয়ার কারণে স্বামী কামাল উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী শাহীনা আকতারের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। এসময় শাহীনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পটিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

    পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, ফ্রিজের পানি না দেওয়ায় স্ত্রীকে ইট দিয়ে জখম করে হত্যার করার বিষয়ে শুনেছেন। প্রকৃত ঘটনা কি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সনজয়