Tag: ইভিএম

  • ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনা করা হবে: সিইসি

    ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনা করা হবে: সিইসি

    ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

    মঙ্গলবার (১০ মে) সকালে কমিশনের প্রশিক্ষণ ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ তাগিদ দেন।

    সিইসি বলেন, সম্পূর্ণ ইভিএমে ভোট নেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ইভিএম এর বিষয়ে রাজনৈতিক দলের মতামত বিবেচনা করবে কমিশন। নির্বাচন নিয়ে সরকারের দেওয়া বক্তব্যে কোনো চাপে পড়ছে না কমিশন। এছাড়া কাউকে ভোটের মাঠে আনা কমিশনের কাজ নয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানই কমিশনের মূল দায়িত্ব বলে জানান তিনি।

    তিনি বলেন, ঠিকঠাক ভোটার তালিকা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। ধৈর্য ও সততার সঙ্গে নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে।

    সিইসি বলেন, জাতীয় নির্বাচনসহ সব ধরনের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিক নির্বাচন কমিশন। আগামী কুমিল্লা সিটিসহ স্থানীয় নির্বাচনগুলো যাতে সুষ্ঠু হয় তার জন্য কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

    ভোটার তালিকা হালনাগাদের কর্মীদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, আগামী ২০ মে থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হচ্ছে। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পূর্বশর্ত স্বচ্ছ ভোটার তালিকা। সে জন্য আপনাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে কোনো ভোটার যাতে বাদ না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

    তিনি বলেন, এবার হালনাগাদ কার্যক্রম মোট চার ধাপে শেষ করা হবে। প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলায় ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ সময়ে নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করবেন।

    ভোটের মাঠে কেনো মানুষ যায় না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো না। আমাদের দায়িত্ব ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা। আমাদের কর্মীরা ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে মাঠে যাবে। আপনি যেই প্রশ্নটা করেছেন, সেই প্রশ্নের কোনো মন্তব্যই আমি করবো না।

    ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো মধ্যে যে আলোচনা হচ্ছে সেটি নিয়ে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, সেটি নিয়ে পত্রিকায় আসছে এবং আমাদের বক্তব্যগুলো আপনাদের জানানো হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব আমাদের। হয়তো আপনারা বলতে পারেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিভিন্নজন থেকে বক্তব্য আসতে পারে। এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নাকি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেছেন বিষয়টি এখনো স্পষ্ট না। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলা, বিএনপির প্রধান বলা, জাসদের আব্দুর রব বলা এগুলো ভিন্ন জিনিস।

    আর সব থেকে বড় কথা যেটি স্পষ্ট করে বলতে চাচ্ছি, অনেকে ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন, সদিচ্ছা ব্যক্ত করতে পারেন আর ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। ইতোমধ্যে আমরা নিজেরা অনেকগুলো সভা করেছি, আগামীতে আরও সভা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত হবে আমাদের। ভোট স্বাধীনভাবে আমরা পরিচালনা করবো যতদূর সম্ভব। এটা আমাদের এখতিয়ারভুক্ত, পদ্ধতিও আামাদের এখতিয়ারভুক্ত।

    সাংবাদিকদের এক আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত আমাদের ওপরেই থাকবে। মতামত আমরা বিবেচনায় নিতে পাারি। আপনিও মতামত দিতে পারেন, রাস্তায় কেউ মতামত দিতে পারেন, রাজনৈতিক দলগুলো মতামত দিতে পারবেন। আল্টিমেটলি আমরা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো ভোট কোন পদ্ধতি ও কেমন হবে। সেটি আমাদের বিষয়। এই বিষয়ে আমরা স্বাধীন।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব আসনে ইভিএমে ভোট করার মত এখন আমাদের সামর্থ নেই। ৩০০ আসনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নেইনি। ভোট ব্যালটে হবে না ইভিএমে, কতটি আসনে ইভিএমে হবে, এই বিষয়ে কমিশন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটি পর্যালোচনাধীন রয়েছে।

    এরআগে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের শুদ্ধ ও সিদ্ধভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে সিইসি বলেন, শুদ্ধ ও সঠিক ভোটার তালিকা ছাড়া প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন সম্ভব নয়।

    ইসি জানায়, এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দুই বছরের অগ্রিম তথ্যসহ মোট তিন বছরের তথ্য নেওয়া হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কার্যক্রমে ১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০২৩, ১ জানুয়ারি-২০০৬ বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে এবং ১-১-২০০৭ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে নিবন্ধিত ভোটার হিসেবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    হালনাগাদে সম্ভাব্য ভোটার বৃদ্ধির হার ৭.৫০ শতাংশ। এছাড়া এর আগে বিভিন্ন কারণে যারা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি তাদের

    হালনাগাদে ভোটার করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মৃত ভোটরের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এসময় ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করা যাবে। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য যে সব ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে এরমধ্যে রয়েছে- ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পিতা/মাতার এনআইডির ফটোকপি, ইউটিলিটি বিলের কপি। এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে প্রায় ৫৬ হাজার তথ্যসংগ্রহকারী এবং ১১ হাজার ৩০০ সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের দিনব্যাপী হাতে কলমে নিবিড়ি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

    হালনাগাদ কার্যক্রমর প্রত্যেক ধাপে ৩ সপ্তাহ সময় দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একাজে নিয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষিকারা পাঠদানের পাশাপাশি যেন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একজন তথ্যসংগ্রহকারী গড়ে ১৮০ জন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করবেন। তথ্য সংগ্রহের পরপরই ধাপে ধাপে নিবন্ধন কেন্দ্রে ভোটারদের নিবন্ধন করা হবে। আগের মতো উপজেলা, থানা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশন ও পৌর এলাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে ভোটারদের ছবি, দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ গ্রহণ করে ভোটার নিবন্ধন করা হবে। এ সময় ভোটারদের মূল তথ্যের প্রিন্ট কপি দেওয়া হবে।

    রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে সে জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাই-বাছাই করা হবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক সম্বলিত ডাটাবেজও ব্যবহার করা হবে।

    ইসি আরও জানায়, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ ২৬ বার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে তাদের অন্তভুক্তিসহ ৩য় বার এবং ২০১৮ সালে ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে , তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ ৪র্থ বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল।

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ কার্যক্রম হিসেবে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যাদের জন্ম অথবা ভোটার তালিকায় হালনাগাদের বিগত কার্যক্রমে বাদ পড়েছেন, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ৫ম বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল।

    সবশেষ ২০১৯ সালে ৬ষ্ঠ বা মাঠ পর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ করা হয়, যাতে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিগত কার্যক্রমে বাদ পড়েছিল তাদের তথ্য নিয়ে।

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে ইভিএম এর প্রতিকী ভোট অনুষ্ঠিত

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে ইভিএম এর প্রতিকী ভোট অনুষ্ঠিত

    কামরুল ইসলাম দুলু : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমেই ভোট দিবেন ভোটাররা। এতে ভোটারদের কিভাবে ইভিএম’র মাধ্যমে ভোট প্রদান-গ্রহণ করবেন সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে মাঠে কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

    তারই অংশ হিসেবে আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ১৭ টি কেন্দ্রে মক (অনুশীলনমূলক) ভোটের আয়োজনও করা হয়েছে। ইভিএমের প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি মক ভোটের মাধ্যমে ভোট দিতে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

    এসময় কয়েকজন ভোট (প্রতিকী ভোট) দিতে আসা তানজিনা আক্তার বলেন, ইভিএম এ আমি (মক) ভোট দিয়েছি, ইভিএম এ ভোট দেওয়া খুবি সহজ।

    ফারজানা আক্তার বলেন, ইভিএম সম্পর্কে এতোদিন আমি বুঝতামনা। আজ প্রতিকী ভোট দিয়ে বুঝলাম এটি খুব সহজ।

    এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ইভিএম সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা ব্যাপক প্রচারনা চালিয়েছি, বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রজেক্টের মাধ্যমে দেখিয়েছি কিভাবে ভোটাররা ভোট প্রদান করবেন। এছাড়া আজ মক ভোটের আয়োজন করেছি।

  • ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় ভোট দিতে পারেননি আ. লীগ প্রার্থী

    ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় ভোট দিতে পারেননি আ. লীগ প্রার্থী

    ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে গিয়ে জটিলতার শিকার হয়েছেন । প্রায় ৪০ মিনিট অপেক্ষার পরও ভোট দিতে না পেরে কেন্দ্রে বসে আছেন তিনি।

    শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে লেকসার্কাস উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন শফিউল ইসলাম। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তিনি ভোট দিতে পারেননি।

    ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরে বাইরে রাখা প্রার্থীর গাড়ি থেকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসা হয়। এতেও কাজ হয়নি। মেশিন বন্ধ করে চালু করা হয়। নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার কাছে থাকা অন্য একটি কার্ড দিয়েও চেষ্টা করেন। টিস্যু দিয়ে আঙুল মুছে ম্যাচ করানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেও কাজ হয়নি। অন্য আরেকটি মেশিনেও চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কাজ হয়নি।

    শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট নেয়া হবে। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ঢাকা-১০ আসনসহ ৩টি আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। কেন্দ্রগুলোতে বিগত নির্বাচনগুলোর তুলনায়ও ভোটার সংখ্যা কম।

    তবে করোনার কারণে মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে আগ্রহ কম দেখা যায়। তবে এ সঙ্কটের মধ্যেও ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।

    তবে ভোটগ্রহণকারীদের মধ্যেও করোনা নিয়ে রয়েছে নানা আতঙ্ক। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন্দ্রের ভেতরে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    এদিকে সকাল সাড়ে নয়টায় ধানমণ্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী শেখ রবিউল আলম।

    ঢাকা-১০ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১২ হাজার ২৮১ জন। ১১৭ কেন্দ্রের ৭৭৬ কক্ষে ভোট দেবেন ভোটাররা। প্রতি কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৮ জন নিরাপত্তা সদস্য।

    এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পদত্যাগ করায় ঢাকা-১০ আসনটি গত ২৯ ডিসেম্বর শূন্য ঘোষণা করা হয়।

    এদিকে একইভাবে গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। তবে এ দুই আসনের ভোট নেয়া হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

  • ইভিএমে সিইসি’র আঙুলের ছাপ মিলেনি

    ইভিএমে সিইসি’র আঙুলের ছাপ মিলেনি

    রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের আইএএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তবে এসময় ইভিএমে ফিংগার প্রিন্ট মেলেনি তার। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তিনি ভোট দেন।

    জানা গেছে, শনিবার সকাল পৌনে ১১টার দলে আইএএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দিতে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এসময় ভোটকেন্দ্রের দোতলায় অবস্থিত ৮ নম্বর ভোট কেন্দ্রে ভোট দেয়ার সময় ইভিএমে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি স্ক্যান করা হলে তা মেলেনি। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই ভোট দেন তিনি।

    সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিদ্দিকা বুলবুল এ বিষয়ে বলেন, ‘সিইসির প্রথম দুটি বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে তা ম্যাচিং করেনি। পরে আমরা আর চেষ্টা করিনি। তাড়াহুড়োর কারণে এবং ভোটার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমরা তার এনআইডি নম্বর দিয়ে ভোট নিয়েছি।’

    ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলার বিষয়ে সাংবাদিকদের সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ভোট দেয়ার তিন-চারটি উপায় আছে। যান্ত্রিক ত্রুটি হলে যে কেউ অন্য উপায়েও ভোট দিতে পারবেন।

  • ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে- ডা. শাহাদাত হোসেন

    ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে- ডা. শাহাদাত হোসেন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আমার আসনসহ বাংলাদেশের মোট ৬টি আসনে ইভিএমে নিবাচন হয়েছে। প্রতিটি আসনে আমিসহ আমাদের সব প্রাথীকে হারানো হয়েছে। সেজন্য এই ইভিএম এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।

    তিনি ১১ জানুয়ারী শনিবার দুপুরে নগরীর জামালখানস্থ একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

    ডা. কাহাদাত হোসেন বলেন, ইভিএম শঙ্কার কথা আমরা কয়েকদিন আগে প্রধান নিবাচন কমিশনারের কাছে তুলে ধরেছিলাম। তিনি জবাবে একটি হাস্যকর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন-আমাদের মেশিন নাকি ইন্ডিয়ার চেয়ে উন্নততর। এই নিবাচন কমিশন কি আদৌ আমাদের কথা বুঝতে পারছে নাকি আমরা উনাদের কথা বুঝতে পারছি না।

    তিনি বলেন, আমরা এমনও শুনেছিলাম যে, প্রিজাইডিং অফিসার নাকি ২৫ শতাংশ ভোট দেওয়ার অধিকার রাখেন। এসব বিষয় আমাদের কাছে পরিস্কার করা হয়নি। এজন্য এই নিবাচন আদৌ সুষ্ঠু হবে কি না সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে আশঙ্কা আছে। জনগণের মধ্যেও ইভিএম নিয়ে আতঙ্ক আছে।

    একই সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের এখনো শঙ্কা আছে। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। তারপরও আমরা সাধারণ মানুষের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আগ্রহ দেখছি। আশাকরি মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ভোটারদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার জন্য কমিশনকে বলেছি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর তালিকা জমা দিয়েছি। আশাকরবো আইনশৃংখলা বাহিনী কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করে ভোটার ও এজেন্টদের নিরাপত্তা বিধান করবেন।

    মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান চাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন, বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়েজি, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সি. যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, জেলা বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান. মোস্তাফিজুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী উপস্তিত ছিলেন।

  • ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব সৈয়দপুর বিমানবন্দরে জিএম কাদের

    ইভিএমের মাধ্যমে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব সৈয়দপুর বিমানবন্দরে জিএম কাদের

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমরা আশাবাদী এবং আমরা মনে করি যে, ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন করলে সুষ্ঠ নির্বাচন করা সম্ভব। এটা নিয়ে আগে থেকে আশঙ্কা করা কোন কারন নেই। যদি আশঙ্কা করার কোন কারন যদি ঘটে তখন আমরা জানাবো।

    ১১ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকা যাওয়ার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এ কথা বলেন।

    জিএম কাদের বলেন, আমাদের প্রার্থীতো থাকার জন্য দাড়িয়েছে। ভবিষ্যত বানীতো আর কেউ বলতে পারে না। কার জীবনে কতটা স্থায়ীত্ব তা কেউ বলতে পারবে না।

    তিনি আরো বলেন, যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলা করা সরকারের দায়িত্ব। এ ছাড়া আমাদের এমপি মন্ত্রীরা নতুন নতুন জায়গা শীতবস্ত্র বিতরন চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ অঞ্চলে আরো শীতবস্ত্র বিতরন করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    এ সময় দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল, সৈয়দপুর, রংপুর ও কুড়িগ্রাম লালমনিরহাটের পার্টির নেতৃৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ইভিএম এ ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই-সিইসি

    ইভিএম এ ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই-সিইসি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পূজন সেন,বোয়ালখালী : ইভিএম এ ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা।

    চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং ইভিএম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা একথা জানান।

    এ সময় তিনি বলেন, যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা ইভিএম ভালোভাবে দেখেন, তাহলে এ ভুলটা কেটে যাবে। এখানে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের সাথে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছেন ইভিএম এর মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই নির্বাচনে অসুবিধা হতে পারে বা কারচুপির কারণ হতে পারে।

    মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বশরত নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি ও সদরের গোমদন্ডী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ইভিএম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।

    সিইসি কে এম নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, বোয়ালখালীতে আসার পথে দেখলাম প্রার্থীদের পোস্টার পাশাপাশি লাগানো। এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানলাম নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে, প্রার্থীদের মাঝে কোনো গ্রুপিং সৃষ্টি হয় নাই। মনোমালিন্যের ঘটনাও ঘটেনি। বোয়ালখালী সিইসি নুরুল হুদা

    ঢাকা থেকে খবর নিয়েছি যারা প্রার্থী, প্রধান প্রার্থী তাদের মধ্যে ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং রয়েছে, নিজেরা কোনো রকম সহিংসতায় যাবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য তারা দুজনই আন্তরিক।

    আর নতুন কোনো প্রযুক্তি শুরু হলে কিছুটা বির্তক থাকে, কিন্তু আমার মনে হয় কয়েকটি নির্বাচনের পরে সব মানুষের মধ্যে বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে এবং সন্দেহ কেটে যাবে।

    ঢাকা সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনের দিন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সরকারের বছরের ছুটির তালিকা হয় মন্ত্রীর পরিষদের সভায়। সেখানে সরস্বতী পূজার ছুটি নির্ধারিত করা হয়েছে ২৯ তারিখ। সে কারণে আমরা ২৯ তারিখ নির্বাচনের দিন ধার্য্য করিনি। তাই ৩০ তারিখ নির্বাচনের দিন ধার্য্য করা হয়েছে।বোয়ালখালী সিইসি নুরুল হুদা ৩

    এসময় উপস্থিতি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার হাসানুজ্জামান, অতিরিক্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তা আতাউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন ও বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ (পিপিএম)।

  • চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি

    চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি

    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া আসনে উপনির্বাচন ১৩ জানুয়ারি।

    মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ১২ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ১৫ ডিসেম্বর। প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ ডিসেম্বর। এ আসনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে।

    রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে তফসিল ঘোষণা করেন সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

    তিনি বলেন, এ সময় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা, চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল ভারতের বেঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।